Ajker Patrika

সড়কের জায়গায় বিএনপি নেতার গভীর নলকূপ স্থাপন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি 
ঝিনাইদহ শহরের এইচএসএস সড়কের পাশে গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ করছেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝিনাইদহ শহরের এইচএসএস সড়কের পাশে গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ করছেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহ শহরে সরকারি সড়কের জায়গা দখল করে গভীর নলকূপ স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের বিরুদ্ধে। শহরের এইচএসএস সড়কের পাশে বিএনপির এই নেতার নির্মাণাধীন সবুজ বাংলা টাওয়ারের সামনে স্থাপন করা হয়েছে নলকূপ।

গভীর নলকূপ স্থাপনের বিষয়ে সড়ক বিভাগ জানায়, জায়গাটি জেলা পরিষদের। জেলা পরিষদ বলছে, ‘বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ ভবনের কাজ করা মিস্ত্রি বলেন, নলকূপটি জেলা বিএনপির সভাপতি মজিদ স্থাপন করেছেন।

সরেজমিন জানা গেছে, স্থানীয় বাস টার্মিনাল, কলাবাগান, স্টেডিয়ামপাড়াসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের শহরে ঢোকার প্রধান প্রবেশ পথ হলো এইচএসএস সড়ক। জেলা শহরের উজির আলী স্কুলের বিপরীত পাশে ব্যস্ততম এই সড়কের পিচ থেকে তিন থেকে চার ফুট দূরত্বে স্থাপন করা হয়েছে গভীর নলকূপ। এটি বসানো হয়েছে সড়ক ও ড্রেনজ ব্যবস্থার মাঝের স্থানে।

স্থানীয়রা জানান, সড়কের পাশে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের নাম প্রথম দিকে দেওয়া ছিল ‘মজিদ টাওয়ার’। কয়েক দিন পর নাম বদলে দেওয়া হয় ‘সবুজ বাংলা টাওয়ার’। গত শনিবার দুপুর থেকে সবুজ বাংলা টাওয়ারের সামনে সড়কের প্রায় দুই থেকে তিন ফুট দূরে শুরু হয় গভীর নলকূপ (সাবমার্সিবল পাম্প) বসানোর কাজ। শনিবার রাত পর্যন্ত চলে মাটি গর্ত করার কাজ। পরদিন রোববার দুপুর ১২টার দিকে শুরু হয় পাইপ স্থাপনের কাজ। প্রায় দুই ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয় পাইপ স্থাপন। এর পরপরই সেখান থেকে নলকূপ বসানোর কাজের মিস্ত্রিরা ও শ্রমিকেরা চলে যান।

ব্যস্ততম সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় ব্যক্তি মালিকানাধীন নলকূপ স্থাপন করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। জেলা বিএনপির সভাপতির ভবন হওয়াই ভয়ে নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি কেউ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, প্রশাসনের অবহেলায় এমন কাজ করা হচ্ছে। তারা যদি নজর দিত তাহলে সরকারি জায়গায় ব্যক্তি স্থাপনা হতো না। প্রতিদিন সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। সড়কের ধারে হওয়াই যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর নলকূপ স্থাপিত হয়েছে সড়ক ও ড্রেনের মাঝখানের জায়গায়। এটা কোনোভাবেই ব্যক্তি মালিকানা জায়গা হতে পারে না।

বিষয়টি জানতে ভবনের সামনের সবুজ বাংলা টাওয়ারের সাইন বোর্ডে দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে কল করা হলে ইকবাল মিস্ত্রি পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের নির্মাণাধীন ভবনের সামনে নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এটা জেলা বিএনপির সভাপতি মজিদ ভাইয়ের ভবন। নলকূপের বিষয়ে তিনিই ভালো বলতে পারবেন।’

অভিযোগের বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ হোয়াটসঅ্যাপে বলেন, ‘আমি ওমরা করতে মক্কায় এসেছি। নলকূপের বিষয়ে আমি একটু খোঁজ নিয়ে নিই। এমন তো হওয়ার কথা না। আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘জায়গাটি সড়ক বিভাগের নাকি জেলা পরিষদের তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। যদি আমাদের হয় তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

জেলা প্রশাসকের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘আমরা তাদের (ভবনের কর্তৃপক্ষ) বলে এসেছি জায়গাটি জেলা পরিষদের, এখানে কিছু না করার জন্য বলেছি। পরবর্তীতে তারা যদি আবার কিছু করে তাহলে আমাদের যে আইনি দিক আছে সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘জেলা পরিষদকে আমি বিষয়টি জানাচ্ছি। তাঁরা ক্ষতিয়ে দেখছে। তবে এতটুকু বলতে চাই আইনের বাইরে কিছুই হবে না। হতে দেওয়া হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে কর্মচারীকে দিয়ে নারীর অস্ত্রোপচার, হাসপাতাল সিলগালা

ফরিদপুর প্রতিনিধি
কর্মচারীকে দিয়ে রোগীর অস্ত্রোপচারের ঘটনায় আজ রোববার ফরিদপুর শহরের সুরক্ষা প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কর্মচারীকে দিয়ে রোগীর অস্ত্রোপচারের ঘটনায় আজ রোববার ফরিদপুর শহরের সুরক্ষা প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরে সুরক্ষা প্রাইভেট হাসপাতালে কর্মচারীকে দিয়ে এক নারীর অস্ত্রোপচারের ঘটনায় হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার নাঈমের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিন্টু বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালের ক্লিনার (পরিচ্ছন্নতাকর্মী) নিয়ামুলকে দিয়ে অস্ত্রোপচার করা ও অপারেশন থিয়েটারের ফ্রিজ বন্ধ থাকা এবং ভেতরে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়ার কারণে হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে।

হাসপাতালটিতে কর্মচারীকে দিয়ে নারীর অস্ত্রোপচারের ঘটনায় আজ আজকের পত্রিকায় ‘অস্ত্রোপচারে ওটির কর্মচারী, অঙ্গ হারালেন নারী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। হাসপাতালটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটকের বিপরীতে অবস্থিত।

জানা গেছে, হাসপাতালটিতে গত ১৮ নভেম্বর স্তনের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসক দেখাতে যান জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের খাসকান্দি গ্রামের সৌদিপ্রবাসী সরোয়ার আলমের স্ত্রী ববিতা বেগম (২৮)। চিকিৎসক তাঁকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাধ্যমে বায়োপসি পরীক্ষার কথা বলেন। তিনি চিকিৎসকের কক্ষ থেকে বের হওয়ার পর হাসপাতালটির ওটি কক্ষের দায়িত্বে থাকা নিয়ামুল শেখ (নিয়োগপত্র অনুযায়ী ক্লিনার) তাঁকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মেডিকেলে যেতে নিষেধ করেন এবং নিজেই করতে পারেন বলে জানান। পরে তাঁর কথা অনুযায়ী অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে অস্ত্রোপচার করে স্তনের টিস্যু সংগ্রহ করেন।

ভুক্তভোগী নারী ববিতা বেগম জানান, অপারেশন শেষে চারটি সেলাই দেন এবং নিয়ামুল নিজেই প্রেসক্রিপশন লিখে দেন। এ ঘটনার ১৫ দিন পর অস্ত্রোপচারস্থলে মাত্রাতিরিক্ত সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে ৪ ডিসেম্বর ফরিদপুর সেন্ট্রাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসকের মাধ্যমে তাঁর সংক্রমিত স্তনের অধিকাংশ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন আছেন।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মাহামুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কর্মচারীকে দিয়ে এক নারীর অস্ত্রোপচারের ঘটনায় ডেপুটি সিভিল সার্জন বদরুদ্দোজা টিটোকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী নগরের বহরমপুর ডিবি আনোয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী নগরের বহরমপুর ডিবি আনোয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কর্মবিরতি শেষে বিদ্যালয়ে ঢুকতে চেয়েছিলেন সহকারী শিক্ষকেরা। তবে অভিভাবকেরা তাঁদের ঢুকতে দেননি। সন্তানদের পরীক্ষা নিয়েছেন তাঁরা নিজেরাই। আজ রোববার সকালে রাজশাহী নগরের বহরমপুর ডিবি আনোয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটে।

পরে একজন শিক্ষা কর্মকর্তা এলে তাঁর মধ্যস্থতায় শিক্ষকেরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেন। তবে এর আগেই পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। এর আগে উত্তেজিত অভিভাবকেরা বিদ্যালয়ের দুটি ভবনে তালা ঝুলিয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব নিজেরাই হাতে নেন। সকাল থেকে তাঁরা পরীক্ষাও নেন।

অভিভাবকদের অভিযোগ, এক সপ্তাহ ধরে বার্ষিক পরীক্ষা চললেও সহকারী শিক্ষকেরা আসেননি। তিনটি বিষয়ে তাঁরাই পরীক্ষা নিয়েছেন। শিক্ষকদের মনোযোগহীনতা ও দফায় দফায় আন্দোলন শিক্ষার্থীদের শেখার মান ভয়াবহভাবে কমিয়ে দিয়েছে বলেও তাঁদের অভিযোগ। তাই কর্মবিরতি শেষে শিক্ষকেরা এলে তাঁরা তাঁদের প্রবেশ করতে দেননি।

জেসমিন আরা নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘সারা বছর ঠিকভাবে পড়ানো হয়নি আর পরীক্ষা শুরুর পর আবার কর্মবিরতি। আমরা সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় আছি, তাই নিজেরাই পরীক্ষা নিয়েছি।’ স্বপ্না বেগম নামের আরও এক অভিভাবক বলেন, ‘শিক্ষকেরা হঠাৎ হাজির হয়ে পরীক্ষা নিতে চাইলে আমরা স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হই। সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছেন তাঁরাই।’

বিদ্যালয় চত্বরে তালা দেওয়ার সময় বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন সহকারী শিক্ষকেরা। ঘটনাটি জানানো হলে একজন শিক্ষা কর্মকর্তা এসে শিক্ষক-অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। আলোচনা চলাকালেও দ্বিতীয় শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা দিতে দেখা যায়।

সহকারী শিক্ষকেরা দাবি করেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাঁরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর পরীক্ষায় অংশ নিতে এলেও অভিভাবকেরা তাঁদের দায়িত্ব নিতে দেননি। সহকারী শিক্ষক আসিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা কর্মসূচির কারণে দায়িত্ব পালন করতে পারিনি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পরীক্ষা নিতে এসেছি, কিন্তু আমাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম বেগম বলেন, ‘অভিভাবক ও শিক্ষক উভয় পক্ষের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল। শিক্ষা অফিস থেকে একজন কর্মকর্তা আসার পর আমরা চেষ্টা করেছি আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। শিক্ষকেরা ঢুকেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অবৈধ ট্রাক টার্মিনাল উচ্ছেদ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহে সওজের জমিতে থাকা অবৈধ ট্রাক টার্মিনাল উচ্ছেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝিনাইদহে সওজের জমিতে থাকা অবৈধ ট্রাক টার্মিনাল উচ্ছেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের মালিকানাধীন ১৩১ শতাংশ জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে পৌর শহরের কাঞ্চনপুর এলাকায় ট্রাক টার্মিনালে এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন, সহকারী প্রকৌশলী ও স্টাফ অফিসার মো. আহসান উল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যমতে, পৌর এলাকার কাঞ্চনপুর মৌজায় ১৩১ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। জমিটিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মহল অবৈধভাবে ট্রাক টার্মিনাল এবং বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ ও যানবাহন পার্কিং করে আসছিল। এসব স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ প্রদান ও পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং মাইকিং করা হয়। কিন্তু স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি অনেকেই।

ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সড়ক বিভাগের অধিগ্রহণকৃত ১৩১ শতাংশ জায়গা দীর্ঘদিন যাবৎ দখল করে ট্রাক টার্মিনাল করা হয়েছিল। জায়গাটি বিভিন্ন সময়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে। আবারও তা দখল হয়ে গিয়েছে। আমরা পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও মাইকিং করেছি। আমরা জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় আজকে সকল প্রকার অবৈধ স্থাপনা ও দখলদার উচ্ছেদ করতে সফল হলাম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্ক: শোকজের জবাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন চিকিৎসক ধনদেব

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৩
ক্যাজুয়ালটির ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্যাজুয়ালটির ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়ার পর তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কাছে নোটিশের জবাব দেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বেলা ২টার দিকে মোবাইল ফোনে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘শোকজের চিঠি হাতে পেয়ে আজ বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে জমা দিয়েছি। ডিজি বয়স্ক মানুষ, আমারও বেয়াদবি হয়েছে। শোকজের জবাবে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে নিঃশর্ত ক্ষমতা চেয়েছি।’

এর আগে গতকাল শনিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত একটি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে আসেন স্বাস্থ্যের ডিজি আবু জাফর। সেমিনারে যোগ দেওয়ার আগে তিনি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এ সময় হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান।

এ ঘটনায় গতকাল বিকেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসদাচরণ করায় ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে শোকজ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌসের দেওয়া নোটিশের জবাব ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে বলা হয়। এরপর আজ তিনি শোকজের জবাব দেন।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মুহাম্মদ মাইনউদ্দিন খান আজ দুপুরে বলেন, ‘আমরা ওই চিকিৎসককে শোকজ করেছি, দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। তাঁর বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে, সেটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করবে।’

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত