Ajker Patrika

কুয়েটে ৫ মাস পর ক্লাসে বসলেন শিক্ষার্থীরা, আসেননি শিক্ষকেরা

খুলনা প্রতিনিধি
কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা আজ রোববার সকালে ২১তম ব্যাচের শ্রেণিকক্ষে ফেরেন। তবে শিক্ষকেরা ক্লাস নিতে আসেননি। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা আজ রোববার সকালে ২১তম ব্যাচের শ্রেণিকক্ষে ফেরেন। তবে শিক্ষকেরা ক্লাস নিতে আসেননি। ছবি: আজকের পত্রিকা

টানা পাঁচ মাস ধরে বন্ধ থাকা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) আজ রোববার সকালে একদল শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে বসেছিলেন। কিন্তু কোনো শিক্ষক না আসায় তাঁরা দীর্ঘ সময় বসে থেকে ফিরে যান। এদিকে কুয়েটের ক্লাস, পরীক্ষাসহ সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর দাবিতে দুপুরে মানববন্ধন করেছে গার্ডিয়ান ফোরাম।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের তিনতলায় গিয়ে দেখা যায়, ২১তম ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের অপেক্ষায় বসে আছেন।

এ সময় ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী রেজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অচলাবস্থার অবসান চাই। সর্বশেষ সিন্ডিকেট কমিটির সভায় ৪ মে থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। যেটা এখনো কার্যকর আছে। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ওই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। তবে সেই সিদ্ধান্তের আড়াই মাসেও শিক্ষকেরা ক্লাস নিচ্ছেন না। আমরা হতাশ, আমরা চাই দ্রুত ক্লাস শুরু হোক।’

রেজানুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে কোনো দূরত্ব নেই। শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হয়। আমরা চাই, দ্রুত ক্লাস শুরু হোক। ক্লাস শুরু না হওয়া পর্যন্ত আমাদের হতাশা কাটছে না। এ কারণে আমরা ক্লাসে এসে বসে আছি।’

একই ব্যাচের শিক্ষার্থী জুলকার নাইন বলেন, ‘আমরা দ্রুত ক্লাস শুরু চাই। শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। তাঁদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমরা চাই, শিক্ষকেরা ক্লাসে এসে আমাদের ক্লাস নিতে শুরু করুন।’

আরিফ আলমাস রহমান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের ব্যাচের অধিকাংশ শিক্ষার্থী আজ ক্লাসে উপস্থিত হয়েছি। কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত হতে পারছেন না তাঁদের নিরাপত্তাজনিত কারণে। এখন যদি শিক্ষকেরা আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হন এবং ক্লাসে ফেরেন তাহলে আমরা আশা করি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে ইনশা আল্লাহ।’

আসির ফেরদৌস মুনতাসির অর্ক বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ। গত ২৪ এপ্রিল উপাচার্যকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। গত ৪ মে থেকে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী আমাদের শিক্ষকদের ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। পাঁচ মাস আমাদের ক্লাস বন্ধ। বাধ্য হয়ে আমরা আজ ক্লাসে এসেছি। এখন শিক্ষকেরা যদি আমাদের ওপর সদয় হয়ে ক্লাস নিতে আসেন, সেই অপেক্ষায় সবাই ক্লাসে বসে আছি।’

এদিকে দুপুরে কুয়েট গার্ডিয়ান ফোরামের উদ্যোগে প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আবার ক্লাসে আসুক, এটা সবারই চাওয়া। শিক্ষকদের আমরা অনুরোধ করব, আপনারা আপনাদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিন। যেসব সংস্থা এটার সঙ্গে যুক্ত, জরুরি ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কী করলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্লাস শুরু হবে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিন। আমরা অভিভাবকেরা আপনাদের কাছে সেই অনুরোধ জানাচ্ছি।’

এ সময় বক্তব্য দেন মো. ফররুক আহমেদ, আব্দুল জলিল, মোহাম্মদ এনায়েত করিম, মকবুল হোসেন, মোহাম্মদ নায়েব আলী, সুশান্ত কুমার পাল, রুবাইয়া হিজাজী, আয়েশা আক্তার প্রমুখ।

এর আগে গতকাল শনিবার ‘ইনসাইড কুয়েট’ নামের একটি ফেসবুক আইডিতে পোস্টে বলা হয়, ‘দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাসের পর এলই, সিএইচই ডিসিপ্লিনের শিক্ষকেরা ক্লাস শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন। রোববার থেকেই ক্লাস হচ্ছে। অন্যান্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষকেরা ক্লাস শুরুর ব্যাপারে আন্তরিক।’

অপর দিকে কুয়েটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘রক্তাক্ত কুয়েট’ ফেসবুক পেজে শনিবার ‘ক্লাসে চলো’ দাবিতে পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে বলা হয়, ‘সকল জরাজীর্ণ ঝেড়ে ফেলে নেতিবাচকতাকে রেড কার্ড দেখিয়ে আমরা আগামীকাল (রোববার) ফেরত যাই। আমাদের শিক্ষকেরা সর্বদা আমাদের মঙ্গল কামনা করেছেন। তাঁরা আমাদের এই দুর্দিনে কোনোভাবেই মুখ ফিরিয়ে নিতে পারবেন না। তাই আমাদের ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে ক্লাসের উদ্দেশে যেতে হবে। ২১ ও ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানানো হচ্ছে স্ব স্ব ডিপার্টমেন্টে ক্লাস রুটিন অনুযায়ী ক্লাসে ফেরত যাওয়ার জন্য। ক্লাসের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। অন্যান্য ব্যাচের যাদের পরীক্ষা চলমান, তারা ধৈর্য ধারণ করি। ক্লাস-ল্যাব চালু হলে শিগগির রুটিন দিয়ে দেওয়া হবে। আমরা বেশ আশাবাদী।’

পাঁচ মাস ধরে বন্ধ থাকা কুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার দাবিতে আজ রোববার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অভিভাবকেরা মানববন্ধন করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাঁচ মাস ধরে বন্ধ থাকা কুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার দাবিতে আজ রোববার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অভিভাবকেরা মানববন্ধন করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক আতাউর রহমান তাঁর ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে যেটা বুঝতে পারলাম, কুয়েটের অধিকাংশ শিক্ষক দ্রুত ক্লাসে ফিরে সব একাডেমিক কার্যক্রম চালু করতে চান।’

এর আগে ১৯ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির অচলাবস্থা নিরসন করে একাডেমিক কার্যক্রমসহ সব ধরনের কার্যক্রম সচলের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কুয়েটের গার্ডিয়ান ফোরাম ঢাকার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর জেরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি; যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে নতুন ভোটারদের নিয়ে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’

পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।

পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।

সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল শিশুসহ চারজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৬
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে দুজন নারী, একজন পুরুষ ও তিন বছর বয়সী এক শিশু রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। বাসচাপায় ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যান। আহত চারজনকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শিশুর মৃত্যু হয়।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যান। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত