Ajker Patrika

ভালোবাসা-শ্রদ্ধায় রুদ্রকে স্মরণ

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২১ জুন ২০২৩, ১৮: ৩৬
ভালোবাসা-শ্রদ্ধায় রুদ্রকে স্মরণ

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা। ফুলের তোড়া নিয়ে রুদ্র স্মৃতি সংসদ কার্যালয়ে উপস্থিত তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী প্রমা। ‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’ গানটি তার অনেক পছন্দের। সেই প্রিয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে তার মতো দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছিল কবির গ্রামের বাড়ি।

শ্রদ্ধা, গান, কবিতা আর আলোচনায় আজ কবির গ্রামের বাড়ি মোংলার মিঠাখালীতে তারুণ্যের কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। সকাল ৯টায় রুদ্র স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে সংসদ চত্বর থেকে শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর রুদ্রের বাড়িতে দোয়ার আয়োজন করা হয়।

সকাল ১০টায় রুদ্র স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে রুদ্রের বাড়িতে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও রুদ্রের ছোট ভাই সুমেল সারাফাত। মিঠাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মণ্ডল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

রুদ্র স্মৃতি সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হকের সঞ্চালনায় সভায় আলোচনা করেন মিঠাখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহামুদ হাসান ছোটমনি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মোংলা শাখার সভাপতি নূর আলম প্রমুখ।

আলোচনা শেষে রুদ্রের কবিতা আবৃত্তি করেন রেশমা আক্তার ঝুমুর। সংগীত পরিবেশন করেন যুথী খাতুন ও রুদ্রের গড়া সংগঠন অন্তর বাজাও ও জীবন।

সভায় বক্তারা বলেন, ‘রুদ্র ছিলেন তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক। সমাজের সব বৈষম্য, সাম্প্রদায়িকতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি কলম ধরেছেন। দেশ ও জাতির সংকটে রুদ্রের কবিতা হয়ে উঠেছে তারুণ্যের হাতিয়ার। বুদ্ধিবৃত্তিক আপসকামিতায় দেশ যখন আকণ্ঠ নিমজ্জিত, সত্য যখন নির্বাসনে—এই রকম অস্থির সময়ে রুদ্রকে আমাদের নিজেদের জন্য, দেশের জন্য খুব প্রয়োজন ছিল। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে তত দিন রুদ্র তাঁর কবিতা, গান নিয়ে বেঁচে থাকবেন।’

১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর জন্ম রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মারা যান তিনি। এত অল্প সময়ে রুদ্র রচনা করেন সাতটি কাব্যগ্রন্থ উপদ্রুত উপকূল, ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম, মানুষের মানচিত্র, ছোবল, গল্প, দিয়েছিলে সকল আকাশ ও মৌলিক মুখোশ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী পরিস্থিতিকে অবলম্বন করে তিনি বিষ বিরিক্ষের বীজ নামে একটি কাব্যনাট্যও রচনা করেন। এ ছাড়া তিনি বেশ কিছু গল্প লিখেছেন।

১৯৮৭ সালে ‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’ গানটি রচনা ও সুরারোপিত করেন। গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...