খুলনা প্রতিনিধি

বন্ধের ৫২ দিন পর আজ রোববার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে (কুয়েট) প্রবেশ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। হল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি ছিল, রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দিতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে দাবি না মানায় সারা রাত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বন্ধ থাকা কুয়েটে ক্যাম্পাসে প্রবেশের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের প্রবেশ ঠেকাতে ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ বেলা ২টা থেকেই শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে শিক্ষকেরা সেখানে যান। দুই পক্ষের আলোচনা শেষে আইডি কার্ড যাচাই করে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় বলে জানান কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহেদুজ্জামান শেখ।
ক্যাম্পাস সূত্র বলেছে, বেলা ৩টার দিকে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ঢোকেন। এ সময় ফটকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ উপস্থিত থাকলেও শিক্ষার্থীদের কেউ বাধা দেয়নি। পরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান। বিকাল পৌনে ৪টার দিকে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষার্থীদের কাছে আসে। শিক্ষকেরা তাঁদের বলেন, সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া একাডেমিক কার্যক্রম ও হল খোলা সম্ভব নয়। তবে শিক্ষার্থীরা হল খোলার দাবিতে অটল থাকেন।
বিকেলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, হল ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাঁদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী হলে থেকে বাইরে টিউশনি করেন। তাঁরা টিউশনি করতে পারছেন না। তাঁরা রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। কর্তৃপক্ষ যদি দাবি পূরণ না করে, তাহলে তাঁরা আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, শিক্ষার্থীদের দাবি শেষ পর্যন্ত মেনে নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ কারণে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে সারা রাত অবস্থানের ঘোষণা দেন। রাত ৯টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই অবস্থান করছিলেন।
জানতে চাইলে কুয়েটের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার জন্য লিখিত একটি আবেদন জানিয়েছেন। বিষয়টি শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপাচার্যকে জানিয়েছেন। তবে সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া হল খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়।

বন্ধের ৫২ দিন পর আজ রোববার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে (কুয়েট) প্রবেশ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। হল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি ছিল, রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দিতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে দাবি না মানায় সারা রাত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বন্ধ থাকা কুয়েটে ক্যাম্পাসে প্রবেশের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের প্রবেশ ঠেকাতে ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ বেলা ২টা থেকেই শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে শিক্ষকেরা সেখানে যান। দুই পক্ষের আলোচনা শেষে আইডি কার্ড যাচাই করে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় বলে জানান কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহেদুজ্জামান শেখ।
ক্যাম্পাস সূত্র বলেছে, বেলা ৩টার দিকে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ঢোকেন। এ সময় ফটকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ উপস্থিত থাকলেও শিক্ষার্থীদের কেউ বাধা দেয়নি। পরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান। বিকাল পৌনে ৪টার দিকে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষার্থীদের কাছে আসে। শিক্ষকেরা তাঁদের বলেন, সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া একাডেমিক কার্যক্রম ও হল খোলা সম্ভব নয়। তবে শিক্ষার্থীরা হল খোলার দাবিতে অটল থাকেন।
বিকেলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, হল ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাঁদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী হলে থেকে বাইরে টিউশনি করেন। তাঁরা টিউশনি করতে পারছেন না। তাঁরা রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। কর্তৃপক্ষ যদি দাবি পূরণ না করে, তাহলে তাঁরা আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, শিক্ষার্থীদের দাবি শেষ পর্যন্ত মেনে নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ কারণে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে সারা রাত অবস্থানের ঘোষণা দেন। রাত ৯টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই অবস্থান করছিলেন।
জানতে চাইলে কুয়েটের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার জন্য লিখিত একটি আবেদন জানিয়েছেন। বিষয়টি শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপাচার্যকে জানিয়েছেন। তবে সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া হল খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়।

র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তার বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
১ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রায় চার দশক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তারা হলেন হুমায়ুন কবির (৭০) ও হাসি বেগম (৬০)। একই সঙ্গে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দু’টি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করার দাবি করেছে র্যাব।
র্যাবের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একই বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে ফয়সালের বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দু’টি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করা হয়। তবে অস্ত্রটি সেখানে কীভাবে গেছে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানায়নি র্যাব।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তার বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন। পরে ভবনের সরু জায়গায় ব্যাগটি নিচে ফেলে দেন।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, ফয়সাল তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ওই ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তার মা হাসি বেগমকে দেন। পরে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। অবস্থান নিরাপদ মনে না হওয়ায় তিনি আগারগাঁও থেকে মিরপুর হয়ে শাহজাদপুরে তার চাচাতো ভাই আরিফের বাসায় যান।
এ সময় ফয়সালের ব্যাগ বহনের জন্য তার বাবা হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে দেন এবং কিছু অর্থও সরবরাহ করেন বলে র্যাবের দাবি। পরে ফয়সালের বাবা-মা তাদের ছোট ছেলে হাসান মাহমুদ বাবুলের কেরানীগঞ্জের বাসায় চলে যান।
এদিকে মঙ্গলবার পশ্চিম আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসার পাশের একটি ফাঁকা স্থান থেকে ১১ রাউন্ড গুলি ভর্তি দুটি ম্যাগাজিন ও একটি চাকু উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র্যাব-২।
র্যাব-২ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ফয়সাল ও তার এক সহযোগী মোটরসাইকেলে করে ওই বাসা থেকে বের হন। সিসিটিভি ফুটেজে বিকেল ৪টা ০৫ মিনিটে ফয়সাল, তার সহযোগী, মা ও ভাগনেকে দুই ভবনের মাঝের ফাঁকা স্থান থেকে কিছু বের করতে দেখা যায়। পরে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ফয়সাল ও তার সহযোগী একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে এলাকা ত্যাগ করেন।
গোপন তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার ভিত্তিতে ওই স্থান থেকে দুটি ম্যাগাজিন, ১১ রাউন্ড গুলি ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয় বলে র্যাব জানায়।
এ ছাড়া ফয়সালের বোনের বাসা থেকে ১৫টি চেক বই, ছয়টি পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৮টি চেকের পাতা, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ট্যাব জব্দ করা হয়েছে।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতিতে রোববার রাতে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। মামলায় এর আগে ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে একজন, সহযোগী কবীর এবং তাকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে সীমান্ত এলাকা থেকে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া শরিফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা এক আততায়ী চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তার অবস্থা ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’। পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তারা হলেন হুমায়ুন কবির (৭০) ও হাসি বেগম (৬০)। একই সঙ্গে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দু’টি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করার দাবি করেছে র্যাব।
র্যাবের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একই বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে ফয়সালের বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দু’টি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করা হয়। তবে অস্ত্রটি সেখানে কীভাবে গেছে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানায়নি র্যাব।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তার বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন। পরে ভবনের সরু জায়গায় ব্যাগটি নিচে ফেলে দেন।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, ফয়সাল তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ওই ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তার মা হাসি বেগমকে দেন। পরে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। অবস্থান নিরাপদ মনে না হওয়ায় তিনি আগারগাঁও থেকে মিরপুর হয়ে শাহজাদপুরে তার চাচাতো ভাই আরিফের বাসায় যান।
এ সময় ফয়সালের ব্যাগ বহনের জন্য তার বাবা হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে দেন এবং কিছু অর্থও সরবরাহ করেন বলে র্যাবের দাবি। পরে ফয়সালের বাবা-মা তাদের ছোট ছেলে হাসান মাহমুদ বাবুলের কেরানীগঞ্জের বাসায় চলে যান।
এদিকে মঙ্গলবার পশ্চিম আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসার পাশের একটি ফাঁকা স্থান থেকে ১১ রাউন্ড গুলি ভর্তি দুটি ম্যাগাজিন ও একটি চাকু উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র্যাব-২।
র্যাব-২ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ফয়সাল ও তার এক সহযোগী মোটরসাইকেলে করে ওই বাসা থেকে বের হন। সিসিটিভি ফুটেজে বিকেল ৪টা ০৫ মিনিটে ফয়সাল, তার সহযোগী, মা ও ভাগনেকে দুই ভবনের মাঝের ফাঁকা স্থান থেকে কিছু বের করতে দেখা যায়। পরে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ফয়সাল ও তার সহযোগী একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে এলাকা ত্যাগ করেন।
গোপন তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার ভিত্তিতে ওই স্থান থেকে দুটি ম্যাগাজিন, ১১ রাউন্ড গুলি ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয় বলে র্যাব জানায়।
এ ছাড়া ফয়সালের বোনের বাসা থেকে ১৫টি চেক বই, ছয়টি পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৮টি চেকের পাতা, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ট্যাব জব্দ করা হয়েছে।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতিতে রোববার রাতে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। মামলায় এর আগে ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে একজন, সহযোগী কবীর এবং তাকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে সীমান্ত এলাকা থেকে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া শরিফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা এক আততায়ী চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তার অবস্থা ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’। পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

বন্ধের ৫২ দিন পর আজ রোববার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে (কুয়েট) প্রবেশ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। হল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি ছিল, রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দিতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে দাবি না মানায় সারা রাত প্রশাসনিক ভবনের সা
১৩ এপ্রিল ২০২৫
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রায় চার দশক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
৬ ঘণ্টা আগেনিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

নওগাঁর নিয়ামতপুরে চায়না কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন উদ্যোক্তা এমরান হোসেন। একই সঙ্গে মাল্টা চাষেও ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি। এমরান উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের পাঁড়ইল গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে।
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন জানান, তাঁর কমলা বাগানের গাছগুলোর বয়স প্রায় ছয় বছর। ৩৩ শতাংশ জমিতে লাগানো প্রায় ৬০টি গাছে এবার প্রচুর ফল ধরেছে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব কমলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বাগান দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহী মানুষ আসছেন এবং কমলা বাগান তৈরির বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন। বর্তমানে মণপ্রতি কমলা ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন তিনি। আগামীতে আরও চার একর জমিতে কমলার বাগান সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথাও জানান এমরান।
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
বাগানে কর্মরত শ্রমিক সুজন রায় জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাল্টা বাগানে কাজ করছেন। স্থানীয় পাইকারদের পাশাপাশি ঢাকার পাইকাররাও সরাসরি বাগানে এসে মাল্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিপণন নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। এই বাগানে নিয়মিত কাজ করে নিজের ও পরিবারের খরচ চালাতে পারছেন তিনি।
কমলা বাগানের আরেক কর্মচারী রাজু বলেন, বাগান মালিকের একাধিক ফলের বাগান রয়েছে। তিনি কমলা বাগানে কাজ করেন। ডিসেম্বর মাসজুড়ে বাগানে কমলা থাকবে। ফলনের পরিমাণ দেখে ভালো লাভের আশা করা যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমরান হোসেন একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। পরিকল্পিতভাবে তাঁর বাগানগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। কৃষি খাতে অবদানের জন্য তিনি পুরস্কারও পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত তাঁর বাগান পরিদর্শন করা হচ্ছে।’
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন বলেন, ‘কৃষির প্রতি আগ্রহ থেকেই বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে বাগান থেকে ভালো আয় হওয়ায় লিজ নেওয়া জমিতে আরও বড় পরিসরে বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

নওগাঁর নিয়ামতপুরে চায়না কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন উদ্যোক্তা এমরান হোসেন। একই সঙ্গে মাল্টা চাষেও ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি। এমরান উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের পাঁড়ইল গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে।
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন জানান, তাঁর কমলা বাগানের গাছগুলোর বয়স প্রায় ছয় বছর। ৩৩ শতাংশ জমিতে লাগানো প্রায় ৬০টি গাছে এবার প্রচুর ফল ধরেছে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব কমলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বাগান দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহী মানুষ আসছেন এবং কমলা বাগান তৈরির বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন। বর্তমানে মণপ্রতি কমলা ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন তিনি। আগামীতে আরও চার একর জমিতে কমলার বাগান সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথাও জানান এমরান।
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
বাগানে কর্মরত শ্রমিক সুজন রায় জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাল্টা বাগানে কাজ করছেন। স্থানীয় পাইকারদের পাশাপাশি ঢাকার পাইকাররাও সরাসরি বাগানে এসে মাল্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিপণন নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। এই বাগানে নিয়মিত কাজ করে নিজের ও পরিবারের খরচ চালাতে পারছেন তিনি।
কমলা বাগানের আরেক কর্মচারী রাজু বলেন, বাগান মালিকের একাধিক ফলের বাগান রয়েছে। তিনি কমলা বাগানে কাজ করেন। ডিসেম্বর মাসজুড়ে বাগানে কমলা থাকবে। ফলনের পরিমাণ দেখে ভালো লাভের আশা করা যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমরান হোসেন একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। পরিকল্পিতভাবে তাঁর বাগানগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। কৃষি খাতে অবদানের জন্য তিনি পুরস্কারও পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত তাঁর বাগান পরিদর্শন করা হচ্ছে।’
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন বলেন, ‘কৃষির প্রতি আগ্রহ থেকেই বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে বাগান থেকে ভালো আয় হওয়ায় লিজ নেওয়া জমিতে আরও বড় পরিসরে বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

বন্ধের ৫২ দিন পর আজ রোববার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে (কুয়েট) প্রবেশ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। হল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি ছিল, রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দিতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে দাবি না মানায় সারা রাত প্রশাসনিক ভবনের সা
১৩ এপ্রিল ২০২৫
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তার বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রায় চার দশক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
৬ ঘণ্টা আগেরাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা। সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা টাকা তুলে এই মইয়ের ব্যবস্থা করে।
প্রকল্পের ঠিকাদারের দাবি, মাটি না পাওয়ায় তাঁরা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে পারেননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোসিঙ্গা ইউনিয়নের চাওবন ও রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ডোয়াইবাড়ি গ্রামের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের সুবিধার্থে সেরার খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে কাজ শুরু হয়ে আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়। প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৪ ফুট প্রস্থের সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মিথুন এন্টারপ্রাইজ। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
চাওবন গ্রামের বাসিন্দা নিজামুদ্দিন প্রতিবেদককে সেতু দেখিয়ে বলেন, ‘দেখুন তো, কত ফুট উঁচুতে সেতু। কত লম্বা মই। দেখলেই ভয় লাগে।’
স্কুলশিক্ষার্থী নাজমুল বলে, ‘এমন একটি সেতু নির্মাণ করা হলো, যে সেতুতে নিজে নিজে পার হতে পারি না। মা-বাবাকে সঙ্গে আনতে হয়। আমাদের এক সহপাঠী মই থেকে নিচে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শরীরে রড ঢুকে মারাত্মক আহত হয়েছে। যে লম্বা মই বেয়ে উঠতে হয়, দেখলে ভয়ে পা কাঁপতে থাকে।’ বানু বেগম বলেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ। সেতুটি হামাগুড়ি দিয়ে পার হতে হয়।’
প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিথুন এন্টারপ্রাইজের মালিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। মাটির সংকটে সংযোগ সড়ক করা সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক হোসাইন উজ্জ্বল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব আহমেদ বলেন, ‘ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়কের নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা। সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা টাকা তুলে এই মইয়ের ব্যবস্থা করে।
প্রকল্পের ঠিকাদারের দাবি, মাটি না পাওয়ায় তাঁরা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে পারেননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোসিঙ্গা ইউনিয়নের চাওবন ও রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ডোয়াইবাড়ি গ্রামের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের সুবিধার্থে সেরার খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে কাজ শুরু হয়ে আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়। প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৪ ফুট প্রস্থের সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মিথুন এন্টারপ্রাইজ। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
চাওবন গ্রামের বাসিন্দা নিজামুদ্দিন প্রতিবেদককে সেতু দেখিয়ে বলেন, ‘দেখুন তো, কত ফুট উঁচুতে সেতু। কত লম্বা মই। দেখলেই ভয় লাগে।’
স্কুলশিক্ষার্থী নাজমুল বলে, ‘এমন একটি সেতু নির্মাণ করা হলো, যে সেতুতে নিজে নিজে পার হতে পারি না। মা-বাবাকে সঙ্গে আনতে হয়। আমাদের এক সহপাঠী মই থেকে নিচে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শরীরে রড ঢুকে মারাত্মক আহত হয়েছে। যে লম্বা মই বেয়ে উঠতে হয়, দেখলে ভয়ে পা কাঁপতে থাকে।’ বানু বেগম বলেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ। সেতুটি হামাগুড়ি দিয়ে পার হতে হয়।’
প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিথুন এন্টারপ্রাইজের মালিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। মাটির সংকটে সংযোগ সড়ক করা সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক হোসাইন উজ্জ্বল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব আহমেদ বলেন, ‘ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়কের নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

বন্ধের ৫২ দিন পর আজ রোববার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে (কুয়েট) প্রবেশ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। হল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি ছিল, রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দিতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে দাবি না মানায় সারা রাত প্রশাসনিক ভবনের সা
১৩ এপ্রিল ২০২৫
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তার বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
১ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
১ ঘণ্টা আগে
প্রায় চার দশক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
৬ ঘণ্টা আগেশেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রায় চার দশক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে রয়েছে দুটি বড় ও গভীর পুকুর। এই দুই পুকুরের মাঝের একমাত্র সরু মাটির পাড় দিয়েই কমপক্ষে ১২৫ শিশুশিক্ষার্থীকে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। স্থানীয়রা জানান, পুকুরগুলোর গভীরতা প্রায় ৮-১০ ফুট। বর্ষাকাল বা সামান্য বৃষ্টিতেই মাটির পথ পিচ্ছিল ও কাদায় একাকার হয়ে যায়। পাড় ভাঙার কারণে রাস্তা এত সংকীর্ণ হয়ে গেছে যে, পাশাপাশি দুজনে হাঁটাও দায়। অভিভাবক ও স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, যেকোনো মুহূর্তে পাড় ধসে বা পা পিছলে শিক্ষার্থীরা পুকুরে পড়ে যেতে পারে।
প্রতষ্ঠানটির পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওসমান গণি বলে, ‘স্কুলে আসার সময় খুব ভয় লাগে। রাস্তাটা অনেক চিকন, একটু এদিক-ওদিক হলেই পুকুরে পড়ে যাই। বর্ষাকালে তো আসা সম্ভব হয় না।’
চতুর্থ শ্রেণির ফাতেমা খাতুন এবং তৃতীয় শ্রেণির রিফাত হোসেন বলে, ‘পুকুরের পাড় অনেক উঁচু ও খাড়া। চলাচল করতে করতে অভ্যাস হয়ে গেছে; কিন্তু ভয় করে।’
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারিহা খাতুন ও জান্নাত ইসলাম জানায়, পথটি পার হতে তাদের অনেক কষ্ট এবং ভয় হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রুবেল বলেন, বিদ্যালয়টিতে যাতায়াতের এই পথ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক সময় বাচ্চারা পুকুরে পড়ে যায়। বর্ষাকালে ভয়ে তারা স্কুলে যেতে চায় না। যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
জানতে চাইলে পুকুরের মালিক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই এখানে পুকুর ও জঙ্গল ছিল। উত্তরের পুকুর ১ একর ৩৯ শতক, অন্যটি ৮২ শতক। পুকুর দুটির গভীরতা ৮-১০ ফুট। যেহেতু স্কুলের নিজস্ব কোনো রাস্তা নেই, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসন বা স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি এখানে গাইড ওয়াল নির্মাণ বা রাস্তা প্রশস্ত করতে চায়, আমি পূর্ণ সহযোগিতা করব।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘রাস্তার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়মুখী হতে চায় না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।’
শেরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সরেজমিনে বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গাইড ওয়াল নির্মাণ বা ঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ আহমেদ বলেন, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য প্রতিনিধি পাঠানো হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

প্রায় চার দশক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে রয়েছে দুটি বড় ও গভীর পুকুর। এই দুই পুকুরের মাঝের একমাত্র সরু মাটির পাড় দিয়েই কমপক্ষে ১২৫ শিশুশিক্ষার্থীকে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। স্থানীয়রা জানান, পুকুরগুলোর গভীরতা প্রায় ৮-১০ ফুট। বর্ষাকাল বা সামান্য বৃষ্টিতেই মাটির পথ পিচ্ছিল ও কাদায় একাকার হয়ে যায়। পাড় ভাঙার কারণে রাস্তা এত সংকীর্ণ হয়ে গেছে যে, পাশাপাশি দুজনে হাঁটাও দায়। অভিভাবক ও স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, যেকোনো মুহূর্তে পাড় ধসে বা পা পিছলে শিক্ষার্থীরা পুকুরে পড়ে যেতে পারে।
প্রতষ্ঠানটির পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওসমান গণি বলে, ‘স্কুলে আসার সময় খুব ভয় লাগে। রাস্তাটা অনেক চিকন, একটু এদিক-ওদিক হলেই পুকুরে পড়ে যাই। বর্ষাকালে তো আসা সম্ভব হয় না।’
চতুর্থ শ্রেণির ফাতেমা খাতুন এবং তৃতীয় শ্রেণির রিফাত হোসেন বলে, ‘পুকুরের পাড় অনেক উঁচু ও খাড়া। চলাচল করতে করতে অভ্যাস হয়ে গেছে; কিন্তু ভয় করে।’
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারিহা খাতুন ও জান্নাত ইসলাম জানায়, পথটি পার হতে তাদের অনেক কষ্ট এবং ভয় হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রুবেল বলেন, বিদ্যালয়টিতে যাতায়াতের এই পথ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক সময় বাচ্চারা পুকুরে পড়ে যায়। বর্ষাকালে ভয়ে তারা স্কুলে যেতে চায় না। যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
জানতে চাইলে পুকুরের মালিক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই এখানে পুকুর ও জঙ্গল ছিল। উত্তরের পুকুর ১ একর ৩৯ শতক, অন্যটি ৮২ শতক। পুকুর দুটির গভীরতা ৮-১০ ফুট। যেহেতু স্কুলের নিজস্ব কোনো রাস্তা নেই, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসন বা স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি এখানে গাইড ওয়াল নির্মাণ বা রাস্তা প্রশস্ত করতে চায়, আমি পূর্ণ সহযোগিতা করব।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘রাস্তার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়মুখী হতে চায় না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।’
শেরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সরেজমিনে বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গাইড ওয়াল নির্মাণ বা ঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ আহমেদ বলেন, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য প্রতিনিধি পাঠানো হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বন্ধের ৫২ দিন পর আজ রোববার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে (কুয়েট) প্রবেশ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। হল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি ছিল, রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দিতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে দাবি না মানায় সারা রাত প্রশাসনিক ভবনের সা
১৩ এপ্রিল ২০২৫
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তার বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
১ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৬ ঘণ্টা আগে