যশোর প্রতিনিধি

যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) সংসদীয় আসনে বিএনপির অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী টিএস আইয়ুবকে ঠেকাতে এবার এককাট্টা হয়েছেন আসনটির দুই উপজেলার শীর্ষ নেতারা। আজ শনিবার দুপুরে বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলার শীর্ষ নেতারা এক অনুষ্ঠানে টিএস আইয়ুবকে হটাতে এককাট্টা হওয়ার ঘোষণা দেন। একই মঞ্চে দুই উপজেলার নেতারা হাত উঁচিয়ে আইয়ুবকে ‘চাঁদাবাজ ও ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে ঘায়েল করেও বক্তব্য দেন।
এদিকে এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে আসনটিতে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। আইয়ুব শিবিরের দাবি, জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি পক্ষ তাঁর বিরোধিতা করছে। আর আইয়ুববিরোধীদের ভাষ্য, ‘হটাও চাঁদাবাজ, বাঁচাও বিএনপি’ স্লোগানে দুই উপজেলার তৃণমূলে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির শুভ সূচনা হয়েছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্রে জানা যায়, যশোর-৪ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। দেশ স্বাধীনের পর ১২টি নির্বাচনের ৮টিতেই বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এই আসনে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী টিএস আইয়ুব। এরপর রয়েছেন অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান, বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র আবদুল হাই মনা, জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ।
বিরোধী নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আসনটিতে অন্যান্য উপজেলার চেয়ে বেশি চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। একক আধিপত্য বিস্তার করতে আসনটির দুই উপজেলাতেই কমিটি গঠনে একক নিয়ন্ত্রণ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা টিএস আইয়ুব। পলাতক আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান ও নেতা এবং ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনেরও অভিযোগ ওঠে আইয়ুবের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা আইয়ুবের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন, তাঁরাই এখন বিরোধিতা করে রাজপথে নেমেছেন। এককাট্টা হয়ে আইযুবের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দিচ্ছেন। এত দিন আইযুবের জন্মস্থান বাঘারপাড়ায় নেতা-কর্মীরা তাঁকে বিরোধিতা করলেও শনিবার আরেক উপজেলা অভয়নগরেও ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার দুপুরে আসনটিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী করেছেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান। অভয়নগরের একতারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠান থেকে ফারাজী মতিয়ার রহমানকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানান অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলার বিএনপির নেতারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরেক প্রার্থী আবদুল হাই মনাও। একই মঞ্চে নেতারা হাত উঁচিয়ে ঘোষণা দেন, আইযুবের দলীয় মনোনয়ন ঠেকাতে দরকার হলে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় গিয়ে অবস্থান নেবেন।
অনুষ্ঠানে টিএস আইয়ুবকে ফ্যাসিস্ট ও দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে মতিয়ার রহমান ফারাজী বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেখতে চাই না। যারা সিন্ডিকেট গড়ে, সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে রাজনীতি করে, তাদেরকে রুখে দিতে হবে। যারা বিগত সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল না, যারা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-নির্যাতন করেছে, সেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসন করছে টিএস আইযুব। আমাদের স্বাধীনতাকে হরণ করেছে সে। তার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তাই হটাও চাঁদাবাজ, বাঁচাও বিএনপি। চাঁদাবাজ, ফ্যাসিবাদের হাতে জনগণের দায়িত্ব তুলে দিতে চাই না। এটা কেন্দ্রীয় নেতাদের বোঝাতে হবে, অবহিত করতে হবে।’ দলের ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনা বলেন, ‘৩০ বছর আগে এই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দরকার ছিল। আওয়ামী লীগের গাঁটছড়া নিয়ে বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছে টিএস আইয়ুব। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে চলেছে সে। এখন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছে। এমন ব্যক্তিকে নেতা-কর্মীরা চায় না। তাকে প্রতিহত করতে সবাইকে এক হতে হবে।’
এর আগে দুই উপজেলার নেতা-কর্মীরা বাঘারপাড়া ও অভয়নগর বাজারে টিএস আইযুবকে হটাতে মহড়া দেন।
এদিকে এদিন সন্ধ্যায় অভয়নগরের নওয়াপাড়া বাজারে টিএস আইযুবের অনুসারীরা আনন্দমিছিল বের করেন। আনন্দমিছিল হলেও মূলত এটি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে পাল্টা কর্মসূচি ছিল বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা।
এ বিষয়ে টিএস আইযুবের বক্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) সংসদীয় আসনে বিএনপির অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী টিএস আইয়ুবকে ঠেকাতে এবার এককাট্টা হয়েছেন আসনটির দুই উপজেলার শীর্ষ নেতারা। আজ শনিবার দুপুরে বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলার শীর্ষ নেতারা এক অনুষ্ঠানে টিএস আইয়ুবকে হটাতে এককাট্টা হওয়ার ঘোষণা দেন। একই মঞ্চে দুই উপজেলার নেতারা হাত উঁচিয়ে আইয়ুবকে ‘চাঁদাবাজ ও ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে ঘায়েল করেও বক্তব্য দেন।
এদিকে এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে আসনটিতে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। আইয়ুব শিবিরের দাবি, জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি পক্ষ তাঁর বিরোধিতা করছে। আর আইয়ুববিরোধীদের ভাষ্য, ‘হটাও চাঁদাবাজ, বাঁচাও বিএনপি’ স্লোগানে দুই উপজেলার তৃণমূলে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির শুভ সূচনা হয়েছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্রে জানা যায়, যশোর-৪ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। দেশ স্বাধীনের পর ১২টি নির্বাচনের ৮টিতেই বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এই আসনে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী টিএস আইয়ুব। এরপর রয়েছেন অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান, বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র আবদুল হাই মনা, জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ।
বিরোধী নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আসনটিতে অন্যান্য উপজেলার চেয়ে বেশি চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। একক আধিপত্য বিস্তার করতে আসনটির দুই উপজেলাতেই কমিটি গঠনে একক নিয়ন্ত্রণ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা টিএস আইয়ুব। পলাতক আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান ও নেতা এবং ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনেরও অভিযোগ ওঠে আইয়ুবের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা আইয়ুবের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন, তাঁরাই এখন বিরোধিতা করে রাজপথে নেমেছেন। এককাট্টা হয়ে আইযুবের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দিচ্ছেন। এত দিন আইযুবের জন্মস্থান বাঘারপাড়ায় নেতা-কর্মীরা তাঁকে বিরোধিতা করলেও শনিবার আরেক উপজেলা অভয়নগরেও ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার দুপুরে আসনটিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী করেছেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান। অভয়নগরের একতারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠান থেকে ফারাজী মতিয়ার রহমানকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানান অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলার বিএনপির নেতারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরেক প্রার্থী আবদুল হাই মনাও। একই মঞ্চে নেতারা হাত উঁচিয়ে ঘোষণা দেন, আইযুবের দলীয় মনোনয়ন ঠেকাতে দরকার হলে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় গিয়ে অবস্থান নেবেন।
অনুষ্ঠানে টিএস আইয়ুবকে ফ্যাসিস্ট ও দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে মতিয়ার রহমান ফারাজী বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেখতে চাই না। যারা সিন্ডিকেট গড়ে, সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে রাজনীতি করে, তাদেরকে রুখে দিতে হবে। যারা বিগত সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল না, যারা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-নির্যাতন করেছে, সেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসন করছে টিএস আইযুব। আমাদের স্বাধীনতাকে হরণ করেছে সে। তার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তাই হটাও চাঁদাবাজ, বাঁচাও বিএনপি। চাঁদাবাজ, ফ্যাসিবাদের হাতে জনগণের দায়িত্ব তুলে দিতে চাই না। এটা কেন্দ্রীয় নেতাদের বোঝাতে হবে, অবহিত করতে হবে।’ দলের ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনা বলেন, ‘৩০ বছর আগে এই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দরকার ছিল। আওয়ামী লীগের গাঁটছড়া নিয়ে বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছে টিএস আইয়ুব। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে চলেছে সে। এখন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছে। এমন ব্যক্তিকে নেতা-কর্মীরা চায় না। তাকে প্রতিহত করতে সবাইকে এক হতে হবে।’
এর আগে দুই উপজেলার নেতা-কর্মীরা বাঘারপাড়া ও অভয়নগর বাজারে টিএস আইযুবকে হটাতে মহড়া দেন।
এদিকে এদিন সন্ধ্যায় অভয়নগরের নওয়াপাড়া বাজারে টিএস আইযুবের অনুসারীরা আনন্দমিছিল বের করেন। আনন্দমিছিল হলেও মূলত এটি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে পাল্টা কর্মসূচি ছিল বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা।
এ বিষয়ে টিএস আইযুবের বক্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
যশোর প্রতিনিধি

যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) সংসদীয় আসনে বিএনপির অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী টিএস আইয়ুবকে ঠেকাতে এবার এককাট্টা হয়েছেন আসনটির দুই উপজেলার শীর্ষ নেতারা। আজ শনিবার দুপুরে বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলার শীর্ষ নেতারা এক অনুষ্ঠানে টিএস আইয়ুবকে হটাতে এককাট্টা হওয়ার ঘোষণা দেন। একই মঞ্চে দুই উপজেলার নেতারা হাত উঁচিয়ে আইয়ুবকে ‘চাঁদাবাজ ও ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে ঘায়েল করেও বক্তব্য দেন।
এদিকে এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে আসনটিতে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। আইয়ুব শিবিরের দাবি, জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি পক্ষ তাঁর বিরোধিতা করছে। আর আইয়ুববিরোধীদের ভাষ্য, ‘হটাও চাঁদাবাজ, বাঁচাও বিএনপি’ স্লোগানে দুই উপজেলার তৃণমূলে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির শুভ সূচনা হয়েছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্রে জানা যায়, যশোর-৪ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। দেশ স্বাধীনের পর ১২টি নির্বাচনের ৮টিতেই বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এই আসনে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী টিএস আইয়ুব। এরপর রয়েছেন অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান, বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র আবদুল হাই মনা, জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ।
বিরোধী নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আসনটিতে অন্যান্য উপজেলার চেয়ে বেশি চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। একক আধিপত্য বিস্তার করতে আসনটির দুই উপজেলাতেই কমিটি গঠনে একক নিয়ন্ত্রণ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা টিএস আইয়ুব। পলাতক আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান ও নেতা এবং ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনেরও অভিযোগ ওঠে আইয়ুবের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা আইয়ুবের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন, তাঁরাই এখন বিরোধিতা করে রাজপথে নেমেছেন। এককাট্টা হয়ে আইযুবের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দিচ্ছেন। এত দিন আইযুবের জন্মস্থান বাঘারপাড়ায় নেতা-কর্মীরা তাঁকে বিরোধিতা করলেও শনিবার আরেক উপজেলা অভয়নগরেও ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার দুপুরে আসনটিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী করেছেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান। অভয়নগরের একতারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠান থেকে ফারাজী মতিয়ার রহমানকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানান অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলার বিএনপির নেতারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরেক প্রার্থী আবদুল হাই মনাও। একই মঞ্চে নেতারা হাত উঁচিয়ে ঘোষণা দেন, আইযুবের দলীয় মনোনয়ন ঠেকাতে দরকার হলে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় গিয়ে অবস্থান নেবেন।
অনুষ্ঠানে টিএস আইয়ুবকে ফ্যাসিস্ট ও দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে মতিয়ার রহমান ফারাজী বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেখতে চাই না। যারা সিন্ডিকেট গড়ে, সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে রাজনীতি করে, তাদেরকে রুখে দিতে হবে। যারা বিগত সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল না, যারা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-নির্যাতন করেছে, সেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসন করছে টিএস আইযুব। আমাদের স্বাধীনতাকে হরণ করেছে সে। তার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তাই হটাও চাঁদাবাজ, বাঁচাও বিএনপি। চাঁদাবাজ, ফ্যাসিবাদের হাতে জনগণের দায়িত্ব তুলে দিতে চাই না। এটা কেন্দ্রীয় নেতাদের বোঝাতে হবে, অবহিত করতে হবে।’ দলের ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনা বলেন, ‘৩০ বছর আগে এই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দরকার ছিল। আওয়ামী লীগের গাঁটছড়া নিয়ে বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছে টিএস আইয়ুব। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে চলেছে সে। এখন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছে। এমন ব্যক্তিকে নেতা-কর্মীরা চায় না। তাকে প্রতিহত করতে সবাইকে এক হতে হবে।’
এর আগে দুই উপজেলার নেতা-কর্মীরা বাঘারপাড়া ও অভয়নগর বাজারে টিএস আইযুবকে হটাতে মহড়া দেন।
এদিকে এদিন সন্ধ্যায় অভয়নগরের নওয়াপাড়া বাজারে টিএস আইযুবের অনুসারীরা আনন্দমিছিল বের করেন। আনন্দমিছিল হলেও মূলত এটি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে পাল্টা কর্মসূচি ছিল বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা।
এ বিষয়ে টিএস আইযুবের বক্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) সংসদীয় আসনে বিএনপির অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী টিএস আইয়ুবকে ঠেকাতে এবার এককাট্টা হয়েছেন আসনটির দুই উপজেলার শীর্ষ নেতারা। আজ শনিবার দুপুরে বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলার শীর্ষ নেতারা এক অনুষ্ঠানে টিএস আইয়ুবকে হটাতে এককাট্টা হওয়ার ঘোষণা দেন। একই মঞ্চে দুই উপজেলার নেতারা হাত উঁচিয়ে আইয়ুবকে ‘চাঁদাবাজ ও ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে ঘায়েল করেও বক্তব্য দেন।
এদিকে এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে আসনটিতে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। আইয়ুব শিবিরের দাবি, জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি পক্ষ তাঁর বিরোধিতা করছে। আর আইয়ুববিরোধীদের ভাষ্য, ‘হটাও চাঁদাবাজ, বাঁচাও বিএনপি’ স্লোগানে দুই উপজেলার তৃণমূলে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির শুভ সূচনা হয়েছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্রে জানা যায়, যশোর-৪ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। দেশ স্বাধীনের পর ১২টি নির্বাচনের ৮টিতেই বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এই আসনে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী টিএস আইয়ুব। এরপর রয়েছেন অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান, বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র আবদুল হাই মনা, জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ।
বিরোধী নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আসনটিতে অন্যান্য উপজেলার চেয়ে বেশি চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। একক আধিপত্য বিস্তার করতে আসনটির দুই উপজেলাতেই কমিটি গঠনে একক নিয়ন্ত্রণ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা টিএস আইয়ুব। পলাতক আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান ও নেতা এবং ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনেরও অভিযোগ ওঠে আইয়ুবের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা আইয়ুবের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন, তাঁরাই এখন বিরোধিতা করে রাজপথে নেমেছেন। এককাট্টা হয়ে আইযুবের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দিচ্ছেন। এত দিন আইযুবের জন্মস্থান বাঘারপাড়ায় নেতা-কর্মীরা তাঁকে বিরোধিতা করলেও শনিবার আরেক উপজেলা অভয়নগরেও ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার দুপুরে আসনটিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী করেছেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান। অভয়নগরের একতারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠান থেকে ফারাজী মতিয়ার রহমানকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানান অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলার বিএনপির নেতারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরেক প্রার্থী আবদুল হাই মনাও। একই মঞ্চে নেতারা হাত উঁচিয়ে ঘোষণা দেন, আইযুবের দলীয় মনোনয়ন ঠেকাতে দরকার হলে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় গিয়ে অবস্থান নেবেন।
অনুষ্ঠানে টিএস আইয়ুবকে ফ্যাসিস্ট ও দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে মতিয়ার রহমান ফারাজী বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেখতে চাই না। যারা সিন্ডিকেট গড়ে, সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে রাজনীতি করে, তাদেরকে রুখে দিতে হবে। যারা বিগত সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল না, যারা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-নির্যাতন করেছে, সেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসন করছে টিএস আইযুব। আমাদের স্বাধীনতাকে হরণ করেছে সে। তার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তাই হটাও চাঁদাবাজ, বাঁচাও বিএনপি। চাঁদাবাজ, ফ্যাসিবাদের হাতে জনগণের দায়িত্ব তুলে দিতে চাই না। এটা কেন্দ্রীয় নেতাদের বোঝাতে হবে, অবহিত করতে হবে।’ দলের ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনা বলেন, ‘৩০ বছর আগে এই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দরকার ছিল। আওয়ামী লীগের গাঁটছড়া নিয়ে বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছে টিএস আইয়ুব। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে চলেছে সে। এখন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছে। এমন ব্যক্তিকে নেতা-কর্মীরা চায় না। তাকে প্রতিহত করতে সবাইকে এক হতে হবে।’
এর আগে দুই উপজেলার নেতা-কর্মীরা বাঘারপাড়া ও অভয়নগর বাজারে টিএস আইযুবকে হটাতে মহড়া দেন।
এদিকে এদিন সন্ধ্যায় অভয়নগরের নওয়াপাড়া বাজারে টিএস আইযুবের অনুসারীরা আনন্দমিছিল বের করেন। আনন্দমিছিল হলেও মূলত এটি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে পাল্টা কর্মসূচি ছিল বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা।
এ বিষয়ে টিএস আইযুবের বক্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
৫ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
৫ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৭ ঘণ্টা আগেফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি সেতুর নিচে ভৈরব নদের মাঝ বরাবর বড় পানির পাইপ রয়েছে। পাইপটি রক্ষায় নদীর ভেতর আড়াআড়িভাবে লোহার খাম্বা বসিয়ে বেড়া দেওয়ায় নদীটিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে নদীগর্ভে দ্রুত পলি জমছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌচলাচল।
স্থানীয়রা বলেন, ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নৌপথ সচল রাখতে ২০২০ সালে ভৈরব নদের সাড়ে ১৭ কিমি পুনঃখনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে খননের সুফল কাজে আসেনি। মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে খুলনা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় ফকিরহাট এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।
ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুকুন্দ পাল বলেন, নৌচলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। নৌপথ চালু থাকলে খুলনা, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট ও বরিশালের সঙ্গে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, ওয়াসার পাইপটি ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান সিদ্দিক বলেন, ওই স্থানে পাইপলাইনের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যন্ত্রপাতি এলে পাইপলাইনটি নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি সেতুর নিচে ভৈরব নদের মাঝ বরাবর বড় পানির পাইপ রয়েছে। পাইপটি রক্ষায় নদীর ভেতর আড়াআড়িভাবে লোহার খাম্বা বসিয়ে বেড়া দেওয়ায় নদীটিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে নদীগর্ভে দ্রুত পলি জমছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌচলাচল।
স্থানীয়রা বলেন, ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নৌপথ সচল রাখতে ২০২০ সালে ভৈরব নদের সাড়ে ১৭ কিমি পুনঃখনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে খননের সুফল কাজে আসেনি। মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে খুলনা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় ফকিরহাট এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।
ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুকুন্দ পাল বলেন, নৌচলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। নৌপথ চালু থাকলে খুলনা, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট ও বরিশালের সঙ্গে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, ওয়াসার পাইপটি ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান সিদ্দিক বলেন, ওই স্থানে পাইপলাইনের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যন্ত্রপাতি এলে পাইপলাইনটি নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) সংসদীয় আসনে বিএনপির অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী টিএস আইয়ুবকে ঠেকাতে এবার এককাট্টা হয়েছেন আসনটির দুই উপজেলার শীর্ষ নেতারা। আজ শনিবার দুপুরে বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলার শীর্ষ নেতারা এক অনুষ্ঠানে টিএস আইয়ুবকে হটাতে এককাট্টা হওয়ার...
১৪ জুন ২০২৫
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
৫ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৭ ঘণ্টা আগেমো. হোসাইন আলী কাজী

আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা ওই পথ ব্যবহার করছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য দুটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পরিত্যক্ত ওই ভবন দুটির মাঝখান দিয়েই আদালতের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মিত। প্রতিদিন বিচারকাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়ে আদালতে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দুটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবন দুটির বিভিন্ন অংশ থেকে ইট, পাথর ও বিম খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে জন্মেছে পরগাছা। ভেতরের অবস্থা এমন যে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকতে ভয় পান মানুষ। ভবন দুটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আদালতের সামনে এভাবে দুটি পরিত্যক্ত ভবন থাকা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আমাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবুবকর বলেন, আদালতের প্রবেশপথের দুই পাশে পরিত্যক্ত দুটি ভবন পড়ে আছে। ভবন ধসে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জেলা বার সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা জরুরি।
জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটি বহু আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এখনো সেগুলো অপসারণ করা হয়নি, তা আমারও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।

আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা ওই পথ ব্যবহার করছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য দুটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পরিত্যক্ত ওই ভবন দুটির মাঝখান দিয়েই আদালতের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মিত। প্রতিদিন বিচারকাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়ে আদালতে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দুটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবন দুটির বিভিন্ন অংশ থেকে ইট, পাথর ও বিম খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে জন্মেছে পরগাছা। ভেতরের অবস্থা এমন যে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকতে ভয় পান মানুষ। ভবন দুটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আদালতের সামনে এভাবে দুটি পরিত্যক্ত ভবন থাকা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আমাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবুবকর বলেন, আদালতের প্রবেশপথের দুই পাশে পরিত্যক্ত দুটি ভবন পড়ে আছে। ভবন ধসে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জেলা বার সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা জরুরি।
জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটি বহু আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এখনো সেগুলো অপসারণ করা হয়নি, তা আমারও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।

যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) সংসদীয় আসনে বিএনপির অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী টিএস আইয়ুবকে ঠেকাতে এবার এককাট্টা হয়েছেন আসনটির দুই উপজেলার শীর্ষ নেতারা। আজ শনিবার দুপুরে বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলার শীর্ষ নেতারা এক অনুষ্ঠানে টিএস আইয়ুবকে হটাতে এককাট্টা হওয়ার...
১৪ জুন ২০২৫
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
৫ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুকের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরের চাঁনপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মসলেম সরদার। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিএনজি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। স্থানীয়রা জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতন করা হলেও পরে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। এক পুরিয়া গাঁজার জন্য ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। পরে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখে যায় বাগমারা থানা-পুলিশ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরদিন সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বুধবার উপজেলা সদরে গেলে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকে রাখেন সিএনজি সমিতির সদস্যরা। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য মব সৃষ্টি করে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। চুরির কথা স্বীকার করাতে চার হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নগ্ন করে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। পানি খেতে চাইলে পাশের নদীতে চুবানো হয়। পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়া। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে এক পুরিয়া গাঁজা এনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশ সদস্যরা আর তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মুমূর্ষু ভ্যানচালক ফারুককে সাত দিন কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ওই রাতেই পুলিশ ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় কারাগারে দিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরদিন সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ফারুক মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারুকের বাবা মসলেম সরদারও ভ্যানচালক। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। চুরি না করলেও স্বীকার করাতে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফারুকের মা পারুল বেগম বলেন, ‘গরিব বলে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে প্রশাসন তাকে কারাগারে পাঠায়। সিএনজির লোকজন দেখায়, তার কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে। কিন্তু সে মাদক সেবন করত না। প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মৃতপ্রায় ছেলেকে জেলে দিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে। তখনো সঠিক চিকিৎসা হলে বেঁচে যেত। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবানীগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সামনাসামনি না গেলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি না। আদেশ হলে আমাদের কাজ কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করেছি।’ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুমূর্ষু ব্যক্তির চিকিৎসা না করিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা বলেন, তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন। সভা শেষে ফোন করবেন। পরে আর ফোন করেননি। আবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিভাগীয় কমিশনার ড. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুকের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরের চাঁনপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মসলেম সরদার। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিএনজি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। স্থানীয়রা জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতন করা হলেও পরে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। এক পুরিয়া গাঁজার জন্য ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। পরে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখে যায় বাগমারা থানা-পুলিশ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরদিন সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বুধবার উপজেলা সদরে গেলে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকে রাখেন সিএনজি সমিতির সদস্যরা। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য মব সৃষ্টি করে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। চুরির কথা স্বীকার করাতে চার হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নগ্ন করে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। পানি খেতে চাইলে পাশের নদীতে চুবানো হয়। পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়া। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে এক পুরিয়া গাঁজা এনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশ সদস্যরা আর তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মুমূর্ষু ভ্যানচালক ফারুককে সাত দিন কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ওই রাতেই পুলিশ ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় কারাগারে দিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরদিন সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ফারুক মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারুকের বাবা মসলেম সরদারও ভ্যানচালক। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। চুরি না করলেও স্বীকার করাতে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফারুকের মা পারুল বেগম বলেন, ‘গরিব বলে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে প্রশাসন তাকে কারাগারে পাঠায়। সিএনজির লোকজন দেখায়, তার কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে। কিন্তু সে মাদক সেবন করত না। প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মৃতপ্রায় ছেলেকে জেলে দিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে। তখনো সঠিক চিকিৎসা হলে বেঁচে যেত। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবানীগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সামনাসামনি না গেলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি না। আদেশ হলে আমাদের কাজ কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করেছি।’ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুমূর্ষু ব্যক্তির চিকিৎসা না করিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা বলেন, তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন। সভা শেষে ফোন করবেন। পরে আর ফোন করেননি। আবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিভাগীয় কমিশনার ড. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) সংসদীয় আসনে বিএনপির অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী টিএস আইয়ুবকে ঠেকাতে এবার এককাট্টা হয়েছেন আসনটির দুই উপজেলার শীর্ষ নেতারা। আজ শনিবার দুপুরে বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলার শীর্ষ নেতারা এক অনুষ্ঠানে টিএস আইয়ুবকে হটাতে এককাট্টা হওয়ার...
১৪ জুন ২০২৫
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
৫ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৭ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) সংসদীয় আসনে বিএনপির অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী টিএস আইয়ুবকে ঠেকাতে এবার এককাট্টা হয়েছেন আসনটির দুই উপজেলার শীর্ষ নেতারা। আজ শনিবার দুপুরে বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলার শীর্ষ নেতারা এক অনুষ্ঠানে টিএস আইয়ুবকে হটাতে এককাট্টা হওয়ার...
১৪ জুন ২০২৫
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
৫ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
৫ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৬ ঘণ্টা আগে