ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ শহরে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের ঘোষপাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বরুণ ঘোষ (৪০) ওই এলাকার নরেন ঘোষের ছেলে। তিনি পেশায় রড-সিমেন্টের ব্যবসায়ী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে শহরের ঘোষপাড়া মোড়ে অবস্থান করেন বরুণ ঘোষ। এ সময় আগ থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে কে বা কারা তাঁকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব বিরোধের জের অথবা নির্বাচনে নৌকার সমর্থনের কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে। তবে হত্যার সঠিক কারণ উদ্ঘাটনের দাবি জানান স্থানীয়রা।
হাসপাতালে বরুণের ভাবি নীলিমা ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনের পর থেকেই বরুণ বলত বাড়ি বাইরে যাব না। যদি আমার কিছু ক্ষতি হয়ে যায়। আমরাও বলতাম তুই বাসায় থাক। কেবল ভোট শেষ হলো। কিছুদিন পরে বাইরে যাবি। কিন্তু ও কথা না শুনেই বাড়ি থেকে বের হলো, আর হত্যার শিকার হলো। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুলতানা মেফতাহুল জান্নাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে।’
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কনক কান্তি দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বরুণ খুব ভালো ছেলে ছিল, আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী ছিল। সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে সে নৌকার পক্ষে কাজ করেছিল, বিভিন্ন সভায় গিয়েছিল। এ কারণেও হতে পারে, আবার অন্য কোন কারণও থাকতে পারে। পুলিশ প্রশাসন আছে তারা সঠিক কারণ বের করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনবে এটাই দাবি তাদের প্রতি।’
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ-২ আসনের পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বরুণ নৌকার কর্মী ছিল। সে ভোটের আগে আমার কাছে এসেছিল, বলেছিল একটি বিশেষ মহল আমাকে নৌকার ভোট না করার জন্য হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তখন আমি তাকে আশ্বস্ত করেছিলাম যে, তুমি নৌকার সমর্থন কর, শেখ হাসিনার দল কর, তোমার কোনো ভয় নেই। তারপর ভোট শেষ হলো এবং এই হত্যার ঘটনা ঘটল।’
অন্যদিকে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল বলেন, ‘বরুণ ঘোষ নির্বাচনে ঈগল প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছে, বিভিন্ন ক্যাম্পেইনও করেছে। আমি বলতে পারি, সে আমার একজন কর্মী ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে যেটা বলা হচ্ছে, সেটি সঠিক কথা না। তবে আমিও চাই এর ঘটনার প্রকৃত সত্য বের করে আনা হোক এবং জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।’
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনই ঘটনার সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। তবে, আমরা কাজ করছি। অতিদ্রুতই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পারব।’ এটি নির্বাচন কেন্দ্রিক ঘটনা কি না তা তিনি জানাননি।

ঝিনাইদহ শহরে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের ঘোষপাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বরুণ ঘোষ (৪০) ওই এলাকার নরেন ঘোষের ছেলে। তিনি পেশায় রড-সিমেন্টের ব্যবসায়ী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে শহরের ঘোষপাড়া মোড়ে অবস্থান করেন বরুণ ঘোষ। এ সময় আগ থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে কে বা কারা তাঁকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব বিরোধের জের অথবা নির্বাচনে নৌকার সমর্থনের কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে। তবে হত্যার সঠিক কারণ উদ্ঘাটনের দাবি জানান স্থানীয়রা।
হাসপাতালে বরুণের ভাবি নীলিমা ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনের পর থেকেই বরুণ বলত বাড়ি বাইরে যাব না। যদি আমার কিছু ক্ষতি হয়ে যায়। আমরাও বলতাম তুই বাসায় থাক। কেবল ভোট শেষ হলো। কিছুদিন পরে বাইরে যাবি। কিন্তু ও কথা না শুনেই বাড়ি থেকে বের হলো, আর হত্যার শিকার হলো। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুলতানা মেফতাহুল জান্নাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে।’
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কনক কান্তি দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বরুণ খুব ভালো ছেলে ছিল, আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী ছিল। সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে সে নৌকার পক্ষে কাজ করেছিল, বিভিন্ন সভায় গিয়েছিল। এ কারণেও হতে পারে, আবার অন্য কোন কারণও থাকতে পারে। পুলিশ প্রশাসন আছে তারা সঠিক কারণ বের করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনবে এটাই দাবি তাদের প্রতি।’
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ-২ আসনের পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বরুণ নৌকার কর্মী ছিল। সে ভোটের আগে আমার কাছে এসেছিল, বলেছিল একটি বিশেষ মহল আমাকে নৌকার ভোট না করার জন্য হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তখন আমি তাকে আশ্বস্ত করেছিলাম যে, তুমি নৌকার সমর্থন কর, শেখ হাসিনার দল কর, তোমার কোনো ভয় নেই। তারপর ভোট শেষ হলো এবং এই হত্যার ঘটনা ঘটল।’
অন্যদিকে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল বলেন, ‘বরুণ ঘোষ নির্বাচনে ঈগল প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছে, বিভিন্ন ক্যাম্পেইনও করেছে। আমি বলতে পারি, সে আমার একজন কর্মী ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে যেটা বলা হচ্ছে, সেটি সঠিক কথা না। তবে আমিও চাই এর ঘটনার প্রকৃত সত্য বের করে আনা হোক এবং জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।’
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনই ঘটনার সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। তবে, আমরা কাজ করছি। অতিদ্রুতই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পারব।’ এটি নির্বাচন কেন্দ্রিক ঘটনা কি না তা তিনি জানাননি।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক নির্মাণের পর সেই জমি আবার ভরাট করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি তারা।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
৩ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
৬ ঘণ্টা আগে