Ajker Patrika

গাজীপুরে সংঘর্ষে নিহত ৬

আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২৪, ২২: ০৮
গাজীপুরে সংঘর্ষে নিহত ৬

গাজীপুরের শ্রীপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের বহনকারী দুটি বাসে থাকা ৮০ জন বিজিবি সদস্যকে ঘিরে রাখে আন্দোলনকারীরা। এ সময়  সংঘর্ষ বেঁধে গেলে কমপক্ষে ৬ জন আন্দোলনকারী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছে শতাধিক।

পরে বিজিবি সদস্যদের উদ্ধারের জন্য শ্রীপুরের আকাশে উড়ে বেড়ায় কয়েকটি হেলিকপ্টার। হাজার হাজার আন্দোলনকারীদের সরিয়ে নিতে বিজিবি মুহুমুহু গুলি করে। বিজিবির বহনকারী তিনটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। আশপাশের এলাকার পরিবেশ থমথমে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত পৌঁনে ৮টার দিকে গুলিবিদ্ধ আহতরা হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল।

আজ ৫ আগস্ট সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকার বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্পের সামনে ওই ঘটনা ঘটেছে।

নিহতরা হলেন– কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার আসাদের ছেলে সিফাতউল্লাহ (২২), শ্রীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দারোগারচালা গ্রামের শুক্কুর আলমের ছেলে শরীর আহমেদ (২০), ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার তাজুল ইসলামের ছেলে কাওসার (২৮), ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার আব্দুল হাইয়ের ছেলে জুয়েল মৃধাসহ (৩০) অজ্ঞাত নামা দুইজনসহ মোট ছয়জন নিহত হয়েছে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন– আজাহার (৩০), ফারুক (২৬), মারুফ (১৯), ইদ্রিস (৩০), রিয়াজ (২৪), স্বপন (৩৫), বাবুল (২১), জাকির (৫২), শামীম (৩০), রায়হান (২৮) অজ্ঞাত নামা আর কমপক্ষে অর্ধশতাধিক গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

মাওনা চৌরাস্তা আলহেরা মেডিকেল সেন্টারের ব্যবস্থাপক মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, এ পর্যন্ত হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত অবস্থায় পাঁচজনের মরদেহ এসেছে। তাদের মধ্যে তিনজনের নাম পরিচয় জানাগেছে। এ ছাড়াও অপর দুজনের পরিচয় সনাক্ত হয়নি। এছাড়াও একজনের মরদেহ উপজেলা মাওনা এলাকায় তার আত্মীয় আরিফ সরকারের বাড়িতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও গুলিবিদ্ধ ২২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আলহেরা হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল হোসেন বলেন, ‘দুপুরের পর থেকে গুলিবিদ্ধ ২২ জনসহ ৫০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’ 

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জারিন ফারা বলেন, বিকালের দিকে চারজন ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কিশোরগঞ্জে বিএনপির ৭ বিদ্রোহী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল, চিন্তিত তৃণমূল নেতা-কর্মীরা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিএনপির এক বিদ্রোহী প্রার্থী। ছবি: আজকের পত্রিকা
কিশোরগঞ্জে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিএনপির এক বিদ্রোহী প্রার্থী। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে বিএনপির সাতজন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে এতে চিন্তিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা মনে করছেন, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের বিপরীতে নিজ দলের অন্য নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালে তা শেষ পর্যন্ত পুরো দলের জন্যই বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ, দলের ভেতর এমন বিভক্তির সুযোগ নিতে পারে অন্যরা। এসব আসনে প্রার্থিতা নিয়ে বিরোধের অবসান ঘটলে বিএনপির জয় নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম। তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসলাম মোল্লার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই আসনে মনোনয়ন না পেয়ে একই দিন বিএনপির চার বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হিলালী, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ রেজাউল করিম খান, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রুহুল হোসাইন ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ।

বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসনটিতে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন-বিক্ষোভ হয়েছে। নেতারা একে অন্যের বিষোদ্‌গার করেছেন। হয়েছে বাক্‌যুদ্ধ। প্রকাশ্য সমাবেশে বিদ্রোহী প্রার্থীরা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে সমালোচনা করছেন। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা জানান, নেতাদের এমন অবস্থান নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। ভেদাভেদ ভুলে সবাই একসঙ্গে দলীয় রাজনীতি করবেন, এটাই চান তাঁরা।

বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘সদর ও হোসেনপুর উপজেলার জনগণের ভালোবাসায় ও প্রেশারে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। নির্বাচনে যাব কি যাব না, তা আগামী ২০ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন আলোচনা করে আপনাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।’

কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে আইনজীবী মো. জালাল উদ্দীনকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। জালাল উদ্দীন পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক। এই আসনে অবশ্য দলীয় কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। তাই অনেকটা নিশ্চিন্তে রয়েছেন তিনি।

কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ওসমান ফারুক সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ওসমান ফারুক বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান। এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা। এর আগে ওসমান ফারুকের মনোনয়নের বিরোধিতা করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। ১২ ডিসেম্বর জেলা শহরের স্টেশন রোডে একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম ওসমান ফারুকের বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি প্রার্থী হতে সক্ষম কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ ছাড়া মনোনয়ন চেয়ে বিশাল শোডাউনও করেন জাহাঙ্গীর আলম।

জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা বলেন, ‘বিগত দিনে দলের ক্রান্তিকালীন ও দুর্যোগপূর্ণ সময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে আমি ছিলাম। দল আমাকে কীভাবে মূল্যায়ন করল সেটা বড় বিষয় নয়, আগামীতেও নেতা-কর্মীদের পাশে থাকব। এই কথা সত্য, দল আমাকে পরিচিতি দিয়েছে, সেই দলেই আমার শেষ ঠিকানা। এটার মধ্যেই আমি বিশ্বাস রাখতে চাই।’

অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে আলোচিত বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। গত রোববার তিনি ইটনায় নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপি নেতা সাবেক জেলা প্রশাসক আবদুর রহিম মোল্লাও একই দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তবে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম জানিয়েছেন, আবদুর রহিম মোল্লার বিএনপিতে প্রাথমিক সদস্যপদও নেই। তিনি বিএনপির কেউ নন।

কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয় দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদান করা সৈয়দ এহসানুল হুদাকে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনিও সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এই আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে এদিন দুপুরে বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যদিও এই আসনে বিএনপি থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল শেখ মজিবুর রহমানকে। কিন্তু ২২ ডিসেম্বর নিজের দল বিলুপ্ত করে সৈয়দ এহসানুল হুদা বিএনপিতে যোগদান করায় তাঁকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হন মজিবুরের অনুসারীরা। ২৪ ডিসেম্বর বাজিতপুরের সরারচর রেলস্টেশনে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন মজিবুরের কর্মী-সমর্থকেরা। পরে ২৬ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কারণে এক দিন বিরতি দিয়ে ফের বিক্ষোভ করেন তাঁরা। ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল ও মশাল মিছিল করেন তাঁরা।

কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি মনোনয়নপত্র দাখিল করিনি। আমার পক্ষে বাজিতপুর নিকলীর বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁদের আবেগ-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি প্রার্থী হয়েছি।’

সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম। এই আসনে দলের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকায় নির্ভার রয়েছেন তিনি।

বিদ্রোহী প্রার্থী ও দলীয় বিভক্তি নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম বলেন, ‘মনোনয়ন দেওয়া হয় দলের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে এসেছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে আমি বিষয়টি কেন্দ্রে জানাব। দলের সভাপতি হিসেবে আমি চাই না কেউ বিদ্রোহী থাকুক। দলটা সবাইকে নিয়েই করতে হবে।’

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ৬১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আগামী শুক্র ও শনিবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা, নিহত ২

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ২৬
কাভার্ড ভ্যানের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে।
কাভার্ড ভ্যানের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে।

নাটোরের বড়াইগ্রামে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন কাভার্ড ভ্যানের চালক সোহাগ হোসেন (৩০) এবং যাত্রী বিপ্লব হোসেন (৩৫)। আজ মঙ্গলবার সকালে মানিকপুর এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহাগ নলডাঙ্গা উপজেলার বেলঘড়িয়া এলাকার ফরজ আলীর ছেলে। অন্যদিকে নিহত বিপ্লব টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার চৌবাড়িয়ার ওহেদ আলীর ছেলে। তিনি একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন।

দুর্ঘটনার পর ট্রাক নিয়ে চালক পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, সকাল ৬টার দিকে নাটোর থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাক মানিকপুর এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে দাঁড়িয়ে ছিল। একই দিক থেকে ছেড়ে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান পেছন থেকে ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে কাভার্ড ভ্যানের চালক ও যাত্রী নিহত হন। ওসি আরও বলেন, লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ও আইনগত বিষয় চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মনোনয়নপত্র জমা দেননি বিএনপির বিদ্রোহী নেতারা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
মনোনয়নপত্রের ফরম সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত তা জমা দেননি বিএনপির বিদ্রোহী নেতারা।
মনোনয়নপত্রের ফরম সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত তা জমা দেননি বিএনপির বিদ্রোহী নেতারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল, গোমস্তাপুর, ভোলাহাট) আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন বিএনপির চার বিদ্রোহী নেতা। তবে ফরম সংগ্রহ করলেও জমা দেওয়ার শেষ দিন সোমবার পর্যন্ত তা জমা দেননি তাঁরা। ফলে এই আসনে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে থাকছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি মো. আমিনুল ইসলাম। এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনোনীত এক প্রার্থীও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করেননি।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ১০ প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও জমা দিয়েছেন ৫ জন।

মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়া বিএনপি নেতারা হলেন বুয়েটের আহসানুল্লাহ হল সংসদের সাবেক ভিপি ও সাবেক ছাত্রনেতা ইঞ্জিনিয়ার ইমদাদুল হক মাসুদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম তুহিন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মাসউদা আফরোজ হক শুচি ও বিএনপি নেতা সাহাফুজ আলম অপু। এ ছাড়াও এনসিপি মনোনীত প্রার্থী ও এনসিপির জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব নাজমুল হুদা খান রুবেল মনোনয়নপত্র জমা দেননি।

এই আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, বিএনপির প্রার্থী মো. আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ড. মিজানুর রহমান, জাতীয় পার্টির মুহা. খুরশিদ আলম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মো. সাদেকুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের মো. ইব্রাহিম খলিল।

দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মাসউদা আফরোজ হক শুচি বলেন, ‘দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের সম্ভাবনা থেকেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত যেহেতু পরিবর্তন হয়নি, তাই মনোনয়নপত্র জমা দিইনি।’

মনোনয়ন না পাওয়া আরেক বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইমদাদুল হক মাসুদ বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন হয়নি, তাই মনোনয়নপত্র জমা দিইনি।’

এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বদলের দাবিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্য নেতারা এককাট্টা হয়ে অন্তত ১২ বার মশাল মিছিল, মতবিনিময় ও আলোচনা সভা, রেলপথ অবরোধ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মির্জাপুরে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের চালক নিহত

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেলের চালক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দেওহাটা ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তির নাম জানা যায়নি। তবে তিনি গোড়াই সাউথ ইস্ট কারখানার কর্মী বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

জানা গেছে, সকাল সোয়া ৭টার দিকে সকালে মোটরসাইকেল চালিয়ে মহাসড়কের ধীরগতির লেন দিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন চালক। মহাসড়কের দেওহাটা ফ্লাইওভারের কাছে পৌঁছালে টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে আসা আলোকিত মধুপুর নামে যাত্রীবাহী বাস মহাসড়ক ছেড়ে ধীরগতির লেনে ঢুকে পড়ে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলের চালক নিহত হন।

দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক গিয়াসউদ্দিন জানান, নিহত ব্যক্তি গোড়াই সাউথ ইস্ট কারখানায় চাকরি করতেন বলে জানতে পেরেছেন। বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত