গাইবান্ধায় মাশরুম
আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। এই অর্থবছরে প্রকল্প দুটি স্থাপন সম্পন্ন করার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হলেও এখনো ঘরের কাজই শেষ হয়নি।
প্রকল্প দুটির মধ্যে একটি গাইবান্ধা সদরের বল্লমঝড় ইউনিয়নের নারায়ণপুরে। এ মাশরুম প্রদর্শনীটি চলতি জুন মাসেও উৎপাদনে যেতে পারেনি। অপরটি বাদিয়াখালী ইউনিয়নের চুনিয়াকান্দি মৌজায়। এটি প্রকল্পের নির্বাচন ও মাশরুম চাষে উৎসাহী কৃষক নির্বাচন করেই মুখ থেমে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অনুকূলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রতিটি স্পন ও মাশরুম প্রদর্শনীর জন্য ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করা হয়নি। বরাদ্দ করা অর্থের সিংহভাগ প্রকল্প তদারককারী কর্মকর্তা-সংশ্লিষ্ট লোকজন কৌশলে মজুত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি প্রদর্শনী প্রকল্পে ইনকিউবেশন কক্ষ, চাষঘর, স্টেরিলাইজেশন কাম ইনকুলেশন চেম্বার স্থাপন ছাড়াও মালামাল রক্ষণের জন্য র্যাক ও পরিবহনের জন্য ব্যাটারিচালিত ভ্যানের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রদর্শনী প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দের সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি প্রদর্শনী প্রকল্পে ইনকিউবেশন কক্ষ ও তার আনুষঙ্গিক ব্যয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা, চাষঘর ও তার আনুষঙ্গিক ব্যয় ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ টাকা, স্টেরিলাইজেশন কাম ইনকুলেশন চেম্বারের আনুষঙ্গিক ব্যয় ৩০ হাজার টাকা, সাইনবোর্ড বাবদ ২ হাজার টাকা, মার্কেটিংয়ের ভ্যান কেনা বাবদ ৪৫ হাজার টাকা, সেটিং ও পরিবহন খরচ বাবদ ৫ হাজার টাকাসহ মোট ৭ লাখ ৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সরেজমিনে প্রকল্প দুটিতে দেখা যায়, চুনিয়াকান্দি মৌজায় মাশরুম প্রকল্পে কয়েকটি সিমেন্টের খুঁটি দাঁড়িয়ে আছে। চাল, বেড়া—কিছুই নেই। এই মাশরুম চাষ প্রদর্শনী উদ্যোক্তা মোছা সাহিদা বেগম বলেন, ‘এখনো ঘরে ১৪টি খুঁটি ছাড়া আর কিছুই পাইনি। আশা ছিল, একজন সফল উদ্যোক্তা হব। কিন্তু এখন বেকার হয়ে পড়েছি।’
এ দিকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার নারায়ণপুর মৌজায় স্পন ও মাশরুম চাষ প্রদর্শনী ঘুরে দেখার সময় উৎপাদক ও উদ্যোক্তা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রদর্শনী প্রকল্পটি জুন ২০২৫ অর্থবছরে স্থাপন শেষ করে উৎপাদনে যাওয়ার কথা থাকলেও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কর্মসূচি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার ফলে প্রকল্প দুটির সুফল অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়েছে।’ এর কারণ হিসেবে উদ্যোক্তা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সঠিক সময়ে ইনকিউবেশন কক্ষ নির্মাণ, চাষঘর তৈরি, স্টেরিলাইজেশন কাম ইনকুলেশন চেম্বার স্থাপন না করায় সঠিক সময়ে উৎপাদনে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার দায়সারা কর্তব্য পালনের কারণে প্রকল্পের কাজে নানা অনিয়ম ও বিপত্তি দেখা দিয়েছে। প্রকল্পটির প্রয়োজনীয় সরবরাহ যেমন ইনকিউবেশনের জন্য এগজস্ট ফ্যান, কুলিং প্যাড ও কনটেইনার, দুটি পিভিসি দরজা, পানির পাম্প, ত্রিপল, ছোট পানির পাম্প, পানি স্প্রেইং সিস্টেম, সরবরাহ করা হয়নি। এসব জিনিসের দাম ২ লক্ষাধিক টাকা’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাহাদৎ হোসেন বলেন, ‘সাংবাদিকদের ভিডিও বক্তব্য বা তথ্য দিতে ওপর থেকে নিষেধ আছে। এসব দেখার দায়িত্ব তো আপনাদের না। অযথা আপনারা আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করেন। নিউজ করে আজ পর্যন্ত কিছুর সমাধান হচ্ছে?’

গাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। এই অর্থবছরে প্রকল্প দুটি স্থাপন সম্পন্ন করার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হলেও এখনো ঘরের কাজই শেষ হয়নি।
প্রকল্প দুটির মধ্যে একটি গাইবান্ধা সদরের বল্লমঝড় ইউনিয়নের নারায়ণপুরে। এ মাশরুম প্রদর্শনীটি চলতি জুন মাসেও উৎপাদনে যেতে পারেনি। অপরটি বাদিয়াখালী ইউনিয়নের চুনিয়াকান্দি মৌজায়। এটি প্রকল্পের নির্বাচন ও মাশরুম চাষে উৎসাহী কৃষক নির্বাচন করেই মুখ থেমে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অনুকূলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রতিটি স্পন ও মাশরুম প্রদর্শনীর জন্য ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করা হয়নি। বরাদ্দ করা অর্থের সিংহভাগ প্রকল্প তদারককারী কর্মকর্তা-সংশ্লিষ্ট লোকজন কৌশলে মজুত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি প্রদর্শনী প্রকল্পে ইনকিউবেশন কক্ষ, চাষঘর, স্টেরিলাইজেশন কাম ইনকুলেশন চেম্বার স্থাপন ছাড়াও মালামাল রক্ষণের জন্য র্যাক ও পরিবহনের জন্য ব্যাটারিচালিত ভ্যানের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রদর্শনী প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দের সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি প্রদর্শনী প্রকল্পে ইনকিউবেশন কক্ষ ও তার আনুষঙ্গিক ব্যয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা, চাষঘর ও তার আনুষঙ্গিক ব্যয় ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ টাকা, স্টেরিলাইজেশন কাম ইনকুলেশন চেম্বারের আনুষঙ্গিক ব্যয় ৩০ হাজার টাকা, সাইনবোর্ড বাবদ ২ হাজার টাকা, মার্কেটিংয়ের ভ্যান কেনা বাবদ ৪৫ হাজার টাকা, সেটিং ও পরিবহন খরচ বাবদ ৫ হাজার টাকাসহ মোট ৭ লাখ ৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সরেজমিনে প্রকল্প দুটিতে দেখা যায়, চুনিয়াকান্দি মৌজায় মাশরুম প্রকল্পে কয়েকটি সিমেন্টের খুঁটি দাঁড়িয়ে আছে। চাল, বেড়া—কিছুই নেই। এই মাশরুম চাষ প্রদর্শনী উদ্যোক্তা মোছা সাহিদা বেগম বলেন, ‘এখনো ঘরে ১৪টি খুঁটি ছাড়া আর কিছুই পাইনি। আশা ছিল, একজন সফল উদ্যোক্তা হব। কিন্তু এখন বেকার হয়ে পড়েছি।’
এ দিকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার নারায়ণপুর মৌজায় স্পন ও মাশরুম চাষ প্রদর্শনী ঘুরে দেখার সময় উৎপাদক ও উদ্যোক্তা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রদর্শনী প্রকল্পটি জুন ২০২৫ অর্থবছরে স্থাপন শেষ করে উৎপাদনে যাওয়ার কথা থাকলেও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কর্মসূচি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার ফলে প্রকল্প দুটির সুফল অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়েছে।’ এর কারণ হিসেবে উদ্যোক্তা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সঠিক সময়ে ইনকিউবেশন কক্ষ নির্মাণ, চাষঘর তৈরি, স্টেরিলাইজেশন কাম ইনকুলেশন চেম্বার স্থাপন না করায় সঠিক সময়ে উৎপাদনে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার দায়সারা কর্তব্য পালনের কারণে প্রকল্পের কাজে নানা অনিয়ম ও বিপত্তি দেখা দিয়েছে। প্রকল্পটির প্রয়োজনীয় সরবরাহ যেমন ইনকিউবেশনের জন্য এগজস্ট ফ্যান, কুলিং প্যাড ও কনটেইনার, দুটি পিভিসি দরজা, পানির পাম্প, ত্রিপল, ছোট পানির পাম্প, পানি স্প্রেইং সিস্টেম, সরবরাহ করা হয়নি। এসব জিনিসের দাম ২ লক্ষাধিক টাকা’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাহাদৎ হোসেন বলেন, ‘সাংবাদিকদের ভিডিও বক্তব্য বা তথ্য দিতে ওপর থেকে নিষেধ আছে। এসব দেখার দায়িত্ব তো আপনাদের না। অযথা আপনারা আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করেন। নিউজ করে আজ পর্যন্ত কিছুর সমাধান হচ্ছে?’
গাইবান্ধায় মাশরুম
আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। এই অর্থবছরে প্রকল্প দুটি স্থাপন সম্পন্ন করার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হলেও এখনো ঘরের কাজই শেষ হয়নি।
প্রকল্প দুটির মধ্যে একটি গাইবান্ধা সদরের বল্লমঝড় ইউনিয়নের নারায়ণপুরে। এ মাশরুম প্রদর্শনীটি চলতি জুন মাসেও উৎপাদনে যেতে পারেনি। অপরটি বাদিয়াখালী ইউনিয়নের চুনিয়াকান্দি মৌজায়। এটি প্রকল্পের নির্বাচন ও মাশরুম চাষে উৎসাহী কৃষক নির্বাচন করেই মুখ থেমে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অনুকূলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রতিটি স্পন ও মাশরুম প্রদর্শনীর জন্য ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করা হয়নি। বরাদ্দ করা অর্থের সিংহভাগ প্রকল্প তদারককারী কর্মকর্তা-সংশ্লিষ্ট লোকজন কৌশলে মজুত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি প্রদর্শনী প্রকল্পে ইনকিউবেশন কক্ষ, চাষঘর, স্টেরিলাইজেশন কাম ইনকুলেশন চেম্বার স্থাপন ছাড়াও মালামাল রক্ষণের জন্য র্যাক ও পরিবহনের জন্য ব্যাটারিচালিত ভ্যানের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রদর্শনী প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দের সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি প্রদর্শনী প্রকল্পে ইনকিউবেশন কক্ষ ও তার আনুষঙ্গিক ব্যয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা, চাষঘর ও তার আনুষঙ্গিক ব্যয় ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ টাকা, স্টেরিলাইজেশন কাম ইনকুলেশন চেম্বারের আনুষঙ্গিক ব্যয় ৩০ হাজার টাকা, সাইনবোর্ড বাবদ ২ হাজার টাকা, মার্কেটিংয়ের ভ্যান কেনা বাবদ ৪৫ হাজার টাকা, সেটিং ও পরিবহন খরচ বাবদ ৫ হাজার টাকাসহ মোট ৭ লাখ ৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সরেজমিনে প্রকল্প দুটিতে দেখা যায়, চুনিয়াকান্দি মৌজায় মাশরুম প্রকল্পে কয়েকটি সিমেন্টের খুঁটি দাঁড়িয়ে আছে। চাল, বেড়া—কিছুই নেই। এই মাশরুম চাষ প্রদর্শনী উদ্যোক্তা মোছা সাহিদা বেগম বলেন, ‘এখনো ঘরে ১৪টি খুঁটি ছাড়া আর কিছুই পাইনি। আশা ছিল, একজন সফল উদ্যোক্তা হব। কিন্তু এখন বেকার হয়ে পড়েছি।’
এ দিকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার নারায়ণপুর মৌজায় স্পন ও মাশরুম চাষ প্রদর্শনী ঘুরে দেখার সময় উৎপাদক ও উদ্যোক্তা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রদর্শনী প্রকল্পটি জুন ২০২৫ অর্থবছরে স্থাপন শেষ করে উৎপাদনে যাওয়ার কথা থাকলেও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কর্মসূচি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার ফলে প্রকল্প দুটির সুফল অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়েছে।’ এর কারণ হিসেবে উদ্যোক্তা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সঠিক সময়ে ইনকিউবেশন কক্ষ নির্মাণ, চাষঘর তৈরি, স্টেরিলাইজেশন কাম ইনকুলেশন চেম্বার স্থাপন না করায় সঠিক সময়ে উৎপাদনে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার দায়সারা কর্তব্য পালনের কারণে প্রকল্পের কাজে নানা অনিয়ম ও বিপত্তি দেখা দিয়েছে। প্রকল্পটির প্রয়োজনীয় সরবরাহ যেমন ইনকিউবেশনের জন্য এগজস্ট ফ্যান, কুলিং প্যাড ও কনটেইনার, দুটি পিভিসি দরজা, পানির পাম্প, ত্রিপল, ছোট পানির পাম্প, পানি স্প্রেইং সিস্টেম, সরবরাহ করা হয়নি। এসব জিনিসের দাম ২ লক্ষাধিক টাকা’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাহাদৎ হোসেন বলেন, ‘সাংবাদিকদের ভিডিও বক্তব্য বা তথ্য দিতে ওপর থেকে নিষেধ আছে। এসব দেখার দায়িত্ব তো আপনাদের না। অযথা আপনারা আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করেন। নিউজ করে আজ পর্যন্ত কিছুর সমাধান হচ্ছে?’

গাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। এই অর্থবছরে প্রকল্প দুটি স্থাপন সম্পন্ন করার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হলেও এখনো ঘরের কাজই শেষ হয়নি।
প্রকল্প দুটির মধ্যে একটি গাইবান্ধা সদরের বল্লমঝড় ইউনিয়নের নারায়ণপুরে। এ মাশরুম প্রদর্শনীটি চলতি জুন মাসেও উৎপাদনে যেতে পারেনি। অপরটি বাদিয়াখালী ইউনিয়নের চুনিয়াকান্দি মৌজায়। এটি প্রকল্পের নির্বাচন ও মাশরুম চাষে উৎসাহী কৃষক নির্বাচন করেই মুখ থেমে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অনুকূলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রতিটি স্পন ও মাশরুম প্রদর্শনীর জন্য ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করা হয়নি। বরাদ্দ করা অর্থের সিংহভাগ প্রকল্প তদারককারী কর্মকর্তা-সংশ্লিষ্ট লোকজন কৌশলে মজুত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি প্রদর্শনী প্রকল্পে ইনকিউবেশন কক্ষ, চাষঘর, স্টেরিলাইজেশন কাম ইনকুলেশন চেম্বার স্থাপন ছাড়াও মালামাল রক্ষণের জন্য র্যাক ও পরিবহনের জন্য ব্যাটারিচালিত ভ্যানের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রদর্শনী প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দের সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি প্রদর্শনী প্রকল্পে ইনকিউবেশন কক্ষ ও তার আনুষঙ্গিক ব্যয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা, চাষঘর ও তার আনুষঙ্গিক ব্যয় ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ টাকা, স্টেরিলাইজেশন কাম ইনকুলেশন চেম্বারের আনুষঙ্গিক ব্যয় ৩০ হাজার টাকা, সাইনবোর্ড বাবদ ২ হাজার টাকা, মার্কেটিংয়ের ভ্যান কেনা বাবদ ৪৫ হাজার টাকা, সেটিং ও পরিবহন খরচ বাবদ ৫ হাজার টাকাসহ মোট ৭ লাখ ৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সরেজমিনে প্রকল্প দুটিতে দেখা যায়, চুনিয়াকান্দি মৌজায় মাশরুম প্রকল্পে কয়েকটি সিমেন্টের খুঁটি দাঁড়িয়ে আছে। চাল, বেড়া—কিছুই নেই। এই মাশরুম চাষ প্রদর্শনী উদ্যোক্তা মোছা সাহিদা বেগম বলেন, ‘এখনো ঘরে ১৪টি খুঁটি ছাড়া আর কিছুই পাইনি। আশা ছিল, একজন সফল উদ্যোক্তা হব। কিন্তু এখন বেকার হয়ে পড়েছি।’
এ দিকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার নারায়ণপুর মৌজায় স্পন ও মাশরুম চাষ প্রদর্শনী ঘুরে দেখার সময় উৎপাদক ও উদ্যোক্তা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রদর্শনী প্রকল্পটি জুন ২০২৫ অর্থবছরে স্থাপন শেষ করে উৎপাদনে যাওয়ার কথা থাকলেও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কর্মসূচি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার ফলে প্রকল্প দুটির সুফল অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়েছে।’ এর কারণ হিসেবে উদ্যোক্তা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সঠিক সময়ে ইনকিউবেশন কক্ষ নির্মাণ, চাষঘর তৈরি, স্টেরিলাইজেশন কাম ইনকুলেশন চেম্বার স্থাপন না করায় সঠিক সময়ে উৎপাদনে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার দায়সারা কর্তব্য পালনের কারণে প্রকল্পের কাজে নানা অনিয়ম ও বিপত্তি দেখা দিয়েছে। প্রকল্পটির প্রয়োজনীয় সরবরাহ যেমন ইনকিউবেশনের জন্য এগজস্ট ফ্যান, কুলিং প্যাড ও কনটেইনার, দুটি পিভিসি দরজা, পানির পাম্প, ত্রিপল, ছোট পানির পাম্প, পানি স্প্রেইং সিস্টেম, সরবরাহ করা হয়নি। এসব জিনিসের দাম ২ লক্ষাধিক টাকা’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাহাদৎ হোসেন বলেন, ‘সাংবাদিকদের ভিডিও বক্তব্য বা তথ্য দিতে ওপর থেকে নিষেধ আছে। এসব দেখার দায়িত্ব তো আপনাদের না। অযথা আপনারা আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করেন। নিউজ করে আজ পর্যন্ত কিছুর সমাধান হচ্ছে?’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৩ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৩২ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
৪২ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

গাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
২২ জুন ২০২৫
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৩২ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
৪২ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

গাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
২২ জুন ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৩ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
৪২ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

গাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
২২ জুন ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৩ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৩২ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

গাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
২২ জুন ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৩ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৩২ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
৪২ মিনিট আগে