ফেনী প্রতিনিধি

৪ আগস্ট ২০২৪, শ্রাবণের শেষ বিকেল। ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিল হাজারো ছাত্র-জনতা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে জড়ো হয়েছিল তারা। হাতে ছিল লাল-সবুজের পতাকা, চোখে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফ্লাইওভার এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। হঠাৎ গুলির শব্দে গর্জে ওঠে পুরো এলাকা। মুহূর্তেই ছিন্নভিন্ন হয় রাজপথের নীরবতা। গুলিতে লুটিয়ে পড়েন ইসতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ, সরওয়ার জাহান মাসুদ, মো. সবুজ, ছাইদুল ইসলাম শাহী, জাকির হোসেন শাকিব ও ওয়াকিল আহম্মদ শিহাব। গুলিবিদ্ধ হন শিক্ষার্থী মাহবুবুল হাসান মাসুম। পরে ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মহিপাল এলাকায় সব স্তব্ধ হয়ে যায়। বাতাসে বারুদের গন্ধ, রাস্তায় রক্ত আর পড়ে থাকা জুতা-স্যান্ডেল হয়ে ওঠে নৃশংসতার নীরব সাক্ষী।
শহীদ ইসতিয়াক আহমেদ শ্রাবণের মা ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘ও মাথায় আমার ওড়না পেঁচিয়ে আন্দোলনে গিয়েছিল। এক বছরের মাথায়ও আমরা তার মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছি না। মেয়েটা (শ্রাবণের বোন) ভাইয়ের শোকে কারও সঙ্গে কথাও বলে না।’
শহীদ শাহীর মা রাহেনা বেগম বলেন, ‘শাহী বাসা থেকে বের হওয়ার আগে ২৫ টাকা চেয়েছিল। বলেছিল শহর থেকে ফেরার ভাড়া লাগবে। কিন্তু আর ফেরেনি।’
ওয়াকিল আহম্মদ শিহাবের মা মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘চুল কাটবে বলে ঘর থেকে বের হয়েছিল। হয়তো বুঝেছিল, এবারই শেষ দেখা। বুকের মধ্যে তিনটা গুলি লেগে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল আমার সন্তান।’
মাহবুবুল হাসান মাসুমের ভাই মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মামলায় কোনো অগ্রগতি নেই। যারা জামিনে বের হয়ে আসে, তাদের অনেকে প্রভাবশালীদের সহায়তায় বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে।’
আহত ব্যক্তিদের একজন নূর হোসেন। ফেনী ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। নূর বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে গিয়েও চিকিৎসা পাইনি। উল্টো হামলার মুখে পড়তে হয়।’
ঘটনার দিন ফেনী শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিষেধ করা হয়েছিল। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রথমে নেওয়া হয় শ্রাবণের লাশ। একে একে আসতে থাকে অন্যদের দেহও। হাসপাতালে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।
মহিপালের হামলা ও হত্যার ঘটনায় মোট ২২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি হত্যা ও ১৫টি হত্যাচেষ্টা মামলা। এসব মামলায় ২ হাজার ১৯৯ জনের নাম রয়েছে এজাহারে। আরও ৪ হাজার অজ্ঞাতনামা আসামির কথা উল্লেখ রয়েছে। একমাত্র মাসুম হত্যা মামলায় ২২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনীর দুই সাবেক সংসদ সদস্য।
পুলিশ বলছে, ১৬৪ ধারায় ১১ জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অনেকে এখনো পলাতক। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাঁদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
৪ আগস্টে ফেনীর মহিপালে গুলির দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যুবক মহিপাল প্লাজার সামনে রিকশা থেকে নেমে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর আশপাশে অনেকের হাতে তখন দেশীয় অস্ত্র ও বন্দুক ছিল। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পিছু হটলেও গুলিবর্ষণ বন্ধ হয়নি।
সেদিন সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে অনেক সাংবাদিকও লাঞ্ছিত হয়েছেন। মোটরসাইকেল থামিয়ে তাঁদের মারধর করা হয়, ছিনিয়ে নেওয়া হয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল ফোন। সেদিন অন্তত ১০ সাংবাদিককে একটি ব্যাংক ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফেনী জেলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মুহাইমিন তাজিম বলেন, ‘শহীদদের রক্তের ওপর এ সরকার গঠিত। অথচ হত্যার বিচার হয়নি। আমরা দাবি করছি, বিচার দ্রুত সম্পন্ন হোক।’
ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, জুলাই-আগস্টের ঘটনায় ২২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ আগস্টে ফেনীর মহিপালে নিহত মাহবুবুল হাসান মাসুম হত্যার ঘটনায় ২২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি নিজাম হাজারীকে নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তদন্তে যাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, তাঁরাই চার্জশিটে রয়েছেন। এখানে কোনো রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় আনা হয়নি। অনেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাঁরা বিদেশে আছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ফেনীতে হতাহতের সংখ্যা অন্য জেলার তুলনায় বেশি ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দিতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।’
জেলা প্রশাসকের দাবি, এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ কোটি টাকার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

৪ আগস্ট ২০২৪, শ্রাবণের শেষ বিকেল। ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিল হাজারো ছাত্র-জনতা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে জড়ো হয়েছিল তারা। হাতে ছিল লাল-সবুজের পতাকা, চোখে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফ্লাইওভার এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। হঠাৎ গুলির শব্দে গর্জে ওঠে পুরো এলাকা। মুহূর্তেই ছিন্নভিন্ন হয় রাজপথের নীরবতা। গুলিতে লুটিয়ে পড়েন ইসতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ, সরওয়ার জাহান মাসুদ, মো. সবুজ, ছাইদুল ইসলাম শাহী, জাকির হোসেন শাকিব ও ওয়াকিল আহম্মদ শিহাব। গুলিবিদ্ধ হন শিক্ষার্থী মাহবুবুল হাসান মাসুম। পরে ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মহিপাল এলাকায় সব স্তব্ধ হয়ে যায়। বাতাসে বারুদের গন্ধ, রাস্তায় রক্ত আর পড়ে থাকা জুতা-স্যান্ডেল হয়ে ওঠে নৃশংসতার নীরব সাক্ষী।
শহীদ ইসতিয়াক আহমেদ শ্রাবণের মা ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘ও মাথায় আমার ওড়না পেঁচিয়ে আন্দোলনে গিয়েছিল। এক বছরের মাথায়ও আমরা তার মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছি না। মেয়েটা (শ্রাবণের বোন) ভাইয়ের শোকে কারও সঙ্গে কথাও বলে না।’
শহীদ শাহীর মা রাহেনা বেগম বলেন, ‘শাহী বাসা থেকে বের হওয়ার আগে ২৫ টাকা চেয়েছিল। বলেছিল শহর থেকে ফেরার ভাড়া লাগবে। কিন্তু আর ফেরেনি।’
ওয়াকিল আহম্মদ শিহাবের মা মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘চুল কাটবে বলে ঘর থেকে বের হয়েছিল। হয়তো বুঝেছিল, এবারই শেষ দেখা। বুকের মধ্যে তিনটা গুলি লেগে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল আমার সন্তান।’
মাহবুবুল হাসান মাসুমের ভাই মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মামলায় কোনো অগ্রগতি নেই। যারা জামিনে বের হয়ে আসে, তাদের অনেকে প্রভাবশালীদের সহায়তায় বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে।’
আহত ব্যক্তিদের একজন নূর হোসেন। ফেনী ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। নূর বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে গিয়েও চিকিৎসা পাইনি। উল্টো হামলার মুখে পড়তে হয়।’
ঘটনার দিন ফেনী শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিষেধ করা হয়েছিল। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রথমে নেওয়া হয় শ্রাবণের লাশ। একে একে আসতে থাকে অন্যদের দেহও। হাসপাতালে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।
মহিপালের হামলা ও হত্যার ঘটনায় মোট ২২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি হত্যা ও ১৫টি হত্যাচেষ্টা মামলা। এসব মামলায় ২ হাজার ১৯৯ জনের নাম রয়েছে এজাহারে। আরও ৪ হাজার অজ্ঞাতনামা আসামির কথা উল্লেখ রয়েছে। একমাত্র মাসুম হত্যা মামলায় ২২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনীর দুই সাবেক সংসদ সদস্য।
পুলিশ বলছে, ১৬৪ ধারায় ১১ জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অনেকে এখনো পলাতক। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাঁদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
৪ আগস্টে ফেনীর মহিপালে গুলির দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যুবক মহিপাল প্লাজার সামনে রিকশা থেকে নেমে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর আশপাশে অনেকের হাতে তখন দেশীয় অস্ত্র ও বন্দুক ছিল। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পিছু হটলেও গুলিবর্ষণ বন্ধ হয়নি।
সেদিন সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে অনেক সাংবাদিকও লাঞ্ছিত হয়েছেন। মোটরসাইকেল থামিয়ে তাঁদের মারধর করা হয়, ছিনিয়ে নেওয়া হয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল ফোন। সেদিন অন্তত ১০ সাংবাদিককে একটি ব্যাংক ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফেনী জেলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মুহাইমিন তাজিম বলেন, ‘শহীদদের রক্তের ওপর এ সরকার গঠিত। অথচ হত্যার বিচার হয়নি। আমরা দাবি করছি, বিচার দ্রুত সম্পন্ন হোক।’
ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, জুলাই-আগস্টের ঘটনায় ২২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ আগস্টে ফেনীর মহিপালে নিহত মাহবুবুল হাসান মাসুম হত্যার ঘটনায় ২২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি নিজাম হাজারীকে নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তদন্তে যাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, তাঁরাই চার্জশিটে রয়েছেন। এখানে কোনো রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় আনা হয়নি। অনেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাঁরা বিদেশে আছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ফেনীতে হতাহতের সংখ্যা অন্য জেলার তুলনায় বেশি ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দিতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।’
জেলা প্রশাসকের দাবি, এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ কোটি টাকার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
ফেনী প্রতিনিধি

৪ আগস্ট ২০২৪, শ্রাবণের শেষ বিকেল। ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিল হাজারো ছাত্র-জনতা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে জড়ো হয়েছিল তারা। হাতে ছিল লাল-সবুজের পতাকা, চোখে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফ্লাইওভার এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। হঠাৎ গুলির শব্দে গর্জে ওঠে পুরো এলাকা। মুহূর্তেই ছিন্নভিন্ন হয় রাজপথের নীরবতা। গুলিতে লুটিয়ে পড়েন ইসতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ, সরওয়ার জাহান মাসুদ, মো. সবুজ, ছাইদুল ইসলাম শাহী, জাকির হোসেন শাকিব ও ওয়াকিল আহম্মদ শিহাব। গুলিবিদ্ধ হন শিক্ষার্থী মাহবুবুল হাসান মাসুম। পরে ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মহিপাল এলাকায় সব স্তব্ধ হয়ে যায়। বাতাসে বারুদের গন্ধ, রাস্তায় রক্ত আর পড়ে থাকা জুতা-স্যান্ডেল হয়ে ওঠে নৃশংসতার নীরব সাক্ষী।
শহীদ ইসতিয়াক আহমেদ শ্রাবণের মা ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘ও মাথায় আমার ওড়না পেঁচিয়ে আন্দোলনে গিয়েছিল। এক বছরের মাথায়ও আমরা তার মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছি না। মেয়েটা (শ্রাবণের বোন) ভাইয়ের শোকে কারও সঙ্গে কথাও বলে না।’
শহীদ শাহীর মা রাহেনা বেগম বলেন, ‘শাহী বাসা থেকে বের হওয়ার আগে ২৫ টাকা চেয়েছিল। বলেছিল শহর থেকে ফেরার ভাড়া লাগবে। কিন্তু আর ফেরেনি।’
ওয়াকিল আহম্মদ শিহাবের মা মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘চুল কাটবে বলে ঘর থেকে বের হয়েছিল। হয়তো বুঝেছিল, এবারই শেষ দেখা। বুকের মধ্যে তিনটা গুলি লেগে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল আমার সন্তান।’
মাহবুবুল হাসান মাসুমের ভাই মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মামলায় কোনো অগ্রগতি নেই। যারা জামিনে বের হয়ে আসে, তাদের অনেকে প্রভাবশালীদের সহায়তায় বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে।’
আহত ব্যক্তিদের একজন নূর হোসেন। ফেনী ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। নূর বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে গিয়েও চিকিৎসা পাইনি। উল্টো হামলার মুখে পড়তে হয়।’
ঘটনার দিন ফেনী শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিষেধ করা হয়েছিল। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রথমে নেওয়া হয় শ্রাবণের লাশ। একে একে আসতে থাকে অন্যদের দেহও। হাসপাতালে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।
মহিপালের হামলা ও হত্যার ঘটনায় মোট ২২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি হত্যা ও ১৫টি হত্যাচেষ্টা মামলা। এসব মামলায় ২ হাজার ১৯৯ জনের নাম রয়েছে এজাহারে। আরও ৪ হাজার অজ্ঞাতনামা আসামির কথা উল্লেখ রয়েছে। একমাত্র মাসুম হত্যা মামলায় ২২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনীর দুই সাবেক সংসদ সদস্য।
পুলিশ বলছে, ১৬৪ ধারায় ১১ জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অনেকে এখনো পলাতক। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাঁদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
৪ আগস্টে ফেনীর মহিপালে গুলির দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যুবক মহিপাল প্লাজার সামনে রিকশা থেকে নেমে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর আশপাশে অনেকের হাতে তখন দেশীয় অস্ত্র ও বন্দুক ছিল। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পিছু হটলেও গুলিবর্ষণ বন্ধ হয়নি।
সেদিন সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে অনেক সাংবাদিকও লাঞ্ছিত হয়েছেন। মোটরসাইকেল থামিয়ে তাঁদের মারধর করা হয়, ছিনিয়ে নেওয়া হয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল ফোন। সেদিন অন্তত ১০ সাংবাদিককে একটি ব্যাংক ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফেনী জেলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মুহাইমিন তাজিম বলেন, ‘শহীদদের রক্তের ওপর এ সরকার গঠিত। অথচ হত্যার বিচার হয়নি। আমরা দাবি করছি, বিচার দ্রুত সম্পন্ন হোক।’
ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, জুলাই-আগস্টের ঘটনায় ২২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ আগস্টে ফেনীর মহিপালে নিহত মাহবুবুল হাসান মাসুম হত্যার ঘটনায় ২২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি নিজাম হাজারীকে নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তদন্তে যাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, তাঁরাই চার্জশিটে রয়েছেন। এখানে কোনো রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় আনা হয়নি। অনেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাঁরা বিদেশে আছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ফেনীতে হতাহতের সংখ্যা অন্য জেলার তুলনায় বেশি ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দিতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।’
জেলা প্রশাসকের দাবি, এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ কোটি টাকার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

৪ আগস্ট ২০২৪, শ্রাবণের শেষ বিকেল। ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিল হাজারো ছাত্র-জনতা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে জড়ো হয়েছিল তারা। হাতে ছিল লাল-সবুজের পতাকা, চোখে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফ্লাইওভার এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। হঠাৎ গুলির শব্দে গর্জে ওঠে পুরো এলাকা। মুহূর্তেই ছিন্নভিন্ন হয় রাজপথের নীরবতা। গুলিতে লুটিয়ে পড়েন ইসতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ, সরওয়ার জাহান মাসুদ, মো. সবুজ, ছাইদুল ইসলাম শাহী, জাকির হোসেন শাকিব ও ওয়াকিল আহম্মদ শিহাব। গুলিবিদ্ধ হন শিক্ষার্থী মাহবুবুল হাসান মাসুম। পরে ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মহিপাল এলাকায় সব স্তব্ধ হয়ে যায়। বাতাসে বারুদের গন্ধ, রাস্তায় রক্ত আর পড়ে থাকা জুতা-স্যান্ডেল হয়ে ওঠে নৃশংসতার নীরব সাক্ষী।
শহীদ ইসতিয়াক আহমেদ শ্রাবণের মা ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘ও মাথায় আমার ওড়না পেঁচিয়ে আন্দোলনে গিয়েছিল। এক বছরের মাথায়ও আমরা তার মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছি না। মেয়েটা (শ্রাবণের বোন) ভাইয়ের শোকে কারও সঙ্গে কথাও বলে না।’
শহীদ শাহীর মা রাহেনা বেগম বলেন, ‘শাহী বাসা থেকে বের হওয়ার আগে ২৫ টাকা চেয়েছিল। বলেছিল শহর থেকে ফেরার ভাড়া লাগবে। কিন্তু আর ফেরেনি।’
ওয়াকিল আহম্মদ শিহাবের মা মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘চুল কাটবে বলে ঘর থেকে বের হয়েছিল। হয়তো বুঝেছিল, এবারই শেষ দেখা। বুকের মধ্যে তিনটা গুলি লেগে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল আমার সন্তান।’
মাহবুবুল হাসান মাসুমের ভাই মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মামলায় কোনো অগ্রগতি নেই। যারা জামিনে বের হয়ে আসে, তাদের অনেকে প্রভাবশালীদের সহায়তায় বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে।’
আহত ব্যক্তিদের একজন নূর হোসেন। ফেনী ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। নূর বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে গিয়েও চিকিৎসা পাইনি। উল্টো হামলার মুখে পড়তে হয়।’
ঘটনার দিন ফেনী শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিষেধ করা হয়েছিল। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রথমে নেওয়া হয় শ্রাবণের লাশ। একে একে আসতে থাকে অন্যদের দেহও। হাসপাতালে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।
মহিপালের হামলা ও হত্যার ঘটনায় মোট ২২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি হত্যা ও ১৫টি হত্যাচেষ্টা মামলা। এসব মামলায় ২ হাজার ১৯৯ জনের নাম রয়েছে এজাহারে। আরও ৪ হাজার অজ্ঞাতনামা আসামির কথা উল্লেখ রয়েছে। একমাত্র মাসুম হত্যা মামলায় ২২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনীর দুই সাবেক সংসদ সদস্য।
পুলিশ বলছে, ১৬৪ ধারায় ১১ জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অনেকে এখনো পলাতক। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাঁদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
৪ আগস্টে ফেনীর মহিপালে গুলির দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যুবক মহিপাল প্লাজার সামনে রিকশা থেকে নেমে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর আশপাশে অনেকের হাতে তখন দেশীয় অস্ত্র ও বন্দুক ছিল। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পিছু হটলেও গুলিবর্ষণ বন্ধ হয়নি।
সেদিন সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে অনেক সাংবাদিকও লাঞ্ছিত হয়েছেন। মোটরসাইকেল থামিয়ে তাঁদের মারধর করা হয়, ছিনিয়ে নেওয়া হয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল ফোন। সেদিন অন্তত ১০ সাংবাদিককে একটি ব্যাংক ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফেনী জেলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মুহাইমিন তাজিম বলেন, ‘শহীদদের রক্তের ওপর এ সরকার গঠিত। অথচ হত্যার বিচার হয়নি। আমরা দাবি করছি, বিচার দ্রুত সম্পন্ন হোক।’
ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, জুলাই-আগস্টের ঘটনায় ২২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ আগস্টে ফেনীর মহিপালে নিহত মাহবুবুল হাসান মাসুম হত্যার ঘটনায় ২২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি নিজাম হাজারীকে নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তদন্তে যাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, তাঁরাই চার্জশিটে রয়েছেন। এখানে কোনো রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় আনা হয়নি। অনেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাঁরা বিদেশে আছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ফেনীতে হতাহতের সংখ্যা অন্য জেলার তুলনায় বেশি ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দিতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।’
জেলা প্রশাসকের দাবি, এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ কোটি টাকার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

যশোরে মধ্যরাতে তানভীর হত্যার ঘটনায় দুই যুবককে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত একটি চাকু। মধ্যরাতে আনসার ক্যাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদেরকে আটক করা হয়েছে।
৩৬ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও হাটহাজারী ইটভাটা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. এমরান চৌধুরী (৩৮) নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া বুড়িপুকুরপাড় মসজিদ-সংলগ্ন হাটহাজারী-নাজিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাড়ির চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে
রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। বাড়ির প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে তাঁরা ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

যশোরে মধ্যরাতে তানভীর হত্যার ঘটনায় দুই যুবককে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত একটি চাকু। মধ্যরাতে আনসার ক্যাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মাদক বেচাকেনা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুন হয়েছেন তানভীর। এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে শহরের বেজপাড়া তালতলা এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় তানভীরকে। পরে তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত তানভীর শংকরপুর হাজারিগেট এলাকার মিন্টুর ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, ‘ঘটনার পর রাতেই কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ও ডিবি পুলিশের টিম অভিযানে নামে। তারা রক্তের ছাপ পর্যবেক্ষণ করে আনসার ক্যাম্প এলাকার সোনা মিয়াকে আটক করে। পরে তাঁর বাড়ির ছাদ থেকে একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয় একই এলাকার সাক্ষরকে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যশোর শহরের শংকরপুর বেলের মাঠ এলাকায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে পাঁচটি বোমা ও একটি চাকুসহ নাঈম ও সাজু নামের দুই যুবককে আটক করে। এ সময় তানভীর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছিলেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে সড়কের পাশে পড়ে থাকতে দেখে যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে তাঁর পকেট তল্লাশি করে ৬১টি ইয়াবা উদ্ধার করে।

যশোরে মধ্যরাতে তানভীর হত্যার ঘটনায় দুই যুবককে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত একটি চাকু। মধ্যরাতে আনসার ক্যাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মাদক বেচাকেনা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুন হয়েছেন তানভীর। এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে শহরের বেজপাড়া তালতলা এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় তানভীরকে। পরে তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত তানভীর শংকরপুর হাজারিগেট এলাকার মিন্টুর ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, ‘ঘটনার পর রাতেই কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ও ডিবি পুলিশের টিম অভিযানে নামে। তারা রক্তের ছাপ পর্যবেক্ষণ করে আনসার ক্যাম্প এলাকার সোনা মিয়াকে আটক করে। পরে তাঁর বাড়ির ছাদ থেকে একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয় একই এলাকার সাক্ষরকে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যশোর শহরের শংকরপুর বেলের মাঠ এলাকায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে পাঁচটি বোমা ও একটি চাকুসহ নাঈম ও সাজু নামের দুই যুবককে আটক করে। এ সময় তানভীর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছিলেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে সড়কের পাশে পড়ে থাকতে দেখে যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে তাঁর পকেট তল্লাশি করে ৬১টি ইয়াবা উদ্ধার করে।

৪ আগস্ট ২০২৪, শ্রাবণের শেষ বিকেল। ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিল হাজারো ছাত্র-জনতা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে জড়ো হয়েছিল তারা। হাতে ছিল লাল-সবুজের পতাকা, চোখে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন।
০৪ আগস্ট ২০২৫
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও হাটহাজারী ইটভাটা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. এমরান চৌধুরী (৩৮) নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া বুড়িপুকুরপাড় মসজিদ-সংলগ্ন হাটহাজারী-নাজিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাড়ির চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে
রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। বাড়ির প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে তাঁরা ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগেহাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও হাটহাজারী ইটভাটা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. এমরান চৌধুরী (৩৮) নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া বুড়িপুকুরপাড় মসজিদ-সংলগ্ন হাটহাজারী-নাজিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আরিফ নামের আরও একজন গুরুতর আহত হন।
দুই সন্তানের বাবা এমরান চৌধুরী ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চারিয়া সিকদারপাড়া মোয়াজ্জেম বাড়ির মৃত বাদশা সারাংয়ের ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, গভীর রাতে এমরান চৌধুরী ও তাঁর বাড়ির মুছার ছেলে আরিফ বুড়িপুকুরপাড় এলাকার একটি চায়ের দোকান থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে পেছন দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির কাঠবোঝাই একটি চাঁদের গাড়ি তাঁদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে দুজনই ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। মোটরসাইকেলটিও চাঁদের গাড়ির নিচে চাপা পড়ে।
আহত দুজনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাটহাজারীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর চিকিৎসক এমরান চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত আরিফকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী কামাল ও চারিয়া এলাকার আবদুল মতিন রুবেল জানান, আরিফ বর্তমানে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও হাটহাজারী ইটভাটা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. এমরান চৌধুরী (৩৮) নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া বুড়িপুকুরপাড় মসজিদ-সংলগ্ন হাটহাজারী-নাজিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আরিফ নামের আরও একজন গুরুতর আহত হন।
দুই সন্তানের বাবা এমরান চৌধুরী ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চারিয়া সিকদারপাড়া মোয়াজ্জেম বাড়ির মৃত বাদশা সারাংয়ের ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, গভীর রাতে এমরান চৌধুরী ও তাঁর বাড়ির মুছার ছেলে আরিফ বুড়িপুকুরপাড় এলাকার একটি চায়ের দোকান থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে পেছন দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির কাঠবোঝাই একটি চাঁদের গাড়ি তাঁদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে দুজনই ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। মোটরসাইকেলটিও চাঁদের গাড়ির নিচে চাপা পড়ে।
আহত দুজনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাটহাজারীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর চিকিৎসক এমরান চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত আরিফকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী কামাল ও চারিয়া এলাকার আবদুল মতিন রুবেল জানান, আরিফ বর্তমানে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

৪ আগস্ট ২০২৪, শ্রাবণের শেষ বিকেল। ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিল হাজারো ছাত্র-জনতা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে জড়ো হয়েছিল তারা। হাতে ছিল লাল-সবুজের পতাকা, চোখে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন।
০৪ আগস্ট ২০২৫
যশোরে মধ্যরাতে তানভীর হত্যার ঘটনায় দুই যুবককে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত একটি চাকু। মধ্যরাতে আনসার ক্যাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদেরকে আটক করা হয়েছে।
৩৬ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাড়ির চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে
রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। বাড়ির প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে তাঁরা ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাড়ির চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঝিনাইদহ ল-১১-৯২৫৭ নম্বরের মোটরসাইকেলটি ফরিদপুরের দিকে আসছিল। পথে কোনো একটি গাড়ি মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুই আরোহী সুমন (২৫) ও ইমন (২২) মারা যান। দুজনই কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা।
গুরুতর আহত অবস্থায় অপর আরোহী আশিক মোল্লাকে (২২) পুলিশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকেও মৃত ঘোষণা করেন।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে। মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। ঘাতক গাড়িটি শনাক্তে কাজ চলছে। মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাড়ির চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঝিনাইদহ ল-১১-৯২৫৭ নম্বরের মোটরসাইকেলটি ফরিদপুরের দিকে আসছিল। পথে কোনো একটি গাড়ি মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুই আরোহী সুমন (২৫) ও ইমন (২২) মারা যান। দুজনই কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা।
গুরুতর আহত অবস্থায় অপর আরোহী আশিক মোল্লাকে (২২) পুলিশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকেও মৃত ঘোষণা করেন।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে। মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। ঘাতক গাড়িটি শনাক্তে কাজ চলছে। মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।

৪ আগস্ট ২০২৪, শ্রাবণের শেষ বিকেল। ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিল হাজারো ছাত্র-জনতা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে জড়ো হয়েছিল তারা। হাতে ছিল লাল-সবুজের পতাকা, চোখে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন।
০৪ আগস্ট ২০২৫
যশোরে মধ্যরাতে তানভীর হত্যার ঘটনায় দুই যুবককে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত একটি চাকু। মধ্যরাতে আনসার ক্যাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদেরকে আটক করা হয়েছে।
৩৬ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও হাটহাজারী ইটভাটা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. এমরান চৌধুরী (৩৮) নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া বুড়িপুকুরপাড় মসজিদ-সংলগ্ন হাটহাজারী-নাজিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। বাড়ির প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে তাঁরা ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের উত্তর রহিমাপুর এলাকায় এক মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায় (৬০)। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। বাড়ির প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে তাঁরা ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী দীপক চন্দ্র রায় জানান, তাঁর পরিবার ৪০-৫০ বছর ধরে যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়ি দেখাশোনা করেন। তিনি প্রতিদিন সকালে কাজ করতে সেখানে যান। আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত ঘর থেকে কেউ বের না হওয়ায় সন্দেহ হয়।
দীপক চন্দ্র রায় বলেন, ‘ডাকাডাকি করেও কোনো শব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজনকে ডাকি। এরপর মই বেয়ে ভেতরে ঢুকে দেখি ঘরে কেউ নেই। পরে ডাইনিং রুমের দরজা খুলে দেখি দাদুর রক্তাক্ত লাশ আর রান্না ঘরে দিদার লাশ পড়ে আছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, যোগেশ চন্দ্র রায় শিক্ষক ছিলেন। ২০১৭ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অবসরে যান। তাঁর দুই ছেলে। বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় জয়পুরহাটে এবং ছোট ছেলে রাজেশ খান্না চন্দ্র রায় ঢাকায় পুলিশে চাকরি করেন। গ্রামের বাড়িতে শুধু স্বামী-স্ত্রী থাকতেন।
খবর পেয়ে পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোনাব্বর হোসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
তারাগঞ্জ থানার এসআই মো. আবু ছাইয়ুম বলেন, ‘দুজনের মাথায় আঘাত করা হয়েছে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।’

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের উত্তর রহিমাপুর এলাকায় এক মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায় (৬০)। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। বাড়ির প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে তাঁরা ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী দীপক চন্দ্র রায় জানান, তাঁর পরিবার ৪০-৫০ বছর ধরে যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়ি দেখাশোনা করেন। তিনি প্রতিদিন সকালে কাজ করতে সেখানে যান। আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত ঘর থেকে কেউ বের না হওয়ায় সন্দেহ হয়।
দীপক চন্দ্র রায় বলেন, ‘ডাকাডাকি করেও কোনো শব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজনকে ডাকি। এরপর মই বেয়ে ভেতরে ঢুকে দেখি ঘরে কেউ নেই। পরে ডাইনিং রুমের দরজা খুলে দেখি দাদুর রক্তাক্ত লাশ আর রান্না ঘরে দিদার লাশ পড়ে আছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, যোগেশ চন্দ্র রায় শিক্ষক ছিলেন। ২০১৭ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অবসরে যান। তাঁর দুই ছেলে। বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় জয়পুরহাটে এবং ছোট ছেলে রাজেশ খান্না চন্দ্র রায় ঢাকায় পুলিশে চাকরি করেন। গ্রামের বাড়িতে শুধু স্বামী-স্ত্রী থাকতেন।
খবর পেয়ে পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোনাব্বর হোসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
তারাগঞ্জ থানার এসআই মো. আবু ছাইয়ুম বলেন, ‘দুজনের মাথায় আঘাত করা হয়েছে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।’

৪ আগস্ট ২০২৪, শ্রাবণের শেষ বিকেল। ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিল হাজারো ছাত্র-জনতা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে জড়ো হয়েছিল তারা। হাতে ছিল লাল-সবুজের পতাকা, চোখে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন।
০৪ আগস্ট ২০২৫
যশোরে মধ্যরাতে তানভীর হত্যার ঘটনায় দুই যুবককে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত একটি চাকু। মধ্যরাতে আনসার ক্যাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদেরকে আটক করা হয়েছে।
৩৬ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও হাটহাজারী ইটভাটা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. এমরান চৌধুরী (৩৮) নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া বুড়িপুকুরপাড় মসজিদ-সংলগ্ন হাটহাজারী-নাজিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাড়ির চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে