ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অহিদুজ্জামান অহিদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এতে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া নিশ্চিত হলো।
আজ রোববার বিকেল ৬টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন অহিদুজ্জামান।
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর প্রভাব বিস্তারের চিত্র তুলে ধরেন এবং ‘সংঘাত এড়াতে’ নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন।
তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর।
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আগামী ২১ মে এ উপজেলার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে অহিদুজ্জামান অহিদ ও মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর মনোনয়ন দাখিল করেন।
গত ২৩ এপ্রিল যাচাই–বাছাই অনুষ্ঠানে ওয়াদুদ মাতুব্বরের স্ত্রীর নামে লাভজনক প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন অহিদুজ্জামান। এ সময় ওয়াদুদ মাতুব্বরের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে তিনি আপিল করলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
এরপর একমাত্র প্রার্থী হিসেবে অহিদুজ্জামানকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ওয়াদুদ মাতুব্বর মনোনয়ন ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন।
হাইকোর্ট ৫ মে তাঁর রিট সরাসরি খারিজ করে দেন। পরে ওয়াদুদ মাতুব্বর আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ১৩ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত মনোনয়ন ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন অহিদুজ্জামান। কিন্তু আজ রোববার সে আবেদন খারিজ করে ওয়াদুদ মাতুব্বরের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন আদালত।
এ ঘটনার পর স্থানীয় সংসদ সদস্যকে দায়ী করে এবং এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন অহিদুজ্জামান অহিদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, চেয়ারম্যান প্রার্থীর পরিবারের কারও নামে উপজেলা পরিষদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো লাভজনক প্রতিষ্ঠান থাকা যাবে না। কিন্তু ওয়াদুদ চেয়ারম্যানের স্ত্রী রুমা আক্তার স্বত্বাধিকারী রাতুল এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওয়াদুদ মাতুব্বরের মেয়াদকালীন তাঁর স্ত্রীর লাইসেন্সে ২০২০–২১ এবং ২০২১–২২ অর্থ বছরে উপজেলার উন্নয়ন তহবিল, এডিবি এবং রাজস্ব তহবিলের অনেকগুলো প্রকল্পের কাজ করেছেন। যে কারণে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।
এরপর আপিল করলেও তাঁর স্ত্রীর নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্যতা পেয়ে মনোনয়ন বাতিল বহাল রাখেন জেলা প্রশাসক। এরপর প্রত্যাহারের তারিখ পর্যন্ত তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। পরে ১ মে আমাকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে আপিল করলে, আমি তাঁর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করেছিলাম।
নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়ে অহিদুজ্জামান বলেন, ‘চেম্বার আদালতে ওয়াদুদ মাতুব্বর রায় পাওয়ার পর তাঁর কর্মী–সমর্থকেরা এলাকায় যেভাবে ভীতি প্রদর্শন করেছেন, তাতে আমার নেতা–কর্মীরা এলাকায় ভয় পাচ্ছেন। আজ আমি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছি, আমি যদি নির্বাচন করতে যাই তাহলে এলাকায় দাঙ্গা–হাঙ্গামা বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমি নিজেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি, যেকোনো সময় আমার ওপর বড় ধরনে আক্রমণ হতে পারে। বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করতেছে তাতে আমি নিজেকে এবং নেতা–কর্মীদের নিরাপদে রাখার জন্য নির্বাচন বয়কট করছি এবং সরে দাঁড়াচ্ছি।’
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, ‘এমপি সাহেব ওয়াদুদ মাতুব্বরের পক্ষে কাজ করতেছেন। তাঁর আইনি লড়াইয়েও কাজ করেছেন এবং নেতা–কর্মীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি এমপি সাহেবের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াতে চাই না। নির্বাচন থেকে আমার সরে দাঁড়ানোর এটিই অন্যতম কারণ।’

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অহিদুজ্জামান অহিদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এতে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া নিশ্চিত হলো।
আজ রোববার বিকেল ৬টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন অহিদুজ্জামান।
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর প্রভাব বিস্তারের চিত্র তুলে ধরেন এবং ‘সংঘাত এড়াতে’ নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন।
তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর।
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আগামী ২১ মে এ উপজেলার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে অহিদুজ্জামান অহিদ ও মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর মনোনয়ন দাখিল করেন।
গত ২৩ এপ্রিল যাচাই–বাছাই অনুষ্ঠানে ওয়াদুদ মাতুব্বরের স্ত্রীর নামে লাভজনক প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন অহিদুজ্জামান। এ সময় ওয়াদুদ মাতুব্বরের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে তিনি আপিল করলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
এরপর একমাত্র প্রার্থী হিসেবে অহিদুজ্জামানকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ওয়াদুদ মাতুব্বর মনোনয়ন ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন।
হাইকোর্ট ৫ মে তাঁর রিট সরাসরি খারিজ করে দেন। পরে ওয়াদুদ মাতুব্বর আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ১৩ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত মনোনয়ন ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন অহিদুজ্জামান। কিন্তু আজ রোববার সে আবেদন খারিজ করে ওয়াদুদ মাতুব্বরের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন আদালত।
এ ঘটনার পর স্থানীয় সংসদ সদস্যকে দায়ী করে এবং এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন অহিদুজ্জামান অহিদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, চেয়ারম্যান প্রার্থীর পরিবারের কারও নামে উপজেলা পরিষদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো লাভজনক প্রতিষ্ঠান থাকা যাবে না। কিন্তু ওয়াদুদ চেয়ারম্যানের স্ত্রী রুমা আক্তার স্বত্বাধিকারী রাতুল এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওয়াদুদ মাতুব্বরের মেয়াদকালীন তাঁর স্ত্রীর লাইসেন্সে ২০২০–২১ এবং ২০২১–২২ অর্থ বছরে উপজেলার উন্নয়ন তহবিল, এডিবি এবং রাজস্ব তহবিলের অনেকগুলো প্রকল্পের কাজ করেছেন। যে কারণে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।
এরপর আপিল করলেও তাঁর স্ত্রীর নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্যতা পেয়ে মনোনয়ন বাতিল বহাল রাখেন জেলা প্রশাসক। এরপর প্রত্যাহারের তারিখ পর্যন্ত তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। পরে ১ মে আমাকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে আপিল করলে, আমি তাঁর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করেছিলাম।
নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়ে অহিদুজ্জামান বলেন, ‘চেম্বার আদালতে ওয়াদুদ মাতুব্বর রায় পাওয়ার পর তাঁর কর্মী–সমর্থকেরা এলাকায় যেভাবে ভীতি প্রদর্শন করেছেন, তাতে আমার নেতা–কর্মীরা এলাকায় ভয় পাচ্ছেন। আজ আমি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছি, আমি যদি নির্বাচন করতে যাই তাহলে এলাকায় দাঙ্গা–হাঙ্গামা বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমি নিজেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি, যেকোনো সময় আমার ওপর বড় ধরনে আক্রমণ হতে পারে। বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করতেছে তাতে আমি নিজেকে এবং নেতা–কর্মীদের নিরাপদে রাখার জন্য নির্বাচন বয়কট করছি এবং সরে দাঁড়াচ্ছি।’
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, ‘এমপি সাহেব ওয়াদুদ মাতুব্বরের পক্ষে কাজ করতেছেন। তাঁর আইনি লড়াইয়েও কাজ করেছেন এবং নেতা–কর্মীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি এমপি সাহেবের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াতে চাই না। নির্বাচন থেকে আমার সরে দাঁড়ানোর এটিই অন্যতম কারণ।’
ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অহিদুজ্জামান অহিদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এতে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া নিশ্চিত হলো।
আজ রোববার বিকেল ৬টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন অহিদুজ্জামান।
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর প্রভাব বিস্তারের চিত্র তুলে ধরেন এবং ‘সংঘাত এড়াতে’ নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন।
তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর।
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আগামী ২১ মে এ উপজেলার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে অহিদুজ্জামান অহিদ ও মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর মনোনয়ন দাখিল করেন।
গত ২৩ এপ্রিল যাচাই–বাছাই অনুষ্ঠানে ওয়াদুদ মাতুব্বরের স্ত্রীর নামে লাভজনক প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন অহিদুজ্জামান। এ সময় ওয়াদুদ মাতুব্বরের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে তিনি আপিল করলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
এরপর একমাত্র প্রার্থী হিসেবে অহিদুজ্জামানকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ওয়াদুদ মাতুব্বর মনোনয়ন ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন।
হাইকোর্ট ৫ মে তাঁর রিট সরাসরি খারিজ করে দেন। পরে ওয়াদুদ মাতুব্বর আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ১৩ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত মনোনয়ন ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন অহিদুজ্জামান। কিন্তু আজ রোববার সে আবেদন খারিজ করে ওয়াদুদ মাতুব্বরের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন আদালত।
এ ঘটনার পর স্থানীয় সংসদ সদস্যকে দায়ী করে এবং এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন অহিদুজ্জামান অহিদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, চেয়ারম্যান প্রার্থীর পরিবারের কারও নামে উপজেলা পরিষদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো লাভজনক প্রতিষ্ঠান থাকা যাবে না। কিন্তু ওয়াদুদ চেয়ারম্যানের স্ত্রী রুমা আক্তার স্বত্বাধিকারী রাতুল এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওয়াদুদ মাতুব্বরের মেয়াদকালীন তাঁর স্ত্রীর লাইসেন্সে ২০২০–২১ এবং ২০২১–২২ অর্থ বছরে উপজেলার উন্নয়ন তহবিল, এডিবি এবং রাজস্ব তহবিলের অনেকগুলো প্রকল্পের কাজ করেছেন। যে কারণে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।
এরপর আপিল করলেও তাঁর স্ত্রীর নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্যতা পেয়ে মনোনয়ন বাতিল বহাল রাখেন জেলা প্রশাসক। এরপর প্রত্যাহারের তারিখ পর্যন্ত তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। পরে ১ মে আমাকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে আপিল করলে, আমি তাঁর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করেছিলাম।
নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়ে অহিদুজ্জামান বলেন, ‘চেম্বার আদালতে ওয়াদুদ মাতুব্বর রায় পাওয়ার পর তাঁর কর্মী–সমর্থকেরা এলাকায় যেভাবে ভীতি প্রদর্শন করেছেন, তাতে আমার নেতা–কর্মীরা এলাকায় ভয় পাচ্ছেন। আজ আমি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছি, আমি যদি নির্বাচন করতে যাই তাহলে এলাকায় দাঙ্গা–হাঙ্গামা বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমি নিজেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি, যেকোনো সময় আমার ওপর বড় ধরনে আক্রমণ হতে পারে। বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করতেছে তাতে আমি নিজেকে এবং নেতা–কর্মীদের নিরাপদে রাখার জন্য নির্বাচন বয়কট করছি এবং সরে দাঁড়াচ্ছি।’
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, ‘এমপি সাহেব ওয়াদুদ মাতুব্বরের পক্ষে কাজ করতেছেন। তাঁর আইনি লড়াইয়েও কাজ করেছেন এবং নেতা–কর্মীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি এমপি সাহেবের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াতে চাই না। নির্বাচন থেকে আমার সরে দাঁড়ানোর এটিই অন্যতম কারণ।’

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অহিদুজ্জামান অহিদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এতে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া নিশ্চিত হলো।
আজ রোববার বিকেল ৬টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন অহিদুজ্জামান।
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর প্রভাব বিস্তারের চিত্র তুলে ধরেন এবং ‘সংঘাত এড়াতে’ নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন।
তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর।
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আগামী ২১ মে এ উপজেলার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে অহিদুজ্জামান অহিদ ও মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর মনোনয়ন দাখিল করেন।
গত ২৩ এপ্রিল যাচাই–বাছাই অনুষ্ঠানে ওয়াদুদ মাতুব্বরের স্ত্রীর নামে লাভজনক প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন অহিদুজ্জামান। এ সময় ওয়াদুদ মাতুব্বরের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে তিনি আপিল করলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
এরপর একমাত্র প্রার্থী হিসেবে অহিদুজ্জামানকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ওয়াদুদ মাতুব্বর মনোনয়ন ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন।
হাইকোর্ট ৫ মে তাঁর রিট সরাসরি খারিজ করে দেন। পরে ওয়াদুদ মাতুব্বর আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ১৩ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত মনোনয়ন ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন অহিদুজ্জামান। কিন্তু আজ রোববার সে আবেদন খারিজ করে ওয়াদুদ মাতুব্বরের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন আদালত।
এ ঘটনার পর স্থানীয় সংসদ সদস্যকে দায়ী করে এবং এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন অহিদুজ্জামান অহিদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, চেয়ারম্যান প্রার্থীর পরিবারের কারও নামে উপজেলা পরিষদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো লাভজনক প্রতিষ্ঠান থাকা যাবে না। কিন্তু ওয়াদুদ চেয়ারম্যানের স্ত্রী রুমা আক্তার স্বত্বাধিকারী রাতুল এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওয়াদুদ মাতুব্বরের মেয়াদকালীন তাঁর স্ত্রীর লাইসেন্সে ২০২০–২১ এবং ২০২১–২২ অর্থ বছরে উপজেলার উন্নয়ন তহবিল, এডিবি এবং রাজস্ব তহবিলের অনেকগুলো প্রকল্পের কাজ করেছেন। যে কারণে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।
এরপর আপিল করলেও তাঁর স্ত্রীর নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্যতা পেয়ে মনোনয়ন বাতিল বহাল রাখেন জেলা প্রশাসক। এরপর প্রত্যাহারের তারিখ পর্যন্ত তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। পরে ১ মে আমাকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে আপিল করলে, আমি তাঁর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করেছিলাম।
নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়ে অহিদুজ্জামান বলেন, ‘চেম্বার আদালতে ওয়াদুদ মাতুব্বর রায় পাওয়ার পর তাঁর কর্মী–সমর্থকেরা এলাকায় যেভাবে ভীতি প্রদর্শন করেছেন, তাতে আমার নেতা–কর্মীরা এলাকায় ভয় পাচ্ছেন। আজ আমি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছি, আমি যদি নির্বাচন করতে যাই তাহলে এলাকায় দাঙ্গা–হাঙ্গামা বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমি নিজেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি, যেকোনো সময় আমার ওপর বড় ধরনে আক্রমণ হতে পারে। বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করতেছে তাতে আমি নিজেকে এবং নেতা–কর্মীদের নিরাপদে রাখার জন্য নির্বাচন বয়কট করছি এবং সরে দাঁড়াচ্ছি।’
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, ‘এমপি সাহেব ওয়াদুদ মাতুব্বরের পক্ষে কাজ করতেছেন। তাঁর আইনি লড়াইয়েও কাজ করেছেন এবং নেতা–কর্মীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি এমপি সাহেবের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াতে চাই না। নির্বাচন থেকে আমার সরে দাঁড়ানোর এটিই অন্যতম কারণ।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা ও মহানগরের বিরোধ এখন তুঙ্গে। জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আওয়ামী দোসর অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে মাঠে নেমেছেন নগর আহ্বায়ক মোবাশ্বের আলীর অনুসারীরা।
২ ঘণ্টা আগে
কৃষি বিভাগের নানা প্রণোদনা, উঠান বৈঠক, প্রদর্শনী আর বীজ-সার সহায়তা সত্ত্বেও ঠাকুরগাঁও জেলায় গম চাষ উদ্বেগজনক হারে কমছে। গত পাঁচ মৌসুমে জেলায় গমের আবাদি জমি কমেছে ২৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের কান্দুরিয়া খাল। এই খাল তো সংরক্ষণ করা হচ্ছেই না, উল্টো সেখানে ফেলা হচ্ছে মেডিকেল বর্জ্য। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ৫০টির বেশি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে সেখানে।
২ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি আমনের মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা ও মহানগরের বিরোধ এখন তুঙ্গে। জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আওয়ামী দোসর অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে মাঠে নেমেছেন নগর আহ্বায়ক মোবাশ্বের আলীর অনুসারীরা।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে সাইফুলের ছবি ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ছড়িয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার ওপর দুই হাতে পিস্তল নিয়ে গুলি করা রুবেলের সঙ্গে একটি সংবাদ সম্মেলনে থাকার ভিডিও। তাই তাঁকে আওয়ামী দোসর আখ্যা দিয়ে তাঁর পদত্যাগ চাওয়া হচ্ছে।
গত ২৯ নভেম্বর এনসিপির জেলার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। এতে আহ্বায়ক করা হয় সাইফুল ইসলামকে। তখন থেকেই মহানগর নেতা মোবাশ্বের আলীর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব। এখন তা প্রকাশ্যে এসেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৯ নভেম্বর ১০৫ সদস্যবিশিষ্ট জেলা কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। পরদিন কয়েকজন জুলাই যোদ্ধা সংবাদ সম্মেলন করে সাইফুলের পদত্যাগ দাবি করেন। পরদিন পর্যটন মোটেলে পরিচিতি সভায় গিয়ে মহানগর যুবশক্তি ও ছাত্রশক্তির কিছু নেতা-কর্মী সভা পণ্ড করার চেষ্টা করেন। সেদিন সাইফুল ইসলামকে কারণ দেখিয়ে পাঁচজন পদত্যাগ করেন। বুধবার পদত্যাগ করেন আরও পাঁচজন।
এদিকে মহানগর ছাত্র ও যুবশক্তি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছুসংখ্যক জুলাই যোদ্ধা গত বুধবার সন্ধ্যায় নগরের চণ্ডীপুর কদমতলা মোড়ে মশাল মিছিল করেন। সাইফুলের কোচিং সেন্টারে তালা লাগিয়ে দেন।
সেদিন তাঁরা সাইফুলের পদত্যাগের দাবিতে এনসিপির মহানগর কার্যালয়ে তালা দেন। এতে কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন নগর আহ্বায়ক মোবাশ্বের। পরে রাতে তালা কেটে কার্যালয় থেকে বের হন তিনি। সেই রাতেই নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি এখন প্রাণসংশয়ে আছেন। নানা রকম হুমকির কথা জেনেছেন। তাঁর কিছু হলে নগর কমিটির নেতারা দায়ী থাকবেন।
নগর আহ্বায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জেলা আহ্বায়ক বলেন, ‘তিনি আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছেন। আগে ইনডিরেক্টলি তাঁর লোকজনকে আমার বিরুদ্ধে লাগিয়েছেন। এখন ডিরেক্টলি করছেন।’
জানতে চাইলে মোবাশ্বের আলী বলেন, সাইফুল ইসলাম চিহ্নিত আওয়ামী দোসর। কেন্দ্রকে সব বলেছি। এই ছেলেরা আন্দোলন করছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের দাবির সঙ্গে একমত।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা ও মহানগরের বিরোধ এখন তুঙ্গে। জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আওয়ামী দোসর অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে মাঠে নেমেছেন নগর আহ্বায়ক মোবাশ্বের আলীর অনুসারীরা।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে সাইফুলের ছবি ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ছড়িয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার ওপর দুই হাতে পিস্তল নিয়ে গুলি করা রুবেলের সঙ্গে একটি সংবাদ সম্মেলনে থাকার ভিডিও। তাই তাঁকে আওয়ামী দোসর আখ্যা দিয়ে তাঁর পদত্যাগ চাওয়া হচ্ছে।
গত ২৯ নভেম্বর এনসিপির জেলার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। এতে আহ্বায়ক করা হয় সাইফুল ইসলামকে। তখন থেকেই মহানগর নেতা মোবাশ্বের আলীর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব। এখন তা প্রকাশ্যে এসেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৯ নভেম্বর ১০৫ সদস্যবিশিষ্ট জেলা কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। পরদিন কয়েকজন জুলাই যোদ্ধা সংবাদ সম্মেলন করে সাইফুলের পদত্যাগ দাবি করেন। পরদিন পর্যটন মোটেলে পরিচিতি সভায় গিয়ে মহানগর যুবশক্তি ও ছাত্রশক্তির কিছু নেতা-কর্মী সভা পণ্ড করার চেষ্টা করেন। সেদিন সাইফুল ইসলামকে কারণ দেখিয়ে পাঁচজন পদত্যাগ করেন। বুধবার পদত্যাগ করেন আরও পাঁচজন।
এদিকে মহানগর ছাত্র ও যুবশক্তি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছুসংখ্যক জুলাই যোদ্ধা গত বুধবার সন্ধ্যায় নগরের চণ্ডীপুর কদমতলা মোড়ে মশাল মিছিল করেন। সাইফুলের কোচিং সেন্টারে তালা লাগিয়ে দেন।
সেদিন তাঁরা সাইফুলের পদত্যাগের দাবিতে এনসিপির মহানগর কার্যালয়ে তালা দেন। এতে কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন নগর আহ্বায়ক মোবাশ্বের। পরে রাতে তালা কেটে কার্যালয় থেকে বের হন তিনি। সেই রাতেই নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি এখন প্রাণসংশয়ে আছেন। নানা রকম হুমকির কথা জেনেছেন। তাঁর কিছু হলে নগর কমিটির নেতারা দায়ী থাকবেন।
নগর আহ্বায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জেলা আহ্বায়ক বলেন, ‘তিনি আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছেন। আগে ইনডিরেক্টলি তাঁর লোকজনকে আমার বিরুদ্ধে লাগিয়েছেন। এখন ডিরেক্টলি করছেন।’
জানতে চাইলে মোবাশ্বের আলী বলেন, সাইফুল ইসলাম চিহ্নিত আওয়ামী দোসর। কেন্দ্রকে সব বলেছি। এই ছেলেরা আন্দোলন করছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের দাবির সঙ্গে একমত।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অহিদুজ্জামান অহিদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার বিকেল ৬টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।
১৯ মে ২০২৪
কৃষি বিভাগের নানা প্রণোদনা, উঠান বৈঠক, প্রদর্শনী আর বীজ-সার সহায়তা সত্ত্বেও ঠাকুরগাঁও জেলায় গম চাষ উদ্বেগজনক হারে কমছে। গত পাঁচ মৌসুমে জেলায় গমের আবাদি জমি কমেছে ২৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের কান্দুরিয়া খাল। এই খাল তো সংরক্ষণ করা হচ্ছেই না, উল্টো সেখানে ফেলা হচ্ছে মেডিকেল বর্জ্য। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ৫০টির বেশি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে সেখানে।
২ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি আমনের মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেসাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও

কৃষি বিভাগের নানা প্রণোদনা, উঠান বৈঠক, প্রদর্শনী আর বীজ-সার সহায়তা সত্ত্বেও ঠাকুরগাঁও জেলায় গম চাষ উদ্বেগজনক হারে কমছে। গত পাঁচ মৌসুমে জেলায় গমের আবাদি জমি কমেছে ২৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর। কৃষকেরা বলছেন, ভুট্টা ও সরিষার মতো ফসল গমের চেয়ে কম খরচে বেশি লাভ দিচ্ছে বলে তাঁরা গম ছেড়ে অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ মৌসুমে জেলায় ৫০ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছিল, উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৬৮৫ টন। এর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে ২০২৪-২৫ মৌসুমে আবাদ নেমেছে ২১ হাজার ৫০ হেক্টরে; উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৮৩ হাজার ৬০৮ টন।
চলতি ২০২৫-২৬ রবি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৪৫ টন। কিন্তু ডিসেম্বরের শুরুতেই দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত আবাদ হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে। কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা মনে করছেন, গত মৌসুমের চেয়েও এবার লক্ষ্যমাত্রা অনেক কম পূরণ হবে।
এ নিয়ে কথা হয় সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কৃষক নূরে আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গমের জন্য লম্বা শীত লাগে। এখন শীত কমে গেছে, আবার বীজ ভালো পাওয়া যায় না, শ্রমিকও পাওয়া যায় না।
লাভও কম।’ একই এলাকার কৃষক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভুট্টায় সেচ কম লাগে, পরিচর্যা কম, খরচ কম। বিঘায় ৪০-৪৫ মণ ফলন হয়। গমে ১৩-১৪ মণ। দামও ভুট্টার ভালো পাই। তাই কয়েক বছর ধরে ভুট্টাতেই ঝুঁকছি।’
সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দেবেশ চন্দ্র রায় জানান, তিনি আগে ১০ বিঘা জমিতে গম করতেন। এখন পুরোটাই ভুট্টা।
‘বিঘায় খরচের দ্বিগুণের বেশি লাভ হয় ভুট্টায়। গমে লোকসানের ভয় থাকে। হরিপুর উপজেলার আমগাঁও ইউনিয়নের কৃষক জাহের আলী
বলেন, ‘আগে পাঁচ-ছয় বিঘা গম করতাম। এখন এক বিঘাও করি না। সব জমিতে ভুট্টা।’
জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসিরুল আলম বলেন, জেলায় মাছ, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার বেড়েছে ব্যাপক। প্রাণিখাদ্য তৈরিতে ভুট্টার চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে কৃষকেরা ভুট্টার দিকে ঝুঁকছেন। তিনি জানান, ভুট্টার প্রণোদনা এখন বন্ধ করে গমের প্রণোদনা বাড়ানো হয়েছে। চলতি মৌসুমে ২৭ হাজার ৫০০ কৃষককে ২৭ হাজার ৫০০ বিঘা জমির জন্য ২০ কেজি করে বীজ ও ২০ কেজি করে সার দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঠাকুরগাঁও জেলার উপপরিচালক মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষকেরা লাভের ফসলের দিকে যাচ্ছেন। গমের পরিবর্তে ভুট্টা ও সরিষায় ঝুঁকছেন। তবু গমের আবাদ বাড়াতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রণোদনার পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে।’
তবে কৃষকের মুখে একই কথা—লাভ না হলে প্রণোদনা দিয়েও গম চাষ বাড়ানো যাবে না।

কৃষি বিভাগের নানা প্রণোদনা, উঠান বৈঠক, প্রদর্শনী আর বীজ-সার সহায়তা সত্ত্বেও ঠাকুরগাঁও জেলায় গম চাষ উদ্বেগজনক হারে কমছে। গত পাঁচ মৌসুমে জেলায় গমের আবাদি জমি কমেছে ২৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর। কৃষকেরা বলছেন, ভুট্টা ও সরিষার মতো ফসল গমের চেয়ে কম খরচে বেশি লাভ দিচ্ছে বলে তাঁরা গম ছেড়ে অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ মৌসুমে জেলায় ৫০ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছিল, উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৬৮৫ টন। এর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে ২০২৪-২৫ মৌসুমে আবাদ নেমেছে ২১ হাজার ৫০ হেক্টরে; উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৮৩ হাজার ৬০৮ টন।
চলতি ২০২৫-২৬ রবি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৪৫ টন। কিন্তু ডিসেম্বরের শুরুতেই দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত আবাদ হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে। কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা মনে করছেন, গত মৌসুমের চেয়েও এবার লক্ষ্যমাত্রা অনেক কম পূরণ হবে।
এ নিয়ে কথা হয় সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কৃষক নূরে আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গমের জন্য লম্বা শীত লাগে। এখন শীত কমে গেছে, আবার বীজ ভালো পাওয়া যায় না, শ্রমিকও পাওয়া যায় না।
লাভও কম।’ একই এলাকার কৃষক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভুট্টায় সেচ কম লাগে, পরিচর্যা কম, খরচ কম। বিঘায় ৪০-৪৫ মণ ফলন হয়। গমে ১৩-১৪ মণ। দামও ভুট্টার ভালো পাই। তাই কয়েক বছর ধরে ভুট্টাতেই ঝুঁকছি।’
সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দেবেশ চন্দ্র রায় জানান, তিনি আগে ১০ বিঘা জমিতে গম করতেন। এখন পুরোটাই ভুট্টা।
‘বিঘায় খরচের দ্বিগুণের বেশি লাভ হয় ভুট্টায়। গমে লোকসানের ভয় থাকে। হরিপুর উপজেলার আমগাঁও ইউনিয়নের কৃষক জাহের আলী
বলেন, ‘আগে পাঁচ-ছয় বিঘা গম করতাম। এখন এক বিঘাও করি না। সব জমিতে ভুট্টা।’
জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসিরুল আলম বলেন, জেলায় মাছ, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার বেড়েছে ব্যাপক। প্রাণিখাদ্য তৈরিতে ভুট্টার চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে কৃষকেরা ভুট্টার দিকে ঝুঁকছেন। তিনি জানান, ভুট্টার প্রণোদনা এখন বন্ধ করে গমের প্রণোদনা বাড়ানো হয়েছে। চলতি মৌসুমে ২৭ হাজার ৫০০ কৃষককে ২৭ হাজার ৫০০ বিঘা জমির জন্য ২০ কেজি করে বীজ ও ২০ কেজি করে সার দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঠাকুরগাঁও জেলার উপপরিচালক মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষকেরা লাভের ফসলের দিকে যাচ্ছেন। গমের পরিবর্তে ভুট্টা ও সরিষায় ঝুঁকছেন। তবু গমের আবাদ বাড়াতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রণোদনার পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে।’
তবে কৃষকের মুখে একই কথা—লাভ না হলে প্রণোদনা দিয়েও গম চাষ বাড়ানো যাবে না।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অহিদুজ্জামান অহিদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার বিকেল ৬টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।
১৯ মে ২০২৪
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা ও মহানগরের বিরোধ এখন তুঙ্গে। জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আওয়ামী দোসর অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে মাঠে নেমেছেন নগর আহ্বায়ক মোবাশ্বের আলীর অনুসারীরা।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের কান্দুরিয়া খাল। এই খাল তো সংরক্ষণ করা হচ্ছেই না, উল্টো সেখানে ফেলা হচ্ছে মেডিকেল বর্জ্য। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ৫০টির বেশি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে সেখানে।
২ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি আমনের মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেমো. ইমরান হোসাইন,কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের কান্দুরিয়া খাল। এই খাল তো সংরক্ষণ করা হচ্ছেই না, উল্টো সেখানে ফেলা হচ্ছে মেডিকেল বর্জ্য। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ৫০টির বেশি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে সেখানে। এতে খালটি যেমন ভরাট হয়ে যাচ্ছে, তেমনি আশঙ্কা বাড়ছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির।
সম্প্রতি উপজেলার চাতরী টালেন মোড় ও কালাবিবি দিঘির মোড়ে কান্দুরিয়া খাল ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন কলকারখানা, হোটেল-রেস্তোরাঁর ময়লা বর্জ্যের সঙ্গে খালে ফেলা হয়েছে চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত জীবাণুযুক্ত তুলা, ব্যান্ডেজ, সুই, সিরিঞ্জ, কাচের বোতল বা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ। এসবের বেশির ভাগ পচে-গলে একাকার হয়ে আছে। স্থানীয়রা বলছেন, বৃষ্টি কিংবা পানির সঙ্গে পরে সেগুলো মিশছে নদী বা পার্শ্ববর্তী কৃষিজমিতে। এতে যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবুল মনসুর বলেন, খালটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। শুধু ক্লিনিক বা হাসপাতালের বর্জ্য নয়, উপজেলার বিভিন্ন কলকারখানার বর্জ্যও এই কান্দুরিয়া খালে ফেলা হয়। খালটি রক্ষায় গত বছর খননের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মোড় থেকে শুরু করে কালাবিবি দিঘিতে যেসব ক্লিনিক বা হাসপাতাল রয়েছে, সেসব ক্লিনিক ও হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা প্রতি রাতে বা ভোরে খালে ফেলেন এসব বর্জ্য। প্রতিবাদ করলে সড়কে কিংবা বাড়ি ও দোকানের আশপাশে ফেলে যান। এ বিষয়ে কারও নজর নেই।
স্থানীয় কৃষক পুলক দাশ বলেন, ‘একসময় খালটা ভরসা ছিল কৃষিকাজের পানির জন্য। এখন খাল শুধু নামে আছে। বিভিন্ন হাসপাতালের ময়লা ও মারাত্মক বর্জ্যের কারণে খালের পানি আর কৃষিকাজে আমরা ব্যবহার করতে পারি না।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা যায়, হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার নিয়ম থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না বছরের পর বছর। অনেককে খোলা জায়গা বা খালে এসব বর্জ্য ফেলতে দেখা যায়। উপজেলায় শতাধিক চিকিৎসকের চেম্বার রয়েছে। প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতালসহ অর্ধশতাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারও রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে বর্জ্য ফেলার কোনো স্থান নেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বর্জ্য নিয়ে যায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নগর সেবা নামের একটি সংস্থা।
এদিকে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও বর্জ্য আলাদাভাবে নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। গতকাল বুধবার বিকেলে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের পাশেই পরিত্যক্ত স্টাফ কোয়ার্টারের প্রবেশপথটি একটি ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। এখানে হাসপাতালের বর্জ্যসহ সব ধরনের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে যাওয়ার পথটি যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে বর্জ্য আলাদাভাবে নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। কিছু সময় পরপর নির্ধারিত স্থানে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এটি খুবই বিপজ্জনক। জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। আমি এ বিষয়ে অবগত ছিলাম না। এখন যেহেতু জেনেছি, বিষয়টা দ্রুত পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেব।’
কালাবিবি দিঘি এলাকার আনোয়ারা হলি হেলথ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম জামিল উদ্দিন চৌধুরী খালে বর্জ্য ফেলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘হাসপাতালে বর্জ্য তিন ধরনের। কিছু বর্জ্য পুড়ে এবং মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়, আর কিছু খালে। চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি হয় বর্জ্য অপসারণের জন্য। কিন্তু তারা কোনো স্থান না নেওয়ায় খালে ফেলতে হচ্ছে। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করব, এসব বর্জ্য ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্থান বা ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং চাতরী ইউনিয়নের প্রশাসক তাহমিনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাসপাতালের এসব বর্জ্য খালে ফেলা মারাত্মক অপরাধ এবং পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর। শিগগির এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের কান্দুরিয়া খাল। এই খাল তো সংরক্ষণ করা হচ্ছেই না, উল্টো সেখানে ফেলা হচ্ছে মেডিকেল বর্জ্য। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ৫০টির বেশি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে সেখানে। এতে খালটি যেমন ভরাট হয়ে যাচ্ছে, তেমনি আশঙ্কা বাড়ছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির।
সম্প্রতি উপজেলার চাতরী টালেন মোড় ও কালাবিবি দিঘির মোড়ে কান্দুরিয়া খাল ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন কলকারখানা, হোটেল-রেস্তোরাঁর ময়লা বর্জ্যের সঙ্গে খালে ফেলা হয়েছে চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত জীবাণুযুক্ত তুলা, ব্যান্ডেজ, সুই, সিরিঞ্জ, কাচের বোতল বা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ। এসবের বেশির ভাগ পচে-গলে একাকার হয়ে আছে। স্থানীয়রা বলছেন, বৃষ্টি কিংবা পানির সঙ্গে পরে সেগুলো মিশছে নদী বা পার্শ্ববর্তী কৃষিজমিতে। এতে যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবুল মনসুর বলেন, খালটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। শুধু ক্লিনিক বা হাসপাতালের বর্জ্য নয়, উপজেলার বিভিন্ন কলকারখানার বর্জ্যও এই কান্দুরিয়া খালে ফেলা হয়। খালটি রক্ষায় গত বছর খননের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মোড় থেকে শুরু করে কালাবিবি দিঘিতে যেসব ক্লিনিক বা হাসপাতাল রয়েছে, সেসব ক্লিনিক ও হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা প্রতি রাতে বা ভোরে খালে ফেলেন এসব বর্জ্য। প্রতিবাদ করলে সড়কে কিংবা বাড়ি ও দোকানের আশপাশে ফেলে যান। এ বিষয়ে কারও নজর নেই।
স্থানীয় কৃষক পুলক দাশ বলেন, ‘একসময় খালটা ভরসা ছিল কৃষিকাজের পানির জন্য। এখন খাল শুধু নামে আছে। বিভিন্ন হাসপাতালের ময়লা ও মারাত্মক বর্জ্যের কারণে খালের পানি আর কৃষিকাজে আমরা ব্যবহার করতে পারি না।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা যায়, হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার নিয়ম থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না বছরের পর বছর। অনেককে খোলা জায়গা বা খালে এসব বর্জ্য ফেলতে দেখা যায়। উপজেলায় শতাধিক চিকিৎসকের চেম্বার রয়েছে। প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতালসহ অর্ধশতাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারও রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে বর্জ্য ফেলার কোনো স্থান নেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বর্জ্য নিয়ে যায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নগর সেবা নামের একটি সংস্থা।
এদিকে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও বর্জ্য আলাদাভাবে নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। গতকাল বুধবার বিকেলে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের পাশেই পরিত্যক্ত স্টাফ কোয়ার্টারের প্রবেশপথটি একটি ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। এখানে হাসপাতালের বর্জ্যসহ সব ধরনের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে যাওয়ার পথটি যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে বর্জ্য আলাদাভাবে নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। কিছু সময় পরপর নির্ধারিত স্থানে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এটি খুবই বিপজ্জনক। জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। আমি এ বিষয়ে অবগত ছিলাম না। এখন যেহেতু জেনেছি, বিষয়টা দ্রুত পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেব।’
কালাবিবি দিঘি এলাকার আনোয়ারা হলি হেলথ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম জামিল উদ্দিন চৌধুরী খালে বর্জ্য ফেলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘হাসপাতালে বর্জ্য তিন ধরনের। কিছু বর্জ্য পুড়ে এবং মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়, আর কিছু খালে। চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি হয় বর্জ্য অপসারণের জন্য। কিন্তু তারা কোনো স্থান না নেওয়ায় খালে ফেলতে হচ্ছে। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করব, এসব বর্জ্য ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্থান বা ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং চাতরী ইউনিয়নের প্রশাসক তাহমিনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাসপাতালের এসব বর্জ্য খালে ফেলা মারাত্মক অপরাধ এবং পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর। শিগগির এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অহিদুজ্জামান অহিদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার বিকেল ৬টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।
১৯ মে ২০২৪
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা ও মহানগরের বিরোধ এখন তুঙ্গে। জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আওয়ামী দোসর অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে মাঠে নেমেছেন নগর আহ্বায়ক মোবাশ্বের আলীর অনুসারীরা।
২ ঘণ্টা আগে
কৃষি বিভাগের নানা প্রণোদনা, উঠান বৈঠক, প্রদর্শনী আর বীজ-সার সহায়তা সত্ত্বেও ঠাকুরগাঁও জেলায় গম চাষ উদ্বেগজনক হারে কমছে। গত পাঁচ মৌসুমে জেলায় গমের আবাদি জমি কমেছে ২৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর।
২ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি আমনের মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি আমনের মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০
থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি আমনের মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০
থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অহিদুজ্জামান অহিদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার বিকেল ৬টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।
১৯ মে ২০২৪
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা ও মহানগরের বিরোধ এখন তুঙ্গে। জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আওয়ামী দোসর অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে মাঠে নেমেছেন নগর আহ্বায়ক মোবাশ্বের আলীর অনুসারীরা।
২ ঘণ্টা আগে
কৃষি বিভাগের নানা প্রণোদনা, উঠান বৈঠক, প্রদর্শনী আর বীজ-সার সহায়তা সত্ত্বেও ঠাকুরগাঁও জেলায় গম চাষ উদ্বেগজনক হারে কমছে। গত পাঁচ মৌসুমে জেলায় গমের আবাদি জমি কমেছে ২৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের কান্দুরিয়া খাল। এই খাল তো সংরক্ষণ করা হচ্ছেই না, উল্টো সেখানে ফেলা হচ্ছে মেডিকেল বর্জ্য। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ৫০টির বেশি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে সেখানে।
২ ঘণ্টা আগে