ফারুক ছিদ্দিক, ঢাবি

শনিবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একদল তরুণ আরেক তরুণকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, বিজয় একাত্তর হল এবং জসীমুদ্দিন হল থেকে ওই তরুণের বন্ধুবান্ধব ছুটে আসেন। ঘটনাস্থলে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। এর মধ্যে মারধরকারী তরুণেরা সটকে পড়ে।
ঘটনার খোঁজখবর নিতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ক্যাম্পাসভিত্তিক উগ্র এক গ্রুপের সন্ধান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী আজকের পত্রিকা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র এলাকায় সব সময় ঘোরাঘুরি এমন একটি গ্রুপ নানা অপরাধে জড়িত থাকে। গ্রুপটিকে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্টদের শাস্তির আওতায় এনেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কেমন সেই গ্রুপ? কারাই বা সদস্য? সে ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে গিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে। তাঁদের মাধ্যমেই জানা গেল, গ্রুপে সক্রিয় যে কর্মীরা শনিবার রাতে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের সঙ্গে জড়িত তাঁদের পরিচয়। অবশ্য এখন তাঁরা কেউই ফোনকল ধরছেন না, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সক্রিয় নেই।
রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, কবি জসীমউদ্দিন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও বিজয় একাত্তর হলের মিলনস্থলে (হল চত্বর) মারধরের শিকার অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের ইবনে হুমায়ুন ২০২০-২১ সেশনের স্যার এ.এফ রহমান হলে থাকেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) নেওয়া হয়েছে।
জুবায়ের আজকের পত্রিকাকে জানান, কার্জন হলের সামনে অভিযুক্তরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাইক চালাচ্ছিল। তিনি এভাবে বাইক চালাতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে হলের কাছাকাছি পৌঁছালে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে জিয়াউর রহমান হলের তবারক তাঁর অবস্থান জানতে চান এবং দেখা করতে চান। অবস্থান জানালে তাৎক্ষণিকভাবে একদল শিক্ষার্থী এসে তাঁকে পেটাতে শুরু করে। পরে বন্ধুরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করান।
মারধরকারী ওই তরুণদের মধ্যে জিয়া হলের তবারক, মুহসীন হলের অর্ণব ও টুরিজম হসপিটালাটি ম্যানেজমেন্টের সিফরাত সাহিলকে চিনতে পেরেছেন জুবায়ের।
এই ঘটনার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ২০২০-২১ সেশনের একদল শিক্ষার্থী একটি গ্রুপ বানিয়েছেন, নাম দিয়েছেন ‘প্রলয়’। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশু চত্বরের পাশে তাঁদের নিয়মিত আড্ডা ও মাদক সেবনের স্থান। তাঁরা সে জায়গার নাম দিয়েছেন ‘নিকুম্ভিলা’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারের তৃতীয় তলার একটি কক্ষ তাঁদের আড্ডার স্থান (কার্যালয়)। ক্যাম্পাসে দল বেঁধে চলাফেরা করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংঘবদ্ধ আড্ডা, গল্প ও ঘোরাঘুরির ছবি পোস্ট করেন নিয়মিত।
এই গ্রুপের একসময় সক্রিয় সদস্য ছিলেন তারেক ( ছদ্মনাম)। তিনিও ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী। প্রথম বর্ষের শুরু থেকে হলে থাকেন, হলে ওঠার পর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন, রাতে ঘুরতেন, কখনো কখনো গাড়ি আটকিয়ে হাতিরঝিল যেতেন দল বেঁধে, কখনো ধানমন্ডি লেকে, কখনো পুরান ঢাকার রেস্তোরাঁয়।
এভাবেই ‘প্রলয়’ গ্রুপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তারেক। একসময় তাঁরা জড়িয়ে পড়েন মাদক, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির সঙ্গে।
পরে অবশ্য অনেকেই পরিবারের কথা ভেবে, পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারের স্বার্থে, কারও আবার গ্রুপের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।
তারেকও এক সময় বেরিয়ে আসেন। সেই গল্প বলেছেন আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদককে। তিনি বলেন, ‘প্রথম বর্ষের শুরুতে একাধিক গ্রুপ থাকে, ঘোরাঘুরি করার জন্য কিংবা রাতে আড্ডা দেওয়ার জন্য। আমাদের গ্রুপের নাম ছিল “প্রলয়”। প্রথমে আমরা সবাই মিলে রাতে আড্ডা দিতাম শহীদ মিনারে, টিএসসিতে কিংবা কার্জনে। আড্ডার পরে শুরু হয় র্যাগ দেওয়া, শহীদ মিনারে রাতে কাপল কাউকে দেখলে র্যাগ দেওয়া শুরু হয়। পরে আস্তে আস্তে গাঁজা খাওয়া শুরু হয়। পরে মদ কিংবা অন্যান্য নেশাদ্রব্য। আমি কখনো এসব খাইনি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে। তবে এখানে এসে শুরু করি। বিষয়টি আমার এলাকার এক বড় ভাই আমার পরিবারকে জানায়। একদিন মা ফোন দিয়ে বলে, বাবা! তোরে পড়ালেখা করার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছি, মদ-গাঁজা খাওয়ার জন্য না। এসব থেকে সরে এসে পড়াশোনা কর, সরকারি চাকরি কর।। মা আমার কাছ থেকে ওয়াদা নেয় যে, এসবে কখনো জড়াব না। মাকে কথা দেওয়ার পর আর এসবে যাইনি। আস্তে আস্তে সেই গ্যাংয়ের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাবেক এক সদস্য জানান, প্রত্যেক হল থেকে বাছাই করে শিক্ষার্থীদের নেওয়া হয়। শর্ত থাকে— মারামরি করতে হবে, নেশা করতে হবে, বিভিন্ন সময় ঐক্যবদ্ধ থেকে ক্যাম্পাসে বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরির করার মানসিকতা থাকতে হবে।
তারেকের মতো আরও কয়েকজন সাবেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘প্রলয়’ গ্রুপে আছেন—শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের হেদায়েতুন নুর, ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সৈয়দ নাসিফ ইমতিয়াজ, ইতিহাস বিভাগের বদরুজ্জামান সজীব, মার্কেটিং বিভাগের বিপ্লব হাসান জয় ও মোহাম্মদ শোভন, চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রিন্ট মেকিং বিভাগের শাহ আলম, তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাদমান তাওহিদ বর্ষণ, মাস্টারদা সূর্যসেন হলের তৌসিফ তাহমিদ অর্পন ও নাজমুল হোসাইন, কবি জসীমউদ্দিন হল ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাদ, ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের তাহমিদ ইকবাল মিরাজ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবু রায়হান, জগন্নাথ হলের প্রত্যয় সাহা, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র মাহিন মুনাওয়ার, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়নের তবারক, টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজেমেন্টের সিফরাত সাহিল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের অর্ণব খান। এরা গ্রুপে সবচেয়ে প্রভাবশালী। আবার সবাই ছাত্রলীগের হল রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
নাজমুল হোসাইন, তৌসিফ তাহমিদ অর্পণ ও মাহিন মুনাওয়ার ছাত্রলীগের হল শাখার পদে রয়েছেন। নাজমুল ও তৌসিফ মাস্টারদা সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সহসম্পাদক। আর মাহিন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সদস্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রশাসনকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই। পাশাপাশি যথোপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছাত্রলীগ অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ভূমিকা রাখবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী আজকের পত্রিকা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল এলাকায় সবসময় থেকে অপরাধে জড়ায় এমন একটি গ্রুপকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। আজ (শনিবার) যে ঘটনা ঘটছে সেটা হল প্রশাসনকে দেখতে বলা হয়েছে, তাঁরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।’
আরও খবর পড়ুন:

শনিবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একদল তরুণ আরেক তরুণকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, বিজয় একাত্তর হল এবং জসীমুদ্দিন হল থেকে ওই তরুণের বন্ধুবান্ধব ছুটে আসেন। ঘটনাস্থলে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। এর মধ্যে মারধরকারী তরুণেরা সটকে পড়ে।
ঘটনার খোঁজখবর নিতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ক্যাম্পাসভিত্তিক উগ্র এক গ্রুপের সন্ধান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী আজকের পত্রিকা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র এলাকায় সব সময় ঘোরাঘুরি এমন একটি গ্রুপ নানা অপরাধে জড়িত থাকে। গ্রুপটিকে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্টদের শাস্তির আওতায় এনেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কেমন সেই গ্রুপ? কারাই বা সদস্য? সে ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে গিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে। তাঁদের মাধ্যমেই জানা গেল, গ্রুপে সক্রিয় যে কর্মীরা শনিবার রাতে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের সঙ্গে জড়িত তাঁদের পরিচয়। অবশ্য এখন তাঁরা কেউই ফোনকল ধরছেন না, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সক্রিয় নেই।
রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, কবি জসীমউদ্দিন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও বিজয় একাত্তর হলের মিলনস্থলে (হল চত্বর) মারধরের শিকার অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের ইবনে হুমায়ুন ২০২০-২১ সেশনের স্যার এ.এফ রহমান হলে থাকেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) নেওয়া হয়েছে।
জুবায়ের আজকের পত্রিকাকে জানান, কার্জন হলের সামনে অভিযুক্তরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাইক চালাচ্ছিল। তিনি এভাবে বাইক চালাতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে হলের কাছাকাছি পৌঁছালে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে জিয়াউর রহমান হলের তবারক তাঁর অবস্থান জানতে চান এবং দেখা করতে চান। অবস্থান জানালে তাৎক্ষণিকভাবে একদল শিক্ষার্থী এসে তাঁকে পেটাতে শুরু করে। পরে বন্ধুরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করান।
মারধরকারী ওই তরুণদের মধ্যে জিয়া হলের তবারক, মুহসীন হলের অর্ণব ও টুরিজম হসপিটালাটি ম্যানেজমেন্টের সিফরাত সাহিলকে চিনতে পেরেছেন জুবায়ের।
এই ঘটনার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ২০২০-২১ সেশনের একদল শিক্ষার্থী একটি গ্রুপ বানিয়েছেন, নাম দিয়েছেন ‘প্রলয়’। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশু চত্বরের পাশে তাঁদের নিয়মিত আড্ডা ও মাদক সেবনের স্থান। তাঁরা সে জায়গার নাম দিয়েছেন ‘নিকুম্ভিলা’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারের তৃতীয় তলার একটি কক্ষ তাঁদের আড্ডার স্থান (কার্যালয়)। ক্যাম্পাসে দল বেঁধে চলাফেরা করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংঘবদ্ধ আড্ডা, গল্প ও ঘোরাঘুরির ছবি পোস্ট করেন নিয়মিত।
এই গ্রুপের একসময় সক্রিয় সদস্য ছিলেন তারেক ( ছদ্মনাম)। তিনিও ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী। প্রথম বর্ষের শুরু থেকে হলে থাকেন, হলে ওঠার পর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন, রাতে ঘুরতেন, কখনো কখনো গাড়ি আটকিয়ে হাতিরঝিল যেতেন দল বেঁধে, কখনো ধানমন্ডি লেকে, কখনো পুরান ঢাকার রেস্তোরাঁয়।
এভাবেই ‘প্রলয়’ গ্রুপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তারেক। একসময় তাঁরা জড়িয়ে পড়েন মাদক, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির সঙ্গে।
পরে অবশ্য অনেকেই পরিবারের কথা ভেবে, পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারের স্বার্থে, কারও আবার গ্রুপের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।
তারেকও এক সময় বেরিয়ে আসেন। সেই গল্প বলেছেন আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদককে। তিনি বলেন, ‘প্রথম বর্ষের শুরুতে একাধিক গ্রুপ থাকে, ঘোরাঘুরি করার জন্য কিংবা রাতে আড্ডা দেওয়ার জন্য। আমাদের গ্রুপের নাম ছিল “প্রলয়”। প্রথমে আমরা সবাই মিলে রাতে আড্ডা দিতাম শহীদ মিনারে, টিএসসিতে কিংবা কার্জনে। আড্ডার পরে শুরু হয় র্যাগ দেওয়া, শহীদ মিনারে রাতে কাপল কাউকে দেখলে র্যাগ দেওয়া শুরু হয়। পরে আস্তে আস্তে গাঁজা খাওয়া শুরু হয়। পরে মদ কিংবা অন্যান্য নেশাদ্রব্য। আমি কখনো এসব খাইনি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে। তবে এখানে এসে শুরু করি। বিষয়টি আমার এলাকার এক বড় ভাই আমার পরিবারকে জানায়। একদিন মা ফোন দিয়ে বলে, বাবা! তোরে পড়ালেখা করার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছি, মদ-গাঁজা খাওয়ার জন্য না। এসব থেকে সরে এসে পড়াশোনা কর, সরকারি চাকরি কর।। মা আমার কাছ থেকে ওয়াদা নেয় যে, এসবে কখনো জড়াব না। মাকে কথা দেওয়ার পর আর এসবে যাইনি। আস্তে আস্তে সেই গ্যাংয়ের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাবেক এক সদস্য জানান, প্রত্যেক হল থেকে বাছাই করে শিক্ষার্থীদের নেওয়া হয়। শর্ত থাকে— মারামরি করতে হবে, নেশা করতে হবে, বিভিন্ন সময় ঐক্যবদ্ধ থেকে ক্যাম্পাসে বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরির করার মানসিকতা থাকতে হবে।
তারেকের মতো আরও কয়েকজন সাবেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘প্রলয়’ গ্রুপে আছেন—শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের হেদায়েতুন নুর, ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সৈয়দ নাসিফ ইমতিয়াজ, ইতিহাস বিভাগের বদরুজ্জামান সজীব, মার্কেটিং বিভাগের বিপ্লব হাসান জয় ও মোহাম্মদ শোভন, চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রিন্ট মেকিং বিভাগের শাহ আলম, তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাদমান তাওহিদ বর্ষণ, মাস্টারদা সূর্যসেন হলের তৌসিফ তাহমিদ অর্পন ও নাজমুল হোসাইন, কবি জসীমউদ্দিন হল ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাদ, ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের তাহমিদ ইকবাল মিরাজ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবু রায়হান, জগন্নাথ হলের প্রত্যয় সাহা, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র মাহিন মুনাওয়ার, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়নের তবারক, টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজেমেন্টের সিফরাত সাহিল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের অর্ণব খান। এরা গ্রুপে সবচেয়ে প্রভাবশালী। আবার সবাই ছাত্রলীগের হল রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
নাজমুল হোসাইন, তৌসিফ তাহমিদ অর্পণ ও মাহিন মুনাওয়ার ছাত্রলীগের হল শাখার পদে রয়েছেন। নাজমুল ও তৌসিফ মাস্টারদা সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সহসম্পাদক। আর মাহিন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সদস্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রশাসনকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই। পাশাপাশি যথোপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছাত্রলীগ অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ভূমিকা রাখবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী আজকের পত্রিকা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল এলাকায় সবসময় থেকে অপরাধে জড়ায় এমন একটি গ্রুপকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। আজ (শনিবার) যে ঘটনা ঘটছে সেটা হল প্রশাসনকে দেখতে বলা হয়েছে, তাঁরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।’
আরও খবর পড়ুন:
ফারুক ছিদ্দিক, ঢাবি

শনিবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একদল তরুণ আরেক তরুণকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, বিজয় একাত্তর হল এবং জসীমুদ্দিন হল থেকে ওই তরুণের বন্ধুবান্ধব ছুটে আসেন। ঘটনাস্থলে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। এর মধ্যে মারধরকারী তরুণেরা সটকে পড়ে।
ঘটনার খোঁজখবর নিতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ক্যাম্পাসভিত্তিক উগ্র এক গ্রুপের সন্ধান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী আজকের পত্রিকা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র এলাকায় সব সময় ঘোরাঘুরি এমন একটি গ্রুপ নানা অপরাধে জড়িত থাকে। গ্রুপটিকে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্টদের শাস্তির আওতায় এনেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কেমন সেই গ্রুপ? কারাই বা সদস্য? সে ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে গিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে। তাঁদের মাধ্যমেই জানা গেল, গ্রুপে সক্রিয় যে কর্মীরা শনিবার রাতে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের সঙ্গে জড়িত তাঁদের পরিচয়। অবশ্য এখন তাঁরা কেউই ফোনকল ধরছেন না, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সক্রিয় নেই।
রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, কবি জসীমউদ্দিন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও বিজয় একাত্তর হলের মিলনস্থলে (হল চত্বর) মারধরের শিকার অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের ইবনে হুমায়ুন ২০২০-২১ সেশনের স্যার এ.এফ রহমান হলে থাকেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) নেওয়া হয়েছে।
জুবায়ের আজকের পত্রিকাকে জানান, কার্জন হলের সামনে অভিযুক্তরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাইক চালাচ্ছিল। তিনি এভাবে বাইক চালাতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে হলের কাছাকাছি পৌঁছালে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে জিয়াউর রহমান হলের তবারক তাঁর অবস্থান জানতে চান এবং দেখা করতে চান। অবস্থান জানালে তাৎক্ষণিকভাবে একদল শিক্ষার্থী এসে তাঁকে পেটাতে শুরু করে। পরে বন্ধুরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করান।
মারধরকারী ওই তরুণদের মধ্যে জিয়া হলের তবারক, মুহসীন হলের অর্ণব ও টুরিজম হসপিটালাটি ম্যানেজমেন্টের সিফরাত সাহিলকে চিনতে পেরেছেন জুবায়ের।
এই ঘটনার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ২০২০-২১ সেশনের একদল শিক্ষার্থী একটি গ্রুপ বানিয়েছেন, নাম দিয়েছেন ‘প্রলয়’। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশু চত্বরের পাশে তাঁদের নিয়মিত আড্ডা ও মাদক সেবনের স্থান। তাঁরা সে জায়গার নাম দিয়েছেন ‘নিকুম্ভিলা’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারের তৃতীয় তলার একটি কক্ষ তাঁদের আড্ডার স্থান (কার্যালয়)। ক্যাম্পাসে দল বেঁধে চলাফেরা করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংঘবদ্ধ আড্ডা, গল্প ও ঘোরাঘুরির ছবি পোস্ট করেন নিয়মিত।
এই গ্রুপের একসময় সক্রিয় সদস্য ছিলেন তারেক ( ছদ্মনাম)। তিনিও ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী। প্রথম বর্ষের শুরু থেকে হলে থাকেন, হলে ওঠার পর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন, রাতে ঘুরতেন, কখনো কখনো গাড়ি আটকিয়ে হাতিরঝিল যেতেন দল বেঁধে, কখনো ধানমন্ডি লেকে, কখনো পুরান ঢাকার রেস্তোরাঁয়।
এভাবেই ‘প্রলয়’ গ্রুপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তারেক। একসময় তাঁরা জড়িয়ে পড়েন মাদক, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির সঙ্গে।
পরে অবশ্য অনেকেই পরিবারের কথা ভেবে, পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারের স্বার্থে, কারও আবার গ্রুপের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।
তারেকও এক সময় বেরিয়ে আসেন। সেই গল্প বলেছেন আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদককে। তিনি বলেন, ‘প্রথম বর্ষের শুরুতে একাধিক গ্রুপ থাকে, ঘোরাঘুরি করার জন্য কিংবা রাতে আড্ডা দেওয়ার জন্য। আমাদের গ্রুপের নাম ছিল “প্রলয়”। প্রথমে আমরা সবাই মিলে রাতে আড্ডা দিতাম শহীদ মিনারে, টিএসসিতে কিংবা কার্জনে। আড্ডার পরে শুরু হয় র্যাগ দেওয়া, শহীদ মিনারে রাতে কাপল কাউকে দেখলে র্যাগ দেওয়া শুরু হয়। পরে আস্তে আস্তে গাঁজা খাওয়া শুরু হয়। পরে মদ কিংবা অন্যান্য নেশাদ্রব্য। আমি কখনো এসব খাইনি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে। তবে এখানে এসে শুরু করি। বিষয়টি আমার এলাকার এক বড় ভাই আমার পরিবারকে জানায়। একদিন মা ফোন দিয়ে বলে, বাবা! তোরে পড়ালেখা করার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছি, মদ-গাঁজা খাওয়ার জন্য না। এসব থেকে সরে এসে পড়াশোনা কর, সরকারি চাকরি কর।। মা আমার কাছ থেকে ওয়াদা নেয় যে, এসবে কখনো জড়াব না। মাকে কথা দেওয়ার পর আর এসবে যাইনি। আস্তে আস্তে সেই গ্যাংয়ের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাবেক এক সদস্য জানান, প্রত্যেক হল থেকে বাছাই করে শিক্ষার্থীদের নেওয়া হয়। শর্ত থাকে— মারামরি করতে হবে, নেশা করতে হবে, বিভিন্ন সময় ঐক্যবদ্ধ থেকে ক্যাম্পাসে বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরির করার মানসিকতা থাকতে হবে।
তারেকের মতো আরও কয়েকজন সাবেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘প্রলয়’ গ্রুপে আছেন—শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের হেদায়েতুন নুর, ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সৈয়দ নাসিফ ইমতিয়াজ, ইতিহাস বিভাগের বদরুজ্জামান সজীব, মার্কেটিং বিভাগের বিপ্লব হাসান জয় ও মোহাম্মদ শোভন, চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রিন্ট মেকিং বিভাগের শাহ আলম, তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাদমান তাওহিদ বর্ষণ, মাস্টারদা সূর্যসেন হলের তৌসিফ তাহমিদ অর্পন ও নাজমুল হোসাইন, কবি জসীমউদ্দিন হল ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাদ, ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের তাহমিদ ইকবাল মিরাজ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবু রায়হান, জগন্নাথ হলের প্রত্যয় সাহা, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র মাহিন মুনাওয়ার, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়নের তবারক, টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজেমেন্টের সিফরাত সাহিল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের অর্ণব খান। এরা গ্রুপে সবচেয়ে প্রভাবশালী। আবার সবাই ছাত্রলীগের হল রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
নাজমুল হোসাইন, তৌসিফ তাহমিদ অর্পণ ও মাহিন মুনাওয়ার ছাত্রলীগের হল শাখার পদে রয়েছেন। নাজমুল ও তৌসিফ মাস্টারদা সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সহসম্পাদক। আর মাহিন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সদস্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রশাসনকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই। পাশাপাশি যথোপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছাত্রলীগ অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ভূমিকা রাখবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী আজকের পত্রিকা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল এলাকায় সবসময় থেকে অপরাধে জড়ায় এমন একটি গ্রুপকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। আজ (শনিবার) যে ঘটনা ঘটছে সেটা হল প্রশাসনকে দেখতে বলা হয়েছে, তাঁরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।’
আরও খবর পড়ুন:

শনিবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একদল তরুণ আরেক তরুণকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, বিজয় একাত্তর হল এবং জসীমুদ্দিন হল থেকে ওই তরুণের বন্ধুবান্ধব ছুটে আসেন। ঘটনাস্থলে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। এর মধ্যে মারধরকারী তরুণেরা সটকে পড়ে।
ঘটনার খোঁজখবর নিতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ক্যাম্পাসভিত্তিক উগ্র এক গ্রুপের সন্ধান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী আজকের পত্রিকা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র এলাকায় সব সময় ঘোরাঘুরি এমন একটি গ্রুপ নানা অপরাধে জড়িত থাকে। গ্রুপটিকে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্টদের শাস্তির আওতায় এনেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কেমন সেই গ্রুপ? কারাই বা সদস্য? সে ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে গিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে। তাঁদের মাধ্যমেই জানা গেল, গ্রুপে সক্রিয় যে কর্মীরা শনিবার রাতে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের সঙ্গে জড়িত তাঁদের পরিচয়। অবশ্য এখন তাঁরা কেউই ফোনকল ধরছেন না, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সক্রিয় নেই।
রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, কবি জসীমউদ্দিন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও বিজয় একাত্তর হলের মিলনস্থলে (হল চত্বর) মারধরের শিকার অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের ইবনে হুমায়ুন ২০২০-২১ সেশনের স্যার এ.এফ রহমান হলে থাকেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) নেওয়া হয়েছে।
জুবায়ের আজকের পত্রিকাকে জানান, কার্জন হলের সামনে অভিযুক্তরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাইক চালাচ্ছিল। তিনি এভাবে বাইক চালাতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে হলের কাছাকাছি পৌঁছালে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে জিয়াউর রহমান হলের তবারক তাঁর অবস্থান জানতে চান এবং দেখা করতে চান। অবস্থান জানালে তাৎক্ষণিকভাবে একদল শিক্ষার্থী এসে তাঁকে পেটাতে শুরু করে। পরে বন্ধুরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করান।
মারধরকারী ওই তরুণদের মধ্যে জিয়া হলের তবারক, মুহসীন হলের অর্ণব ও টুরিজম হসপিটালাটি ম্যানেজমেন্টের সিফরাত সাহিলকে চিনতে পেরেছেন জুবায়ের।
এই ঘটনার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ২০২০-২১ সেশনের একদল শিক্ষার্থী একটি গ্রুপ বানিয়েছেন, নাম দিয়েছেন ‘প্রলয়’। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশু চত্বরের পাশে তাঁদের নিয়মিত আড্ডা ও মাদক সেবনের স্থান। তাঁরা সে জায়গার নাম দিয়েছেন ‘নিকুম্ভিলা’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারের তৃতীয় তলার একটি কক্ষ তাঁদের আড্ডার স্থান (কার্যালয়)। ক্যাম্পাসে দল বেঁধে চলাফেরা করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংঘবদ্ধ আড্ডা, গল্প ও ঘোরাঘুরির ছবি পোস্ট করেন নিয়মিত।
এই গ্রুপের একসময় সক্রিয় সদস্য ছিলেন তারেক ( ছদ্মনাম)। তিনিও ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী। প্রথম বর্ষের শুরু থেকে হলে থাকেন, হলে ওঠার পর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন, রাতে ঘুরতেন, কখনো কখনো গাড়ি আটকিয়ে হাতিরঝিল যেতেন দল বেঁধে, কখনো ধানমন্ডি লেকে, কখনো পুরান ঢাকার রেস্তোরাঁয়।
এভাবেই ‘প্রলয়’ গ্রুপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তারেক। একসময় তাঁরা জড়িয়ে পড়েন মাদক, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির সঙ্গে।
পরে অবশ্য অনেকেই পরিবারের কথা ভেবে, পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারের স্বার্থে, কারও আবার গ্রুপের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।
তারেকও এক সময় বেরিয়ে আসেন। সেই গল্প বলেছেন আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদককে। তিনি বলেন, ‘প্রথম বর্ষের শুরুতে একাধিক গ্রুপ থাকে, ঘোরাঘুরি করার জন্য কিংবা রাতে আড্ডা দেওয়ার জন্য। আমাদের গ্রুপের নাম ছিল “প্রলয়”। প্রথমে আমরা সবাই মিলে রাতে আড্ডা দিতাম শহীদ মিনারে, টিএসসিতে কিংবা কার্জনে। আড্ডার পরে শুরু হয় র্যাগ দেওয়া, শহীদ মিনারে রাতে কাপল কাউকে দেখলে র্যাগ দেওয়া শুরু হয়। পরে আস্তে আস্তে গাঁজা খাওয়া শুরু হয়। পরে মদ কিংবা অন্যান্য নেশাদ্রব্য। আমি কখনো এসব খাইনি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে। তবে এখানে এসে শুরু করি। বিষয়টি আমার এলাকার এক বড় ভাই আমার পরিবারকে জানায়। একদিন মা ফোন দিয়ে বলে, বাবা! তোরে পড়ালেখা করার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছি, মদ-গাঁজা খাওয়ার জন্য না। এসব থেকে সরে এসে পড়াশোনা কর, সরকারি চাকরি কর।। মা আমার কাছ থেকে ওয়াদা নেয় যে, এসবে কখনো জড়াব না। মাকে কথা দেওয়ার পর আর এসবে যাইনি। আস্তে আস্তে সেই গ্যাংয়ের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাবেক এক সদস্য জানান, প্রত্যেক হল থেকে বাছাই করে শিক্ষার্থীদের নেওয়া হয়। শর্ত থাকে— মারামরি করতে হবে, নেশা করতে হবে, বিভিন্ন সময় ঐক্যবদ্ধ থেকে ক্যাম্পাসে বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরির করার মানসিকতা থাকতে হবে।
তারেকের মতো আরও কয়েকজন সাবেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘প্রলয়’ গ্রুপে আছেন—শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের হেদায়েতুন নুর, ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সৈয়দ নাসিফ ইমতিয়াজ, ইতিহাস বিভাগের বদরুজ্জামান সজীব, মার্কেটিং বিভাগের বিপ্লব হাসান জয় ও মোহাম্মদ শোভন, চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রিন্ট মেকিং বিভাগের শাহ আলম, তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাদমান তাওহিদ বর্ষণ, মাস্টারদা সূর্যসেন হলের তৌসিফ তাহমিদ অর্পন ও নাজমুল হোসাইন, কবি জসীমউদ্দিন হল ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাদ, ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের তাহমিদ ইকবাল মিরাজ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবু রায়হান, জগন্নাথ হলের প্রত্যয় সাহা, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র মাহিন মুনাওয়ার, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়নের তবারক, টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজেমেন্টের সিফরাত সাহিল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের অর্ণব খান। এরা গ্রুপে সবচেয়ে প্রভাবশালী। আবার সবাই ছাত্রলীগের হল রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
নাজমুল হোসাইন, তৌসিফ তাহমিদ অর্পণ ও মাহিন মুনাওয়ার ছাত্রলীগের হল শাখার পদে রয়েছেন। নাজমুল ও তৌসিফ মাস্টারদা সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সহসম্পাদক। আর মাহিন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সদস্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রশাসনকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই। পাশাপাশি যথোপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছাত্রলীগ অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ভূমিকা রাখবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী আজকের পত্রিকা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল এলাকায় সবসময় থেকে অপরাধে জড়ায় এমন একটি গ্রুপকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। আজ (শনিবার) যে ঘটনা ঘটছে সেটা হল প্রশাসনকে দেখতে বলা হয়েছে, তাঁরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।’
আরও খবর পড়ুন:

গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একদল তরুণ আরেক তরুণকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, বিজয় একাত্তর হল এবং জসীমুদ্দিন হল থেকে ওই তরুণের বন্ধুবান্ধব ছুটে আসেন। ঘটনাস্থলে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। এর মধ্যে মারধরকারী তরুণেরা সটকে পড়ে।
২৬ মার্চ ২০২৩
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একদল তরুণ আরেক তরুণকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, বিজয় একাত্তর হল এবং জসীমুদ্দিন হল থেকে ওই তরুণের বন্ধুবান্ধব ছুটে আসেন। ঘটনাস্থলে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। এর মধ্যে মারধরকারী তরুণেরা সটকে পড়ে।
২৬ মার্চ ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একদল তরুণ আরেক তরুণকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, বিজয় একাত্তর হল এবং জসীমুদ্দিন হল থেকে ওই তরুণের বন্ধুবান্ধব ছুটে আসেন। ঘটনাস্থলে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। এর মধ্যে মারধরকারী তরুণেরা সটকে পড়ে।
২৬ মার্চ ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একদল তরুণ আরেক তরুণকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, বিজয় একাত্তর হল এবং জসীমুদ্দিন হল থেকে ওই তরুণের বন্ধুবান্ধব ছুটে আসেন। ঘটনাস্থলে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। এর মধ্যে মারধরকারী তরুণেরা সটকে পড়ে।
২৬ মার্চ ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে