শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৫টার দিকে জাজিরা থানা ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিজ শয়নকক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহে উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে বেলা ১১টা থেকে ১টার মধ্যে থানা ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিজ শয়নকক্ষের জানালার গ্রিলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওসি আল আমিন। এর পর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাঁর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। ঢাকা থেকে সিআইডির ফরেনসিক টিম এসে মরদেহ নামিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শেখ শরিফুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আল আমিনের বাড়ি বরিশালের মুলাদীতে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি জাজিরা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।
ওসি আল আমিনের মৃত্যুর খবরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর একটি টিমসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দ্রুত জাজিরা থানায় যান। তাঁরা থানা ভবনে অবস্থান করেন। ঘটনার পর থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তা ব্যতীত কাউকে থানার মধ্যে প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। থানার গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গণমাধ্যমকর্মীসহ উৎসুক জনতা থানার গেটের সামনে ভিড় করেন।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টা থেকে ১টার মধ্যে যেকোনো সময় জাজিরা থানার নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ইন্সপেকশন বাংলো (পদ্মা) রুমের মধ্যে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল আমিনের লাশ জানালার গ্রিলের সঙ্গে গামছায় ঝুলে থাকতে দেখা যায়। তাঁর পায়ের সঙ্গে লাগোয়া চেয়ার দেখা যায়।
সর্বশেষ বেলা ১১টার দিকে থানার কনস্টেবল আজিজুল হক অফিসের কাগজপত্র সিগনেচারে জন্য ওসি আল আমিনকে ফোন করলে তিনি জানান যে তাঁর অফিসে যেতে একটু দেরি হবে। এরপর সে অফিসে না যাওয়ায় জাজিরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আ. ছালাম থানার দ্বিতীয় তলায় ওসির রুমে গেলে রুমের দরজা খোলা কিন্তু চাপানো অবস্থায় দেখতে পান।
দরজা ধাক্কা দিয়ে রুমে ঢুকে জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ওসি আল আমিনের মরদেহ দেখতে পেয়ে থানার ডিউটি অফিসারসহ অন্য অফিসারদের জানান পরিদর্শক (তদন্ত) আ. ছালাম।
এরপর পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন অফিসারকে বিষয়টি অবগত করেন তিনি।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), ডিআই ওয়ান ও ওসি ডিবি দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসি ল্যান্ড, জাজিরা হাসপাতালের টিএইচও এবং আরএমওকে সঙ্গে নিয়ে থানার দ্বিতীয় তলায় ওসি আল আমিনের মরদেহ থাকার রুমে প্রবেশ করেন। মৃত্যুর সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত, ময়নাতদন্তসহ অন্যান্য আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শেখ শরিফুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাজিরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আ. ছালাম বেলা ১টা ৮ মিনিটে ফোন করে পুলিশ সুপারকে ঘটনা জানান। এরপর আমরা সবাই জানতে পারি। ঘটনা জানার পর পুলিশ সুপারসহ আমরা জাজিরা থানায় চলে আসি। পরে ইউএনও, এসি ল্যান্ড, টিএইচওসহ পুলিশ সুপার ওসি আল আমিনের কক্ষে গিয়ে তাঁর মরদেহ জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
‘পরে সিআইডির ফরেনসিক টিম আসার পর সন্ধ্যার দিকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ইউএনও, এসি ল্যান্ড, চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যের উপস্থিততে মরদেহ নামিয়ে সুরতহাল তৈরি করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে দেখে আমাদের সকলের মনে হয়েছে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’
শরীয়তপুরের জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৫টার দিকে জাজিরা থানা ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিজ শয়নকক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহে উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে বেলা ১১টা থেকে ১টার মধ্যে থানা ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিজ শয়নকক্ষের জানালার গ্রিলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওসি আল আমিন। এর পর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাঁর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। ঢাকা থেকে সিআইডির ফরেনসিক টিম এসে মরদেহ নামিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শেখ শরিফুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আল আমিনের বাড়ি বরিশালের মুলাদীতে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি জাজিরা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।
ওসি আল আমিনের মৃত্যুর খবরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর একটি টিমসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দ্রুত জাজিরা থানায় যান। তাঁরা থানা ভবনে অবস্থান করেন। ঘটনার পর থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তা ব্যতীত কাউকে থানার মধ্যে প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। থানার গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গণমাধ্যমকর্মীসহ উৎসুক জনতা থানার গেটের সামনে ভিড় করেন।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টা থেকে ১টার মধ্যে যেকোনো সময় জাজিরা থানার নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ইন্সপেকশন বাংলো (পদ্মা) রুমের মধ্যে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল আমিনের লাশ জানালার গ্রিলের সঙ্গে গামছায় ঝুলে থাকতে দেখা যায়। তাঁর পায়ের সঙ্গে লাগোয়া চেয়ার দেখা যায়।
সর্বশেষ বেলা ১১টার দিকে থানার কনস্টেবল আজিজুল হক অফিসের কাগজপত্র সিগনেচারে জন্য ওসি আল আমিনকে ফোন করলে তিনি জানান যে তাঁর অফিসে যেতে একটু দেরি হবে। এরপর সে অফিসে না যাওয়ায় জাজিরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আ. ছালাম থানার দ্বিতীয় তলায় ওসির রুমে গেলে রুমের দরজা খোলা কিন্তু চাপানো অবস্থায় দেখতে পান।
দরজা ধাক্কা দিয়ে রুমে ঢুকে জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ওসি আল আমিনের মরদেহ দেখতে পেয়ে থানার ডিউটি অফিসারসহ অন্য অফিসারদের জানান পরিদর্শক (তদন্ত) আ. ছালাম।
এরপর পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন অফিসারকে বিষয়টি অবগত করেন তিনি।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), ডিআই ওয়ান ও ওসি ডিবি দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসি ল্যান্ড, জাজিরা হাসপাতালের টিএইচও এবং আরএমওকে সঙ্গে নিয়ে থানার দ্বিতীয় তলায় ওসি আল আমিনের মরদেহ থাকার রুমে প্রবেশ করেন। মৃত্যুর সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত, ময়নাতদন্তসহ অন্যান্য আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শেখ শরিফুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাজিরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আ. ছালাম বেলা ১টা ৮ মিনিটে ফোন করে পুলিশ সুপারকে ঘটনা জানান। এরপর আমরা সবাই জানতে পারি। ঘটনা জানার পর পুলিশ সুপারসহ আমরা জাজিরা থানায় চলে আসি। পরে ইউএনও, এসি ল্যান্ড, টিএইচওসহ পুলিশ সুপার ওসি আল আমিনের কক্ষে গিয়ে তাঁর মরদেহ জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
‘পরে সিআইডির ফরেনসিক টিম আসার পর সন্ধ্যার দিকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ইউএনও, এসি ল্যান্ড, চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যের উপস্থিততে মরদেহ নামিয়ে সুরতহাল তৈরি করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে দেখে আমাদের সকলের মনে হয়েছে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বীরমঙ্গল উচ্চবিদ্যালয়ের পাঁচতলা ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। দেড় বছরের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চার বছরের দ্বারপ্রান্তে এসেও তা শেষ হয়নি। অথচ বিলের সিংহভাগ টাকাই তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার। এই অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের
৩ ঘণ্টা আগেক্যানসার চিকিৎসায় সরকারি পর্যায়ে দেশের একমাত্র বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (এনআইসিআরএইচ) ছয়টি রেডিওথেরাপি যন্ত্রই নষ্ট। ফলে তিন সপ্তাহ ধরে এই প্রতিষ্ঠানে রেডিওথেরাপি সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে প্রতিদিন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দুই শতাধিক রোগী।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রায় ১০ একর জায়গাজুড়ে একের পর এক টিলা নিয়ে চট্টগ্রামের নাগিন পাহাড়। বছরের পর বছর এই পাহাড়ের ওপর এক্সকাভেটর ও কোদালের কোপ পড়ার পর এখন নিশ্চিহ্নপ্রায়। অভিযোগ রয়েছে, তৎকালীন সরকারের সময়ই ঐতিহ্যবাহী এ পাহাড় কেটে প্রায় নিশ্চিহ্ন করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। পাহাড় কেটে গড়ে তোলা হয়েছে আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডের কম্পিউটার ব্যবসায়ীর ওপর হামলার ঘটনার নেপথ্যে ঢাকার দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর দ্বন্দ্ব। মার্কেট দখলকে কেন্দ্র করে শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল হক ইমন ও ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলালের অনুসারীরা এই দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে