Ajker Patrika

বিদ্যুৎ সংকটে আইপিএস এখন সোনার হরিণ

আমিনুল ইসলাম নাবিল, ঢাকা
বিদ্যুৎ সংকটে আইপিএস এখন সোনার হরিণ

সারা দেশে ঘোষণা দিয়ে নতুন করে লোডশেডিং শুরু হয়েছে। শহর থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত এই লোডশেডিং চলছে। প্রশাসনের তরফ থেকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য নাগরিকদের অনুরোধ করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে এ সম্পর্কিত নানা উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যাদের সামর্থ্য আছে, তারা বিকল্প শক্তির উৎসও খুঁজে বের করছে। এর মধ্যে মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রথম পছন্দ ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই বা আইপিএস। কিন্তু বর্ধিত চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঠিক পেরে উঠছে না সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এক কথায় বলা যায় দেশের বাজারে আইপিএস রীতিমতো সোনার হরিণ হয়ে গেছে। 

‘আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ যায় না বরং মাঝে মাঝে আসে।’ বিদ্যুৎবিভ্রাটে অতিষ্ঠ হয়ে একসময় মানুষ এভাবেই নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করত। বর্তমান পরিস্থিতি এখনো অবশ্য সে পর্যায়ে পৌঁছায়নি। তবে মানুষ তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করছে। শ্রেণিভেদে মোম, চার্জার লাইট ও ফ্যান এবং আইপিএসের চাহিদা বেড়েছে। বাজারে মোম বা চার্জার লাইট ও ফ্যানের জোগান থাকলেও চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে এসবের দাম। কিন্তু আইপিএসের ক্ষেত্রে ঘটনাটি এত সরল নয়। 

আগেই বলা হয়েছে আইপিএস এখন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের প্রভাবে দেশে বিদ্যুৎবিভ্রাট বৃদ্ধি পাওয়ায় সামর্থ্যবান মানুষেরা এখন হন্যে হয়ে আইপিএস খুঁজছে। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আইপিএস কিনতে পারছেন না ক্রেতারা। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে আইপিএসের সংকট রয়েছে। হাতেগোনা কিছু আইপিএস পাওয়া গেলেও দাম বেশ চড়া। কন্ট্রোল ইউনিট পাওয়া গেলে ব্যাটারি পাওয়া যায় না, আবার ব্যাটারি পাওয়া গেলে মেলে না কন্ট্রোল ইউনিট। 

ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে। ছবি: ইন্দ্রজিৎ কুমার ঘোষ

দেশের বাজারে ১৯৯৩ সালে প্রথম আইপিএস আনে রহিম আফরোজ গ্রুপ। রহিম আফরোজ ছাড়াও সিঙ্গার, বাটারফ্লাই, নাভানা, হ্যামকো, সনি, ফিলিপস, স্যামসাং, অনিক ব্রান্ডের আইপিএস দেশের বাজারে জনপ্রিয় হয়। স্থানীয় বাজারে আইপিএস ব্যবসা বেশ জমে ওঠে। কিন্তু দেশ বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় প্রেক্ষাপট বদলাতে থাকে। একসময়কার জমজমাট আইপিএস ব্যবসায় ভাটার টান পড়ে। কিন্তু এখন সে বাজারে আবার জোয়ার এসেছে। অনেকেই এখন আইপিএস কিনছেন বা কেনার চেষ্টা করছেন। 

বিদ্যুৎবিভ্রাটে অতিষ্ঠ হয়ে সম্প্রতি আইপিএস কিনেছেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী জামাল উদ্দিন। রাজধানীর বনশ্রীর এই বাসিন্দা বলেন, ‘ডিপিডিসি ও ডেসকো বিদ্যুৎবিভ্রাটের যে সময় বেঁধে দিয়েছে, সেই শিডিউল মানা হচ্ছে না। রাত-দিন নেই, যখন-তখন বিদ্যুৎ যায় আর আসে। বাড়িতে বয়স্ক মা আছেন। তাই বাধ্য হয়েই আইপিএস কিনতে হয়েছে। ব্রান্ডের শোরুমে গিয়ে আইপিএস পাইনি। বাধ্য হয়ে লোকাল মার্কেটে ঘুরে আইপিএস কিনেছি।’ 

জামাল উদ্দিন বলেন, ‘ব্রান্ডের শোরুমে আইপিএস কিনতে গিয়েছিলাম। তারা বলেছে, আগামী কয়েক মাসেও বাজারে পর্যাপ্ত আইপিএস আসার তেমন সম্ভাবনা নেই। বাজারে আইপিএস এলেও দাম বাড়তি থাকতে পারে।’ 

জামাল উদ্দিন না হয় স্থানীয় পর্যায় থেকে কিনতে পেরেছেন, কিন্তু রাজধানীর পুরান ঢাকার বাসিন্দা হাসমত আলী চেষ্টা করেও এখনো কিনতে পারেননি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমনিতেই গরমে টেকা দায়। এর মধ্যে আবার লোডশেডিং। সামনে মেয়ের এসএসসি পরীক্ষা। নবাবপুর, পাটুয়াটুলীতে আইপিএস খুঁজেছি, কিন্তু পাইনি। একসময় আমার বাসাতেও আইপিএস ছিল। অনেক দিন পড়ে থাকতে থাকতে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। পরে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হই। আফসোস হয়, সেটাও যদি এখন থাকত, তাহলে মিস্ত্রি দিয়ে ঠিক করিয়ে অন্তত এই কষ্ট থেকে বাঁচা যেত।’ 

অর্থাৎ, বাজারে আইপিএসের চাহিদা থাকলেও সে অনুপাতে সরবরাহ নেই। রহিম আফরোজের ডিলার ডলফিন এন্টারপ্রাইজের এক কর্মকর্তা জানান, চাহিদার বিপরীতে সাপ্লাই না থাকায় তারা আপাতত অর্ডার নিতে পারছেন না। বিদ্যুৎবিভ্রাট ও তীব্র গরম মিলিয়ে চাহিদা অনেক বেশি। তারা জানান, চাহিদা হুট করে ১০ গুন বেড়ে গেলে আসলে কিছুই করার থাকে না। 

এর কারণ জানতে চাইলে রহিম আফরোজের হেড অব বিজনেস নাওয়াজ রহিম বলেন, ‘সংকটটা একদম হঠাৎ করে এসেছে। কেউই এর জন্য প্রস্তুত ছিল না। গত জুনে আইপিএস বিক্রি বাড়াতে অফার পর্যন্ত দিতে হয়েছিল। আর জুলাইয়ে এসে প্রেক্ষাপট পুরো ভিন্ন। ধারণার চেয়েও তিন-চার গুন বেশি বিক্রি হয়েছে। আরও বিক্রি হতো কিন্তু চাহিদার বিপরীতে সাপ্লাই না থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি। ক্রেতাদের চাহিদা এখন অনেক বেশি।’ 

তবে সরবরাহের এই সংকট আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে মনে করেন নাওয়াজ রহিম। তিনি বলেন, ‘আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে সংকট নিরসন হতে পারে। আশা রাখছি ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে আমরা সক্ষম হব।’ 

কন্ট্রোল ইউনিটের চেয়ে ব্যাটারির সংকটই বেশি জানিয়ে নাওয়াজ রহিম বলেন, ‘কন্ট্রোল ইউনিট মূলত আমদানিনির্ভর। আমরা অর্ডার দিয়ে রেখেছি। কন্ট্রোল ইউনিট শিগগিরই চলে আসবে। আর ব্যাটারি দেশেই উৎপাদন হয়। শিশা এনে ব্যাটারি বানাতে সময় বেশি লেগে যায়। হঠাৎ চাহিদা বাড়ায় ব্যাটারি উৎপাদনে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’ 

দাম বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রহিম আফরোজের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘দাম ৫ থেকে ৭ শতাংশ বাড়তে পারে। তবে সেটা বাড়বে ডলারের দাম বাড়ার কারণে। কন্ট্রোল ইউনিট আমদানি নির্ভর হওয়ায় এর দামে প্রভাব পড়বে।’ 

এদিকে সিঙ্গারের শো-রুমে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাদের কাছে খুব সীমিত সরবরাহ রয়েছে, চাহিদার বিপরীতে যা একেবারে অপ্রতুল। এই মুহূর্তে তাদের কাছে পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। তবে সামনে আসবে। যদিও সুনির্দিষ্ট কোনো সময়ের কথা জানাতে পারেননি প্রতিষ্ঠানটির বনশ্রী আউটলেটের ব্যবস্থাপক। 

রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্থানীয়ভাবেই আইপিএস তৈরি ও মেরামত করা হয়। ছবি: ইন্দ্রজিৎ কুমার ঘোষএকই অবস্থা স্থানীয় বাজারেও। একসময় লোকাল মার্কেটে আইপিএসের ব্যবসার সঙ্গে অনেকেই যুক্ত ছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে অনেকেই ব্যবসা বদল করেছেন। এমনই একজন পুরান ঢাকার আসলাম রাজু। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি আইপিএস ব্যবসায় ছিলেন। ওই সময় তিনি দুই শতাধিক আইপিএস সেল করেন। আইপিএস ব্যবসায় ধস নামলে তিনি চলে যান অন্য ব্যবসায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই আবার এই ব্যবসায় নামবেন এবং এতে মানহীন আইপিএসে বাজার সয়লাব হতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। 

আসলাম রাজু বলেন, ‘মানুষ হন্যে হয়ে এখন আইপিএস খুঁজছে। এই সুযোগে অনেকেই নতুন করে এই ব্যবসায় নেমেছেন। ব্রান্ডের আইপিএসে সংকট থাকলেও লোকাল মার্কেটে সংকট হবে না। তবে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মানহীন আইপিএস তৈরির হিড়িক পড়তে পারে। এখনই অনেকে কপারের জায়গায় অ্যালুমিনিয়াম আবার অ্যালুমিনিয়ামের জায়গায় মানহীন তার দিয়ে কোনোমতে আইপিএস বানাচ্ছে। এসব আইপিএস কেনার ৬ মাস না যেতেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’ 

নতুন করে আর এই ব্যবসায় জড়ানোর ইচ্ছা নেই জানিয়ে আসলাম রাজু বলেন, ‘অনেক দিন ধরে আমি যেহেতু এই পেশাতে নেই, তাই আমার আপাতত এ ব্যবসায় যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা নেই। যারা বিনিয়োগ করছেন, তাঁরাও অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই করছেন। কারণ বিদ্যুৎবিভ্রাটের যে সংকট, সেটি কেটে গেলে তাঁরা বড় লোকসানে পড়বেন।’ 

দেশের বাজারে আইপিএসের কন্ট্রোল ইউনিট ও ব্যাটারি—এ দুটির একটি পেলে, আরেকটি পাওয়া যাচ্ছে না। ছবি: ইন্দ্রজিৎ কুমার ঘোষবর্তমান পরিস্থিতিতে নন-ব্র্যান্ড আইপিএস নিয়ে সতর্ক করলেন রহিম আফরোজের হেড অব বিজনেস নাওয়াজ রহিমও। সংকটের এই সময়ে ক্রেতাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এখন যেটা হবে আইপিএস ব্যবসায় প্রচুর মানুষ নামবে। লোকাল মার্কেটে সবাই কম দামে আইপিএস দেওয়ার চেষ্টা করবে। এতে যেটা হবে ঝুঁকি বেড়ে যাবে। নিম্নমানের আইপিএসে শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ, নিম্নমানের আইপিএসের কন্ট্রোল ইউনিটে শর্ট সার্কিট সুরক্ষা থাকে না। ব্যাটারির চার্জ ফুল হলে ব্রান্ডের আইপিএসে চার্জ অটো বন্ধ হয়ে যায়। নিম্নমানের আইপিএসে এ সিস্টেম না থাকায় ব্যাটারি গরম হয়ে যাওয়া, ব্লাস্ট হওয়ার মতো ঝুঁকি থাকে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় শ্রমিক শক্তির নেতাকে গুলি: যুবশক্তির সেই নেত্রী কারাগারে

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৫৫
তনিমা তন্বী। ছবি: আজকের পত্রিকা
তনিমা তন্বী। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের নেতা মোতালেব শিকদারকে (৪০) গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার তানিয়া তন্বীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার আসামি তানিয়াকে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১-এর মো. আসাদুর জামানের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার তানিয়া তন্বী এনসিপির যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির খুলনা জেলার যুগ্ম সদস্যসচিব।

এদিকে গ্রেপ্তার তানিয়া দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেছেন। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের প্রিজন সেলে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির ওসি তৈয়মুর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ’মামলার নথি এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গ্রেপ্তার হওয়া তানিয়া তন্বী অন্তঃসত্ত্বা কি না, বিষয়টি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।’

এর আগে সোমবার নগরীর সোনাডাঙ্গা আল আকসা মসজিদ সরণির ১০৯ নম্বর রোডের মুক্তা হাউসের নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে মোতালেব শিকদারকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রীর করা মামলায় তন্বীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা থেকে মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার মোতালেব শিকদারের স্ত্রী ফাহিমা আক্তার বাদী হয়ে ছয়-সাতজন অজ্ঞাতনামা আসামির নামে মামলা করেছেন। এই মামলায় আটক তানিয়া তন্বীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া তানিয়া অন্তঃসত্ত্বা থাকার কথা বলেছেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সব রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে, তিনি অন্তঃসত্ত্বা কি না।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার দিন ওই ফ্ল্যাটে এবং আশপাশে মোতালেব শিকদার, তানিয়া তন্বী, তাঁর স্বামী তানভীর শেখসহ ১০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একটি শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠনের কয়েকজন সদস্যের উপস্থিত থাকার বিষয়ে তথ্য পাচ্ছি।

চাঁদাবাজি, মাদক (ইয়াবা) ভাগ-বাঁটোয়ারার বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মোতালেব শিকদার, তানিয়া তন্বী এবং তাঁর স্বামী তানভীর শেখ নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। মোতালেব শিকদারের ব্যাপারেও আলাদা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

গুলিবিদ্ধ মোতালেব শিকদার প্রসঙ্গে কেএমপির এই উপপুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আহত মোতালেব শিকদারের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবার আহত হওয়ার পর সে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু এখন সে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ভান করছে। সে পুলিশ দেখলেই বোবা হয়ে যাচ্ছে।

ইশারা ও অঙ্গভঙ্গি দিয়ে কথা বলছে। কোনো কথা জিজ্ঞেস করলে কলম দিয়ে আঁকাবাঁকা কী সব খাতায় লিখে দিচ্ছে, আমরা বুঝতে পারছি না। সে সুস্থ হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে তন্বীর স্বামী তানভীর শেখ পলাতক রয়েছেন। তানভীরসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পিরোজপুরে সাবেক স্বামীর ছুরিকাঘাতে তরুণীর মৃত্যু

পিরোজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৩৯
আটক অমিত হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
আটক অমিত হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎পিরোজপুরে সুমনা আক্তার নামের এক তরুণী তাঁর সাবেক স্বামী অমিত হাসানের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝাটকাঠি এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। পরে রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে সুমনা মারা যান। পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ‎

‎নিহত সুমনা আক্তার (১৮) পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝাটকাঠি এলাকায় ফারুক শিকদারের মেয়ে। অভিযুক্ত অমিত হাসান (২৫) একই উপজেলার মধ্য রাস্তা এলাকার বাসিন্দা।‎

‎পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক স্বামী অমিত হাসান সুমনা আক্তারকে ঝাটকাঠিতে বাবার বাড়িতে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করেন। পরে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন তাঁকে উদ্ধার করে ওই রাত ১০টার দিকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমনা মারা যান। বর্তমানে তাঁর মরদেহ পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে।‎

‎পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নিজাম উদ্দিন বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।‎

পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের পিতা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে ৩০০ ফুটে নেতা-কর্মীদের ভিড়

নুরুল আমিন হাসান, ৩০০ ফুট থেকে
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৩৭
৩০০ ফুট সড়কের তারেক রহমানের জন্য তৈরি করা মঞ্চের সামনে আজ বুধবার দুপুর থেকে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
৩০০ ফুট সড়কের তারেক রহমানের জন্য তৈরি করা মঞ্চের সামনে আজ বুধবার দুপুর থেকে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়ো হওয়া শুরু করেছেন। এতে ৩০০ ফুট সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

৩০০ ফুট সড়কে তারেক রহমানের জন্য তৈরি করা মঞ্চের সামনে আজ বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এমন দৃশ্য দেখা যায়।

এদিকে তারেক রহমানের নিরাপত্তার জন্য ৩০০ ফুট সড়কসহ আশপাশ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ডগ স্কোয়াড টিম দিয়ে মঞ্চ এবং এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা তল্লাশি করা হয়েছে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের দলে দলে বিভিন্ন মিছিল ও স্লোগান নিয়ে আসতে দেখা যায়।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ মঞ্চ থেকে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বারবার অনুরোধ করে বলতে দেখা যায়, ‘আপনারা মঞ্চের বাঁশ-খুঁটিতে নাড়াচাড়া করবেন না। এতে মঞ্চটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে।’

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আপনারা সবাই মঞ্চের সামনে থেকে সরে যান। এখানে নিরাপত্তা তল্লাশি করা হবে। নিরাপত্তা তল্লাশির জন্য ডগ স্কোয়াডের টিম রয়েছে। আমাদের নেতার নিরাপত্তার জন্য আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আপনারা সবাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবেন।’

উল্লেখ্য, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ১৭ বছর পর লন্ডন থেকে বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। সে জন্যই রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে করা হয়েছে একটি বিশাল মঞ্চ। জানা গেছে, দেশে ফিরেই তিনি এই মঞ্চ থেকে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীর মগবাজারে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে যুবক নিহত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৩৩
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মগবাজার এলাকায় ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া শক্তিশালী ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে সিয়াম নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মগবাজার মিডিয়া গলির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এই তথ্য নিশ্চিত করে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মগবাজারে ফ্লাইওভারের নিচে সিয়াম নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শক্তিশালী ককটেল বিস্ফোরণের কারণে তাঁর মাথায় আঘাত পান। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ওই পথচারী সেখানে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ ফ্লাইওভারের ওপর থেকে কে বা কারা একটি ককটেল নিক্ষেপ করে। সেটি নিচ দিয়ে চলাচল করা এক যুবকের মাথায় পড়ে। এতে তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে, রক্তক্ষরণ শুরু হয় এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত