মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

৬০১ কোটি টাকার প্রকল্প। ১০ ভবনে নির্মিত হয়েছে ৭৩৬ আবাসিক ফ্ল্যাট। সময় পাঁচ বছরও গড়ায়নি, এরই মধ্যে ফ্ল্যাটগুলোতে থাকার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারণ, ক্রমেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে এসব ফ্ল্যাট। কোনো ভবনে ফাটল ধরেছে, টোকা দিলেই খসে পড়ছে প্লাস্টার। কোথাও আবার বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পড়ে পানি। স্যাঁতসেঁতে হয়ে পড়েছে বাথরুম ও রান্নাঘরের দেয়াল। ফ্ল্যাটের বেসিন খুলে পড়ছে, ক্ষয়ে পড়ছে টয়লেটের পাইপও। এমন বেহাল চিত্র রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্মিত আবাসন প্রকল্পের।
সরকারি পূর্ত কার্যক্রমে সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের অন্যতম উদাহরণ এই প্রকল্প। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, মূলত মানহীন নির্মাণ উপকরণের ব্যবহার এবং ঠিকাদারের দায়সারা কাজের কারণেই পাঁচ বছর না পেরোতেই বসবাসের উপযোগিতা হারাচ্ছে প্রকল্পের ফ্ল্যাটগুলো। এ কারণে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ করা এসব ফ্ল্যাটে থাকার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। নিয়ম ভঙ্গ করে বেসরকারি ব্যক্তিকে বাসা ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। তারপরও ফাঁকা রয়েছে ৪৭টি ফ্ল্যাট।
প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে ভবনগুলো। দুর্নীতির দায়ে বর্তমানে কারাবন্দী ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও তাঁর সহযোগীরা ভবনগুলো তৈরি করেছেন।
জানতে চাইলে প্রকল্পটির সর্বশেষ পরিচালক (পিডি) ও সাবেক সাভার গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শংকর কুমার মালো বলেন, প্রকল্প তৈরির আগেই স্টোন চিপস, ইট-বালু, সিমেন্টসহ সব মালামাল বুয়েট থেকে পরীক্ষা করা হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিস্ত্রির কাজের ত্রুটির কারণে পানির লাইনের ফিটিংস লিক করে এবং আর্দ্রতার কারণে দেয়ালের প্লাস্টারের ক্ষতি হয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিন প্রকল্প এলাকায় দেখা যায়, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৭৩৬টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ প্রকল্পের প্রধান গেটের নামফলক ভাঙা।
গেট দিয়ে ঢুকতেই হাতের ডানে নিরাপত্তাপ্রহরীর কক্ষ, তার সামনে মসজিদ, মসজিদের পরেই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে উঁচু ভবন। ভবনের আশপাশের স্থানগুলো অপরিষ্কার। ম্যানহোলের ঢাকনাগুলো খোলা, রাস্তাগুলো স্যাঁতসেঁতে। ওই আবাসন প্রকল্পের ভেতরে দুটি খেলার মাঠ থাকলেও দুটির কোনোটিতে নেই স্টিলের বাউন্ডারির তারের জয়েন্ট। নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে লাইটগুলো।
প্রকল্পের ১ নম্বর ভবনে ঢুকতেই চোখে পড়ে ভবনের নিচতলার সামনের টাইলসগুলো ভাঙা, ওয়াল থেকে খসে পড়েছে প্লাস্টার, ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। পরিচয় দিয়ে সামনে এগোতেই নিরাপত্তাপ্রহরী বাধা দেন। তবে কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর ভবনের কয়েকজন বাসিন্দা তাঁদের কয়েকটি ফ্ল্যাট ঘুরিয়ে দেখান। সেই ফ্ল্যাটগুলোর ভেতরে কোথাও শয়নকক্ষের দেয়াল ড্যাম্প, কোথাও বাথরুমের টাইলস খুলে পড়েছে। এক নম্বর ভবনের মতোই অবস্থা ২ ও ৩ নম্বর ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটের।
জানতে চাইলে ৩ নম্বর ভবনের তত্ত্বাবধায়ক কাজী ইমরান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, এই ভবনের অধিকাংশ বাসিন্দা এনএসআই কর্মকর্তা। ভবনের নির্মাণকাজ এত বাজে হয়েছে যে দেয়ালে একটু আঘাত করলেই প্লাস্টার খসে পড়ছে। দরজার লকগুলো খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। ৮০ শতাংশ লাইটই নষ্ট। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে ১১ তলার একটি ফ্ল্যাটের বেডরুমে প্লাস্টার খুলে পড়েছে। বাথরুম ও কিচেনের অবস্থা আরও খারাপ। এখানে যে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, তা খালি চোখেই বোঝা যায়।’
প্রকল্পের ৪ নম্বর ভবনে গিয়ে দেখা যায়, পয়োনিষ্কাশন পাইপের একাংশ খোলা, রেলিঙের পাশ ভেঙে গেছে। ৫নং ভবনের বাথরুমের ভেতরের টাইলস খুলে পড়েছে, বেডরুমের দেয়ালও ড্যাম্প হয়ে গেছে। সামনে একটু এগোতেই ৬ নম্বর ভবন। এই ভবনের নিচতলার ফ্লোরের টাইলসগুলো ভেঙে গুঁড়া হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে সেখানকার বাসিন্দা আশিক রাব্বানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি ভবন নির্মাণের এই প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। আমাদের ভবনের নিচতলার টাইলসগুলো ভেঙে গুঁড়া হয়ে গেছে। ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে প্লাস্টার খুলে পড়ছে। এমন অনিয়ম হয়েছে যে বাসার বেসিনগুলোও খুলে পড়ছে।’
একই চিত্র দেখা গেছে ৯ নম্বর ভবনেও। ভবনটির কয়েকটি ফ্লোরের রান্নাঘরের টাইলস খুলে গেছে। বেডরুমের দেয়াল পুরো ভিজে ড্যাম্প হয়ে গেছে।
৫ ও ৬ নম্বর ভবনের বাসিন্দা রবিন হাসান ও সুজন কৈরি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নষ্ট হওয়া ফ্ল্যাটগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না ঠিকমতো। এগুলো দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নিতে হবে।
এই প্রকল্পের ভবনগুলোর বাহ্যিক নকশা ও অবকাঠামো দৃষ্টিনন্দন হলেও অভ্যন্তরীণ গুণগত মানে কিছু ঘাটতি রয়েছে বলে উঠে এসেছে সরকারি সংস্থা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদনে। গত জুলাই মাসের মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের ২৫ শতাংশ ফ্ল্যাটের বাথরুমের দেয়ালে ড্যাম্প, ১০ শতাংশের টাইলস খুলে পড়েছে এবং ২০ শতাংশের বেড ও ড্রয়িংরুমে প্লাস্টার খসে পড়ছে। এতে আরও বলা হয়, ভবনের লিফট ও ওয়াটার পাম্প অকার্যকর, ইন্টারকম ও সিসিটিভি ক্যামেরা অপ্রতুল এবং অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইন্টারকম সুবিধা ৭০ শতাংশ ভবনেই নেই। যেসব ভবনে আছে সেখানেও তা কার্যকর নয়। সব ভবনেই সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। তবে ৩ ও ১০ নম্বর ভবন ছাড়া সব ভবনের সিসি ক্যামেরা অকার্যকর। জেনারেটর সুবিধা বিদ্যমান থাকলেও ৭০ শতাংশ ভবনে তা অটোমেটিক চালু হয় না।
প্রকল্পের ডিপিপি অনুযায়ী, ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকায় দুটি জিপ গাড়ি ও তিনটি মোটরসাইকেল কেনা হয়েছিল প্রকল্পের জন্য। অথচ এই যানবাহনগুলোর কোনো হদিস নেই।
প্রকল্পটির সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে আইএমইডির সচিব মো. কামাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা অনিয়মের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠান।
নির্মাণের চার বছরের মাথায় সরকারি এই আবাসন প্রকল্পের এমন বেহাল দশা হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের মান এবং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের তদারকি নিয়ে। সরকারি ভবন নির্মাণে মান নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণে কার্যকর ব্যবস্থা না থাকলে ভবিষ্যতেও এমন ব্যয়বহুল প্রকল্প ব্যর্থতায় পরিণত হবে, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভবন কিংবা রাস্তাঘাট নির্মাণের প্রকল্পগুলোয় সাধারণত ওভার প্রাইসিংয়ের মাধ্যমে মূল্য বাড়িয়ে লোপাট করা হয়। এই প্রকল্পে মূল্য বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা তো করা হয়েছেই, তার ওপর মালামালেও ভেজাল মেশানো হয়েছে। সরকারের উচিত, যাঁরা এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা। এই প্রকল্পের পাশাপাশি নতুন করে কোনো প্রকল্পে যাতে এ ধরনের অনিয়ম না হয়। তার জন্য অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে আরও নজরদারি বাড়াতে হবে।
প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার।
সাভার গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ বদরুল আলম খান বলেন, বাসিন্দাদের অভিযোগগুলো দেখেছি, দুই মাস পরপর সমস্যাগুলো নিয়ে সভা হবে। সভার পরামর্শের আলোকে রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
আরও খবর পড়ুন:

৬০১ কোটি টাকার প্রকল্প। ১০ ভবনে নির্মিত হয়েছে ৭৩৬ আবাসিক ফ্ল্যাট। সময় পাঁচ বছরও গড়ায়নি, এরই মধ্যে ফ্ল্যাটগুলোতে থাকার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারণ, ক্রমেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে এসব ফ্ল্যাট। কোনো ভবনে ফাটল ধরেছে, টোকা দিলেই খসে পড়ছে প্লাস্টার। কোথাও আবার বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পড়ে পানি। স্যাঁতসেঁতে হয়ে পড়েছে বাথরুম ও রান্নাঘরের দেয়াল। ফ্ল্যাটের বেসিন খুলে পড়ছে, ক্ষয়ে পড়ছে টয়লেটের পাইপও। এমন বেহাল চিত্র রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্মিত আবাসন প্রকল্পের।
সরকারি পূর্ত কার্যক্রমে সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের অন্যতম উদাহরণ এই প্রকল্প। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, মূলত মানহীন নির্মাণ উপকরণের ব্যবহার এবং ঠিকাদারের দায়সারা কাজের কারণেই পাঁচ বছর না পেরোতেই বসবাসের উপযোগিতা হারাচ্ছে প্রকল্পের ফ্ল্যাটগুলো। এ কারণে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ করা এসব ফ্ল্যাটে থাকার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। নিয়ম ভঙ্গ করে বেসরকারি ব্যক্তিকে বাসা ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। তারপরও ফাঁকা রয়েছে ৪৭টি ফ্ল্যাট।
প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে ভবনগুলো। দুর্নীতির দায়ে বর্তমানে কারাবন্দী ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও তাঁর সহযোগীরা ভবনগুলো তৈরি করেছেন।
জানতে চাইলে প্রকল্পটির সর্বশেষ পরিচালক (পিডি) ও সাবেক সাভার গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শংকর কুমার মালো বলেন, প্রকল্প তৈরির আগেই স্টোন চিপস, ইট-বালু, সিমেন্টসহ সব মালামাল বুয়েট থেকে পরীক্ষা করা হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিস্ত্রির কাজের ত্রুটির কারণে পানির লাইনের ফিটিংস লিক করে এবং আর্দ্রতার কারণে দেয়ালের প্লাস্টারের ক্ষতি হয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিন প্রকল্প এলাকায় দেখা যায়, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৭৩৬টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ প্রকল্পের প্রধান গেটের নামফলক ভাঙা।
গেট দিয়ে ঢুকতেই হাতের ডানে নিরাপত্তাপ্রহরীর কক্ষ, তার সামনে মসজিদ, মসজিদের পরেই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে উঁচু ভবন। ভবনের আশপাশের স্থানগুলো অপরিষ্কার। ম্যানহোলের ঢাকনাগুলো খোলা, রাস্তাগুলো স্যাঁতসেঁতে। ওই আবাসন প্রকল্পের ভেতরে দুটি খেলার মাঠ থাকলেও দুটির কোনোটিতে নেই স্টিলের বাউন্ডারির তারের জয়েন্ট। নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে লাইটগুলো।
প্রকল্পের ১ নম্বর ভবনে ঢুকতেই চোখে পড়ে ভবনের নিচতলার সামনের টাইলসগুলো ভাঙা, ওয়াল থেকে খসে পড়েছে প্লাস্টার, ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। পরিচয় দিয়ে সামনে এগোতেই নিরাপত্তাপ্রহরী বাধা দেন। তবে কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর ভবনের কয়েকজন বাসিন্দা তাঁদের কয়েকটি ফ্ল্যাট ঘুরিয়ে দেখান। সেই ফ্ল্যাটগুলোর ভেতরে কোথাও শয়নকক্ষের দেয়াল ড্যাম্প, কোথাও বাথরুমের টাইলস খুলে পড়েছে। এক নম্বর ভবনের মতোই অবস্থা ২ ও ৩ নম্বর ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটের।
জানতে চাইলে ৩ নম্বর ভবনের তত্ত্বাবধায়ক কাজী ইমরান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, এই ভবনের অধিকাংশ বাসিন্দা এনএসআই কর্মকর্তা। ভবনের নির্মাণকাজ এত বাজে হয়েছে যে দেয়ালে একটু আঘাত করলেই প্লাস্টার খসে পড়ছে। দরজার লকগুলো খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। ৮০ শতাংশ লাইটই নষ্ট। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে ১১ তলার একটি ফ্ল্যাটের বেডরুমে প্লাস্টার খুলে পড়েছে। বাথরুম ও কিচেনের অবস্থা আরও খারাপ। এখানে যে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, তা খালি চোখেই বোঝা যায়।’
প্রকল্পের ৪ নম্বর ভবনে গিয়ে দেখা যায়, পয়োনিষ্কাশন পাইপের একাংশ খোলা, রেলিঙের পাশ ভেঙে গেছে। ৫নং ভবনের বাথরুমের ভেতরের টাইলস খুলে পড়েছে, বেডরুমের দেয়ালও ড্যাম্প হয়ে গেছে। সামনে একটু এগোতেই ৬ নম্বর ভবন। এই ভবনের নিচতলার ফ্লোরের টাইলসগুলো ভেঙে গুঁড়া হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে সেখানকার বাসিন্দা আশিক রাব্বানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি ভবন নির্মাণের এই প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। আমাদের ভবনের নিচতলার টাইলসগুলো ভেঙে গুঁড়া হয়ে গেছে। ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে প্লাস্টার খুলে পড়ছে। এমন অনিয়ম হয়েছে যে বাসার বেসিনগুলোও খুলে পড়ছে।’
একই চিত্র দেখা গেছে ৯ নম্বর ভবনেও। ভবনটির কয়েকটি ফ্লোরের রান্নাঘরের টাইলস খুলে গেছে। বেডরুমের দেয়াল পুরো ভিজে ড্যাম্প হয়ে গেছে।
৫ ও ৬ নম্বর ভবনের বাসিন্দা রবিন হাসান ও সুজন কৈরি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নষ্ট হওয়া ফ্ল্যাটগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না ঠিকমতো। এগুলো দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নিতে হবে।
এই প্রকল্পের ভবনগুলোর বাহ্যিক নকশা ও অবকাঠামো দৃষ্টিনন্দন হলেও অভ্যন্তরীণ গুণগত মানে কিছু ঘাটতি রয়েছে বলে উঠে এসেছে সরকারি সংস্থা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদনে। গত জুলাই মাসের মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের ২৫ শতাংশ ফ্ল্যাটের বাথরুমের দেয়ালে ড্যাম্প, ১০ শতাংশের টাইলস খুলে পড়েছে এবং ২০ শতাংশের বেড ও ড্রয়িংরুমে প্লাস্টার খসে পড়ছে। এতে আরও বলা হয়, ভবনের লিফট ও ওয়াটার পাম্প অকার্যকর, ইন্টারকম ও সিসিটিভি ক্যামেরা অপ্রতুল এবং অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইন্টারকম সুবিধা ৭০ শতাংশ ভবনেই নেই। যেসব ভবনে আছে সেখানেও তা কার্যকর নয়। সব ভবনেই সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। তবে ৩ ও ১০ নম্বর ভবন ছাড়া সব ভবনের সিসি ক্যামেরা অকার্যকর। জেনারেটর সুবিধা বিদ্যমান থাকলেও ৭০ শতাংশ ভবনে তা অটোমেটিক চালু হয় না।
প্রকল্পের ডিপিপি অনুযায়ী, ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকায় দুটি জিপ গাড়ি ও তিনটি মোটরসাইকেল কেনা হয়েছিল প্রকল্পের জন্য। অথচ এই যানবাহনগুলোর কোনো হদিস নেই।
প্রকল্পটির সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে আইএমইডির সচিব মো. কামাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা অনিয়মের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠান।
নির্মাণের চার বছরের মাথায় সরকারি এই আবাসন প্রকল্পের এমন বেহাল দশা হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের মান এবং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের তদারকি নিয়ে। সরকারি ভবন নির্মাণে মান নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণে কার্যকর ব্যবস্থা না থাকলে ভবিষ্যতেও এমন ব্যয়বহুল প্রকল্প ব্যর্থতায় পরিণত হবে, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভবন কিংবা রাস্তাঘাট নির্মাণের প্রকল্পগুলোয় সাধারণত ওভার প্রাইসিংয়ের মাধ্যমে মূল্য বাড়িয়ে লোপাট করা হয়। এই প্রকল্পে মূল্য বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা তো করা হয়েছেই, তার ওপর মালামালেও ভেজাল মেশানো হয়েছে। সরকারের উচিত, যাঁরা এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা। এই প্রকল্পের পাশাপাশি নতুন করে কোনো প্রকল্পে যাতে এ ধরনের অনিয়ম না হয়। তার জন্য অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে আরও নজরদারি বাড়াতে হবে।
প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার।
সাভার গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ বদরুল আলম খান বলেন, বাসিন্দাদের অভিযোগগুলো দেখেছি, দুই মাস পরপর সমস্যাগুলো নিয়ে সভা হবে। সভার পরামর্শের আলোকে রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
আরও খবর পড়ুন:

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১১ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা।
১৯ মিনিট আগে
‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায়...
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’
নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’
বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’
নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’
বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

৬০১ কোটি টাকার প্রকল্প। ১০ ভবনে নির্মিত হয়েছে ৭৩৬ আবাসিক ফ্ল্যাট। সময় পাঁচ বছরও গড়ায়নি, এরই মধ্যে ফ্ল্যাটগুলোতে থাকার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারণ, ক্রমেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে এসব ফ্ল্যাট। কোনো ভবনে ফাটল ধরেছে, টোকা দিলেই খসে পড়ছে প্লাস্টার।
১১ আগস্ট ২০২৫
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১১ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা।
১৯ মিনিট আগে
‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায়...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।
হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।
এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।
এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।
কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।
হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।
এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।
এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।
কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

৬০১ কোটি টাকার প্রকল্প। ১০ ভবনে নির্মিত হয়েছে ৭৩৬ আবাসিক ফ্ল্যাট। সময় পাঁচ বছরও গড়ায়নি, এরই মধ্যে ফ্ল্যাটগুলোতে থাকার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারণ, ক্রমেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে এসব ফ্ল্যাট। কোনো ভবনে ফাটল ধরেছে, টোকা দিলেই খসে পড়ছে প্লাস্টার।
১১ আগস্ট ২০২৫
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা।
১৯ মিনিট আগে
‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায়...
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।
পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।
পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

৬০১ কোটি টাকার প্রকল্প। ১০ ভবনে নির্মিত হয়েছে ৭৩৬ আবাসিক ফ্ল্যাট। সময় পাঁচ বছরও গড়ায়নি, এরই মধ্যে ফ্ল্যাটগুলোতে থাকার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারণ, ক্রমেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে এসব ফ্ল্যাট। কোনো ভবনে ফাটল ধরেছে, টোকা দিলেই খসে পড়ছে প্লাস্টার।
১১ আগস্ট ২০২৫
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১১ মিনিট আগে
‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায়...
১ ঘণ্টা আগেচাঁদপুর প্রতিনিধি

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’
পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।
পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।
সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’
পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।
পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।
সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

৬০১ কোটি টাকার প্রকল্প। ১০ ভবনে নির্মিত হয়েছে ৭৩৬ আবাসিক ফ্ল্যাট। সময় পাঁচ বছরও গড়ায়নি, এরই মধ্যে ফ্ল্যাটগুলোতে থাকার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারণ, ক্রমেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে এসব ফ্ল্যাট। কোনো ভবনে ফাটল ধরেছে, টোকা দিলেই খসে পড়ছে প্লাস্টার।
১১ আগস্ট ২০২৫
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১১ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা।
১৯ মিনিট আগে