*এনসিপির সমাবেশে হামলা *সংঘর্ষ *গুলি *আহত শতাধিক *দেশজুড়ে বিক্ষোভ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

দেশজুড়ে মাসব্যাপী জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা গোপালগঞ্জে গেলে তাঁদের কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনভর হামলাকারী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে গুলি, ককটেল হামলা, সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে যুবলীগ সদস্যসহ চারজন নিহত এবং পুলিশ, সাংবাদিকসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলা করেন বলে জানিয়েছেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলাজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে আজ রাত ৮টা থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। এসব ঘটনায় জেলা শহরসহ আশপাশের এলাকায় ভীতির সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে গোপালগঞ্জে হামলার পর এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে তাদের আজকের কর্মসূচি স্থগিত করে খুলনায় চলে যান। তবে আগামীকাল ফরিদপুরে তাঁদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি হবে বলে জানানো হয়েছে।
সংঘর্ষে নিহতরা হলেন জেলা শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে যুবলীগ সদস্য দীপ্ত সাহা (২৫), শহরের থানাপাড়ার কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (২৪), সদর উপজেলার আড়পাড়া এলাকার আজাদ তালুকদারের ছেলে ইমন তালুকদার (১৮) এবং টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সোহেল মোল্লা (৪৫)। তাঁরা সবাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ আড়াই শ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শেখ মো. নাবিল।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেছেন, গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য জেলাজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরে আজ রাত ৮টা থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ, আগুন
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তখন পুলিশ গেলে তাদের গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িতেও ভাঙচুর চালান তাঁরা।
গোপালগঞ্জ সদরের ইউএনও এম রকিবুল হাসান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার সময় সদর উপজেলার কংশুর এলাকায় পৌঁছালে তাঁর গাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করা হয়। এ সময় গাড়ির চালক আহত হন।
এদিকে গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে অবরোধ করা হয়।
হামলার ঘটনায় আহত পুলিশের তিন সদস্য হলেন সদর উপজেলার গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আহমেদ বিশ্বাস, কনস্টেবল কাওছার ও মিনহাজ। তাঁদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, আমরা এখন পর্যন্ত জানি না। এতে পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়েছেন এবং একটি গাড়ি পুড়ে গেছে। আহত তিন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কের কাঠি নামক স্থানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে বেশ কয়েকটি স্থানে বড় বড় গাছ ফেলে সড়ক বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ ছাড়া কোটালীপাড়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো গোপালগঞ্জে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, এপিবিএনের সদস্যরা টহল জোরদার করেছেন। বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে পদযাত্রা ও সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও পথে পথে বাধার কারণে তাঁদের পৌঁছাতে দেরি হয়। পরে সমাবেশস্থলে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে: নাহিদ ইসলাম
বাধার মুখেও বেলা দুইটার দিকে গোপালগঞ্জ সদরে সমাবেশ মঞ্চে এসে পৌঁছান এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে সমাবেশে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, সমাবেশস্থলে হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি ও দেশ গড়ার আহ্বান জানাতে গোপালগঞ্জে এসেছি। মুজিববাদ ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে এই জেলাকে মুক্ত করতে হবে।’
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলা করে হিংস্র সন্ত্রাসীরা আমাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে তওবা করার সুযোগ দিয়েছে। জনগণের জীবন বিপন্ন করতে চাইলে মানুষ ছেড়ে দেবে না।’ তিনি বলেন, মুজিববাদ ও মুজিববাদী সংবিধান দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। তাই মুজিববাদী সংবিধানের কবর রচনা করতে হবে।’
জুলাই পদযাত্রার বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান ও এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায় বলেন, ‘গোপালগঞ্জ থেকেই মুজিববাদের কবর রচনা হবে, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা হবে। আওয়ামী লীগ ভারতীয় দল, এই দলের কথা শুনে নিজেদের জীবন বিপন্ন করবেন না।’
পদযাত্রায় হামলা
বেলা আড়াইটার দিকে এনসিপি তাদের কর্মসূচি শেষ করে পদযাত্রার সময় শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে আবার হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্থানীয় জনতা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংঘর্ষ থামাতে রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়ে। এতে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষ শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
জেলা কারাগারে হামলা
একপর্যায়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্থানীয় জনতা জেলা কারাগারে হামলা করে। তারা কারাগারের প্রধান ফটক ভাঙার চেষ্টা করে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের প্রতিহত করেন। এ সময় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এনসিপির নেতা-কর্মীদের একত্র করে সেনা পাহারায় বাগেরহাটের প্রবেশদ্বার মোল্লারহাট সেতু পার করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
ভারপ্রাপ্ত জেলার তানিয়া জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এনসিপির সমাবেশ ঘিরে প্রথমে হামলা ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে জেলা কারাগারেও হামলা হয়। এ সময় কারাগারের প্রধান ফটক বন্ধ ছিল। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালানো হয়। তবে কোনো আসামি পালাতে পারেনি। এর আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। তবে কারারক্ষীসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এ পরিস্থিতিতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান গোপালগঞ্জ জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেন। পরে রাত ৮টা থেকে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
হামলার বিষয়ে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছেন। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু তাঁরা সমাবেশস্থলে এসে দেখেন, পরিস্থিতি ঠিক নেই।
মুজিববাদের কবর রচনা করেই ফিরব, না হয় ফিরব না: গোপালগঞ্জে সারজিস
সমাবেশে হামলার পর এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমরা যদি এখান থেকে বেঁচে ফিরি, তাহলে মুজিববাদের কবর রচনা করেই ফিরব, না হয় ফিরব না।’ ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম এ কথা বলেন।
ওই পোস্টে সারজিস বলেন, ‘গোপালগঞ্জে খুনি হাসিনার দালালেরা আমাদের ওপরে আক্রমণ করেছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে নাটক দেখছে, পিছু হটছে। আমরা যদি এখান থেকে বেঁচে ফিরি, তাহলে মুজিববাদের কবর রচনা করেই ফিরব, না হয় ফিরব না। সারা বাংলাদেশের মানুষ গোপালগঞ্জে ছুটে আসুন। গোপালগঞ্জের বিবেকবান ছাত্র-জনতা জেগে উঠুন। দালালদের কবর রচনা করার আজকেই শেষ দিন।’
গোপালগঞ্জ থেকে খুলনায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা
কড়া পাহাড়ায় এনসিপি নেতাদের ১৫ থেকে ১৬টি গাড়ির বহর গোপালগঞ্জ ছাড়ে। এই বহরে এনসিপি নেতাদের মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলমসহ শীর্ষ নেতারা ছিলেন। পরে তাঁরা খুলনায় যান। সেখানে গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে মুজিববাদীরা হত্যার উদ্দেশ্যে জঙ্গি কায়দায় এনসিপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ফ্যাসিস্ট ও মুজিববাদীরা অস্ত্র নিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। তারা পুলিশের ওপরও হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে তিনি সরকারকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন।
নাহিদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি জঙ্গি সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তারা আর রাজনৈতিক দল নেই; সেটা তারা স্পষ্ট করেছে। আমরা আগেই বলেছিলাম, সারা দেশের ফ্যাসিস্টদের আশ্রয়কেন্দ্র হয়ে উঠেছে এই গোপালগঞ্জ। মামলার আসামিরা এখানে আছে। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালিয়েছে।’
নাহিদ আরও বলেন, ‘গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল সমাবেশ করতে পারে না। আমরা আজকে সেই মিথ ভেঙে দিয়েছি।’
হামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
পরিস্থিতি তদারকি উপদেষ্টাদের
এদিকে পুলিশ সদর দপ্তরে অবস্থান করে গতকাল গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি তদারকি ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের...ভেঙে দেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, ১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে এনসিপি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় কর্মসূচি পালন করেছে দলটি।

দেশজুড়ে মাসব্যাপী জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা গোপালগঞ্জে গেলে তাঁদের কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনভর হামলাকারী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে গুলি, ককটেল হামলা, সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে যুবলীগ সদস্যসহ চারজন নিহত এবং পুলিশ, সাংবাদিকসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলা করেন বলে জানিয়েছেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলাজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে আজ রাত ৮টা থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। এসব ঘটনায় জেলা শহরসহ আশপাশের এলাকায় ভীতির সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে গোপালগঞ্জে হামলার পর এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে তাদের আজকের কর্মসূচি স্থগিত করে খুলনায় চলে যান। তবে আগামীকাল ফরিদপুরে তাঁদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি হবে বলে জানানো হয়েছে।
সংঘর্ষে নিহতরা হলেন জেলা শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে যুবলীগ সদস্য দীপ্ত সাহা (২৫), শহরের থানাপাড়ার কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (২৪), সদর উপজেলার আড়পাড়া এলাকার আজাদ তালুকদারের ছেলে ইমন তালুকদার (১৮) এবং টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সোহেল মোল্লা (৪৫)। তাঁরা সবাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ আড়াই শ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শেখ মো. নাবিল।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেছেন, গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য জেলাজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরে আজ রাত ৮টা থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ, আগুন
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তখন পুলিশ গেলে তাদের গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িতেও ভাঙচুর চালান তাঁরা।
গোপালগঞ্জ সদরের ইউএনও এম রকিবুল হাসান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার সময় সদর উপজেলার কংশুর এলাকায় পৌঁছালে তাঁর গাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করা হয়। এ সময় গাড়ির চালক আহত হন।
এদিকে গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে অবরোধ করা হয়।
হামলার ঘটনায় আহত পুলিশের তিন সদস্য হলেন সদর উপজেলার গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আহমেদ বিশ্বাস, কনস্টেবল কাওছার ও মিনহাজ। তাঁদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, আমরা এখন পর্যন্ত জানি না। এতে পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়েছেন এবং একটি গাড়ি পুড়ে গেছে। আহত তিন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কের কাঠি নামক স্থানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে বেশ কয়েকটি স্থানে বড় বড় গাছ ফেলে সড়ক বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ ছাড়া কোটালীপাড়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো গোপালগঞ্জে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, এপিবিএনের সদস্যরা টহল জোরদার করেছেন। বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে পদযাত্রা ও সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও পথে পথে বাধার কারণে তাঁদের পৌঁছাতে দেরি হয়। পরে সমাবেশস্থলে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে: নাহিদ ইসলাম
বাধার মুখেও বেলা দুইটার দিকে গোপালগঞ্জ সদরে সমাবেশ মঞ্চে এসে পৌঁছান এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে সমাবেশে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, সমাবেশস্থলে হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি ও দেশ গড়ার আহ্বান জানাতে গোপালগঞ্জে এসেছি। মুজিববাদ ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে এই জেলাকে মুক্ত করতে হবে।’
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলা করে হিংস্র সন্ত্রাসীরা আমাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে তওবা করার সুযোগ দিয়েছে। জনগণের জীবন বিপন্ন করতে চাইলে মানুষ ছেড়ে দেবে না।’ তিনি বলেন, মুজিববাদ ও মুজিববাদী সংবিধান দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। তাই মুজিববাদী সংবিধানের কবর রচনা করতে হবে।’
জুলাই পদযাত্রার বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান ও এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায় বলেন, ‘গোপালগঞ্জ থেকেই মুজিববাদের কবর রচনা হবে, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা হবে। আওয়ামী লীগ ভারতীয় দল, এই দলের কথা শুনে নিজেদের জীবন বিপন্ন করবেন না।’
পদযাত্রায় হামলা
বেলা আড়াইটার দিকে এনসিপি তাদের কর্মসূচি শেষ করে পদযাত্রার সময় শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে আবার হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্থানীয় জনতা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংঘর্ষ থামাতে রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়ে। এতে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষ শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
জেলা কারাগারে হামলা
একপর্যায়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্থানীয় জনতা জেলা কারাগারে হামলা করে। তারা কারাগারের প্রধান ফটক ভাঙার চেষ্টা করে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের প্রতিহত করেন। এ সময় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এনসিপির নেতা-কর্মীদের একত্র করে সেনা পাহারায় বাগেরহাটের প্রবেশদ্বার মোল্লারহাট সেতু পার করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
ভারপ্রাপ্ত জেলার তানিয়া জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এনসিপির সমাবেশ ঘিরে প্রথমে হামলা ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে জেলা কারাগারেও হামলা হয়। এ সময় কারাগারের প্রধান ফটক বন্ধ ছিল। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালানো হয়। তবে কোনো আসামি পালাতে পারেনি। এর আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। তবে কারারক্ষীসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এ পরিস্থিতিতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান গোপালগঞ্জ জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেন। পরে রাত ৮টা থেকে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
হামলার বিষয়ে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছেন। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু তাঁরা সমাবেশস্থলে এসে দেখেন, পরিস্থিতি ঠিক নেই।
মুজিববাদের কবর রচনা করেই ফিরব, না হয় ফিরব না: গোপালগঞ্জে সারজিস
সমাবেশে হামলার পর এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমরা যদি এখান থেকে বেঁচে ফিরি, তাহলে মুজিববাদের কবর রচনা করেই ফিরব, না হয় ফিরব না।’ ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম এ কথা বলেন।
ওই পোস্টে সারজিস বলেন, ‘গোপালগঞ্জে খুনি হাসিনার দালালেরা আমাদের ওপরে আক্রমণ করেছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে নাটক দেখছে, পিছু হটছে। আমরা যদি এখান থেকে বেঁচে ফিরি, তাহলে মুজিববাদের কবর রচনা করেই ফিরব, না হয় ফিরব না। সারা বাংলাদেশের মানুষ গোপালগঞ্জে ছুটে আসুন। গোপালগঞ্জের বিবেকবান ছাত্র-জনতা জেগে উঠুন। দালালদের কবর রচনা করার আজকেই শেষ দিন।’
গোপালগঞ্জ থেকে খুলনায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা
কড়া পাহাড়ায় এনসিপি নেতাদের ১৫ থেকে ১৬টি গাড়ির বহর গোপালগঞ্জ ছাড়ে। এই বহরে এনসিপি নেতাদের মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলমসহ শীর্ষ নেতারা ছিলেন। পরে তাঁরা খুলনায় যান। সেখানে গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে মুজিববাদীরা হত্যার উদ্দেশ্যে জঙ্গি কায়দায় এনসিপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ফ্যাসিস্ট ও মুজিববাদীরা অস্ত্র নিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। তারা পুলিশের ওপরও হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে তিনি সরকারকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন।
নাহিদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি জঙ্গি সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তারা আর রাজনৈতিক দল নেই; সেটা তারা স্পষ্ট করেছে। আমরা আগেই বলেছিলাম, সারা দেশের ফ্যাসিস্টদের আশ্রয়কেন্দ্র হয়ে উঠেছে এই গোপালগঞ্জ। মামলার আসামিরা এখানে আছে। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালিয়েছে।’
নাহিদ আরও বলেন, ‘গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল সমাবেশ করতে পারে না। আমরা আজকে সেই মিথ ভেঙে দিয়েছি।’
হামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
পরিস্থিতি তদারকি উপদেষ্টাদের
এদিকে পুলিশ সদর দপ্তরে অবস্থান করে গতকাল গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি তদারকি ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের...ভেঙে দেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, ১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে এনসিপি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় কর্মসূচি পালন করেছে দলটি।

যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ...
৩২ মিনিট আগে
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
১ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগেমনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় ট্রাক ও রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজগঞ্জ বাজার এলাকার রহমতউল্লাহর ছেলে নিশান (২৩), মেয়ে নীলা (২৫) ও মেয়ের স্বামী মিজানুর রহমান (৩৫)।
নিহত মিজানুর রহমান একটি বেসরকারি ঋণদান সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। তাঁর বাড়ি কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর এলাকায়। আর নিশান রাজগঞ্জ বাজারে একটি কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষক ও তাঁর বোন নীলা গৃহিণী ছিলেন।
নিহত নীলা-মিজানুর রহমান দম্পতির ছয় ও চার বছর বয়সী দুটি ছেলে রয়েছে। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে মাতম চলছে। শোক নেমে এসেছে গ্রামজুড়ে।
নিহত ব্যক্তিদের প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘মিজানুর রহমান ব্রেন স্ট্রোক করে এক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আজ সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন স্ত্রী নীলা ও শ্যালক নিশান। তাঁরা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মিজানুর রহমান, নিশান ও তাঁর বোন নীলা নিহত হন।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রজিউল্লাহ খান বলেন, ‘ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর আমাদের কেউ জানায়নি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার কোনো আইনি সহায়তা চাইলে সহযোগিতা করব।’

যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় ট্রাক ও রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজগঞ্জ বাজার এলাকার রহমতউল্লাহর ছেলে নিশান (২৩), মেয়ে নীলা (২৫) ও মেয়ের স্বামী মিজানুর রহমান (৩৫)।
নিহত মিজানুর রহমান একটি বেসরকারি ঋণদান সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। তাঁর বাড়ি কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর এলাকায়। আর নিশান রাজগঞ্জ বাজারে একটি কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষক ও তাঁর বোন নীলা গৃহিণী ছিলেন।
নিহত নীলা-মিজানুর রহমান দম্পতির ছয় ও চার বছর বয়সী দুটি ছেলে রয়েছে। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে মাতম চলছে। শোক নেমে এসেছে গ্রামজুড়ে।
নিহত ব্যক্তিদের প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘মিজানুর রহমান ব্রেন স্ট্রোক করে এক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আজ সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন স্ত্রী নীলা ও শ্যালক নিশান। তাঁরা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মিজানুর রহমান, নিশান ও তাঁর বোন নীলা নিহত হন।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রজিউল্লাহ খান বলেন, ‘ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর আমাদের কেউ জানায়নি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার কোনো আইনি সহায়তা চাইলে সহযোগিতা করব।’

দেশজুড়ে মাসব্যাপী জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা গোপালগঞ্জে গেলে তাঁদের কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনভর হামলাকারী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে গুলি, ককটেল হামলা, সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
১৬ জুলাই ২০২৫
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
১ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগেচাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সাহার বাজারে জয়নালের মুদিদোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইমাম হোসেনের ফার্মেসি, নজরুল ইসলামের মাছের খাদ্যের দোকান, জহিরের ওয়ার্কশপ, রুবেলের সাইকেল গ্যারেজ এবং শাহ আলমের হার্ডওয়্যারের দোকান।
ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ কামরুল হাসান বলেন, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে আইনানুগ প্রক্রিয়ার জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সাহার বাজারে জয়নালের মুদিদোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইমাম হোসেনের ফার্মেসি, নজরুল ইসলামের মাছের খাদ্যের দোকান, জহিরের ওয়ার্কশপ, রুবেলের সাইকেল গ্যারেজ এবং শাহ আলমের হার্ডওয়্যারের দোকান।
ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ কামরুল হাসান বলেন, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে আইনানুগ প্রক্রিয়ার জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দেশজুড়ে মাসব্যাপী জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা গোপালগঞ্জে গেলে তাঁদের কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনভর হামলাকারী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে গুলি, ককটেল হামলা, সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
১৬ জুলাই ২০২৫
যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ...
৩২ মিনিট আগে
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
১ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমান শাহবাগ এলাকা থেকে চলে আসার পর বেলা ১২টায় হাদি হত্যার বিচার চেয়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য মুন্সি বোরহান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ১২টার সময়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে এসেছি হাদির হত্যার বিচার চাইতে। তারেক রহমান হাদির কবর জিয়ারত করতে আসায় আমরা সাময়িক সময়ের জন্য শাহবাগের পশ্চিম দিকে একটি পাশে অবস্থান নিয়েছিলাম।’
আজ শনিবার বেলা ১১টা ১৬ মিনিটে শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে শায়িত শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। ওসমান হাদির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি। এরপর সেখানে শায়িত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরেও শ্রদ্ধা জানান ও জিয়ারত করেন।
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর হাদি হত্যার বিচার দাবি শাহবাগে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। রাতভর অবস্থানের পর সকাল ১১টার আগে শাহবাগ মোড় ছেড়ে একদিকে সরে যান অবস্থান কর্মসূচি পালনকারীরা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমান শাহবাগ এলাকা থেকে চলে আসার পর বেলা ১২টায় হাদি হত্যার বিচার চেয়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য মুন্সি বোরহান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ১২টার সময়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে এসেছি হাদির হত্যার বিচার চাইতে। তারেক রহমান হাদির কবর জিয়ারত করতে আসায় আমরা সাময়িক সময়ের জন্য শাহবাগের পশ্চিম দিকে একটি পাশে অবস্থান নিয়েছিলাম।’
আজ শনিবার বেলা ১১টা ১৬ মিনিটে শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে শায়িত শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। ওসমান হাদির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি। এরপর সেখানে শায়িত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরেও শ্রদ্ধা জানান ও জিয়ারত করেন।
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর হাদি হত্যার বিচার দাবি শাহবাগে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। রাতভর অবস্থানের পর সকাল ১১টার আগে শাহবাগ মোড় ছেড়ে একদিকে সরে যান অবস্থান কর্মসূচি পালনকারীরা।

দেশজুড়ে মাসব্যাপী জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা গোপালগঞ্জে গেলে তাঁদের কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনভর হামলাকারী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে গুলি, ককটেল হামলা, সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
১৬ জুলাই ২০২৫
যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ...
৩২ মিনিট আগে
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
১ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগেনওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁয় গত কয়েক দিনে ক্রমান্বয়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েও অনেককে কাজ না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে খালি হাতে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাকডাকা ভোরে কাজের সন্ধানে গ্রাম থেকে এসে মুক্তির মোড়, ব্রিজের মোড় ও শিবপুর ব্রিজ (বাইপাস) এলাকায় জড়ো হয়েছেন দিনমজুরেরা। জীবিকার তাগিদে আসা এসব শ্রমজীবীর সঙ্গে থাকে মাটি কাটার ঝুড়ি ও কোদাল। কিন্তু একদিকে শীতের কষ্ট, অন্যদিকে কাজ না পাওয়ার হতাশা—দুইয়ের বোঝা নিয়েই অনেককে ফিরতে হচ্ছে বাড়ি।
মুক্তির মোড়ে বসে থাকা ৭০ বছর বয়সী আবুল কাশেম বলেন, ‘কয়েক দিন শীত কম ছিল। এখন হঠাৎ খুব শীত পড়েছে, সঙ্গে বাতাস। এই শীতে ঘর থেকে বের হওয়াই কষ্ট। তারপরও পেটের দায়ে কাজে আসতে হয়। সর্দি-কাশি লেগেই থাকছে। আয় কমে যাওয়ায় খুব বিপদে আছি।’
আরেক শ্রমজীবী তছলিম বলেন, ‘ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে সাইকেল চালিয়ে কাজে এলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। গরিব মানুষ, কাজ না করলে চলবে না। শীতে যত কষ্টই হোক, বের হতে হয়। কিন্তু গত দুই দিন কোনো কাজই পাইনি।’
ব্রিজের মোড়ে কাজের অপেক্ষায় থাকা ৬৫ বছর বয়সী হাজের আলী বলেন, ‘আমাদের কাজ রোদ-বৃষ্টি সবকিছুর ওপর নির্ভর করে। শীত পড়ার পর থেকেই কাজ কমে গেছে। পারিশ্রমিক কম হলেও যা পাই তা-ই করি। কেউ কাজ পায়, কেউ পায় না। কাজ না পেলে কোদাল-ঝুড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরে বসে থাকতে হয়।’

নওগাঁয় গত কয়েক দিনে ক্রমান্বয়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েও অনেককে কাজ না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে খালি হাতে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাকডাকা ভোরে কাজের সন্ধানে গ্রাম থেকে এসে মুক্তির মোড়, ব্রিজের মোড় ও শিবপুর ব্রিজ (বাইপাস) এলাকায় জড়ো হয়েছেন দিনমজুরেরা। জীবিকার তাগিদে আসা এসব শ্রমজীবীর সঙ্গে থাকে মাটি কাটার ঝুড়ি ও কোদাল। কিন্তু একদিকে শীতের কষ্ট, অন্যদিকে কাজ না পাওয়ার হতাশা—দুইয়ের বোঝা নিয়েই অনেককে ফিরতে হচ্ছে বাড়ি।
মুক্তির মোড়ে বসে থাকা ৭০ বছর বয়সী আবুল কাশেম বলেন, ‘কয়েক দিন শীত কম ছিল। এখন হঠাৎ খুব শীত পড়েছে, সঙ্গে বাতাস। এই শীতে ঘর থেকে বের হওয়াই কষ্ট। তারপরও পেটের দায়ে কাজে আসতে হয়। সর্দি-কাশি লেগেই থাকছে। আয় কমে যাওয়ায় খুব বিপদে আছি।’
আরেক শ্রমজীবী তছলিম বলেন, ‘ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে সাইকেল চালিয়ে কাজে এলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। গরিব মানুষ, কাজ না করলে চলবে না। শীতে যত কষ্টই হোক, বের হতে হয়। কিন্তু গত দুই দিন কোনো কাজই পাইনি।’
ব্রিজের মোড়ে কাজের অপেক্ষায় থাকা ৬৫ বছর বয়সী হাজের আলী বলেন, ‘আমাদের কাজ রোদ-বৃষ্টি সবকিছুর ওপর নির্ভর করে। শীত পড়ার পর থেকেই কাজ কমে গেছে। পারিশ্রমিক কম হলেও যা পাই তা-ই করি। কেউ কাজ পায়, কেউ পায় না। কাজ না পেলে কোদাল-ঝুড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরে বসে থাকতে হয়।’

দেশজুড়ে মাসব্যাপী জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা গোপালগঞ্জে গেলে তাঁদের কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনভর হামলাকারী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে গুলি, ককটেল হামলা, সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
১৬ জুলাই ২০২৫
যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ...
৩২ মিনিট আগে
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
১ ঘণ্টা আগে