কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায় যুবককে মারধরের অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১২৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার অষ্টগ্রাম মডেল থানায় হত্যাচেষ্টা ও লুটপাতের মামলাটি হয়। এ মামলায় প্রবাসী ও কারাবন্দীকে আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। মামলা দায়েরের পর থেকে এলাকায় তৈরি হয়েছে সমালোচনার।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, ৬ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে একটি বিজয় মিছিল বের হয়ে পূর্ব অষ্টগ্রাম আখড়া বাজার এলাকার বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গেলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিলে হামলা করে। হামলায় মামলার বাদী মনির মিয়াকে গুরুতর আহত করে অবস্থায় ফেলে রেখে যায় বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়াও মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। মনির মিয়া নিজেকে উপজেলা যুবদলের কর্মী বলে পরিচয় দেন।
তবে স্থানীয় এলাকাবাসী ও আখড়া বাজার এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনার দিন কোনো ধরনের মিছিল হয়নি বা ককটেল বিস্ফোরণ হয়নি। এজাহারে বর্ণিত ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা এ মামলাকে প্রতিহিংসামূলক মামলা বলে মনে করছেন।
মামলার এজাহারে দুজন আসামির নাম রয়েছে। আসামিদের মধ্যে এজাহারে উল্লেখিত পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা ৯৫ নম্বর আসামি খান প্রিয়। তিনি গত দেড় বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত কাতারে প্রবাসী হন। ৯৭ নম্বর আসামি অজিত খান বাবুও বর্তমানে মালয়েশিয়ায় রয়েছেন।
এ ছাড়া ১১৫ নম্বর আসামি আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তার খা অন্য একটি মামলায় ঘটনার দিন কারাবন্দী ছিলেন। ঘটনার দুদিন পর ৮ আগস্ট জামিনে কারামুক্ত হন তিনি। এ মামলায় প্রবাসী ও কারাবন্দীকে কীভাবে আসামি করা হলো এ প্রশ্নে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীরা মনে করেন সম্পূর্ণ প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলার প্রবাসী আসামি খান প্রিয়র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ২০২৩ সালের ৮ আগস্টের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে রাতে রওনা হলে ৯ আগস্ট সকালে তিনি কাতারে পৌঁছান। সেদিন থেকে অদ্যাবধি তিনি কাতারে রয়েছেন। প্রবাসে থেকেও ২০২৪ সালের ৬ আগস্টের মামলায় তিনি আসামি হওয়ার বিষয়টি হাস্যকর বলে দাবি করেছেন।
মামলার আরেক আসামি মুক্তার খা জানান, তিনি অন্য একটি মামলায় ঘটনার দিন কারাগারে ছিলেন। ঘটনার দুদিন পর ৮ আগস্ট তিনি জামিনে কারামুক্ত হন। কারাগারে থেকেও মামলার আসামি হওয়ার বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে মনে করেন। ঘটনার দিনের সঠিক তদন্তের দাবিও জানান তিনি।
প্রবাসী ও কারাবন্দীকে কেন মামলার আসামি করা হলো এমন প্রশ্নে মামলার বাদী মোহাম্মদ মনির মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই আসামিদের নাম দেওয়া হয়েছে। সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।’
এজাহারে বর্ণিত ঘটনার তারিখ অনুযায়ী ওই দিন মামলার বাদী ও সাক্ষীদের কেউ আহত অবস্থায় অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন কি না এ বিষয়ে অনুসন্ধানে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই দিন এমন কোনো গুরুতর আহত রোগী চিকিৎসা নিতেই আসেনি।
মামলার এজাহারে বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে অষ্টগ্রাম উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, মামলার এজাহারে বর্ণিত ঘটনার তারিখে পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়নে কোনো ধরনের বিজয় মিছিল করা হয়নি। এমনকি ওই দিন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে উপজেলাতেই কোনো ধরনের কর্মসূচি করা হয়নি। মামলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম জড়ানো দুঃখজনক বলেও দাবি করেন। তবে এই বিষয়ে শিগগিরই একটি বিবৃতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
মামলায় অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক হায়দারি বাচ্চু প্রধান আসামি, ২ নম্বর আসামি তাঁর ছেলে বিপ্লব হায়দারি, ৩ ও ৪ নম্বর আসামি যথাক্রমে রাজিব আহমেদ হেলু ও উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তৌফিকুল ইসলাম তারিফ। এ ছাড়া অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম জেমস, অষ্টগ্রাম রোটারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোজতবা আরিফ খান ও পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান কাছেদ মিয়া।
মামলার বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম জেমস বলেন, ‘মনির মিয়ার ওপর হামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’
এ বিষয়ে অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সায়েদ আহাম্মদ জানান, মামলার আসামি যাদের সমস্যা রয়েছে তাদের নাম চার্জশিট থেকে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে বাদ দেওয়া হবে। মামলার এজাহারে বর্ণিত সকল ঘটনা সত্য বলেও জানান তিনি।
উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, ‘আমরা এসব প্রতিহিংসামূলক মামলা মোকদ্দমার পক্ষে নই। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও নেতা তারেক রহমান দলের সকলকে সতর্ক করে বলেছেন কাউকে যেন মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা না দেওয়া হয়। তারপরও এই মামলাটি কেন করেছে এ বিষয়ে আমি তেমন কিছুই জানি না।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অষ্টগ্রাম উপজেলার ক্যাম্প কমান্ডার মেজর আরিফা খাতুন বলেন, ‘মামলায় আসামিদের কয়েকজন প্রবাসে থাকেন বলে খবর পেয়েছি। মামলাটা যেহেতু দায়ের হয়ে গেছে সে ক্ষেত্রে আমাদের হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা নেই। তবে প্রবাসী যারা মামলার আসামি হয়েছেন তারা থানার ওসি বরাবর একটি দরখাস্ত দিয়ে তাদের বর্তমান অবস্থানের কথা জানাতে পারেন।’
অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রয়েছে। এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। মামলায় বর্ণিত ঘটনার সঠিক প্রমাণাদি পেলে তা তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায় যুবককে মারধরের অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১২৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার অষ্টগ্রাম মডেল থানায় হত্যাচেষ্টা ও লুটপাতের মামলাটি হয়। এ মামলায় প্রবাসী ও কারাবন্দীকে আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। মামলা দায়েরের পর থেকে এলাকায় তৈরি হয়েছে সমালোচনার।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, ৬ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে একটি বিজয় মিছিল বের হয়ে পূর্ব অষ্টগ্রাম আখড়া বাজার এলাকার বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গেলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিলে হামলা করে। হামলায় মামলার বাদী মনির মিয়াকে গুরুতর আহত করে অবস্থায় ফেলে রেখে যায় বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়াও মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। মনির মিয়া নিজেকে উপজেলা যুবদলের কর্মী বলে পরিচয় দেন।
তবে স্থানীয় এলাকাবাসী ও আখড়া বাজার এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনার দিন কোনো ধরনের মিছিল হয়নি বা ককটেল বিস্ফোরণ হয়নি। এজাহারে বর্ণিত ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা এ মামলাকে প্রতিহিংসামূলক মামলা বলে মনে করছেন।
মামলার এজাহারে দুজন আসামির নাম রয়েছে। আসামিদের মধ্যে এজাহারে উল্লেখিত পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা ৯৫ নম্বর আসামি খান প্রিয়। তিনি গত দেড় বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত কাতারে প্রবাসী হন। ৯৭ নম্বর আসামি অজিত খান বাবুও বর্তমানে মালয়েশিয়ায় রয়েছেন।
এ ছাড়া ১১৫ নম্বর আসামি আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তার খা অন্য একটি মামলায় ঘটনার দিন কারাবন্দী ছিলেন। ঘটনার দুদিন পর ৮ আগস্ট জামিনে কারামুক্ত হন তিনি। এ মামলায় প্রবাসী ও কারাবন্দীকে কীভাবে আসামি করা হলো এ প্রশ্নে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীরা মনে করেন সম্পূর্ণ প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলার প্রবাসী আসামি খান প্রিয়র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ২০২৩ সালের ৮ আগস্টের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে রাতে রওনা হলে ৯ আগস্ট সকালে তিনি কাতারে পৌঁছান। সেদিন থেকে অদ্যাবধি তিনি কাতারে রয়েছেন। প্রবাসে থেকেও ২০২৪ সালের ৬ আগস্টের মামলায় তিনি আসামি হওয়ার বিষয়টি হাস্যকর বলে দাবি করেছেন।
মামলার আরেক আসামি মুক্তার খা জানান, তিনি অন্য একটি মামলায় ঘটনার দিন কারাগারে ছিলেন। ঘটনার দুদিন পর ৮ আগস্ট তিনি জামিনে কারামুক্ত হন। কারাগারে থেকেও মামলার আসামি হওয়ার বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে মনে করেন। ঘটনার দিনের সঠিক তদন্তের দাবিও জানান তিনি।
প্রবাসী ও কারাবন্দীকে কেন মামলার আসামি করা হলো এমন প্রশ্নে মামলার বাদী মোহাম্মদ মনির মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই আসামিদের নাম দেওয়া হয়েছে। সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।’
এজাহারে বর্ণিত ঘটনার তারিখ অনুযায়ী ওই দিন মামলার বাদী ও সাক্ষীদের কেউ আহত অবস্থায় অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন কি না এ বিষয়ে অনুসন্ধানে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই দিন এমন কোনো গুরুতর আহত রোগী চিকিৎসা নিতেই আসেনি।
মামলার এজাহারে বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে অষ্টগ্রাম উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, মামলার এজাহারে বর্ণিত ঘটনার তারিখে পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়নে কোনো ধরনের বিজয় মিছিল করা হয়নি। এমনকি ওই দিন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে উপজেলাতেই কোনো ধরনের কর্মসূচি করা হয়নি। মামলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম জড়ানো দুঃখজনক বলেও দাবি করেন। তবে এই বিষয়ে শিগগিরই একটি বিবৃতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
মামলায় অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক হায়দারি বাচ্চু প্রধান আসামি, ২ নম্বর আসামি তাঁর ছেলে বিপ্লব হায়দারি, ৩ ও ৪ নম্বর আসামি যথাক্রমে রাজিব আহমেদ হেলু ও উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তৌফিকুল ইসলাম তারিফ। এ ছাড়া অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম জেমস, অষ্টগ্রাম রোটারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোজতবা আরিফ খান ও পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান কাছেদ মিয়া।
মামলার বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম জেমস বলেন, ‘মনির মিয়ার ওপর হামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’
এ বিষয়ে অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সায়েদ আহাম্মদ জানান, মামলার আসামি যাদের সমস্যা রয়েছে তাদের নাম চার্জশিট থেকে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে বাদ দেওয়া হবে। মামলার এজাহারে বর্ণিত সকল ঘটনা সত্য বলেও জানান তিনি।
উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, ‘আমরা এসব প্রতিহিংসামূলক মামলা মোকদ্দমার পক্ষে নই। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও নেতা তারেক রহমান দলের সকলকে সতর্ক করে বলেছেন কাউকে যেন মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা না দেওয়া হয়। তারপরও এই মামলাটি কেন করেছে এ বিষয়ে আমি তেমন কিছুই জানি না।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অষ্টগ্রাম উপজেলার ক্যাম্প কমান্ডার মেজর আরিফা খাতুন বলেন, ‘মামলায় আসামিদের কয়েকজন প্রবাসে থাকেন বলে খবর পেয়েছি। মামলাটা যেহেতু দায়ের হয়ে গেছে সে ক্ষেত্রে আমাদের হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা নেই। তবে প্রবাসী যারা মামলার আসামি হয়েছেন তারা থানার ওসি বরাবর একটি দরখাস্ত দিয়ে তাদের বর্তমান অবস্থানের কথা জানাতে পারেন।’
অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রয়েছে। এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। মামলায় বর্ণিত ঘটনার সঠিক প্রমাণাদি পেলে তা তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
১ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
১ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৩ ঘণ্টা আগেফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি সেতুর নিচে ভৈরব নদের মাঝ বরাবর বড় পানির পাইপ রয়েছে। পাইপটি রক্ষায় নদীর ভেতর আড়াআড়িভাবে লোহার খাম্বা বসিয়ে বেড়া দেওয়ায় নদীটিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে নদীগর্ভে দ্রুত পলি জমছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌচলাচল।
স্থানীয়রা বলেন, ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নৌপথ সচল রাখতে ২০২০ সালে ভৈরব নদের সাড়ে ১৭ কিমি পুনঃখনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে খননের সুফল কাজে আসেনি। মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে খুলনা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় ফকিরহাট এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।
ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুকুন্দ পাল বলেন, নৌচলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। নৌপথ চালু থাকলে খুলনা, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট ও বরিশালের সঙ্গে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, ওয়াসার পাইপটি ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান সিদ্দিক বলেন, ওই স্থানে পাইপলাইনের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যন্ত্রপাতি এলে পাইপলাইনটি নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি সেতুর নিচে ভৈরব নদের মাঝ বরাবর বড় পানির পাইপ রয়েছে। পাইপটি রক্ষায় নদীর ভেতর আড়াআড়িভাবে লোহার খাম্বা বসিয়ে বেড়া দেওয়ায় নদীটিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে নদীগর্ভে দ্রুত পলি জমছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌচলাচল।
স্থানীয়রা বলেন, ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নৌপথ সচল রাখতে ২০২০ সালে ভৈরব নদের সাড়ে ১৭ কিমি পুনঃখনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে খননের সুফল কাজে আসেনি। মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে খুলনা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় ফকিরহাট এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।
ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুকুন্দ পাল বলেন, নৌচলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। নৌপথ চালু থাকলে খুলনা, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট ও বরিশালের সঙ্গে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, ওয়াসার পাইপটি ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান সিদ্দিক বলেন, ওই স্থানে পাইপলাইনের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যন্ত্রপাতি এলে পাইপলাইনটি নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায় যুবককে মারধরের অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১২৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার অষ্টগ্রাম মডেল থানায় হত্যাচেষ্টা ও লুটপাতের মামলাটি হয়। এ মামলায় প্রবাসী ও কারাবন্দীকে আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। মামলা দায়েরের পর থেকে এলাকায় তৈরি হয়েছে সমাল
২৬ আগস্ট ২০২৪
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
১ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৩ ঘণ্টা আগেমো. হোসাইন আলী কাজী

আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা ওই পথ ব্যবহার করছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য দুটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পরিত্যক্ত ওই ভবন দুটির মাঝখান দিয়েই আদালতের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মিত। প্রতিদিন বিচারকাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়ে আদালতে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দুটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবন দুটির বিভিন্ন অংশ থেকে ইট, পাথর ও বিম খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে জন্মেছে পরগাছা। ভেতরের অবস্থা এমন যে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকতে ভয় পান মানুষ। ভবন দুটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আদালতের সামনে এভাবে দুটি পরিত্যক্ত ভবন থাকা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আমাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবুবকর বলেন, আদালতের প্রবেশপথের দুই পাশে পরিত্যক্ত দুটি ভবন পড়ে আছে। ভবন ধসে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জেলা বার সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা জরুরি।
জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটি বহু আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এখনো সেগুলো অপসারণ করা হয়নি, তা আমারও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।

আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা ওই পথ ব্যবহার করছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য দুটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পরিত্যক্ত ওই ভবন দুটির মাঝখান দিয়েই আদালতের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মিত। প্রতিদিন বিচারকাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়ে আদালতে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দুটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবন দুটির বিভিন্ন অংশ থেকে ইট, পাথর ও বিম খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে জন্মেছে পরগাছা। ভেতরের অবস্থা এমন যে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকতে ভয় পান মানুষ। ভবন দুটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আদালতের সামনে এভাবে দুটি পরিত্যক্ত ভবন থাকা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আমাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবুবকর বলেন, আদালতের প্রবেশপথের দুই পাশে পরিত্যক্ত দুটি ভবন পড়ে আছে। ভবন ধসে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জেলা বার সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা জরুরি।
জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটি বহু আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এখনো সেগুলো অপসারণ করা হয়নি, তা আমারও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায় যুবককে মারধরের অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১২৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার অষ্টগ্রাম মডেল থানায় হত্যাচেষ্টা ও লুটপাতের মামলাটি হয়। এ মামলায় প্রবাসী ও কারাবন্দীকে আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। মামলা দায়েরের পর থেকে এলাকায় তৈরি হয়েছে সমাল
২৬ আগস্ট ২০২৪
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
১ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুকের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরের চাঁনপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মসলেম সরদার। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিএনজি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। স্থানীয়রা জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতন করা হলেও পরে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। এক পুরিয়া গাঁজার জন্য ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। পরে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখে যায় বাগমারা থানা-পুলিশ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরদিন সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বুধবার উপজেলা সদরে গেলে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকে রাখেন সিএনজি সমিতির সদস্যরা। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য মব সৃষ্টি করে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। চুরির কথা স্বীকার করাতে চার হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নগ্ন করে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। পানি খেতে চাইলে পাশের নদীতে চুবানো হয়। পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়া। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে এক পুরিয়া গাঁজা এনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশ সদস্যরা আর তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মুমূর্ষু ভ্যানচালক ফারুককে সাত দিন কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ওই রাতেই পুলিশ ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় কারাগারে দিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরদিন সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ফারুক মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারুকের বাবা মসলেম সরদারও ভ্যানচালক। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। চুরি না করলেও স্বীকার করাতে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফারুকের মা পারুল বেগম বলেন, ‘গরিব বলে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে প্রশাসন তাকে কারাগারে পাঠায়। সিএনজির লোকজন দেখায়, তার কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে। কিন্তু সে মাদক সেবন করত না। প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মৃতপ্রায় ছেলেকে জেলে দিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে। তখনো সঠিক চিকিৎসা হলে বেঁচে যেত। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবানীগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সামনাসামনি না গেলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি না। আদেশ হলে আমাদের কাজ কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করেছি।’ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুমূর্ষু ব্যক্তির চিকিৎসা না করিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা বলেন, তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন। সভা শেষে ফোন করবেন। পরে আর ফোন করেননি। আবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিভাগীয় কমিশনার ড. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুকের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরের চাঁনপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মসলেম সরদার। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিএনজি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। স্থানীয়রা জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতন করা হলেও পরে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। এক পুরিয়া গাঁজার জন্য ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। পরে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখে যায় বাগমারা থানা-পুলিশ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরদিন সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বুধবার উপজেলা সদরে গেলে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকে রাখেন সিএনজি সমিতির সদস্যরা। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য মব সৃষ্টি করে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। চুরির কথা স্বীকার করাতে চার হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নগ্ন করে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। পানি খেতে চাইলে পাশের নদীতে চুবানো হয়। পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়া। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে এক পুরিয়া গাঁজা এনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশ সদস্যরা আর তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মুমূর্ষু ভ্যানচালক ফারুককে সাত দিন কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ওই রাতেই পুলিশ ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় কারাগারে দিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরদিন সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ফারুক মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারুকের বাবা মসলেম সরদারও ভ্যানচালক। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। চুরি না করলেও স্বীকার করাতে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফারুকের মা পারুল বেগম বলেন, ‘গরিব বলে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে প্রশাসন তাকে কারাগারে পাঠায়। সিএনজির লোকজন দেখায়, তার কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে। কিন্তু সে মাদক সেবন করত না। প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মৃতপ্রায় ছেলেকে জেলে দিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে। তখনো সঠিক চিকিৎসা হলে বেঁচে যেত। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবানীগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সামনাসামনি না গেলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি না। আদেশ হলে আমাদের কাজ কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করেছি।’ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুমূর্ষু ব্যক্তির চিকিৎসা না করিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা বলেন, তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন। সভা শেষে ফোন করবেন। পরে আর ফোন করেননি। আবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিভাগীয় কমিশনার ড. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায় যুবককে মারধরের অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১২৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার অষ্টগ্রাম মডেল থানায় হত্যাচেষ্টা ও লুটপাতের মামলাটি হয়। এ মামলায় প্রবাসী ও কারাবন্দীকে আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। মামলা দায়েরের পর থেকে এলাকায় তৈরি হয়েছে সমাল
২৬ আগস্ট ২০২৪
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
১ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৩ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায় যুবককে মারধরের অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১২৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার অষ্টগ্রাম মডেল থানায় হত্যাচেষ্টা ও লুটপাতের মামলাটি হয়। এ মামলায় প্রবাসী ও কারাবন্দীকে আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। মামলা দায়েরের পর থেকে এলাকায় তৈরি হয়েছে সমাল
২৬ আগস্ট ২০২৪
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
১ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
১ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে