Ajker Patrika

ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন—এই দাবির পেছনে ডিবি কোনো সলিড তথ্য দেখায়নি: সহপাঠীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫: ৪৫
ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন—এই দাবির পেছনে ডিবি কোনো সলিড তথ্য দেখায়নি: সহপাঠীরা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ আত্মহত্যা করেছেন এটা ডিবির তথ্য প্রমাণ থেকে ধারণা করা যায়। তবে ফারদিনের এই আত্মহত্যার পেছনে কোনো সলিড তথ্য দেখায়নি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এমনটিই জানিয়েছেন ফারদিনের সহপাঠীরা। 

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিবির আহ্বানে বুয়েটের ৩১ জন শিক্ষার্থী ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। দুই ঘণ্টা অবস্থান শেষে কার্যালয় থেকে বের হয়ে তাঁরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। 

গতকাল ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ দাবি করেন ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। এই দাবির পর পরই ফারদিনের পরিবার ও সহপাঠীরা এর সমালোচনা করেন। এরপর ফারদিনের সহপাঠীরা আজ বৃহস্পতিবার বুয়েটে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়। পরে ফারদিন আত্মহত্যার ‘তথ্য-প্রমাণ’ দেখার জন্য ডিবি কার্যালয়ে আসার জন্য আহ্বান জানালে তাঁরা প্রতিবাদ কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করে ডিবি কার্যালয়ে যান। 

ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে কারও নাম উল্লেখ না করে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, তদন্তে পাওয়া ফাইন্ডিংস তারা (ডিবি) আমাদের দেখিয়েছে। আমাদের কাছে আলামতগুলো প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়েছে। এগুলোর পেছনে তারা বেশ এফোর্ড দিয়েছে। তবে কিছু কিছু বিষয়ে গ্যাপ আছে। তবে আমরা আশা করি, তারা আরও কাজ করবেন। 

আলামত যা দেখেছেন সেগুলো যথেষ্ট বলে মনে করেন কি না? জানতে চাইলে তারা বলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছে শতভাগ তো করা সম্ভব না, কিছু কিছু ক্ষেত্রে গ্যাপ আছে। সে ক্ষেত্রে তারা ভবিষ্যতে আরও কাজ করবেন। আমাদের যে পয়েন্টগুলো ছিলো আমরা বলেছি। তারা এটা নিয়েও কাজ করবে। 

সর্বশেষ সিদ্ধান্ত কী নিবেন জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, আমরা নিজেরা আলোচনা করে জানাব। তাদের (ডিবি) কথা ও চেষ্টা প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। কিছু গ্যাপও আছে। সেগুলো আরও পরিষ্কার হওয়া দরকার। একটা প্রাথমিক গ্যাপ রয়েছে সেটা হচ্ছে ব্রিজের যেখানে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে সেখানে তাঁর (ফারদিন) সঙ্গে কে ছিলো। সে একদম একা ছিলো কি না সে বিষয় স্পষ্ট কিছু বলে নাই। লেগুনা চালকও নাকি বলেছে ওই স্থানে দুজন নেমেছে। কে নেমেছে এই বিষয়টা ক্লিয়ার না। এর বাইরে অন্যান্য যা আছে সেটি কংক্রিট বলেছে। তারা আমাদের বিস্তারিত বলেছে। 

আপনারা তথ্য প্রমাণে সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে বলেন, আমরা তাদের চেষ্টায় সন্তুষ্ট, অনেকটা আশ্বস্ত। ডিবির সহযোগিতায় আমরা আশ্বস্ত। আর যেহেতু তদন্ত শেষ হয়নি। মামলার রিপোর্ট জমা দেয়নি। তার মানে তাদেরও কিছু না কিছু কাজ বাদ রয়েছে বলে মনে করি। তদন্ত শেষ হলে তো তারা প্রতিবেদন জমা দিত। এখন তারা প্রথম দিন থেকে কাজ করেছে সবই দেখিয়েছে। আমরা তাদের কাজ ও অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট। তারা অনেক কাজ করেছে আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। 

তথ্য প্রমাণ দেখে আত্মহত্যা মনে হয়েছে কি না জানতে চাইলে তারা বলেন, এই বিষয়ে শতভাগ কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই। তারা (ডিবি) আমাদের কিছু তথ্য দেখিয়েছেন যা কাছাকাছি বলা যায়। এই কথায় হয়তো মনে হতে পারে যে আত্মহত্যা করেছে। তবে সেই রকম কোনো সলিড তথ্য দেখায়নি। কিন্তু এই বিষয় তাদের তদন্তের জায়গা থাকতে পারে। আত্মহত্যার মোটিভটা নিয়ে তারা বলেছেন কাজ করবে। এটা পরিষ্কার করতে হয়তো তাদের সময় লাগবে। 

ফারদিন হত্যাকাণ্ড নিয়ে আরও সংবাদ পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি যুবকের

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি 
দুলাল মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
দুলাল মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।

মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।

জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মামলা ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
পাবনার চাটমোহরে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাবনার চাটমোহরে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।

জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।

সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।

সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুলশানে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ জব্দ, গ্রেপ্তার ১

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
র‍্যাবের হাতে জব্দ হওয়া ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ। ছবি: র‍্যাব
র‍্যাবের হাতে জব্দ হওয়া ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ। ছবি: র‍্যাব

রাজধানীর গুলশানে মদের চালানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।

আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম (২১) নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।

এ বিষয়ে র‍্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কর্ণফুলীতে অস্ত্রসহ যুবক আটক

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
অস্ত্রসহ আটক যুবক। ছবি: সংগৃহীত
অস্ত্রসহ আটক যুবক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর চারটার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।

আটক যুবক ওই এলাকার রাজ্জাক নুর প্রকাশ রজ্জক নুরের ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে দেশীয় তৈরি ১টি এলজি এবং ৩টি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত