Ajker Patrika

তাড়াইলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ বন্ধের দাবিতে ৯ গ্রামের কৃষক ও জেলের মানববন্ধন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
তাড়াইলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ বন্ধের দাবিতে ৯ গ্রামের কৃষক ও জেলের মানববন্ধন

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ফসলি জমি রক্ষা ও প্রস্তাবিত মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প বাতিলের দাবিতে ৯টি গ্রামের প্রকৃত কৃষক, শ্রমিক, জেলে সমন্বিত জোটের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনোভাবেই বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।

আজ বুধবার সকালে উপজেলার প্রায় হাজারখানেক কৃষক ও জেলে এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা বলেন, কার স্বার্থে ও কীভাবে এ বেড়িবাঁধ করা হচ্ছে তাঁরা জানেন না। বেড়িবাঁধ হলে তাদের না খেয়ে মরে যেতে হবে। প্রয়োজনে রক্ত তারা রক্ত দিতেও প্রস্তুত, তবুও এখানে বেড়িবাঁধ হতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শিমুলহাটি ঈদগাহ ব্রিজের উত্তর পার্শ্ব থেকে সুতি নদীর পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে দাউদপুর আবাসন প্রকল্প পর্যন্ত ৮ দশমিক ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বেড়িবাঁধের প্রস্তাব জমা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এই প্রস্তাবিত প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এজেন্সি (জাইকার) তদারকি করবে।

এ দিকে স্থানীয় কৃষক ও জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাড়াইলের বৃহত্তম শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত ‘নামার হাওর’। শিমুলহাটি গ্রামে সুতি নদী খননের আগে এক ফসল হতো নামার হাওরে। নদীটি খননের পর নামার হাওরের হাজার হাজার একর জমিতে দুই থেকে তিন ফসল হয়। নদীটি খননের কারণে এ হাওরাঞ্চলে স্থায়ী কোনো জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় না।

৫টি ওয়ার্ডের বিশাল হাওরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বাস। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি, বর্গাচাষি, মৌসুমি জেলে ও প্রকৃত জমির মালিক রয়েছে প্রায় ৩ হাজার। সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেষী মহল বেড়িবাঁধ ও মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের নামে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে ৯টি গ্রামের ফসলি জমি নষ্ট করতে চাচ্ছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি ভূমি অধিগ্রহণ, জাতীয় পানি নীতিমালা ও নদী রক্ষা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সদ্য খননকৃত নদীর তীর ঘেঁষে বাঁধটি হলে, নদী তার পানি প্রবহমানতা হারাবে। যে হাওরে সেচ ও নিষ্কাশনে কোনো ফসলি জমি রক্ষা বাঁধের আদৌ প্রয়োজন নেই, সেখানে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে বৃহত্তর ফসলি হাওর বিনষ্ট করা মানে কৃষক হত্যা, নদী হত্যার নামান্তর।

প্রতিবাদ সমাবেশে কৃষক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিশাল এ হাওরে ৩০ হাজার একর ফসলি জমি রয়েছে। এখানে অদ্যাবধি দুটি ফসল হচ্ছে। কারণ জাইকা ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে সুতি নদী খনন করেছে। এখন যদি ৮ দশমিক ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বেড়িবাঁধ হয়, তাহলে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। যারা নিজেদের ফায়দার জন্য বেড়িবাঁধ ও মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প করবে তারা ঘরে-ঘরে ভাইয়ে-ভাইয়ে যুদ্ধ করাবে।’

কৃষক আফজাল হোসেন আজম বলেন, ‘স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জাইকার কাছে যে প্রকল্প প্রস্তাব দিয়েছে, তার সভা হয়েছে ২৬টি। অবহিতকরণ সভা, অংশগ্রহণ সভা, অংশীদারত্ব কিংবা বাস্তবায়ন কমিটিতে প্রকৃত জমির মালিকদের অত্যন্ত সুকৌশলে এড়িয়ে গেছে ওই প্রভাবশালী মহল। কারণ তারা জানে প্রকৃত জমির মালিকদের ডাকলে প্রথমেই বাঁধার মুখে পড়বে তারা।’

কৃষক জাহাঙ্গীর হাসান ভূইয়া বলেন, ‘আমরা ফসলি জমি বিনষ্ট হতে দেব না। প্রস্তাবিত প্রকল্পে বিভিন্ন অংশগ্রহণ, সুবিধা ভোগী ও বাস্তবায়ন কমিটিতে ভাড়াটে, ভুয়া কৃষকদের নাম সংবলিত করেছে। যারা ভিন্ন গ্রামের ভিন্ন ভিন্ন আজ্ঞাবহ লোক। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ৯টি গ্রামের মানুষ সর্বস্বান্ত ও বেকার হয়ে পড়বে। বর্ষা মৌসুমে জেলেরা হবে স্থায়ী বেকার। হাওরে অবস্থিত দাউদপুর, নওগাঁ, মৌগাও এবং মেছগাঁও এর ৪টি সরকারি আবাসন প্রকল্পের বসবাসরত ৪০০টি পরিবার কোথায় যাবে? যারা হাওরে শ্রমভিত্তিক জীবনযাপন করে। তাদের জন্যও এটা মরণফাঁদ। এ কারণে গত ৩১ জুলাই আমরা জেলা প্রশাসক বরাবর প্রকল্পটি বাতিলের আবেদন করেছি।’ 

জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আহমেদ উল্লাহ বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাঁধ বাস্তবায়ন হলে এই এলাকার কয়েক হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এলাকায় নতুন করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে।’ 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমান বলেন, ‘প্রকল্পটি আমাদের না। অন্য কোনো সংস্থা কাজটি করছে।’ 

কিশোরগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সুপারিশ ও ইউনিয়ন পরিষদের রেজুলেশন দিয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে জাইকা থেকে বাস্তবায়িত প্রকল্পটি ফিজিবিলিটি রিপোর্ট প্রাপ্তির পর প্রকল্পটি জনগণের উপকারে আসবে, বিধায় এটি গ্রহণ করা হয়েছে।’ 

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘প্রকল্প বাতিলের দাবিতে তাঁদের আবেদন আমি পেয়েছি। আবেদনের যৌক্তিকতা কী, তা আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ। ছবি: সংগৃহীত
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ। ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।

সালাহউদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত সাড়ে ১০টার সময় নদীপথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। সে সময় নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় কিছু যানবাহন আটকা পড়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আরও বলেন, কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের ৯ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার: বিএনপিএস

কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে আজ বুধবার বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠক। ছবি: আজকের পত্রিকা
কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে আজ বুধবার বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠক। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে বসবাস করা ৫৫ শতাংশ নারী ও কন্যা শিশু প্রতিনিয়ত সুরক্ষা, শিক্ষা, পুষ্টি ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয়শিবিরগুলোয় ৯ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরে সংস্থাটি।

বিএনপিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সাল থেকে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে তারা কক্সবাজারের ৩৩টি শিবিরে বসবাস করছে, যা বিশ্বে বৃহত্তম শরণার্থী আশ্রয়স্থলগুলোর একটি। এই জনগোষ্ঠীর ৫২ শতাংশের বেশি নারী ও কন্যা।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে আট বছরেরও বেশি সময়ে কক্সবাজারের প্রায় ৫ লাখ মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই দীর্ঘস্থায়ী সংকটের প্রভাবে স্থানীয় জনগোষ্ঠী জীবিকা, মজুরি, বন ও জলসম্পদ, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক সংহতির ওপর ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়েছে। ফলে এটি শুধু শরণার্থী সংকট নয়; এটি মানবিকতা, উন্নয়ন এবং শান্তির এক যৌথ চ্যালেঞ্জ।

‘শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অধিকার ও দায়িত্ব’ শীর্ষক এ গোল টেবিল বৈঠক সঞ্চালনা করেন বিএনপিএসের উপপরিচালক নাসরিন বেগম। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ শামসুদ্দৌজা নয়ন। এ ছাড়া শরণার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এম এ সানোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ পরিবশে আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য হুমায়রা বেগমসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শামসুদ্দৌজা নয়ন বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তা কমে এসেছে। এর ফলে সামাজিক নিরাপত্তা সংকট তৈরি হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নারীরা।

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা, খাদ্য, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং ও সহিংসতা থেকে সুরক্ষার অধিকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাঠামোর অধীনে নিশ্চিত করা নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব। একইভাবে, আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়েরও টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, সম্মানজনক কাজ এবং জনসেবায় ন্যায্য প্রবেশাধিকারের জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যবিপ্রবির প্রথম উপাচার্য রফিকুল ইসলাম মারা গেছেন

­যশোর প্রতিনিধি
মো. রফিকুল ইসলাম সরকার। ছবি: সংগৃহীত
মো. রফিকুল ইসলাম সরকার। ছবি: সংগৃহীত

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকার মারা গেছেন (ইন্না...রাজিউন)। আজ বুধবার সকালে ঢাকার নিজ বাসা থেকে বের হয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে একটি বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকার যবিপ্রবি স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক। পরবর্তীতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। সেখানে তিনি কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি কৃষিবিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও যবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এ ছাড়া তিনি একজন কৃষি বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলী হিসেবে দেশের কৃষি খাতের যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিকায়নে দীর্ঘ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে কৃতিত্বের সঙ্গে অবদান রেখেছেন।

এদিকে, ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন, রিজেন্টবোর্ড সদস্যবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

এক শোক বার্তায় যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, রফিকুল ইসলাম সরকার ছিলেন একজন সৎ, মানবিক, ধর্মভীরু ও দায়িত্বশীল মানুষ। যবিপ্রবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ অবধি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতিতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন।

তিনি ছিলেন একজন দক্ষ প্রশাসক এবং বরেণ্য কৃষি বিজ্ঞানী। যবিপ্রবির সূচনালগ্নে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দূরদর্শী পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছাতে ভিত গড়ে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে তিনি শূন্য থেকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার যে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন, তা যবিপ্রবি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ২৪
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাঁচপুর সেতু থেকে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত ১০ কিলোমাটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে একটি ট্রাক দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ সময় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় এ যানজট তৈরি হয়।

এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে আটকে থেকে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, ব্যক্তিগত যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাত সাড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট দেখা গেছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লাঙ্গলবন্দ ব্রিজ এলাকায় একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিংয়ে সজোরে আঘাত করে। ট্রাকটিতে প্রায় ২৭ টন মালামাল বোঝাই ছিল। দুর্ঘটনায় সেতুর রেলিং ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তিনি আরও জানান, ট্রাকটিতে অতিরিক্ত মালামাল থাকায় রেকার দিয়ে সরানো সম্ভব হয়নি। ফলে প্রথমে অন্য একটি ট্রাকে মালামাল স্থানান্তরের কাজ শুরু করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সময় লাগায় দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি বিকেলের আগে সরানো যায়নি। এর ফলে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। ছবি: আজকের পত্রিকা

পণ্যবাহী ট্রাকচালক শাহ আলম জানান, দুর্ঘটনার কারণে রাস্তা বন্ধ ছিল বুঝতে পারছি। কিন্তু এত সময় লাগবে ভাবিনি। মালামাল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে।

আরেক যাত্রী আক্তার হোসেন বলেন, আমি চট্টগ্রামে যাচ্ছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু তিন ঘণ্টা ধরে একই জায়গায় আটকে আছি। ছোট বাচ্চা নিয়ে খুব বিপদে পড়েছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করে। বিকেল নাগাদ মালামাল সরিয়ে ট্রাকটি সড়ক থেকে অপসারণ করা হলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে। টানা তিন দিনের ছুটি থাকায় মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেশি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত