Ajker Patrika

রাজধানীর বাজারদর

বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের বাজার গরম, দাম কমেছে ডিমের

  • প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।
  • আদা, রসুন, পেঁয়াজসহ মসলাজাতীয় পণ্যের দাম স্থির।
  • ব্রয়লার মুরগির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেশি।
  • টমেটো বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৫, ১০: ২১
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পর বাজারগুলোতে পণ্যভিত্তিক সিন্ডিকেট সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী রূপ ধারণ করেছে। ছবি আজকের পত্রিকা
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পর বাজারগুলোতে পণ্যভিত্তিক সিন্ডিকেট সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী রূপ ধারণ করেছে। ছবি আজকের পত্রিকা

তিন-চার দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এতে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। তবে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, প্রতি কেজির দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। অন্যদিকে ডিমের বাজারে দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর খুচরা বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতিটি ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকায়। মাসখানেক আগেও প্রতিটি ডিমের দাম ছিল ১১ টাকা থেকে ১১ টাকা ২৫ পয়সা। পাইকারিতে দাম আরও কম। প্রতিটি ডিমের দাম নেমেছে ৮ টাকা থেকে ৮ টাকা ৮০ পয়সায়।

ব্যবসায়ী ও বিক্রেতারা বলছেন, ডিমের দামের সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাও অনেক কমে গেছে। আগে যাঁরা প্রতিদিন ৪-৫ হাজার ডিম বিক্রি করতে পারতেন, এখন তাঁদের বিক্রি আড়াই থেকে ৩ হাজারে নেমেছে।

খামারিরা বলছেন, বাচ্চার দাম কমে আসায় ডিমের বাণিজ্যিক চাহিদা কমে গেছে। অনেক বড় খামার বাচ্চা উৎপাদন না করে সেই ডিমগুলো বাজারে ছাড়ছে। এতে ডিমের দাম কমেছে। এ ছাড়া ফলের মৌসুম হওয়ায় অনেকেই সকালের নাশতায় ডিম না খেয়ে ফল খাচ্ছেন। এতেও বাজারে চাহিদা কমতে পারে।

বাজার তথ্য বলছে, গত বছরের জুলাই-আগস্টে ডিমের দাম কিছুটা কমই ছিল। তখন প্রতিটি ডিম ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হতো। সেপ্টেম্বরে এসে হঠাৎ তিন দফায় দাম প্রতিটি ডিমে আড়াই থেকে ৩ টাকা বেড়ে ১২ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত ওঠে।

তারপর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও পোলট্রি খাতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মতামতের ভিত্তিতে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৪২ টাকা (প্রতিটি খুচরায় ১১ টাকা ৮৫ পয়সা) নির্ধারণ করে। যদিও এই দামের মধ্যে সব সময় আটকে থাকেনি, মাঝে মাঝে কিছুটা বেড়েছে।

জানতে চাইলে সেগুনবাগিচা বাজারের ডিমের ব্যবসায়ী নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘ডিমের দাম কোরবানির ঈদের আগে থেকে কমতে শুরু করে। কয়েক দফায় কমে এখন খুচরায় প্রতি ডজন ১২০ টাকায় নেমেছে। পরিচিত কাস্টমারদের কাছে আরও কমে বিক্রি করে দিই। কারণ এখন ক্রেতা অনেক কম। প্রতিদিন আমি ১ গাড়ি (৫ হাজার) ডিম বিক্রি করতে পারতাম। এখন এক গাড়ি বিক্রি করতে দুই দিন লাগে।’

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিমের দাম বাজারে বেশি কমে গেলে খামারিদের লোকসান হয়। এতে অনেক খামারি ঝরে যায়। আর খামারি ঝরে গেলে বাজারে চাহিদামতো ডিমের সরবরাহ থাকে না। তখন আবার দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এমন ভারসাম্যহীন বাজারব্যবস্থায় কোনো পক্ষই লাভবান হতে পারে না। কোনো শিল্পও টিকে থাকতে পারে না।

গাজীপুরের আজিরন পোলট্রি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. তোফাজ্জাল বলেন, ‘সাধারণত বর্ষাকালে ডিমের চাহিদা ও দাম বেশি থাকে। গত বছর এই সময় ডিম ছিল ১১ টাকা করে। কিন্তু এবার বিপরীত চিত্র। আজকে আমি প্রতিটি ডিম বিক্রি করেছি ৮ টাকায়। অথচ আমাদের উৎপাদন খরচ ১০ টাকার ওপরে। এভাবে লোকসান দিয়ে কত দিন চলা যায়। তার পরও চাহিদামতো ডিম বিক্রি হচ্ছে না। ঈদুল আজহার পর এক সপ্তাহ ডিমই বিক্রি করতে পারিনি। এখনো চাহিদা অনেক কম।’

গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকায় দাম বেঁধে দিয়েছিল কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৭০-১৮০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২০ টাকা বেশি। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ১৫০-১৬০ টাকা কেজি। সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

এদিকে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেলসহ প্রায় সব মুদিপণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে। এ ছাড়া আদা, রসুন, পেঁয়াজসহ মসলাজাতীয় পণ্যের দামও স্থির।

বৃষ্টির কারণে বাজারে বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। গতকাল রাজধানীর বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। চার থেকে পাঁচ দিন আগেও কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।

রাজধানীর মালিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা আনোয়ার বলেন, ‘পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচসহ কিছু সবজির সরবরাহ অনেক কম। তাই দাম হঠাৎ বেড়েছে। পাইকারিতে বাড়লে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়।’

কাঁচা মরিচের মতো টমেটোর দামও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি টমেটো ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা এক সপ্তাহ আগে ১২০-১৩০ টাকা ছিল।

অন্যান্য সবজির মধ্যে করলা ৮০-৯০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৭০-৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এসব সবজির দামও ৫-১০ টাকা বেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চৌদ্দগ্রামে ঘন কুয়াশায় দুই লরির সংঘর্ষ, চালক ও সহযোগী নিহত

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া একটি লরি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া একটি লরি। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আজ ভোরে ঘন কুয়াশার কারণে দুই লরির সংঘর্ষে চালক ও তাঁর সহযোগী (হেলপার) নিহত হয়েছেন। নিহত চালক আব্দুল জব্বার (৩১) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার চরকমলা গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে এবং হেলপার শাকিল (২২) নোয়াখালীর চরজব্বার থানার চর মহিউদ্দিন গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।

চৌদ্দগ্রাম মিয়া বাজার হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন জানান, ঘন কুয়াশার কারণে চট্টগ্রামমুখী একটি লরিকে পেছনে থাকা আরেকটি লরি ধাক্কা দেয়। এতে পেছনের লরির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গিয়ে মহাসড়কের পাশে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক আব্দুল জব্বার মারা যান। গুরুতর আহত হেলপার শাকিলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁরও মৃত্যু হয়।

চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন জানান, আহত হেলপারকে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এসআই ফারুক হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে থানার ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘন কুয়াশায় শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্ব

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ঘন কুয়াশাজনিত কারণে আজ রোববার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমনকারী একাধিক ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ের তুলনায় বিলম্বে অবতরণ ও উড্ডয়ন করেছে। তবে এদিন কোনো ফ্লাইট ডাইভার্ট (অন্য স্থানে অবতরণ) করা হয়নি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ বলেন, আজ ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত রানওয়ের দৃশ্যমান অবস্থা কম থাকায় ফ্লাইট অপারেশনে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। এ কারণে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট সময়সূচি অনুযায়ী পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হয়। বর্তমানে দৃশ্যমান অবস্থা স্বাভাবিক থাকায় ফ্লাইট পরিচালনা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বিবেচনায় সব ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছে।

বিলম্বিত ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা প্রদান করছে বলে জানানো হয়েছে। যাত্রীদের অনাকাঙ্ক্ষিত ভোগান্তির জন্য এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ভ্রমণের আগে নিজ নিজ ফ্লাইটের সর্বশেষ অবস্থা জেনে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদা না দেওয়ায় হাতিয়ায় ব্যবসায়ীর ওপর হামলার অভিযোগ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৭
আহত ব্যবসায়ী মেহরাজ উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত ব্যবসায়ী মেহরাজ উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় মেহরাজ উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীর ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করেন।

গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতের এই ঘটনায় হাতিয়া থানায় চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টা ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় স্থানীয় ইউনুছ মাঝিসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৮ ডিসেম্বর অভিযুক্ত ইউনুছ মাঝি ও তাঁর সহযোগীরা মেহরাজ উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দেওয়া হয়। এরপর ২৪ ডিসেম্বর সকালে মেহরাজ উদ্দিন তাঁর চাল ভাঙার মেশিনে কাজ করার সময় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

হামলার সময় সন্ত্রাসীরা ধারালো কিরিচ দিয়ে মেহরাজ উদ্দিনের মাথায় এলোপাতাড়ি কোপ দেয়। এতে মাথার হাড় ও খুলি মারাত্মকভাবে জখম হয়। এ ছাড়া লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়।

পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এ এস এম আরিফ বলেন, মেহরাজ উদ্দিনের মাথার আঘাত খুবই গুরুতর। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মেহরাজ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, কয়েক দিন ধরে ইউনুছ মাঝি, তাঁর ছেলে হাসান ও রাজু এবং পাশের এলাকার আয়াত হোসেন তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এর আগেও তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল। এতে তিনি ও তাঁর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, মেহরাজ উদ্দিনের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫১
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর উত্তরার হাউস বিল্ডিং এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় নাজমুল ইসলাম (৩৫) নামে এক পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাজমুল ইসলামকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী ও ভাতিজা সাকিব আলম জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ওলিপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম নুরনবী। বর্তমানে গাজীপুরের টঙ্গীতে থাকতেন নাজমুল। তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় কোয়ালিটি সুপারভাইজার ছিলেন তিনি।

সাকিব আলম আরও জানান, রাতে গ্রাম থেকে তাঁকে ফোনে জানানো হয়, নাজমুল উত্তরার হাউস বিল্ডিংয়ের জয়নাল মার্কেট নতুন গেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়েছেন। পরে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে দেখতে পান। আহত অবস্থায় নাজমুলকে পথচারীরা সেখানে নিয়ে এসেছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর।

পথচারীদের বরাতে সাকিব আরও বলেন, হাউস বিল্ডিং এলাকার জয়নাল মার্কেটে নতুন গেট এলাকার রেললাইনে দুই দিক থেকে দুটি ট্রেন আসায় ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নাজমুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তবে তিনি সেখান দিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন, কেউ তা বলতে পারেননি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত