Ajker Patrika

তুলনামূলক ছোট এগজস্টের কারণেই আগুন, দায়ী ১২ জন 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১৭: ১২
তুলনামূলক ছোট এগজস্টের কারণেই আগুন, দায়ী ১২ জন 

এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নাগরিক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নৌযানের নতুন অথবা উচ্চ গতিসম্পন্ন কোন ইঞ্জিন প্রতিস্থাপন করলে ইঞ্জিনের অনুপাতে পাইপলাইন বা এগজস্ট পাইপ পরিবর্তন করতে হয়। কিন্তু অভিযান-১০ লঞ্চটিতে এগজস্ট পাইপ বড় করা হয়নি। ফলে ইঞ্জিন কক্ষের আশপাশের তাপমাত্রা অত্যধিক বেড়ে যায়। যেহেতু ইঞ্জিনের কাছাকাছি থেকে তাপ ছড়িয়েছে সেজন্য ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণে ভয়াবহ এ আগুনের ঘটনা ঘটে। এর জন্য লঞ্চের মালিক, সরকারি কর্মকর্তারাসহ ১২ জন দায়ী। 

আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে নাগরিক তদন্ত কমিটির করা তদন্ত প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়। ১৬টি সংগঠনের উদ্যোগে এ নাগরিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

গত ২৩ ডিসেম্বর দিনগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। এ ঘটনায় প্রায় অর্ধশত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত রয়েছেন শতাধিক যাত্রী, নিখোঁজও আছেন অনেকে। 

নাগরিক তদন্ত কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আশীষ কুমার দে তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় জানান, ‘লঞ্চের ইঞ্জিনকক্ষের পোর্ট সাইডের প্রধান ইঞ্জিনের ৩ নম্বর ইউনিটের ইন্ডিকেটর কক খোলা ও লকিং নাট আলগা ছিল। ইন্ডিকেটর ককের লকিং নাট আলগা থাকায় ঝাঁকুনিতে আস্তে আস্তে ইন্ডিকেটরটি খুলে যায়। ফলে আগুনের ফুলকির সংস্পর্শে এসে চারপাশে বাতাসের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়। ইঞ্জিনকক্ষে কোন ড্রাইয়ার  কিংবা গ্রিজার না থাকায় একপর্যায়ে সেখানে থাকা ডিজেল ট্যাংকারে সংস্পর্শে এসে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে লঞ্চে।’ 

রিপোর্টার্স ইউনিটি তদন্ত কমিটির সদস্যদের সংবাদ সম্মেলন

বিআইডব্লিউটিএর তথ্য অনুযায়ী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি সর্বশেষ গত ২৬ অক্টোবর তারিখ চলার পর প্রায় তিন মাস চলাচল করেনি। এরপর ১৯ ডিসেম্বর প্রথম যাত্রা করে। সর্বশেষ গত ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়। কিন্তু সার্ভের মেয়াদ ও রুট পারমিট বহাল থাকা সত্ত্বেও একটি যাত্রীবাহী নৌযানের চলাচল কেনো এতদিন বন্ধ ছিল, সে বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক (নৌনিট্রা) বিভাগ ও নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা খোঁজখবর নেননি এবং সংশ্লিষ্ট শিপ সার্ভেয়ারকে জানাননি।

এ ছাড়া সদরঘাট টার্মিনালে অফিস হওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট শিপ সার্ভেয়ারও বিষয়টি জানার চেষ্টা করেননি। এ ক্ষেত্রে তাঁরা সকলেই দায়িত্ব পালনে উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছেন। সুতরাং নাগরিক তদন্ত কমিটি মনে করে, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের ঢাকা (সদরঘাট) কার্যালয়ের প্রকৌশলী ও জাহাজ জরিপকারক মো. মাহবুবুর রশীদ ও পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন ও পরিদর্শক দীনেশ দাস, লঞ্চটির চার মালিক মো. হামজালাল শেখ, মো. শামীম আহম্মেদ, মো. রাসেল আহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি। এছাড়া প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার ও দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. খলিলুর রহমান এবং প্রথম শ্রেণির ড্রাইভার মো. মাসুম বিল্লাহ ও দ্বিতীয় শ্রেণির ড্রাইভার আবুল কালাম এঘটনার জন্য দায়ী।

নাগরিক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ভুক্তভোগী যাত্রীদের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে, ওই লঞ্চের একাধিক যাত্রী অভিযোগ করেছেন লঞ্চটিতে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মতে, লঞ্চটিতে আনুমানিক ৮০০ যাত্রী ছিলেন। আগুন লাগার পর লঞ্চ কর্মচারীরা যাত্রীদের রক্ষায় এগিয়ে আসেননি। কোনো যাত্রীকে লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়নি। লঞ্চে আগুন নেভানোর কোনো সরঞ্জাম ছিল না। 

আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চের ভেতরের অবস্থানাগরিক তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণ ও তথ্য-উপাত্তে লঞ্চের বেশ কিছু ত্রুটির কথা উল্লেখ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, তিন তলা লঞ্চের প্রত্যেক তলায় অবকাঠামোর সঙ্গে চারটি করে মোট ১২টি ফায়ার হাইড্রেন্ট থাকার কথা ছিল। কিন্তু ছিল মাত্র ৬টি। ৪২০ জন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি লঞ্চ ১৫০টি লাইফ বয়া থাকার কথা সেখানে ছিল মাত্র ৩৫টি। ৮১টি কেবিনের অনুমোদন থাকলেও ছিল ৮৭টি। অভিযান-১০ লঞ্চের বার্ষিক ফিটনেস পরীক্ষা কাগজে সেসব মাস্টার ও ড্রাইভারের নাম ছিলো অগ্নিকাণ্ডের দিন তাঁরা ছিলেন না।

এদিকে নাগরিক তদন্ত কমিটির নৌ দুর্ঘটনা রোধে ২৫ টি সুপারিশের কথা জানিয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, দায়ী সকলকেই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তা না হলে দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রবণতা দিন দিন বেড়ে যাবে এবং দুর্ঘটনাও কমবে না। দুর্ঘটনায় নিহত পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণের আইন প্রণয়ন করতে হবে। যাত্রীবাহী নৌযানে আনসার/সিকিউরিটি থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে। লঞ্চের ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনে দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না। প্রত্যেক নাবিকের ইউনিফর্ম পরিধান বাধ্যতামূলক করতে হবে। নিবন্ধন ও ফিটনেসবিহীন নৌযানের বিরুদ্ধে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ অধিদপ্তরকে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশনা প্রদান। 

তদন্ত প্রতিবেদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক আবু নাসের খান, কমিটির সদস্যসচিব আমিনুর রসুল বাবুল, কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আশীষ কুমার দে, বিশেষজ্ঞ হিসেবে ছিলেন সাবেক প্রধান নৌ প্রকৌশলী ভি শিপস, গ্লাসগো যুক্তরাজ্য মো. আব্দুল হামিদসহ আরও অনেকেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় ট্রাকচাপায় ভূমি অফিসের সহকারী নিহত

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার শেরপুরে ঢাকা–বগুড়া মহাসড়কে ট্রাকচাপায় শামসুল ইসলাম (৩৫) নামের ভূমি অফিসের এক সহকারী নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে শেরপুর পৌর শহরের করতোয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মনির হোসেন (৪০) নামের একজন আহত হন।

নিহত শামসুলের বাড়ি গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি ইউনিয়নে। তিনি উপজেলার বাগবাড়ি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অফিস সহকারী ছিলেন। অন্য দিকে আহত মনির হোসেন একই অফিসের ভূমি কর্মকর্তা। তিনি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বাসিন্দা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঢাকা–বগুড়া মহাসড়কের বগুড়াগামী লেনে থাকা একটি মোটরসাইকেলকে ট্রাক চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা শামসুল ও মনির গুরুতর আহত হন। দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি দ্রুত বগুড়ার দিকে চলে যায়। পরে তাঁদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামসুল ইসলাম মারা যান।

শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট মোকলেছুর রহমান জানান, হতাহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় জড়িত ট্রাকটি শনাক্ত ও আটক করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঝালকাঠিতে ওসমান হাদির স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
ওসমান হাদির স্মরণে আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ওসমান হাদির স্মরণে আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আধিপত্যবাদবিরোধী বিপ্লবী জুলাই যোদ্ধা শহীদ ওসমান বিন হাদির রূহের মাগফিরাত কামনায় নিজ জেলা ঝালকাঠিতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ঝালকাঠির কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ‘আমরা ঝালকাঠিবাসী’ ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা আব্দুল হাই নিজামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শেখ নেয়ামুল করীম, ইসলামী আন্দোলন মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, ড. ফয়জুল হক, মাওলানা ইব্রাহিম আল হাদী, রাজাপুরের কারীমপুর দরবার শরীফের পীর মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ ফয়েজী, উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিব ও কুতুবনগর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মসজিদ মিশন জেলা সভাপতি মাওলানা এমদাদুল হক, নওপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা এ কে এম গোলাম মোস্তফা, আব বাংলাদেশ ঝালকাঠি শাখার আহ্বায়ক বদরুল আলম সাইফী, ওসমান হাদির সহপাঠী সাংবাদিক ইসমাইল মুসাফির, জেলা কাজী সমিতির সভাপতি মাওলানা আব্দুল হাই, এনসিপি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, খেলাফত মজলিস জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহিম খান, জেলা ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোখতার আহমেদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি এনামুল হাসান ও ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ওয়ালিউল্লাহ সরদার।

অনুষ্ঠানে শহীদ ওসমান হাদির জীবন ও কর্মের গুরুত্ব তুলে ধরে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন তৈরির অভিযোগ, ইউপি উদ্যোক্তার স্বামী গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
মওদুদ আহমেদ শাওন। ছবি: সংগৃহীত
মওদুদ আহমেদ শাওন। ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে চেয়ারম্যান, মেম্বারের ভুয়া সিল-স্বাক্ষর বসিয়ে ১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন তৈরির অভিযোগে মওদুদ আহমেদ শাওন (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশে তাঁকে জেলহাজতে নেওয়া হয়। মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুল ইসলাম হারুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরে মোহনগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনের একটি দোকান থেকে শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার শাওন মোহনগঞ্জ পৌর শহরের টেংগাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উদ্যোক্তা ঝর্ণা আক্তারের স্বামী।

জানা গেছে, চার-পাঁচ বছর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে টেকনিশিয়ান পদে আবেদন করেন শাওন। চাকরি না হলেও তখন থেকেই ওই কার্যালয়ের সব অনলাইনের কাজকর্ম শুরু করেন তিনি। একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) টিসিবি কার্ড সংযোজন ও যাচাই বাছাই-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট এবং জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ডসহ সবকিছু নিজের হাতে নিয়ে নেন শাওন। ইউএনও কার্যালয়ে কাজের প্রভাব খাটিয়ে অন্য সাত ইউনিয়নের জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধনসহ সব কাজ কবজা করেন তিনি। চেয়ারম্যান, মেম্বারদের সিল-স্বাক্ষর নকল করে অবৈধভাবে জন্মনিবন্ধন তৈরির বাণিজ্য শুরু করেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা খাতুন বলেন, ‘আমি আসার পরই সব পাসওয়ার্ড শাওনের থেকে নিয়ে নিয়েছি। বাইরের জেলার ১৩ জন লোককে এখানকার জন্মনিবন্ধন করে দেওয়ার বিষয়টি টের পাওয়ার পরই অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশি তদন্তে বিস্তারিত বের হয়ে আসবে।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহনগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয় পাল বলেন, সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আজ বিকেলে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালতে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. হাফিজুল ইসলাম হারুন বলেন, ‘চেয়ারম্যান-মেম্বারের ভুয়া সিল-স্বাক্ষর বসিয়ে অন্য জেলার ১৩ নাগরিককে এখানকার জন্মনিবন্ধন তৈরি করে দিয়েছেন শাওন। ওই ১৩ জন রোহিঙ্গা বলে ধারণা করা হচ্ছে। শাওন তাঁর ব্যবহৃত সাইটটির ইউজার পাসওয়ার্ড হ্যাক হয়েছে বলে দাবি করলেও প্রাথমিক তদন্ত এটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করছি, তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে।’ ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ইউপি সচিব বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ধানমন্ডিতে ককটেল বিস্ফোরণ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৫৯
আবাহনী মাঠ এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ছবি: ডিএমপি
আবাহনী মাঠ এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ছবি: ডিএমপি

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আবাহনী মাঠ এলাকায় একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

সূত্রটি জানায়, এ ঘটনায় কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এর আগে, গতকাল বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে মগবাজারের নিউ ইস্কাটন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণে সিয়াম মজুমদার (২১) নামের এক তরুণ নিহত হন। ককটেলটি সিয়ামের মাথায় সরাসরি আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় সিয়ামের বাবা হাতিরঝিল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, এখনো কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। জড়িতদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত