গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে বিএনপি নেতার ছেলের নেতৃত্বে হামলায় আহতের ৩৫ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাসির পালোয়ান (৯০) মারা গেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে মহানগরীর কোনাবাড়ী থানার জরুন এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গত ২৭ মে রাত সাড়ে ১১টায় চাঁদার দাবিতে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন জরুন এলাকায় নাসির পালোয়ানের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ৯০ বছর বয়সের বৃদ্ধ নাসির পালোয়ানের মাথা জখম করে। দীর্ঘ ৩৫ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গতকাল বুধবার রাতে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ হামলায় ওই পরিবারের আরও ছয়জন গুরুতর আহত হন। হামলায় আহত নাসির পালোয়ানের পরিবারের অন্য সদস্যরা হলেন তাঁর ছেলে আক্তার পালোয়ান (৫৬), লুৎফর রহমান পালোয়ান (৫০), শাহ আলম পালোয়ান (৪৫), পুত্রবধূ নাজমা বেগম (৫০), নাতনি শারমিন (২৭), পুতি শাহরিয়ার (১৫)।
নিহত বৃদ্ধের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোনাবাড়ী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনের ছেলে ওয়াসিফ সালিমের নেতৃত্বে এলাকায় একটি কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। সালিমের নেতৃত্বে ৩৫-৪০ জনের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা গত ২৭ মে রাতে নাসির পালোয়ানের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। পরে বৃদ্ধ নাসির পালোয়ানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। অন্যদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাসির পালোয়ানকে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে প্রথমে আইসিইউতে ও পরে লাইফ সাপোর্টে রাখার ৩৫ দিন রাখার পর গতকাল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি ও অস্ত্রোপচারের ছবি দেখিয়ে নিহত বৃদ্ধের ছেলে মামলার বাদী শাহ আলম জানান, সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে তাঁর বাবার মাথার খুলি ১৮ খণ্ড করেছে। মাথার খুলি অস্ত্রোপচারের পর প্রথমে তাঁকে আইসিইউতে ও পরে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও তাঁর বাবাকে আর বাঁচানো যায়নি।
শাহ আলম অভিযোগ করেন, ‘আমি জমিজমার ব্যবসা করে সংসারের উন্নতি করেছি। এতে আমাদের পরিবারের ওপর এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। চাঁদাবাজদের চাহিদা পূরণ না করায় আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘ঘটনার পর কোনাবাড়ী থানায় মামলা করতে গেলে আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ প্রথমে মামলা নেয়নি। অবশেষে নিরুপায় হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হলে ঘটনার প্রায় এক মাস পর গত ২৬ জুন থানায় মামলা রেকর্ড করে। মামলায় কোনাবাড়ী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনের ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার ওয়াসিফ সালিমকে (২২) প্রধান আসামি করা হয়েছে।’
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি সালাহউদ্দিনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইতিপূর্বেও কয়েকটি বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে গ্রেপ্তার না হওয়ায় এলাকাবাসী এই কিশোর গ্যাংয়ের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
এদিকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে আজ বিকেলে নাসির পালোয়ানের লাশ এলাকায় পৌঁছালে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী।
এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। আজ বাদ মাগরিব নাসির পালোয়ানের জানাজার মাঠ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহ উদ্দিন জানান, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে এলাকায় অভিযান চলছে। বাদীপক্ষ আদালতে যাওয়ার আগেই তিনি মামলা রেকর্ড করেছেন বলেও দাবি করেন।
গাজীপুরে বিএনপি নেতার ছেলের নেতৃত্বে হামলায় আহতের ৩৫ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাসির পালোয়ান (৯০) মারা গেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে মহানগরীর কোনাবাড়ী থানার জরুন এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গত ২৭ মে রাত সাড়ে ১১টায় চাঁদার দাবিতে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন জরুন এলাকায় নাসির পালোয়ানের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ৯০ বছর বয়সের বৃদ্ধ নাসির পালোয়ানের মাথা জখম করে। দীর্ঘ ৩৫ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গতকাল বুধবার রাতে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ হামলায় ওই পরিবারের আরও ছয়জন গুরুতর আহত হন। হামলায় আহত নাসির পালোয়ানের পরিবারের অন্য সদস্যরা হলেন তাঁর ছেলে আক্তার পালোয়ান (৫৬), লুৎফর রহমান পালোয়ান (৫০), শাহ আলম পালোয়ান (৪৫), পুত্রবধূ নাজমা বেগম (৫০), নাতনি শারমিন (২৭), পুতি শাহরিয়ার (১৫)।
নিহত বৃদ্ধের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোনাবাড়ী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনের ছেলে ওয়াসিফ সালিমের নেতৃত্বে এলাকায় একটি কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। সালিমের নেতৃত্বে ৩৫-৪০ জনের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা গত ২৭ মে রাতে নাসির পালোয়ানের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। পরে বৃদ্ধ নাসির পালোয়ানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। অন্যদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাসির পালোয়ানকে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে প্রথমে আইসিইউতে ও পরে লাইফ সাপোর্টে রাখার ৩৫ দিন রাখার পর গতকাল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি ও অস্ত্রোপচারের ছবি দেখিয়ে নিহত বৃদ্ধের ছেলে মামলার বাদী শাহ আলম জানান, সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে তাঁর বাবার মাথার খুলি ১৮ খণ্ড করেছে। মাথার খুলি অস্ত্রোপচারের পর প্রথমে তাঁকে আইসিইউতে ও পরে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও তাঁর বাবাকে আর বাঁচানো যায়নি।
শাহ আলম অভিযোগ করেন, ‘আমি জমিজমার ব্যবসা করে সংসারের উন্নতি করেছি। এতে আমাদের পরিবারের ওপর এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। চাঁদাবাজদের চাহিদা পূরণ না করায় আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘ঘটনার পর কোনাবাড়ী থানায় মামলা করতে গেলে আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ প্রথমে মামলা নেয়নি। অবশেষে নিরুপায় হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হলে ঘটনার প্রায় এক মাস পর গত ২৬ জুন থানায় মামলা রেকর্ড করে। মামলায় কোনাবাড়ী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনের ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার ওয়াসিফ সালিমকে (২২) প্রধান আসামি করা হয়েছে।’
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি সালাহউদ্দিনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইতিপূর্বেও কয়েকটি বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে গ্রেপ্তার না হওয়ায় এলাকাবাসী এই কিশোর গ্যাংয়ের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
এদিকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে আজ বিকেলে নাসির পালোয়ানের লাশ এলাকায় পৌঁছালে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী।
এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। আজ বাদ মাগরিব নাসির পালোয়ানের জানাজার মাঠ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহ উদ্দিন জানান, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে এলাকায় অভিযান চলছে। বাদীপক্ষ আদালতে যাওয়ার আগেই তিনি মামলা রেকর্ড করেছেন বলেও দাবি করেন।
তারেক রহমান ও বিএনপিকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত একটি মহল। মিটফোর্ড হাসপাতালের মতো ঘটনাতেও বিএনপিকে জড়াতে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কিন্তু জনগণ এসব ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টা সম্পর্কে সচেতন। জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে গোপন আঁতাতও এখন আর গোপন নেই।
৩ মিনিট আগেসিলেটের সীমান্ত এলাকা দিয়ে ৫৫ জনকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বুধবার সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে পুশ ইনের পর তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১৩ মিনিট আগেবগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহর থেকে ইমন কুমার প্রামাণিক (২৭) নামের এক যুবককে অপহরণ করার এক দিন পর অচেতন অবস্থায় রাজশাহীর ঘোড়ামারা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ইমনকে রাজশাহী থেকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে তাঁর পরিবার। এর আগে গত রোববার রাতে অপহরণকারীরা তাঁকে নওগাঁ শহর...
১৬ মিনিট আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ককটেলটি ফুটপাতের পাশে অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। আজ বুধবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কার্যালয় রূপায়ন টাওয়ারের সামনে ককটেলটি পড়ে থাকতে দেখা যায়।
২০ মিনিট আগে