কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি উত্তীর্ণদের কাছ থেকে মার্কশিট, প্রশংসাপত্র ও সনদ দেওয়ার সময় ২০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে স্থানীয় সংসদ সদস্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে এই অভিযোগ করেছে তারা।
আজ সোমবার দুপুরে কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের হল রুমে দুস্থ ও অসচ্ছল নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যের কাছে সরাসরি অভিযোগ করে তারা। এ সময় নাজমুল হাসান পাপন শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনাকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— সংসদ সদস্যের স্ত্রী রোখসানা পাপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ বিন মুসা জিসান, ইউএনও সাদিয়া ইসলাম লুনা, পৌর মেয়র সৈয়দ হাসান সারোয়ার মহসিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সিমন সরকার, ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
কয়েকজন শিক্ষার্থী সংসদ সদস্যের কাছে অভিযোগ করে বলে, এসএসসি পরীক্ষার পর কলেজে ভর্তির জন্য প্রশংসাপত্র নিতে স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক প্রশংসাপত্রের জন্য ৩০০ টাকা চান। এই টাকা সরকারিভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। সেদিন তারা প্রশংসাপত্র না নিয়ে চলে যায়। তবে অনেকে টাকা দিয়ে অনেকে প্রশংসাপত্র নিয়েছে। পরদিন তারা স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘২০০ টাকা করে দিতে হবে এবং ইউএনও স্যারের নির্দেশ অনুযায়ী এ টাকাগুলো নেওয়া হচ্ছে।’
তখন ওই শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষককে বলে, ভর্তির সময় তারা নির্দেশনা পেয়েছে সে অনুযায়ী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দিয়েছে। তিনি তো এর বাইরে নগদ টাকা নিতে পারেন না। পরে তারা সেই টাকার রশিদ নেয়। এরপর ইউএনওর কাছে যায়। ইউএনও তাদের বলেন, তিনি এসবের কিছুই জানেন না।
সংসদ সদস্যের কাছে প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করে বলে, বার্ষিক পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্রে স্কুলের নাম ছিল না। স্কুল থেকে সিলেবাসের জন্য ২০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। সহায়ক বই হিসেবে পপি কোম্পানির গাইড কেনার জন্য শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে। উনি প্রধান শিক্ষক হয়ে আরও দুটি প্রতিষ্ঠান করছেন এবং সেগুলো স্কুলের পাশেই।
অভিযোগ শুনে সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি তোমাদের অভিযোগগুলো শুনলাম। এখানে ইউএনও মহোদয় আছেন উনি এটা তদন্ত করবেন। তদন্ত করার পর তদন্ত প্রতিবেদন আমার কাছে দেবে। আমি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ইউএনওর নির্দেশে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুলিয়ারচর ইউএনও সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, ‘আমি প্রধান শিক্ষককে এসব বলিনি। উনি মিথ্যা বলেছেন। প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা গত ৪ এপ্রিল আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ দিতে আসে। পরে আমি শিক্ষার্থীদের বলি, আপনারা একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে তারা লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ এপ্রিল তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
কমিটিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সিমন সরকার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আলতাফ হোসেন ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনকে সদস্য করা হয়েছে বলে জানান ইউএনও।
ইউএনও আরও বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে আসছে। সম্প্রতি তাঁর কাছ থেকে বোর্ড পরীক্ষার ১ হাজার ২৩৮টি খাতা জব্দ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষা বোর্ডে চিঠি দিব আমরা। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ‘প্রশংসাপত্রের জন্য ২০০ টাকা করে দিতে হবে এবং ইউএনও স্যারের নির্দেশ— এই কথা আমি বলি নাই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। ২০১৮ সালে এই স্কুল সরকারি হয়। কিন্তু প্রশংসাপত্রের দেওয়ার জন্য স্কুলের রেজুলেশন এখনো পরিবর্তন হয়নি। তাই বেসরকারিভাবে প্রশংসাপত্রের জন্য ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়। ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রশংসাপত্রের জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে।’
আরও খবর পড়ুন:

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি উত্তীর্ণদের কাছ থেকে মার্কশিট, প্রশংসাপত্র ও সনদ দেওয়ার সময় ২০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে স্থানীয় সংসদ সদস্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে এই অভিযোগ করেছে তারা।
আজ সোমবার দুপুরে কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের হল রুমে দুস্থ ও অসচ্ছল নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যের কাছে সরাসরি অভিযোগ করে তারা। এ সময় নাজমুল হাসান পাপন শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনাকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— সংসদ সদস্যের স্ত্রী রোখসানা পাপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ বিন মুসা জিসান, ইউএনও সাদিয়া ইসলাম লুনা, পৌর মেয়র সৈয়দ হাসান সারোয়ার মহসিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সিমন সরকার, ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
কয়েকজন শিক্ষার্থী সংসদ সদস্যের কাছে অভিযোগ করে বলে, এসএসসি পরীক্ষার পর কলেজে ভর্তির জন্য প্রশংসাপত্র নিতে স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক প্রশংসাপত্রের জন্য ৩০০ টাকা চান। এই টাকা সরকারিভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। সেদিন তারা প্রশংসাপত্র না নিয়ে চলে যায়। তবে অনেকে টাকা দিয়ে অনেকে প্রশংসাপত্র নিয়েছে। পরদিন তারা স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘২০০ টাকা করে দিতে হবে এবং ইউএনও স্যারের নির্দেশ অনুযায়ী এ টাকাগুলো নেওয়া হচ্ছে।’
তখন ওই শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষককে বলে, ভর্তির সময় তারা নির্দেশনা পেয়েছে সে অনুযায়ী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দিয়েছে। তিনি তো এর বাইরে নগদ টাকা নিতে পারেন না। পরে তারা সেই টাকার রশিদ নেয়। এরপর ইউএনওর কাছে যায়। ইউএনও তাদের বলেন, তিনি এসবের কিছুই জানেন না।
সংসদ সদস্যের কাছে প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করে বলে, বার্ষিক পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্রে স্কুলের নাম ছিল না। স্কুল থেকে সিলেবাসের জন্য ২০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। সহায়ক বই হিসেবে পপি কোম্পানির গাইড কেনার জন্য শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে। উনি প্রধান শিক্ষক হয়ে আরও দুটি প্রতিষ্ঠান করছেন এবং সেগুলো স্কুলের পাশেই।
অভিযোগ শুনে সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি তোমাদের অভিযোগগুলো শুনলাম। এখানে ইউএনও মহোদয় আছেন উনি এটা তদন্ত করবেন। তদন্ত করার পর তদন্ত প্রতিবেদন আমার কাছে দেবে। আমি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ইউএনওর নির্দেশে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুলিয়ারচর ইউএনও সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, ‘আমি প্রধান শিক্ষককে এসব বলিনি। উনি মিথ্যা বলেছেন। প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা গত ৪ এপ্রিল আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ দিতে আসে। পরে আমি শিক্ষার্থীদের বলি, আপনারা একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে তারা লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ এপ্রিল তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
কমিটিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সিমন সরকার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আলতাফ হোসেন ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনকে সদস্য করা হয়েছে বলে জানান ইউএনও।
ইউএনও আরও বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে আসছে। সম্প্রতি তাঁর কাছ থেকে বোর্ড পরীক্ষার ১ হাজার ২৩৮টি খাতা জব্দ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষা বোর্ডে চিঠি দিব আমরা। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ‘প্রশংসাপত্রের জন্য ২০০ টাকা করে দিতে হবে এবং ইউএনও স্যারের নির্দেশ— এই কথা আমি বলি নাই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। ২০১৮ সালে এই স্কুল সরকারি হয়। কিন্তু প্রশংসাপত্রের দেওয়ার জন্য স্কুলের রেজুলেশন এখনো পরিবর্তন হয়নি। তাই বেসরকারিভাবে প্রশংসাপত্রের জন্য ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়। ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রশংসাপত্রের জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে।’
আরও খবর পড়ুন:
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি উত্তীর্ণদের কাছ থেকে মার্কশিট, প্রশংসাপত্র ও সনদ দেওয়ার সময় ২০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে স্থানীয় সংসদ সদস্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে এই অভিযোগ করেছে তারা।
আজ সোমবার দুপুরে কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের হল রুমে দুস্থ ও অসচ্ছল নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যের কাছে সরাসরি অভিযোগ করে তারা। এ সময় নাজমুল হাসান পাপন শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনাকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— সংসদ সদস্যের স্ত্রী রোখসানা পাপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ বিন মুসা জিসান, ইউএনও সাদিয়া ইসলাম লুনা, পৌর মেয়র সৈয়দ হাসান সারোয়ার মহসিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সিমন সরকার, ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
কয়েকজন শিক্ষার্থী সংসদ সদস্যের কাছে অভিযোগ করে বলে, এসএসসি পরীক্ষার পর কলেজে ভর্তির জন্য প্রশংসাপত্র নিতে স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক প্রশংসাপত্রের জন্য ৩০০ টাকা চান। এই টাকা সরকারিভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। সেদিন তারা প্রশংসাপত্র না নিয়ে চলে যায়। তবে অনেকে টাকা দিয়ে অনেকে প্রশংসাপত্র নিয়েছে। পরদিন তারা স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘২০০ টাকা করে দিতে হবে এবং ইউএনও স্যারের নির্দেশ অনুযায়ী এ টাকাগুলো নেওয়া হচ্ছে।’
তখন ওই শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষককে বলে, ভর্তির সময় তারা নির্দেশনা পেয়েছে সে অনুযায়ী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দিয়েছে। তিনি তো এর বাইরে নগদ টাকা নিতে পারেন না। পরে তারা সেই টাকার রশিদ নেয়। এরপর ইউএনওর কাছে যায়। ইউএনও তাদের বলেন, তিনি এসবের কিছুই জানেন না।
সংসদ সদস্যের কাছে প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করে বলে, বার্ষিক পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্রে স্কুলের নাম ছিল না। স্কুল থেকে সিলেবাসের জন্য ২০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। সহায়ক বই হিসেবে পপি কোম্পানির গাইড কেনার জন্য শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে। উনি প্রধান শিক্ষক হয়ে আরও দুটি প্রতিষ্ঠান করছেন এবং সেগুলো স্কুলের পাশেই।
অভিযোগ শুনে সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি তোমাদের অভিযোগগুলো শুনলাম। এখানে ইউএনও মহোদয় আছেন উনি এটা তদন্ত করবেন। তদন্ত করার পর তদন্ত প্রতিবেদন আমার কাছে দেবে। আমি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ইউএনওর নির্দেশে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুলিয়ারচর ইউএনও সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, ‘আমি প্রধান শিক্ষককে এসব বলিনি। উনি মিথ্যা বলেছেন। প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা গত ৪ এপ্রিল আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ দিতে আসে। পরে আমি শিক্ষার্থীদের বলি, আপনারা একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে তারা লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ এপ্রিল তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
কমিটিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সিমন সরকার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আলতাফ হোসেন ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনকে সদস্য করা হয়েছে বলে জানান ইউএনও।
ইউএনও আরও বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে আসছে। সম্প্রতি তাঁর কাছ থেকে বোর্ড পরীক্ষার ১ হাজার ২৩৮টি খাতা জব্দ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষা বোর্ডে চিঠি দিব আমরা। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ‘প্রশংসাপত্রের জন্য ২০০ টাকা করে দিতে হবে এবং ইউএনও স্যারের নির্দেশ— এই কথা আমি বলি নাই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। ২০১৮ সালে এই স্কুল সরকারি হয়। কিন্তু প্রশংসাপত্রের দেওয়ার জন্য স্কুলের রেজুলেশন এখনো পরিবর্তন হয়নি। তাই বেসরকারিভাবে প্রশংসাপত্রের জন্য ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়। ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রশংসাপত্রের জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে।’
আরও খবর পড়ুন:

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি উত্তীর্ণদের কাছ থেকে মার্কশিট, প্রশংসাপত্র ও সনদ দেওয়ার সময় ২০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে স্থানীয় সংসদ সদস্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে এই অভিযোগ করেছে তারা।
আজ সোমবার দুপুরে কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের হল রুমে দুস্থ ও অসচ্ছল নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যের কাছে সরাসরি অভিযোগ করে তারা। এ সময় নাজমুল হাসান পাপন শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনাকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— সংসদ সদস্যের স্ত্রী রোখসানা পাপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ বিন মুসা জিসান, ইউএনও সাদিয়া ইসলাম লুনা, পৌর মেয়র সৈয়দ হাসান সারোয়ার মহসিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সিমন সরকার, ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
কয়েকজন শিক্ষার্থী সংসদ সদস্যের কাছে অভিযোগ করে বলে, এসএসসি পরীক্ষার পর কলেজে ভর্তির জন্য প্রশংসাপত্র নিতে স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক প্রশংসাপত্রের জন্য ৩০০ টাকা চান। এই টাকা সরকারিভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। সেদিন তারা প্রশংসাপত্র না নিয়ে চলে যায়। তবে অনেকে টাকা দিয়ে অনেকে প্রশংসাপত্র নিয়েছে। পরদিন তারা স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘২০০ টাকা করে দিতে হবে এবং ইউএনও স্যারের নির্দেশ অনুযায়ী এ টাকাগুলো নেওয়া হচ্ছে।’
তখন ওই শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষককে বলে, ভর্তির সময় তারা নির্দেশনা পেয়েছে সে অনুযায়ী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দিয়েছে। তিনি তো এর বাইরে নগদ টাকা নিতে পারেন না। পরে তারা সেই টাকার রশিদ নেয়। এরপর ইউএনওর কাছে যায়। ইউএনও তাদের বলেন, তিনি এসবের কিছুই জানেন না।
সংসদ সদস্যের কাছে প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করে বলে, বার্ষিক পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্রে স্কুলের নাম ছিল না। স্কুল থেকে সিলেবাসের জন্য ২০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। সহায়ক বই হিসেবে পপি কোম্পানির গাইড কেনার জন্য শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে। উনি প্রধান শিক্ষক হয়ে আরও দুটি প্রতিষ্ঠান করছেন এবং সেগুলো স্কুলের পাশেই।
অভিযোগ শুনে সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি তোমাদের অভিযোগগুলো শুনলাম। এখানে ইউএনও মহোদয় আছেন উনি এটা তদন্ত করবেন। তদন্ত করার পর তদন্ত প্রতিবেদন আমার কাছে দেবে। আমি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ইউএনওর নির্দেশে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুলিয়ারচর ইউএনও সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, ‘আমি প্রধান শিক্ষককে এসব বলিনি। উনি মিথ্যা বলেছেন। প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা গত ৪ এপ্রিল আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ দিতে আসে। পরে আমি শিক্ষার্থীদের বলি, আপনারা একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে তারা লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ এপ্রিল তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
কমিটিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সিমন সরকার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আলতাফ হোসেন ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনকে সদস্য করা হয়েছে বলে জানান ইউএনও।
ইউএনও আরও বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে আসছে। সম্প্রতি তাঁর কাছ থেকে বোর্ড পরীক্ষার ১ হাজার ২৩৮টি খাতা জব্দ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষা বোর্ডে চিঠি দিব আমরা। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ‘প্রশংসাপত্রের জন্য ২০০ টাকা করে দিতে হবে এবং ইউএনও স্যারের নির্দেশ— এই কথা আমি বলি নাই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। ২০১৮ সালে এই স্কুল সরকারি হয়। কিন্তু প্রশংসাপত্রের দেওয়ার জন্য স্কুলের রেজুলেশন এখনো পরিবর্তন হয়নি। তাই বেসরকারিভাবে প্রশংসাপত্রের জন্য ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়। ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রশংসাপত্রের জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে।’
আরও খবর পড়ুন:

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
২৬ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
২৯ মিনিট আগে
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রথমবারের মতো মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। অনেকের ক্ষেত্রে ভর্তি রাখার প্রয়োজন থাকলেও সেটি সম্ভব হতো না। কিছু কিছু রোগী রাখা হতো মেডিসিন বিভাগেই।
৩৩ মিনিট আগে
নোটিশে বলা হয়েছে, ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করা হলে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। ব্যাংকের নোটিশ অনুযায়ী, ২০১০ সালে ২২ কোটি টাকার বিনিয়োগ অনুমোদন করা হলেও মুনাফা, চার্জ ও জরিমানা পরিশোধ না করায় বর্তমানে মোট বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
৩৬ মিনিট আগেবিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মৃত দছির উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমানের (৪৫) বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে গাঁজার গাছটি জব্দ করা হয়।
পরে আজিজার রহমানকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট, ওজন ১০ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা।
এ বিষয়ে বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আজ আসামিকে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মৃত দছির উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমানের (৪৫) বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে গাঁজার গাছটি জব্দ করা হয়।
পরে আজিজার রহমানকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট, ওজন ১০ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা।
এ বিষয়ে বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আজ আসামিকে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র দিতে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনের কাছে অভিযোগ করেছে ওই স্কুলের এসএসসি ২০২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
১০ এপ্রিল ২০২৩
পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
২৯ মিনিট আগে
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রথমবারের মতো মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। অনেকের ক্ষেত্রে ভর্তি রাখার প্রয়োজন থাকলেও সেটি সম্ভব হতো না। কিছু কিছু রোগী রাখা হতো মেডিসিন বিভাগেই।
৩৩ মিনিট আগে
নোটিশে বলা হয়েছে, ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করা হলে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। ব্যাংকের নোটিশ অনুযায়ী, ২০১০ সালে ২২ কোটি টাকার বিনিয়োগ অনুমোদন করা হলেও মুনাফা, চার্জ ও জরিমানা পরিশোধ না করায় বর্তমানে মোট বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
৩৬ মিনিট আগেচাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা (৭০) এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর সদরের মধ্য শালিখা মহল্লার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন (৫৪)।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বামনগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর উদ্দিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া একই দিন রাতে মধ্য শালিখা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। আজ সকালে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা (৭০) এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর সদরের মধ্য শালিখা মহল্লার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন (৫৪)।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বামনগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর উদ্দিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া একই দিন রাতে মধ্য শালিখা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। আজ সকালে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র দিতে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনের কাছে অভিযোগ করেছে ওই স্কুলের এসএসসি ২০২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
১০ এপ্রিল ২০২৩
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
২৬ মিনিট আগে
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রথমবারের মতো মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। অনেকের ক্ষেত্রে ভর্তি রাখার প্রয়োজন থাকলেও সেটি সম্ভব হতো না। কিছু কিছু রোগী রাখা হতো মেডিসিন বিভাগেই।
৩৩ মিনিট আগে
নোটিশে বলা হয়েছে, ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করা হলে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। ব্যাংকের নোটিশ অনুযায়ী, ২০১০ সালে ২২ কোটি টাকার বিনিয়োগ অনুমোদন করা হলেও মুনাফা, চার্জ ও জরিমানা পরিশোধ না করায় বর্তমানে মোট বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
৩৬ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রথমবারের মতো মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। অনেকের ক্ষেত্রে ভর্তি রাখার প্রয়োজন থাকলেও সেটি সম্ভব হতো না। কিছু কিছু রোগী রাখা হতো মেডিসিন বিভাগেই।
এবার প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর হাসপাতালটিতে পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। এ ওয়ার্ডে ২৫টি শয্যা আছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য সাতটি, শিশু-কিশোরদের জন্য পাঁচটি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য তিনটি শয্যা সংরক্ষিত। এ ছাড়া রোগীদের থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি করা হয়েছে এ ওয়ার্ডে।
রামেক হাসপাতালের সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদের উদ্যোগে হাসপাতালের পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই ওয়ার্ড করা হয়েছে। গত বুধবার তিনি এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধিদল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। তারা মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমবে। এ ছাড়া মেডিকেল কলেজের অ্যাক্রেডিটেশনেও সমস্যা হতে পারে। তখন এ কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে পড়াশোনা করতে যাওয়ার সুযোগ কমবে। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এই ওয়ার্ডটি জরুরি ছিল।
তাই রাজশাহী মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে এই ওয়ার্ড চালু করার জন্য হাসপাতাল পরিচালকের কাছে অনুরোধ করা হয়। সবকিছু শুনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন। ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এ হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটিই অবাক করার বিষয়। প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও চিকিৎসা নিতে পারবে।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহাম্মদ রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি। এরপর তিনি হাসপাতাল ও রোগীদের কল্যাণে নতুন অনেক উদ্যোগ নিয়ে বাস্তবায়ন করেছেন। হাসপাতালকে করে তুলেছেন রোগীবান্ধব। বাড়িয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার মান। বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
মানসিক রোগীদের জন্য নতুন ওয়ার্ড চালুর আগে গেল ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য হাসপাতালে বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করেন শামীম আহাম্মদ। এরপর এখন পর্যন্ত হাসপাতালে একজন সাপে কাটা রোগীরও মৃত্যু হয়নি। আগে প্রায় প্রতিদিনই সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হতো এ হাসপাতালে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রথমবারের মতো মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। অনেকের ক্ষেত্রে ভর্তি রাখার প্রয়োজন থাকলেও সেটি সম্ভব হতো না। কিছু কিছু রোগী রাখা হতো মেডিসিন বিভাগেই।
এবার প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর হাসপাতালটিতে পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। এ ওয়ার্ডে ২৫টি শয্যা আছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য সাতটি, শিশু-কিশোরদের জন্য পাঁচটি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য তিনটি শয্যা সংরক্ষিত। এ ছাড়া রোগীদের থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি করা হয়েছে এ ওয়ার্ডে।
রামেক হাসপাতালের সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদের উদ্যোগে হাসপাতালের পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই ওয়ার্ড করা হয়েছে। গত বুধবার তিনি এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধিদল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। তারা মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমবে। এ ছাড়া মেডিকেল কলেজের অ্যাক্রেডিটেশনেও সমস্যা হতে পারে। তখন এ কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে পড়াশোনা করতে যাওয়ার সুযোগ কমবে। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এই ওয়ার্ডটি জরুরি ছিল।
তাই রাজশাহী মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে এই ওয়ার্ড চালু করার জন্য হাসপাতাল পরিচালকের কাছে অনুরোধ করা হয়। সবকিছু শুনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন। ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এ হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটিই অবাক করার বিষয়। প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও চিকিৎসা নিতে পারবে।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহাম্মদ রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি। এরপর তিনি হাসপাতাল ও রোগীদের কল্যাণে নতুন অনেক উদ্যোগ নিয়ে বাস্তবায়ন করেছেন। হাসপাতালকে করে তুলেছেন রোগীবান্ধব। বাড়িয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার মান। বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
মানসিক রোগীদের জন্য নতুন ওয়ার্ড চালুর আগে গেল ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য হাসপাতালে বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করেন শামীম আহাম্মদ। এরপর এখন পর্যন্ত হাসপাতালে একজন সাপে কাটা রোগীরও মৃত্যু হয়নি। আগে প্রায় প্রতিদিনই সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হতো এ হাসপাতালে।

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র দিতে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনের কাছে অভিযোগ করেছে ওই স্কুলের এসএসসি ২০২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
১০ এপ্রিল ২০২৩
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
২৬ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
২৯ মিনিট আগে
নোটিশে বলা হয়েছে, ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করা হলে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। ব্যাংকের নোটিশ অনুযায়ী, ২০১০ সালে ২২ কোটি টাকার বিনিয়োগ অনুমোদন করা হলেও মুনাফা, চার্জ ও জরিমানা পরিশোধ না করায় বর্তমানে মোট বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
৩৬ মিনিট আগেশিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি

আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা খেলাপি ঋণ পরিশোধে ‘কলব্যাক নোটিশ’ জারি করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, বগুড়া শাখা। গত বুধবার ইসলামী ব্যাংক, বগুড়া শাখার প্রধান মো. তৌহিদ রেজার স্বাক্ষরে এ নোটিশ ইস্যু করা হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করা হলে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। ব্যাংকের নোটিশ অনুযায়ী, ২০১০ সালে ২২ কোটি টাকার বিনিয়োগ অনুমোদন করা হলেও মুনাফা, চার্জ ও জরিমানা পরিশোধ না করায় বর্তমানে মোট বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। নোটিশে বলা হয়, আফাকু কোল্ড স্টোরেজ একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও মান্না ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ পরিশোধ করেননি। বারবার নোটিশ দেওয়া হলেও টাকা পরিশোধের কোনো চেষ্টাও করেননি তিনি।

বগুড়া শাখাপ্রধান তৌহিদ রেজা স্বাক্ষরিত নোটিশে আরও বলা হয়, ‘মঞ্জুরিপত্রের নিয়মানুযায়ী প্রতিটি ডিলে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে কিস্তির টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও আপনাকে/আপনাদেরকে মৌখিকভাবে, ব্যক্তিগতভাবে ও মোবাইল ফোনে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও আপনি/আপনারা তা পরিশোধ করেননি। ইতিপূর্বে আপনাকে লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে, তবুও বিনিয়োগের দায় পরিশোধ করেননি। আপনার/আপনাদের লেনদেনের পরিস্থিতি দেখে আমাদের কাছে অনুমিত হচ্ছে যে, আপনার/আপনাদের সঙ্গে আমাদের আর ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অতএব, আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বিনিয়োগের সমুদয় দায় ৩৮৪.৭৬ মিলিয়ন টাকা পরিশোধ করে হিসাবসমূহ নিষ্পত্তি করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবে।’
এদিকে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। কিন্তু গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) তৃতীয় অধ্যায় (নির্বাচন) ১২(১)(ঠ) ধারা অনুসারে কোনো ঋণগ্রহীতা খেলাপি হলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
এ বিষয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ আছে, এটা সঠিক। তবে চিঠির বিষয়ে এখনো কিছু জানি না।’

আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা খেলাপি ঋণ পরিশোধে ‘কলব্যাক নোটিশ’ জারি করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, বগুড়া শাখা। গত বুধবার ইসলামী ব্যাংক, বগুড়া শাখার প্রধান মো. তৌহিদ রেজার স্বাক্ষরে এ নোটিশ ইস্যু করা হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করা হলে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। ব্যাংকের নোটিশ অনুযায়ী, ২০১০ সালে ২২ কোটি টাকার বিনিয়োগ অনুমোদন করা হলেও মুনাফা, চার্জ ও জরিমানা পরিশোধ না করায় বর্তমানে মোট বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। নোটিশে বলা হয়, আফাকু কোল্ড স্টোরেজ একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও মান্না ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ পরিশোধ করেননি। বারবার নোটিশ দেওয়া হলেও টাকা পরিশোধের কোনো চেষ্টাও করেননি তিনি।

বগুড়া শাখাপ্রধান তৌহিদ রেজা স্বাক্ষরিত নোটিশে আরও বলা হয়, ‘মঞ্জুরিপত্রের নিয়মানুযায়ী প্রতিটি ডিলে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে কিস্তির টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও আপনাকে/আপনাদেরকে মৌখিকভাবে, ব্যক্তিগতভাবে ও মোবাইল ফোনে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও আপনি/আপনারা তা পরিশোধ করেননি। ইতিপূর্বে আপনাকে লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে, তবুও বিনিয়োগের দায় পরিশোধ করেননি। আপনার/আপনাদের লেনদেনের পরিস্থিতি দেখে আমাদের কাছে অনুমিত হচ্ছে যে, আপনার/আপনাদের সঙ্গে আমাদের আর ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অতএব, আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বিনিয়োগের সমুদয় দায় ৩৮৪.৭৬ মিলিয়ন টাকা পরিশোধ করে হিসাবসমূহ নিষ্পত্তি করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবে।’
এদিকে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। কিন্তু গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) তৃতীয় অধ্যায় (নির্বাচন) ১২(১)(ঠ) ধারা অনুসারে কোনো ঋণগ্রহীতা খেলাপি হলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
এ বিষয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ আছে, এটা সঠিক। তবে চিঠির বিষয়ে এখনো কিছু জানি না।’

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র দিতে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনের কাছে অভিযোগ করেছে ওই স্কুলের এসএসসি ২০২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
১০ এপ্রিল ২০২৩
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
২৬ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
২৯ মিনিট আগে
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রথমবারের মতো মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। অনেকের ক্ষেত্রে ভর্তি রাখার প্রয়োজন থাকলেও সেটি সম্ভব হতো না। কিছু কিছু রোগী রাখা হতো মেডিসিন বিভাগেই।
৩৩ মিনিট আগে