Ajker Patrika

‘ছাত্রলীগের ওপরে কোনো সন্ত্রাস নাই’ বলে ভাইরাল ছাত্রলীগ নেতা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ মে ২০২৪, ০১: ২৮
‘ছাত্রলীগের ওপরে কোনো সন্ত্রাস নাই’ বলে ভাইরাল ছাত্রলীগ নেতা

‘ছাত্রলীগের ওপরে কোনো সন্ত্রাস নাই, কোনো শক্তি নাই’ বলে মন্তব্য করেছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারী। নিজের সংগঠনকে নিয়ে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে তিনি আবারও আলোচনায় আসলেন। 
 
গত রোববার (১২ মে) বিকেলে জাজিরা উপজেলার টিএন্ডটি মোড় এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখার সময় এমন বেফাঁস মন্তব্য করেন ছাত্রলীগ নেতা রুবেল। তাঁর এই মন্তব্য এরই মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতা রুবেলকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা জানেন এই রতন সরদারের বিরুদ্ধে বড় কান্দী ইউনিয়ন, পালেরচর ইউনিয়ন, কুন্ডেরচর ইউনিয়নে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেখানকার সাধারণ মানুষ ভয় পায় কথা বলতে, তারা সাহস পায় না। তাই আমরা উপজেলা পর্যায়ে, পৌরসভা পর্যায়ে যারা রয়েছি, আমরা সাহস রেখে বলতে চাই, কোনো ভূমিদস্যুকে, কোনো সন্ত্রাসীকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বানাতে পারি না।’ 

রুবেল আরও বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গা, নেতা-কর্মীদের আস্থার জায়গা, রাজনৈতিক সংগঠনের আস্থার জায়গা। তাই আমরা একজন ভদ্র মার্জিত লোককে চাই, যিনি ইদ্রিস ফরাজী, তিনি অতীত কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন, তিনি মানুষের সেবায় নিয়োজিত, মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত। তাঁর কোনো অর্থনৈতিক লোভ নাই।’ 

রুবেল বেপারী বলেন, ‘আমরা অনেকেই রাজনীতির নামে ব্যবসা করে, নির্বাচনে প্রতিনিধি হয়ে রাজনীতিকে ব্যবসায় পরিণত করতে চায়। তাই সেই সকল লোক থেকে আগামী নির্বাচনে দূরে থাকতে হবে। কোনো সন্ত্রাসী কোনো কাজে আসবে না। ছাত্রলীগের ওপরে কোনো সন্ত্রাস নাই, কোনো শক্তি নাই। তাই আমরা আশা রাখি, আগামী নির্বাচনে ইদ্রিস ফরাজীর হুন্ডা মার্কায় ভোট দিয়ে তাঁকে জয়যুক্ত করে স্মার্ট জাজিরা গড়ে তোলার জন্য প্রত্যয় ব্যক্ত করব। তাই আগামী উপজেলা নির্বাচনে হুন্ডাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে কাজ করতে হবে।’ 

তবে এই ছাত্রলীগ নেতার এমন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এই প্রথম নয়। এর আগেও তিনি তার বেশ কয়েকটি বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারী দুই সন্তানের জনক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর মূল পেশা ঠিকাদারি। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ঠিকাদারি করে তিনি রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। ঠিকাদারি কাজে অনিয়ম করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন ছাত্রলীগের এই নেতা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অথবা সাংবাদিক যে কেউ তাঁর কাজের অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করলে তাঁদের সঙ্গে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন তিনি। 

গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওষুধ ও আসবাবপত্রের জন্য আহবান করা দরপত্রের বাক্স ভেঙে দরপত্রগুলো ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া একই বছরের ৩০ মে শরীয়তপুরে আলোচিত পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় ৭২ লাখ টাকা ছিনতাই মামলায় পুলিশের সঙ্গে একত্রিত হয়ে আসামিদের মারধর করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

সর্বশেষ গত রোববার জাজিরা উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির পক্ষে নির্বাচনী সভায় ঘোড়া প্রতীকের আরেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আমিনুল ইসলাম রতন সরদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেওয়ার সময় ছাত্রলীগকে বড় সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দেন রুবেল বেপারী। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাজিরা উপজেলার এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘রুবেল বেপারী একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। তিনি জাজিরা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও কলেজ কমিটিগুলোতে ব্যাপক বাণিজ্য করেন। পাশাপাশি প্রতিটি কমিটিতে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে তাঁর আত্মীয়স্বজনদের পদায়ন করেছেন। এতসব অপকর্ম করেও কোন শক্তির বলে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আদর্শের সংগঠনে টিকে থাকেন।’ 

এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারী বলেন, ‘আমি একটি নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দিয়েছি। সেখানে সন্ত্রাস চাঁদাবাজ নিয়ে অনেক কথাই বলেছি। একটি পক্ষ আমাকে বিতর্কিত করার জন্য আমার বক্তব্য কাটছাঁট করে এডিট করে প্রচার করছে। আমি এর নিন্দা জানাই।’ 

জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মহসিন মাদবর বলেন, ‘ছাত্রলীগে কোনো সন্ত্রাসী নেই, ছাত্রলীগ কোনো ক্যাডার পালে না। যদি কেউ এমন মন্তব্য করে থাকেন তাহলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত কথা। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কর্ণফুলীতে অস্ত্রসহ যুবক আটক

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
অস্ত্রসহ আটক যুবক। ছবি: সংগৃহীত
অস্ত্রসহ আটক যুবক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর চারটার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।

আটক যুবক ওই এলাকার রাজ্জাক নুর প্রকাশ রজ্জক নুরের ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে দেশীয় তৈরি ১টি এলজি এবং ৩টি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না’

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
অভিযুক্ত যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত
অভিযুক্ত যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, ঘর ভাঙচুর, টাকা ছিনতাই ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবদল নেতা নজরুল বেশ কিছুদিন ধরে তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নজরুলসহ ৯-১০ জন চর ফাতেমায় গিয়ে ফরিদ উদ্দিনের তরমুজের ২০ হাজার চারা নষ্ট করে দেন। ফরিদ উদ্দিন চারা নষ্টের বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল বলেন, ‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না।’ পরে হত্যার হুমকি দিয়ে নজরুল চলে যান।

এরপর গতকাল রাত ১০টার দিকে নজরুল তাঁর দলবল নিয়ে ফরিদের ঘরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফরিদকে মারধর করেন তাঁরা। ডাকচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে এলে নজরুল তাঁর বাহিনী নিয়ে চলে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়।’ তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে চিনি না। তবে যাওয়ার সময় বলেছে, ‘‘চরে তোরে খাইয়া দিমু’’।’

প্রতিবেশী আলেয়া ও সাহিনুর বলেন, ‘রাত ১০টায় ঘর পেটানোর শব্দ পাই। আমরা দৌড়ে আসি ফরিদ হাওলাদারের ঘরের সামনে। দেখি ১০-১২ জন রাম দা নিয়া দাঁড়াইয়া আছে। তাদের হাতে রাম দা দেখে কেউই সামনে যাইনি। পরে আরও লোকজন আসলে নজরুল, আল আমিনসহ তারা সবাই চলে যায়। আমরা ঘরে গিয়ে দেখি, ফরিদ হাওলাদার ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।’

তরমুজ চাষি ফরিদ হাওলাদার বলেন, ‘আমি রাতে আমার ঘেরের ঘরে শুয়ে ছিলাম। রাত ১০টায় আমার ঘরে পেটানোর শব্দ পেয়ে উঠে বসি। দেখি, নজরুল, আল আমিনসহ ৮-৯ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। আমাকে চৌকির ওপর শোয়াইয়া পিটায়, পাড়ায় এবং জবাই করার জন্য গলায় রাম দা রেখে বলে ‘‘টাকা কই? টাকা না দিলে জবাই করব।’’ পরে আমার ঘরের মালামাল ভাঙচুর করে, মালপত্র এলোমেলো করে ফেলে। আমার তোশকের নিচে রাখা দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়। আমার ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে সবাই চলে যায়। আমি থানায় জানিয়েছি। আমি আইনের আশ্রয় নিব।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমি গতকাল চর ফাতেমায় গিয়াছিলাম। তবে দিনে তরমুজের চারা নষ্ট ও রাতে ফরিদের ঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা মিথ্যা। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই।’

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে দুপুরে অবহিত হয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কৃষকের ঘরে ১২ ফুট লম্বা গাঁজার গাছ, আটক

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
দিনাজপুরের বিরামপুরে গাঁজার গাছসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দিনাজপুরের বিরামপুরে গাঁজার গাছসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মৃত দছির উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমানের (৪৫) বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে গাঁজার গাছটি জব্দ করা হয়।

পরে আজিজার রহমানকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট, ওজন ১০ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা।

এ বিষয়ে বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আজ আসামিকে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জেলে

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা (৭০) এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর সদরের মধ্য শালিখা মহল্লার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন (৫৪)।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বামনগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর উদ্দিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়া একই দিন রাতে মধ্য শালিখা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। আজ সকালে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত