Ajker Patrika

ধর্ম অবমাননা: একই স্ট্যাটাসের জন্য দ্বিতীয়বার অভিযুক্ত হৃদয়

ডয়চে ভেলে 
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ফরিদপুরে। ছবি: সংগৃহীত
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ফরিদপুরে। ছবি: সংগৃহীত

পাঁচ মাস ধরে তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। ফেসবুক আইডিটি তার কিনা সে বিষয়েও রয়েছে সংশয়। ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ পোস্টটিও পুরোনো। তার পরেও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ফরিদপুরের হৃদয় পাল এখন সেনা হেফাজতে।

এ ঘটনা ফরিদপুরের বোয়ালমারীর। হৃদয় কাদিরদী ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। গতকাল সোমবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে মহানবীকে (সা.) অবমাননার অভিযোগে হৃদয়ের বিচারের দাবিতে ছাত্র ও বহিরাগতরা বিক্ষোভ করলে তাকে সেনা হেফাজতে নেয়া হয়।

কাদিরদী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান মোল্যা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘পুরো কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রসহ কয়েক হাজার লোক উত্তেজিত অবস্থায় সমবেত হলে তার জীবন রক্ষায় আমি তাকে আমার কক্ষে আশ্রয় দিই। তাকে আশ্রয় না দিলে উত্তেজিত লোকজন তাকে মেরে ফেলতো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকলে আমিই সেনাবাহিনীকে খবর দিয়ে তাদের হাতে তুলে দিই। তারা তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি তার হাতে কোনো মেবাইল ফোন দেখিনি। তবে ছাত্ররা তো মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আর তার যে ফেসবুক আইডি তা-ও নাকি আগে হ্যাক হয়েছে। এর আগেও স্কুলে পড়া অবস্থায় একই অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছিল। সে জেলেও ছিল। তার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা হয়েছিল তখন।’

হৃদয় পাল নামের ছেলেটির যে ফেসবুক আইডির কথা বলা হচ্ছে, যে আইডি থেকে ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট দেয়ার কথা বলা হচ্ছে, সেটি তার আইডি কিনা তা নিয়েও সন্দেহ আছে। স্থানীয় সাংবাদিক কাজী আল আমীন বলেন, ‘যে আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে, সেই আইডির নাম কৃষ্ণা দাস রাহুল। আর ওই ছেলের নাম হৃদয় পাল। আমি এটা নিয়ে পুলিশসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানার চেষ্টা করেছি যে, কৃষ্ণা দাস রাহুল নামে ফেসবুক আইডি সে চালায় কিনা। আমাকে কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারেনি যে ওই আইডি তার।

‘আর এটা একটা পুরোনো ফেসবুক স্ট্যাটাস। কেউ হয়তো আবার শেয়ার করেছে বা সামনে নিয়ে এসেছে। সে যখন স্কুলে পড়তো, তখনো তাকে নিয়ে একবার ঝামেলা হয়েছিল। তখন বোয়ালমারী থানার ওসি ছিলেন শহীদুল ইসলাম। তখন তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তার নামে মামলা করা হয়েছিল। সে জেলেও ছিল,’ বলেন তিনি।

তার ভাষ্য, ‘ওই ছেলে জানিয়েছে, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে সে আর মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে না৷ বিষয়টা সে কলেজের অধ্যক্ষকেও জানিয়েছে। ওই ঘটনার সময় যে স্ট্যাটাস নিয়ে তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ করা হয়েছিল, এখন আবার সেই স্ট্যাটাস নিয়েই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সে নতুন কোনো স্ট্যাটাস দেয়নি। ওই সময়েই সে তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার কথা বলেছিল। সে বলেছিল যে, ওই স্ট্যাটাস সে দেয়নি।’

ওই যুবকের বাড়ি উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের ভীমপুরে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন নবাব ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘আমার পাশের ইউনিয়নসহ বাইরের লোকজন এসে আমার ইউনিয়নে সোমবার মিছিল বের করে। তারপর সেই মিছিলই কলেজে যায়। কয়েকদিন ধরেই এলাকায় এটা নিয়ে কিছু লোক কথা বলছিল। তাকে আটকের পর আজকেও (মঙ্গলবার) তারা আমাদের এলাকায় মিছিল করেছে।’

‘পাঁচ মাস আগেও একবার তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করা হয়েছিল যে, সে তার ফেসবুক আইডি থেকে ধর্ম অবমাননার পোস্ট দিয়েছে। কিন্তু সে আসলেই পোস্ট দিয়েছিল কিনা আমরা জানি না। পুলিশ তখন তাকে আটক করলেও ওই পোস্ট তার ছিল কিনা তা ভেরিফাই করেনি। সেটা করলে এই সমস্যা হতো না। একই অভিযোগ বার বার সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে।’

এই অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার সাব ইন্সপেক্টর আব্দুর রশীদ বলেন, ‘সোমবার তার নিরপত্তার জন্যই তাকে হেফাজতে নেয়া হয়। এরপর আমরা তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। তার ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পেলে সুনির্দষ্ট আইনে মামলা হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই যুবক যে ফেসবুকে ধর্ম আবমাননার স্ট্যাটাস দিয়েছে, তার কোনো প্রমাণ আমরা এখনো পাইনি। এটার ফরেনসিক তদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘তার কাছে কোনো মোবাইল ফোন আমরা পাইনি। সে জানিয়েছে, এখন সে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না। চার-পাঁচ মাস আগে যে মেবাইল ফোন ব্যবহার করতো, সেটা আমরা তার বাসা থেকে জব্দ করেছি। ওই ফোনও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এই থানায় আমি নতুন। শুনেছি পাঁচ মাস আগেও একই অভিযোগে তাকে নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। সে তখন আটক হয়েছিল।’

ওই যুবকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, ‘তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ আছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

তার কথা, ‘পাঁচ-ছয় মাস আগের একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ওই ঘটনা। ওই স্ট্যাটাস হয়তো নতুন করে কেউ সামনে এনেছেন। ছেলেটিকে তার জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রথমে সেনা হেফাজাতে নেয়া হয়। এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদি হত্যাকাণ্ড: ফয়সালের সহযোগী কবির রিমান্ড শেষে কারাগারে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৩৬
গ্রেপ্তার কবির । ফাইল ছবি
গ্রেপ্তার কবির । ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের সহযোগী কবিরকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।

পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে বিকেলে কবিরকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ঢাকার মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২৩ ডিসেম্বর কবিরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে ১৬ ডিসেম্বর কবিরকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

১৪ ডিসেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। গ্রেপ্তার কবির পটুয়াখালী সদরের টিটকাটা এলাকার মৃত মোজাফফরের ছেলে। তিনি রাজধানীর আদাবর থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নবোদয় হাউজিং সোসাইটিতে বসবাস করেন।

শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রচার চালাচ্ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের কিছু পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেল থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে মাথায় গুলি করার পর আততায়ীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।

হাদির গুলিবিদ্ধের ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদি মৃত্যুবরণ করার পর মামলাটি পরে হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ: সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় রিমান্ডে ৬

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি

ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় ছয়জনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে নেওয়া ছয়জন হলেন—শাহিন ওরফে আবু বকর ওরফে মুসা, মো. আমিনুর ওরফে দরজি আমিন, মো. শাফিয়ার রহমান ফকির, আছিয়া বেগম (পলাতক আসামি ও ওই মাদ্রাসার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আল আমিনের স্ত্রী), ইয়াসমিন আক্তার ও আসমানী খাতুন ওরফে আসমা। তাঁদের মধ্যে পুরুষদের ৭ দিন করে এবং নারী আসামিদের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

হাসনাবাদের চার কক্ষের একটি একতলা বাড়ি ভাড়া নিয়ে পরিচালিত উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় গত শুক্রবার সকালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে দুটি কক্ষের দেয়াল ও ছাদের একাংশ ধসে পড়ে। আহত হন চারজন। পুলিশ সেখান থেকে ককটেল, রাসায়নিক, বোমা তৈরির বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার করে।

ওই মাদ্রাসার পরিচালক শেখ আল আমিন স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িটির একটি কক্ষে থাকতেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। জেএমবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তিনি ২০১৭ ও ২০২০ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ শনিবার ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম গ্রেপ্তার ছয়জনকে আজ আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আসমানী খাতুন এর আগেও জঙ্গিসম্পৃক্ততার অভিযোগে কারাগারে ছিলেন। শাহিনের বিরুদ্ধেও নাশকতার মামলা রয়েছে।

শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আল আমিনের স্ত্রী আছিয়া বেগম। তিনি দাবি করেন, তাঁর স্বামী এক বছর ধরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন না। স্বামী তাঁকে নির্যাতন করতেন। স্বামী অপরাধ করে থাকতে পারেন, কিন্তু তাঁরা নির্দোষ। তাঁর (আছিয়ার) ভাইয়ের স্ত্রী আসমানী শুধু তাঁদের দেখতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

এ মামলায় আসমানী খাতুন ছাড়া অন্য আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আসমানীর আইনজীবী আদালতে বলেন, আগের মামলায় কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলেই আসমানী খাতুন খালাস পেয়েছিলেন। এ জন্য তাঁকে এই মামলায় রিমান্ডে নেওয়ার মতো উপাদান নেই। এ ঘটনার সঙ্গেও তাঁর সম্পৃক্ততা নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টাঙ্গাইল-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী পরিবর্তন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। এই আসনে অধ্যক্ষ মোন্তাজ আলীকে পরিবর্তন করে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) মধুপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আবদুল কাদির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিধিমালার শর্তের ব্যত্যয় ঘটায় এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।

জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও মধুপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. মোন্তাজ আলীকে দলের পক্ষ থেকে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তিনি উভয় উপজেলায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপকভাবে জনসংযোগও করেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে তা পূরণের সময় নির্বাচনী বিধিমালার শর্ত অনুসরণ করতে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে।

মধুপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আবদুল কাদির জানান, নির্বাচনী বিধিমালা অনুসারে সরকারি চাকরিজীবীরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অবসরের তিন বছর সময় অতিবাহিত হতে হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ মো. মোন্তাজ আলী মধুপুর সরকারি কলেজ থেকে অবসর নেওয়ার পর তফসিল ঘোষণার দিন পর্যন্ত তাঁর সময় হয়েছে ২ বছর ৭ মাস। এই জটিলতার কারণে মনোনয়নঝুঁকি এড়াতে নতুন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বসুন্ধরা থেকে চীনা নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে এক চীনা নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম ওয়াং পিং লিউ। তিনি ঢাকায় কেমিক্যালের ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে তাঁর মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবার এলে তাদের চাওয়া অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার দুপুরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি-ব্লকের ২৩ নম্বর সড়কের ৭৫৭ নম্বর বাসা থেকে তাঁর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

আজ রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আসাদুজ্জামান এ ঘটনার বিষয়ে বলেন, ‘মৃত ওয়াং পিং লিউ একটি ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। তাঁর পরিবার চীনে থাকে। গতকাল তাঁর স্ত্রী তাঁকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। এরপর তিনি বিষয়টি বাংলাদেশের চীনা দূতাবাস ও মৃত ওয়াংয়ের ব্যবসায়িক পার্টনারকে জানান। এরপর বাড়িওয়ালা, ব্যবসায়িক পার্টনার ও পুলিশ গিয়ে তাঁকে একটি কক্ষের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।’

এসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘তিনি আগেই মারা গিয়েছিলেন। পরে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরাও জানান, তিনি অনেক আগেই মারা গেছেন। তবে কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, এখনো জানা যায়নি। জানতে পেরেছি, তাঁর ডায়াবেটিসহ আরও কিছু রোগ ছিল। তাঁর শরীরে কোনো জখম পাওয়া যায়নি। আমরা বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেখানেও সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে আমরা বিষয়টি বিস্তারিত তদন্ত করে দেখছি।’

মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘আজ মৃত চীনা নাগরিকের স্বজনদের ঢাকায় আসার কথা ছিল। তবে রাত ৯টা পর্যন্ত তাঁরা কেউ যোগাযোগ করেননি। দূতাবাসকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। স্বজনেরা এলে তাঁদের চাওয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক বলেন, মৃত চীনা নাগরিক দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে ব্যবসা করছেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে। পরিবার ময়নাতদন্ত করতে চাইলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত