শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার রাতে চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় একটি নির্বাচনী সভায় বক্তব্যকালে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়াকে উদ্দেশ করে এ হুমকি দেন।
তার এ হুমকি দেওয়া ৮ মিনিট ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ছাড়া তিনি স্থানীয় ভোটারদের নির্দিষ্ট প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।
এ হুমকির ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়ার স্ত্রী ফেন্সি বেগম।
হুমকির ভিডিও বক্তব্য ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাইফুদ্দিন গিয়াস। নোটিশে আগামী ১৫ মে তারিখে তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
তবে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ‘এডিট’ করা বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান।
ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওটিতে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খানকে উপস্থিত জনগণের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘ওরা যদি এই চন্দ্রপুরে ভোট চাইতে আসে, ওগো দৌড়াতে পারুম না? চার নম্বর ওয়ার্ড থেকে শূন্য, ওর ভোটটাও যেন ও দিতে আইতে সাহস না পায়, এই ব্যবস্থা করতে পারবেন? পারবেন? ভোট হবে ইবিএমে, পরিষ্কার কথা, ভাই দলে ঢুইকা কেউ চালাকি করবেন না। আপনি বলবেন এ দেয় নাই, এ বলবো হে দেয় নাই। আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন, বুথ থাকুক, বলবেন হেইয়া বুঝিনা, ইভিএমএ আমরা কখনো ভোট দেই নাই। আপনি আসেন আমার ভোট দিয়া যান, এই কথা আপনি ভেতরে বইয়া বইয়া বলবেন আমার এজেন্ট শুনব যে, আমি ভোট দিমু ঘোড়ায়, ভোট দিমু তালায়, ভোট দিমু ফুটবলে, পারবেন? যে এইডা না পারবেন, সে সন্দেহের তালিকা থাকবেন, যে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে না যাবেন, সেও সন্দেহের তালিকায় থাকবেন, বুঝাইতে পারছি, স্পষ্ট কথা। আর দিপু যদি আমাদের এই চন্দ্রপুরের ভেতর ঢোকে, আজকে কিন্তু দিপুর বউ, নিপুর বউ ভোট চাইতে গেছিল, চুন্নু কিন্তু দৌড়াইছে। দৌড়াইছে না মামা? ওদের দৌড়াইছে এবং যা কওয়ার তাই কইছে, হেইডা ভাষায় প্রকাশ করতে পারুম না।
আর ওরা যদি চন্দ্রপুরে ভোট চাইতে আসে ওগো দৌড়াতে পারুম না? পারবেন? যাইহোক আজ থেকে ওরা যাতে চন্দ্রপুরে ভোট চাইতে না আইতে পারে, পারবেন? কেউ হুমকি-টুমকি মারবেন না, যে মারার সামনা-সামনি মারবেন। স্পষ্ট কথা। দল পিরিতি কেউ করবেন না। ভাই একটা কথা বলি, রাজনীতি যারা করেন, দল যারা করেন, যারা দুই কুল রক্ষা করে চলে তাদের কিন্তু কোন কুলই থাকেনা। আপনারা দিপুর মাইরও খাইবেন, আমাগো মাইরও খাইবেন। যারা তলে তলে খাতির রাখেন তারা দুই দলের মাইর খাইবেন। কালকে রাতে আইছে, কে কার লগে ঘুরছে জানিনা? কে ওর লগে ভোট চাইতে গেছে জানিনা? সেকেন্ডের ভেতর খবর আহে। আমি আবারও বলি ভাই, দুই দিকের মাইর খাইয়েন না। যা করেন একদিকে করেন। বুকে সাহস থাকলে ওর দল করবেন, না হয় এমপি সাবের দল করবেন। আমি আর কথা বাড়াবো না। আমরা ভোটের মাধ্যমে এমপি সাহেবকে বুঝাইয়া দেব ওদের মতো তিন কুলাঙ্গার গেলে কি হইবো? আপনার হাজার হাজার ভাই আছে। আপনারা কি চান না ২২ তারিখে এমপি সাব চন্দ্রপুরে আসুক? ভোট যদি আমরা শতভাগ না দিতারি কাস্টিং করে তাইলে কি আইবো? তয় আমরা কি উনারে আনতে চাই না? আমরা আনবো ইনশাল্লাহ? আমরা ওয়াদাবদ্ধ? ওয়াদা করলেন, বদখেলাপ করবেননা।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট পাঁচজন প্রার্থী অংশগ্রহণ করলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তিন জনের মধ্যে।
এই তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল আমীন কোতোয়াল (মোটরসাইকেল প্রতীক), জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান উজ্জ্বল আকন (ঘোড়া প্রতীক) ও সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া (আনারস প্রতীক)।
অভিযোগ রয়েছে, এ নির্বাচনে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু কামরুজ্জামান উজ্জ্বল আকনকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন এবং নেতা কর্মীদের উজ্জল আকনের প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা ও কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর সমর্থকেরা কামরুজ্জামান উজ্জ্বল আকনের ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা শুরু করেন।
অন্যদিকে বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা আনারস প্রতীকের প্রচারণা শুরু করেন।
গত ৭ মে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, এমপি ইকবাল হোসেন অপুর নির্দেশে আনারস প্রতীকের প্রচার-প্রচারণায় বাধা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, কর্মীদের হুমকি ধামকি ও মারধর করা হচ্ছে। এ ছাড়াও তিনি সংবাদ সম্মেলনে তার প্রাণনাশের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তার মৃত্যু হলে এমপি ইকবাল হোসেন অপু ও তার ভাগিনা চন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান দায়ী থাকবেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন দিপু মিয়া।
আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া করে বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণের পর থেকেই আমি ও আমার কর্মীরা বিভিন্ন হুমকি-ধামকি ও মারধরের শিকার হচ্ছি। এমপির ক্যাডার বাহিনী আমাদের ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছে না। চন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান আমাকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন। যা আপনারা সবাই ভিডিওতে দেখেছেন। এই অবস্থায় আমি প্রাণনাশের শঙ্কায় আছি। বিষয়টি আমি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাকে অবগত করেছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি সুষ্ঠু ভোট চাই’।
এ ব্যাপারে চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান বলেন, ‘আমি আসলে ওভাবে হুমকি-ধামকি দেই নাই। এখন প্রযুক্তির যুগ, অনেক কিছু এডিট করে ভাইরাল করা যায়।’
এ বিষয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাইফুদ্দিন গিয়াস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক প্রার্থীকে হুমকি দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখতে পেয়েছি এবং এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। অভিযুক্ত ওই চেয়ারম্যানকে আগামী ১৫ মে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ করা হয়েছে।’

শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার রাতে চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় একটি নির্বাচনী সভায় বক্তব্যকালে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়াকে উদ্দেশ করে এ হুমকি দেন।
তার এ হুমকি দেওয়া ৮ মিনিট ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ছাড়া তিনি স্থানীয় ভোটারদের নির্দিষ্ট প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।
এ হুমকির ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়ার স্ত্রী ফেন্সি বেগম।
হুমকির ভিডিও বক্তব্য ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাইফুদ্দিন গিয়াস। নোটিশে আগামী ১৫ মে তারিখে তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
তবে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ‘এডিট’ করা বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান।
ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওটিতে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খানকে উপস্থিত জনগণের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘ওরা যদি এই চন্দ্রপুরে ভোট চাইতে আসে, ওগো দৌড়াতে পারুম না? চার নম্বর ওয়ার্ড থেকে শূন্য, ওর ভোটটাও যেন ও দিতে আইতে সাহস না পায়, এই ব্যবস্থা করতে পারবেন? পারবেন? ভোট হবে ইবিএমে, পরিষ্কার কথা, ভাই দলে ঢুইকা কেউ চালাকি করবেন না। আপনি বলবেন এ দেয় নাই, এ বলবো হে দেয় নাই। আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন, বুথ থাকুক, বলবেন হেইয়া বুঝিনা, ইভিএমএ আমরা কখনো ভোট দেই নাই। আপনি আসেন আমার ভোট দিয়া যান, এই কথা আপনি ভেতরে বইয়া বইয়া বলবেন আমার এজেন্ট শুনব যে, আমি ভোট দিমু ঘোড়ায়, ভোট দিমু তালায়, ভোট দিমু ফুটবলে, পারবেন? যে এইডা না পারবেন, সে সন্দেহের তালিকা থাকবেন, যে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে না যাবেন, সেও সন্দেহের তালিকায় থাকবেন, বুঝাইতে পারছি, স্পষ্ট কথা। আর দিপু যদি আমাদের এই চন্দ্রপুরের ভেতর ঢোকে, আজকে কিন্তু দিপুর বউ, নিপুর বউ ভোট চাইতে গেছিল, চুন্নু কিন্তু দৌড়াইছে। দৌড়াইছে না মামা? ওদের দৌড়াইছে এবং যা কওয়ার তাই কইছে, হেইডা ভাষায় প্রকাশ করতে পারুম না।
আর ওরা যদি চন্দ্রপুরে ভোট চাইতে আসে ওগো দৌড়াতে পারুম না? পারবেন? যাইহোক আজ থেকে ওরা যাতে চন্দ্রপুরে ভোট চাইতে না আইতে পারে, পারবেন? কেউ হুমকি-টুমকি মারবেন না, যে মারার সামনা-সামনি মারবেন। স্পষ্ট কথা। দল পিরিতি কেউ করবেন না। ভাই একটা কথা বলি, রাজনীতি যারা করেন, দল যারা করেন, যারা দুই কুল রক্ষা করে চলে তাদের কিন্তু কোন কুলই থাকেনা। আপনারা দিপুর মাইরও খাইবেন, আমাগো মাইরও খাইবেন। যারা তলে তলে খাতির রাখেন তারা দুই দলের মাইর খাইবেন। কালকে রাতে আইছে, কে কার লগে ঘুরছে জানিনা? কে ওর লগে ভোট চাইতে গেছে জানিনা? সেকেন্ডের ভেতর খবর আহে। আমি আবারও বলি ভাই, দুই দিকের মাইর খাইয়েন না। যা করেন একদিকে করেন। বুকে সাহস থাকলে ওর দল করবেন, না হয় এমপি সাবের দল করবেন। আমি আর কথা বাড়াবো না। আমরা ভোটের মাধ্যমে এমপি সাহেবকে বুঝাইয়া দেব ওদের মতো তিন কুলাঙ্গার গেলে কি হইবো? আপনার হাজার হাজার ভাই আছে। আপনারা কি চান না ২২ তারিখে এমপি সাব চন্দ্রপুরে আসুক? ভোট যদি আমরা শতভাগ না দিতারি কাস্টিং করে তাইলে কি আইবো? তয় আমরা কি উনারে আনতে চাই না? আমরা আনবো ইনশাল্লাহ? আমরা ওয়াদাবদ্ধ? ওয়াদা করলেন, বদখেলাপ করবেননা।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট পাঁচজন প্রার্থী অংশগ্রহণ করলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তিন জনের মধ্যে।
এই তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল আমীন কোতোয়াল (মোটরসাইকেল প্রতীক), জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান উজ্জ্বল আকন (ঘোড়া প্রতীক) ও সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া (আনারস প্রতীক)।
অভিযোগ রয়েছে, এ নির্বাচনে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু কামরুজ্জামান উজ্জ্বল আকনকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন এবং নেতা কর্মীদের উজ্জল আকনের প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা ও কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর সমর্থকেরা কামরুজ্জামান উজ্জ্বল আকনের ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা শুরু করেন।
অন্যদিকে বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা আনারস প্রতীকের প্রচারণা শুরু করেন।
গত ৭ মে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, এমপি ইকবাল হোসেন অপুর নির্দেশে আনারস প্রতীকের প্রচার-প্রচারণায় বাধা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, কর্মীদের হুমকি ধামকি ও মারধর করা হচ্ছে। এ ছাড়াও তিনি সংবাদ সম্মেলনে তার প্রাণনাশের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তার মৃত্যু হলে এমপি ইকবাল হোসেন অপু ও তার ভাগিনা চন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান দায়ী থাকবেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন দিপু মিয়া।
আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া করে বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণের পর থেকেই আমি ও আমার কর্মীরা বিভিন্ন হুমকি-ধামকি ও মারধরের শিকার হচ্ছি। এমপির ক্যাডার বাহিনী আমাদের ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছে না। চন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান আমাকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন। যা আপনারা সবাই ভিডিওতে দেখেছেন। এই অবস্থায় আমি প্রাণনাশের শঙ্কায় আছি। বিষয়টি আমি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাকে অবগত করেছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি সুষ্ঠু ভোট চাই’।
এ ব্যাপারে চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান বলেন, ‘আমি আসলে ওভাবে হুমকি-ধামকি দেই নাই। এখন প্রযুক্তির যুগ, অনেক কিছু এডিট করে ভাইরাল করা যায়।’
এ বিষয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাইফুদ্দিন গিয়াস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক প্রার্থীকে হুমকি দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখতে পেয়েছি এবং এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। অভিযুক্ত ওই চেয়ারম্যানকে আগামী ১৫ মে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ করা হয়েছে।’

পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
৩২ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৪ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেদৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চলছে, ঠিক সেই সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তৎপরতায় ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ ভারতীয় নাগরিককে জিরো লাইন থেকে ফেরত নিয়ে যায় বিএসএফ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর বিওপির সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, বিএসএফের আহ্বানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধীন মহিষকুন্ডি বিওপিতে কর্মরত সুবেদার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধিদল এবং ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ উদয় কোম্পানি কমান্ডার এসি অনিল কুমারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৪০ মিনিট থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সীমান্তের মেইন পিলার ১৫৪/০৭ এস-সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে চাইডোবা মাঠে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে তাদের ফেরত নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
পুশ ইনের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মৃত হারুন শেখের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), তাঁর চার ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), শেখ ওকিল (৪০), শেখ রাজা (৩০) ও শেখ বান্টি (২৮); শেখ ওকিলের স্ত্রী শাবেরা বিবি (৩০); শেখ হাকিমের স্ত্রী শমশেরি বিবি (৪০); শেখ রাজার স্ত্রী মাইনু বিবি (২৫); শেখ জব্বারের স্ত্রী আলকনি বিবি (৬০); মৃত শেখ হোসেনের স্ত্রী গুলশান বিবি (৯০); শিশুদের মধ্যে রয়েছে শাকিলা খাতুন (১১), নাছরিন আক্তার (১২), শেখ তাওহিদ (১১) ও আড়াই বছর বয়সী শেখ রহিত।
এই ঘটনায় সীমান্তবাসীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনকালীন স্পর্শকাতর সময়ে ভারতের এমন পুশ ইন চেষ্টাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকায় নানা আলোচনা ও প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে কোনোভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশ ইন মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চলছে, ঠিক সেই সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তৎপরতায় ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ ভারতীয় নাগরিককে জিরো লাইন থেকে ফেরত নিয়ে যায় বিএসএফ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর বিওপির সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, বিএসএফের আহ্বানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধীন মহিষকুন্ডি বিওপিতে কর্মরত সুবেদার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধিদল এবং ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ উদয় কোম্পানি কমান্ডার এসি অনিল কুমারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৪০ মিনিট থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সীমান্তের মেইন পিলার ১৫৪/০৭ এস-সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে চাইডোবা মাঠে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে তাদের ফেরত নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
পুশ ইনের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মৃত হারুন শেখের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), তাঁর চার ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), শেখ ওকিল (৪০), শেখ রাজা (৩০) ও শেখ বান্টি (২৮); শেখ ওকিলের স্ত্রী শাবেরা বিবি (৩০); শেখ হাকিমের স্ত্রী শমশেরি বিবি (৪০); শেখ রাজার স্ত্রী মাইনু বিবি (২৫); শেখ জব্বারের স্ত্রী আলকনি বিবি (৬০); মৃত শেখ হোসেনের স্ত্রী গুলশান বিবি (৯০); শিশুদের মধ্যে রয়েছে শাকিলা খাতুন (১১), নাছরিন আক্তার (১২), শেখ তাওহিদ (১১) ও আড়াই বছর বয়সী শেখ রহিত।
এই ঘটনায় সীমান্তবাসীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনকালীন স্পর্শকাতর সময়ে ভারতের এমন পুশ ইন চেষ্টাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকায় নানা আলোচনা ও প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে কোনোভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশ ইন মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার রাতে চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় একটি নির্বাচনী সভায় বক্তব্যকালে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়াকে উদ্দেশ
১৪ মে ২০২৪
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৪ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গবাদিপশুর খাবার (ভুসি) বহনকারী একটি ট্রাকের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা পাথরবোঝাই আরেকটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে এবং অপরটি মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর রেকার দিয়ে ট্রাক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহত চালক ও হেলপারের পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানান ওসি।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গবাদিপশুর খাবার (ভুসি) বহনকারী একটি ট্রাকের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা পাথরবোঝাই আরেকটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে এবং অপরটি মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর রেকার দিয়ে ট্রাক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহত চালক ও হেলপারের পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানান ওসি।

শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার রাতে চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় একটি নির্বাচনী সভায় বক্তব্যকালে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়াকে উদ্দেশ
১৪ মে ২০২৪
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
৩২ মিনিট আগে
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৪ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে এই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে, যা আজ মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
পেশাজীবীদের ভাষ্যমতে, হাড়কাঁপানো ঠান্ডার কারণে স্বাভাবিক কাজকর্মে ভাটা পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশাচালক স্বপন ইসলাম বলেন, ‘বাপু, হাত-পা তো জমে বরফ হয়ে যাচ্ছে। হ্যান্ডেল ধরলে মনে হয় যেন রড কামড়ে ধরছে। এই হিমেল বাতাসে শরীর কাঁপতিছে। ভাড়া-ভুতো কম, সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে।’
বড় বাজারের মুদিদোকানি সুমন আলী বলেন, ‘সকাল সকাল দোকান খুলে বসে থাকি, কিন্তু কাস্টমারের দেখা নেই। মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঠান্ডার চোটে দোকানের ভেতর বসে থাকাই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট পাড়ার গৃহিণী অনামিকা খাতুন বলেন, ‘ভোরবেলা ঠান্ডা পানিতে হাত দেওয়া যায় না। রান্নাবান্না আর ঘরের কাজ করতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে খুব ভয়ে আছি, কখন ঠান্ডা লেগে অসুখ-বিসুখ হয়।’
দিনমজুর সেতাব আলী বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন কামলা দিয়ে খাই। কিন্তু এই ঠান্ডায় মাঠে বা বাইরে বেশিক্ষণ কাজ করা যাচ্ছে না। শরীর থরথর করে কাঁপে, কোদাল বা ঝুড়ি ধরা কষ্টের।’
টানা কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের ফলে বোরো ধানের বীজতলা এবং শীতকালীন শাকসবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন স্থানীয় কৃষকেরা। কৃষকদের আশঙ্কা, কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার কৃষকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ধানের বীজতলার কুয়াশা সকালে দড়ি টেনে ফেলে দিতে হবে। প্রয়োজনে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে। ছত্রাকনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহারের পাশাপাশি পরিমিত সেচ দিতে হবে।’
তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসাদুর রহমান মালিক খোকন জানান, প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ বৃদ্ধ এবং ৩০০ থেকে ৪০০ শিশু আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসছে। নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের প্রাদুর্ভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, শীতার্ত মানুষের সহায়তায় জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে। তিনি প্রকৃত সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাসের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। চুয়াডাঙ্গার বর্তমান তাপমাত্রা এই সীমার মধ্যে রয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় আজ থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তবে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা যশোরে।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে এই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে, যা আজ মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
পেশাজীবীদের ভাষ্যমতে, হাড়কাঁপানো ঠান্ডার কারণে স্বাভাবিক কাজকর্মে ভাটা পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশাচালক স্বপন ইসলাম বলেন, ‘বাপু, হাত-পা তো জমে বরফ হয়ে যাচ্ছে। হ্যান্ডেল ধরলে মনে হয় যেন রড কামড়ে ধরছে। এই হিমেল বাতাসে শরীর কাঁপতিছে। ভাড়া-ভুতো কম, সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে।’
বড় বাজারের মুদিদোকানি সুমন আলী বলেন, ‘সকাল সকাল দোকান খুলে বসে থাকি, কিন্তু কাস্টমারের দেখা নেই। মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঠান্ডার চোটে দোকানের ভেতর বসে থাকাই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট পাড়ার গৃহিণী অনামিকা খাতুন বলেন, ‘ভোরবেলা ঠান্ডা পানিতে হাত দেওয়া যায় না। রান্নাবান্না আর ঘরের কাজ করতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে খুব ভয়ে আছি, কখন ঠান্ডা লেগে অসুখ-বিসুখ হয়।’
দিনমজুর সেতাব আলী বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন কামলা দিয়ে খাই। কিন্তু এই ঠান্ডায় মাঠে বা বাইরে বেশিক্ষণ কাজ করা যাচ্ছে না। শরীর থরথর করে কাঁপে, কোদাল বা ঝুড়ি ধরা কষ্টের।’
টানা কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের ফলে বোরো ধানের বীজতলা এবং শীতকালীন শাকসবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন স্থানীয় কৃষকেরা। কৃষকদের আশঙ্কা, কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার কৃষকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ধানের বীজতলার কুয়াশা সকালে দড়ি টেনে ফেলে দিতে হবে। প্রয়োজনে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে। ছত্রাকনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহারের পাশাপাশি পরিমিত সেচ দিতে হবে।’
তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসাদুর রহমান মালিক খোকন জানান, প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ বৃদ্ধ এবং ৩০০ থেকে ৪০০ শিশু আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসছে। নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের প্রাদুর্ভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, শীতার্ত মানুষের সহায়তায় জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে। তিনি প্রকৃত সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাসের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। চুয়াডাঙ্গার বর্তমান তাপমাত্রা এই সীমার মধ্যে রয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় আজ থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তবে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা যশোরে।

শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার রাতে চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় একটি নির্বাচনী সভায় বক্তব্যকালে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়াকে উদ্দেশ
১৪ মে ২০২৪
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
৩২ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৪ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৪ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চের হতাহত যাত্রীদের উদ্ধার করে ঢাকার সদরঘাটে নিয়ে আসা হলে সেখানে লাশের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়। সদরঘাট নৌ থানার ইনচার্জ সোহাগ রানা গণমাধ্যমকে জানান, দুটি লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্তকরণ এবং ঘটনার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
তবে নৌ পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে দুটি লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নারী ও তিনজন পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চাঁদপুরের ট্রাফিক পরিদর্শক বাবু লাল বৈদ্য জানান, ভোলার ঘোষেরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী ‘এমভি জাকির সম্রাট-৩’ লঞ্চটি রাত ২টার দিকে হাইমচর এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় নদীতে ঘন কুয়াশা থাকায় দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। ফলে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকা-বরিশাল রুটের ‘এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯’ লঞ্চের সঙ্গে জাকির সম্রাট-৩-এর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
বাবু লাল বৈদ্যের দেওয়া তথ্যমতে, সংঘর্ষের পরপরই ঘটনাস্থলে একজন যাত্রী নিহত হন। ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটির যাত্রীদের তাৎক্ষণিকভাবে ‘এমভি কর্ণফুলী-৯’ নামক লঞ্চের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে ঢাকা যাওয়ার পথেই আরও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। পরে সদরঘাটে পৌঁছানোর পর নিহতের মোট সংখ্যা সাতজনে পৌঁছায়।
নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় চালকদের অবহেলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হতে পারে।

চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৪ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চের হতাহত যাত্রীদের উদ্ধার করে ঢাকার সদরঘাটে নিয়ে আসা হলে সেখানে লাশের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়। সদরঘাট নৌ থানার ইনচার্জ সোহাগ রানা গণমাধ্যমকে জানান, দুটি লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্তকরণ এবং ঘটনার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
তবে নৌ পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে দুটি লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নারী ও তিনজন পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চাঁদপুরের ট্রাফিক পরিদর্শক বাবু লাল বৈদ্য জানান, ভোলার ঘোষেরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী ‘এমভি জাকির সম্রাট-৩’ লঞ্চটি রাত ২টার দিকে হাইমচর এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় নদীতে ঘন কুয়াশা থাকায় দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। ফলে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকা-বরিশাল রুটের ‘এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯’ লঞ্চের সঙ্গে জাকির সম্রাট-৩-এর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
বাবু লাল বৈদ্যের দেওয়া তথ্যমতে, সংঘর্ষের পরপরই ঘটনাস্থলে একজন যাত্রী নিহত হন। ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটির যাত্রীদের তাৎক্ষণিকভাবে ‘এমভি কর্ণফুলী-৯’ নামক লঞ্চের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে ঢাকা যাওয়ার পথেই আরও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। পরে সদরঘাটে পৌঁছানোর পর নিহতের মোট সংখ্যা সাতজনে পৌঁছায়।
নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় চালকদের অবহেলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হতে পারে।

শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার রাতে চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় একটি নির্বাচনী সভায় বক্তব্যকালে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়াকে উদ্দেশ
১৪ মে ২০২৪
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
৩২ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগে