Ajker Patrika

পাঁচ মাসে কী করেছে সরকার, তারা কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়, প্রশ্ন ইলিয়াস কাঞ্চনের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯: ০৯
নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ) শিক্ষার্থীদের জন্য ট্রাফিক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ) শিক্ষার্থীদের জন্য ট্রাফিক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাঁচ মাস হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের। এই পাঁচ মাসে নিরাপদ সড়কের জন্য কী পরিবর্তন হয়েছে—বলে প্রশ্ন তুলেছেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেছেন, ‘এই পাঁচ মাসে দুর্ঘটনা কি কমেছে? সরকার কোনো কাজ করে নাই। আমার মুখকাটা, আমি কথা বলতে ভয় পাই না। আমি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাই না।’

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ) শিক্ষার্থীদের জন্য ট্রাফিক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ইলিয়াস কাঞ্চন।

নিসচার চেয়ারম্যান আক্ষেপ ও ক্ষোভ নিয়ে বলেন, ‘কী করেছেন তাঁরা? যিনি আমাদের তত্ত্বাবধায়ক, যিনি আমাদের সড়কের দায়িত্ব নিয়েছেন—উনি কী করেছেন। সব দায়িত্ব আমাদের ওপর ছেড়ে দেবেন। আমি জীবনের ৩২টা বছর শেষ করেছি। কে আছে পৃথিবীতে? আমার স্বর্ণসময়—আমি একসময় টাকা গোনার সময় পেতাম না। বিছানায় টাকা ফেলে দিতাম, বলতাম গুনে নিতে। সেই সময়ে আমি নিরাপদ সড়ক ক্যাম্পেইন করেছি। এতে কী হয়েছে। কিছুই হয়নি।’

কাঞ্চন বলেন, ‘সরকার কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়? কী করেছেন উনি (সরকার) পাঁচ মাসে। আছে কোনো ইনিশিয়েটিভ?’ তিনি বলেন, ‘১৯৯৩ সাল থেকে আমি আন্দোলন শুরু করেছি। আজ আপনার যাঁরা নিজেদের তরুণ ভাবছেন, তাঁরা ভাবেন, আমি কেমন তরুণ ছিলাম। আমার তরুণ বয়সটা এখানে কেটেছে। সড়কে চার লেন, হাইওয়ে পুলিশ—এগুলো কিন্তু আমাকে চাইতে হয়েছে। এখানে বুয়েটের যিনি শিক্ষক (সাইফুন নেওয়াজ) আছেন, তাঁকে জিজ্ঞেস করুন, অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআরআই) আমার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছে। ২০১০ সালে নিরাপদ সড়ক নিয়ে আইন করার কথা আমি বলেছিলাম। হয়নি। এখন ২০১৮ সালে হয়েছে। আমি যে রাস্তা তৈরি করেছি, সেটা দিয়ে আপনারা হাঁটছেন। এটা ভালো লাগছে।’

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাড়া নিরাপদ সড়ক আন্দোলন সফল করা সম্ভব নয়। আমরা দাবি তুলতে পারি, কিন্তু সেটা সফল করবে সরকার। এখানে বিরোধী দলের কথা সরকার শোনে না। এ জন্য আমাকে ৩২ বছর সংগ্রাম করতে হয়েছে। আমি সবার কাছে গিয়েছি। বলেছি, এটা জাতীয় ইস্যু। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এসব ইস্যু নিয়ে সবাই এক হয়। আমাদের দেশে এক হতে পারে না। যখন সরকার আইন পাস করে, তখন শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে বিরোধী দলেরা সম্পৃক্ত হয়। এই খেলা চলছে।’

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কাজ কী? তাদের কাজ সড়ক তৈরি করা। তাদের সড়ক ২৪ হাজার। আর স্থানীয় সরকারের আওতায় পৌনে ২ লাখ সড়ক। কই, তারা কি কিছু দেখছে? তারা বসে আছে। সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব শহরের সবকিছু দেখা। এখানে কার কী দায়িত্ব, সেটাই জানে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ কী? তারা কী করছে। কোনো সমন্বয় নেই।’

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন বলেন, ভবিষ্যতে এমন আয়োজন করলে সেসময় মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষকেও উপস্থিত রাখতে হবে। উনারা সঙ্গে থাকুক। যখন বাসে উঠি, তখন স্বাভাবিকভাবেই মনে হয় যে ড্রাইভারটা খারাপ। ওরাও মনে করে যাত্রীরা কম ভাড়া দেবে। সবাই চায় একটা সম্মানজনক সহাবস্থান তৈরি হোক।

তিনি আরও বলেন, তাঁর অফিসে ঘুষ-দুর্নীতি আছে, কিন্তু তিনি সেসব করেন না। আমি কিছু ভলান্টিয়ার চাই, যারা সেবাগুলোকে সহজ করার লক্ষ্যে কাজ করবে। একজন ড্রাইভার লাইসেন্স করতে আসল, সে যেন নির্বিঘ্নে ঝামেলা বা ঘুষ ছাড়াই কাজটা করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভলান্টিয়াররা থাকলে কাজটা অনেক সহজ হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ‘এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, সড়কে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুহার কমানো। কারণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে সড়কে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুহার তরুণদের। স্কুল-কলেজগুলোতে অনেক ক্লাব থাকে। এসব ক্লাবের পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক নিয়ে ক্লাব করতে হবে। যারা সড়কের সচেতনতা নিয়ে কাজ করবে।’

অনুষ্ঠানে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ) থেকে বলা হয়েছে, একটি দেশের সবচেয়ে বড় সেক্টরগুলোর একটি হচ্ছে সড়ক সেক্টর। এই সেক্টরের সঙ্গে দেশের সর্বস্তরের মানুষ জড়িত; সবার নিরাপত্তা জড়িত। তাই কীভাবে সড়কে নিরাপদভাবে চলাচল করা যায়, সুস্থভাবে ঘরে ফেরা যায়, সেই লক্ষ্যে ২০১৮ সালের আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ে তৈরি হওয়া প্ল্যাটফর্ম নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের (নিসআ) ‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’–এর অঙ্গীকার হিসেবে ‘এসো নিরাপদে পথ চলি’ নামক সড়ক সচেতনতা ও শিক্ষামূলক একটি চলমান সেমিনারের আয়োজন করেছে।

নিসআ বলছে, সড়কে সবচেয়ে বেশি হতাহত হয় পথচারীরাই। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় চালকের অসতর্কতার সঙ্গে সঙ্গে পথচারীদের অসচেতনতাও দায়ী। সড়ক নিরাপদ করতে হলে, পথচারীদেরও সড়কের বিভিন্ন চিহ্ন, প্রতীক ও আইন সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সড়কে বর্তমানে ব্যক্তিগত গাড়ি, বিশেষ করে বাইক অনেক বেড়েছে। সড়ক দুর্ঘটনার বেশির ভাগই হচ্ছে বাইক সড়ক দুর্ঘটনা।

এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, বেশির ভাগ চালক দেশীয় আইনের লেন, গতিসীমা, হেলমেটের ব্যবহার সম্পর্কে অবগত নন বা মানতে চান না। কীভাবে বাইকচালকেরা আইনে মেনে সড়কে চলাচল করবেন, সে জন্য নিসআ এই আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নিসআর সভাপতি আবদুল্লাহ মেহেদি দীপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক তানজিদ মোহাম্মদ সোহরাব রেজাসহ অন্যরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত