টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ। আজ রোববার সকালে ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার হেদায়েতি বয়ান শেষে সকাল ৯টায় শুরু হওয়া মোনাজাত শেষ হয় ৯টা ২৩ মিনিটে। মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা যোবায়ের। মোনাজাত শেষে বাড়ি ফেরার সময় পরিবহনসংকটে পড়েন ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গতকাল শনিবার রাত ১০টা থেকে গাজীপুরের কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয় পুলিশ। এ কারণে মোনাজাতে অংশ নিতে এসে ফিরতি পথে পদে পদে ভোগান্তিতে পড়তে হয় মুসল্লিদের। সড়কে যানবাহন থাকলেও ইজতেমা ময়দান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার হেঁটে গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন মুসল্লিরা। তাতে সড়কে চলাচল করা সব যানবাহনে ধীর গতি দেখা দেয়।
মোনাজাত শেষ হওয়ার পরপরই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গী-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক, টঙ্গী-বনমালা আঞ্চলিক সড়ক এবং টঙ্গী-আবদুল্লাহপুর সড়কে মুসল্লিদের ঢল নামে। প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল ছাড়া বেশির ভাগ মুসল্লি নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে হেঁটে রওনা হন।
অনেকেই ট্রেনে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। মোনাজাত শেষ হওয়ার পরপরই উপচে পড়া ভিড় হয় টঙ্গী রেলওয়ে জংশনে। মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন, সে জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা রাখা হয়। তবে ট্রেনে যাত্রীদের চাপ এত বেশি ছিল যে অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির পথে রওনা হন।
আখেরি মোনাজাতে দেশের কল্যাণ, মুসলিম উম্মার সুদৃঢ় ঐক্য, আখিরাত ও দুনিয়ার শান্তি কামনা করা হয়। এ সময় দুই হাত তুলে মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানান লাখ লাখ মুসল্লি। মোনাজাত শেষ হওয়ার পরপরই মুসল্লিরা ইজতেমা এলাকা ছাড়েন। তবে খিত্তায় অবস্থান নেওয়া মুসল্লিরা পর্যায়ক্রমে ময়দান ছাড়বেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আগামীকাল পর্যন্ত ময়দানে অবস্থান করবেন।
মোনাজাতে অংশ নিতে অনেক মুসল্লি ইজতেমার মূল ময়দানে ঢুকতে না পেরে বিভিন্ন সড়ক, অলিগলি, ভবনের ছাদে পত্রিকা, পাটি, চট, জায়নামাজ, পলিথিন বিছিয়ে বসে পড়েন। অনেকেই আবার মোবাইল ফোনে দূর-দূরান্ত থেকে মোনাজাতে শরিক হন।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে গতকাল টঙ্গী এসেছিলেন মাদারীপুরের শিবচরের রাজিবুল হাসান। দিনের অংশটুকু ময়দানের ভেতর মাদারীপুরের জন্য নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান করেন। সন্ধ্যায় নিজ এলাকায় ফিরে যেতে টঙ্গী স্টেশন রোডে বাসের অপেক্ষা করছিলেন তিনি। প্রায় এক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তিনি বাসে উঠতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম সন্ধ্যায় বাসে ভিড় কম হবে। সড়কে বাসের সংখ্যা কম। মানুষ হেঁটে টঙ্গী ছাড়ছেন।’
আজ সকালে আমানুল্লাহ আমান আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে টঙ্গীতে আত্মীয়ের বাসায় আসেন। তিনি ঢাকার নবাবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। সন্ধ্যায় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার করে নবাবগঞ্জে রওনা হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার করে কোনো মোটরবাইকচালক যেতে চাইছেন না। তাই অতিরিক্ত ৫০০ টাকা ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার ট্রাফিক বিভাগ (দক্ষিণ) আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মুসল্লিরা এখনো তাঁদের গন্তব্যে ফিরছেন। সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে বিআরটি প্রকল্পের উড়াল সেতুতে ধীর গতি রয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা কাজ করছেন। আজ রাতের মধ্যেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
চার দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার এবারের আসর শেষ হবে।

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ। আজ রোববার সকালে ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার হেদায়েতি বয়ান শেষে সকাল ৯টায় শুরু হওয়া মোনাজাত শেষ হয় ৯টা ২৩ মিনিটে। মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা যোবায়ের। মোনাজাত শেষে বাড়ি ফেরার সময় পরিবহনসংকটে পড়েন ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গতকাল শনিবার রাত ১০টা থেকে গাজীপুরের কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয় পুলিশ। এ কারণে মোনাজাতে অংশ নিতে এসে ফিরতি পথে পদে পদে ভোগান্তিতে পড়তে হয় মুসল্লিদের। সড়কে যানবাহন থাকলেও ইজতেমা ময়দান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার হেঁটে গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন মুসল্লিরা। তাতে সড়কে চলাচল করা সব যানবাহনে ধীর গতি দেখা দেয়।
মোনাজাত শেষ হওয়ার পরপরই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গী-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক, টঙ্গী-বনমালা আঞ্চলিক সড়ক এবং টঙ্গী-আবদুল্লাহপুর সড়কে মুসল্লিদের ঢল নামে। প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল ছাড়া বেশির ভাগ মুসল্লি নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে হেঁটে রওনা হন।
অনেকেই ট্রেনে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। মোনাজাত শেষ হওয়ার পরপরই উপচে পড়া ভিড় হয় টঙ্গী রেলওয়ে জংশনে। মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন, সে জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা রাখা হয়। তবে ট্রেনে যাত্রীদের চাপ এত বেশি ছিল যে অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির পথে রওনা হন।
আখেরি মোনাজাতে দেশের কল্যাণ, মুসলিম উম্মার সুদৃঢ় ঐক্য, আখিরাত ও দুনিয়ার শান্তি কামনা করা হয়। এ সময় দুই হাত তুলে মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানান লাখ লাখ মুসল্লি। মোনাজাত শেষ হওয়ার পরপরই মুসল্লিরা ইজতেমা এলাকা ছাড়েন। তবে খিত্তায় অবস্থান নেওয়া মুসল্লিরা পর্যায়ক্রমে ময়দান ছাড়বেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আগামীকাল পর্যন্ত ময়দানে অবস্থান করবেন।
মোনাজাতে অংশ নিতে অনেক মুসল্লি ইজতেমার মূল ময়দানে ঢুকতে না পেরে বিভিন্ন সড়ক, অলিগলি, ভবনের ছাদে পত্রিকা, পাটি, চট, জায়নামাজ, পলিথিন বিছিয়ে বসে পড়েন। অনেকেই আবার মোবাইল ফোনে দূর-দূরান্ত থেকে মোনাজাতে শরিক হন।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে গতকাল টঙ্গী এসেছিলেন মাদারীপুরের শিবচরের রাজিবুল হাসান। দিনের অংশটুকু ময়দানের ভেতর মাদারীপুরের জন্য নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান করেন। সন্ধ্যায় নিজ এলাকায় ফিরে যেতে টঙ্গী স্টেশন রোডে বাসের অপেক্ষা করছিলেন তিনি। প্রায় এক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তিনি বাসে উঠতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম সন্ধ্যায় বাসে ভিড় কম হবে। সড়কে বাসের সংখ্যা কম। মানুষ হেঁটে টঙ্গী ছাড়ছেন।’
আজ সকালে আমানুল্লাহ আমান আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে টঙ্গীতে আত্মীয়ের বাসায় আসেন। তিনি ঢাকার নবাবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। সন্ধ্যায় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার করে নবাবগঞ্জে রওনা হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার করে কোনো মোটরবাইকচালক যেতে চাইছেন না। তাই অতিরিক্ত ৫০০ টাকা ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার ট্রাফিক বিভাগ (দক্ষিণ) আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মুসল্লিরা এখনো তাঁদের গন্তব্যে ফিরছেন। সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে বিআরটি প্রকল্পের উড়াল সেতুতে ধীর গতি রয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা কাজ করছেন। আজ রাতের মধ্যেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
চার দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার এবারের আসর শেষ হবে।

রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
১৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
২ ঘণ্টা আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে