সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে এবারের নির্বাচন ঘিরে সৈয়দ নজরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা একে অপরের প্রতি বিষোদ্গার করছেন নির্বাচনী প্রচারসভায়। একই পরিবারের সদস্যরা যেভাবে একে অপরের প্রতি বিষোদ্গার করছেন, তাতে ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নির্বাচনী পরিবেশ। এতে উদ্বিগ্ন সাধারণ ভোটাররা। তাঁদের আশঙ্কা, এই বিষোদ্গার গড়াতে পারে সহিংসতায়।
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। তাঁর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে লড়ছেন বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। এই আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তাদের চাচাতো ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু। তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে সমর্থন দিয়েছেন সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামকে।
সর্বশেষ গতকাল বুধবার রাতে কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের নির্বাচনী প্রচারসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমার ছেলেরা ঈগল প্রতীকের পোস্টার লাগাইছে, সবগুলো পোস্টার ছিঁড়া ফালাইছে। পোস্টারের মধ্যে আগুন লাগাইয়া দিছে।’
সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমি এইডা বিশ্বাসই করি না যে, বইন (সৈয়দা লিপি) হইয়া ভাইয়ের (সৈয়দ সাফায়েত) পোস্টারে আগুন লাগাইয়া দিছে। এরা চায় কিশোরগঞ্জে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হউক। এরা চায় কিশোরগঞ্জে মারামারি-খুনোখুনির অবস্থা তৈরি হউক।’
সৈয়দ পরিবারের এই নেতা আরও বলেন, ‘অপ্রীতিকর ঘটনা যে ঘটাইতে চায়, এইটার পেছনেও ষড়যন্ত্র আছে। সেই ষড়যন্ত্রডা হইল, যদি কিশোরগঞ্জে মারামারি হানাহানি হইয়া একটা জীবন ঝইরা যায়, তাহলে মামলা হইব।’ এ সময় তিনি প্রশ্ন রাখেন, এই মামলার আসামি কে হবে? তিনি নিজেই জবাব দিয়ে বলেন, ‘সৈয়দ পরিবারের মেজর জেনারেল সাফায়েতুল ইসলাম আর সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু।’
কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মামলা তো আর এক পক্ষে হয় না। আরেকটা মামলা হইব। হেইডার আসামি হইব লিপি, রুপা, শরীফ আর মঞ্জু। পত্রপত্রিকায় উঠব। নেত্রী দেখব যে, ভাইয়ে-বইনে মারামারি লাইগা খুনোখুনি লাগাইয়া দিছে। এইডা একটা ষড়যন্ত্র। এই যে মারামারি-হানাহানি আর খুনের মামলার আসামি বানাইয়া দিলে, লাভডা কার হইব এইডা কন? হাততালি কেডা দিব? মুরুব্বি হাততালিডা দিব।’
এই মুরুব্বি কে—এ বিষয়ে সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সরাসরি উত্তর দেননি। তিনি বলেন, বিষয়টি আপনারা বুঝে নিন।
উল্লেখ্য, এই আসনে সাবেক রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েও পাননি। পরে তিনি সমর্থন জানান সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিকে। তুহিন সমর্থন দেওয়ার পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। প্রকাশ্যে চলে আসে সৈয়দ পরিবারের দ্বন্দ্ব। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী তখন সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামকে সমর্থন জানান চাচাতো ভাই সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে জেলা শহরের রেলস্টেশন এলাকায় নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী সভায় সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন তাঁরই চার ভাই-বোন। ওই সভায় সাফায়েতুল ইসলাম অস্ত্র আর টাকা নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন—এমন অভিযোগ তোলেন তাঁর ছোট ভাই ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধ্যাপক সৈয়দ শরীফুল ইসলাম।
সৈয়দ শরীফুল ইসলাম বড় ভাইকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘তাঁরা অস্ত্র আর টাকার গরম দেখাচ্ছে। আমরা নেমেছি আদর্শ নিয়ে। আমরা সততার সঙ্গে রোজগার করে খাচ্ছি।’ ভোটারদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘তাঁরা পয়সা দেবে, আপনারা নেবেন। আর ভোটটা দেবেন নৌকায়।’ এ সময় সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামকে ‘দলছুট’ আখ্যা দিয়ে শরীফুল বলেন, ‘আমরা চার ভাইবোন একসঙ্গে আছি। ছোট বোন লিপির পক্ষে কাজ করছি।’
উল্লেখ্য প্রয়াত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছয় সন্তান। তাঁর চার ছেলে—সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, সৈয়দ শরিফুল ইসলাম ও সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম এবং দুই মেয়ে সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, সৈয়দা রাফিয়া নূর। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু ও সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামকে ইঙ্গিত করে সৈয়দা রাফিয়া নূর রুপা বলেন, ‘দুই ভাই মিলে হুলুস্থুল লাগিয়ে দিয়েছেন। পাগল ঈগল নিয়ে এসেছে। সঙ্গে আছে কিছু ছাগল। ঈগল প্রথমে ছাগলগুলোকে খাবে।’ এ সময় তিনি তাঁর দুই ভাইয়ের কর্মকাণ্ডের জন্য সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ভাই-বোনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা নৌকার বিরুদ্ধে না। আমার কাছে বইঠা আছে, আমি জানি নৌকা কীভাবে চালাইতে হয়। সৈয়দ আশরাফ মারা যাওয়ার পর তাঁর সব প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে। আমার একটাই কাজ; সৈয়দ নজরুল, সৈয়দ ওয়াহেদুল ও সৈয়দ আশরাফের অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করতে চাই।’ উল্লেখ্য, সৈয়দ ওয়াহেদুল ইসলাম সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভাই।
এদিকে সৈয়দ পরিবারের দ্বন্দ্বের ফায়দা তুলতে চান জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী চিকিৎসক মো. আব্দুল হাই। তিনি ভাই-বোনের দ্বন্দ্বকে ভোটারদের সামনে তুলে ধরে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘কিশোরগঞ্জের জনগণ একটা ভীতির মধ্যে আছে যে, তাঁরা (ক্ষমতায়) এলে কী হবে! এখনই এই অবস্থা।’
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ১২ জন। যাচাইবাছাই, আপিল ও প্রত্যাহারের পর ভোটের লড়াইয়ে টিকে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম (ঈগল), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মোবারক হোসেন (ডাব), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আবদুল হাই (লাঙল), ইসলামী ঐক্যজোটের মো. আশরাফ উদ্দিন (মিনার), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আব্দুল আউয়াল (ছড়ি) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির মো. আনোয়ারুল কিবরিয়া (আম)। এই আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৫ হাজার ৫১১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬১ হাজার ৪১৩ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬ জন।
ভাইবোনের দ্বন্দ্বের বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে এবারের নির্বাচন ঘিরে সৈয়দ নজরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা একে অপরের প্রতি বিষোদ্গার করছেন নির্বাচনী প্রচারসভায়। একই পরিবারের সদস্যরা যেভাবে একে অপরের প্রতি বিষোদ্গার করছেন, তাতে ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নির্বাচনী পরিবেশ। এতে উদ্বিগ্ন সাধারণ ভোটাররা। তাঁদের আশঙ্কা, এই বিষোদ্গার গড়াতে পারে সহিংসতায়।
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। তাঁর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে লড়ছেন বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। এই আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তাদের চাচাতো ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু। তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে সমর্থন দিয়েছেন সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামকে।
সর্বশেষ গতকাল বুধবার রাতে কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের নির্বাচনী প্রচারসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমার ছেলেরা ঈগল প্রতীকের পোস্টার লাগাইছে, সবগুলো পোস্টার ছিঁড়া ফালাইছে। পোস্টারের মধ্যে আগুন লাগাইয়া দিছে।’
সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমি এইডা বিশ্বাসই করি না যে, বইন (সৈয়দা লিপি) হইয়া ভাইয়ের (সৈয়দ সাফায়েত) পোস্টারে আগুন লাগাইয়া দিছে। এরা চায় কিশোরগঞ্জে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হউক। এরা চায় কিশোরগঞ্জে মারামারি-খুনোখুনির অবস্থা তৈরি হউক।’
সৈয়দ পরিবারের এই নেতা আরও বলেন, ‘অপ্রীতিকর ঘটনা যে ঘটাইতে চায়, এইটার পেছনেও ষড়যন্ত্র আছে। সেই ষড়যন্ত্রডা হইল, যদি কিশোরগঞ্জে মারামারি হানাহানি হইয়া একটা জীবন ঝইরা যায়, তাহলে মামলা হইব।’ এ সময় তিনি প্রশ্ন রাখেন, এই মামলার আসামি কে হবে? তিনি নিজেই জবাব দিয়ে বলেন, ‘সৈয়দ পরিবারের মেজর জেনারেল সাফায়েতুল ইসলাম আর সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু।’
কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মামলা তো আর এক পক্ষে হয় না। আরেকটা মামলা হইব। হেইডার আসামি হইব লিপি, রুপা, শরীফ আর মঞ্জু। পত্রপত্রিকায় উঠব। নেত্রী দেখব যে, ভাইয়ে-বইনে মারামারি লাইগা খুনোখুনি লাগাইয়া দিছে। এইডা একটা ষড়যন্ত্র। এই যে মারামারি-হানাহানি আর খুনের মামলার আসামি বানাইয়া দিলে, লাভডা কার হইব এইডা কন? হাততালি কেডা দিব? মুরুব্বি হাততালিডা দিব।’
এই মুরুব্বি কে—এ বিষয়ে সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সরাসরি উত্তর দেননি। তিনি বলেন, বিষয়টি আপনারা বুঝে নিন।
উল্লেখ্য, এই আসনে সাবেক রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েও পাননি। পরে তিনি সমর্থন জানান সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিকে। তুহিন সমর্থন দেওয়ার পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। প্রকাশ্যে চলে আসে সৈয়দ পরিবারের দ্বন্দ্ব। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী তখন সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামকে সমর্থন জানান চাচাতো ভাই সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে জেলা শহরের রেলস্টেশন এলাকায় নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী সভায় সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন তাঁরই চার ভাই-বোন। ওই সভায় সাফায়েতুল ইসলাম অস্ত্র আর টাকা নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন—এমন অভিযোগ তোলেন তাঁর ছোট ভাই ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধ্যাপক সৈয়দ শরীফুল ইসলাম।
সৈয়দ শরীফুল ইসলাম বড় ভাইকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘তাঁরা অস্ত্র আর টাকার গরম দেখাচ্ছে। আমরা নেমেছি আদর্শ নিয়ে। আমরা সততার সঙ্গে রোজগার করে খাচ্ছি।’ ভোটারদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘তাঁরা পয়সা দেবে, আপনারা নেবেন। আর ভোটটা দেবেন নৌকায়।’ এ সময় সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামকে ‘দলছুট’ আখ্যা দিয়ে শরীফুল বলেন, ‘আমরা চার ভাইবোন একসঙ্গে আছি। ছোট বোন লিপির পক্ষে কাজ করছি।’
উল্লেখ্য প্রয়াত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছয় সন্তান। তাঁর চার ছেলে—সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, সৈয়দ শরিফুল ইসলাম ও সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম এবং দুই মেয়ে সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, সৈয়দা রাফিয়া নূর। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু ও সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামকে ইঙ্গিত করে সৈয়দা রাফিয়া নূর রুপা বলেন, ‘দুই ভাই মিলে হুলুস্থুল লাগিয়ে দিয়েছেন। পাগল ঈগল নিয়ে এসেছে। সঙ্গে আছে কিছু ছাগল। ঈগল প্রথমে ছাগলগুলোকে খাবে।’ এ সময় তিনি তাঁর দুই ভাইয়ের কর্মকাণ্ডের জন্য সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ভাই-বোনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা নৌকার বিরুদ্ধে না। আমার কাছে বইঠা আছে, আমি জানি নৌকা কীভাবে চালাইতে হয়। সৈয়দ আশরাফ মারা যাওয়ার পর তাঁর সব প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে। আমার একটাই কাজ; সৈয়দ নজরুল, সৈয়দ ওয়াহেদুল ও সৈয়দ আশরাফের অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করতে চাই।’ উল্লেখ্য, সৈয়দ ওয়াহেদুল ইসলাম সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভাই।
এদিকে সৈয়দ পরিবারের দ্বন্দ্বের ফায়দা তুলতে চান জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী চিকিৎসক মো. আব্দুল হাই। তিনি ভাই-বোনের দ্বন্দ্বকে ভোটারদের সামনে তুলে ধরে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘কিশোরগঞ্জের জনগণ একটা ভীতির মধ্যে আছে যে, তাঁরা (ক্ষমতায়) এলে কী হবে! এখনই এই অবস্থা।’
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ১২ জন। যাচাইবাছাই, আপিল ও প্রত্যাহারের পর ভোটের লড়াইয়ে টিকে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম (ঈগল), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মোবারক হোসেন (ডাব), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আবদুল হাই (লাঙল), ইসলামী ঐক্যজোটের মো. আশরাফ উদ্দিন (মিনার), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আব্দুল আউয়াল (ছড়ি) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির মো. আনোয়ারুল কিবরিয়া (আম)। এই আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৫ হাজার ৫১১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬১ হাজার ৪১৩ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬ জন।
ভাইবোনের দ্বন্দ্বের বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর পৈতৃক জেলা ফেনীতে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফুলগাজীর দৌলতপুরে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে ভিড় করেন স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
১৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের উদ্যোগে কালো ব্যাজ ধারণ করে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন।
৪২ মিনিট আগে
পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেফেনী প্রতিনিধি

দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর পৈতৃক জেলা ফেনীতে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফুলগাজীর দৌলতপুরে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে ভিড় করেন স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসনের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ফেনী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এ পর্যায়ে আর কেউ পৌঁছাতে পারেননি। বেগম খালেদা জিয়া প্রথম কর্মসূচিতে ফেনীতে এসে আমাদের বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন। এরপরও বহুবার এসেছেন। এই শোক ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশনেত্রীর অসমাপ্ত কাজগুলো এগিয়ে নিতে চাই।’
বিএনপি নেতা মোশাররফ চৌধুরী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আমরা ফেনীবাসী সব সময় গর্ব করেছি। “ফেনীর মেয়ে খালেদা, গর্ব মোদের আলাদা” এই স্লোগানটি রাজনৈতিক অঙ্গনে অনন্য মাত্রা দিয়েছিল। তার চলে যাওয়ায় আজ সবকিছু শেষ হয়ে গেল।’
খালেদা জিয়ার চাচাতো ভাই শামীম মজুমদার বলেন, ‘এই বাড়ির সঙ্গে তাঁর অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমরা আশা করছিলাম, সুস্থ হয়ে আবারও তিনি এখানে ফিরবেন। কিন্তু আজকে তাঁর মৃত্যুর সংবাদ সবকিছু চিরদিনের জন্য ম্লান করে দিয়েছে।’
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ফেনী-১ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই আসনে তাঁর পক্ষে গতকাল নেতা-কর্মীরা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর পৈতৃক জেলা ফেনীতে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফুলগাজীর দৌলতপুরে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে ভিড় করেন স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসনের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ফেনী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এ পর্যায়ে আর কেউ পৌঁছাতে পারেননি। বেগম খালেদা জিয়া প্রথম কর্মসূচিতে ফেনীতে এসে আমাদের বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন। এরপরও বহুবার এসেছেন। এই শোক ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশনেত্রীর অসমাপ্ত কাজগুলো এগিয়ে নিতে চাই।’
বিএনপি নেতা মোশাররফ চৌধুরী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আমরা ফেনীবাসী সব সময় গর্ব করেছি। “ফেনীর মেয়ে খালেদা, গর্ব মোদের আলাদা” এই স্লোগানটি রাজনৈতিক অঙ্গনে অনন্য মাত্রা দিয়েছিল। তার চলে যাওয়ায় আজ সবকিছু শেষ হয়ে গেল।’
খালেদা জিয়ার চাচাতো ভাই শামীম মজুমদার বলেন, ‘এই বাড়ির সঙ্গে তাঁর অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমরা আশা করছিলাম, সুস্থ হয়ে আবারও তিনি এখানে ফিরবেন। কিন্তু আজকে তাঁর মৃত্যুর সংবাদ সবকিছু চিরদিনের জন্য ম্লান করে দিয়েছে।’
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ফেনী-১ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই আসনে তাঁর পক্ষে গতকাল নেতা-কর্মীরা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মামলা তো আর এক পক্ষে হয় না। আরেকটা মামলা হইব। হেইডার আসামি হইব লিপি, রুপা, শরীফ আর মঞ্জু। পত্রপত্রিকায় উঠব। নেত্রী দেখব যে, ভাইয়ে-বইনে মারামারি লাইগা খুনোখুনি লাগাইয়া দিছে। এইডা একটা ষড়যন্ত্র। এই যে মারামারি-হানাহানি আর খুনের মামলার আসামি বা
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের উদ্যোগে কালো ব্যাজ ধারণ করে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন।
৪২ মিনিট আগে
পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেজাবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের উদ্যোগে কালো ব্যাজ ধারণ করে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সংগঠনটির শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া শুধু একটি দলেরই নয়, বরং তিনি গোটা দেশের অভিভাবকে পরিণত হয়েছেন। তিনি যেভাবে আপসহীন নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন, সেটা তাঁকে এই দেশের মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় করে রাখবে।
কর্মসূচি চলাকালে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মো. শামছুল আলম বলেন, ‘আমাদের জাতির অভিভাবক হিসেবে তিনি ছিলেন মৃদুভাষী, সহনশীল ও মানবিক একজন মানুষ। গত ১৬ বছরে তাঁর ওপর বহু নির্যাতন ও অবিচার হলেও তিনি কখনো কারও প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেননি।’
শামছুল আলম আরও বলেন, ‘তিনি তাঁর প্রিয় বাসা থেকে উৎখাত হয়েও দেশ ছাড়ার কথা ভাবেননি; দেশকেই তিনি ভালোবেসেছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করে তিনি বহুবার কারাবরণ করেছেন এবং আপসহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতবাসী করেন।’
এ সময় সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।’
ড. মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, ‘দুঃসংবাদ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকল পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগিত করেছে এবং কালো ব্যাজ ধারণের মাধ্যমে শোক পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাফরুহী সাত্তারসহ আরও অনেকে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের উদ্যোগে কালো ব্যাজ ধারণ করে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সংগঠনটির শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া শুধু একটি দলেরই নয়, বরং তিনি গোটা দেশের অভিভাবকে পরিণত হয়েছেন। তিনি যেভাবে আপসহীন নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন, সেটা তাঁকে এই দেশের মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় করে রাখবে।
কর্মসূচি চলাকালে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মো. শামছুল আলম বলেন, ‘আমাদের জাতির অভিভাবক হিসেবে তিনি ছিলেন মৃদুভাষী, সহনশীল ও মানবিক একজন মানুষ। গত ১৬ বছরে তাঁর ওপর বহু নির্যাতন ও অবিচার হলেও তিনি কখনো কারও প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেননি।’
শামছুল আলম আরও বলেন, ‘তিনি তাঁর প্রিয় বাসা থেকে উৎখাত হয়েও দেশ ছাড়ার কথা ভাবেননি; দেশকেই তিনি ভালোবেসেছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করে তিনি বহুবার কারাবরণ করেছেন এবং আপসহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতবাসী করেন।’
এ সময় সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।’
ড. মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, ‘দুঃসংবাদ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকল পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগিত করেছে এবং কালো ব্যাজ ধারণের মাধ্যমে শোক পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাফরুহী সাত্তারসহ আরও অনেকে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মামলা তো আর এক পক্ষে হয় না। আরেকটা মামলা হইব। হেইডার আসামি হইব লিপি, রুপা, শরীফ আর মঞ্জু। পত্রপত্রিকায় উঠব। নেত্রী দেখব যে, ভাইয়ে-বইনে মারামারি লাইগা খুনোখুনি লাগাইয়া দিছে। এইডা একটা ষড়যন্ত্র। এই যে মারামারি-হানাহানি আর খুনের মামলার আসামি বা
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর পৈতৃক জেলা ফেনীতে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফুলগাজীর দৌলতপুরে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে ভিড় করেন স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
১৩ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন।
৪২ মিনিট আগে
পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেচন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন। জোটগত সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল অলি আহমদের (বীর বিক্রম) ছেলে ওমর ফারুকের পক্ষে তিনি নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের এই ঘোষণা দেন।
গতকাল সোমবার রাতে মো. শাহাদাৎ হোসেন তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টের মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান। দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন প্রচার-প্রচারণা চালানোর পর সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন পর আজ এক বড় জবাবদিহিতার জিম্মাদারি থেকে মুক্তি পেলাম। জোটের বৃহৎ স্বার্থে জনগণের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমরা সকলেই সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য প্রদর্শন করলাম। ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে আমরা সর্বদা একযোগে কাজ করব ইনশা আল্লাহ।’
শাহাদাৎ হোসেন জামায়াতে ইসলামীর কোনো পদ-পদবিতে না থাকলেও দলের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং মাঠপর্যায়ে ব্যাপক জনমত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। নিজের আসনটি তিনি অলি আহমদের ছেলের জন্য সহজে ছেড়ে দিতে রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক কৌতূহল ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে জোটের ঐক্য সুসংহত করার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন। জোটগত সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল অলি আহমদের (বীর বিক্রম) ছেলে ওমর ফারুকের পক্ষে তিনি নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের এই ঘোষণা দেন।
গতকাল সোমবার রাতে মো. শাহাদাৎ হোসেন তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টের মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান। দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন প্রচার-প্রচারণা চালানোর পর সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন পর আজ এক বড় জবাবদিহিতার জিম্মাদারি থেকে মুক্তি পেলাম। জোটের বৃহৎ স্বার্থে জনগণের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমরা সকলেই সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য প্রদর্শন করলাম। ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে আমরা সর্বদা একযোগে কাজ করব ইনশা আল্লাহ।’
শাহাদাৎ হোসেন জামায়াতে ইসলামীর কোনো পদ-পদবিতে না থাকলেও দলের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং মাঠপর্যায়ে ব্যাপক জনমত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। নিজের আসনটি তিনি অলি আহমদের ছেলের জন্য সহজে ছেড়ে দিতে রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক কৌতূহল ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে জোটের ঐক্য সুসংহত করার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মামলা তো আর এক পক্ষে হয় না। আরেকটা মামলা হইব। হেইডার আসামি হইব লিপি, রুপা, শরীফ আর মঞ্জু। পত্রপত্রিকায় উঠব। নেত্রী দেখব যে, ভাইয়ে-বইনে মারামারি লাইগা খুনোখুনি লাগাইয়া দিছে। এইডা একটা ষড়যন্ত্র। এই যে মারামারি-হানাহানি আর খুনের মামলার আসামি বা
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর পৈতৃক জেলা ফেনীতে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফুলগাজীর দৌলতপুরে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে ভিড় করেন স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
১৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের উদ্যোগে কালো ব্যাজ ধারণ করে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগে
পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী ভাটামালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. তামিম হাসান। অভিযানে পুলিশ, আনসার, সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া এবং নিষিদ্ধ এলাকায় গড়ে ওঠা এই ইটভাটা দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এতে ফসলি জমির ফসল ও মাটির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বায়ুদূষণ বাড়ছিল। অভিযানে ভাটার চুল্লি ভেঙে ফেলা হয় এবং কাঁচা ইট নষ্ট করে দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান জানান, পরিবেশ ও জনস্বার্থ রক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইন অমান্যকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী ভাটামালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. তামিম হাসান। অভিযানে পুলিশ, আনসার, সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া এবং নিষিদ্ধ এলাকায় গড়ে ওঠা এই ইটভাটা দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এতে ফসলি জমির ফসল ও মাটির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বায়ুদূষণ বাড়ছিল। অভিযানে ভাটার চুল্লি ভেঙে ফেলা হয় এবং কাঁচা ইট নষ্ট করে দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান জানান, পরিবেশ ও জনস্বার্থ রক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইন অমান্যকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মামলা তো আর এক পক্ষে হয় না। আরেকটা মামলা হইব। হেইডার আসামি হইব লিপি, রুপা, শরীফ আর মঞ্জু। পত্রপত্রিকায় উঠব। নেত্রী দেখব যে, ভাইয়ে-বইনে মারামারি লাইগা খুনোখুনি লাগাইয়া দিছে। এইডা একটা ষড়যন্ত্র। এই যে মারামারি-হানাহানি আর খুনের মামলার আসামি বা
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর পৈতৃক জেলা ফেনীতে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফুলগাজীর দৌলতপুরে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে ভিড় করেন স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
১৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের উদ্যোগে কালো ব্যাজ ধারণ করে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন।
৪২ মিনিট আগে