রামু (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. হাসান (৭৫)। বৃদ্ধ বয়সে যখন পরিবারের সঙ্গে আরাম-আয়েশ করবেন, তখন চার মামলায় আসামি হয়ে থানা-আদালতে ঘুরতে হচ্ছে তাঁকে। দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পত্তির অংশ দেওয়ার পর থেকেই প্রথম স্ত্রীর ছেলে আইনজীবী খোমেনি বিভিন্নজনকে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতে শুরু করেছেন বলে দাবি করছেন হাসান। তবে বাবার বিরুদ্ধে হওয়া কোনো মামলারই বাদী বা বাদীপক্ষের আইনজীবী তিনি নন বলে দাবি করেন খোমেনি।
গতকাল শনিবার বিকেলে মো. হাসান (৭৫) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার দুই স্ত্রী। দুই সংসারেই ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। আইন অনুযায়ী সবাই আমার সম্পত্তির সমান অংশীদার। তাই আমি প্রথম স্ত্রীর সন্তান আয়াত উল্লাহ খোমেনিসহ দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের মধ্যে সব সম্পত্তি সমান ভাগ করে দানপত্র করে দিই, যেন আমার মৃত্যু পরে কোনো ঝামেলা না হয়। দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলেমেয়েদের সম্পত্তি দেওয়ায় পর থেকেই খোমেনি বিভিন্নজনকে দিয়ে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিতে শুরু করেছে।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মো. হাসান আরও বলেন, ‘জীবনের সর্বস্ব দিয়ে ছেলেকে লেখাপড়া করিয়ে আইনজীবী বানিয়েছি। এর বিনিময়ে কী পেলাম? একের পর এক আমার বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা। এই অকেজো শরীর নিয়ে গ্রেপ্তারের ভয়ে দিন কাটাচ্ছি। এমন সন্তান যেন আর কারও না হয়।’
মো. হাসানের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মো. আনাস। পড়েন নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এম এ কালাম সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে। তিনি বলেন, ‘আমার মা-বাবা ও মামাসহ প্রায় সব স্বজনের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত মোট ছয়টি মামলা করেছেন আমার সৎভাই খোমেনি। এর পরও তিনি ক্ষান্ত হচ্ছেন না। মা-বাবাসহ আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। বাবার দেওয়া অন্য জমিতে ঘর করতে গেলে গত ৮ ফেব্রুয়ারি মা ও আমাকে মাথায় কোপ দেন খোমেনি ও তাঁর লোকেরা। আমাদের নামে আরও মিথ্যা মামলার হুমকিও দিচ্ছেন। তাহলে আমরা কোথায় যাব?’
রামু থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় খোমেনির বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। কিন্তু মামলার তিন দিন পার হলেও এখনো গ্রেপ্তার হননি তিনি।
বাবার বিরুদ্ধে মামলা এবং সৎমা ও ভাইদের ওপর হামলার বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে আয়াত উল্লাহ খোমেনি জানান, তিনি কোনো মামলা করেননি। তা ছাড়া তাঁর বাবা ও সৎমা-ভাইদের বিরুদ্ধে করা কোনো মামলায় বাদী বা বাদীপক্ষের আইনজীবীও নন তিনি।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রামু উপজেলার সভাপতি মাস্টার আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছেলের কাছ থেকে বাবার প্রতি এমন আচরণ কাম্য নয়। একজন ছেলে এমন অমানবিক আচরণ করতে পারেন না। এ ঘটনার দ্রুত সুরাহা হওয়া উচিত।’

কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. হাসান (৭৫)। বৃদ্ধ বয়সে যখন পরিবারের সঙ্গে আরাম-আয়েশ করবেন, তখন চার মামলায় আসামি হয়ে থানা-আদালতে ঘুরতে হচ্ছে তাঁকে। দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পত্তির অংশ দেওয়ার পর থেকেই প্রথম স্ত্রীর ছেলে আইনজীবী খোমেনি বিভিন্নজনকে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতে শুরু করেছেন বলে দাবি করছেন হাসান। তবে বাবার বিরুদ্ধে হওয়া কোনো মামলারই বাদী বা বাদীপক্ষের আইনজীবী তিনি নন বলে দাবি করেন খোমেনি।
গতকাল শনিবার বিকেলে মো. হাসান (৭৫) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার দুই স্ত্রী। দুই সংসারেই ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। আইন অনুযায়ী সবাই আমার সম্পত্তির সমান অংশীদার। তাই আমি প্রথম স্ত্রীর সন্তান আয়াত উল্লাহ খোমেনিসহ দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের মধ্যে সব সম্পত্তি সমান ভাগ করে দানপত্র করে দিই, যেন আমার মৃত্যু পরে কোনো ঝামেলা না হয়। দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলেমেয়েদের সম্পত্তি দেওয়ায় পর থেকেই খোমেনি বিভিন্নজনকে দিয়ে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিতে শুরু করেছে।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মো. হাসান আরও বলেন, ‘জীবনের সর্বস্ব দিয়ে ছেলেকে লেখাপড়া করিয়ে আইনজীবী বানিয়েছি। এর বিনিময়ে কী পেলাম? একের পর এক আমার বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা। এই অকেজো শরীর নিয়ে গ্রেপ্তারের ভয়ে দিন কাটাচ্ছি। এমন সন্তান যেন আর কারও না হয়।’
মো. হাসানের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মো. আনাস। পড়েন নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এম এ কালাম সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে। তিনি বলেন, ‘আমার মা-বাবা ও মামাসহ প্রায় সব স্বজনের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত মোট ছয়টি মামলা করেছেন আমার সৎভাই খোমেনি। এর পরও তিনি ক্ষান্ত হচ্ছেন না। মা-বাবাসহ আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। বাবার দেওয়া অন্য জমিতে ঘর করতে গেলে গত ৮ ফেব্রুয়ারি মা ও আমাকে মাথায় কোপ দেন খোমেনি ও তাঁর লোকেরা। আমাদের নামে আরও মিথ্যা মামলার হুমকিও দিচ্ছেন। তাহলে আমরা কোথায় যাব?’
রামু থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় খোমেনির বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। কিন্তু মামলার তিন দিন পার হলেও এখনো গ্রেপ্তার হননি তিনি।
বাবার বিরুদ্ধে মামলা এবং সৎমা ও ভাইদের ওপর হামলার বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে আয়াত উল্লাহ খোমেনি জানান, তিনি কোনো মামলা করেননি। তা ছাড়া তাঁর বাবা ও সৎমা-ভাইদের বিরুদ্ধে করা কোনো মামলায় বাদী বা বাদীপক্ষের আইনজীবীও নন তিনি।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রামু উপজেলার সভাপতি মাস্টার আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছেলের কাছ থেকে বাবার প্রতি এমন আচরণ কাম্য নয়। একজন ছেলে এমন অমানবিক আচরণ করতে পারেন না। এ ঘটনার দ্রুত সুরাহা হওয়া উচিত।’

রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
২৩ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
২ ঘণ্টা আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে