Ajker Patrika

বৈরী আবহাওয়ায় সাগরে পর্যটকের ভিড়, বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রতিমা বিসর্জন

কক্সবাজার প্রতিনিধি
বর্ণাঢ্য আয়োজনে সাগরে প্রতিমা বিসর্জন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বর্ণাঢ্য আয়োজনে সাগরে প্রতিমা বিসর্জন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে গতকাল বুধবার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনো চেপে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবারও সারা দিন একই অবস্থা বিরাজ করছে। ফলে সাগরে জোয়ার ও ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে বাতাসের গতিবেগ।

এই বৈরী পরিবেশ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের দমাতে পারেনি। বৃষ্টিতে ভিজে ও ঝুঁকি নিয়ে সাগরে নামছে পর্যটকদের একটা অংশ। অনেকে সৈকতের বালিয়াড়িতে বিছানো চেয়ার-ছাতায় বসে কিংবা দাঁড়িয়ে উত্তাল সাগরের রূপ দেখছেন।

সৈকতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা প্রশাসনের বিচকর্মী ও লাইফগার্ডের সদস্যরা উত্তাল সাগরে গোসল থেকে বিরত থাকতে পর্যটকদের মধ্যে প্রচারণা চালাচ্ছেন। কিন্তু পর্যটকদের কেউ মানছেন, কেউ মানছেন না। কেউ আবার লাইফ জ্যাকেট ও টায়ার টিউব ব্যবহার করে হাঁটু বা কোমরসমান পানিতে নামছেন।

এদিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে লাখো পর্যটক ও পুণ্যার্থী ভিড় করেন। এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কক্সবাজার ও বান্দরবানের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে প্রতিমা নিয়ে সৈকতে জড়ো করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে পুরোহিতের মন্ত্র পাঠের শেষে একে একে প্রতিমাগুলো উত্তাল সাগরে ভাসানো হয়।

গতকাল বুধবার থেকে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে চার দিনের টানা ছুটি চলছে। এই ছুটি উপভোগ করতে পরিবার-পরিজন নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ কক্সবাজার ঘুরতে এসেছেন। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভ্রমণে আসা পর্যটকেরা বিপাকে পড়েছেন। অনেকে দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে না পেরে হোটেলবন্দী হয়ে পড়েছেন।

সৈকতে পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত বিচকর্মীদের সুপারভাইজার মাহবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। এই অবস্থায়ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগরে গোসলে নামছেন পর্যটকেরা। নানাভাবে সতর্ক করা হচ্ছে। কেউ শোনেন, কেউ শোনেন না।

গোসলে নেমে বিপদে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারে দায়িত্বে থাকা সি-সেফ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার মোহাম্মদ ওসমান জানান, সৈকতের বেশ কয়েকটি স্থানে গুপ্ত খাল বা গভীর খাদের সৃষ্টি হয়েছে। এসব স্থানে গোসলে নামা বিপজ্জনক।

বিপুল পর্যটককে একসঙ্গে নজরদারি করা খুবই কঠিন জানিয়ে মোহাম্মদ ওসমান বলেন, চলতি বছর সৈকতে গোসলে নেমে ভেসে গিয়ে পর্যটকসহ অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ মৃত্যু এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

এ বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির চার দিনে চার থেকে পাঁচ লাখ পর্যটকের সমাগম হবে। বিপুল এই পর্যটকের সার্বিক নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে সক্রিয় রয়েছে।

বৈরী আবহাওয়ায় সাগরে পর্যটকের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বৈরী আবহাওয়ায় সাগরে পর্যটকের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

শনিবার পর্যন্ত বৈরী আবহাওয়া

হোটেলমালিক ও পর্যটনসংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, গত মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম বেড়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে থাকা-খাওয়ায় পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড় ছিল। এখন ছাড় প্রত্যাহার করা হয়েছে।

দুর্গাপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি রয়েছে। ১২ দিনের এই ছুটিতে বেশির ভাগ পর্যটক দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্রে ছুটে আসছেন। কিন্তু পর্যটকদের ভ্রমণের এই উচ্ছ্বাসে বাদ সেধেছে বৈরী আবহাওয়া। আগামী শনিবার পর্যন্ত আবহাওয়ার এই পরিস্থিতি বিরাজ করবে বলে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে দেওয়া আবহাওয়ার সর্বশেষ বার্তায় জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান বলেন, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপ ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজার উপকূল উত্তাল হয়ে পড়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

কক্সবাজার সৈকতের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডের জেনারেল ম্যানেজার আবু তালেব শাহ বলেন, এবার ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক এসেছেন। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভ্রমণে কিছুটা বিপত্তি ঘটেছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল রিসোর্ট গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, শহরের তারকা ও মাঝারি মানের হোটেল-রিসোর্টের কক্ষ আগামী শনিবার পর্যন্ত শতভাগ বুকিং হয়েছে। পর্যটন মৌসুমের শুরুতে লম্বা ছুটি পাওয়ায় এ বছর সূচনা ভালো হয়েছে। সামনে দেশের আইনশৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে পর্যটনশিল্প আরও চাঙা হয়ে উঠবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত