মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

দেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা। সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মনে করছে, দেশে এখন মিয়ানমার থেকে যে মাদক আসছে, তার ৮০ শতাংশ সাগরপথে আনা হচ্ছে।
টানা ১০ মাস সংঘাতের পর জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ৮০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এর পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন পুরো রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জান্তা ও রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও রাখাইনে মাদক উৎপাদন বন্ধ হয়নি। উপরন্তু জল ও স্থলপথে সীমান্ত পেরিয়ে সেখান থেকে ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথসহ (আইস) বিভিন্ন ধরনের মাদক বাংলাদেশে ঢুকছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সীমান্তসংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, সীমান্তের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি অস্ত্র ও রসদ জোগাতে মাদক পাচারে জড়িয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে তারা বাহক হিসেবে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে। সম্প্রতি স্থলপথে মাদক পাচার রোধে তল্লাশি ও নজরদারি বাড়ায় পাচারকারীরা সাগরপথ ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ ছাড়াও দেশটি থেকে সাগরপথে বিভিন্ন দেশে মাদক পাচার হচ্ছে।
বিজিবি বলছে, মাছ ধরার নৌযানে করে দেশের সাগর উপকূল হয়ে ৮০ শতাংশ মাদক ঢুকছে। বিজিবি আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নাফ নদী ও সাগরে চলাচল করা বাংলাদেশি অসংখ্য নৌযানের জলসীমা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যাতায়াতের দৃশ্য দেখতে পেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিজিবি, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও র্যাবের অভিযানেও সাগর উপকূলে প্রায় প্রতিদিনই মাদকের বড় বড় চালান ধরা পড়ছে। একই পথে রাখাইনে পাচারের সময় খাদ্যপণ্য, নির্মাণসামগ্রী, ওষুধ ও জ্বালানি জব্দ করা হচ্ছে।
আটক ব্যক্তিদের দুই-তৃতীয়াংশ রোহিঙ্গা নাগরিক।
সর্বশেষ টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের স্লুইসগেট এলাকায় র্যাব ও বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে। আটক ব্যক্তি মিয়ানমারের মংডু শহরের খারাংখালী এলাকার মো. ওমর সিদ্দিক (২৮)।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফের কায়ুকখালী ফিশারিঘাট এলাকায় একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ সময় টেকনাফের জাদিমুরা ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এ-ব্লকের বাসিন্দা মো. আনাছ (৪০) ও টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মো. সাদেক (১৯) আটক হন। একই দিনে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার ইয়াবা বড়িসহ মিয়ানমারের রাখাইনের বুথিডং এলাকার বাসিন্দা মো. ছলিমকে (৩০) আটক করে বিজিবি।
এদিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বলছে, পাচারকারী চক্র বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বড়িসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে। ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাখাইনে পাচারের সময় কোস্ট গার্ড টেকনাফের সেন্ট মার্টিন ও ছেঁড়া দ্বীপসংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্যসহ ১০ জন পাচারকারীকে আটক করেছে। মাছ ধরার এই ট্রলারে করে পাচারকারী দল ১০ হাজার কেজি ডাল, ২ হাজার ৫০০ কেজি রসুন, ১ হাজার কেজি টেস্টিং সল্ট, ২ হাজার ৫০০ কেজি পেঁয়াজ, ১ লাখ ৫০ হাজার পিস মশার কয়েল, ১০ হাজার পিস রয়েল টাইগার এনার্জি ড্রিংকস পাচার করছিল।
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে কোস্ট গার্ড বিপুল খাদ্যপণ্যভর্তি একটি মাছ ধরার ট্রলার আটক করে। এফবি আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারি-১ নামে এই ট্রলার থেকে ১৫ হাজার কেজি আলু, ৭৫০ কেজি রসুন, ২ হাজার ৫০০ কেজি ময়দা, ২ হাজার ৫০০ কেজি মসুর ডাল, ১৪ হাজার ৪০০ পিস কোমল পানীয় (টাইগার-স্পিড), ৬০০টি গ্যাস লাইটার, ৮০০ পিস শেভিং ব্লেড, ৩টি মোবাইল ফোন, ১টি বাইনোকুলার, ১টি কম্পাস ও ৪০০ ফুট কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। আটক করা হয় পাচারকারী দলের ১১ সদস্যকে।
কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, পাচারকারী চক্র বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বড়িসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে। কোস্ট গার্ড চোরাচালান প্রতিরোধে অভিযানের পাশাপাশি নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের ১৫ জুলাই পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও রামু এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে অভিযান চালিয়ে বিজিবি প্রায় ২ কোটি ৩৪ হাজার ইয়াবা বড়ি, ১৪০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ২৬ কেজি হেরোইন, প্রায় সাড়ে ৪ কেজি কোকেন, ৪ কেজি আফিমসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক জব্দ করেছে। এসব মাদকের আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ৩২২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।
এরপর গত ১৫ জুলাই থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরও অন্তত ৩২ লাখ ইয়াবা বড়ি জব্দ করেছে বিজিবি। এ ছাড়া কোস্ট গার্ড, র্যাব, পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
সম্প্রতি সড়ক, রেল ও বিমানবন্দরে তল্লাশি ও নজরদারি বেড়ে যাওয়ায় সাগর উপকূল মাদক পাচারে নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে।
বিজিবির রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, নাফ নদী ও সাগর উপকূলীয় মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা ও কুয়াকাটা এলাকা দিয়ে মাদক চোরাচালানের রুট তৈরি হয়েছে। এসব রুটে মাছ ধরার ট্রলারে করে ৮০ শতাংশ মাদক পাচার হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে আসা এসব মাদকদ্রব্য শুধু বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করছে তা নয়, বরং অন্যান্য দেশেও পাচার হচ্ছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন শাহীন বলেন, মাদক ও খাদ্যপণ্য চোরাচালানের ২১-২২ পয়েন্ট রয়েছে। এসব পয়েন্টে প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোরাকারবারিদের শনাক্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মাদক পাচারে জড়িত বাহকদের ধরার পাশাপাশি হোতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কক্সবাজার জেলা কারাগারে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্দী কয়েদি ছিল ২ হাজার ৬৪৪ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ১৪৮ জন মাদক মামলার আসামি বলে জানান জেলার মোহাম্মদ আবু মুছা। তিনি জানান, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৫৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিক।
গত ১৪ জুলাই কক্সবাজার বিয়াম আঞ্চলিক কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসিকে প্রধান করে ১৫ সদস্যের একটি মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
মাদকবিরোধী টাস্কফোর্সের সদস্যসচিব ও কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সৌমেন মণ্ডল বলেন, টাস্কফোর্স গঠনের পর মাদক উদ্ধার ও প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ দৃশ্যমান। সড়কপথে তল্লাশি ও নজরদারি বেড়েছে। এরই মধ্যে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে মাদক চিহ্নিত করতে স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর আছে।

দেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা। সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মনে করছে, দেশে এখন মিয়ানমার থেকে যে মাদক আসছে, তার ৮০ শতাংশ সাগরপথে আনা হচ্ছে।
টানা ১০ মাস সংঘাতের পর জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ৮০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এর পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন পুরো রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জান্তা ও রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও রাখাইনে মাদক উৎপাদন বন্ধ হয়নি। উপরন্তু জল ও স্থলপথে সীমান্ত পেরিয়ে সেখান থেকে ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথসহ (আইস) বিভিন্ন ধরনের মাদক বাংলাদেশে ঢুকছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সীমান্তসংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, সীমান্তের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি অস্ত্র ও রসদ জোগাতে মাদক পাচারে জড়িয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে তারা বাহক হিসেবে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে। সম্প্রতি স্থলপথে মাদক পাচার রোধে তল্লাশি ও নজরদারি বাড়ায় পাচারকারীরা সাগরপথ ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ ছাড়াও দেশটি থেকে সাগরপথে বিভিন্ন দেশে মাদক পাচার হচ্ছে।
বিজিবি বলছে, মাছ ধরার নৌযানে করে দেশের সাগর উপকূল হয়ে ৮০ শতাংশ মাদক ঢুকছে। বিজিবি আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নাফ নদী ও সাগরে চলাচল করা বাংলাদেশি অসংখ্য নৌযানের জলসীমা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যাতায়াতের দৃশ্য দেখতে পেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিজিবি, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও র্যাবের অভিযানেও সাগর উপকূলে প্রায় প্রতিদিনই মাদকের বড় বড় চালান ধরা পড়ছে। একই পথে রাখাইনে পাচারের সময় খাদ্যপণ্য, নির্মাণসামগ্রী, ওষুধ ও জ্বালানি জব্দ করা হচ্ছে।
আটক ব্যক্তিদের দুই-তৃতীয়াংশ রোহিঙ্গা নাগরিক।
সর্বশেষ টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের স্লুইসগেট এলাকায় র্যাব ও বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে। আটক ব্যক্তি মিয়ানমারের মংডু শহরের খারাংখালী এলাকার মো. ওমর সিদ্দিক (২৮)।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফের কায়ুকখালী ফিশারিঘাট এলাকায় একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ সময় টেকনাফের জাদিমুরা ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এ-ব্লকের বাসিন্দা মো. আনাছ (৪০) ও টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মো. সাদেক (১৯) আটক হন। একই দিনে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার ইয়াবা বড়িসহ মিয়ানমারের রাখাইনের বুথিডং এলাকার বাসিন্দা মো. ছলিমকে (৩০) আটক করে বিজিবি।
এদিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বলছে, পাচারকারী চক্র বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বড়িসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে। ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাখাইনে পাচারের সময় কোস্ট গার্ড টেকনাফের সেন্ট মার্টিন ও ছেঁড়া দ্বীপসংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্যসহ ১০ জন পাচারকারীকে আটক করেছে। মাছ ধরার এই ট্রলারে করে পাচারকারী দল ১০ হাজার কেজি ডাল, ২ হাজার ৫০০ কেজি রসুন, ১ হাজার কেজি টেস্টিং সল্ট, ২ হাজার ৫০০ কেজি পেঁয়াজ, ১ লাখ ৫০ হাজার পিস মশার কয়েল, ১০ হাজার পিস রয়েল টাইগার এনার্জি ড্রিংকস পাচার করছিল।
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে কোস্ট গার্ড বিপুল খাদ্যপণ্যভর্তি একটি মাছ ধরার ট্রলার আটক করে। এফবি আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারি-১ নামে এই ট্রলার থেকে ১৫ হাজার কেজি আলু, ৭৫০ কেজি রসুন, ২ হাজার ৫০০ কেজি ময়দা, ২ হাজার ৫০০ কেজি মসুর ডাল, ১৪ হাজার ৪০০ পিস কোমল পানীয় (টাইগার-স্পিড), ৬০০টি গ্যাস লাইটার, ৮০০ পিস শেভিং ব্লেড, ৩টি মোবাইল ফোন, ১টি বাইনোকুলার, ১টি কম্পাস ও ৪০০ ফুট কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। আটক করা হয় পাচারকারী দলের ১১ সদস্যকে।
কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, পাচারকারী চক্র বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বড়িসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে। কোস্ট গার্ড চোরাচালান প্রতিরোধে অভিযানের পাশাপাশি নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের ১৫ জুলাই পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও রামু এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে অভিযান চালিয়ে বিজিবি প্রায় ২ কোটি ৩৪ হাজার ইয়াবা বড়ি, ১৪০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ২৬ কেজি হেরোইন, প্রায় সাড়ে ৪ কেজি কোকেন, ৪ কেজি আফিমসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক জব্দ করেছে। এসব মাদকের আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ৩২২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।
এরপর গত ১৫ জুলাই থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরও অন্তত ৩২ লাখ ইয়াবা বড়ি জব্দ করেছে বিজিবি। এ ছাড়া কোস্ট গার্ড, র্যাব, পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
সম্প্রতি সড়ক, রেল ও বিমানবন্দরে তল্লাশি ও নজরদারি বেড়ে যাওয়ায় সাগর উপকূল মাদক পাচারে নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে।
বিজিবির রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, নাফ নদী ও সাগর উপকূলীয় মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা ও কুয়াকাটা এলাকা দিয়ে মাদক চোরাচালানের রুট তৈরি হয়েছে। এসব রুটে মাছ ধরার ট্রলারে করে ৮০ শতাংশ মাদক পাচার হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে আসা এসব মাদকদ্রব্য শুধু বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করছে তা নয়, বরং অন্যান্য দেশেও পাচার হচ্ছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন শাহীন বলেন, মাদক ও খাদ্যপণ্য চোরাচালানের ২১-২২ পয়েন্ট রয়েছে। এসব পয়েন্টে প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোরাকারবারিদের শনাক্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মাদক পাচারে জড়িত বাহকদের ধরার পাশাপাশি হোতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কক্সবাজার জেলা কারাগারে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্দী কয়েদি ছিল ২ হাজার ৬৪৪ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ১৪৮ জন মাদক মামলার আসামি বলে জানান জেলার মোহাম্মদ আবু মুছা। তিনি জানান, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৫৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিক।
গত ১৪ জুলাই কক্সবাজার বিয়াম আঞ্চলিক কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসিকে প্রধান করে ১৫ সদস্যের একটি মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
মাদকবিরোধী টাস্কফোর্সের সদস্যসচিব ও কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সৌমেন মণ্ডল বলেন, টাস্কফোর্স গঠনের পর মাদক উদ্ধার ও প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ দৃশ্যমান। সড়কপথে তল্লাশি ও নজরদারি বেড়েছে। এরই মধ্যে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে মাদক চিহ্নিত করতে স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর আছে।
মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

দেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা। সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মনে করছে, দেশে এখন মিয়ানমার থেকে যে মাদক আসছে, তার ৮০ শতাংশ সাগরপথে আনা হচ্ছে।
টানা ১০ মাস সংঘাতের পর জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ৮০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এর পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন পুরো রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জান্তা ও রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও রাখাইনে মাদক উৎপাদন বন্ধ হয়নি। উপরন্তু জল ও স্থলপথে সীমান্ত পেরিয়ে সেখান থেকে ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথসহ (আইস) বিভিন্ন ধরনের মাদক বাংলাদেশে ঢুকছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সীমান্তসংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, সীমান্তের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি অস্ত্র ও রসদ জোগাতে মাদক পাচারে জড়িয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে তারা বাহক হিসেবে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে। সম্প্রতি স্থলপথে মাদক পাচার রোধে তল্লাশি ও নজরদারি বাড়ায় পাচারকারীরা সাগরপথ ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ ছাড়াও দেশটি থেকে সাগরপথে বিভিন্ন দেশে মাদক পাচার হচ্ছে।
বিজিবি বলছে, মাছ ধরার নৌযানে করে দেশের সাগর উপকূল হয়ে ৮০ শতাংশ মাদক ঢুকছে। বিজিবি আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নাফ নদী ও সাগরে চলাচল করা বাংলাদেশি অসংখ্য নৌযানের জলসীমা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যাতায়াতের দৃশ্য দেখতে পেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিজিবি, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও র্যাবের অভিযানেও সাগর উপকূলে প্রায় প্রতিদিনই মাদকের বড় বড় চালান ধরা পড়ছে। একই পথে রাখাইনে পাচারের সময় খাদ্যপণ্য, নির্মাণসামগ্রী, ওষুধ ও জ্বালানি জব্দ করা হচ্ছে।
আটক ব্যক্তিদের দুই-তৃতীয়াংশ রোহিঙ্গা নাগরিক।
সর্বশেষ টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের স্লুইসগেট এলাকায় র্যাব ও বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে। আটক ব্যক্তি মিয়ানমারের মংডু শহরের খারাংখালী এলাকার মো. ওমর সিদ্দিক (২৮)।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফের কায়ুকখালী ফিশারিঘাট এলাকায় একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ সময় টেকনাফের জাদিমুরা ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এ-ব্লকের বাসিন্দা মো. আনাছ (৪০) ও টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মো. সাদেক (১৯) আটক হন। একই দিনে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার ইয়াবা বড়িসহ মিয়ানমারের রাখাইনের বুথিডং এলাকার বাসিন্দা মো. ছলিমকে (৩০) আটক করে বিজিবি।
এদিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বলছে, পাচারকারী চক্র বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বড়িসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে। ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাখাইনে পাচারের সময় কোস্ট গার্ড টেকনাফের সেন্ট মার্টিন ও ছেঁড়া দ্বীপসংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্যসহ ১০ জন পাচারকারীকে আটক করেছে। মাছ ধরার এই ট্রলারে করে পাচারকারী দল ১০ হাজার কেজি ডাল, ২ হাজার ৫০০ কেজি রসুন, ১ হাজার কেজি টেস্টিং সল্ট, ২ হাজার ৫০০ কেজি পেঁয়াজ, ১ লাখ ৫০ হাজার পিস মশার কয়েল, ১০ হাজার পিস রয়েল টাইগার এনার্জি ড্রিংকস পাচার করছিল।
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে কোস্ট গার্ড বিপুল খাদ্যপণ্যভর্তি একটি মাছ ধরার ট্রলার আটক করে। এফবি আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারি-১ নামে এই ট্রলার থেকে ১৫ হাজার কেজি আলু, ৭৫০ কেজি রসুন, ২ হাজার ৫০০ কেজি ময়দা, ২ হাজার ৫০০ কেজি মসুর ডাল, ১৪ হাজার ৪০০ পিস কোমল পানীয় (টাইগার-স্পিড), ৬০০টি গ্যাস লাইটার, ৮০০ পিস শেভিং ব্লেড, ৩টি মোবাইল ফোন, ১টি বাইনোকুলার, ১টি কম্পাস ও ৪০০ ফুট কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। আটক করা হয় পাচারকারী দলের ১১ সদস্যকে।
কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, পাচারকারী চক্র বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বড়িসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে। কোস্ট গার্ড চোরাচালান প্রতিরোধে অভিযানের পাশাপাশি নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের ১৫ জুলাই পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও রামু এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে অভিযান চালিয়ে বিজিবি প্রায় ২ কোটি ৩৪ হাজার ইয়াবা বড়ি, ১৪০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ২৬ কেজি হেরোইন, প্রায় সাড়ে ৪ কেজি কোকেন, ৪ কেজি আফিমসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক জব্দ করেছে। এসব মাদকের আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ৩২২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।
এরপর গত ১৫ জুলাই থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরও অন্তত ৩২ লাখ ইয়াবা বড়ি জব্দ করেছে বিজিবি। এ ছাড়া কোস্ট গার্ড, র্যাব, পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
সম্প্রতি সড়ক, রেল ও বিমানবন্দরে তল্লাশি ও নজরদারি বেড়ে যাওয়ায় সাগর উপকূল মাদক পাচারে নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে।
বিজিবির রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, নাফ নদী ও সাগর উপকূলীয় মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা ও কুয়াকাটা এলাকা দিয়ে মাদক চোরাচালানের রুট তৈরি হয়েছে। এসব রুটে মাছ ধরার ট্রলারে করে ৮০ শতাংশ মাদক পাচার হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে আসা এসব মাদকদ্রব্য শুধু বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করছে তা নয়, বরং অন্যান্য দেশেও পাচার হচ্ছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন শাহীন বলেন, মাদক ও খাদ্যপণ্য চোরাচালানের ২১-২২ পয়েন্ট রয়েছে। এসব পয়েন্টে প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোরাকারবারিদের শনাক্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মাদক পাচারে জড়িত বাহকদের ধরার পাশাপাশি হোতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কক্সবাজার জেলা কারাগারে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্দী কয়েদি ছিল ২ হাজার ৬৪৪ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ১৪৮ জন মাদক মামলার আসামি বলে জানান জেলার মোহাম্মদ আবু মুছা। তিনি জানান, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৫৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিক।
গত ১৪ জুলাই কক্সবাজার বিয়াম আঞ্চলিক কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসিকে প্রধান করে ১৫ সদস্যের একটি মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
মাদকবিরোধী টাস্কফোর্সের সদস্যসচিব ও কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সৌমেন মণ্ডল বলেন, টাস্কফোর্স গঠনের পর মাদক উদ্ধার ও প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ দৃশ্যমান। সড়কপথে তল্লাশি ও নজরদারি বেড়েছে। এরই মধ্যে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে মাদক চিহ্নিত করতে স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর আছে।

দেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা। সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মনে করছে, দেশে এখন মিয়ানমার থেকে যে মাদক আসছে, তার ৮০ শতাংশ সাগরপথে আনা হচ্ছে।
টানা ১০ মাস সংঘাতের পর জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ৮০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এর পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন পুরো রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জান্তা ও রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও রাখাইনে মাদক উৎপাদন বন্ধ হয়নি। উপরন্তু জল ও স্থলপথে সীমান্ত পেরিয়ে সেখান থেকে ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথসহ (আইস) বিভিন্ন ধরনের মাদক বাংলাদেশে ঢুকছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সীমান্তসংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, সীমান্তের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি অস্ত্র ও রসদ জোগাতে মাদক পাচারে জড়িয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে তারা বাহক হিসেবে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে। সম্প্রতি স্থলপথে মাদক পাচার রোধে তল্লাশি ও নজরদারি বাড়ায় পাচারকারীরা সাগরপথ ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ ছাড়াও দেশটি থেকে সাগরপথে বিভিন্ন দেশে মাদক পাচার হচ্ছে।
বিজিবি বলছে, মাছ ধরার নৌযানে করে দেশের সাগর উপকূল হয়ে ৮০ শতাংশ মাদক ঢুকছে। বিজিবি আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নাফ নদী ও সাগরে চলাচল করা বাংলাদেশি অসংখ্য নৌযানের জলসীমা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যাতায়াতের দৃশ্য দেখতে পেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিজিবি, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও র্যাবের অভিযানেও সাগর উপকূলে প্রায় প্রতিদিনই মাদকের বড় বড় চালান ধরা পড়ছে। একই পথে রাখাইনে পাচারের সময় খাদ্যপণ্য, নির্মাণসামগ্রী, ওষুধ ও জ্বালানি জব্দ করা হচ্ছে।
আটক ব্যক্তিদের দুই-তৃতীয়াংশ রোহিঙ্গা নাগরিক।
সর্বশেষ টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের স্লুইসগেট এলাকায় র্যাব ও বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে। আটক ব্যক্তি মিয়ানমারের মংডু শহরের খারাংখালী এলাকার মো. ওমর সিদ্দিক (২৮)।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফের কায়ুকখালী ফিশারিঘাট এলাকায় একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ সময় টেকনাফের জাদিমুরা ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এ-ব্লকের বাসিন্দা মো. আনাছ (৪০) ও টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মো. সাদেক (১৯) আটক হন। একই দিনে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার ইয়াবা বড়িসহ মিয়ানমারের রাখাইনের বুথিডং এলাকার বাসিন্দা মো. ছলিমকে (৩০) আটক করে বিজিবি।
এদিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বলছে, পাচারকারী চক্র বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বড়িসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে। ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাখাইনে পাচারের সময় কোস্ট গার্ড টেকনাফের সেন্ট মার্টিন ও ছেঁড়া দ্বীপসংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্যসহ ১০ জন পাচারকারীকে আটক করেছে। মাছ ধরার এই ট্রলারে করে পাচারকারী দল ১০ হাজার কেজি ডাল, ২ হাজার ৫০০ কেজি রসুন, ১ হাজার কেজি টেস্টিং সল্ট, ২ হাজার ৫০০ কেজি পেঁয়াজ, ১ লাখ ৫০ হাজার পিস মশার কয়েল, ১০ হাজার পিস রয়েল টাইগার এনার্জি ড্রিংকস পাচার করছিল।
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে কোস্ট গার্ড বিপুল খাদ্যপণ্যভর্তি একটি মাছ ধরার ট্রলার আটক করে। এফবি আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারি-১ নামে এই ট্রলার থেকে ১৫ হাজার কেজি আলু, ৭৫০ কেজি রসুন, ২ হাজার ৫০০ কেজি ময়দা, ২ হাজার ৫০০ কেজি মসুর ডাল, ১৪ হাজার ৪০০ পিস কোমল পানীয় (টাইগার-স্পিড), ৬০০টি গ্যাস লাইটার, ৮০০ পিস শেভিং ব্লেড, ৩টি মোবাইল ফোন, ১টি বাইনোকুলার, ১টি কম্পাস ও ৪০০ ফুট কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। আটক করা হয় পাচারকারী দলের ১১ সদস্যকে।
কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, পাচারকারী চক্র বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বড়িসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে। কোস্ট গার্ড চোরাচালান প্রতিরোধে অভিযানের পাশাপাশি নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের ১৫ জুলাই পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও রামু এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে অভিযান চালিয়ে বিজিবি প্রায় ২ কোটি ৩৪ হাজার ইয়াবা বড়ি, ১৪০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ২৬ কেজি হেরোইন, প্রায় সাড়ে ৪ কেজি কোকেন, ৪ কেজি আফিমসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক জব্দ করেছে। এসব মাদকের আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ৩২২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।
এরপর গত ১৫ জুলাই থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরও অন্তত ৩২ লাখ ইয়াবা বড়ি জব্দ করেছে বিজিবি। এ ছাড়া কোস্ট গার্ড, র্যাব, পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
সম্প্রতি সড়ক, রেল ও বিমানবন্দরে তল্লাশি ও নজরদারি বেড়ে যাওয়ায় সাগর উপকূল মাদক পাচারে নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে।
বিজিবির রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, নাফ নদী ও সাগর উপকূলীয় মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা ও কুয়াকাটা এলাকা দিয়ে মাদক চোরাচালানের রুট তৈরি হয়েছে। এসব রুটে মাছ ধরার ট্রলারে করে ৮০ শতাংশ মাদক পাচার হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে আসা এসব মাদকদ্রব্য শুধু বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করছে তা নয়, বরং অন্যান্য দেশেও পাচার হচ্ছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন শাহীন বলেন, মাদক ও খাদ্যপণ্য চোরাচালানের ২১-২২ পয়েন্ট রয়েছে। এসব পয়েন্টে প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোরাকারবারিদের শনাক্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মাদক পাচারে জড়িত বাহকদের ধরার পাশাপাশি হোতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কক্সবাজার জেলা কারাগারে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্দী কয়েদি ছিল ২ হাজার ৬৪৪ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ১৪৮ জন মাদক মামলার আসামি বলে জানান জেলার মোহাম্মদ আবু মুছা। তিনি জানান, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৫৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিক।
গত ১৪ জুলাই কক্সবাজার বিয়াম আঞ্চলিক কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসিকে প্রধান করে ১৫ সদস্যের একটি মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
মাদকবিরোধী টাস্কফোর্সের সদস্যসচিব ও কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সৌমেন মণ্ডল বলেন, টাস্কফোর্স গঠনের পর মাদক উদ্ধার ও প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ দৃশ্যমান। সড়কপথে তল্লাশি ও নজরদারি বেড়েছে। এরই মধ্যে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে মাদক চিহ্নিত করতে স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর আছে।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২০ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

দেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

দেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২০ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

দেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২০ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

দেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২০ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে