Ajker Patrika

সীতাকুণ্ডে ডিসি পার্কে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে লরিচালকদের সংঘর্ষ-ভাঙচুর, দর্শনার্থীসহ আহত শতাধিক

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০: ৪১
ফুল উৎসবের জন্য দেশব্যাপী সমাদৃত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ডিসি পার্কে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ছবি: সংগৃহীত
ফুল উৎসবের জন্য দেশব্যাপী সমাদৃত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ডিসি পার্কে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ছবি: সংগৃহীত

ফুল উৎসবের জন্য দেশব্যাপী সমাদৃত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ডিসি পার্কে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পার্কের পার্কিং এলাকায় লরি দাঁড় করানোকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত। পরে পার্কে নিয়োজিত নিরাপত্তা প্রহরীদের সঙ্গে একদল লরিচালক এই ভাঙচুর-সংঘর্ষে অংশ নেন।

এতে আহত হয়েছেন পার্কে নিয়োজিত নিরাপত্তা প্রহরী, পার্কে আসা দর্শনার্থী, গাড়িচালক ও চালকের সহকারীসহ শতাধিক ব্যক্তি। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষ সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার ফৌজদারহাটের বন্দর সংযোগ সড়কে অবস্থিত ডিসি পার্কে এ ঘটনা ঘটে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ সময় পার্কের গেটসহ বাইরে ও ভেতরে থাকা ২০টি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সেই সঙ্গে থাকা ব্যাগসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খুইয়েছেন পার্কে আসা দর্শনার্থী ও দোকান মালিকেরা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিএম কনটেইনার ডিপোর একটি লরি রাত ৮টার সময় ডিসি পার্কের পার্কিং এলাকায় দাঁড় করানো হয়। এ নিয়ে পার্কের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে চালকের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নিরাপত্তারক্ষীরা লরিচালকের কাছ থেকে লরির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেখে দেন এবং চালককে মারধর করেন। ঘটনাটি চালক তাঁর সহকর্মী অন্যান্য চালকের পাশাপাশি বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষকে জানান।

এ ঘটনার আধাঘণ্টা পর চালক ও বহিরাগত ২৫-৩০ জন উত্তেজিত ব্যক্তি ডিসি পার্কে হামলা চালান। তাঁরা পার্কের বাইরে থাকা ছোট ছোট গাছ ও ফুলের টব ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে তাঁরা পার্কের মূল ফটকের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় পার্কের ভেতরে দর্শনার্থীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে চারদিকে ছোটোছুটি শুরু করেন। সেই সঙ্গে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন ভেতরে থাকা নিরাপত্তারক্ষী ও দোকান মালিকেরা। পরে বিক্ষুব্ধ লরিচালক ও বহিরাগতরা পার্কে থাকা ২০টি দোকান ভাঙচুর করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ভিডিওতে দেখা যায়, ডিসি পার্কের মূল ফটক ভেঙে চালক ও বহিরাগত যুবকেরা ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রবেশের পর তাঁরা দোকানপাট ভাঙচুর শুরু করেন। তাঁদের উপর্যুপরি হামলায় ৩০ জনেরও অধিক দর্শনার্থী আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শী দর্শনার্থী রোকেয়া বেগম বলেন, হঠাৎ উচ্ছৃঙ্খল কিছু যুবক এসে ডিসি পার্কের মূল গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকেন এবং ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এ সময় প্রাণভয়ে পালাতে গিয়ে তাঁরসহ শতাধিক দর্শনার্থীর সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। ভাঙচুরের সময় হামলাকারীদের ছোড়া ইট-পাথরের আঘাতে তিনিসহ ৩০ জনেরও বেশি দর্শনার্থী আহত হন।

ফুল উৎসবের জন্য দেশব্যাপী সমাদৃত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ডিসি পার্কে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ছবি: সংগৃহীত
ফুল উৎসবের জন্য দেশব্যাপী সমাদৃত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ডিসি পার্কে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম জেলার প্রাইম মুবার লরি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন, রাস্তায় গাড়ি দাঁড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির জেরে ডিসি পার্কের নিরাপত্তারক্ষী ও আনসার সদস্যরা চালকের ওপর হামলা চালান। এতে ৫০-৬০ জন চালক আহত হন। তাঁরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও বন্দর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিষয়ে বিএম কনটেইনার ডিপোর উপমহাব্যবস্থাপক নুরুল আক্তার বলেন, ডিসি পার্কে চালকের সঙ্গে পার্কের লোকজনের সংঘর্ষের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সংঘর্ষের ঘণ্টা দু-এক পর সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান হয়।

সীতাকুণ্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিপোর এক লরিচালক বেপরোয়া গতিতে লরি চালিয়ে পার্কের সামনে আসেন। এ কারণে পার্কের মূল ফটকের বাইরে থাকা দর্শনার্থীদের দুর্ঘটনার কবলে পড়া সম্ভাবনা দেখা দেয়। এ ঘটনার পর পার্কের নিরাপত্তা প্রহরী ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। তাঁরা তাঁকে (লরিচালককে) মামলার ভয় দেখিয়ে কাগজপত্র কেড়ে নেন।’

এ বিষয়ে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. সোহেল বলেন, ‘ডিসি পার্কে হামলার পর চালকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। তবে ঘণ্টা দু-এক পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পার্কসংলগ্ন রাস্তায় লরি রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চালক ও পার্কের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে পার্কে হামলার ঘটনা ঘটান চালকেরা।

তিনি আরও বলেন, হামলার ঘণ্টা দু-এক পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টাঙ্গাইলে দুই দিনে কুকুরের কামড়ে আহত ৪০

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের সখীপুরে গত দুই দিনে কুকুরের কামড়ে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারটি শিশু রয়েছে। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ও গতকাল মঙ্গলবার আহত ব্যক্তিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কুকুরের কামড়ে আহত রোগীরা উপজেলার বড়চওনা, পৌরসভা ও বহুরিয়া চতলবাইদ এলাকার বাসিন্দা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে শাহনাজ আক্তার (৩৫), জাহানারা বেগম (৫৫), চার বছরের শিশু মাহিরাসহ তিনজন কুকুরে কামড়ানো রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। আজ সকালেই উপজেলার বড়চওনা ও পৌর এলাকার দুই শিশুসহ ১৮ জন কুকুরে কামড়ানো রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে।

এর আগে গতকাল ২২ জন রোগী কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে বলে হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে উল্লেখ রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, হাসপাতালে কুকুরে কামড়ানো রোগীর ভ্যাকসিন বরাদ্দ নেই। তাই আহত ব্যক্তিরা বাইরের ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে চিকিৎসা নিয়েছে। দুই দিনে অন্তত দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মোস্তফা কামাল আরও বলেন, এর আগে ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে ২০ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। তিনি কুকুরের বিষয়ে উপজেলার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডেভিল হান্ট অভিযানে শ্রীমঙ্গল আ.লীগের সহসভাপতি গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
হরিপদ রায়। ছবি: সংগৃহীত
হরিপদ রায়। ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হরিপদ রায়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে শহরের কলেজ রোডের জয়নগরপাড়া আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ জহিরুল ইসলাম মুন্না এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর অভিযানের অংশ হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হরিপদ রায়ের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ৩ ও ৪ আগস্ট শ্রীমঙ্গলের চৌমুহনা চত্বরে প্রকাশ্যে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুরগি মারার অভিযোগে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মামলা

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৪৩
মুরগি। ছবি: সংগৃহীত
মুরগি। ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর বদলগাছীতে চালে বিষ মিশিয়ে প্রতিবেশীর মুরগি মারার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গত রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে থানায় এই মামলা করা হয়। মুরগিগুলো মারা যায় গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর)।

আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, মামলা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

বদলগাছী উপজেলার কটকবাড়ী গ্রামের গৃহবধূ শাপলা বেগম জানান, মুরগিগুলোই ছিল সংসারের আয়ের অন্যতম ভরসা। মুরগি ও ডিম বিক্রি করে চলত তাঁর সংসারের খরচ। দীর্ঘদিন প্রতিবেশী আনিছুর রহমানের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে চালে বিষ মিশিয়ে উঠানে রাখেন আনিছুর। ওই চাল খেয়ে মুরগিগুলো মারা যায়। তিনি বলেন, ‘মানুষে-মানুষে শত্রুতা থাকতে পারে, কিন্তু মুরগিগুলো কী অপরাধ করেছে। আমার স্বামী একজন কৃষক। আমি ছাগল ও হাঁস-মুরগি লালন-পালন করি। আমার এই ক্ষতির জন্য বিচার চাই।’

শাপলার জা কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘আমার ও শাপলার মিলে প্রায় ১৮টি মুরগি বিষ দিয়ে মেরে ফেলেছে আনিছুর রহমান। সে আমাদের প্রতিবেশী। তার সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ থাকতে পারে, তাই বলে সে আমার বাড়ির উঠানে খাবারের সঙ্গে বিষ ছিটিয়ে মুরগি মেরে ফেলবে। আমি এর বিচার দাবি করছি।’

আনিছুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য মুরগিগুলো মেরে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা রিপা রাণী বলেন, মরা মুরগিগুলো থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সার্বিক বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার ৪

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার কেরানীগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রোহিতপুর ইউনিয়নের পুরাতন সোনাকান্দা মোল্লাবাড়ি এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান (৩৪), মিজানুর রহমান (৩০), বদিউর রহমান (৪০) ও মামুন হোসেন (৩৪। অভিযানের সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা অন্য ডাকাতেরা কৌশলে পালিয়ে যায়।

এ সময় তাঁদের কাছ থেকে রড, চাপাতি, কাটার, দড়ি, স্কচটেপ, মুখ বাঁধার কাপড়সহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তাঁরা বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা এবং পেশাদার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইলিয়াস হোসেন জানান, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একটি বিশেষ টহল দল রোহিতপুর, শাক্তা, জিনজিরা, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। দায়িত্ব পালনকালে রোহিতপুরের সোনাকান্দা মোল্লাবাড়ির তিন রাস্তার মোড়ে একটি নীল রঙের গাড়িকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে থামানোর সংকেত দেয়। এ সময় গাড়িটি সংকেত অমান্য করে দ্রুতগতিতে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আনুমানিক ২০০ গজ সামনে গিয়ে ব্যারিকেডের মাধ্যমে গাড়িটি আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধভাবে মহাসড়কে ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছিল বলে স্বীকার করেছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত