জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম

ঈদ উপলক্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলেছে মাত্র ১৮ দিন। এর মধ্যেই ট্রেনটি আয় করেছে ৪২ লাখ টাকা। বিক্রি শুরু হতেই সব টিকিট শেষ হয়ে যায়। লোকবল সংকট আর ইঞ্জিনের অজুহাত দিয়ে সেই ট্রেনটিই কিনা চালাতে চাচ্ছে না রেলের মহাপরিচালক দপ্তর। অথচ চট্টগ্রামের রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রেনটি চালানোর বিষয়ে সব রকমের প্রস্তুতি রয়েছে তাঁদের।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথে মাত্র দুটি ট্রেন চলছে। তবে বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে একটি ট্রেনও নেই। চট্টগ্রামের যাত্রীরা ট্রেনের টিকিট কাটতে পারেন না। কারণ মাত্র ২০০ সিট বরাদ্দ রয়েছে চট্টগ্রামের যাত্রীদের জন্য। টিকিট না পেয়ে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েন। বাধ্য হয়ে তাঁদের ভ্রমণ করতে হয় বাসে।
রেলের পরিবহন ও বাণিজ্যিক দপ্তর জানায়, বর্তমানে কক্সবাজার রুটের যাত্রী বেশি। চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী আরও বেশি। চট্টগ্রাম থেকে তিনটি ট্রেনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। টাইম-টেবিল সুন্দর করে ম্যানেজ করে তিনটি ট্রেন অনায়াসে চালানো যাবে এই রুটে। এখন যেহেতু একটিও নেই, সে জন্য অন্তত একটি ট্রেন স্থায়ীভাবে এই রুটে চালানো যায়। বিশেষ করে ঈদ উপলক্ষে চলা চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রেনটি।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) তারেক মো. ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কক্সবাজার স্পেশাল ৯/১০ ঈদ উপলক্ষে মাত্র চলেছে ১৮ দিন। এই সময়ে ট্রেনটি থেকে আয় হয়েছে ৪২ লাখ টাকা। ট্রেনটি গত ৮ এপ্রিল থেকে চলাচল শুরু করে। ৮ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিলের (১১, ১৫ ও ১৬ তারিখ বন্ধ ছিল) হিসাবে দেখা যায়, প্রতিদিনই যাত্রীদের চাপ ছিল।
তারেক মো. ইমরান বলেন, চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রেনটি ১০/২০ লোড নিয়ে চলাচল করেছে। ট্রেনটিতে সিট ছিল ৪৩৮টি। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির সিট ৫৪টি, প্রথম শ্রেণির চেয়ার ৫৪ ও শোভন ৩৩০টি। এটি চট্টগ্রামের ষোলোশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামুতে থামত।
এই ট্রেনটি রেলওয়ে চলতি মাসের ৩০ মে পর্যন্ত চালাবে। তারপর আর না চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ হিসেবে ইঞ্জিন ও লোকবল সংকট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পূর্বাঞ্চল রেলের পাঁচজন কর্মকর্তা বলেন, এই ট্রেন চালানোর মতো সব রকমের প্রস্তুতি তাঁদের রয়েছে। তারপরও রেল কেন চালাচ্ছে না, সেটি তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আলাদা ট্রেন দরকার। অন্য কোনো ট্রেনকে চট্টগ্রামে স্টপেজ দিয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত নিয়ে গেলে চট্টগ্রামের যাত্রীরা কোনো সুফলই পাবে না। কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি স্থায়ীভাবে চলাচল করলে চট্টগ্রামের মানুষ উপকৃত হবে বলে জানান তাঁরা।
গত বছরের ১১ নভেম্বর দোহাজার-কক্সবাজার রুট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের এক মাসের মধ্যে এক ডিসেম্বর এই রুটে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ নামের ঢাকা থেকে সরাসরি একটি ট্রেন চালু করা হয়। তারপর চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ নামের আরও একটি ট্রেন চালু করা হয়। সেটিও সরাসরি ঢাকা থেকে কক্সবাজার। এই দুটি ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে টিকিট কেটে যাওয়ার কোনো ‘ব্যবস্থাই’ রাখা হয়নি। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের মানুষের বিশেষ উপহার হিসেবে এই রুট সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেখানে রেলওয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগটি বিতর্কিত করার চিন্তা করছে বলে মনে করছেন যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন চৌধুরী।
শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে প্রায় ৪০ হাজার যাত্রী বাসে যাতায়াত করে। এর মধ্যে অর্ধেকই চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে বাসে চলাচল করে। বাস মালিকদের সুবিধা দিতেই রেল মহাপরিচালক দপ্তর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন বাড়াচ্ছে না।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী অবশ্য বলেন, ‘আমরা নীতিগতভাবে একমত, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন দিতে হবে। এটা এক নম্বর প্রায়োরিটি। এই রুটে ট্রেন চালুর ডিমান্ডে আমাদের কোনো না নেই। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালুর দাবি বিবেচনায় নিয়েই টাইম-টেবিলে দুটি ট্রেন রাখা হয়েছে। কিন্তু আমাদের নিজস্ব কিছু হিসাব-নিকাশ আছে। দৈনিক কত যাত্রী যায়, আমরা কয়টা ট্রেন চালাতে পারি এসব। আমরা জানি, এই রুটে ট্রেন চালু হলে মানুষের কষ্ট কম হবে। রেলওয়ের রাজস্ব আয়ও বাড়বে। সমস্যা হচ্ছে জনবল ও ইঞ্জিন সংকট।’
রেলের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আমরা ট্রেন চালাতে পারব। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের কনটেইনারবাহী একটি ট্রেন কম চালাতে হবে। কারণ হচ্ছে আমার ইঞ্জিন আছে, বগি আছে, কিন্তু ড্রাইভার নেই। আমরা নিয়োগ দিচ্ছি কিন্তু অনেকে চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে প্যানেল সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। চুক্তিতেও পুরোনো লোকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।’

ঈদ উপলক্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলেছে মাত্র ১৮ দিন। এর মধ্যেই ট্রেনটি আয় করেছে ৪২ লাখ টাকা। বিক্রি শুরু হতেই সব টিকিট শেষ হয়ে যায়। লোকবল সংকট আর ইঞ্জিনের অজুহাত দিয়ে সেই ট্রেনটিই কিনা চালাতে চাচ্ছে না রেলের মহাপরিচালক দপ্তর। অথচ চট্টগ্রামের রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রেনটি চালানোর বিষয়ে সব রকমের প্রস্তুতি রয়েছে তাঁদের।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথে মাত্র দুটি ট্রেন চলছে। তবে বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে একটি ট্রেনও নেই। চট্টগ্রামের যাত্রীরা ট্রেনের টিকিট কাটতে পারেন না। কারণ মাত্র ২০০ সিট বরাদ্দ রয়েছে চট্টগ্রামের যাত্রীদের জন্য। টিকিট না পেয়ে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েন। বাধ্য হয়ে তাঁদের ভ্রমণ করতে হয় বাসে।
রেলের পরিবহন ও বাণিজ্যিক দপ্তর জানায়, বর্তমানে কক্সবাজার রুটের যাত্রী বেশি। চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী আরও বেশি। চট্টগ্রাম থেকে তিনটি ট্রেনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। টাইম-টেবিল সুন্দর করে ম্যানেজ করে তিনটি ট্রেন অনায়াসে চালানো যাবে এই রুটে। এখন যেহেতু একটিও নেই, সে জন্য অন্তত একটি ট্রেন স্থায়ীভাবে এই রুটে চালানো যায়। বিশেষ করে ঈদ উপলক্ষে চলা চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রেনটি।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) তারেক মো. ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কক্সবাজার স্পেশাল ৯/১০ ঈদ উপলক্ষে মাত্র চলেছে ১৮ দিন। এই সময়ে ট্রেনটি থেকে আয় হয়েছে ৪২ লাখ টাকা। ট্রেনটি গত ৮ এপ্রিল থেকে চলাচল শুরু করে। ৮ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিলের (১১, ১৫ ও ১৬ তারিখ বন্ধ ছিল) হিসাবে দেখা যায়, প্রতিদিনই যাত্রীদের চাপ ছিল।
তারেক মো. ইমরান বলেন, চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রেনটি ১০/২০ লোড নিয়ে চলাচল করেছে। ট্রেনটিতে সিট ছিল ৪৩৮টি। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির সিট ৫৪টি, প্রথম শ্রেণির চেয়ার ৫৪ ও শোভন ৩৩০টি। এটি চট্টগ্রামের ষোলোশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামুতে থামত।
এই ট্রেনটি রেলওয়ে চলতি মাসের ৩০ মে পর্যন্ত চালাবে। তারপর আর না চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ হিসেবে ইঞ্জিন ও লোকবল সংকট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পূর্বাঞ্চল রেলের পাঁচজন কর্মকর্তা বলেন, এই ট্রেন চালানোর মতো সব রকমের প্রস্তুতি তাঁদের রয়েছে। তারপরও রেল কেন চালাচ্ছে না, সেটি তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আলাদা ট্রেন দরকার। অন্য কোনো ট্রেনকে চট্টগ্রামে স্টপেজ দিয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত নিয়ে গেলে চট্টগ্রামের যাত্রীরা কোনো সুফলই পাবে না। কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি স্থায়ীভাবে চলাচল করলে চট্টগ্রামের মানুষ উপকৃত হবে বলে জানান তাঁরা।
গত বছরের ১১ নভেম্বর দোহাজার-কক্সবাজার রুট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের এক মাসের মধ্যে এক ডিসেম্বর এই রুটে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ নামের ঢাকা থেকে সরাসরি একটি ট্রেন চালু করা হয়। তারপর চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ নামের আরও একটি ট্রেন চালু করা হয়। সেটিও সরাসরি ঢাকা থেকে কক্সবাজার। এই দুটি ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে টিকিট কেটে যাওয়ার কোনো ‘ব্যবস্থাই’ রাখা হয়নি। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের মানুষের বিশেষ উপহার হিসেবে এই রুট সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেখানে রেলওয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগটি বিতর্কিত করার চিন্তা করছে বলে মনে করছেন যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন চৌধুরী।
শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে প্রায় ৪০ হাজার যাত্রী বাসে যাতায়াত করে। এর মধ্যে অর্ধেকই চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে বাসে চলাচল করে। বাস মালিকদের সুবিধা দিতেই রেল মহাপরিচালক দপ্তর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন বাড়াচ্ছে না।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী অবশ্য বলেন, ‘আমরা নীতিগতভাবে একমত, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন দিতে হবে। এটা এক নম্বর প্রায়োরিটি। এই রুটে ট্রেন চালুর ডিমান্ডে আমাদের কোনো না নেই। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালুর দাবি বিবেচনায় নিয়েই টাইম-টেবিলে দুটি ট্রেন রাখা হয়েছে। কিন্তু আমাদের নিজস্ব কিছু হিসাব-নিকাশ আছে। দৈনিক কত যাত্রী যায়, আমরা কয়টা ট্রেন চালাতে পারি এসব। আমরা জানি, এই রুটে ট্রেন চালু হলে মানুষের কষ্ট কম হবে। রেলওয়ের রাজস্ব আয়ও বাড়বে। সমস্যা হচ্ছে জনবল ও ইঞ্জিন সংকট।’
রেলের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আমরা ট্রেন চালাতে পারব। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের কনটেইনারবাহী একটি ট্রেন কম চালাতে হবে। কারণ হচ্ছে আমার ইঞ্জিন আছে, বগি আছে, কিন্তু ড্রাইভার নেই। আমরা নিয়োগ দিচ্ছি কিন্তু অনেকে চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে প্যানেল সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। চুক্তিতেও পুরোনো লোকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন।
২ মিনিট আগে
পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
৯ মিনিট আগে
দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে তাঁর জন্মস্থান দিনাজপুরে। খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকায়।
১৪ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন, ২৪টি গুলিসহ মোসলেম উদ্দিন মিয়া ওরফে মিয়া কসাই (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩৭ মিনিট আগেচন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন। জোটগত সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল অলি আহমদের (বীর বিক্রম) ছেলে ওমর ফারুকের পক্ষে তিনি নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের এই ঘোষণা দেন।
গতকাল সোমবার রাতে মো. শাহাদাৎ হোসেন তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টের মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান। দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন প্রচার-প্রচারণা চালানোর পর সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন পর আজ এক বড় জবাবদিহিতার জিম্মাদারি থেকে মুক্তি পেলাম। জোটের বৃহৎ স্বার্থে জনগণের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমরা সকলেই সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য প্রদর্শন করলাম। ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে আমরা সর্বদা একযোগে কাজ করব ইনশা আল্লাহ।’
শাহাদাৎ হোসেন জামায়াতে ইসলামীর কোনো পদ-পদবিতে না থাকলেও দলের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং মাঠপর্যায়ে ব্যাপক জনমত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। নিজের আসনটি তিনি অলি আহমদের ছেলের জন্য সহজে ছেড়ে দিতে রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক কৌতূহল ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে জোটের ঐক্য সুসংহত করার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন। জোটগত সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল অলি আহমদের (বীর বিক্রম) ছেলে ওমর ফারুকের পক্ষে তিনি নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের এই ঘোষণা দেন।
গতকাল সোমবার রাতে মো. শাহাদাৎ হোসেন তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টের মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান। দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন প্রচার-প্রচারণা চালানোর পর সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন পর আজ এক বড় জবাবদিহিতার জিম্মাদারি থেকে মুক্তি পেলাম। জোটের বৃহৎ স্বার্থে জনগণের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমরা সকলেই সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য প্রদর্শন করলাম। ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে আমরা সর্বদা একযোগে কাজ করব ইনশা আল্লাহ।’
শাহাদাৎ হোসেন জামায়াতে ইসলামীর কোনো পদ-পদবিতে না থাকলেও দলের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং মাঠপর্যায়ে ব্যাপক জনমত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। নিজের আসনটি তিনি অলি আহমদের ছেলের জন্য সহজে ছেড়ে দিতে রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক কৌতূহল ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে জোটের ঐক্য সুসংহত করার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

রেলের পরিবহন ও বাণিজ্যিক দপ্তর জানায়, বর্তমানে কক্সবাজার রুটের যাত্রী বেশি। চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী আরও বেশি। চট্টগ্রাম থেকে তিনটি ট্রেনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। টাইম-টেবিল সুন্দর করে ম্যানেজ করে তিনটি ট্রেন অনায়াসে চালানো যাবে এই রুটে। এখন যেহেতু একটিও নেই, সে জন্য অন্তত একটি ট্রেন স্থায়ীভাবে এই রুটে চ
২৮ এপ্রিল ২০২৪
পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
৯ মিনিট আগে
দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে তাঁর জন্মস্থান দিনাজপুরে। খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকায়।
১৪ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন, ২৪টি গুলিসহ মোসলেম উদ্দিন মিয়া ওরফে মিয়া কসাই (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩৭ মিনিট আগেঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী ভাটামালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. তামিম হাসান। অভিযানে পুলিশ, আনসার, সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া এবং নিষিদ্ধ এলাকায় গড়ে ওঠা এই ইটভাটা দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এতে ফসলি জমির ফসল ও মাটির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বায়ুদূষণ বাড়ছিল। অভিযানে ভাটার চুল্লি ভেঙে ফেলা হয় এবং কাঁচা ইট নষ্ট করে দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান জানান, পরিবেশ ও জনস্বার্থ রক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইন অমান্যকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী ভাটামালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. তামিম হাসান। অভিযানে পুলিশ, আনসার, সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া এবং নিষিদ্ধ এলাকায় গড়ে ওঠা এই ইটভাটা দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এতে ফসলি জমির ফসল ও মাটির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বায়ুদূষণ বাড়ছিল। অভিযানে ভাটার চুল্লি ভেঙে ফেলা হয় এবং কাঁচা ইট নষ্ট করে দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান জানান, পরিবেশ ও জনস্বার্থ রক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইন অমান্যকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

রেলের পরিবহন ও বাণিজ্যিক দপ্তর জানায়, বর্তমানে কক্সবাজার রুটের যাত্রী বেশি। চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী আরও বেশি। চট্টগ্রাম থেকে তিনটি ট্রেনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। টাইম-টেবিল সুন্দর করে ম্যানেজ করে তিনটি ট্রেন অনায়াসে চালানো যাবে এই রুটে। এখন যেহেতু একটিও নেই, সে জন্য অন্তত একটি ট্রেন স্থায়ীভাবে এই রুটে চ
২৮ এপ্রিল ২০২৪
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন।
২ মিনিট আগে
দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে তাঁর জন্মস্থান দিনাজপুরে। খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকায়।
১৪ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন, ২৪টি গুলিসহ মোসলেম উদ্দিন মিয়া ওরফে মিয়া কসাই (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩৭ মিনিট আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দিনাজপুরে। খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকায়। এই বালুবাড়ি এলাকায় তৈয়বা ভিলা বাড়িতেই কেটেছে খালেদা জিয়ার শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলো। আজ সকাল থেকে তৈয়বা ভিলার সামনে জড়ো হয়েছেন শোকার্ত স্থানীয় মানুষ, দলীয় নেতা-কর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
খালেদা জিয়ার পারিবারিক নাম খালেদা খানম পুতুল। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ইস্কান্দার মজুমদার ও মা তৈয়বা মজুমদার। বর্তমানে খালেদা জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত তৈয়বা ভিলায় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার করা হয়েছে।
আজ সকালে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে শহরের জেলমোড় এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছুটে যান ।
দলীয় কার্যালয় ও বালুবাড়ির পৈতৃক নিবাসে কোরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করা হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়ার আপন খালাতো ভাই আবু তাহের আবু বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) ছিলেন আমাদের অভিভাবক। নিজের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে তিনি ছিলেন খুবই আন্তরিক। ১৯৯১ সালের তিনি যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দিনাজপুরে এলেন, এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কিরে পটল কেমন আছিস? তিনি আদর করে আমাকে পটল বলে ডাকতেন। তিনি বাসায় এলে সবার কথা শুনতেন। সবশেষ ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে একবার দিনাজপুর গোরে শহীদ ময়দানে এক জনসভায় এসেছিলেন তিনি। তারও আগে ২০০৮ সালে মায়ের মৃত্যুর সময় একবার দিনাজপুরে এসেছিলেন।’
পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুর মিশন স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। এরপর ১৯৬০ সালে ভর্তি হন দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে।
সেখান থেকেই ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। পরবর্তীকালে ভর্তি হন দিনাজপুর সরকারি কলেজে (পূর্বের নাম সুরেন্দ্রনাথ কলেজ)।

তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা ইয়াসমিনবলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া দিনাজপুরের গর্ব, দেশের গর্ব। আমরা গর্ব করে বলি, তিনি এই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। প্রথম নারী হিসেবে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ আজকে একজন অভিভাবক হারাল।’
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নিজের জন্মস্থানে প্রার্থী হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ২৮ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছিলেন। দিনাজপুর-৩ আসনে দলের
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের কথা শুনে সব বিভেদ ভুলে একাট্টা হয়েছিলেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রিয় নেত্রীর পক্ষে প্রচারণাও চালিয়েছেন।
তাঁর মৃত্যুতে জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল বলেন, ‘বাংলাদেশের অবিসংবাদিত আপসহীন নেত্রীকে হারিয়ে দেশ আজ একজন
অভিভাবককে হারাল। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। সবশেষ তিনি অসুস্থ হওয়ার কয়েক দিন আগে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রিয় নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। দিনাজপুরের মানুষ তাঁকে প্রার্থী হিসেবে পেয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। দিনাজপুরের উন্নয়নে
স্বাক্ষর রেখে গেলেন। জাতির বড় প্রয়োজনের সময় আমরা তাঁকে হারালাম। এই দেশ জাতির ইতিহাসে তিনি কিংবদন্তী।’
জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মো. মোকাররম হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের অভিভাবককে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী সবাই শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছে। জেলার সকল এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা তাঁর জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য রাজধানীর পথে রওনা দিতে শুরু করেছে। তাঁর মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দিনাজপুরে। খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকায়। এই বালুবাড়ি এলাকায় তৈয়বা ভিলা বাড়িতেই কেটেছে খালেদা জিয়ার শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলো। আজ সকাল থেকে তৈয়বা ভিলার সামনে জড়ো হয়েছেন শোকার্ত স্থানীয় মানুষ, দলীয় নেতা-কর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
খালেদা জিয়ার পারিবারিক নাম খালেদা খানম পুতুল। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ইস্কান্দার মজুমদার ও মা তৈয়বা মজুমদার। বর্তমানে খালেদা জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত তৈয়বা ভিলায় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার করা হয়েছে।
আজ সকালে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে শহরের জেলমোড় এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছুটে যান ।
দলীয় কার্যালয় ও বালুবাড়ির পৈতৃক নিবাসে কোরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করা হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়ার আপন খালাতো ভাই আবু তাহের আবু বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) ছিলেন আমাদের অভিভাবক। নিজের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে তিনি ছিলেন খুবই আন্তরিক। ১৯৯১ সালের তিনি যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দিনাজপুরে এলেন, এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কিরে পটল কেমন আছিস? তিনি আদর করে আমাকে পটল বলে ডাকতেন। তিনি বাসায় এলে সবার কথা শুনতেন। সবশেষ ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে একবার দিনাজপুর গোরে শহীদ ময়দানে এক জনসভায় এসেছিলেন তিনি। তারও আগে ২০০৮ সালে মায়ের মৃত্যুর সময় একবার দিনাজপুরে এসেছিলেন।’
পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুর মিশন স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। এরপর ১৯৬০ সালে ভর্তি হন দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে।
সেখান থেকেই ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। পরবর্তীকালে ভর্তি হন দিনাজপুর সরকারি কলেজে (পূর্বের নাম সুরেন্দ্রনাথ কলেজ)।

তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা ইয়াসমিনবলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া দিনাজপুরের গর্ব, দেশের গর্ব। আমরা গর্ব করে বলি, তিনি এই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। প্রথম নারী হিসেবে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ আজকে একজন অভিভাবক হারাল।’
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নিজের জন্মস্থানে প্রার্থী হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ২৮ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছিলেন। দিনাজপুর-৩ আসনে দলের
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের কথা শুনে সব বিভেদ ভুলে একাট্টা হয়েছিলেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রিয় নেত্রীর পক্ষে প্রচারণাও চালিয়েছেন।
তাঁর মৃত্যুতে জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল বলেন, ‘বাংলাদেশের অবিসংবাদিত আপসহীন নেত্রীকে হারিয়ে দেশ আজ একজন
অভিভাবককে হারাল। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। সবশেষ তিনি অসুস্থ হওয়ার কয়েক দিন আগে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রিয় নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। দিনাজপুরের মানুষ তাঁকে প্রার্থী হিসেবে পেয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। দিনাজপুরের উন্নয়নে
স্বাক্ষর রেখে গেলেন। জাতির বড় প্রয়োজনের সময় আমরা তাঁকে হারালাম। এই দেশ জাতির ইতিহাসে তিনি কিংবদন্তী।’
জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মো. মোকাররম হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের অভিভাবককে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী সবাই শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছে। জেলার সকল এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা তাঁর জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য রাজধানীর পথে রওনা দিতে শুরু করেছে। তাঁর মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

রেলের পরিবহন ও বাণিজ্যিক দপ্তর জানায়, বর্তমানে কক্সবাজার রুটের যাত্রী বেশি। চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী আরও বেশি। চট্টগ্রাম থেকে তিনটি ট্রেনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। টাইম-টেবিল সুন্দর করে ম্যানেজ করে তিনটি ট্রেন অনায়াসে চালানো যাবে এই রুটে। এখন যেহেতু একটিও নেই, সে জন্য অন্তত একটি ট্রেন স্থায়ীভাবে এই রুটে চ
২৮ এপ্রিল ২০২৪
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন।
২ মিনিট আগে
পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
৯ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন, ২৪টি গুলিসহ মোসলেম উদ্দিন মিয়া ওরফে মিয়া কসাই (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩৭ মিনিট আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন, ২৪টি গুলিসহ মোসলেম উদ্দিন মিয়া ওরফে মিয়া কসাই (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে মহানগরীর গাছা থানাধীন দক্ষিণ খাইলকুর পূর্বপাড়া এলাকার বগারটেক চায়না ফ্যাক্টরি গলির একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিএমপি গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ খাইলকুর এলাকার তাহেরের বাড়িতে অভিযান চালায়। ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া মোসলেম উদ্দিনের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি ৭.৬৫ এমএম ও একটি ৯ এমএম বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন ও ২৪টি তাজা গুলি।
গ্রেপ্তার মোসলেম উদ্দিন মিয়া ঢাকা মহানগরের হাতিরঝিল থানার মগবাজার নয়াটোলা এলাকার মৃত জালাল মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায়, তিনি এলাকায় ‘মিয়া কসাই’ নামে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। নতুন করে গাছা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন, ২৪টি গুলিসহ মোসলেম উদ্দিন মিয়া ওরফে মিয়া কসাই (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে মহানগরীর গাছা থানাধীন দক্ষিণ খাইলকুর পূর্বপাড়া এলাকার বগারটেক চায়না ফ্যাক্টরি গলির একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিএমপি গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ খাইলকুর এলাকার তাহেরের বাড়িতে অভিযান চালায়। ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া মোসলেম উদ্দিনের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি ৭.৬৫ এমএম ও একটি ৯ এমএম বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন ও ২৪টি তাজা গুলি।
গ্রেপ্তার মোসলেম উদ্দিন মিয়া ঢাকা মহানগরের হাতিরঝিল থানার মগবাজার নয়াটোলা এলাকার মৃত জালাল মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায়, তিনি এলাকায় ‘মিয়া কসাই’ নামে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। নতুন করে গাছা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

রেলের পরিবহন ও বাণিজ্যিক দপ্তর জানায়, বর্তমানে কক্সবাজার রুটের যাত্রী বেশি। চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী আরও বেশি। চট্টগ্রাম থেকে তিনটি ট্রেনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। টাইম-টেবিল সুন্দর করে ম্যানেজ করে তিনটি ট্রেন অনায়াসে চালানো যাবে এই রুটে। এখন যেহেতু একটিও নেই, সে জন্য অন্তত একটি ট্রেন স্থায়ীভাবে এই রুটে চ
২৮ এপ্রিল ২০২৪
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন।
২ মিনিট আগে
পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
৯ মিনিট আগে
দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে তাঁর জন্মস্থান দিনাজপুরে। খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকায়।
১৪ মিনিট আগে