মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল থাকছে বঙ্গোপসাগর। এ সময় সাগরে জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়ে ১ থেকে ৩ ফুট। এর মধ্যে অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় জোয়ারের উচ্চতা আর গতিবেগ আরও বাড়ে। প্রতিকূল এই আবহাওয়ায় কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের কুতুবদিয়া থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সৈকতে ভাঙন দেখা দিয়েছে, বিগত বছরগুলোর তুলনায় যা তীব্র।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতিবছর বাড়ছে। ফলে উপকূলীয় এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। অনেক এলাকায় জরাজীর্ণ ও ভাঙা বেড়িবাঁধ উপচে সাগরের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে এবং ভাঙনের সৃষ্টি করছে।
এ বছর বর্ষা ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ কয়েকবার প্লাবিত হয়েছে। গত ২৭ জুলাই সমুদ্রের ঢেউয়ের আঘাতে দ্বীপের সৈকতসংলগ্ন ১১টি হোটেল-রিসোর্ট ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সময়ে মেরিন ড্রাইভ সড়কের অন্তত ১০টি স্থানে ভাঙন ধরেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেকের বিমানবাহিনীর ঘাঁটি, মোটেল শৈবালের স্থাপনা, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা।
শৈবাল পয়েন্টে ২৫ বছর ধরে কিটকটের (চেয়ার-ছাতা) ব্যবসা করা আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘এক যুগ ধরে সৈকতে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। এর মধ্যে প্রায় আধা কিলোমিটার সৈকতের তীর বিলীন হয়েছে। এ বছর শৈবালের পুরো ঝাউবন উজাড় হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কক্সবাজার কার্যালয়ের তথ্যমতে, কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল, কৈয়ারবিল ও উত্তর ধরং ইউনিয়নের ২২টি স্থানে ৪ হাজার ৫১৯ মিটার, মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী এবং ধলঘাটা ইউনিয়নের সাইট পাড়া ও সরইতলী এলাকায় ২ হাজার ৮৮ মিটির, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও দক্ষিণ পাড়ায় ১ হাজার ৪২৫ মিটার, কক্সবাজার সদর উপজেলার সমুদ্রসৈকত, পশ্চিম পাড়া, চৌধুরী পাড়াসহ পাঁচটি স্থানে ২ হাজার ৬৫০ মিটার বেড়িবাঁধ ভাঙনে বিলীন হয়েছে।
পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জামাল মুর্শিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভাঙন ঠেকাতে কুতুবদিয়ায় ১২টি জায়গায় ৮১০ মিটার এবং মহেশখালীর মাতারবাড়ী ও ধলঘাটায় ১ হাজার ১২৫ মিটার বেড়িবাঁধ জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি ভাঙা অংশগুলো মেরামত করতে ২৫ কোটি টাকার চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, জোয়ারের তোড়ে সেন্ট মার্টিনের সৈকতের বালিয়াড়ি বিলীন হয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ছে। একইভাবে শাহপরীর দ্বীপেও বেড়িবাঁধ ভেঙে ও উপচে লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে।
মে থেকে আগস্ট মাসে কক্সবাজার উপকূলে জোয়ারের উচ্চতা ৩ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত বাড়ে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামুদ্রিক পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবু শরীফ মো. মাহবুব-ই-কিবরিয়া। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আগামী ২০-৩০ বছরের মধ্যে কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সেন্ট মার্টিনের মতো দ্বীপগুলো স্থায়ীভাবে প্লাবিত হবে।
৩৪ বছরেও কুতুবদিয়ায় টেকসই বেড়িবাঁধ হয়নি
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছিল কুতুবদিয়া উপজেলা। ৩৪ বছর আগে বয়ে যাওয়া এই ঝড়ে দ্বীপের অন্তত ৪৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। কোনো কোনো পরিবারে কেউ বেঁচে ছিল না। ঝড়-পরবর্তী উত্তাল সাগরে বিলীন হয়ে যায় উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের দুটি মৌজা খুদিয়ারটেক ও রাজাখালী। উদ্বাস্তু হন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ।
এই এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা হাজি আবুল কালাম (৮০)। স্বচক্ষে ১৯৬০ ও ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় দেখেছেন। তিনি জানান, ১৯৬০ সালের পর কুতুবদিয়া দ্বীপের চারপাশে উঁচু করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ধীরে ধীরে তা ক্ষয়ে যায়। ১৯৯১ সালের পর থেকে সরকার টেকসই বেড়িবাঁধের আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ হয়নি।
উত্তর ধূরং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম বলেন, ‘বর্ষা এলেই ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ওঠানামা করে। এভাবেই চার-পাঁচ মাস তাঁর ইউনিয়নের চার গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে বসবাস করতে হয়।
কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ
এক দশক ধরে জিও ব্যাগ ফেলে কক্সবাজার উপকূলে ভাঙন ঠেকানোর কাজ করছে পাউবো। ভাঙন রোধে এই উদ্যোগ সাময়িক সমাধান হলেও স্থায়ী নয় বলে জানান কক্সবাজার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, কক্সবাজার শহর রক্ষায় ৬৪২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। একইভাবে কুতুবদিয়া দ্বীপ রক্ষায় প্রায় ৮০০ কোটি টাকার ৮ কিলোমিটার এবং মাতারবাড়ী ও ধলঘাট রক্ষায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ১৭ কিলোমিটার সুপার ডাইক (উঁচু ও টেকসই বেড়িবাঁধ) নির্মাণে আলাদা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো অনুমোদন পেলেই দরপত্র আহ্বান করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে।

ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল থাকছে বঙ্গোপসাগর। এ সময় সাগরে জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়ে ১ থেকে ৩ ফুট। এর মধ্যে অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় জোয়ারের উচ্চতা আর গতিবেগ আরও বাড়ে। প্রতিকূল এই আবহাওয়ায় কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের কুতুবদিয়া থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সৈকতে ভাঙন দেখা দিয়েছে, বিগত বছরগুলোর তুলনায় যা তীব্র।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতিবছর বাড়ছে। ফলে উপকূলীয় এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। অনেক এলাকায় জরাজীর্ণ ও ভাঙা বেড়িবাঁধ উপচে সাগরের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে এবং ভাঙনের সৃষ্টি করছে।
এ বছর বর্ষা ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ কয়েকবার প্লাবিত হয়েছে। গত ২৭ জুলাই সমুদ্রের ঢেউয়ের আঘাতে দ্বীপের সৈকতসংলগ্ন ১১টি হোটেল-রিসোর্ট ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সময়ে মেরিন ড্রাইভ সড়কের অন্তত ১০টি স্থানে ভাঙন ধরেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেকের বিমানবাহিনীর ঘাঁটি, মোটেল শৈবালের স্থাপনা, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা।
শৈবাল পয়েন্টে ২৫ বছর ধরে কিটকটের (চেয়ার-ছাতা) ব্যবসা করা আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘এক যুগ ধরে সৈকতে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। এর মধ্যে প্রায় আধা কিলোমিটার সৈকতের তীর বিলীন হয়েছে। এ বছর শৈবালের পুরো ঝাউবন উজাড় হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কক্সবাজার কার্যালয়ের তথ্যমতে, কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল, কৈয়ারবিল ও উত্তর ধরং ইউনিয়নের ২২টি স্থানে ৪ হাজার ৫১৯ মিটার, মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী এবং ধলঘাটা ইউনিয়নের সাইট পাড়া ও সরইতলী এলাকায় ২ হাজার ৮৮ মিটির, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও দক্ষিণ পাড়ায় ১ হাজার ৪২৫ মিটার, কক্সবাজার সদর উপজেলার সমুদ্রসৈকত, পশ্চিম পাড়া, চৌধুরী পাড়াসহ পাঁচটি স্থানে ২ হাজার ৬৫০ মিটার বেড়িবাঁধ ভাঙনে বিলীন হয়েছে।
পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জামাল মুর্শিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভাঙন ঠেকাতে কুতুবদিয়ায় ১২টি জায়গায় ৮১০ মিটার এবং মহেশখালীর মাতারবাড়ী ও ধলঘাটায় ১ হাজার ১২৫ মিটার বেড়িবাঁধ জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি ভাঙা অংশগুলো মেরামত করতে ২৫ কোটি টাকার চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, জোয়ারের তোড়ে সেন্ট মার্টিনের সৈকতের বালিয়াড়ি বিলীন হয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ছে। একইভাবে শাহপরীর দ্বীপেও বেড়িবাঁধ ভেঙে ও উপচে লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে।
মে থেকে আগস্ট মাসে কক্সবাজার উপকূলে জোয়ারের উচ্চতা ৩ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত বাড়ে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামুদ্রিক পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবু শরীফ মো. মাহবুব-ই-কিবরিয়া। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আগামী ২০-৩০ বছরের মধ্যে কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সেন্ট মার্টিনের মতো দ্বীপগুলো স্থায়ীভাবে প্লাবিত হবে।
৩৪ বছরেও কুতুবদিয়ায় টেকসই বেড়িবাঁধ হয়নি
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছিল কুতুবদিয়া উপজেলা। ৩৪ বছর আগে বয়ে যাওয়া এই ঝড়ে দ্বীপের অন্তত ৪৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। কোনো কোনো পরিবারে কেউ বেঁচে ছিল না। ঝড়-পরবর্তী উত্তাল সাগরে বিলীন হয়ে যায় উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের দুটি মৌজা খুদিয়ারটেক ও রাজাখালী। উদ্বাস্তু হন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ।
এই এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা হাজি আবুল কালাম (৮০)। স্বচক্ষে ১৯৬০ ও ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় দেখেছেন। তিনি জানান, ১৯৬০ সালের পর কুতুবদিয়া দ্বীপের চারপাশে উঁচু করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ধীরে ধীরে তা ক্ষয়ে যায়। ১৯৯১ সালের পর থেকে সরকার টেকসই বেড়িবাঁধের আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ হয়নি।
উত্তর ধূরং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম বলেন, ‘বর্ষা এলেই ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ওঠানামা করে। এভাবেই চার-পাঁচ মাস তাঁর ইউনিয়নের চার গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে বসবাস করতে হয়।
কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ
এক দশক ধরে জিও ব্যাগ ফেলে কক্সবাজার উপকূলে ভাঙন ঠেকানোর কাজ করছে পাউবো। ভাঙন রোধে এই উদ্যোগ সাময়িক সমাধান হলেও স্থায়ী নয় বলে জানান কক্সবাজার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, কক্সবাজার শহর রক্ষায় ৬৪২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। একইভাবে কুতুবদিয়া দ্বীপ রক্ষায় প্রায় ৮০০ কোটি টাকার ৮ কিলোমিটার এবং মাতারবাড়ী ও ধলঘাট রক্ষায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ১৭ কিলোমিটার সুপার ডাইক (উঁচু ও টেকসই বেড়িবাঁধ) নির্মাণে আলাদা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো অনুমোদন পেলেই দরপত্র আহ্বান করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কৃষক মুরাদ হালদার। এই বছর অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে অরগানিক বেগুন চাষ করেছেন তিনি। আর প্রথমবার বেগুন চাষ করেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।
৩৭ মিনিট আগে
চোর চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কৃষকের জমিতে সেচ দেওয়ার সাবমারসিবল মেশিন, মসজিদের মাইকের অ্যামপ্লিফায়ার, বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের তার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, এমনকি গৃহস্থালির হাঁস-মুরগি, গরু ও ছাগলও।
১ ঘণ্টা আগে
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় নিয়মবহির্ভূতভাবে সার মজুত করার দায়ে মো. আশরাফুজ্জামান নামে এক ডিলারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে ডিলারের গুদাম থেকে ১০৭ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াপাড়া গ্রামের ১১ বছরের শিশু আরশাদুল ইসলাম। জন্ম থেকেই তার দুই হাত নেই। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনোই তাকে স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।
১ ঘণ্টা আগেফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কৃষক মুরাদ হালদার। এই বছর অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে অরগানিক বেগুন চাষ করেছেন তিনি। আর প্রথমবার বেগুন চাষ করেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।
মুরাদ উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের মৌভোগ গ্রামের একজন যুবক। কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিনটি প্লটের ৫৫ কাঠা জমিতে চার জাতের বেগুন চাষ করেছেন তিনি। এতে মোট উৎপাদন খরচ পড়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ১৮ কাঠার খেত থেকে তিনি ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন। পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে গেলে তিনটি প্লট থেকে সাত-আট লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।
মুরাদ হালদার বলেন, ‘বেগুন চাষ করে এত লাভ হবে, কখনো ভাবিনি। আগামীতে দুই বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করব। সবচেয়ে বড় কথা, এই বেগুন অরগানিক ও বিষমুক্ত। কারণ, বেগুনের জমিতে কোনো কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়নি।’
গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মৌভোগ গ্রামে মুরাদের একটি ১৮ কাঠার বেগুন খেতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মণ বেগুন খেত থেকে তোলা হয়েছে। ৯ জন শ্রমিক বেগুনগুলো আকার অনুযায়ী গ্রেডিং করে বস্তায় ভরছেন। ঢাকা ও মাদারীপুর থেকে ট্রাকে পাইকারেরা এসেছেন বেগুন কিনতে। আশপাশের খেতে প্রতি কেজি বেগুনের পাইকারি দাম ৫০ টাকা হলেও মুরাদের খেতের বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। বিষমুক্ত অর্গানিক ফসল হওয়ায় এই বেগুন সুস্বাদু এবং এর চাহিদা ও দাম বেশি বলে জানান পাইকার ইব্রাহীম শেখ। প্রতি পাঁচ থেকে সাত দিন পর এই খেত থেকে ২৫ থেকে ৩০ মণ বেগুন তোলেন মুরাদ। বাকি দুটি খেতের উৎপাদন শুরু হলে সপ্তাহে ৭০ থেকে ৮০ মণ বেগুণ পাবেন বলে জানান তিনি।
মুরাদের চাষকৃত বেগুন খেতগুলো পাশে ও ওপর থেকে জাল দিয়ে ঘেরা রয়েছে, যাতে সহজে পোকামাকড় ঢুকতে না পারে। তা ছাড়া পোকামাকড়ের প্রাকৃতিক বালাইনাশক হিসেবে কিউট্রাক ফাঁদ, ট্রাইকোডার্মা, স্টিকি ইয়োলো কার্ড ইত্যাদি ব্যবহার করেছেন। রাসায়নিক সারের বদলে জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করেছেন। মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখতে ও আগাছার প্রকোপ কমাতে মাটিতে মালচিং পেপার ব্যবহার করেছেন। ফলে সেচ খরচ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানান মুরাদ।
মুরাদ তার তিনটি খেতে ভারতের উচ্চফলনশীল ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ‘চক্র বিএন ৪২২’ জাত, হায়দরাবাদের ‘নবকিরণ’ জাত, উচ্চ মূল্যের ‘ভিএনআর ২১২’ জাত এবং গ্রিনবল জাতের বেগুন চাষ করেছেন। অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে এই জাতের বেগুন চারা রোপণ করেছিলেন। এসব জাতের বেগুন আগাম ফসল ফলে এবং প্রতিটি গাছে দীর্ঘদিন বেগুন হয়। তিনি কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এসব জাত নির্বাচন করেছেন।
মুরাদের সাফল্য দেখে আশপাশের অনেক কৃষক তাঁর বেগুনখেত দেখতে আসছেন এবং তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন। আগামী মৌসুমে একই পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করবেন বলে জানান স্থানীয় চাষি রবিন হালদার, শাহজাহান শেখসহ অনেকে।
উপজেলার নলধা-মৌভোগ ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব দাস বলেন, ‘প্রথমবার মুরাদ হালদার বেগুন চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন। তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শে সনাতন পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আর্গানিক চাষ পদ্ধতি গ্রহণ করায় এ সাফল্য পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে কারিগরি সহযোগিতা ও নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বেগুনের সবচেয়ে ক্ষতিকর ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ ঠেকাতে চাষিরা সবচেয়ে বেশি বিষ প্রয়োগ করে, যা স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু মুরাদ রাসায়নিক বিষ ছাড়া বেগুন উৎপাদন করেছেন। চাষি মুরাদ হালদারের সাফল্য দেখে অনেকেই বেগুন চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষকদের উৎপাদিত বেগুন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।’

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কৃষক মুরাদ হালদার। এই বছর অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে অরগানিক বেগুন চাষ করেছেন তিনি। আর প্রথমবার বেগুন চাষ করেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।
মুরাদ উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের মৌভোগ গ্রামের একজন যুবক। কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিনটি প্লটের ৫৫ কাঠা জমিতে চার জাতের বেগুন চাষ করেছেন তিনি। এতে মোট উৎপাদন খরচ পড়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ১৮ কাঠার খেত থেকে তিনি ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন। পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে গেলে তিনটি প্লট থেকে সাত-আট লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।
মুরাদ হালদার বলেন, ‘বেগুন চাষ করে এত লাভ হবে, কখনো ভাবিনি। আগামীতে দুই বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করব। সবচেয়ে বড় কথা, এই বেগুন অরগানিক ও বিষমুক্ত। কারণ, বেগুনের জমিতে কোনো কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়নি।’
গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মৌভোগ গ্রামে মুরাদের একটি ১৮ কাঠার বেগুন খেতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মণ বেগুন খেত থেকে তোলা হয়েছে। ৯ জন শ্রমিক বেগুনগুলো আকার অনুযায়ী গ্রেডিং করে বস্তায় ভরছেন। ঢাকা ও মাদারীপুর থেকে ট্রাকে পাইকারেরা এসেছেন বেগুন কিনতে। আশপাশের খেতে প্রতি কেজি বেগুনের পাইকারি দাম ৫০ টাকা হলেও মুরাদের খেতের বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। বিষমুক্ত অর্গানিক ফসল হওয়ায় এই বেগুন সুস্বাদু এবং এর চাহিদা ও দাম বেশি বলে জানান পাইকার ইব্রাহীম শেখ। প্রতি পাঁচ থেকে সাত দিন পর এই খেত থেকে ২৫ থেকে ৩০ মণ বেগুন তোলেন মুরাদ। বাকি দুটি খেতের উৎপাদন শুরু হলে সপ্তাহে ৭০ থেকে ৮০ মণ বেগুণ পাবেন বলে জানান তিনি।
মুরাদের চাষকৃত বেগুন খেতগুলো পাশে ও ওপর থেকে জাল দিয়ে ঘেরা রয়েছে, যাতে সহজে পোকামাকড় ঢুকতে না পারে। তা ছাড়া পোকামাকড়ের প্রাকৃতিক বালাইনাশক হিসেবে কিউট্রাক ফাঁদ, ট্রাইকোডার্মা, স্টিকি ইয়োলো কার্ড ইত্যাদি ব্যবহার করেছেন। রাসায়নিক সারের বদলে জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করেছেন। মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখতে ও আগাছার প্রকোপ কমাতে মাটিতে মালচিং পেপার ব্যবহার করেছেন। ফলে সেচ খরচ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানান মুরাদ।
মুরাদ তার তিনটি খেতে ভারতের উচ্চফলনশীল ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ‘চক্র বিএন ৪২২’ জাত, হায়দরাবাদের ‘নবকিরণ’ জাত, উচ্চ মূল্যের ‘ভিএনআর ২১২’ জাত এবং গ্রিনবল জাতের বেগুন চাষ করেছেন। অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে এই জাতের বেগুন চারা রোপণ করেছিলেন। এসব জাতের বেগুন আগাম ফসল ফলে এবং প্রতিটি গাছে দীর্ঘদিন বেগুন হয়। তিনি কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এসব জাত নির্বাচন করেছেন।
মুরাদের সাফল্য দেখে আশপাশের অনেক কৃষক তাঁর বেগুনখেত দেখতে আসছেন এবং তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন। আগামী মৌসুমে একই পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করবেন বলে জানান স্থানীয় চাষি রবিন হালদার, শাহজাহান শেখসহ অনেকে।
উপজেলার নলধা-মৌভোগ ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব দাস বলেন, ‘প্রথমবার মুরাদ হালদার বেগুন চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন। তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শে সনাতন পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আর্গানিক চাষ পদ্ধতি গ্রহণ করায় এ সাফল্য পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে কারিগরি সহযোগিতা ও নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বেগুনের সবচেয়ে ক্ষতিকর ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ ঠেকাতে চাষিরা সবচেয়ে বেশি বিষ প্রয়োগ করে, যা স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু মুরাদ রাসায়নিক বিষ ছাড়া বেগুন উৎপাদন করেছেন। চাষি মুরাদ হালদারের সাফল্য দেখে অনেকেই বেগুন চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষকদের উৎপাদিত বেগুন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।’

ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল থাকছে বঙ্গোপসাগর। এ সময় সাগরে জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়ে ১ থেকে ৩ ফুট। এর মধ্যে অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় জোয়ারের উচ্চতা আর গতিবেগ আরও বাড়ে। প্রতিকূল এই আবহাওয়ায় কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের কুতুবদিয়া থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সৈকতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় যা তীব্র।
২৪ আগস্ট ২০২৫
চোর চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কৃষকের জমিতে সেচ দেওয়ার সাবমারসিবল মেশিন, মসজিদের মাইকের অ্যামপ্লিফায়ার, বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের তার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, এমনকি গৃহস্থালির হাঁস-মুরগি, গরু ও ছাগলও।
১ ঘণ্টা আগে
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় নিয়মবহির্ভূতভাবে সার মজুত করার দায়ে মো. আশরাফুজ্জামান নামে এক ডিলারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে ডিলারের গুদাম থেকে ১০৭ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াপাড়া গ্রামের ১১ বছরের শিশু আরশাদুল ইসলাম। জন্ম থেকেই তার দুই হাত নেই। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনোই তাকে স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।
১ ঘণ্টা আগেকালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় সাম্প্রতিক সময়ে চুরির ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। উপজেলার প্রায় প্রতিটি এলাকায় প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো চুরির ঘটনা ঘটছে। চোর চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কৃষকের জমিতে সেচ দেওয়ার সাবমারসিবল মেশিন, মসজিদের মাইকের অ্যামপ্লিফায়ার, বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের তার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, এমনকি গৃহস্থালির হাঁস-মুরগি, গরু ও ছাগলও। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান অবনতি এবং এলাকায় মাদকের ভয়াবহ বিস্তারের কারণেই চুরির ঘটনা এমন মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে কৃষকেরা পড়েছেন সবচেয়ে বড় বিপাকে। বোরো মৌসুমসহ বিভিন্ন সময়ে জমিতে পানি দেওয়ার পাম্প চুরি হয়ে যাওয়ায় কৃষি উৎপাদন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
ভুক্তভোগী স্থানীয় কৃষক মেজবাহ উদ্দীন আকন্দ বলেন, ‘আমি সরকারি স্কিমের আওতায় আর্থিক সহযোগিতায় জমিতে সেচ দিয়ে থাকি। কিন্তু কয়েক দিন আগে আমার সেচ পাম্পটি চুরি হয়ে যায়। নতুন করে পাম্প বসানো অনেক ব্যয়সাপেক্ষ, যা আমার পক্ষে বহন করা কঠিন। বাধ্য হয়ে এ বছর সেচ দেওয়া বন্ধ রাখার চিন্তা করছি।’
আরও অনেক কৃষক জানান, সেচ যন্ত্র চুরির কারণে যদি পানি দেওয়া বন্ধ থাকে, তবে ধান উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং কৃষকেরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। এই আর্থিক সংকট কাটিয়ে ওঠা এই অঞ্চলের কৃষকদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশি টহল ও নজরদারির অভাবে চোর চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা দাবি করছেন, প্রশাসন যদি কঠোর হাতে অপরাধীদের দমন না করে, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। স্থানীয়রা উপজেলায় অবিলম্বে রাত্রিকালীন পুলিশি টহল জোরদার এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ সাধারণত প্রধান সড়কগুলোতে নিয়মিত টহল দেয়। কিন্তু উপজেলার এমন অনেক বাড়ি বা এলাকা রয়েছে, যেখানে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। সেসব স্থানে চুরির ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক প্রতিহত করা পুলিশের জন্য দুরূহ হয়ে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চুরি ঠেকাতে পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও আরও বেশি সচেতন হতে হবে। এলাকাভিত্তিক পাহারার ব্যবস্থা করলে এবং সবাই সতর্ক থাকলে এই চুরি রোধ করা সম্ভব।’

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় সাম্প্রতিক সময়ে চুরির ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। উপজেলার প্রায় প্রতিটি এলাকায় প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো চুরির ঘটনা ঘটছে। চোর চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কৃষকের জমিতে সেচ দেওয়ার সাবমারসিবল মেশিন, মসজিদের মাইকের অ্যামপ্লিফায়ার, বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের তার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, এমনকি গৃহস্থালির হাঁস-মুরগি, গরু ও ছাগলও। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান অবনতি এবং এলাকায় মাদকের ভয়াবহ বিস্তারের কারণেই চুরির ঘটনা এমন মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে কৃষকেরা পড়েছেন সবচেয়ে বড় বিপাকে। বোরো মৌসুমসহ বিভিন্ন সময়ে জমিতে পানি দেওয়ার পাম্প চুরি হয়ে যাওয়ায় কৃষি উৎপাদন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
ভুক্তভোগী স্থানীয় কৃষক মেজবাহ উদ্দীন আকন্দ বলেন, ‘আমি সরকারি স্কিমের আওতায় আর্থিক সহযোগিতায় জমিতে সেচ দিয়ে থাকি। কিন্তু কয়েক দিন আগে আমার সেচ পাম্পটি চুরি হয়ে যায়। নতুন করে পাম্প বসানো অনেক ব্যয়সাপেক্ষ, যা আমার পক্ষে বহন করা কঠিন। বাধ্য হয়ে এ বছর সেচ দেওয়া বন্ধ রাখার চিন্তা করছি।’
আরও অনেক কৃষক জানান, সেচ যন্ত্র চুরির কারণে যদি পানি দেওয়া বন্ধ থাকে, তবে ধান উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং কৃষকেরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। এই আর্থিক সংকট কাটিয়ে ওঠা এই অঞ্চলের কৃষকদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশি টহল ও নজরদারির অভাবে চোর চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা দাবি করছেন, প্রশাসন যদি কঠোর হাতে অপরাধীদের দমন না করে, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। স্থানীয়রা উপজেলায় অবিলম্বে রাত্রিকালীন পুলিশি টহল জোরদার এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ সাধারণত প্রধান সড়কগুলোতে নিয়মিত টহল দেয়। কিন্তু উপজেলার এমন অনেক বাড়ি বা এলাকা রয়েছে, যেখানে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। সেসব স্থানে চুরির ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক প্রতিহত করা পুলিশের জন্য দুরূহ হয়ে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চুরি ঠেকাতে পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও আরও বেশি সচেতন হতে হবে। এলাকাভিত্তিক পাহারার ব্যবস্থা করলে এবং সবাই সতর্ক থাকলে এই চুরি রোধ করা সম্ভব।’

ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল থাকছে বঙ্গোপসাগর। এ সময় সাগরে জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়ে ১ থেকে ৩ ফুট। এর মধ্যে অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় জোয়ারের উচ্চতা আর গতিবেগ আরও বাড়ে। প্রতিকূল এই আবহাওয়ায় কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের কুতুবদিয়া থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সৈকতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় যা তীব্র।
২৪ আগস্ট ২০২৫
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কৃষক মুরাদ হালদার। এই বছর অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে অরগানিক বেগুন চাষ করেছেন তিনি। আর প্রথমবার বেগুন চাষ করেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।
৩৭ মিনিট আগে
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় নিয়মবহির্ভূতভাবে সার মজুত করার দায়ে মো. আশরাফুজ্জামান নামে এক ডিলারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে ডিলারের গুদাম থেকে ১০৭ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াপাড়া গ্রামের ১১ বছরের শিশু আরশাদুল ইসলাম। জন্ম থেকেই তার দুই হাত নেই। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনোই তাকে স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।
১ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় নিয়মবহির্ভূতভাবে সার মজুত করার দায়ে মো. আশরাফুজ্জামান নামে এক ডিলারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে ডিলারের গুদাম থেকে ১০৭ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের ডাংগীরহাট বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোনাব্বর হোসেন। প্রসিকিউটর হিসেবে উপজেলা কৃষি অফিসার ধীবা রানী রায় উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিএডিসি ডিলার আশরাফুজ্জামান তাঁর গোডাউনে টিএসপি সার থাকার পরও কৃষকদের দিচ্ছিলেন না। সার মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন তিনি। ইউএনও মোনাব্বর হোসেন কৃষি কর্মকর্তা ধীবা রানী রায়কে সঙ্গে নিয়ে গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ১০৭ বস্তা টিএসপি সার মজুত পাওয়া যায়। সার ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৬-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আশরাফুজ্জামানের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পরে জব্দ করা সার উপস্থিত কৃষকদের মধ্যে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হয়। এসব সার বিক্রি থেকে প্রাপ্ত মোট ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৫০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া একই দিন কৃত্রিমভাবে সারের সংকট সৃষ্টি করায় একই ইউনিয়নের বিসিআইসির সার ডিলার মো. শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ইউএনও মোনাব্বর হোসেন বলেন, ‘কৃষকের হয়রানি ও বিপাকে ফেলার মতো কোনো অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছি। সার বাণিজ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চলমান অভিযান আরও জোরদার করা হবে।’

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় নিয়মবহির্ভূতভাবে সার মজুত করার দায়ে মো. আশরাফুজ্জামান নামে এক ডিলারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে ডিলারের গুদাম থেকে ১০৭ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের ডাংগীরহাট বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোনাব্বর হোসেন। প্রসিকিউটর হিসেবে উপজেলা কৃষি অফিসার ধীবা রানী রায় উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিএডিসি ডিলার আশরাফুজ্জামান তাঁর গোডাউনে টিএসপি সার থাকার পরও কৃষকদের দিচ্ছিলেন না। সার মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন তিনি। ইউএনও মোনাব্বর হোসেন কৃষি কর্মকর্তা ধীবা রানী রায়কে সঙ্গে নিয়ে গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ১০৭ বস্তা টিএসপি সার মজুত পাওয়া যায়। সার ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৬-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আশরাফুজ্জামানের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পরে জব্দ করা সার উপস্থিত কৃষকদের মধ্যে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হয়। এসব সার বিক্রি থেকে প্রাপ্ত মোট ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৫০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া একই দিন কৃত্রিমভাবে সারের সংকট সৃষ্টি করায় একই ইউনিয়নের বিসিআইসির সার ডিলার মো. শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ইউএনও মোনাব্বর হোসেন বলেন, ‘কৃষকের হয়রানি ও বিপাকে ফেলার মতো কোনো অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছি। সার বাণিজ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চলমান অভিযান আরও জোরদার করা হবে।’

ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল থাকছে বঙ্গোপসাগর। এ সময় সাগরে জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়ে ১ থেকে ৩ ফুট। এর মধ্যে অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় জোয়ারের উচ্চতা আর গতিবেগ আরও বাড়ে। প্রতিকূল এই আবহাওয়ায় কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের কুতুবদিয়া থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সৈকতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় যা তীব্র।
২৪ আগস্ট ২০২৫
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কৃষক মুরাদ হালদার। এই বছর অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে অরগানিক বেগুন চাষ করেছেন তিনি। আর প্রথমবার বেগুন চাষ করেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।
৩৭ মিনিট আগে
চোর চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কৃষকের জমিতে সেচ দেওয়ার সাবমারসিবল মেশিন, মসজিদের মাইকের অ্যামপ্লিফায়ার, বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের তার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, এমনকি গৃহস্থালির হাঁস-মুরগি, গরু ও ছাগলও।
১ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াপাড়া গ্রামের ১১ বছরের শিশু আরশাদুল ইসলাম। জন্ম থেকেই তার দুই হাত নেই। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনোই তাকে স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।
১ ঘণ্টা আগেমো. আনোয়ারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা)

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াপাড়া গ্রামের ১১ বছরের শিশু আরশাদুল ইসলাম। জন্ম থেকেই তার দুই হাত নেই। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনোই তাকে স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। শিক্ষার আলোয় নিজের জীবনকে আলোকিত করতে পা দিয়ে লিখেই নিজের পড়ালেখা শুরু করে আরশাদুল। অসাধারণ অধ্যবসায় ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে পথ চলতে শুরু করে সে। তবে তার স্বপ্নের সেই পথ আজ থমকে যাওয়ার শঙ্কায়। তিন বছর আগে রাজমিস্ত্রি বাবা সুমন মিয়ার মৃত্যুর পর থেকে আর্থিক বিপর্যয় নেমে এসেছে পরিবারে। মা মিনুয়ারা বেগম ব্রাহ্মণপাড়া সদরের একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে কোনো রকমে সংসার চালান। আরশাদুল বর্তমানে নানির কাছেই থাকেন, কিন্তু সে সংসারেরও আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
জন্মগত শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আরশাদুলের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ অনেক। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার কথা থাকলেও আর্থিক সংকটে এখন সে স্কুলে যাচ্ছে না। পড়াশোনা, শিক্ষা উপকরণ, স্কুলে যাতায়াত—সবকিছুই হয়ে কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, আরশাদুলের মেধা, সাহস এবং দৃঢ় মনোবল সত্যিই অনুকরণীয়। সুযোগ পেলে সে অনেক দূর যেতে পারে। একদিন সে নিজেকে প্রস্তুত করে স্বপ্নের চূড়ায় পৌঁছে সবার জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে।
স্থানীয় বাসিন্দা ওমর ফারুক সরকার বলেন, ছেলেটা জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। কিন্তু পড়াশোনার প্রতি তার আগ্রহ অসাধারণ। যদি সহযোগিতা পায়, সে অনেক দূর যাবে।
নিজেই ভবিষ্যতের স্বপ্নে চোখ ভাসিয়ে আরশাদুল বলেন, ‘আমি পড়াশোনা করতে চাই। পড়াশোনা করে আমি আমার প্রতিবন্ধকতাকে জয় করতে চাই। কিন্তু মা আর নানি আমাকে আর পড়াতে পারছেন না।’
আরশাদুলের নানি কোহিনূর বেগম বলেন, ‘অর্থের অভাবে এখন আর আরশাদুলকে স্কুলে পাঠাতে পারছি না। ছোট থেকে পালছি ওকে, ব্র্যাক স্কুলে পড়িয়েছি। কিন্তু আর এগিয়ে নিতে পারছি না। একটু সহযোগিতা পেলে তাকে পড়াশোনা করানো সম্ভব।’
শিদলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম আলাউল আকবর বলেন, ‘সে প্রতিবন্ধী ভাতা পায়। সরকার বিনা মূল্যে বই দেয়। পড়াশোনায় যদি আর্থিক সমস্যা হয়, আমি ব্যক্তিগতভাবে সহায়তা করব। ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও সুযোগ থাকলে সাহায্য দেওয়া হবে।’
সহযোগিতার হাত কেউ বাড়িয়ে দিলে আবারও স্কুলে ফিরতে পারে আরশাদুল। তার স্বপ্নের পথ থেমে যাওয়ার আগেই যদি পাশে দাঁড়ায় সমাজের বিবেকবান মানুষেরা, তাহলে একদিন সে নিজ শক্তিতে উদ্ভাসিত হয়ে প্রেরণা হয়ে উঠবে হাজারো প্রতিবন্ধী শিশুর জন্য। হতাশা নয় বরং আশা আর সম্ভাবনার আলোয় মুখ তুলে তাকাতে চায় আরশাদুল। তার একমাত্র অপেক্ষা, কেউ সামনে এগিয়ে এসে তাকে চলার নতুন পথ দেখাবে।

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াপাড়া গ্রামের ১১ বছরের শিশু আরশাদুল ইসলাম। জন্ম থেকেই তার দুই হাত নেই। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনোই তাকে স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। শিক্ষার আলোয় নিজের জীবনকে আলোকিত করতে পা দিয়ে লিখেই নিজের পড়ালেখা শুরু করে আরশাদুল। অসাধারণ অধ্যবসায় ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে পথ চলতে শুরু করে সে। তবে তার স্বপ্নের সেই পথ আজ থমকে যাওয়ার শঙ্কায়। তিন বছর আগে রাজমিস্ত্রি বাবা সুমন মিয়ার মৃত্যুর পর থেকে আর্থিক বিপর্যয় নেমে এসেছে পরিবারে। মা মিনুয়ারা বেগম ব্রাহ্মণপাড়া সদরের একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে কোনো রকমে সংসার চালান। আরশাদুল বর্তমানে নানির কাছেই থাকেন, কিন্তু সে সংসারেরও আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
জন্মগত শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আরশাদুলের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ অনেক। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার কথা থাকলেও আর্থিক সংকটে এখন সে স্কুলে যাচ্ছে না। পড়াশোনা, শিক্ষা উপকরণ, স্কুলে যাতায়াত—সবকিছুই হয়ে কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, আরশাদুলের মেধা, সাহস এবং দৃঢ় মনোবল সত্যিই অনুকরণীয়। সুযোগ পেলে সে অনেক দূর যেতে পারে। একদিন সে নিজেকে প্রস্তুত করে স্বপ্নের চূড়ায় পৌঁছে সবার জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে।
স্থানীয় বাসিন্দা ওমর ফারুক সরকার বলেন, ছেলেটা জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। কিন্তু পড়াশোনার প্রতি তার আগ্রহ অসাধারণ। যদি সহযোগিতা পায়, সে অনেক দূর যাবে।
নিজেই ভবিষ্যতের স্বপ্নে চোখ ভাসিয়ে আরশাদুল বলেন, ‘আমি পড়াশোনা করতে চাই। পড়াশোনা করে আমি আমার প্রতিবন্ধকতাকে জয় করতে চাই। কিন্তু মা আর নানি আমাকে আর পড়াতে পারছেন না।’
আরশাদুলের নানি কোহিনূর বেগম বলেন, ‘অর্থের অভাবে এখন আর আরশাদুলকে স্কুলে পাঠাতে পারছি না। ছোট থেকে পালছি ওকে, ব্র্যাক স্কুলে পড়িয়েছি। কিন্তু আর এগিয়ে নিতে পারছি না। একটু সহযোগিতা পেলে তাকে পড়াশোনা করানো সম্ভব।’
শিদলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম আলাউল আকবর বলেন, ‘সে প্রতিবন্ধী ভাতা পায়। সরকার বিনা মূল্যে বই দেয়। পড়াশোনায় যদি আর্থিক সমস্যা হয়, আমি ব্যক্তিগতভাবে সহায়তা করব। ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও সুযোগ থাকলে সাহায্য দেওয়া হবে।’
সহযোগিতার হাত কেউ বাড়িয়ে দিলে আবারও স্কুলে ফিরতে পারে আরশাদুল। তার স্বপ্নের পথ থেমে যাওয়ার আগেই যদি পাশে দাঁড়ায় সমাজের বিবেকবান মানুষেরা, তাহলে একদিন সে নিজ শক্তিতে উদ্ভাসিত হয়ে প্রেরণা হয়ে উঠবে হাজারো প্রতিবন্ধী শিশুর জন্য। হতাশা নয় বরং আশা আর সম্ভাবনার আলোয় মুখ তুলে তাকাতে চায় আরশাদুল। তার একমাত্র অপেক্ষা, কেউ সামনে এগিয়ে এসে তাকে চলার নতুন পথ দেখাবে।

ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল থাকছে বঙ্গোপসাগর। এ সময় সাগরে জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়ে ১ থেকে ৩ ফুট। এর মধ্যে অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় জোয়ারের উচ্চতা আর গতিবেগ আরও বাড়ে। প্রতিকূল এই আবহাওয়ায় কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের কুতুবদিয়া থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সৈকতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় যা তীব্র।
২৪ আগস্ট ২০২৫
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কৃষক মুরাদ হালদার। এই বছর অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে অরগানিক বেগুন চাষ করেছেন তিনি। আর প্রথমবার বেগুন চাষ করেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।
৩৭ মিনিট আগে
চোর চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কৃষকের জমিতে সেচ দেওয়ার সাবমারসিবল মেশিন, মসজিদের মাইকের অ্যামপ্লিফায়ার, বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের তার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, এমনকি গৃহস্থালির হাঁস-মুরগি, গরু ও ছাগলও।
১ ঘণ্টা আগে
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় নিয়মবহির্ভূতভাবে সার মজুত করার দায়ে মো. আশরাফুজ্জামান নামে এক ডিলারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে ডিলারের গুদাম থেকে ১০৭ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে