নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলার ১১ আসামিকে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও হামলার অভিযোগে করা পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালত পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এর আগে সকালে আসামিদের চট্টগ্রাম কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আলিফ হত্যার ঘটনার মামলায় এজাহারনামীয় ১১ আসামিকে আদালতে হাজির করে কোতোয়ালি থানার পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন প্রেমনন্দন দাশ বুজা (১৯), রনব দাশ (২৪), বিধান দাশ (২৯), বিকাশ দাশ (২৪), রুমিত দাশ (৩০), রাজ কাপুর (৫৫), সামির দাশ (২৫), শিব কুমার দাশ (২৩), ওম দাশ (২৬), অজয় দাশ (৩০) ও দেবী চরণ (৩৬)।
পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও হামলার অভিযোগে করা ওই মামলার বাদী পুলিশ নিজেই। আজ আদালতে করা আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি নগরীর বান্ডেল সেবক কলোনি থেকে এই ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এ সময় আসামিকে প্রিজন ভ্যানে ওঠানোর সময় তাঁর অনুসারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে আইনজীবীদের একটি অংশ বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেয়।
পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি স্থাপনা। এই সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়টি মামলা হয়েছে।
এর মধ্যে গত ২৯ নভেম্বর মধ্যরাতে নগরীর কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা।
এই হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জন গ্রেপ্তার আছেন। দুই মাস আগে পুলিশ এই হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামিসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রাজীব ভট্টাচার্য্য ও রিপন দাশ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আসামিদের বেশির ভাগই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তাঁরা নগরের কোতোয়ালি থানার বান্ডেল রোড মেথরপট্টি সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা।
আদালতে সংঘর্ষে আইনজীবীদের ওপর হামলা, বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন আলিফের ভাই খানে আলম, যেখানে ১১৬ জনকে আসামি করা হয়। এর বাইরে আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। ওই তিন মামলায় মোট ৭৬ জনের নামসহ অজ্ঞাত ১ হাজার ৪০০ জনকে আসামি করা হয়।
আদালত এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় সবশেষ ৩ ডিসেম্বর মোহাম্মদ উল্লাহ নামে এক ব্যক্তি ওয়ার্ড কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২৯ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।
চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলার ১১ আসামিকে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও হামলার অভিযোগে করা পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালত পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এর আগে সকালে আসামিদের চট্টগ্রাম কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আলিফ হত্যার ঘটনার মামলায় এজাহারনামীয় ১১ আসামিকে আদালতে হাজির করে কোতোয়ালি থানার পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন প্রেমনন্দন দাশ বুজা (১৯), রনব দাশ (২৪), বিধান দাশ (২৯), বিকাশ দাশ (২৪), রুমিত দাশ (৩০), রাজ কাপুর (৫৫), সামির দাশ (২৫), শিব কুমার দাশ (২৩), ওম দাশ (২৬), অজয় দাশ (৩০) ও দেবী চরণ (৩৬)।
পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও হামলার অভিযোগে করা ওই মামলার বাদী পুলিশ নিজেই। আজ আদালতে করা আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি নগরীর বান্ডেল সেবক কলোনি থেকে এই ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এ সময় আসামিকে প্রিজন ভ্যানে ওঠানোর সময় তাঁর অনুসারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে আইনজীবীদের একটি অংশ বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেয়।
পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি স্থাপনা। এই সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়টি মামলা হয়েছে।
এর মধ্যে গত ২৯ নভেম্বর মধ্যরাতে নগরীর কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা।
এই হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জন গ্রেপ্তার আছেন। দুই মাস আগে পুলিশ এই হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামিসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রাজীব ভট্টাচার্য্য ও রিপন দাশ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আসামিদের বেশির ভাগই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তাঁরা নগরের কোতোয়ালি থানার বান্ডেল রোড মেথরপট্টি সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা।
আদালতে সংঘর্ষে আইনজীবীদের ওপর হামলা, বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন আলিফের ভাই খানে আলম, যেখানে ১১৬ জনকে আসামি করা হয়। এর বাইরে আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। ওই তিন মামলায় মোট ৭৬ জনের নামসহ অজ্ঞাত ১ হাজার ৪০০ জনকে আসামি করা হয়।
আদালত এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় সবশেষ ৩ ডিসেম্বর মোহাম্মদ উল্লাহ নামে এক ব্যক্তি ওয়ার্ড কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২৯ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভারের অ্যাডভান্সড পুলিশ টাউন এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বাধা দিতে গেলে ছিনতাইকারীদের ছুরির আঘাতে অন্তত ৩ যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদেরকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সাভার...
৭ ঘণ্টা আগেনওগাঁর মান্দায় শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে ১৪টি দোকান পুড়ে গেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বারিল্যা বটতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে অন্তত ৩০ লাখ টাকার মালপত্র ভস্মীভূত হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেসুন্দরবন দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বাগেরহাটের মোংলায় বাঁচাও সুন্দরবন শীর্ষক শোভাযাত্রা শেষে পৌরসভা চত্বরে সমাবেশ হয়। এতে বক্তারা বলেন, বনবিনাশী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ এবং বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন করতে পারলে সুন্দরবন ভালো থাকবে। কোনো ধরনের বৈজ্ঞানিক গবেষণা ছাড়াই সুন্দরবনের চারপাশে শিল্পকারখানা...
৭ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মাটি আনতে গিয়ে টিলা ধসে চাপা পড়ে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মাটির নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন তার ফুপু। আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে বাঘাছড়া চা বাগানের ১১ নম্বর সেকশনে এ ঘটনা ঘটে...
৭ ঘণ্টা আগে