ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁদেরকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় জিম্মিদশা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিকেরা হলেন আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হাসান মাতুব্বর (শ্রাবণ) ও মধুখালীর স্থানীয় সাংবাদিক তাওহীদুল ইসলাম (পাজবা)। তাঁদেরকে জিম্মি করার খবর পেয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল ইসলাম পিকুল, মধুখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুজ্জামান মুন্নু ঘটনাস্থলে যান। পরে থানা-পুলিশের সহযোগিতায় তাঁদেরকে উদ্ধার করা হয়। পরে আহতরা ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
হামলার অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিরা হলেন মহিষাপুর এলাকার বাসিন্দা ও ফরিদপুর চিনিকলের কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, তাঁর ভাই মাইক্রোবাস চালক রানা মোল্যা, স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহজাহান হোসেনসহ অজ্ঞাত ১০-১২ ব্যক্তি।
আহত সাংবাদিক শ্রাবণ বলেন, সম্প্রতি ফরিদপুর শহরে এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে সিডিএ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। ওই সময় তাঁকে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওটি আমার কাছে আসে। তখন বিষয়টি জানার জন্য ওই কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তখন আবুল কালাম দাবি করেছিলেন, তিনি একটি চক্রের ফাঁদে পড়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে ফোনে বিস্তারিত বলতে অপারগতা প্রকাশ করে সরাসরি কথা বলতে অনুরোধ জানান। পরবর্তীতে ওই চক্রের তথ্য সম্পর্কে জানতে ও তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিস্তারিত জানতে আমরা যোগাযোগ করে মধুখালীতে যাই।
সাংবাদিক শ্রাবণ আরও বলেন, কথা বলার সময় হঠাৎ আবুল কালামের স্ত্রী জানতে চান, আমাদের ভিডিও কে দিয়েছে, কোথায় আমরা ভিডিও পেয়েছি। বিষয়টি গোপনীয়তার কারণে আমরা এড়িয়ে গেলে তখন তিনি দাবি করেন আমরা ব্ল্যাকমেল চক্র। ওই মুহূর্তেই ১০-১২ জন আমাদের ওপর হামলা চালান। আমাদের মোবাইল, ক্যামেরা ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় এবং টানাহেঁচড়া করে মারধর শুরু করেন। এরপরই রাস্তা থেকে বাড়ির ভেতরে নিয়ে আমাদের প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখেন। এ ছাড়া মেরে ফেলারও হুমকি দেন। পরে আমাদের সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে ও প্রশাসনের সহযোগিতায় উদ্ধার হই।
হামলার বিষয় নিয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল মঙ্গলবার মামলা করা হবে বলে জানান সাংবাদিক শ্রাবণ।
এ বিষয়ে জানতে হামলাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম নুরুজ্জামানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শৈলেন চাকমা বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করা হয়। তবে, এখন পর্যন্ত ওই সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরিদপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁদেরকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় জিম্মিদশা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিকেরা হলেন আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হাসান মাতুব্বর (শ্রাবণ) ও মধুখালীর স্থানীয় সাংবাদিক তাওহীদুল ইসলাম (পাজবা)। তাঁদেরকে জিম্মি করার খবর পেয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল ইসলাম পিকুল, মধুখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুজ্জামান মুন্নু ঘটনাস্থলে যান। পরে থানা-পুলিশের সহযোগিতায় তাঁদেরকে উদ্ধার করা হয়। পরে আহতরা ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
হামলার অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিরা হলেন মহিষাপুর এলাকার বাসিন্দা ও ফরিদপুর চিনিকলের কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, তাঁর ভাই মাইক্রোবাস চালক রানা মোল্যা, স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহজাহান হোসেনসহ অজ্ঞাত ১০-১২ ব্যক্তি।
আহত সাংবাদিক শ্রাবণ বলেন, সম্প্রতি ফরিদপুর শহরে এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে সিডিএ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। ওই সময় তাঁকে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওটি আমার কাছে আসে। তখন বিষয়টি জানার জন্য ওই কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তখন আবুল কালাম দাবি করেছিলেন, তিনি একটি চক্রের ফাঁদে পড়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে ফোনে বিস্তারিত বলতে অপারগতা প্রকাশ করে সরাসরি কথা বলতে অনুরোধ জানান। পরবর্তীতে ওই চক্রের তথ্য সম্পর্কে জানতে ও তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিস্তারিত জানতে আমরা যোগাযোগ করে মধুখালীতে যাই।
সাংবাদিক শ্রাবণ আরও বলেন, কথা বলার সময় হঠাৎ আবুল কালামের স্ত্রী জানতে চান, আমাদের ভিডিও কে দিয়েছে, কোথায় আমরা ভিডিও পেয়েছি। বিষয়টি গোপনীয়তার কারণে আমরা এড়িয়ে গেলে তখন তিনি দাবি করেন আমরা ব্ল্যাকমেল চক্র। ওই মুহূর্তেই ১০-১২ জন আমাদের ওপর হামলা চালান। আমাদের মোবাইল, ক্যামেরা ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় এবং টানাহেঁচড়া করে মারধর শুরু করেন। এরপরই রাস্তা থেকে বাড়ির ভেতরে নিয়ে আমাদের প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখেন। এ ছাড়া মেরে ফেলারও হুমকি দেন। পরে আমাদের সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে ও প্রশাসনের সহযোগিতায় উদ্ধার হই।
হামলার বিষয় নিয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল মঙ্গলবার মামলা করা হবে বলে জানান সাংবাদিক শ্রাবণ।
এ বিষয়ে জানতে হামলাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম নুরুজ্জামানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শৈলেন চাকমা বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করা হয়। তবে, এখন পর্যন্ত ওই সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খুলনা বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনে মোট ৫ হাজার ১৩৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৮৪২টি ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি জেলার ৩৪টি আসনে ৭৬৩টি এবং খুলনা মহানগরীর দুটি আসনে ৭৯টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
মাদারীপুর শহরে চুরি, ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ কমাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে প্রায় এক বছরের মধ্যে এসব ক্যামেরার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কোথাও ক্যামেরার বক্স থাকলেও ক্যামেরা নেই; কোথাও ক্যামেরা আছে, বক্স নেই; আবার কোথাও শুধু ঝুলে আছে তার।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জামালপুরে অন্তঃকোন্দলে ভুগছে বিএনপি। জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে দুটির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। তবে আগে থেকে প্রচার শুরু করা জামায়াতে ইসলামী রয়েছে খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে। এ ছাড়া প্রচারে রয়েছে ইসলামী আন্দোলনও।
৪ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহে পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস এবং লক্ষ্মীপুরে শিশু আয়েশা আক্তারকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এনসিপির অঙ্গসংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তি। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এই সমাবেশে শ্রমিকনেতারা অবিলম্বে দোষীদের...
৪ ঘণ্টা আগেকাজী শামিম আহমেদ, খুলনা

খুলনা বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনে মোট ৫ হাজার ১৩৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৮৪২টি ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি জেলার ৩৪টি আসনে ৭৬৩টি এবং খুলনা মহানগরীর দুটি আসনে ৭৯টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) রয়েছে ১ হাজার ৮৫১টি ভোটকেন্দ্র।
প্রতিটি থানা থেকে সন্ত্রাসকবলিত এলাকা চিহ্নিত করে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি এবং খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছ থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বিভাগের ১০ জেলায় ৩৪টি আসনে ৪ হাজার ৮২৪টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ৭৬৩টি। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ১ হাজার ৭২৩টি কেন্দ্র এবং সাধারণ ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা হচ্ছে ২ হাজার ৩৩৮টি।
সূত্র আরও জানায়, খুলনা জেলায় ১৩৫টি ভোটকেন্দ্র অধিক গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে। যশোরে ১৮৬টি, বাগেরহাটে ১৮৬টি, সাতক্ষীরায় ৫৯টি, যশোরে ৭১টি, ঝিনাইদহে ৩৩টি, মাগুরায় ৫৫টি, নড়াইলে ৪২টি, কুষ্টিয়ায় ৯৯টি, চুয়াডাঙ্গায় ৫৭টি এবং মেহেরপুরে ২৭টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে।
জানতে চাইলে খুলনার অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি (অপারেশনস) শেখ জয়নুদ্দিন বলেন, তিন ক্যাটাগরিতে ভোটকেন্দ্রের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় থানা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ ক্যাটাগরিতে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিতকল্পে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে পুলিশ কাজ করবে। এ লক্ষ্যে পুলিশের ২৮টি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২০টি প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে, বাকি ৮টি প্রশিক্ষণ হবে।
খুলনা বিভাগের ৩৬টি আসনের মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে দুটি আসন। খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) এবং খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসন। আসন দুটিতে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৩০৯টি। এর মধ্যে ৭৯টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ১২৮টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থাৎ এ দুটি আসনে ৬৭ শতাংশ ভোটকেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করছে পুলিশ।
এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এবার আগেভাগেই মহানগরীর ভোটকেন্দ্রগুলো যাচাই করেছে পুলিশ। এতে ৩০৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৯টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ১২৮টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, খুলনা জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ৮৪০টি। এর মধ্যে মহানগরীর ভেতরে রয়েছে ৩০৯টি কেন্দ্র। খুলনা-২ ও খুলনা-৩ আসনের সব ভোটকেন্দ্রই মহানগরীর ভেতরে। এর বাইরে খুলনা-১ আসনের ১৫টি এবং খুলনা-৫ আসনের ২২ কেন্দ্র পড়েছে নগরীর সীমানায়। এসব এলাকার সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শুধু মহানগরীর কেন্দ্রগুলোর ঝুঁকি আগে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে মহানগরীর ভেতরের ভোটকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে ঝুঁকি বিবেচনার জন্য থানার ওসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়। মহানগর পুলিশের আটটি থানার ওসি গত মাসে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
খুলনা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) ত ম রোকনুজ্জামান জানান, আগে ওই কেন্দ্রে কখনো গোলযোগ হয়েছে কি না, কোনো কারণে অতীতে ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়েছে কি না, কেন্দ্রটি কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তির বাড়ির আশপাশে কি না, ভোটকেন্দ্রটি দুর্গম এলাকায় কি না, কেন্দ্রের চারপাশে সীমানাপ্রাচীর অথবা নির্বিঘ্নে যাতায়াতের সুযোগ রয়েছে কি না, অপরাধ করে দ্রুত সটকে পড়ার আশঙ্কা কেমন–এসব বিবেচনায় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অতি গুরুত্বপূর্ণ তালিকা করা হয়।
খুলনা-৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন এবং উৎসবমুখর করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সেভাবেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
খুলনা মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান বলেন, ভোটকেন্দ্র ও ভোটের পরিবেশ নিয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। এবার ভোটকেন্দ্রে যেসব পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, কয়েক মাস আগে থেকেই তাঁদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এখনো প্রশিক্ষণ চলছে। ভোটকেন্দ্রে গোলযোগ যেন না হয়, সে জন্য করণীয়, গোলযোগ হলে কী করতে হবে—এসব বিষয়ে বিশদভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আগে এ ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না। তিনি বলেন, খুলনার ভোটকেন্দ্রগুলোর মধ্যে ১৪১টিতে নিজস্ব সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। নির্বাচনের আগে বাকিগুলোতে ক্যামেরা সংযোজন করা হবে। এ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের কাছেও ক্যামেরা থাকবে।

খুলনা বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনে মোট ৫ হাজার ১৩৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৮৪২টি ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি জেলার ৩৪টি আসনে ৭৬৩টি এবং খুলনা মহানগরীর দুটি আসনে ৭৯টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) রয়েছে ১ হাজার ৮৫১টি ভোটকেন্দ্র।
প্রতিটি থানা থেকে সন্ত্রাসকবলিত এলাকা চিহ্নিত করে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি এবং খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছ থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বিভাগের ১০ জেলায় ৩৪টি আসনে ৪ হাজার ৮২৪টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ৭৬৩টি। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ১ হাজার ৭২৩টি কেন্দ্র এবং সাধারণ ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা হচ্ছে ২ হাজার ৩৩৮টি।
সূত্র আরও জানায়, খুলনা জেলায় ১৩৫টি ভোটকেন্দ্র অধিক গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে। যশোরে ১৮৬টি, বাগেরহাটে ১৮৬টি, সাতক্ষীরায় ৫৯টি, যশোরে ৭১টি, ঝিনাইদহে ৩৩টি, মাগুরায় ৫৫টি, নড়াইলে ৪২টি, কুষ্টিয়ায় ৯৯টি, চুয়াডাঙ্গায় ৫৭টি এবং মেহেরপুরে ২৭টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে।
জানতে চাইলে খুলনার অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি (অপারেশনস) শেখ জয়নুদ্দিন বলেন, তিন ক্যাটাগরিতে ভোটকেন্দ্রের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় থানা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ ক্যাটাগরিতে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিতকল্পে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে পুলিশ কাজ করবে। এ লক্ষ্যে পুলিশের ২৮টি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২০টি প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে, বাকি ৮টি প্রশিক্ষণ হবে।
খুলনা বিভাগের ৩৬টি আসনের মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে দুটি আসন। খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) এবং খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসন। আসন দুটিতে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৩০৯টি। এর মধ্যে ৭৯টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ১২৮টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থাৎ এ দুটি আসনে ৬৭ শতাংশ ভোটকেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করছে পুলিশ।
এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এবার আগেভাগেই মহানগরীর ভোটকেন্দ্রগুলো যাচাই করেছে পুলিশ। এতে ৩০৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৯টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ১২৮টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, খুলনা জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ৮৪০টি। এর মধ্যে মহানগরীর ভেতরে রয়েছে ৩০৯টি কেন্দ্র। খুলনা-২ ও খুলনা-৩ আসনের সব ভোটকেন্দ্রই মহানগরীর ভেতরে। এর বাইরে খুলনা-১ আসনের ১৫টি এবং খুলনা-৫ আসনের ২২ কেন্দ্র পড়েছে নগরীর সীমানায়। এসব এলাকার সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শুধু মহানগরীর কেন্দ্রগুলোর ঝুঁকি আগে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে মহানগরীর ভেতরের ভোটকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে ঝুঁকি বিবেচনার জন্য থানার ওসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়। মহানগর পুলিশের আটটি থানার ওসি গত মাসে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
খুলনা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) ত ম রোকনুজ্জামান জানান, আগে ওই কেন্দ্রে কখনো গোলযোগ হয়েছে কি না, কোনো কারণে অতীতে ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়েছে কি না, কেন্দ্রটি কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তির বাড়ির আশপাশে কি না, ভোটকেন্দ্রটি দুর্গম এলাকায় কি না, কেন্দ্রের চারপাশে সীমানাপ্রাচীর অথবা নির্বিঘ্নে যাতায়াতের সুযোগ রয়েছে কি না, অপরাধ করে দ্রুত সটকে পড়ার আশঙ্কা কেমন–এসব বিবেচনায় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অতি গুরুত্বপূর্ণ তালিকা করা হয়।
খুলনা-৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন এবং উৎসবমুখর করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সেভাবেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
খুলনা মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান বলেন, ভোটকেন্দ্র ও ভোটের পরিবেশ নিয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। এবার ভোটকেন্দ্রে যেসব পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, কয়েক মাস আগে থেকেই তাঁদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এখনো প্রশিক্ষণ চলছে। ভোটকেন্দ্রে গোলযোগ যেন না হয়, সে জন্য করণীয়, গোলযোগ হলে কী করতে হবে—এসব বিষয়ে বিশদভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আগে এ ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না। তিনি বলেন, খুলনার ভোটকেন্দ্রগুলোর মধ্যে ১৪১টিতে নিজস্ব সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। নির্বাচনের আগে বাকিগুলোতে ক্যামেরা সংযোজন করা হবে। এ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের কাছেও ক্যামেরা থাকবে।

ফরিদপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁদেরকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় জিম্মিদশা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকায় এ ঘটনা
১৯ নভেম্বর ২০২৪
মাদারীপুর শহরে চুরি, ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ কমাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে প্রায় এক বছরের মধ্যে এসব ক্যামেরার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কোথাও ক্যামেরার বক্স থাকলেও ক্যামেরা নেই; কোথাও ক্যামেরা আছে, বক্স নেই; আবার কোথাও শুধু ঝুলে আছে তার।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জামালপুরে অন্তঃকোন্দলে ভুগছে বিএনপি। জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে দুটির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। তবে আগে থেকে প্রচার শুরু করা জামায়াতে ইসলামী রয়েছে খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে। এ ছাড়া প্রচারে রয়েছে ইসলামী আন্দোলনও।
৪ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহে পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস এবং লক্ষ্মীপুরে শিশু আয়েশা আক্তারকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এনসিপির অঙ্গসংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তি। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এই সমাবেশে শ্রমিকনেতারা অবিলম্বে দোষীদের...
৪ ঘণ্টা আগেআয়শা সিদ্দিকা আকাশী, মাদারীপুর

মাদারীপুর শহরে চুরি, ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ কমাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে প্রায় এক বছরের মধ্যে এসব ক্যামেরার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কোথাও ক্যামেরার বক্স থাকলেও ক্যামেরা নেই; কোথাও ক্যামেরা আছে, বক্স নেই; আবার কোথাও শুধু ঝুলে আছে তার। নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে বসানো এসব ক্যামেরা কার্যত কোনো কাজে আসছে না। দ্রুত ক্যামেরাগুলো মেরামতের দাবি শহরবাসীর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের মে মাসে তৎকালীন পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের উদ্যোগে এবং মাদারীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৬০টি আধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এসব ক্যামেরা মাদারীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ছিল। তবে স্থাপনের কিছুদিন পর থেকে ধীরে ধীরে ক্যামেরাগুলো নষ্ট হতে শুরু করে। বর্তমানে প্রায় এক বছর ধরে অধিকাংশ ক্যামেরা অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে, কিন্তু এখনো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে শহরে দিনদুপুরে চুরি, ছিনতাই, ইভ টিজিংসহ নানা অপরাধ বাড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদারীপুর নতুন শহর, কালীবাড়ি, সুমন হোটেল মোড়, কলেজ রোড, বটতলা, বাদামতলা, পুরান বাজার, শকুনি লেকপাড়, ডিসি ব্রিজ, ইটেরপুল, পুরাতন ও নতুন বাসস্ট্যান্ড, রেন্ডিতলা, মিলন সিনেমা হল এলাকা, কাজীর মোড়, থানার সামনে, কলেজের সামনে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জজকোর্ট এলাকাসহ পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে বসানো ক্যামেরাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অচল। অধিকাংশ ক্যামেরায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ নেই। অনেক স্থানে ক্যামেরা ও সংযোগের তার চুরি হয়ে গেছে, আবার কোথাও ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফলে কোথাও শুধু বক্স, কোথাও শুধু ক্যামেরা, আবার কোথাও ঝুলে আছে তার। এতে করে শহরের নিরাপত্তাব্যবস্থায় বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
মাদারীপুর শহরের ২ নম্বর শকুনি এলাকার বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ডিসি ব্রিজ এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো প্রায় এক বছর ধরে নষ্ট। এই এলাকা শহরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সন্ধ্যার পর চায়ের দোকানগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের আড্ডা বসে এবং প্রায়ই মারামারির ঘটনা ঘটে। ক্যামেরাগুলো সচল থাকলে অনেক অপরাধ আগেভাগেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো।’
শকুনি লেকপাড় এলাকার খেলনা বিক্রেতা পারভীন বেগম বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেলের দিকে এখানে কয়েক শ মানুষ আসে। নানা বয়সের মানুষ ঘোরাফেরা করে। অনেক সময় নারীরা ইভ টিজিংয়ের শিকার হন। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো দ্রুত মেরামত করা হলে সাধারণ মানুষ অনেকটা নিরাপদে চলাচল করতে পারবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সচল করতে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, খুব শিগগির ক্যামেরাগুলো মেরামত করে আবার চালু করা সম্ভব হবে।

মাদারীপুর শহরে চুরি, ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ কমাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে প্রায় এক বছরের মধ্যে এসব ক্যামেরার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কোথাও ক্যামেরার বক্স থাকলেও ক্যামেরা নেই; কোথাও ক্যামেরা আছে, বক্স নেই; আবার কোথাও শুধু ঝুলে আছে তার। নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে বসানো এসব ক্যামেরা কার্যত কোনো কাজে আসছে না। দ্রুত ক্যামেরাগুলো মেরামতের দাবি শহরবাসীর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের মে মাসে তৎকালীন পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের উদ্যোগে এবং মাদারীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৬০টি আধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এসব ক্যামেরা মাদারীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ছিল। তবে স্থাপনের কিছুদিন পর থেকে ধীরে ধীরে ক্যামেরাগুলো নষ্ট হতে শুরু করে। বর্তমানে প্রায় এক বছর ধরে অধিকাংশ ক্যামেরা অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে, কিন্তু এখনো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে শহরে দিনদুপুরে চুরি, ছিনতাই, ইভ টিজিংসহ নানা অপরাধ বাড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদারীপুর নতুন শহর, কালীবাড়ি, সুমন হোটেল মোড়, কলেজ রোড, বটতলা, বাদামতলা, পুরান বাজার, শকুনি লেকপাড়, ডিসি ব্রিজ, ইটেরপুল, পুরাতন ও নতুন বাসস্ট্যান্ড, রেন্ডিতলা, মিলন সিনেমা হল এলাকা, কাজীর মোড়, থানার সামনে, কলেজের সামনে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জজকোর্ট এলাকাসহ পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে বসানো ক্যামেরাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অচল। অধিকাংশ ক্যামেরায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ নেই। অনেক স্থানে ক্যামেরা ও সংযোগের তার চুরি হয়ে গেছে, আবার কোথাও ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফলে কোথাও শুধু বক্স, কোথাও শুধু ক্যামেরা, আবার কোথাও ঝুলে আছে তার। এতে করে শহরের নিরাপত্তাব্যবস্থায় বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
মাদারীপুর শহরের ২ নম্বর শকুনি এলাকার বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ডিসি ব্রিজ এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো প্রায় এক বছর ধরে নষ্ট। এই এলাকা শহরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সন্ধ্যার পর চায়ের দোকানগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের আড্ডা বসে এবং প্রায়ই মারামারির ঘটনা ঘটে। ক্যামেরাগুলো সচল থাকলে অনেক অপরাধ আগেভাগেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো।’
শকুনি লেকপাড় এলাকার খেলনা বিক্রেতা পারভীন বেগম বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেলের দিকে এখানে কয়েক শ মানুষ আসে। নানা বয়সের মানুষ ঘোরাফেরা করে। অনেক সময় নারীরা ইভ টিজিংয়ের শিকার হন। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো দ্রুত মেরামত করা হলে সাধারণ মানুষ অনেকটা নিরাপদে চলাচল করতে পারবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সচল করতে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, খুব শিগগির ক্যামেরাগুলো মেরামত করে আবার চালু করা সম্ভব হবে।

ফরিদপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁদেরকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় জিম্মিদশা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকায় এ ঘটনা
১৯ নভেম্বর ২০২৪
খুলনা বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনে মোট ৫ হাজার ১৩৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৮৪২টি ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি জেলার ৩৪টি আসনে ৭৬৩টি এবং খুলনা মহানগরীর দুটি আসনে ৭৯টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জামালপুরে অন্তঃকোন্দলে ভুগছে বিএনপি। জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে দুটির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। তবে আগে থেকে প্রচার শুরু করা জামায়াতে ইসলামী রয়েছে খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে। এ ছাড়া প্রচারে রয়েছে ইসলামী আন্দোলনও।
৪ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহে পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস এবং লক্ষ্মীপুরে শিশু আয়েশা আক্তারকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এনসিপির অঙ্গসংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তি। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এই সমাবেশে শ্রমিকনেতারা অবিলম্বে দোষীদের...
৪ ঘণ্টা আগেজামালপুরের ৫টি আসন
জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জামালপুরে অন্তঃকোন্দলে ভুগছে বিএনপি। জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে দুটির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। তবে আগে থেকে প্রচার শুরু করা জামায়াতে ইসলামী রয়েছে খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে। এ ছাড়া প্রচারে রয়েছে ইসলামী আন্দোলনও। আর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলার সব কটি আসনে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বললেও মাঠে দৃশ্যমান তৎপরতা নেই।
আয়তনে ২ হাজার ৩২ বর্গকিলোমিটার ও ৭ উপজেলা, ৮টি পৌরসভা এবং ৬৮ ইউনিয়ন নিয়ে জামালপুর জেলার আসনসংখ্যা ৫। জেলার মোট ভোটার ২১ লাখ ৩৫ হাজার ১১৬ জন। এই জেলায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) তিনটি আসনে এবং গণঅধিকার পরিষদ তিনটি আসনে প্রার্থী দিলেও প্রচারে নেই কেউ। আর নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতা নেই জাতীয় পার্টিতে (জাপা)। কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা জাপার আহ্বায়ক জাকির হোসেন খান। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশ পেলে প্রার্থী নিয়ে মাঠে নামবেন, এমন প্রস্তুতি আছে।
জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ)
দুটি উপজেলা, ২টি পৌরসভা এবং ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জামালপুর-১ আসন। এই আসনে ২০০১ সালে বিএনপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মিল্লাতকে (কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ) দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির শুরা সদস্য নাজমুল হক সাইদীকে। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার আগে থেকে আসনটিতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা কোমর বেঁধে মাঠে প্রচারে নেমেছেন।
জামালপুর-২ (ইসলামপুর)
জেলার ১ উপজেলা, ১ পৌরসভা আর ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসন। এবার নির্বাচনে আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাবুকে। তিনি ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে তাঁর দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, মিছিল সমাবেশ করছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ এস এম আবদুল হালিমের অনুসারীরা। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের ছোট ভাই শরিফুল ইসলাম খানও দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন।
আসনটিতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সামিউল হক ফারুকীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ সিরাজী, আর গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী মো. ইসমাঈল হোসেন। আসনটিতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর পক্ষে জোরালো প্রচার চলছে।
জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ)
২টি উপজেলা, ৩টি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত আসনটিতে ১৯৯১ সাল থেকে ৭ বার নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের র্মিজা আজম। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সহসম্পাদক ও মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁর মনোনয়ন বাতিল চেয়ে মাঠে নেমেছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩ প্রার্থী। তাঁরা হচ্ছেন সাবেক সচিব এ কে এম ইহসানুল হক, মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জ এবং মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান শুভ। তাঁরা মনোনয়ন পরিবর্তন চেয়ে মিছিল, সমাবেশসহ গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যাপক মজিবুর রহমান আজাদী প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী)
এই আসনে ১৯৯১ সালে আসনটিতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির মহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তাঁর ভাতিজা এবং জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সরিষাবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমকে।
এ ছাড়া আসনটিতে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী করা হয়েছে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল আওয়ালকে। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. আলী আকবর সিদ্দিক। এ ছাড়া গণপরিষদের মো. ইকবাল হোসেন এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মাহবুব জামানকে প্রার্থী করা হয়েছে।
জামালপুর-৫ (সদর)
আগামী নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক এবং জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনকে। জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন জেলা আমির মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি মোস্তফা কামাল, গণঅধিকার পরিষদের জাকির হোসেন এবং কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী করা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আক্কাসকে।
সব মিলিয়ে জামালপুরের ৫ আসনেই নির্বাচনের আমেজ বইতে শুরু করেছে। প্রার্থীরা তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ভোটাররাও তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিতে মুখিয়ে আছেন। তবে নতুন ভোটাররা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁদের প্রথম ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জামালপুরে অন্তঃকোন্দলে ভুগছে বিএনপি। জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে দুটির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। তবে আগে থেকে প্রচার শুরু করা জামায়াতে ইসলামী রয়েছে খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে। এ ছাড়া প্রচারে রয়েছে ইসলামী আন্দোলনও। আর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলার সব কটি আসনে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বললেও মাঠে দৃশ্যমান তৎপরতা নেই।
আয়তনে ২ হাজার ৩২ বর্গকিলোমিটার ও ৭ উপজেলা, ৮টি পৌরসভা এবং ৬৮ ইউনিয়ন নিয়ে জামালপুর জেলার আসনসংখ্যা ৫। জেলার মোট ভোটার ২১ লাখ ৩৫ হাজার ১১৬ জন। এই জেলায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) তিনটি আসনে এবং গণঅধিকার পরিষদ তিনটি আসনে প্রার্থী দিলেও প্রচারে নেই কেউ। আর নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতা নেই জাতীয় পার্টিতে (জাপা)। কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা জাপার আহ্বায়ক জাকির হোসেন খান। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশ পেলে প্রার্থী নিয়ে মাঠে নামবেন, এমন প্রস্তুতি আছে।
জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ)
দুটি উপজেলা, ২টি পৌরসভা এবং ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জামালপুর-১ আসন। এই আসনে ২০০১ সালে বিএনপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মিল্লাতকে (কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ) দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির শুরা সদস্য নাজমুল হক সাইদীকে। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার আগে থেকে আসনটিতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা কোমর বেঁধে মাঠে প্রচারে নেমেছেন।
জামালপুর-২ (ইসলামপুর)
জেলার ১ উপজেলা, ১ পৌরসভা আর ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসন। এবার নির্বাচনে আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাবুকে। তিনি ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে তাঁর দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, মিছিল সমাবেশ করছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ এস এম আবদুল হালিমের অনুসারীরা। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের ছোট ভাই শরিফুল ইসলাম খানও দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন।
আসনটিতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সামিউল হক ফারুকীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ সিরাজী, আর গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী মো. ইসমাঈল হোসেন। আসনটিতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর পক্ষে জোরালো প্রচার চলছে।
জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ)
২টি উপজেলা, ৩টি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত আসনটিতে ১৯৯১ সাল থেকে ৭ বার নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের র্মিজা আজম। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সহসম্পাদক ও মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁর মনোনয়ন বাতিল চেয়ে মাঠে নেমেছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩ প্রার্থী। তাঁরা হচ্ছেন সাবেক সচিব এ কে এম ইহসানুল হক, মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জ এবং মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান শুভ। তাঁরা মনোনয়ন পরিবর্তন চেয়ে মিছিল, সমাবেশসহ গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যাপক মজিবুর রহমান আজাদী প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী)
এই আসনে ১৯৯১ সালে আসনটিতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির মহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তাঁর ভাতিজা এবং জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সরিষাবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমকে।
এ ছাড়া আসনটিতে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী করা হয়েছে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল আওয়ালকে। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. আলী আকবর সিদ্দিক। এ ছাড়া গণপরিষদের মো. ইকবাল হোসেন এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মাহবুব জামানকে প্রার্থী করা হয়েছে।
জামালপুর-৫ (সদর)
আগামী নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক এবং জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনকে। জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন জেলা আমির মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি মোস্তফা কামাল, গণঅধিকার পরিষদের জাকির হোসেন এবং কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী করা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আক্কাসকে।
সব মিলিয়ে জামালপুরের ৫ আসনেই নির্বাচনের আমেজ বইতে শুরু করেছে। প্রার্থীরা তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ভোটাররাও তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিতে মুখিয়ে আছেন। তবে নতুন ভোটাররা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁদের প্রথম ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

ফরিদপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁদেরকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় জিম্মিদশা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকায় এ ঘটনা
১৯ নভেম্বর ২০২৪
খুলনা বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনে মোট ৫ হাজার ১৩৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৮৪২টি ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি জেলার ৩৪টি আসনে ৭৬৩টি এবং খুলনা মহানগরীর দুটি আসনে ৭৯টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
মাদারীপুর শহরে চুরি, ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ কমাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে প্রায় এক বছরের মধ্যে এসব ক্যামেরার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কোথাও ক্যামেরার বক্স থাকলেও ক্যামেরা নেই; কোথাও ক্যামেরা আছে, বক্স নেই; আবার কোথাও শুধু ঝুলে আছে তার।
২ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহে পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস এবং লক্ষ্মীপুরে শিশু আয়েশা আক্তারকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এনসিপির অঙ্গসংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তি। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এই সমাবেশে শ্রমিকনেতারা অবিলম্বে দোষীদের...
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ময়মনসিংহে পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস এবং লক্ষ্মীপুরে শিশু আয়েশা আক্তারকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এনসিপির অঙ্গসংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তি। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এই সমাবেশে শ্রমিকনেতারা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি জানান।
রোববার বেলা ৩টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম ফকির, সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব ঋআজ মোর্শেদ।
বক্তারা বলেন, শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস বা শিশু আয়েশার ওপর যে পাশবিকতা চালানো হয়েছে, তা কোনো সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না। কর্মক্ষেত্রে ও নিজ জনপদে সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকদের জানমালের নিরাপত্তা আজ চরম সংকটে। যদি অনতিবিলম্বে খুনিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হয়, তবে মেহনতি মানুষ রাজপথে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
বক্তারা আরও বলেন, ‘শ্রমিকেরাই এই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখে, অথচ তাদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। শিশু আয়েশার মতো নিষ্পাপ প্রাণের এই মৃত্যু আমাদের বিচারব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি ভাঙতে চাই।’
সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব সাইফ মোস্তাফিজ, মুশফিক উস সালেহীন মোল্লা ফারুক এহসান, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ভেমপালী ডেভিড রাজু ও কৈলাস চন্দ্র রবিদাস প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক শক্তির মুখ্য সংগঠক আরমান হোসাইন, যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব সৌরভ খান সুজন, যুগ্ম সদস্যসচিব তৌফিকুজ্জামান পীরাচাসহ অন্যান্য নেতা।
শ্রমিকশক্তি নেতারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানান। তাঁরা আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং একই সঙ্গে সারা দেশে শ্রমিক ও সাধারণ নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

ময়মনসিংহে পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস এবং লক্ষ্মীপুরে শিশু আয়েশা আক্তারকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এনসিপির অঙ্গসংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তি। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এই সমাবেশে শ্রমিকনেতারা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি জানান।
রোববার বেলা ৩টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম ফকির, সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব ঋআজ মোর্শেদ।
বক্তারা বলেন, শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস বা শিশু আয়েশার ওপর যে পাশবিকতা চালানো হয়েছে, তা কোনো সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না। কর্মক্ষেত্রে ও নিজ জনপদে সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকদের জানমালের নিরাপত্তা আজ চরম সংকটে। যদি অনতিবিলম্বে খুনিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হয়, তবে মেহনতি মানুষ রাজপথে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
বক্তারা আরও বলেন, ‘শ্রমিকেরাই এই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখে, অথচ তাদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। শিশু আয়েশার মতো নিষ্পাপ প্রাণের এই মৃত্যু আমাদের বিচারব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি ভাঙতে চাই।’
সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব সাইফ মোস্তাফিজ, মুশফিক উস সালেহীন মোল্লা ফারুক এহসান, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ভেমপালী ডেভিড রাজু ও কৈলাস চন্দ্র রবিদাস প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক শক্তির মুখ্য সংগঠক আরমান হোসাইন, যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব সৌরভ খান সুজন, যুগ্ম সদস্যসচিব তৌফিকুজ্জামান পীরাচাসহ অন্যান্য নেতা।
শ্রমিকশক্তি নেতারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানান। তাঁরা আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং একই সঙ্গে সারা দেশে শ্রমিক ও সাধারণ নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

ফরিদপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁদেরকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় জিম্মিদশা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকায় এ ঘটনা
১৯ নভেম্বর ২০২৪
খুলনা বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনে মোট ৫ হাজার ১৩৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৮৪২টি ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি জেলার ৩৪টি আসনে ৭৬৩টি এবং খুলনা মহানগরীর দুটি আসনে ৭৯টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
মাদারীপুর শহরে চুরি, ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ কমাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে প্রায় এক বছরের মধ্যে এসব ক্যামেরার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কোথাও ক্যামেরার বক্স থাকলেও ক্যামেরা নেই; কোথাও ক্যামেরা আছে, বক্স নেই; আবার কোথাও শুধু ঝুলে আছে তার।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জামালপুরে অন্তঃকোন্দলে ভুগছে বিএনপি। জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে দুটির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। তবে আগে থেকে প্রচার শুরু করা জামায়াতে ইসলামী রয়েছে খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে। এ ছাড়া প্রচারে রয়েছে ইসলামী আন্দোলনও।
৪ ঘণ্টা আগে