Ajker Patrika

এবার কিশোর গ্যাংয়ের পরিকল্পনা কক্ষের সন্ধান

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১: ১৪
এবার কিশোর গ্যাংয়ের পরিকল্পনা কক্ষের সন্ধান

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে দন্ত চিকিৎসক কোরবান আলী হত্যার ঘটনায় গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতা গোলাম রসুল নিশানের নিয়ন্ত্রণাধীন গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের বহুতল ভবনের তিনতলায় মিলেছে আড্ডাখানা ও পরিকল্পনাকক্ষের সন্ধান। এর আগে ভবনটির নিচতলায় পাওয়া গিয়েছিল টর্চার সেল। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার আদনান তাইয়ান গত সোমবার সন্ধ্যার পর কোরবান হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে আড্ডাখানা ও পরিকল্পনাকক্ষ নজরে আসে।

নিশান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। তিনি দলবলসহ নগরীর ফিরোজ শাহ হাউজিং এস্টেটে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নির্মাণাধীন ১০তলা একটি আবাসিক ভবন নিয়ন্ত্রণ করেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনি ও তাঁর সহযোগীরা এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় এলাকার লোকজন নগরীর আকবর শাহ থানার সামনে মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে এ কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছেন নিহত কোরবানের ছেলে আলী রেজা রানা।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্যমতে, নিশানের নিয়ন্ত্রণাধীন ভবনের নিচে ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তিন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক নির্যাতন করছিল নিশান গ্রুপের সদস্যরা। এ সময় পাশের দোকানে থাকা রেজা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ এসে তিনজনকে উদ্ধার এবং এক অভিযুক্তকে আটক করে। এ ঘটনায় রেজার প্রতি ক্ষুব্ধ হয় নিশান গ্রুপের সদস্যরা। তারা সুযোগ পেয়ে ৫ এপ্রিল রেজার ওপর হামলা চালায়। এ সময় ছেলেকে বাঁচাতে চিকিৎসক কোরবান এগিয়ে এলে তাঁকে ইট দিয়ে আঘাত করা হয়। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল মারা যান।

এলাকাবাসী জানান, ফিরোজ শাহ হাউজিং এস্টেটে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নির্মাণাধীন পাশাপাশি তিনটি ১০ তলা ভবনের একটি নিশানের আস্তানা। এখানে গৃহায়ণের গার্ড থাকলেও ভয়ে কিছু বলতে পারেন না তাঁরা। নিশানের সন্ত্রাসী বাহিনী শিক্ষার্থীসহ এলাকার লোকজনকে ধরে এনে টর্চার সেলে নির্যাতন চালায়। সরকারদলীয় রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে এসব কাজের জন্য নিশান গড়ে তুলেছেন ৪৫-৫০ জনের একটি গ্রুপ। গ্রুপের সদস্যরা প্রকাশ্যেই মাদক সেবন থেকে শুরু করে সব ধরনের অপকর্ম চালায়। প্রতিটি ঘটনায় নিশান পরিকল্পনা করে দেন। বাস্তবায়ন করার সময় তিনি আড়ালে থাকেন। বাস্তবায়নের পর জনসমক্ষে আসেন।

এ বিষয়ে ফিরোজ শাহ সমাজ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফজলে করিম টিপু জানান, ওই ভবনে টর্চার সেলের পর আড্ডাখানা ও পরিকল্পনাকক্ষ পাওয়ার ঘটনায় এলাকার লোকজন শঙ্কিত ও আতঙ্কিত। কোরবান আলী হত্যার বিচার না হলে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে এলাকায়।

ভবনের তিনতলায় নিশান গ্রুপের আড্ডাখানা পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সিএমপির উপকমিশনার আদনান তাইয়ান বলেন, ‘আমরা মামলার আলামত সংগ্রহে ঘটনাস্থলে প্রায় সময় যাই। ওই দিনও গিয়েছিলাম। সেখানে একটি আড্ডাখানার সন্ধান পাওয়া যায়।’ অচিরেই আসামিরা গ্রেপ্তার হবেন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।’

কোরবান গুরুতর আহত হওয়ার পর ৬ এপ্রিল তাঁর ছেলে রেজা বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আকবর শাহ থানায় মামলা করেন। এর মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও আসল আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানান রেজা। এ প্রসঙ্গে আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রাব্বানির সরকারি মোবাইল ফোনে কল করা হলে রিসিভ করেন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আল মামুন। ওসি মামলার সাক্ষী হিসেবে চট্টগ্রামের বাইরে আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নিশান ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আসামিরা দৌড়ের ওপর আছেন। যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় আটক ৭

সিলেট প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইল ১ নম্বর রোডের মারুফ টি স্টল নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তির শিলং-জাতীয় জুয়া খেলা অবস্থায় তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইলের সজীব মিয়ার কলোনির রমিজ আলীর ছেলে তাহের মিয়া (৩০), উসমান মিয়ার ছেলে শামীম (২০), ইমন মিয়ার কলোনির মো. আব্দুল করিম তালুকদারের ছেলে মো. স্বপন মিয়া (৫৫), রঙ্গ মিয়ার ছেলে জসিম (৪৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মো. বাদল (৩৮) এবং আবুল কালামের ছেলে সুজাত মিয়া (৩৫)।

মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় মা হত্যায় ছেলে গ্রেপ্তার

খুলনা প্রতিনিধি
মো. রিয়াদ খান।  ছবি: সংগৃহীত
মো. রিয়াদ খান। ছবি: সংগৃহীত

খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র‌্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার রিয়াদ শিউলী বেগমের একমাত্র ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০ টাকা, দুটি আইফোন, একটি স্মার্টফোন ও একটি এয়ারপড জব্দ করা হয়।

র‌্যাবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, নিহত শিউলি বেগম সৌদি আরবপ্রবাসী ছিলেন। গত ২৭ অক্টোবর দুই মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। পরে নগরীর ট্যাংক রোডের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের বাড়ির নিচতলায় ছেলে রিয়াদ খান এবং দ্বিতীয় স্বামী সাগরকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।

দেশে আসার ১০-১২ দিন পরে উত্তরা ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আলমারিতে রেখে দেন।

৯ ডিসেম্বর রাতে শিউলী বেগমের বড় মেয়ে রুবিনা আক্তার এবং তাঁর স্বামী রাজিব রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে চলে যান। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকে শিউলী বেগমকে ফোনে না পেয়ে রুবিনা আক্তারকে খোঁজ নিতে বলেন তাঁর স্বামী।

কিন্তু খোঁজ নিয়ে তাঁর সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘর থেকে শিউলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরে তাঁর ঘর থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। শিউলী বেগম হত্যার পর থেকে একমাত্র ছেলে রিয়াদ খানেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই রায়হান গাজী বাদী হয়ে শিউলী বেগমের ছেলে রিয়াদ খানকে আসামি করে মামলা করেন। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব খুলনা-৬ ও ৭-এর একটি দল তাঁকে ফেনী সদর থেকে গ্রেপ্তার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে তিন চোখ ও দুই মুখের বাছুরের জন্ম, এলাকায় চাঞ্চল্য

নরসিংদী প্রতিনিধি
পুবেরগাঁও গ্রামের একটি খামারে বাছুরটির জন্ম। ছবি: আজকের পত্রিকা
পুবেরগাঁও গ্রামের একটি খামারে বাছুরটির জন্ম। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।

খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।

তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।

ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’

আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’

এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ নিহত ৩

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নারীরা হলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওয়ালেরটেক গ্রামের মোবারক হোসেনের স্ত্রী সাদিয়া বেগম (২৪), একই এলাকার বাবু মিয়ার মেয়ে অনাদি আক্তার (১৩) এবং নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মরজাল এলাকার বাসিন্দা কমলা বেগম (৫৫)। নিহত কমলা বেগম ও অনাদি আক্তার সম্পর্কে নানি-নাতনি এবং সাদিয়া বেগম তাঁদের প্রতিবেশী ছিলেন।

স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আড়িখোলা রেলব্রিজ এলাকায় রেললাইনের ওপর দিয়ে তিনজন হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী ‘উপকূল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি চলে আসে। এ সময় তাঁরা রেলব্রিজের ওপর থাকায় সেখান থেকে দ্রুত সরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। পরে ট্রেনটি তাঁদের ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই কমলা বেগম ও সাদিয়া বেগমের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অনাদি আক্তারকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জিয়াউর রহমান জানান, অনাদি আক্তারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল হক জানান, এটি রেলওয়ের আওতাধীন দুর্ঘটনা হওয়ায় রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।

রেলওয়ে নরসিংদী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) দিলীপ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করেছি। নিহত নারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিনা ময়নাতদন্তে লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত