Ajker Patrika

মুক্তিযোদ্ধার নাতি সেজে ১২ বছর পুলিশে চাকরি, অবশেষে গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৫, ২০: ০৩
শেখ সুমন । ছবি: সংগৃহীত
শেখ সুমন । ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি বলে মিথ্যা পরিচয়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে শেখ সুমন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দীর্ঘ ১২ বছর পর তদন্তে তাঁর প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভারত থেকে দেশে ফিরলে আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা হওয়ার আগে থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। শনিবার (১ মার্চ) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে ওই পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রতারণার অভিযোগ ওঠা ওই পুলিশ সদস্যের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া গ্রামে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট এলাকা থেকে মো. সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি শুক্রবার ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন। শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আখাউড়া উপজেলার মোগড়া গ্রামের বাসিন্দা নান্নু মিয়ার ছেলে মো. সুমন। ২০১২ সালে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পরীক্ষায় অংশ নেন এবং মুক্তিযোদ্ধার নাতি কোটায় চাকরির জন্য প্রতিবেশী মো. হোসেন মিয়ার মুক্তিযোদ্ধা সনদ দাখিল করেন।

প্রকৃতপক্ষে, হোসেন মিয়া তাঁর দাদা নন। এই প্রতারণার বিষয়ে ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর স্থানীয় যুবক মো. ফরহাদ মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগের পর তৎকালীন কসবা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেনকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই পুলিশ কর্মকর্তা সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত মো. সুমন ২০১২ সালের ৩ জুলাই ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পরীক্ষার সময় তাঁর প্রতিবেশী হোসেন মিয়ার মুক্তিযোদ্ধার সনদ ব্যবহার করে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন।

পরবর্তী বিধি মোতাবেক পুলিশ ভেরিফিকেশনের (ভিআর) পর ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষ করে ২০১৩ সালের ২৯ মার্চ থেকে কনস্টেবল পদে চাকরি করে আসছিলেন।

প্রকৃতপক্ষে মো. সুমনের দাখিল করা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হোসেন মিয়া (অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য) তাঁর দাদা নন। সুমনের দাদার নাম আলতাফ আলী হোসেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হোসেন মিয়ার নাতি না হয়েও ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যের মুক্তিযোদ্ধা সনদ দাখিল করে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়ে যাবতীয় বেতন, রেশনসহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায় কর্মরত থাকা কনস্টেবল সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলাকালেই গত বছরের ১ ডিসেম্বর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে তিনি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। ২১ ডিসেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাসদের কেন্দ্রীয় নেতাকে এনসিপির আহ্বায়ক করায় সদস্যসচিবের পদত্যাগ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
এনসিপির গাইবান্ধা জেলা কমিটির সদস্যসচিব মাওলানা শাহ মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
এনসিপির গাইবান্ধা জেলা কমিটির সদস্যসচিব মাওলানা শাহ মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সম্প্রতি গাইবান্ধা জেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদিকে আহ্বায়ক করা হয়। তার প্রতিবাদ জানিয়ে সদস্যসচিব মাওলানা শাহ মাহমুদ তাঁর পদ থেকে পদত্যাগের আবেদন করেছেন। আজ রোববার বিকেলে মাওলানা শাহ মাহমুদ নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।

এর আগে ২ ডিসেম্বর দলটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম স্বাক্ষরিত গাইবান্ধা জেলা আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে জাসদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদিকে আহ্বায়ক ও মাওলানা শাহ মাহমুদকে সদস্যসচিব করে ৫২ সদস্যবিশিষ্ট গাইবান্ধা জেলা আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন হয়।

সদস্যসচিব মাওলানা শাহ মাহমুদ পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন, ‘আমি কিছুদিন পূর্বে গাইবান্ধা জেলার জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। দলের প্রতি আন্তরিকতা ও আদর্শিক অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা নিয়ে কাজ চলমান রেখেছি। আমি দায়িত্ব নেবার পরেই দলের পরিচিতি সভা করেছি। জুলাই আগস্ট এ আহত ভাইবোনদের খোঁজখবর নিচ্ছি, যাচ্ছি শহীদ পরিবারের পাশে, ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতার পাশাপাশি আমি সাংগঠনিক কাজ এগিয়ে নিচ্ছিলাম। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দলের অভ্যন্তরীণ পরিবেশে যে পরিবর্তন লক্ষ করছি, তা আমার ব্যক্তিগত নীতি, গণতান্ত্রিক বিশ্বাস ও সাংগঠনিক মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

‘অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাত দিনের ভেতরে বিনা নোটিশে পুনরায় কমিটি দিয়ে সংশোধিত আহ্বায়ক কমিটিতে আমাকে সদস্যসচিব মনোনীত করছেন। কিন্তু যাকে আহ্বায়ক মনোনীত করা হয়েছে, তিনি আওয়ামীপন্থী ১৪ দলের শরিক জাসদের সক্রিয় নেতা, হাসানুল হক ইনুর খাস অনুসারী। গত মাসেও তিনি তাঁর সাংগঠনিক কাজ করেছেন। হঠাৎ কীভাবে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে পুনর্বাসিত হলো, আমরা বুঝতে পারছি না। ফ্যাসিবাদের দোসরকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি গাইবান্ধা জেলায় নেতৃত্ব দেওয়া আমার পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়। জুলাই-আগস্ট পরিপন্থী কাজ আমি করতে পারব না। কারণ, জুলাইয়ে আমার জেলায় ছয়জন ভাই শহীদ হয়েছেন এবং ৩০০-এর কাছাকাছি আহত হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব মাওলানা শাহ মাহমুদ বলেন, ‘শনিবার এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক-সদস্যসচিব বরাবরে পদত্যাগের আবেদন করছি। ফ্যাসিবাদী শক্তি জাতীয় নাগরিক পার্টিতে পুনর্বাসিত হওয়াকে জুলাই শহীদ, আহতদের সঙ্গে গাদ্দারি করার সমান। এসব কারণে দায়িত্ব পালন করা আমার জন্য কঠিন হয়ে উঠেছে। তাই গভীর বিবেচনা ও সমালোচনার পর আমি এনসিপির সদস্যসচিব পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে কর্মচারীকে দিয়ে নারীর অস্ত্রোপচার, হাসপাতাল সিলগালা

ফরিদপুর প্রতিনিধি
কর্মচারীকে দিয়ে রোগীর অস্ত্রোপচারের ঘটনায় আজ রোববার ফরিদপুর শহরের সুরক্ষা প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কর্মচারীকে দিয়ে রোগীর অস্ত্রোপচারের ঘটনায় আজ রোববার ফরিদপুর শহরের সুরক্ষা প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরে সুরক্ষা প্রাইভেট হাসপাতালে কর্মচারীকে দিয়ে এক নারীর অস্ত্রোপচারের ঘটনায় হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার নাঈমের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিন্টু বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালের ক্লিনার (পরিচ্ছন্নতাকর্মী) নিয়ামুলকে দিয়ে অস্ত্রোপচার করা ও অপারেশন থিয়েটারের ফ্রিজ বন্ধ থাকা এবং ভেতরে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়ার কারণে হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে।

হাসপাতালটিতে কর্মচারীকে দিয়ে নারীর অস্ত্রোপচারের ঘটনায় আজ আজকের পত্রিকায় ‘অস্ত্রোপচারে ওটির কর্মচারী, অঙ্গ হারালেন নারী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। হাসপাতালটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটকের বিপরীতে অবস্থিত।

জানা গেছে, হাসপাতালটিতে গত ১৮ নভেম্বর স্তনের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসক দেখাতে যান জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের খাসকান্দি গ্রামের সৌদিপ্রবাসী সরোয়ার আলমের স্ত্রী ববিতা বেগম (২৮)। চিকিৎসক তাঁকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাধ্যমে বায়োপসি পরীক্ষার কথা বলেন। তিনি চিকিৎসকের কক্ষ থেকে বের হওয়ার পর হাসপাতালটির ওটি কক্ষের দায়িত্বে থাকা নিয়ামুল শেখ (নিয়োগপত্র অনুযায়ী ক্লিনার) তাঁকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মেডিকেলে যেতে নিষেধ করেন এবং নিজেই করতে পারেন বলে জানান। পরে তাঁর কথা অনুযায়ী অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে অস্ত্রোপচার করে স্তনের টিস্যু সংগ্রহ করেন।

ভুক্তভোগী নারী ববিতা বেগম জানান, অপারেশন শেষে চারটি সেলাই দেন এবং নিয়ামুল নিজেই প্রেসক্রিপশন লিখে দেন। এ ঘটনার ১৫ দিন পর অস্ত্রোপচারস্থলে মাত্রাতিরিক্ত সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে ৪ ডিসেম্বর ফরিদপুর সেন্ট্রাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসকের মাধ্যমে তাঁর সংক্রমিত স্তনের অধিকাংশ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন আছেন।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মাহামুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কর্মচারীকে দিয়ে এক নারীর অস্ত্রোপচারের ঘটনায় ডেপুটি সিভিল সার্জন বদরুদ্দোজা টিটোকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী নগরের বহরমপুর ডিবি আনোয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী নগরের বহরমপুর ডিবি আনোয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কর্মবিরতি শেষে বিদ্যালয়ে ঢুকতে চেয়েছিলেন সহকারী শিক্ষকেরা। তবে অভিভাবকেরা তাঁদের ঢুকতে দেননি। সন্তানদের পরীক্ষা নিয়েছেন তাঁরা নিজেরাই। আজ রোববার সকালে রাজশাহী নগরের বহরমপুর ডিবি আনোয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটে।

পরে একজন শিক্ষা কর্মকর্তা এলে তাঁর মধ্যস্থতায় শিক্ষকেরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেন। তবে এর আগেই পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। এর আগে উত্তেজিত অভিভাবকেরা বিদ্যালয়ের দুটি ভবনে তালা ঝুলিয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব নিজেরাই হাতে নেন। সকাল থেকে তাঁরা পরীক্ষাও নেন।

অভিভাবকদের অভিযোগ, এক সপ্তাহ ধরে বার্ষিক পরীক্ষা চললেও সহকারী শিক্ষকেরা আসেননি। তিনটি বিষয়ে তাঁরাই পরীক্ষা নিয়েছেন। শিক্ষকদের মনোযোগহীনতা ও দফায় দফায় আন্দোলন শিক্ষার্থীদের শেখার মান ভয়াবহভাবে কমিয়ে দিয়েছে বলেও তাঁদের অভিযোগ। তাই কর্মবিরতি শেষে শিক্ষকেরা এলে তাঁরা তাঁদের প্রবেশ করতে দেননি।

জেসমিন আরা নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘সারা বছর ঠিকভাবে পড়ানো হয়নি আর পরীক্ষা শুরুর পর আবার কর্মবিরতি। আমরা সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় আছি, তাই নিজেরাই পরীক্ষা নিয়েছি।’ স্বপ্না বেগম নামের আরও এক অভিভাবক বলেন, ‘শিক্ষকেরা হঠাৎ হাজির হয়ে পরীক্ষা নিতে চাইলে আমরা স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হই। সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছেন তাঁরাই।’

বিদ্যালয় চত্বরে তালা দেওয়ার সময় বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন সহকারী শিক্ষকেরা। ঘটনাটি জানানো হলে একজন শিক্ষা কর্মকর্তা এসে শিক্ষক-অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। আলোচনা চলাকালেও দ্বিতীয় শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা দিতে দেখা যায়।

সহকারী শিক্ষকেরা দাবি করেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাঁরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর পরীক্ষায় অংশ নিতে এলেও অভিভাবকেরা তাঁদের দায়িত্ব নিতে দেননি। সহকারী শিক্ষক আসিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা কর্মসূচির কারণে দায়িত্ব পালন করতে পারিনি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পরীক্ষা নিতে এসেছি, কিন্তু আমাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম বেগম বলেন, ‘অভিভাবক ও শিক্ষক উভয় পক্ষের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল। শিক্ষা অফিস থেকে একজন কর্মকর্তা আসার পর আমরা চেষ্টা করেছি আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। শিক্ষকেরা ঢুকেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অবৈধ ট্রাক টার্মিনাল উচ্ছেদ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহে সওজের জমিতে থাকা অবৈধ ট্রাক টার্মিনাল উচ্ছেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝিনাইদহে সওজের জমিতে থাকা অবৈধ ট্রাক টার্মিনাল উচ্ছেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের মালিকানাধীন ১৩১ শতাংশ জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে পৌর শহরের কাঞ্চনপুর এলাকায় ট্রাক টার্মিনালে এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন, সহকারী প্রকৌশলী ও স্টাফ অফিসার মো. আহসান উল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যমতে, পৌর এলাকার কাঞ্চনপুর মৌজায় ১৩১ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। জমিটিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মহল অবৈধভাবে ট্রাক টার্মিনাল এবং বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ ও যানবাহন পার্কিং করে আসছিল। এসব স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ প্রদান ও পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং মাইকিং করা হয়। কিন্তু স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি অনেকেই।

ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সড়ক বিভাগের অধিগ্রহণকৃত ১৩১ শতাংশ জায়গা দীর্ঘদিন যাবৎ দখল করে ট্রাক টার্মিনাল করা হয়েছিল। জায়গাটি বিভিন্ন সময়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে। আবারও তা দখল হয়ে গিয়েছে। আমরা পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও মাইকিং করেছি। আমরা জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় আজকে সকল প্রকার অবৈধ স্থাপনা ও দখলদার উচ্ছেদ করতে সফল হলাম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত