বগুড়া প্রতিনিধি

জাতীয় সংসদকে হাস্যকর বানাতে সাধারণ মানুষকে হিরো আলমের পক্ষে ভোট দিতে বিএনপি-জামায়াত গোপনে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) উপনির্বাচনে হিরো আলম এত ভোট পাওয়ার পেছনে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
তবে এই দাবি ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে বিএনপির নেতারা বলছেন, নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে হিরো আলম পাঁচ-ছয় শর বেশি ভোট পেতেন না; বরং ধানের শীষ প্রতীক না থাকায় আর আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষোভ থেকে মানুষ হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।
এদিকে বগুড়ায় এখন সর্বস্তরে আলোচনায় আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। কেউ বলছেন, বিএনপি-জামায়াতের একাংশের ভোট পেয়েছেন হিরো আলম। আবার কেউ বলছেন, সাধারণ মানুষ ভালোবেসেই তাঁকে ভোট দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার এ নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের অনেকে মনে করেন, হিরো আলম পাস করেছিলেন, কিন্তু তাঁকে হারানো হয়েছে। শেষ মুহূর্তে ফল পাল্টে দিয়ে জাসদের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
রিকশাচালক খোরশেদ, জুম্মান, রবিউল বিশ্বাস মনে করেন, সরকারের ওপর মহলের নির্দেশে হিরো আলমকে ভোটে জিততে দেওয়া হয়নি। ফুটপাতে ফল বিক্রেতা করিম, আসালত, ছালাম ও আখের আলীর ধারণা, হিরো আলম পাস করলে সংসদে তাঁর পাশে বসতে এমপি-মন্ত্রীদের লজ্জা লাগবে। এ কারণে অনেক ভোট পাওয়ার পরও হিরো আলমকে জয়ী ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
হিরো আলমের পরাজয় মানতে পারছেন না অনেকেই। বগুড়া শহরের রাজাবাজারে ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘ভোটের দিন কাহালু-নন্দীগ্রামে মানুষের মুখে যা শুনেছি, তাতে হিরো আলম নির্বাচিত হওয়ার কথা। আমার মনে হয়, হিরো আলম পাস করেছিলেন, কিন্তু ফল পাল্টে দিয়ে তাঁকে হারানো হয়েছে।’
সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলম এত ভোট পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনে সংসদকে হাস্যকর বানানোর উদ্দেশ্যেই হিরো আলমের মতো একজন জোকারকে তাঁরা গোপনে ভোট দিতে বলেছেন তাঁদের লোকজনকে। এ ছাড়া ফেসবুকের মাধ্যমে হিরো আলমের প্রতি আসক্তি থেকে কিছু তরুণ ভোটারও হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।’
নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমানে দাবি, ভোট শতভাগ সুষ্ঠু হয়েছে, হিরো আলম ছাড়া অন্য প্রার্থীরা মিডিয়ার কাছে এ কথা বলেছেন। বিএনপি-জামায়াতের শেখানো কথা বলছেন হিরো আলম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংসদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই হিরো আলমকে তাঁদের লোকজন ভোট দিয়েছে।’
কাহালু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন আজাদ বলেন, ‘বিএনপির লোকজন ভোট দিলে ১৫ ভাগ ভোট পড়ত না। বিএনপি ভোটে গেলে হিরো আলমের ভোট পাঁচ-ছয় শর বেশি হতো না।’ তিনি বলেন, ‘যুবসমাজ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সমাজের সেই অংশটি হিরো আলমকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে তাদের অবস্থান কোথায় তা দেখিয়েছে।’
নন্দীগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন সরকার বলেন, ‘ধানের শীষ প্রতীক না থাকায় আর আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষোভ থেকেই মানুষ হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির কেউ ভোটকেন্দ্রে যাননি। এই আসনে নৌকা প্রতীক না থাকায় আওয়ামী লীগের অনেকেই হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।’
সাধারণ মানুষ হিরো আলমকে প্রতিবাদ হিসেবে ভোট দিয়েছেন বলে উল্লেখ করে কাহালু উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও কলেজশিক্ষক মাকছুদার রহমান মাছুদ বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি, কথার সঙ্গে কাজের মিল না থাকা, ভোটে জেতার পর জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন কারণে তাঁদের প্রতি ক্ষোভ ও বিতৃষ্ণা জন্মেছে মানুষের মধ্যে। হিরো আলমকে ভোট দিয়ে তারা তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।’
বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের রাজনৈতিক চরিত্র নেই, এটা স্বীকার করতে হবে। সাধারণ মানুষ থেকে তারা দূরে সরে গেছে। রাজনীতিবিদদের নিয়ে সাধারণ মানুষ একধরনের হতাশায় ভুগছে। সেই হতাশা থেকেই আবেগপ্রবণ বাঙালি হিরো আলমকে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করেছে।’
হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। বগুড়া-৪ আসনে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি। ভোট পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১টি। আর বগুড়া-৬ আসনে পেয়েছেন ৫ হাজার ২৭৪ ভোট।
২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে হিরো আলম প্রার্থী হয়েছিলেন বগুড়া-৪ আসনে। সেবার তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৬৩২টি। কিন্তু এবার এত ভোট কীভাবে পেলেন হিরো আলম, এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে মাঠে কাজ শুরু করেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের মতে, জামায়াত-বিএনপির হাত রয়েছে হিরো আলমের ভোটের পেছনে।

জাতীয় সংসদকে হাস্যকর বানাতে সাধারণ মানুষকে হিরো আলমের পক্ষে ভোট দিতে বিএনপি-জামায়াত গোপনে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) উপনির্বাচনে হিরো আলম এত ভোট পাওয়ার পেছনে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
তবে এই দাবি ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে বিএনপির নেতারা বলছেন, নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে হিরো আলম পাঁচ-ছয় শর বেশি ভোট পেতেন না; বরং ধানের শীষ প্রতীক না থাকায় আর আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষোভ থেকে মানুষ হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।
এদিকে বগুড়ায় এখন সর্বস্তরে আলোচনায় আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। কেউ বলছেন, বিএনপি-জামায়াতের একাংশের ভোট পেয়েছেন হিরো আলম। আবার কেউ বলছেন, সাধারণ মানুষ ভালোবেসেই তাঁকে ভোট দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার এ নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের অনেকে মনে করেন, হিরো আলম পাস করেছিলেন, কিন্তু তাঁকে হারানো হয়েছে। শেষ মুহূর্তে ফল পাল্টে দিয়ে জাসদের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
রিকশাচালক খোরশেদ, জুম্মান, রবিউল বিশ্বাস মনে করেন, সরকারের ওপর মহলের নির্দেশে হিরো আলমকে ভোটে জিততে দেওয়া হয়নি। ফুটপাতে ফল বিক্রেতা করিম, আসালত, ছালাম ও আখের আলীর ধারণা, হিরো আলম পাস করলে সংসদে তাঁর পাশে বসতে এমপি-মন্ত্রীদের লজ্জা লাগবে। এ কারণে অনেক ভোট পাওয়ার পরও হিরো আলমকে জয়ী ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
হিরো আলমের পরাজয় মানতে পারছেন না অনেকেই। বগুড়া শহরের রাজাবাজারে ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘ভোটের দিন কাহালু-নন্দীগ্রামে মানুষের মুখে যা শুনেছি, তাতে হিরো আলম নির্বাচিত হওয়ার কথা। আমার মনে হয়, হিরো আলম পাস করেছিলেন, কিন্তু ফল পাল্টে দিয়ে তাঁকে হারানো হয়েছে।’
সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলম এত ভোট পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনে সংসদকে হাস্যকর বানানোর উদ্দেশ্যেই হিরো আলমের মতো একজন জোকারকে তাঁরা গোপনে ভোট দিতে বলেছেন তাঁদের লোকজনকে। এ ছাড়া ফেসবুকের মাধ্যমে হিরো আলমের প্রতি আসক্তি থেকে কিছু তরুণ ভোটারও হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।’
নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমানে দাবি, ভোট শতভাগ সুষ্ঠু হয়েছে, হিরো আলম ছাড়া অন্য প্রার্থীরা মিডিয়ার কাছে এ কথা বলেছেন। বিএনপি-জামায়াতের শেখানো কথা বলছেন হিরো আলম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংসদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই হিরো আলমকে তাঁদের লোকজন ভোট দিয়েছে।’
কাহালু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন আজাদ বলেন, ‘বিএনপির লোকজন ভোট দিলে ১৫ ভাগ ভোট পড়ত না। বিএনপি ভোটে গেলে হিরো আলমের ভোট পাঁচ-ছয় শর বেশি হতো না।’ তিনি বলেন, ‘যুবসমাজ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সমাজের সেই অংশটি হিরো আলমকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে তাদের অবস্থান কোথায় তা দেখিয়েছে।’
নন্দীগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন সরকার বলেন, ‘ধানের শীষ প্রতীক না থাকায় আর আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষোভ থেকেই মানুষ হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির কেউ ভোটকেন্দ্রে যাননি। এই আসনে নৌকা প্রতীক না থাকায় আওয়ামী লীগের অনেকেই হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।’
সাধারণ মানুষ হিরো আলমকে প্রতিবাদ হিসেবে ভোট দিয়েছেন বলে উল্লেখ করে কাহালু উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও কলেজশিক্ষক মাকছুদার রহমান মাছুদ বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি, কথার সঙ্গে কাজের মিল না থাকা, ভোটে জেতার পর জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন কারণে তাঁদের প্রতি ক্ষোভ ও বিতৃষ্ণা জন্মেছে মানুষের মধ্যে। হিরো আলমকে ভোট দিয়ে তারা তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।’
বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের রাজনৈতিক চরিত্র নেই, এটা স্বীকার করতে হবে। সাধারণ মানুষ থেকে তারা দূরে সরে গেছে। রাজনীতিবিদদের নিয়ে সাধারণ মানুষ একধরনের হতাশায় ভুগছে। সেই হতাশা থেকেই আবেগপ্রবণ বাঙালি হিরো আলমকে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করেছে।’
হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। বগুড়া-৪ আসনে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি। ভোট পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১টি। আর বগুড়া-৬ আসনে পেয়েছেন ৫ হাজার ২৭৪ ভোট।
২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে হিরো আলম প্রার্থী হয়েছিলেন বগুড়া-৪ আসনে। সেবার তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৬৩২টি। কিন্তু এবার এত ভোট কীভাবে পেলেন হিরো আলম, এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে মাঠে কাজ শুরু করেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের মতে, জামায়াত-বিএনপির হাত রয়েছে হিরো আলমের ভোটের পেছনে।
বগুড়া প্রতিনিধি

জাতীয় সংসদকে হাস্যকর বানাতে সাধারণ মানুষকে হিরো আলমের পক্ষে ভোট দিতে বিএনপি-জামায়াত গোপনে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) উপনির্বাচনে হিরো আলম এত ভোট পাওয়ার পেছনে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
তবে এই দাবি ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে বিএনপির নেতারা বলছেন, নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে হিরো আলম পাঁচ-ছয় শর বেশি ভোট পেতেন না; বরং ধানের শীষ প্রতীক না থাকায় আর আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষোভ থেকে মানুষ হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।
এদিকে বগুড়ায় এখন সর্বস্তরে আলোচনায় আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। কেউ বলছেন, বিএনপি-জামায়াতের একাংশের ভোট পেয়েছেন হিরো আলম। আবার কেউ বলছেন, সাধারণ মানুষ ভালোবেসেই তাঁকে ভোট দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার এ নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের অনেকে মনে করেন, হিরো আলম পাস করেছিলেন, কিন্তু তাঁকে হারানো হয়েছে। শেষ মুহূর্তে ফল পাল্টে দিয়ে জাসদের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
রিকশাচালক খোরশেদ, জুম্মান, রবিউল বিশ্বাস মনে করেন, সরকারের ওপর মহলের নির্দেশে হিরো আলমকে ভোটে জিততে দেওয়া হয়নি। ফুটপাতে ফল বিক্রেতা করিম, আসালত, ছালাম ও আখের আলীর ধারণা, হিরো আলম পাস করলে সংসদে তাঁর পাশে বসতে এমপি-মন্ত্রীদের লজ্জা লাগবে। এ কারণে অনেক ভোট পাওয়ার পরও হিরো আলমকে জয়ী ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
হিরো আলমের পরাজয় মানতে পারছেন না অনেকেই। বগুড়া শহরের রাজাবাজারে ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘ভোটের দিন কাহালু-নন্দীগ্রামে মানুষের মুখে যা শুনেছি, তাতে হিরো আলম নির্বাচিত হওয়ার কথা। আমার মনে হয়, হিরো আলম পাস করেছিলেন, কিন্তু ফল পাল্টে দিয়ে তাঁকে হারানো হয়েছে।’
সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলম এত ভোট পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনে সংসদকে হাস্যকর বানানোর উদ্দেশ্যেই হিরো আলমের মতো একজন জোকারকে তাঁরা গোপনে ভোট দিতে বলেছেন তাঁদের লোকজনকে। এ ছাড়া ফেসবুকের মাধ্যমে হিরো আলমের প্রতি আসক্তি থেকে কিছু তরুণ ভোটারও হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।’
নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমানে দাবি, ভোট শতভাগ সুষ্ঠু হয়েছে, হিরো আলম ছাড়া অন্য প্রার্থীরা মিডিয়ার কাছে এ কথা বলেছেন। বিএনপি-জামায়াতের শেখানো কথা বলছেন হিরো আলম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংসদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই হিরো আলমকে তাঁদের লোকজন ভোট দিয়েছে।’
কাহালু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন আজাদ বলেন, ‘বিএনপির লোকজন ভোট দিলে ১৫ ভাগ ভোট পড়ত না। বিএনপি ভোটে গেলে হিরো আলমের ভোট পাঁচ-ছয় শর বেশি হতো না।’ তিনি বলেন, ‘যুবসমাজ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সমাজের সেই অংশটি হিরো আলমকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে তাদের অবস্থান কোথায় তা দেখিয়েছে।’
নন্দীগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন সরকার বলেন, ‘ধানের শীষ প্রতীক না থাকায় আর আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষোভ থেকেই মানুষ হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির কেউ ভোটকেন্দ্রে যাননি। এই আসনে নৌকা প্রতীক না থাকায় আওয়ামী লীগের অনেকেই হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।’
সাধারণ মানুষ হিরো আলমকে প্রতিবাদ হিসেবে ভোট দিয়েছেন বলে উল্লেখ করে কাহালু উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও কলেজশিক্ষক মাকছুদার রহমান মাছুদ বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি, কথার সঙ্গে কাজের মিল না থাকা, ভোটে জেতার পর জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন কারণে তাঁদের প্রতি ক্ষোভ ও বিতৃষ্ণা জন্মেছে মানুষের মধ্যে। হিরো আলমকে ভোট দিয়ে তারা তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।’
বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের রাজনৈতিক চরিত্র নেই, এটা স্বীকার করতে হবে। সাধারণ মানুষ থেকে তারা দূরে সরে গেছে। রাজনীতিবিদদের নিয়ে সাধারণ মানুষ একধরনের হতাশায় ভুগছে। সেই হতাশা থেকেই আবেগপ্রবণ বাঙালি হিরো আলমকে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করেছে।’
হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। বগুড়া-৪ আসনে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি। ভোট পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১টি। আর বগুড়া-৬ আসনে পেয়েছেন ৫ হাজার ২৭৪ ভোট।
২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে হিরো আলম প্রার্থী হয়েছিলেন বগুড়া-৪ আসনে। সেবার তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৬৩২টি। কিন্তু এবার এত ভোট কীভাবে পেলেন হিরো আলম, এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে মাঠে কাজ শুরু করেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের মতে, জামায়াত-বিএনপির হাত রয়েছে হিরো আলমের ভোটের পেছনে।

জাতীয় সংসদকে হাস্যকর বানাতে সাধারণ মানুষকে হিরো আলমের পক্ষে ভোট দিতে বিএনপি-জামায়াত গোপনে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) উপনির্বাচনে হিরো আলম এত ভোট পাওয়ার পেছনে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
তবে এই দাবি ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে বিএনপির নেতারা বলছেন, নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে হিরো আলম পাঁচ-ছয় শর বেশি ভোট পেতেন না; বরং ধানের শীষ প্রতীক না থাকায় আর আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষোভ থেকে মানুষ হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।
এদিকে বগুড়ায় এখন সর্বস্তরে আলোচনায় আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। কেউ বলছেন, বিএনপি-জামায়াতের একাংশের ভোট পেয়েছেন হিরো আলম। আবার কেউ বলছেন, সাধারণ মানুষ ভালোবেসেই তাঁকে ভোট দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার এ নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের অনেকে মনে করেন, হিরো আলম পাস করেছিলেন, কিন্তু তাঁকে হারানো হয়েছে। শেষ মুহূর্তে ফল পাল্টে দিয়ে জাসদের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
রিকশাচালক খোরশেদ, জুম্মান, রবিউল বিশ্বাস মনে করেন, সরকারের ওপর মহলের নির্দেশে হিরো আলমকে ভোটে জিততে দেওয়া হয়নি। ফুটপাতে ফল বিক্রেতা করিম, আসালত, ছালাম ও আখের আলীর ধারণা, হিরো আলম পাস করলে সংসদে তাঁর পাশে বসতে এমপি-মন্ত্রীদের লজ্জা লাগবে। এ কারণে অনেক ভোট পাওয়ার পরও হিরো আলমকে জয়ী ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
হিরো আলমের পরাজয় মানতে পারছেন না অনেকেই। বগুড়া শহরের রাজাবাজারে ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘ভোটের দিন কাহালু-নন্দীগ্রামে মানুষের মুখে যা শুনেছি, তাতে হিরো আলম নির্বাচিত হওয়ার কথা। আমার মনে হয়, হিরো আলম পাস করেছিলেন, কিন্তু ফল পাল্টে দিয়ে তাঁকে হারানো হয়েছে।’
সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলম এত ভোট পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনে সংসদকে হাস্যকর বানানোর উদ্দেশ্যেই হিরো আলমের মতো একজন জোকারকে তাঁরা গোপনে ভোট দিতে বলেছেন তাঁদের লোকজনকে। এ ছাড়া ফেসবুকের মাধ্যমে হিরো আলমের প্রতি আসক্তি থেকে কিছু তরুণ ভোটারও হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।’
নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমানে দাবি, ভোট শতভাগ সুষ্ঠু হয়েছে, হিরো আলম ছাড়া অন্য প্রার্থীরা মিডিয়ার কাছে এ কথা বলেছেন। বিএনপি-জামায়াতের শেখানো কথা বলছেন হিরো আলম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংসদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই হিরো আলমকে তাঁদের লোকজন ভোট দিয়েছে।’
কাহালু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন আজাদ বলেন, ‘বিএনপির লোকজন ভোট দিলে ১৫ ভাগ ভোট পড়ত না। বিএনপি ভোটে গেলে হিরো আলমের ভোট পাঁচ-ছয় শর বেশি হতো না।’ তিনি বলেন, ‘যুবসমাজ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সমাজের সেই অংশটি হিরো আলমকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে তাদের অবস্থান কোথায় তা দেখিয়েছে।’
নন্দীগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন সরকার বলেন, ‘ধানের শীষ প্রতীক না থাকায় আর আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষোভ থেকেই মানুষ হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির কেউ ভোটকেন্দ্রে যাননি। এই আসনে নৌকা প্রতীক না থাকায় আওয়ামী লীগের অনেকেই হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।’
সাধারণ মানুষ হিরো আলমকে প্রতিবাদ হিসেবে ভোট দিয়েছেন বলে উল্লেখ করে কাহালু উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও কলেজশিক্ষক মাকছুদার রহমান মাছুদ বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি, কথার সঙ্গে কাজের মিল না থাকা, ভোটে জেতার পর জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন কারণে তাঁদের প্রতি ক্ষোভ ও বিতৃষ্ণা জন্মেছে মানুষের মধ্যে। হিরো আলমকে ভোট দিয়ে তারা তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।’
বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের রাজনৈতিক চরিত্র নেই, এটা স্বীকার করতে হবে। সাধারণ মানুষ থেকে তারা দূরে সরে গেছে। রাজনীতিবিদদের নিয়ে সাধারণ মানুষ একধরনের হতাশায় ভুগছে। সেই হতাশা থেকেই আবেগপ্রবণ বাঙালি হিরো আলমকে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করেছে।’
হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। বগুড়া-৪ আসনে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি। ভোট পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১টি। আর বগুড়া-৬ আসনে পেয়েছেন ৫ হাজার ২৭৪ ভোট।
২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে হিরো আলম প্রার্থী হয়েছিলেন বগুড়া-৪ আসনে। সেবার তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৬৩২টি। কিন্তু এবার এত ভোট কীভাবে পেলেন হিরো আলম, এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে মাঠে কাজ শুরু করেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের মতে, জামায়াত-বিএনপির হাত রয়েছে হিরো আলমের ভোটের পেছনে।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় হেলমেটধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিক ইসলাম (৫৫) হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে মামলার পর পুলিশ ফারুক হোসেন (২৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
৩ মিনিট আগে
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
১৩ মিনিট আগে
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
২০ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেদৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় হেলমেটধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিক ইসলাম (৫৫) হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে মামলার পর পুলিশ ফারুক হোসেন (২৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ বলছে, রফিক ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে আল আমিন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু একাধিকবার চাওয়ার পরও সেই টাকা পরিশোধ না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আল আমিন লোকজন নিয়ে রফিককে গুলি করে করেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পচাভিটা এলাকায় একটি চায়ের দোকানে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ সময় রফিক ইসলাম গুলিতে নিহত এবং দুজন আহত হন।
রফিকুল ইসলাম উপজেলার পচাভিটা গ্রামের বাসিন্দা। আহত হয়েছেন একই গ্রামের রবজেল ফরাজি (৫২) ও ইউসুফ হোসেন (৫৫)। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ঘটনার পর রাতেই দৌলতপুর থানা-পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) যৌথভাবে তদন্তে নামে। আজ সকালে নিহতের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি পচাভিটা গ্রামের ফুলচাঁদ আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে আল আমিন নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন রফিক। তবে দীর্ঘদিনেও তিনি সেই টাকা পরিশোধ করেননি। এ নিয়ে আল আমিন ক্ষুব্ধ ছিলেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার রফিক ও তাঁর স্ত্রী ব্যাংক থেকে ৫৪ হাজার টাকা তুলেছেন বলে খবর পান আল আমিন। পরে টাকা পরিশোধ করতে বলা নিয়ে কামালপুর বাজারে আল আমিনের সঙ্গে রফিকের কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জেরে সন্ধ্যায় আল আমিন ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। রফিক ওই দোকানে বসে চা পান করছিলেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মহসিন আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হেলমেটধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিক নিহত হওয়ার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরে আসামিকে আদালতে হাজির করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।’

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় হেলমেটধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিক ইসলাম (৫৫) হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে মামলার পর পুলিশ ফারুক হোসেন (২৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ বলছে, রফিক ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে আল আমিন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু একাধিকবার চাওয়ার পরও সেই টাকা পরিশোধ না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আল আমিন লোকজন নিয়ে রফিককে গুলি করে করেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পচাভিটা এলাকায় একটি চায়ের দোকানে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ সময় রফিক ইসলাম গুলিতে নিহত এবং দুজন আহত হন।
রফিকুল ইসলাম উপজেলার পচাভিটা গ্রামের বাসিন্দা। আহত হয়েছেন একই গ্রামের রবজেল ফরাজি (৫২) ও ইউসুফ হোসেন (৫৫)। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ঘটনার পর রাতেই দৌলতপুর থানা-পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) যৌথভাবে তদন্তে নামে। আজ সকালে নিহতের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি পচাভিটা গ্রামের ফুলচাঁদ আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে আল আমিন নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন রফিক। তবে দীর্ঘদিনেও তিনি সেই টাকা পরিশোধ করেননি। এ নিয়ে আল আমিন ক্ষুব্ধ ছিলেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার রফিক ও তাঁর স্ত্রী ব্যাংক থেকে ৫৪ হাজার টাকা তুলেছেন বলে খবর পান আল আমিন। পরে টাকা পরিশোধ করতে বলা নিয়ে কামালপুর বাজারে আল আমিনের সঙ্গে রফিকের কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জেরে সন্ধ্যায় আল আমিন ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। রফিক ওই দোকানে বসে চা পান করছিলেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মহসিন আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হেলমেটধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিক নিহত হওয়ার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরে আসামিকে আদালতে হাজির করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।’

জাতীয় সংসদকে হাস্যকর বানাতে সাধারণ মানুষকে হিরো আলমের পক্ষে ভোট দিতে বিএনপি-জামায়াত গোপনে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) উপনির্বাচনে হিরো আলম এত ভোট পাওয়ার পেছনে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
১৩ মিনিট আগে
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
২০ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে কোরআনের বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম থেকে ইসলামের বিজয়ের বাঁশি বাজানো হবে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরের লালদীঘি ময়দানে আয়োজিত আট দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের শীর্ষ এ নেতা এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আট দলের বিজয় চাই না, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। সেই আকাঙ্ক্ষার বিজয় হবে কোরআনের মাধ্যমে।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ফ্যাসিবাদীদের উন্নয়নের বয়ান নিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদীরা আমাদের উন্নয়নের গল্প শোনাত। তারা বলত, বাংলাদেশ এখন সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশ এখন কানাডায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ কানাডা হয়েছে তাদের জন্য, সিঙ্গাপুর হয়েছে তাদের জন্য। তারা নিজেদের উন্নয়ন করেছিল। রাস্তাঘাট তৈরি করেছিল রডের বদলে বাঁশ দিয়ে। কারণ, তারা বাংলাদেশের টাকা, ব্যাংকের টাকা লুট করে, ডাকাতি করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে গিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়েছে। বাংলদেশের টাকা পাচার করে কানাডায় বাড়ি করেছে।’
সমাবেশে জামায়াতের আমির আরও বলেন, এই ফ্যাসিবাদ শুধু রাজনৈতিক দলগুলোকে আঘাত করেনি, তারা বড় আঘাত করেছে আলেম-ওলামাদের ওপর।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহ রাসুলের বিরুদ্ধে কিছুসংখ্যক বেয়াদব কুৎসা রটিয়েছিল। সেটার প্রতিবাদ জানাতে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার রাজপথে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পালন করেছিলেন। সেই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ফ্যাসিবাদীরা রাতের আঁধারে বর্বরতম হামলা চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে খুন করেছিল। এতগুলো আলেম-ওলামার খুনের পর কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন—কেউ মারা যায়নি। আলেম-ওলামারা রং দিয়ে শুয়ে ছিল। এভাবে ফ্যাসিবাদীরা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল, রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদকে নতুন করে রুখে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না ইনশা আল্লাহ।’
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘এবার ইসলামি দলগুলো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার মাটিতে জেগে উঠেছে। আমরা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার কবর রচনা করে আল্লাহর আইনের বাস্তবায়ন করব। সব চক্রান্ত, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয় হবে ইনশা আল্লাহ।’

মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ গরিব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের রক্তে গড়া দেশ। বনেদিদের বাংলাদেশ আর থাকবে না। অনেক দল থেকে আসন সমঝোতার অফার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা এবার ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি ‘হ্যাঁ’ ভোটের বাক্স ভরতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সরকারকে তার দায় নিতে হবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ৫ আগস্টের আন্দোলনে হাজার হাজার জীবনের বিনিময়েও মানুষ মুক্তি পায়নি। আগামী দিনে আবারও চাঁদাবাজ, জামেলদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলে এই বৈষম্য থাকবে না। কেউ ১০ তলায় কেউ নিচতলায় থাকবে, সেটা আর হবে না।
মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে ইসলাম আগামী দিনে ক্ষমতায় যাবে ইনশা আল্লাহ। যথাসময়ে নির্বাচন দিতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ মানবে না। হুমকি-ধমকি চলবে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। আট দলের এই শক্তি ক্ষমতায় গেলে আপনারাই দেশ শাসন করবেন। কারও দাদার শক্তিতে এ দেশ আর চলবে না।’
সমাবেশে আট দলের অন্য শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী ও নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, খেলাফত আন্দোলনের আমির হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম চান প্রমুখ।

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে কোরআনের বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম থেকে ইসলামের বিজয়ের বাঁশি বাজানো হবে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরের লালদীঘি ময়দানে আয়োজিত আট দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের শীর্ষ এ নেতা এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আট দলের বিজয় চাই না, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। সেই আকাঙ্ক্ষার বিজয় হবে কোরআনের মাধ্যমে।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ফ্যাসিবাদীদের উন্নয়নের বয়ান নিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদীরা আমাদের উন্নয়নের গল্প শোনাত। তারা বলত, বাংলাদেশ এখন সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশ এখন কানাডায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ কানাডা হয়েছে তাদের জন্য, সিঙ্গাপুর হয়েছে তাদের জন্য। তারা নিজেদের উন্নয়ন করেছিল। রাস্তাঘাট তৈরি করেছিল রডের বদলে বাঁশ দিয়ে। কারণ, তারা বাংলাদেশের টাকা, ব্যাংকের টাকা লুট করে, ডাকাতি করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে গিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়েছে। বাংলদেশের টাকা পাচার করে কানাডায় বাড়ি করেছে।’
সমাবেশে জামায়াতের আমির আরও বলেন, এই ফ্যাসিবাদ শুধু রাজনৈতিক দলগুলোকে আঘাত করেনি, তারা বড় আঘাত করেছে আলেম-ওলামাদের ওপর।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহ রাসুলের বিরুদ্ধে কিছুসংখ্যক বেয়াদব কুৎসা রটিয়েছিল। সেটার প্রতিবাদ জানাতে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার রাজপথে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পালন করেছিলেন। সেই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ফ্যাসিবাদীরা রাতের আঁধারে বর্বরতম হামলা চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে খুন করেছিল। এতগুলো আলেম-ওলামার খুনের পর কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন—কেউ মারা যায়নি। আলেম-ওলামারা রং দিয়ে শুয়ে ছিল। এভাবে ফ্যাসিবাদীরা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল, রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদকে নতুন করে রুখে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না ইনশা আল্লাহ।’
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘এবার ইসলামি দলগুলো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার মাটিতে জেগে উঠেছে। আমরা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার কবর রচনা করে আল্লাহর আইনের বাস্তবায়ন করব। সব চক্রান্ত, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয় হবে ইনশা আল্লাহ।’

মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ গরিব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের রক্তে গড়া দেশ। বনেদিদের বাংলাদেশ আর থাকবে না। অনেক দল থেকে আসন সমঝোতার অফার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা এবার ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি ‘হ্যাঁ’ ভোটের বাক্স ভরতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সরকারকে তার দায় নিতে হবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ৫ আগস্টের আন্দোলনে হাজার হাজার জীবনের বিনিময়েও মানুষ মুক্তি পায়নি। আগামী দিনে আবারও চাঁদাবাজ, জামেলদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলে এই বৈষম্য থাকবে না। কেউ ১০ তলায় কেউ নিচতলায় থাকবে, সেটা আর হবে না।
মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে ইসলাম আগামী দিনে ক্ষমতায় যাবে ইনশা আল্লাহ। যথাসময়ে নির্বাচন দিতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ মানবে না। হুমকি-ধমকি চলবে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। আট দলের এই শক্তি ক্ষমতায় গেলে আপনারাই দেশ শাসন করবেন। কারও দাদার শক্তিতে এ দেশ আর চলবে না।’
সমাবেশে আট দলের অন্য শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী ও নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, খেলাফত আন্দোলনের আমির হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম চান প্রমুখ।

জাতীয় সংসদকে হাস্যকর বানাতে সাধারণ মানুষকে হিরো আলমের পক্ষে ভোট দিতে বিএনপি-জামায়াত গোপনে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) উপনির্বাচনে হিরো আলম এত ভোট পাওয়ার পেছনে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় হেলমেটধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিক ইসলাম (৫৫) হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে মামলার পর পুলিশ ফারুক হোসেন (২৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
৩ মিনিট আগে
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
২০ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

অর্থ কেলেঙ্কারি, প্রশাসনিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাসের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রবীন্দ্রনাথ দাস মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়ন সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ২১ জন শিক্ষক ও কর্মচারী তাঁর অপসারণের দাবিতে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে।
একই দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বানিয়াজুরী-ঘিওর সড়কের কলেজ গেটে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষের ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে শিক্ষকেরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং অভিভাবকেরা আস্থাহীন হয়ে পড়ছেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারী আচরণ, আর্থিক অনিয়ম, উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি, ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত ফি আদায় এবং প্রশাসনিক কাজের স্বচ্ছতার অভাবে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রশাসনিক কাজের জন্য সরকার অনুমোদিত ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা কোনো কাজেই ব্যয় করা হয়নি। এ ছাড়া উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৭০০ টাকা অধ্যক্ষ নিজের নামে উত্তোলন করেছেন, যা উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সরকারি পোশাকের জন্য ভাতার টাকা দীর্ঘ সময় আটকে রেখে পরে চাপের মুখে আংশিক টাকা বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ইন্টারনেট বিল, কম্পিউটার খরচ, ভূমি উন্নয়ন কর, রাসায়নিক দ্রব্য, আসবাব, ক্রীড়াসামগ্রীসহ মোট ২১টি খাতে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে সরকারি বরাদ্দের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রতিষ্ঠানটির ১৫ জন শিক্ষক এসব অভিযোগের ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেন। তাঁরা বলেন, লাইব্রেরির বই কেনার জন্য বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও বই না কেনা, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ভর্তি ফি নিয়ম অনুযায়ী ব্যয় না করে ব্যক্তিগত কাজে খরচ করা, সরকারি শিক্ষকদের এসিআর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে জমা না দিয়ে নিজের কাছে আটকে রাখা, এসব অভিযোগও নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এসব অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
শিক্ষক মো. মোনায়েম খান বলেন, ‘অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, নীরব থাকার কোনো উপায় নেই। তিনি মানসিকভাবে শিক্ষকদের হয়রানি করছেন এবং অভিযোগ করার পর উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন, যা মানহানিকর ও লজ্জাজনক ব্যাপার।’
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, ‘আমি অনেক অভিযোগ সম্পর্কে জানি না, কোথাও ভুল হয়ে থাকতে পারে। আর অধিকাংশ অভিযোগ সত্য নয়। শাস্তিযোগ্য কিছু প্রমাণিত হলে তা মেনে নেব।’
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিতা তুল ইসলাম বলেন, ‘অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছেছে, শিক্ষা বোর্ডেও অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অর্থ কেলেঙ্কারি, প্রশাসনিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাসের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রবীন্দ্রনাথ দাস মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়ন সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ২১ জন শিক্ষক ও কর্মচারী তাঁর অপসারণের দাবিতে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে।
একই দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বানিয়াজুরী-ঘিওর সড়কের কলেজ গেটে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষের ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে শিক্ষকেরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং অভিভাবকেরা আস্থাহীন হয়ে পড়ছেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারী আচরণ, আর্থিক অনিয়ম, উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি, ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত ফি আদায় এবং প্রশাসনিক কাজের স্বচ্ছতার অভাবে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রশাসনিক কাজের জন্য সরকার অনুমোদিত ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা কোনো কাজেই ব্যয় করা হয়নি। এ ছাড়া উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৭০০ টাকা অধ্যক্ষ নিজের নামে উত্তোলন করেছেন, যা উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সরকারি পোশাকের জন্য ভাতার টাকা দীর্ঘ সময় আটকে রেখে পরে চাপের মুখে আংশিক টাকা বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ইন্টারনেট বিল, কম্পিউটার খরচ, ভূমি উন্নয়ন কর, রাসায়নিক দ্রব্য, আসবাব, ক্রীড়াসামগ্রীসহ মোট ২১টি খাতে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে সরকারি বরাদ্দের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রতিষ্ঠানটির ১৫ জন শিক্ষক এসব অভিযোগের ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেন। তাঁরা বলেন, লাইব্রেরির বই কেনার জন্য বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও বই না কেনা, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ভর্তি ফি নিয়ম অনুযায়ী ব্যয় না করে ব্যক্তিগত কাজে খরচ করা, সরকারি শিক্ষকদের এসিআর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে জমা না দিয়ে নিজের কাছে আটকে রাখা, এসব অভিযোগও নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এসব অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
শিক্ষক মো. মোনায়েম খান বলেন, ‘অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, নীরব থাকার কোনো উপায় নেই। তিনি মানসিকভাবে শিক্ষকদের হয়রানি করছেন এবং অভিযোগ করার পর উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন, যা মানহানিকর ও লজ্জাজনক ব্যাপার।’
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, ‘আমি অনেক অভিযোগ সম্পর্কে জানি না, কোথাও ভুল হয়ে থাকতে পারে। আর অধিকাংশ অভিযোগ সত্য নয়। শাস্তিযোগ্য কিছু প্রমাণিত হলে তা মেনে নেব।’
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিতা তুল ইসলাম বলেন, ‘অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছেছে, শিক্ষা বোর্ডেও অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জাতীয় সংসদকে হাস্যকর বানাতে সাধারণ মানুষকে হিরো আলমের পক্ষে ভোট দিতে বিএনপি-জামায়াত গোপনে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) উপনির্বাচনে হিরো আলম এত ভোট পাওয়ার পেছনে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় হেলমেটধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিক ইসলাম (৫৫) হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে মামলার পর পুলিশ ফারুক হোসেন (২৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
৩ মিনিট আগে
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
১৩ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

জাতীয় সংসদকে হাস্যকর বানাতে সাধারণ মানুষকে হিরো আলমের পক্ষে ভোট দিতে বিএনপি-জামায়াত গোপনে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) উপনির্বাচনে হিরো আলম এত ভোট পাওয়ার পেছনে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় হেলমেটধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিক ইসলাম (৫৫) হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে মামলার পর পুলিশ ফারুক হোসেন (২৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
৩ মিনিট আগে
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
১৩ মিনিট আগে
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
২০ মিনিট আগে