গনেশ দাস, বগুড়া

বগুড়ার শাজাহানপুর থানা-পুলিশ ১ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে টেঙ্গামাগুর এলাকা থেকে রনি আহমেদ নামের এক যুবককে আটক করে। পরদিন তাঁকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, টহল পুলিশ দেখে ওই যুবক পালানোর সময় তাঁকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
জামিন শুনানিতে বিচারক আসামির অপরাধ জানতে চাইলে রনি জানান, সেবন করার উদ্দেশ্যে তাঁর কাছে দুটি ইয়াবা বড়ি ছিল। আসামির বক্তব্য এবং পুলিশ প্রতিবেদনে মিল না থাকায় বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরদিন তাঁকে জামিন দেন আদালত। ইয়াবা পাওয়ার পরেও ১৫১ ধারায় কেন চালান দেওয়া হলো, তা নিয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি আদালত পুলিশের সাধারণ রেকর্ড অফিসার (জিআরও) আশরাফুল ইসলাম। এদিকে রনিকে আটককারী শাজাহানপুর থানার এসআই আল আমিন বলেন, ‘ইয়াবা পাওয়া গেলে মাদক আইনে মামলা হবে। রনির কাছে কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।’
শুধু রনি নয়, বগুড়ায় গত সাত মাসে চার শতাধিক ব্যক্তিকে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁরা সবাই জামিনে মুক্ত হলেও কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে পারেনি পুলিশ। পাবলিক প্রসিকিউটর এবং মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, শুধু ঘুষের জন্য এ কাজ করছে পুলিশ।
এমন আরেকটি ঘটনা ঘটে গত ২১ জুলাই ভোরে। জেলার শেরপুর থানার মহিপুর ইউনিয়নের জামতলা গ্রামে ঘোরাফেরার সময় স্থানীয়রা শাহজামাল প্রামাণিক, শাহীন আহম্মেদ ও তরিকুল ইসলাম বিপ্লব নামের তিন যুবককে চোর সন্দেহ আটক করে পুলিশে দেয়। পুলিশ তাঁদের ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান দেয়। ওদিনই আদালত থেকে তাঁরা জামিনে মুক্ত হন। এ ঘটনার ১৫ দিন পরেও শেরপুর থানা-পুলিশ ওই তিনজনের নামে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে পারেনি। ওই তিনজনকে গ্রেপ্তারকারী এসআই সারাফত জামান। তিনিও এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনের বাড়ি শাজাহানপুর থানায়। তাঁদের সম্পর্কে জানতে চেয়ে শাজাহানপুর থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। বার্তার জবাবের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়া জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল বাছেদের মতে, ‘যাঁকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়, তিনি যেমন সুবিধা পান, পাশাপাশি পুলিশও তাঁর কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে থাকে। পুলিশের চরিত্রে এখনো কোনো পরিবর্তন আসেনি।’
আর মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সদরুল আনাম রঞ্জু বলেন, ‘১৫১ ধারা নিয়ে পুলিশ রীতিমতো বাণিজ্য করছে। ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আদালতে দাখিল করা না হলে সেই ব্যক্তি পরে পুলিশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা করতে পারেন।’
জেলা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত জানুয়ারি থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত জেলার ১২টি থানা-পুলিশ ৪১৫ জনকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান করে। যাদের প্রত্যেকে জামিনে মুক্ত হয়েছে ওই দিনই বা তার পরের দিন। ১২ থানার মধ্যে শাজাহানপুর থানায় সাত মাসে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ১৯০ জনকে। এ ছাড়া বগুড়া সদর থানায় ৭৮ জন, শিবগঞ্জ থানায় ২, শেরপুর থানায় ২৩, সোনাতলা থানায় ১৩, গাবতলী থানায় ২৩, সারিয়াকান্দি থানায় ১১, ধুনট থানায় ১১, নন্দীগ্রাম থানায় ১০, আদমদীঘি থানায় ১০, দুপচাঁচিয়া থানায় ২৬ জন এবং কাহালু থানায় ১৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এদিকে ফৌজদারি কার্যবিধিতে উল্লেখ রয়েছে, কোনো ব্যক্তি আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটিত করতে পারে বা পরিকল্পনা করছে এমন আশঙ্কা থাকলে পুলিশ তাকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার করতে পারে। তবে এই ধারায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিচার বা শাস্তির বিধান নেই।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে দ্রুত ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগের সত্যতা পেলে তাকে কারাগারে পাঠাতে পারেন। বগুড়া আদালতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার হওয়া অধিকাংশের বিরুদ্ধে পুলিশ সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না এনে অব্যাহতি দিয়ে দেয়।
১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘অনেক সময় জনগণ কাউকে আটক করে পুলিশে দেয়, পরে আর মামলা করে না। এসব ব্যক্তিকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া শাজাহানপুর থানা এলাকায় বগুড়া শহরের কিছু অংশ রয়েছে। এসব এলাকায় সন্দেহভাজন ঘোরাঘুরি করে অনেকে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে ১৫১ ধারায় চালান দিয়ে থাকে।’
সাউথ এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটসের অ্যাডভাইজিং কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সদরুল আনাম রঞ্জু বলেন, ‘হাইকোর্টের আপিলেট ডিভিশনের রায় অনুযায়ী ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ এবং ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার করলে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে হবে; কিন্তু পুলিশ তা করছে না। ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তারের নামে পুলিশের বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে। ১৫১ ধারায় কাউকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে ব্যর্থ হলে ভুক্তভোগী পুলিশের বিরুদ্ধে অবৈধ গ্রেপ্তারের মামলা করতে পারেন।’
বগুড়া জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল বাছেদ বলেন, পুলিশের চরিত্রে এখনো কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১৫১ ধারায় যে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়, সে-ও আইনের কাছে সুবিধা পায়, পুলিশও তার কাছ থেকে সুবিধা নেয়

বগুড়ার শাজাহানপুর থানা-পুলিশ ১ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে টেঙ্গামাগুর এলাকা থেকে রনি আহমেদ নামের এক যুবককে আটক করে। পরদিন তাঁকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, টহল পুলিশ দেখে ওই যুবক পালানোর সময় তাঁকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
জামিন শুনানিতে বিচারক আসামির অপরাধ জানতে চাইলে রনি জানান, সেবন করার উদ্দেশ্যে তাঁর কাছে দুটি ইয়াবা বড়ি ছিল। আসামির বক্তব্য এবং পুলিশ প্রতিবেদনে মিল না থাকায় বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরদিন তাঁকে জামিন দেন আদালত। ইয়াবা পাওয়ার পরেও ১৫১ ধারায় কেন চালান দেওয়া হলো, তা নিয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি আদালত পুলিশের সাধারণ রেকর্ড অফিসার (জিআরও) আশরাফুল ইসলাম। এদিকে রনিকে আটককারী শাজাহানপুর থানার এসআই আল আমিন বলেন, ‘ইয়াবা পাওয়া গেলে মাদক আইনে মামলা হবে। রনির কাছে কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।’
শুধু রনি নয়, বগুড়ায় গত সাত মাসে চার শতাধিক ব্যক্তিকে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁরা সবাই জামিনে মুক্ত হলেও কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে পারেনি পুলিশ। পাবলিক প্রসিকিউটর এবং মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, শুধু ঘুষের জন্য এ কাজ করছে পুলিশ।
এমন আরেকটি ঘটনা ঘটে গত ২১ জুলাই ভোরে। জেলার শেরপুর থানার মহিপুর ইউনিয়নের জামতলা গ্রামে ঘোরাফেরার সময় স্থানীয়রা শাহজামাল প্রামাণিক, শাহীন আহম্মেদ ও তরিকুল ইসলাম বিপ্লব নামের তিন যুবককে চোর সন্দেহ আটক করে পুলিশে দেয়। পুলিশ তাঁদের ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান দেয়। ওদিনই আদালত থেকে তাঁরা জামিনে মুক্ত হন। এ ঘটনার ১৫ দিন পরেও শেরপুর থানা-পুলিশ ওই তিনজনের নামে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে পারেনি। ওই তিনজনকে গ্রেপ্তারকারী এসআই সারাফত জামান। তিনিও এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনের বাড়ি শাজাহানপুর থানায়। তাঁদের সম্পর্কে জানতে চেয়ে শাজাহানপুর থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। বার্তার জবাবের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়া জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল বাছেদের মতে, ‘যাঁকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়, তিনি যেমন সুবিধা পান, পাশাপাশি পুলিশও তাঁর কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে থাকে। পুলিশের চরিত্রে এখনো কোনো পরিবর্তন আসেনি।’
আর মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সদরুল আনাম রঞ্জু বলেন, ‘১৫১ ধারা নিয়ে পুলিশ রীতিমতো বাণিজ্য করছে। ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আদালতে দাখিল করা না হলে সেই ব্যক্তি পরে পুলিশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা করতে পারেন।’
জেলা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত জানুয়ারি থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত জেলার ১২টি থানা-পুলিশ ৪১৫ জনকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান করে। যাদের প্রত্যেকে জামিনে মুক্ত হয়েছে ওই দিনই বা তার পরের দিন। ১২ থানার মধ্যে শাজাহানপুর থানায় সাত মাসে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ১৯০ জনকে। এ ছাড়া বগুড়া সদর থানায় ৭৮ জন, শিবগঞ্জ থানায় ২, শেরপুর থানায় ২৩, সোনাতলা থানায় ১৩, গাবতলী থানায় ২৩, সারিয়াকান্দি থানায় ১১, ধুনট থানায় ১১, নন্দীগ্রাম থানায় ১০, আদমদীঘি থানায় ১০, দুপচাঁচিয়া থানায় ২৬ জন এবং কাহালু থানায় ১৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এদিকে ফৌজদারি কার্যবিধিতে উল্লেখ রয়েছে, কোনো ব্যক্তি আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটিত করতে পারে বা পরিকল্পনা করছে এমন আশঙ্কা থাকলে পুলিশ তাকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার করতে পারে। তবে এই ধারায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিচার বা শাস্তির বিধান নেই।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে দ্রুত ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগের সত্যতা পেলে তাকে কারাগারে পাঠাতে পারেন। বগুড়া আদালতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার হওয়া অধিকাংশের বিরুদ্ধে পুলিশ সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না এনে অব্যাহতি দিয়ে দেয়।
১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘অনেক সময় জনগণ কাউকে আটক করে পুলিশে দেয়, পরে আর মামলা করে না। এসব ব্যক্তিকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া শাজাহানপুর থানা এলাকায় বগুড়া শহরের কিছু অংশ রয়েছে। এসব এলাকায় সন্দেহভাজন ঘোরাঘুরি করে অনেকে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে ১৫১ ধারায় চালান দিয়ে থাকে।’
সাউথ এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটসের অ্যাডভাইজিং কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সদরুল আনাম রঞ্জু বলেন, ‘হাইকোর্টের আপিলেট ডিভিশনের রায় অনুযায়ী ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ এবং ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার করলে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে হবে; কিন্তু পুলিশ তা করছে না। ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তারের নামে পুলিশের বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে। ১৫১ ধারায় কাউকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে ব্যর্থ হলে ভুক্তভোগী পুলিশের বিরুদ্ধে অবৈধ গ্রেপ্তারের মামলা করতে পারেন।’
বগুড়া জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল বাছেদ বলেন, পুলিশের চরিত্রে এখনো কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১৫১ ধারায় যে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়, সে-ও আইনের কাছে সুবিধা পায়, পুলিশও তার কাছ থেকে সুবিধা নেয়
গনেশ দাস, বগুড়া

বগুড়ার শাজাহানপুর থানা-পুলিশ ১ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে টেঙ্গামাগুর এলাকা থেকে রনি আহমেদ নামের এক যুবককে আটক করে। পরদিন তাঁকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, টহল পুলিশ দেখে ওই যুবক পালানোর সময় তাঁকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
জামিন শুনানিতে বিচারক আসামির অপরাধ জানতে চাইলে রনি জানান, সেবন করার উদ্দেশ্যে তাঁর কাছে দুটি ইয়াবা বড়ি ছিল। আসামির বক্তব্য এবং পুলিশ প্রতিবেদনে মিল না থাকায় বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরদিন তাঁকে জামিন দেন আদালত। ইয়াবা পাওয়ার পরেও ১৫১ ধারায় কেন চালান দেওয়া হলো, তা নিয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি আদালত পুলিশের সাধারণ রেকর্ড অফিসার (জিআরও) আশরাফুল ইসলাম। এদিকে রনিকে আটককারী শাজাহানপুর থানার এসআই আল আমিন বলেন, ‘ইয়াবা পাওয়া গেলে মাদক আইনে মামলা হবে। রনির কাছে কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।’
শুধু রনি নয়, বগুড়ায় গত সাত মাসে চার শতাধিক ব্যক্তিকে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁরা সবাই জামিনে মুক্ত হলেও কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে পারেনি পুলিশ। পাবলিক প্রসিকিউটর এবং মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, শুধু ঘুষের জন্য এ কাজ করছে পুলিশ।
এমন আরেকটি ঘটনা ঘটে গত ২১ জুলাই ভোরে। জেলার শেরপুর থানার মহিপুর ইউনিয়নের জামতলা গ্রামে ঘোরাফেরার সময় স্থানীয়রা শাহজামাল প্রামাণিক, শাহীন আহম্মেদ ও তরিকুল ইসলাম বিপ্লব নামের তিন যুবককে চোর সন্দেহ আটক করে পুলিশে দেয়। পুলিশ তাঁদের ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান দেয়। ওদিনই আদালত থেকে তাঁরা জামিনে মুক্ত হন। এ ঘটনার ১৫ দিন পরেও শেরপুর থানা-পুলিশ ওই তিনজনের নামে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে পারেনি। ওই তিনজনকে গ্রেপ্তারকারী এসআই সারাফত জামান। তিনিও এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনের বাড়ি শাজাহানপুর থানায়। তাঁদের সম্পর্কে জানতে চেয়ে শাজাহানপুর থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। বার্তার জবাবের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়া জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল বাছেদের মতে, ‘যাঁকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়, তিনি যেমন সুবিধা পান, পাশাপাশি পুলিশও তাঁর কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে থাকে। পুলিশের চরিত্রে এখনো কোনো পরিবর্তন আসেনি।’
আর মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সদরুল আনাম রঞ্জু বলেন, ‘১৫১ ধারা নিয়ে পুলিশ রীতিমতো বাণিজ্য করছে। ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আদালতে দাখিল করা না হলে সেই ব্যক্তি পরে পুলিশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা করতে পারেন।’
জেলা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত জানুয়ারি থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত জেলার ১২টি থানা-পুলিশ ৪১৫ জনকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান করে। যাদের প্রত্যেকে জামিনে মুক্ত হয়েছে ওই দিনই বা তার পরের দিন। ১২ থানার মধ্যে শাজাহানপুর থানায় সাত মাসে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ১৯০ জনকে। এ ছাড়া বগুড়া সদর থানায় ৭৮ জন, শিবগঞ্জ থানায় ২, শেরপুর থানায় ২৩, সোনাতলা থানায় ১৩, গাবতলী থানায় ২৩, সারিয়াকান্দি থানায় ১১, ধুনট থানায় ১১, নন্দীগ্রাম থানায় ১০, আদমদীঘি থানায় ১০, দুপচাঁচিয়া থানায় ২৬ জন এবং কাহালু থানায় ১৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এদিকে ফৌজদারি কার্যবিধিতে উল্লেখ রয়েছে, কোনো ব্যক্তি আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটিত করতে পারে বা পরিকল্পনা করছে এমন আশঙ্কা থাকলে পুলিশ তাকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার করতে পারে। তবে এই ধারায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিচার বা শাস্তির বিধান নেই।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে দ্রুত ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগের সত্যতা পেলে তাকে কারাগারে পাঠাতে পারেন। বগুড়া আদালতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার হওয়া অধিকাংশের বিরুদ্ধে পুলিশ সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না এনে অব্যাহতি দিয়ে দেয়।
১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘অনেক সময় জনগণ কাউকে আটক করে পুলিশে দেয়, পরে আর মামলা করে না। এসব ব্যক্তিকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া শাজাহানপুর থানা এলাকায় বগুড়া শহরের কিছু অংশ রয়েছে। এসব এলাকায় সন্দেহভাজন ঘোরাঘুরি করে অনেকে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে ১৫১ ধারায় চালান দিয়ে থাকে।’
সাউথ এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটসের অ্যাডভাইজিং কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সদরুল আনাম রঞ্জু বলেন, ‘হাইকোর্টের আপিলেট ডিভিশনের রায় অনুযায়ী ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ এবং ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার করলে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে হবে; কিন্তু পুলিশ তা করছে না। ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তারের নামে পুলিশের বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে। ১৫১ ধারায় কাউকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে ব্যর্থ হলে ভুক্তভোগী পুলিশের বিরুদ্ধে অবৈধ গ্রেপ্তারের মামলা করতে পারেন।’
বগুড়া জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল বাছেদ বলেন, পুলিশের চরিত্রে এখনো কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১৫১ ধারায় যে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়, সে-ও আইনের কাছে সুবিধা পায়, পুলিশও তার কাছ থেকে সুবিধা নেয়

বগুড়ার শাজাহানপুর থানা-পুলিশ ১ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে টেঙ্গামাগুর এলাকা থেকে রনি আহমেদ নামের এক যুবককে আটক করে। পরদিন তাঁকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, টহল পুলিশ দেখে ওই যুবক পালানোর সময় তাঁকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
জামিন শুনানিতে বিচারক আসামির অপরাধ জানতে চাইলে রনি জানান, সেবন করার উদ্দেশ্যে তাঁর কাছে দুটি ইয়াবা বড়ি ছিল। আসামির বক্তব্য এবং পুলিশ প্রতিবেদনে মিল না থাকায় বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরদিন তাঁকে জামিন দেন আদালত। ইয়াবা পাওয়ার পরেও ১৫১ ধারায় কেন চালান দেওয়া হলো, তা নিয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি আদালত পুলিশের সাধারণ রেকর্ড অফিসার (জিআরও) আশরাফুল ইসলাম। এদিকে রনিকে আটককারী শাজাহানপুর থানার এসআই আল আমিন বলেন, ‘ইয়াবা পাওয়া গেলে মাদক আইনে মামলা হবে। রনির কাছে কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।’
শুধু রনি নয়, বগুড়ায় গত সাত মাসে চার শতাধিক ব্যক্তিকে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁরা সবাই জামিনে মুক্ত হলেও কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে পারেনি পুলিশ। পাবলিক প্রসিকিউটর এবং মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, শুধু ঘুষের জন্য এ কাজ করছে পুলিশ।
এমন আরেকটি ঘটনা ঘটে গত ২১ জুলাই ভোরে। জেলার শেরপুর থানার মহিপুর ইউনিয়নের জামতলা গ্রামে ঘোরাফেরার সময় স্থানীয়রা শাহজামাল প্রামাণিক, শাহীন আহম্মেদ ও তরিকুল ইসলাম বিপ্লব নামের তিন যুবককে চোর সন্দেহ আটক করে পুলিশে দেয়। পুলিশ তাঁদের ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান দেয়। ওদিনই আদালত থেকে তাঁরা জামিনে মুক্ত হন। এ ঘটনার ১৫ দিন পরেও শেরপুর থানা-পুলিশ ওই তিনজনের নামে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে পারেনি। ওই তিনজনকে গ্রেপ্তারকারী এসআই সারাফত জামান। তিনিও এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনের বাড়ি শাজাহানপুর থানায়। তাঁদের সম্পর্কে জানতে চেয়ে শাজাহানপুর থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। বার্তার জবাবের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়া জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল বাছেদের মতে, ‘যাঁকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়, তিনি যেমন সুবিধা পান, পাশাপাশি পুলিশও তাঁর কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে থাকে। পুলিশের চরিত্রে এখনো কোনো পরিবর্তন আসেনি।’
আর মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সদরুল আনাম রঞ্জু বলেন, ‘১৫১ ধারা নিয়ে পুলিশ রীতিমতো বাণিজ্য করছে। ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আদালতে দাখিল করা না হলে সেই ব্যক্তি পরে পুলিশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা করতে পারেন।’
জেলা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত জানুয়ারি থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত জেলার ১২টি থানা-পুলিশ ৪১৫ জনকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান করে। যাদের প্রত্যেকে জামিনে মুক্ত হয়েছে ওই দিনই বা তার পরের দিন। ১২ থানার মধ্যে শাজাহানপুর থানায় সাত মাসে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ১৯০ জনকে। এ ছাড়া বগুড়া সদর থানায় ৭৮ জন, শিবগঞ্জ থানায় ২, শেরপুর থানায় ২৩, সোনাতলা থানায় ১৩, গাবতলী থানায় ২৩, সারিয়াকান্দি থানায় ১১, ধুনট থানায় ১১, নন্দীগ্রাম থানায় ১০, আদমদীঘি থানায় ১০, দুপচাঁচিয়া থানায় ২৬ জন এবং কাহালু থানায় ১৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এদিকে ফৌজদারি কার্যবিধিতে উল্লেখ রয়েছে, কোনো ব্যক্তি আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটিত করতে পারে বা পরিকল্পনা করছে এমন আশঙ্কা থাকলে পুলিশ তাকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার করতে পারে। তবে এই ধারায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিচার বা শাস্তির বিধান নেই।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে দ্রুত ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগের সত্যতা পেলে তাকে কারাগারে পাঠাতে পারেন। বগুড়া আদালতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার হওয়া অধিকাংশের বিরুদ্ধে পুলিশ সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না এনে অব্যাহতি দিয়ে দেয়।
১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘অনেক সময় জনগণ কাউকে আটক করে পুলিশে দেয়, পরে আর মামলা করে না। এসব ব্যক্তিকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া শাজাহানপুর থানা এলাকায় বগুড়া শহরের কিছু অংশ রয়েছে। এসব এলাকায় সন্দেহভাজন ঘোরাঘুরি করে অনেকে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে ১৫১ ধারায় চালান দিয়ে থাকে।’
সাউথ এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটসের অ্যাডভাইজিং কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সদরুল আনাম রঞ্জু বলেন, ‘হাইকোর্টের আপিলেট ডিভিশনের রায় অনুযায়ী ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ এবং ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার করলে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে হবে; কিন্তু পুলিশ তা করছে না। ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তারের নামে পুলিশের বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে। ১৫১ ধারায় কাউকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে ব্যর্থ হলে ভুক্তভোগী পুলিশের বিরুদ্ধে অবৈধ গ্রেপ্তারের মামলা করতে পারেন।’
বগুড়া জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল বাছেদ বলেন, পুলিশের চরিত্রে এখনো কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১৫১ ধারায় যে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়, সে-ও আইনের কাছে সুবিধা পায়, পুলিশও তার কাছ থেকে সুবিধা নেয়

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২১ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

বগুড়ার শাজাহানপুর থানা-পুলিশ ১ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে টেঙ্গামাগুর এলাকা থেকে রনি আহমেদ নামের এক যুবককে আটক করে। পরদিন তাঁকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, টহল পুলিশ দেখে ওই যুবক পালানোর সময় তাঁকে আটক করা হয়।
১১ আগস্ট ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

বগুড়ার শাজাহানপুর থানা-পুলিশ ১ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে টেঙ্গামাগুর এলাকা থেকে রনি আহমেদ নামের এক যুবককে আটক করে। পরদিন তাঁকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, টহল পুলিশ দেখে ওই যুবক পালানোর সময় তাঁকে আটক করা হয়।
১১ আগস্ট ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২১ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

বগুড়ার শাজাহানপুর থানা-পুলিশ ১ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে টেঙ্গামাগুর এলাকা থেকে রনি আহমেদ নামের এক যুবককে আটক করে। পরদিন তাঁকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, টহল পুলিশ দেখে ওই যুবক পালানোর সময় তাঁকে আটক করা হয়।
১১ আগস্ট ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২১ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

বগুড়ার শাজাহানপুর থানা-পুলিশ ১ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে টেঙ্গামাগুর এলাকা থেকে রনি আহমেদ নামের এক যুবককে আটক করে। পরদিন তাঁকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, টহল পুলিশ দেখে ওই যুবক পালানোর সময় তাঁকে আটক করা হয়।
১১ আগস্ট ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২১ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে