ভোলা সংবাদদাতা

ভোলা জেনারেল হাসপাতালে পরপর দুই দিনে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তা এখনো মামলা হিসেবে নেয়নি পুলিশ। গ্রেপ্তার করেনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে।
ঘটনার পাঁচ দিনেও থানা মামলা হিসেবে গ্রহণ না করা এবং হামলাকারীদের আইনের আওতায় না আনায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা। তাঁরা মামলাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে দাবি না মানলে আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টায় প্রেস ব্রিফিং করা হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আরিফুন্নেছা বলেন, ‘গত শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জের ধরে এক চিকিৎসকের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে হেনস্তা করা হয়। পরদিন শনিবার রাতে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একইভাবে আরেক চিকিৎসককেও লাঞ্ছিত করা হয়।
‘পরপর দুই দিনে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁদের চরমভাবে হেনস্তা এবং লাঞ্ছিত করার ঘটনায় আমরা শঙ্কিত। বিষয়টি আমরা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে জানাই। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। এতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যার কারণে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, হাসপাতালকে দালালমুক্ত, ডিউটিরত চিকিৎসকের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত ও হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনসহ ছয় দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীসহ আমরা কর্মবিরতি পালন করি। তবে, ছয় দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে ওই দিন বিকেলে কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়। কিন্তু পুলিশ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আমরা হাসপাতালে ফের কর্মবিরতিসহ অনির্দিষ্টকালের জন্য কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার চিন্তা করছি।’
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (চলতি দায়িত্ব) শেখ সুফিয়ান রুস্তম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরপর দুই দিনে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু পাঁচ দিনেও পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। এতে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা। তাঁরা ক্রমেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা শুধু নয়। আমার নিজেরও কোনো নিরাপত্তা নেই। জীবন হুমকির মুখে রেখে আমার পক্ষে চাকরি করা সম্ভব নয়। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে রাজি নন। তাই আমরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছি। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে দাবি না মানলে আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টায় প্রেস ব্রিফিং করা হবে।’
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. আবু সাহাদাৎ হাসনাইন পারভেজ বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। কিন্তু অভিযোগটি যথাযথভাবে না হওয়ায় এটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি।
এদিকে ভোলা জেনারেল হাসপাতালটিকে মেডিকেল কলেজে উন্নীতকরণ, সুচিকিৎসা নিশ্চিত ও দালালমুক্ত করার দাবিতে আজ সকালে ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় লোকজন। রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে বক্তব্য দেন। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ভোলা জার্নালিস্ট ফোরাম এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
আরও পড়ুন—
ভোলা হাসপাতালে ফের চিকিৎসকের ওপর হামলা, নিরাপত্তার দাবিতে তত্ত্বাবধায়ক অবরুদ্ধ
ভোলায় চিকিৎসককে মারধর, নেপথ্যে দালাল চক্র
ভোলা জেনারেল হাসপাতালে ঈদের আমেজ কাটেনি, সেবা পাচ্ছে না রোগীরা

ভোলা জেনারেল হাসপাতালে পরপর দুই দিনে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তা এখনো মামলা হিসেবে নেয়নি পুলিশ। গ্রেপ্তার করেনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে।
ঘটনার পাঁচ দিনেও থানা মামলা হিসেবে গ্রহণ না করা এবং হামলাকারীদের আইনের আওতায় না আনায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা। তাঁরা মামলাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে দাবি না মানলে আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টায় প্রেস ব্রিফিং করা হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আরিফুন্নেছা বলেন, ‘গত শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জের ধরে এক চিকিৎসকের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে হেনস্তা করা হয়। পরদিন শনিবার রাতে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একইভাবে আরেক চিকিৎসককেও লাঞ্ছিত করা হয়।
‘পরপর দুই দিনে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁদের চরমভাবে হেনস্তা এবং লাঞ্ছিত করার ঘটনায় আমরা শঙ্কিত। বিষয়টি আমরা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে জানাই। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। এতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যার কারণে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, হাসপাতালকে দালালমুক্ত, ডিউটিরত চিকিৎসকের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত ও হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনসহ ছয় দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীসহ আমরা কর্মবিরতি পালন করি। তবে, ছয় দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে ওই দিন বিকেলে কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়। কিন্তু পুলিশ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আমরা হাসপাতালে ফের কর্মবিরতিসহ অনির্দিষ্টকালের জন্য কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার চিন্তা করছি।’
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (চলতি দায়িত্ব) শেখ সুফিয়ান রুস্তম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরপর দুই দিনে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু পাঁচ দিনেও পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। এতে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা। তাঁরা ক্রমেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা শুধু নয়। আমার নিজেরও কোনো নিরাপত্তা নেই। জীবন হুমকির মুখে রেখে আমার পক্ষে চাকরি করা সম্ভব নয়। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে রাজি নন। তাই আমরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছি। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে দাবি না মানলে আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টায় প্রেস ব্রিফিং করা হবে।’
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. আবু সাহাদাৎ হাসনাইন পারভেজ বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। কিন্তু অভিযোগটি যথাযথভাবে না হওয়ায় এটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি।
এদিকে ভোলা জেনারেল হাসপাতালটিকে মেডিকেল কলেজে উন্নীতকরণ, সুচিকিৎসা নিশ্চিত ও দালালমুক্ত করার দাবিতে আজ সকালে ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় লোকজন। রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে বক্তব্য দেন। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ভোলা জার্নালিস্ট ফোরাম এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
আরও পড়ুন—
ভোলা হাসপাতালে ফের চিকিৎসকের ওপর হামলা, নিরাপত্তার দাবিতে তত্ত্বাবধায়ক অবরুদ্ধ
ভোলায় চিকিৎসককে মারধর, নেপথ্যে দালাল চক্র
ভোলা জেনারেল হাসপাতালে ঈদের আমেজ কাটেনি, সেবা পাচ্ছে না রোগীরা
ভোলা সংবাদদাতা

ভোলা জেনারেল হাসপাতালে পরপর দুই দিনে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তা এখনো মামলা হিসেবে নেয়নি পুলিশ। গ্রেপ্তার করেনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে।
ঘটনার পাঁচ দিনেও থানা মামলা হিসেবে গ্রহণ না করা এবং হামলাকারীদের আইনের আওতায় না আনায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা। তাঁরা মামলাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে দাবি না মানলে আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টায় প্রেস ব্রিফিং করা হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আরিফুন্নেছা বলেন, ‘গত শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জের ধরে এক চিকিৎসকের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে হেনস্তা করা হয়। পরদিন শনিবার রাতে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একইভাবে আরেক চিকিৎসককেও লাঞ্ছিত করা হয়।
‘পরপর দুই দিনে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁদের চরমভাবে হেনস্তা এবং লাঞ্ছিত করার ঘটনায় আমরা শঙ্কিত। বিষয়টি আমরা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে জানাই। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। এতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যার কারণে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, হাসপাতালকে দালালমুক্ত, ডিউটিরত চিকিৎসকের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত ও হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনসহ ছয় দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীসহ আমরা কর্মবিরতি পালন করি। তবে, ছয় দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে ওই দিন বিকেলে কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়। কিন্তু পুলিশ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আমরা হাসপাতালে ফের কর্মবিরতিসহ অনির্দিষ্টকালের জন্য কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার চিন্তা করছি।’
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (চলতি দায়িত্ব) শেখ সুফিয়ান রুস্তম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরপর দুই দিনে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু পাঁচ দিনেও পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। এতে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা। তাঁরা ক্রমেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা শুধু নয়। আমার নিজেরও কোনো নিরাপত্তা নেই। জীবন হুমকির মুখে রেখে আমার পক্ষে চাকরি করা সম্ভব নয়। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে রাজি নন। তাই আমরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছি। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে দাবি না মানলে আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টায় প্রেস ব্রিফিং করা হবে।’
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. আবু সাহাদাৎ হাসনাইন পারভেজ বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। কিন্তু অভিযোগটি যথাযথভাবে না হওয়ায় এটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি।
এদিকে ভোলা জেনারেল হাসপাতালটিকে মেডিকেল কলেজে উন্নীতকরণ, সুচিকিৎসা নিশ্চিত ও দালালমুক্ত করার দাবিতে আজ সকালে ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় লোকজন। রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে বক্তব্য দেন। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ভোলা জার্নালিস্ট ফোরাম এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
আরও পড়ুন—
ভোলা হাসপাতালে ফের চিকিৎসকের ওপর হামলা, নিরাপত্তার দাবিতে তত্ত্বাবধায়ক অবরুদ্ধ
ভোলায় চিকিৎসককে মারধর, নেপথ্যে দালাল চক্র
ভোলা জেনারেল হাসপাতালে ঈদের আমেজ কাটেনি, সেবা পাচ্ছে না রোগীরা

ভোলা জেনারেল হাসপাতালে পরপর দুই দিনে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তা এখনো মামলা হিসেবে নেয়নি পুলিশ। গ্রেপ্তার করেনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে।
ঘটনার পাঁচ দিনেও থানা মামলা হিসেবে গ্রহণ না করা এবং হামলাকারীদের আইনের আওতায় না আনায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা। তাঁরা মামলাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে দাবি না মানলে আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টায় প্রেস ব্রিফিং করা হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আরিফুন্নেছা বলেন, ‘গত শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জের ধরে এক চিকিৎসকের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে হেনস্তা করা হয়। পরদিন শনিবার রাতে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একইভাবে আরেক চিকিৎসককেও লাঞ্ছিত করা হয়।
‘পরপর দুই দিনে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁদের চরমভাবে হেনস্তা এবং লাঞ্ছিত করার ঘটনায় আমরা শঙ্কিত। বিষয়টি আমরা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে জানাই। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। এতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যার কারণে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, হাসপাতালকে দালালমুক্ত, ডিউটিরত চিকিৎসকের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত ও হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনসহ ছয় দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীসহ আমরা কর্মবিরতি পালন করি। তবে, ছয় দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে ওই দিন বিকেলে কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়। কিন্তু পুলিশ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আমরা হাসপাতালে ফের কর্মবিরতিসহ অনির্দিষ্টকালের জন্য কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার চিন্তা করছি।’
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (চলতি দায়িত্ব) শেখ সুফিয়ান রুস্তম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরপর দুই দিনে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু পাঁচ দিনেও পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। এতে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা। তাঁরা ক্রমেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা শুধু নয়। আমার নিজেরও কোনো নিরাপত্তা নেই। জীবন হুমকির মুখে রেখে আমার পক্ষে চাকরি করা সম্ভব নয়। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে রাজি নন। তাই আমরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছি। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে দাবি না মানলে আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টায় প্রেস ব্রিফিং করা হবে।’
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. আবু সাহাদাৎ হাসনাইন পারভেজ বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। কিন্তু অভিযোগটি যথাযথভাবে না হওয়ায় এটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি।
এদিকে ভোলা জেনারেল হাসপাতালটিকে মেডিকেল কলেজে উন্নীতকরণ, সুচিকিৎসা নিশ্চিত ও দালালমুক্ত করার দাবিতে আজ সকালে ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় লোকজন। রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে বক্তব্য দেন। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ভোলা জার্নালিস্ট ফোরাম এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
আরও পড়ুন—
ভোলা হাসপাতালে ফের চিকিৎসকের ওপর হামলা, নিরাপত্তার দাবিতে তত্ত্বাবধায়ক অবরুদ্ধ
ভোলায় চিকিৎসককে মারধর, নেপথ্যে দালাল চক্র
ভোলা জেনারেল হাসপাতালে ঈদের আমেজ কাটেনি, সেবা পাচ্ছে না রোগীরা

চাপিলা ইউনিয়নের এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর বলেন, গ্রামের অধিকাংশ পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ। অভাব-অজ্ঞতার কারণে অভিভাবকেরা কম বয়সী মেয়েদের গোপনে বিয়ে দিচ্ছেন। নানা উদ্যোগ নিয়েও বাল্যবিবাহ রোধ সম্ভব হচ্ছে না।
৫ মিনিট আগে
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আগারগাঁও পাকা মার্কেট সড়ক এলাকার সরকারি কোয়ার্টারে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগে
নিশাতের মা আহাজারি করতে করতে বলেন, ‘কুদ্দুস দালাল আরও ১০ লাখ টাকা চাইছে। আমরা বলেছি, আমার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করাই দেও। ওরা দেয়নি। এক মাস যোগাযোগ নাই। এখন জানাইছে, গেমের ট্রলার ডুবে গেছে সাগরে। বেশির ভাগই নিখোঁজ। জানি না আমার নিশাতের কী হইছে! আমার ছেলেরে ফেরত চাই!’
৩৯ মিনিট আগে
হাটহাজারীতে বিয়ের সামাজিক বৈঠকে (পানসল্লা) ছুরিকাঘাতে মো. রবিউল ইসলাম ওরফে বাবু (৪০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন এলাকার মুছা সওদাগরের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেগুরুদাসপুর (নাটোর) সংবাদদাতা

নাটোরের গুরুদাসপুরে ধানুড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে বাল্যবিবাহের কারণে ছাত্রী ঝরে পড়ার প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। বিদ্যালয়ের তথ্যমতে, গত চার বছরে এই বিদ্যালয়ের ১০৬ ছাত্রী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। সর্বশেষ এসএসসি পরীক্ষায়ও অনুপস্থিত ২৬ শিক্ষার্থীর বেশির ভাগের ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহের তথ্য পাওয়া গেছে। এতে শিক্ষার্থী-সংকটে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
চাপিলা ইউনিয়নের এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর বলেন, গ্রামের অধিকাংশ পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ। অভাব-অজ্ঞতার কারণে অভিভাবকেরা কম বয়সী মেয়েদের গোপনে বিয়ে দিচ্ছেন। নানা উদ্যোগ নিয়েও বাল্যবিবাহ রোধ সম্ভব হচ্ছে না।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, শিক্ষার্থী ধরে রাখতে ২০১৭ সাল থেকে নিজস্ব পরিবহন সেবা চালু করা হয়। এর আগে ২০০০ সালে চালু করা হয় ‘মিড ডে মিল’ কার্যক্রম। তবে আর্থিক সংকটের কারণে গত জানুয়ারি থেকে দুপুরের খাবার কার্যক্রমটি বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয় ২০৩ ছাত্রী। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশনের পরই বাল্যবিবাহের কারণে ৮০ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষার ১৬ জন পরীক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার হয়। চলতি বছর ২৫ জন ছাত্রী ফরম পূরণ করলেও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ১০ জন; তারাও বাল্যবিবাহের শিকার বলে নিশ্চিত করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রধান শিক্ষক জানান, চাপিলা ইউনিয়নের ধানুড়া ছাড়াও শ্যামপুর, চন্দ্রপুর, পুঠিমারী ও ওয়াপদা বাজার এলাকার শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়টিতে পড়ে। শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বাড়াতে সপ্তাহে ১ কেজি চাল ও ২০ টাকা করে নিয়ে ‘মিড ডে মিল’ চালানো হতো। বাকি খরচ শিক্ষকেরা বহন করতেন।
মো. আলমগীর বলেন, ‘অভিভাবকদের নিয়ে সচেতনতা সভা করেছি, এলাকাভিত্তিক শিক্ষকও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাতের অন্ধকারে কিংবা দূরের আত্মীয়দের বাসায় নিয়ে গিয়ে মেয়েদের বিয়ে দিচ্ছেন অভিভাবকেরা। এতে বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থী-সংকটে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।’
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিড ডে মিল চালু রাখার বিষয়টিও বিবেচনায় আনা হবে।

নাটোরের গুরুদাসপুরে ধানুড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে বাল্যবিবাহের কারণে ছাত্রী ঝরে পড়ার প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। বিদ্যালয়ের তথ্যমতে, গত চার বছরে এই বিদ্যালয়ের ১০৬ ছাত্রী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। সর্বশেষ এসএসসি পরীক্ষায়ও অনুপস্থিত ২৬ শিক্ষার্থীর বেশির ভাগের ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহের তথ্য পাওয়া গেছে। এতে শিক্ষার্থী-সংকটে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
চাপিলা ইউনিয়নের এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর বলেন, গ্রামের অধিকাংশ পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ। অভাব-অজ্ঞতার কারণে অভিভাবকেরা কম বয়সী মেয়েদের গোপনে বিয়ে দিচ্ছেন। নানা উদ্যোগ নিয়েও বাল্যবিবাহ রোধ সম্ভব হচ্ছে না।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, শিক্ষার্থী ধরে রাখতে ২০১৭ সাল থেকে নিজস্ব পরিবহন সেবা চালু করা হয়। এর আগে ২০০০ সালে চালু করা হয় ‘মিড ডে মিল’ কার্যক্রম। তবে আর্থিক সংকটের কারণে গত জানুয়ারি থেকে দুপুরের খাবার কার্যক্রমটি বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয় ২০৩ ছাত্রী। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশনের পরই বাল্যবিবাহের কারণে ৮০ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষার ১৬ জন পরীক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার হয়। চলতি বছর ২৫ জন ছাত্রী ফরম পূরণ করলেও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ১০ জন; তারাও বাল্যবিবাহের শিকার বলে নিশ্চিত করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রধান শিক্ষক জানান, চাপিলা ইউনিয়নের ধানুড়া ছাড়াও শ্যামপুর, চন্দ্রপুর, পুঠিমারী ও ওয়াপদা বাজার এলাকার শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়টিতে পড়ে। শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বাড়াতে সপ্তাহে ১ কেজি চাল ও ২০ টাকা করে নিয়ে ‘মিড ডে মিল’ চালানো হতো। বাকি খরচ শিক্ষকেরা বহন করতেন।
মো. আলমগীর বলেন, ‘অভিভাবকদের নিয়ে সচেতনতা সভা করেছি, এলাকাভিত্তিক শিক্ষকও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাতের অন্ধকারে কিংবা দূরের আত্মীয়দের বাসায় নিয়ে গিয়ে মেয়েদের বিয়ে দিচ্ছেন অভিভাবকেরা। এতে বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থী-সংকটে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।’
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিড ডে মিল চালু রাখার বিষয়টিও বিবেচনায় আনা হবে।

ভোলা জেনারেল হাসপাতালে পরপর দুই দিনে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তা এখনো মামলা হিসেবে নেয়নি পুলিশ। গ্রেপ্তার করেনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে।
১৫ এপ্রিল ২০২৫
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আগারগাঁও পাকা মার্কেট সড়ক এলাকার সরকারি কোয়ার্টারে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগে
নিশাতের মা আহাজারি করতে করতে বলেন, ‘কুদ্দুস দালাল আরও ১০ লাখ টাকা চাইছে। আমরা বলেছি, আমার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করাই দেও। ওরা দেয়নি। এক মাস যোগাযোগ নাই। এখন জানাইছে, গেমের ট্রলার ডুবে গেছে সাগরে। বেশির ভাগই নিখোঁজ। জানি না আমার নিশাতের কী হইছে! আমার ছেলেরে ফেরত চাই!’
৩৯ মিনিট আগে
হাটহাজারীতে বিয়ের সামাজিক বৈঠকে (পানসল্লা) ছুরিকাঘাতে মো. রবিউল ইসলাম ওরফে বাবু (৪০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন এলাকার মুছা সওদাগরের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আগারগাঁও পাকা মার্কেট সড়ক এলাকার সরকারি কোয়ার্টারে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মো. আব্দুল জলিল মিয়া (৫০), তাঁর স্ত্রী আরনেজা বেগম (৪০), ছেলে আসিফ (১৯), সাকিব (১৬), আসিফের স্ত্রী মনিরা (১৭) ও নাতনি ইভা (৬) ও ইশা (৬)।
তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসা দগ্ধ জলিল মিয়ার মেয়ের স্বামী মো. আরফান মিয়া জানান, রাতে টিনশেড বাসায় পাশাপাশি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন পরিবারটির সাত সদস্য। ভোরের দিকে তাঁর শাশুড়ি আরনেজা বেগম রান্না করতে যান। দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালাতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে সাতজনই পুড়ে যান। আরফান ও তাঁর স্ত্রী জনিভা আক্তার পাশের কক্ষে ছিলেন। তাঁর দুই মেয়ে ইভা ও ইশা নানার কক্ষে ছিল। আসিফের স্ত্রী মনিরা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
তিনি জানান, তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরাও ছুটে আসেন। দগ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে এই আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে দগ্ধ আসিফ জানান, আগারগাঁও সরকারি কোয়ার্টারের বাসায় তাঁরা ভাড়া থাকেন। দেড় মাস ধরে ঘরে গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছিলেন। বাড়িওয়ালাকে বারবার বললেও কোনো প্রতিকার পাননি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন হারুনুর রশীদ জানান, জলিলের ১২ শতাংশ, আরনেজার ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। অন্যদের হাত-পা দগ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর হাত-পা দগ্ধ হয়েছে। তাঁকে চিকিৎসা দিয়ে গাইনি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। জলিল ও আরনেজা বেগমকে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবজারভেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আগারগাঁও পাকা মার্কেট সড়ক এলাকার সরকারি কোয়ার্টারে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মো. আব্দুল জলিল মিয়া (৫০), তাঁর স্ত্রী আরনেজা বেগম (৪০), ছেলে আসিফ (১৯), সাকিব (১৬), আসিফের স্ত্রী মনিরা (১৭) ও নাতনি ইভা (৬) ও ইশা (৬)।
তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসা দগ্ধ জলিল মিয়ার মেয়ের স্বামী মো. আরফান মিয়া জানান, রাতে টিনশেড বাসায় পাশাপাশি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন পরিবারটির সাত সদস্য। ভোরের দিকে তাঁর শাশুড়ি আরনেজা বেগম রান্না করতে যান। দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালাতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে সাতজনই পুড়ে যান। আরফান ও তাঁর স্ত্রী জনিভা আক্তার পাশের কক্ষে ছিলেন। তাঁর দুই মেয়ে ইভা ও ইশা নানার কক্ষে ছিল। আসিফের স্ত্রী মনিরা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
তিনি জানান, তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরাও ছুটে আসেন। দগ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে এই আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে দগ্ধ আসিফ জানান, আগারগাঁও সরকারি কোয়ার্টারের বাসায় তাঁরা ভাড়া থাকেন। দেড় মাস ধরে ঘরে গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছিলেন। বাড়িওয়ালাকে বারবার বললেও কোনো প্রতিকার পাননি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন হারুনুর রশীদ জানান, জলিলের ১২ শতাংশ, আরনেজার ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। অন্যদের হাত-পা দগ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর হাত-পা দগ্ধ হয়েছে। তাঁকে চিকিৎসা দিয়ে গাইনি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। জলিল ও আরনেজা বেগমকে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবজারভেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

ভোলা জেনারেল হাসপাতালে পরপর দুই দিনে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তা এখনো মামলা হিসেবে নেয়নি পুলিশ। গ্রেপ্তার করেনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে।
১৫ এপ্রিল ২০২৫
চাপিলা ইউনিয়নের এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর বলেন, গ্রামের অধিকাংশ পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ। অভাব-অজ্ঞতার কারণে অভিভাবকেরা কম বয়সী মেয়েদের গোপনে বিয়ে দিচ্ছেন। নানা উদ্যোগ নিয়েও বাল্যবিবাহ রোধ সম্ভব হচ্ছে না।
৫ মিনিট আগে
নিশাতের মা আহাজারি করতে করতে বলেন, ‘কুদ্দুস দালাল আরও ১০ লাখ টাকা চাইছে। আমরা বলেছি, আমার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করাই দেও। ওরা দেয়নি। এক মাস যোগাযোগ নাই। এখন জানাইছে, গেমের ট্রলার ডুবে গেছে সাগরে। বেশির ভাগই নিখোঁজ। জানি না আমার নিশাতের কী হইছে! আমার ছেলেরে ফেরত চাই!’
৩৯ মিনিট আগে
হাটহাজারীতে বিয়ের সামাজিক বৈঠকে (পানসল্লা) ছুরিকাঘাতে মো. রবিউল ইসলাম ওরফে বাবু (৪০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন এলাকার মুছা সওদাগরের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেশিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

স্বপ্নের দেশ ইতালির উদ্দেশে লিবিয়া থেকে রওনা দেওয়ার পর নিখোঁজ হন মাদারীপুর জেলার শিবচরের বেশ কয়েকজন যুবক। এক মাস নিখোঁজ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) খবর এসেছে, নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তাঁরা। এই যুবকদের একজন নিশাত মাতুব্বর।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে খবর এল নিশাতসহ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী ট্রলারটি ডুবে গেছে ভূমধ্যসাগরে। বেশির ভাগই সমুদ্রে ডুবে নিখোঁজ। এমন খবর বাড়িতে পৌঁছানোর পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাড়িতে। শুধু নিশাতই নন, মাদারীপুর জেলার শিবচরের বিভিন্ন এলাকার আরও তিন যুবকের খোঁজ নেই অনেক দিন ধরে। একই দালালের মাধ্যমে লিবিয়া থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে রওনা হয়েছিলেন তাঁরা।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বহেরাতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের সিঙ্গাপুর বাজার-সংলগ্ন নিখোঁজ নিশাতের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে স্বজনদের আহাজারি। চলছে মায়ের আর্তনাদ আর বিলাপ। বাড়িভর্তি আশপাশের লোকজন, আত্মীয়স্বজন। ছয় মাসের সন্তান কোলে নিয়ে নির্বাক স্ত্রী মেহেনাজ। নিখোঁজ নিশাত বহেরাতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাবিনা বেগম ও আব্দুল লতিফ মাতুব্বর দম্পতির একমাত্র সন্তান।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় কুদ্দুস দালালের মাধ্যমে গত ৩ অক্টোবর ঘর ছাড়েন নিশাত। প্রথমে সৌদি আরব যান। সেখানে ওমরাহ করেন। পরে সৌদি থেকে কুয়েত হয়ে মিসর পৌঁছান নিশাত। মিসর থেকে লিবিয়া। পুরো প্রক্রিয়ায় ইতালি যেতে ২২ লাখ টাকার চুক্তি হয় কুদ্দুসের সঙ্গে। এই কুদ্দুসের মাধ্যমে শিবচরের বিভিন্ন এলাকার আরও অর্ধডজন যুবক ইতালি যাওয়ার জন্য লিবিয়া গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজ নিশাতের শ্বশুর মিজান মোল্লা বলেন, ‘২২ লাখ টাকায় লিবিয়া দিয়ে ইতালি পাঠাবে বলে কুদ্দুস টাকা নেয়। আমরা সব টাকা অগ্রিম দিয়েছি। প্রথমে সৌদি নেয়। সেখান থেকে কয়েক দেশ ঘুরিয়ে লিবিয়া নেয়। নভেম্বর মাসের ১০ তারিখে গেম (সাগর পাড়ি দিতে ট্রলারে ওঠে) দেয়। এরপর আর যোগাযোগ নাই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দালাল কুদ্দুস জানায়, ট্রলার ডুবে গেছে। বেশির ভাগের কোনো খোঁজ নাই!’

নিশাতের মা আহাজারি করতে করতে বলেন, ‘কুদ্দুস দালাল আরও ১০ লাখ টাকা চাইছে। আমরা বলেছি, আমার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করাই দেও। ওরা দেয়নি। এক মাস যোগাযোগ নাই। এখন জানাইছে, গেমের ট্রলার ডুবে গেছে সাগরে। বেশির ভাগই নিখোঁজ। জানি না আমার নিশাতের কী হইছে! আমার ছেলেরে ফেরত চাই!’
নিখোঁজ নিশাতের স্ত্রী মেহেনাজ বলেন, ‘লিবিয়া যাওয়ার পর নিশাতের মোবাইল নিয়ে যায় দালালের লোকজন। পরে অন্যের মোবাইল দিয়ে যোগাযোগ করত। ১০ নভেম্বর দুপুরে গেম দেয়। গেম দেওয়ার আগে আরেকজনের মোবাইল থেকে ভয়েস পাঠায়, ‘ঠিকমতো পৌঁছানোর পর জানাব’। এর পর থেকে আর যোগাযোগ নাই! বৃহস্পতিবার খবর আসে, গেমের ট্রলার ডুবে গেছে। বেশির ভাগই নিখোঁজ। আমরা জানি না, নিশাত বেঁচে আছে কি না। কোনো খোঁজ নাই।’
নিশাত ছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ফারহান খান রোমান (২৪), শেখপুরের মুন্সীকান্দি এলাকার মুন্না। এ ছাড়াও শিবচর পৌর এলাকার আরও দুই যুবক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগে লিবিয়ায় আটকে রেখে তিন যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিও গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে এই নিখোঁজের বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্বপ্নের দেশ ইতালির উদ্দেশে লিবিয়া থেকে রওনা দেওয়ার পর নিখোঁজ হন মাদারীপুর জেলার শিবচরের বেশ কয়েকজন যুবক। এক মাস নিখোঁজ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) খবর এসেছে, নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তাঁরা। এই যুবকদের একজন নিশাত মাতুব্বর।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে খবর এল নিশাতসহ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী ট্রলারটি ডুবে গেছে ভূমধ্যসাগরে। বেশির ভাগই সমুদ্রে ডুবে নিখোঁজ। এমন খবর বাড়িতে পৌঁছানোর পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাড়িতে। শুধু নিশাতই নন, মাদারীপুর জেলার শিবচরের বিভিন্ন এলাকার আরও তিন যুবকের খোঁজ নেই অনেক দিন ধরে। একই দালালের মাধ্যমে লিবিয়া থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে রওনা হয়েছিলেন তাঁরা।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বহেরাতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের সিঙ্গাপুর বাজার-সংলগ্ন নিখোঁজ নিশাতের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে স্বজনদের আহাজারি। চলছে মায়ের আর্তনাদ আর বিলাপ। বাড়িভর্তি আশপাশের লোকজন, আত্মীয়স্বজন। ছয় মাসের সন্তান কোলে নিয়ে নির্বাক স্ত্রী মেহেনাজ। নিখোঁজ নিশাত বহেরাতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাবিনা বেগম ও আব্দুল লতিফ মাতুব্বর দম্পতির একমাত্র সন্তান।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় কুদ্দুস দালালের মাধ্যমে গত ৩ অক্টোবর ঘর ছাড়েন নিশাত। প্রথমে সৌদি আরব যান। সেখানে ওমরাহ করেন। পরে সৌদি থেকে কুয়েত হয়ে মিসর পৌঁছান নিশাত। মিসর থেকে লিবিয়া। পুরো প্রক্রিয়ায় ইতালি যেতে ২২ লাখ টাকার চুক্তি হয় কুদ্দুসের সঙ্গে। এই কুদ্দুসের মাধ্যমে শিবচরের বিভিন্ন এলাকার আরও অর্ধডজন যুবক ইতালি যাওয়ার জন্য লিবিয়া গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজ নিশাতের শ্বশুর মিজান মোল্লা বলেন, ‘২২ লাখ টাকায় লিবিয়া দিয়ে ইতালি পাঠাবে বলে কুদ্দুস টাকা নেয়। আমরা সব টাকা অগ্রিম দিয়েছি। প্রথমে সৌদি নেয়। সেখান থেকে কয়েক দেশ ঘুরিয়ে লিবিয়া নেয়। নভেম্বর মাসের ১০ তারিখে গেম (সাগর পাড়ি দিতে ট্রলারে ওঠে) দেয়। এরপর আর যোগাযোগ নাই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দালাল কুদ্দুস জানায়, ট্রলার ডুবে গেছে। বেশির ভাগের কোনো খোঁজ নাই!’

নিশাতের মা আহাজারি করতে করতে বলেন, ‘কুদ্দুস দালাল আরও ১০ লাখ টাকা চাইছে। আমরা বলেছি, আমার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করাই দেও। ওরা দেয়নি। এক মাস যোগাযোগ নাই। এখন জানাইছে, গেমের ট্রলার ডুবে গেছে সাগরে। বেশির ভাগই নিখোঁজ। জানি না আমার নিশাতের কী হইছে! আমার ছেলেরে ফেরত চাই!’
নিখোঁজ নিশাতের স্ত্রী মেহেনাজ বলেন, ‘লিবিয়া যাওয়ার পর নিশাতের মোবাইল নিয়ে যায় দালালের লোকজন। পরে অন্যের মোবাইল দিয়ে যোগাযোগ করত। ১০ নভেম্বর দুপুরে গেম দেয়। গেম দেওয়ার আগে আরেকজনের মোবাইল থেকে ভয়েস পাঠায়, ‘ঠিকমতো পৌঁছানোর পর জানাব’। এর পর থেকে আর যোগাযোগ নাই! বৃহস্পতিবার খবর আসে, গেমের ট্রলার ডুবে গেছে। বেশির ভাগই নিখোঁজ। আমরা জানি না, নিশাত বেঁচে আছে কি না। কোনো খোঁজ নাই।’
নিশাত ছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ফারহান খান রোমান (২৪), শেখপুরের মুন্সীকান্দি এলাকার মুন্না। এ ছাড়াও শিবচর পৌর এলাকার আরও দুই যুবক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগে লিবিয়ায় আটকে রেখে তিন যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিও গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে এই নিখোঁজের বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ভোলা জেনারেল হাসপাতালে পরপর দুই দিনে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তা এখনো মামলা হিসেবে নেয়নি পুলিশ। গ্রেপ্তার করেনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে।
১৫ এপ্রিল ২০২৫
চাপিলা ইউনিয়নের এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর বলেন, গ্রামের অধিকাংশ পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ। অভাব-অজ্ঞতার কারণে অভিভাবকেরা কম বয়সী মেয়েদের গোপনে বিয়ে দিচ্ছেন। নানা উদ্যোগ নিয়েও বাল্যবিবাহ রোধ সম্ভব হচ্ছে না।
৫ মিনিট আগে
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আগারগাঁও পাকা মার্কেট সড়ক এলাকার সরকারি কোয়ার্টারে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগে
হাটহাজারীতে বিয়ের সামাজিক বৈঠকে (পানসল্লা) ছুরিকাঘাতে মো. রবিউল ইসলাম ওরফে বাবু (৪০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন এলাকার মুছা সওদাগরের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেহাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

হাটহাজারীতে বিয়ের সামাজিক বৈঠকে (পানসল্লা) ছুরিকাঘাতে মো. রবিউল ইসলাম ওরফে বাবু (৪০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন এলাকার মুছা সওদাগরের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রবিউল ইসলাম মুছা সওদাগর বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক কোম্পানির বড় ছেলে। তিনি নাজিরহাট ঘাট স্টেশন এলাকার ব্যবসায়ী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে মুছা সওদাগরের বাড়িতে একটি বিয়ের প্রস্তুতিমূলক সামাজিক বৈঠক (পানসল্লা) চলছিল। এ সময় বৈঠকে রবিউল ইসলামের সঙ্গে একই বাড়ির জসিমের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে জসিম ঘর থেকে চাকু এনে বাবুর গলায় আঘাত করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই রবিউল ইসলামের মৃত্যু হয়।
ছুরিকাঘাতের সময় উপস্থিত রবিউল ইসলাম বাবুর ভাই ইমরুল হোসেন বাচ্চু (৩৫) ও চাচাতো ভাই ইমন (২১) বাবুকে উদ্ধার করতে গেলে জসিম তাঁদেরকেও চাকু দিয়ে আঘাত করেন। আহত দুজনকে নাজিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জসিমকে আটক করে হাটহাজারী মডেল থানা-পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি এখন ঘটনাস্থলে আছি। স্থানীয় উত্তেজিত জনতার কারণে এখন পর্যন্ত জসিমকে হেফাজতে নেওয়া সম্ভব হয়নি।’

হাটহাজারীতে বিয়ের সামাজিক বৈঠকে (পানসল্লা) ছুরিকাঘাতে মো. রবিউল ইসলাম ওরফে বাবু (৪০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন এলাকার মুছা সওদাগরের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রবিউল ইসলাম মুছা সওদাগর বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক কোম্পানির বড় ছেলে। তিনি নাজিরহাট ঘাট স্টেশন এলাকার ব্যবসায়ী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে মুছা সওদাগরের বাড়িতে একটি বিয়ের প্রস্তুতিমূলক সামাজিক বৈঠক (পানসল্লা) চলছিল। এ সময় বৈঠকে রবিউল ইসলামের সঙ্গে একই বাড়ির জসিমের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে জসিম ঘর থেকে চাকু এনে বাবুর গলায় আঘাত করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই রবিউল ইসলামের মৃত্যু হয়।
ছুরিকাঘাতের সময় উপস্থিত রবিউল ইসলাম বাবুর ভাই ইমরুল হোসেন বাচ্চু (৩৫) ও চাচাতো ভাই ইমন (২১) বাবুকে উদ্ধার করতে গেলে জসিম তাঁদেরকেও চাকু দিয়ে আঘাত করেন। আহত দুজনকে নাজিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জসিমকে আটক করে হাটহাজারী মডেল থানা-পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি এখন ঘটনাস্থলে আছি। স্থানীয় উত্তেজিত জনতার কারণে এখন পর্যন্ত জসিমকে হেফাজতে নেওয়া সম্ভব হয়নি।’

ভোলা জেনারেল হাসপাতালে পরপর দুই দিনে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তা এখনো মামলা হিসেবে নেয়নি পুলিশ। গ্রেপ্তার করেনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে।
১৫ এপ্রিল ২০২৫
চাপিলা ইউনিয়নের এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর বলেন, গ্রামের অধিকাংশ পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ। অভাব-অজ্ঞতার কারণে অভিভাবকেরা কম বয়সী মেয়েদের গোপনে বিয়ে দিচ্ছেন। নানা উদ্যোগ নিয়েও বাল্যবিবাহ রোধ সম্ভব হচ্ছে না।
৫ মিনিট আগে
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আগারগাঁও পাকা মার্কেট সড়ক এলাকার সরকারি কোয়ার্টারে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগে
নিশাতের মা আহাজারি করতে করতে বলেন, ‘কুদ্দুস দালাল আরও ১০ লাখ টাকা চাইছে। আমরা বলেছি, আমার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করাই দেও। ওরা দেয়নি। এক মাস যোগাযোগ নাই। এখন জানাইছে, গেমের ট্রলার ডুবে গেছে সাগরে। বেশির ভাগই নিখোঁজ। জানি না আমার নিশাতের কী হইছে! আমার ছেলেরে ফেরত চাই!’
৩৯ মিনিট আগে