Ajker Patrika

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাকে কর্মচারীর জুতাপেটা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২: ১৯
মতিউর রহমান ও শহিদুল ইসলাম (বাঁ থেকে)। ছবি: সংগৃহীত
মতিউর রহমান ও শহিদুল ইসলাম (বাঁ থেকে)। ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) এক কর্মকর্তাকে জুতাপেটা করার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের কক্ষে ঢুকে তাঁকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা করেন প্রকৌশল শাখার দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী মতিউর রহমান।

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অস্থিরতা, ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। দুপুরে অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা ববির রেজিস্ট্রারের কাছে বিচার দাবি করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অর্থ দপ্তরে নিজ কক্ষে বসে ছিলেন শহিদুল ইসলাম। এমন সময় কোনো কথা না বলেই মতিউর রহমান ডেস্কে গিয়ে শহিদুলকে জুতাপেটা করে সটকে পড়েন। এতে হতভম্ব হয়ে যান অর্থ শাখার অনেকে।

জানতে চাইলে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী মতিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি ২০১৬ সালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার জন্য কয়েকজনের কাছ থেকে ৩২ লাখ ৬০ হাজার টাকা এনে শহিদুলকে দেন। তিনি ওই টাকা ফেরত না দিয়ে ঘোরাচ্ছেন। সম্প্রতি শহিদুল তাঁর বিরুদ্ধে উল্টো জিডি করেছেন বন্দর থানায়।

মতিউর বলেন, ‘তারপর তো শহিদুলকে গিয়ে জুতা দিয়ে কয়েকটি পেটান দিয়েছি। মানুষ তো আমার কাছে টাকা চায়।’

কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অফিস চলাকালে সহকর্মীদের সামনে মতিউর জুতাপেটা করে সটকে পড়েন। তিনি এ ঘটনায় হতাশ ও বিস্মিত। ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি ববি উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের উপপরিচালক আতিকুর রহমান বলেন, এ রকম ঘটনা অফিসে ঘটতে পারে না। অফিস চলাকালে ডেস্কে এসে লাঞ্ছিত করা কাম্য নয়। তাঁরা রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়ে এ ঘটনার বিচার চেয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার নাদিম মল্লিক বলেন, দৈনিক মজুরিভিত্তিক একজন কর্মচারী এক কর্মকর্তাকে তাঁর দপ্তরে গিয়ে জুতাপেটা করতে পারে না। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেবেন বলে উপাচার্য আশ্বাস দিয়েছেন।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনা একটা ঘটেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচীতা শরমিনকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচায অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানিকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত