Ajker Patrika

ইসলামী আন্দোলন ও এনসিপি ঐক্য, পাত্তা দিচ্ছে না বিএনপি

  • এনসিপির শীর্ষ নেতারা গত সোমবার রাতে চরমোনাই দরবারে যান।
  • সংশ্লিষ্ট আসনে পাঁচবারের সংসদ সদস্য ছিলেন বিএনপির সরোয়ার।
খান রফিক, বরিশাল 
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৬: ৫২
চরমোনাই পীরের দরবারে এনসিপি নেতারা। ছবি: সংগৃহীত
চরমোনাই পীরের দরবারে এনসিপি নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মূল শক্তি চরমোনাই পীরের দরবার শরিফ ঘিরে। আর চরমোনাই এলাকাটির অবস্থান বরিশাল-৫ (নগর ও সদর) আসনে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনটি হাতপাখা প্রতীকের দখলে নেওয়ার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে পীরের দল। সে জন্য তারা জামায়াতে ইসলামীর পর এবার ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিষয়টিকে পাত্তা দিতে চাচ্ছে না বারবার এ আসনে জয়ী হওয়া বিএনপি।

বরিশালে পদযাত্রার আগে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ শীর্ষ নেতারা গত সোমবার রাতে চরমোনাই দরবার শরিফে যান। তাঁরা রাত সাড়ে ৯টায় দরবারে পৌঁছান এবং গভীর রাতে বরিশাল নগরীতে ফিরে আসেন। তবে দলের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমসহ তিনজন চারমোনাইতে রাতে ছিলেন। ইসলামী আন্দোলনের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক কে এম শরিয়ত উল্লাহ জানান, সফরকালে দলের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির (পীরের ভাই) সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম পৃথকভাবে নাহিদ ইসলামের সঙ্গে আধা ঘণ্টা ও সারজিস আলমের সঙ্গে প্রায় ২০ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।

পরে দুই নেতার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ বলেন, চলমান পদযাত্রায় তাঁরা যেসব জেলায় যাচ্ছেন, সেসব স্থানের দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শন করছেন। চরমোনাই দরবারে যাওয়া এরই অংশমাত্র। এ সফর নির্বাচনী ঐক্যের ইঙ্গিত কি না, এমন প্রশ্নে ফয়জুল করীম বলেন, ‘এনসিপি ও আমাদের বক্তব্য প্রায় কাছাকাছি। দেশ গড়ার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, সেটা নির্বাচন হোক, আন্দোলন হোক, বিপ্লব হোক আমরা একসঙ্গে করব।’

দলটির দায়িত্বশীল এক নেতা জানান, তাঁদের অন্যতম লক্ষ্য সদর আসনে ফয়জুল করীমকে বিজয়ী করা। তিনি এ আসনে আগেও নির্বাচন করেছেন। বিশেষ করে গত সিটি নির্বাচনে হাতপাখার বিপুল জনপ্রিয়তা দেখে তাঁদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। তাই আসন পাকাপাকি করতে তাঁরা এনসিপি এবং জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা করতে চাইছে।

জানতে চাইলে ফয়জুল করীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনাও হয়েছে। আমরা ঐকমত্য পোষণ করছি যে ভবিষ্যতে আবার যেন নতুন কোনো ফ্যাসিস্ট ক্ষমতায় না আসতে পারে।’ সদর আসনের প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জামায়াত, এনসিপির সঙ্গে আমাদের ঐক্য হতে পারে।’

এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আবু নাসের রহমাতুল্লাহর বাড়িও চরমোনাই। তিনি দলের নির্বাহী সদস্য। তিনি আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘সামনে নির্বাচন আছে, রাজনীতিতে বিভিন্ন ধরনের মেরুকরণ হতেই পারে। কিন্তু এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনের এই সখ্য আমাদের কাছে তেমন গুরুত্ব বহন করে না। চরমোনাই ইসলামী আন্দোলনের হেড অফিস। কিন্তু এখানে এনসিপির ভোট কোথায়? হাতপাখা আর দাঁড়িপাল্লার (জামায়াত) নিজস্ব কিছু ভোট আছে। তাই জোট হলেও সদর আসনের জন্য বিএনপি চিন্তিত না। এটা বিএনপির দুর্গ। বিএনপি যতবার ধানের শীষ নিয়ে প্রার্থী হয়েছে, ততবারই এ আসনে জয়ী হয়েছে।’

এই আসনের পাঁচবারের সংসদ সদস্য ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার।

এ ব্যাপারে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, ‘নব্য গজানো দলটি (এনসিপি) ভাড়া করে পদযাত্রায় মানুষ আনে। তাদের নিয়ে আমাদের ভাবার সময় নেই। চরমোনাইয়ের দল দেড় যুগ হাসিনাকে পাখা দিয়ে বাতাস দিয়েছে। তারা সকালে এক রকম, রাতে অন্য রকম কথা বলছে। একই অবস্থা জামায়াতেরও। ধর্মীয় আবেগ সৃষ্টি করে রাজনীতি নষ্ট করছে তারা। বরিশাল-৫ আসন বিএনপির ঘাঁটি। কোনো ধর্মান্ধ শক্তিকে জনগণ ভোট দেবে না। ইসলামী আন্দোলন, এনসিপি কিংবা জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য নিয়ে বিএনপির কোনো মাথাব্যথা নেই।’

ইসলামী আন্দোলনের ঐক্যকে বিএনপির গুরুত্ব না দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফয়জুল করীম বলেন, ‘তারা (বিএনপি) তাদের স্থান থেকে বলতেই পারে। শেখ হাসিনাও কিন্তু এক ঘণ্টা আগে বুঝতে পারেনি যে ক্ষমতা ছাড়তে হচ্ছে। ৫৩ বছরের রাজনীতি জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে। মানুষ পরিবর্তন চায়।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাঠে পড়ে ছিল মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।

নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।

থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।

ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত