সাখাওয়াত ফাহাদ, বরিশাল থেকে

বরিশাল লঞ্চঘাটের পাশ থেকে নৌকায় চড়ে ওপারের রসুলপুর কলোনিতে যাচ্ছিলেন শরীফ মিয়া। হাতে চারটি পাঙাশ মাছ। হেসে হেসে মাঝিকে বললেন, ‘ডেইলি রাইতে যে টাহা আইয়ে, ওইডি যায় কোম্বে?’ মাঝির জবাব, ‘টাহা আইয়ে খালি শুনি, পহেডে তো ঢোকে না। তাইলে বুজব কেমবায়?’
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের আগের দিন গতকাল রোববার এ ধরনের আলাপই বেশি শোনা গেছে নগরীর আওতাধীন বস্তি এলাকাগুলোয়। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বরিশাল নগরীর ৫, ৬ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কলাপট্টি, রিফিউজি কলোনি, গগন গলি বস্তি, স্টেডিয়াম বস্তি, পলাশপুর কলোনি, রসুলপুরসহ বেশ কয়েকটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার ভোট এবার নির্বাচনে প্রভাবক হয়ে উঠতে পারে। কারণ, এসব এলাকায় ১০ হাজারের বেশি ভোটার রয়েছেন। তাই প্রার্থীদের বিশেষ নজর এই এলাকাগুলোয়। শেষ মুহূর্তে এসে ভোট কিনতে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ আছে।
গতকাল দুপুরে শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুরে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে চলছে ধুন্ধুমার ভোটের আমেজ। চায়ের দোকানগুলোতে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা, ভোটের হিসাব-নিকাশ। নানান সমস্যায় জর্জর এই চরের মানুষ জানিয়েছেন, বিগত ১০ বছরে তাঁরা প্রত্যাশিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত।
তবে এসব এলাকার নিম্নবিত্ত ভোটারদের অর্থের বিনিময়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। মাদক ও সন্ত্রাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা সিন্ডিকেট করে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন বলে জানান তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ভোটার জানান, রসুলপুরের অধিকাংশ মানুষ নিম্নবিত্ত। তাদের সহজেই অর্থের বিনিময়ে প্রভাবিত করা যায়। এখানে যে বেশি টাকা দেবেন, লোকজন তাঁকেই ভোট দেবেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বরিশাল জেলা শাখার সম্পাদক রফিকুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আচরণবিধিতে স্পষ্ট বলা আছে, ভোটারদের লোভ, ভয় বা প্রভাবিত করা আচরণবিধি লঙ্ঘন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যারা বস্তিবাসী বা নিম্নবিত্ত, তাদের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো হয়ে থাকে। তারাও চায় “নগদ নারায়ণ”, আবার প্রার্থীরাও তাদের টাকা দিয়ে সহজেই আকৃষ্ট করতে পারে। পুরো প্রক্রিয়াটা দ্বিপক্ষীয়।’

বরিশাল লঞ্চঘাটের পাশ থেকে নৌকায় চড়ে ওপারের রসুলপুর কলোনিতে যাচ্ছিলেন শরীফ মিয়া। হাতে চারটি পাঙাশ মাছ। হেসে হেসে মাঝিকে বললেন, ‘ডেইলি রাইতে যে টাহা আইয়ে, ওইডি যায় কোম্বে?’ মাঝির জবাব, ‘টাহা আইয়ে খালি শুনি, পহেডে তো ঢোকে না। তাইলে বুজব কেমবায়?’
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের আগের দিন গতকাল রোববার এ ধরনের আলাপই বেশি শোনা গেছে নগরীর আওতাধীন বস্তি এলাকাগুলোয়। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বরিশাল নগরীর ৫, ৬ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কলাপট্টি, রিফিউজি কলোনি, গগন গলি বস্তি, স্টেডিয়াম বস্তি, পলাশপুর কলোনি, রসুলপুরসহ বেশ কয়েকটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার ভোট এবার নির্বাচনে প্রভাবক হয়ে উঠতে পারে। কারণ, এসব এলাকায় ১০ হাজারের বেশি ভোটার রয়েছেন। তাই প্রার্থীদের বিশেষ নজর এই এলাকাগুলোয়। শেষ মুহূর্তে এসে ভোট কিনতে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ আছে।
গতকাল দুপুরে শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুরে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে চলছে ধুন্ধুমার ভোটের আমেজ। চায়ের দোকানগুলোতে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা, ভোটের হিসাব-নিকাশ। নানান সমস্যায় জর্জর এই চরের মানুষ জানিয়েছেন, বিগত ১০ বছরে তাঁরা প্রত্যাশিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত।
তবে এসব এলাকার নিম্নবিত্ত ভোটারদের অর্থের বিনিময়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। মাদক ও সন্ত্রাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা সিন্ডিকেট করে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন বলে জানান তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ভোটার জানান, রসুলপুরের অধিকাংশ মানুষ নিম্নবিত্ত। তাদের সহজেই অর্থের বিনিময়ে প্রভাবিত করা যায়। এখানে যে বেশি টাকা দেবেন, লোকজন তাঁকেই ভোট দেবেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বরিশাল জেলা শাখার সম্পাদক রফিকুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আচরণবিধিতে স্পষ্ট বলা আছে, ভোটারদের লোভ, ভয় বা প্রভাবিত করা আচরণবিধি লঙ্ঘন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যারা বস্তিবাসী বা নিম্নবিত্ত, তাদের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো হয়ে থাকে। তারাও চায় “নগদ নারায়ণ”, আবার প্রার্থীরাও তাদের টাকা দিয়ে সহজেই আকৃষ্ট করতে পারে। পুরো প্রক্রিয়াটা দ্বিপক্ষীয়।’

রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৮ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
২ ঘণ্টা আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
২ ঘণ্টা আগে