মো. হোসাইন আলী কাজী, আমতলী (বরগুনা)

ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে বরগুনার আমতলী উপজেলায় তিন শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। সহস্রাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত এবং অন্তত দুই লক্ষাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। সহস্রাধিক পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। এতে অন্তত ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চারটি স্থানে বাঁধ ভেঙে ৫০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পরেছে। আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবয়ন কর্মকর্তার অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমাল গত রোববার সন্ধ্যা নাগাল উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হনে। আজ সোমবার বিকেল পর্যন্ত চলে তাণ্ডব। দমকা বাতাসের সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে মাটি আগলা হয়ে তিন শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত এবং সহস্রাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। উপড়ে পরেছে অন্তত দুই লক্ষাধিক গাছপালা।
পশুরবুনিয়া, ঘোপখালী, পশ্চিম সোনাখালী, সোনাউডা বাঁধ এবং আঙ্গুলকাটা স্লুইজ গেট ভেঙে ও ইসলামপুর গ্রামের বাঁধ গড়িয়ে ভেতরে পানি প্রবেশ করেছে। এতে আড়পাঙ্গাশিয়া, আঠারোগাছিয়া, হলদিয়া, আমতলী সদর ও গুলিশাখালী ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে।
ওই পাঁচ ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পরেছে। ভারী বর্ষণে কুকুয়া ও চাওড়া পানিতে প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষ ভোয়ার-ভাটার সঙ্গে যুদ্ধ করে চলছে। এছাড়া পানিতে উপজেলার সহস্রাধিক পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। সব মিলেয়ে উপজেলার অন্তত ৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
অপর দিকে এ বন্যায় আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বারেক চৌকিদারসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল থেকে আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। এতে আমতলী উপজেলার সাড়ে তিন লক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তিতে দিনাতিপাত করছে।
অপর দিনে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়া ১০ হাজার মানুষকে উপজেলা প্রশাসন খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন বলে জানান সিপিপির টিম লিডার রিপন মুন্সি।
আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য লতিফ মিয়া বলেন, ‘রিমালের আঘাতে আমার ঘরটি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এতে আমার অন্তত পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
শাহজাহান তালুকদার বলেন, ‘বাতাসের তাণ্ডবে আমার ঘরটি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।’
ইসহাক মুসুল্লী বলেন, পশুরবুনিয়া ও ঘোপখালী বাঁধ ভেঙে আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পশুরবুনিয়া এলাকার তিন শতাধিক পরিবারের ঘর বাড়ি পানিতে ডুবে গেছে।
সোনাখালী গ্রামের সোহেল রানা বলেন, পশ্চিম সোনাখালী বাঁধ ভেঙে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবয়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হুসাইন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালে উপজেলার তিন শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত এবং সহস্রাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। অগণিত গাছপালা উপড়ে পরেছে। পানিতে প্লাবিত হয়ে সহস্রাধিক পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্ষতির তালিকা করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা অন্তত ১০ হাজার মানুষকে খাবার ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে বরগুনার আমতলী উপজেলায় তিন শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। সহস্রাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত এবং অন্তত দুই লক্ষাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। সহস্রাধিক পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। এতে অন্তত ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চারটি স্থানে বাঁধ ভেঙে ৫০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পরেছে। আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবয়ন কর্মকর্তার অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমাল গত রোববার সন্ধ্যা নাগাল উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হনে। আজ সোমবার বিকেল পর্যন্ত চলে তাণ্ডব। দমকা বাতাসের সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে মাটি আগলা হয়ে তিন শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত এবং সহস্রাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। উপড়ে পরেছে অন্তত দুই লক্ষাধিক গাছপালা।
পশুরবুনিয়া, ঘোপখালী, পশ্চিম সোনাখালী, সোনাউডা বাঁধ এবং আঙ্গুলকাটা স্লুইজ গেট ভেঙে ও ইসলামপুর গ্রামের বাঁধ গড়িয়ে ভেতরে পানি প্রবেশ করেছে। এতে আড়পাঙ্গাশিয়া, আঠারোগাছিয়া, হলদিয়া, আমতলী সদর ও গুলিশাখালী ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে।
ওই পাঁচ ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পরেছে। ভারী বর্ষণে কুকুয়া ও চাওড়া পানিতে প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষ ভোয়ার-ভাটার সঙ্গে যুদ্ধ করে চলছে। এছাড়া পানিতে উপজেলার সহস্রাধিক পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। সব মিলেয়ে উপজেলার অন্তত ৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
অপর দিকে এ বন্যায় আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বারেক চৌকিদারসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল থেকে আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। এতে আমতলী উপজেলার সাড়ে তিন লক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তিতে দিনাতিপাত করছে।
অপর দিনে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়া ১০ হাজার মানুষকে উপজেলা প্রশাসন খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন বলে জানান সিপিপির টিম লিডার রিপন মুন্সি।
আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য লতিফ মিয়া বলেন, ‘রিমালের আঘাতে আমার ঘরটি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এতে আমার অন্তত পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
শাহজাহান তালুকদার বলেন, ‘বাতাসের তাণ্ডবে আমার ঘরটি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।’
ইসহাক মুসুল্লী বলেন, পশুরবুনিয়া ও ঘোপখালী বাঁধ ভেঙে আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পশুরবুনিয়া এলাকার তিন শতাধিক পরিবারের ঘর বাড়ি পানিতে ডুবে গেছে।
সোনাখালী গ্রামের সোহেল রানা বলেন, পশ্চিম সোনাখালী বাঁধ ভেঙে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবয়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হুসাইন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালে উপজেলার তিন শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত এবং সহস্রাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। অগণিত গাছপালা উপড়ে পরেছে। পানিতে প্লাবিত হয়ে সহস্রাধিক পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্ষতির তালিকা করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা অন্তত ১০ হাজার মানুষকে খাবার ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৮ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
২ ঘণ্টা আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
২ ঘণ্টা আগে