Ajker Patrika

বরিশাল সিটি নির্বাচন: কাউন্সিলর পদে লড়ছেন বিএনপির ১৮ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ২৫ মে ২০২৩, ২১: ১২
বরিশাল সিটি নির্বাচন: কাউন্সিলর পদে লড়ছেন বিএনপির ১৮ নেতা

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল আজ বৃহস্পতিবার। দলের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও বিএনপির ১৮ নেতা আজ শেষ দিনেও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। তাঁরা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নেতাদের মধ্যে যেমন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রয়েছেন, তেমনি ওয়ার্ড নেতারাও রয়েছেন। নগর বিএনপি জানিয়েছে, দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এসব নেতার তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে।

বরিশাল সিটি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, বিভিন্ন দলের মোট ২১ জন তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সে অনুযায়ী বরিশাল সিটিতে এখন মেয়র প্রার্থী ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর ১১৬ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৪২ জন ভোটে লড়াই করবেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপি নেতারা হলেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ হাবিবুর রহমান ফারুক, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান টিপু, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সদস্য মো. সেলিম হাওলাদার, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, মহানগর যুবদলের সহসভাপতি হুমায়ুন কবীর লিংকু, ১৫ নম্বরে ওয়ার্ড বিএনপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান, ১৮ নম্বরে দুই দিন আগে দল থেকে পদত্যাগকারী ওয়ার্ড বিএনপির সদস্যসচিব জিয়াউল হক মাসুম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাবের আবদুল্লাহ জাবির, জেলা তাঁতী দলের সাবেক সভাপতি কাজী মো. শাহিন, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক ইসলাম, ১৯ নম্বরে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আমিনুল ইসলাম আমিন, ২২ নম্বরে মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেসমিন সামাদ শিল্পী, ২৪ নম্বরে মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর ফিরোজ আহমেদ, ২৬ নম্বরে ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ২৮ নম্বরে মহানগর বিএনপির সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর মো. হুমায়ন কবীর, সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সদস্য বর্তমান ও কাউন্সিলর জাহানারা বেগম, ৯ নম্বরে সেলিনা বেগম এবং ১০ নম্বরে রাশিদা পারভীন।

বিএনপি সূত্র বলছে, তাদের আহ্বানে পাঁচজন বিএনপি নেতা সাড়া দিয়েছেন। তাঁরা হলেন ১ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাইদুল ইসলাম মামুন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মাইনুল হক চিশতি, ২২ নম্বরের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির ১ নম্বর সদস্য আ ন ম সাইফুল আহসান আজিম, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মো. হাবিবুল্লাহ এবং ২৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান জিয়া।

তবে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির ১ নম্বর সদস্য আ ন ম সাইফুল আহসান আজিম প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও তাঁর স্ত্রী মহিলা দল নেত্রী প্রার্থী হিসেবে রয়ে গেছেন।

মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আমিনুল ইসলাম আমিন এর আগে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তিনি মাঠে রয়ে গেছেন। এ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা আমিন বলেন, ‘কেন আমি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করব। দল থেকে বহিষ্কার করবে, করুক। আবার আন্দোলন-সংগ্রামে নামলে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।’

এ ব্যাপারে নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারা কারা প্রার্থী হয়েছেন। এর তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। এই তালিকায় যাঁরা পদে আছেন তাঁদের এবং যাঁরা পদে নেই তেমন সাবেক নেতাদের নামও থাকছে। যদিও ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন প্রত্যাহার করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘তাঁরা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নিতে যে বিধিনিষেধ আছে তা প্রার্থীদের জানিয়েছি। কিন্তু শুনেননি। এমনিক বিবৃতি দিয়েও সতর্ক করেছেন। এদের বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হবে।’

বরিশাল সিটিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১৯ থেকে ২১ মে, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল আজ ২৫ মে। ২৬ মে হবে প্রতীক বরাদ্দ। ভোট গ্রহণ ১২ জুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় এসে মারা যাওয়া নিরব জনকণ্ঠের সাবেক কর্মী

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
মো. নিরব হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
মো. নিরব হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন। মৃতের বড় ভাই মো. বাহাদুর হোসেন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাহাদুর হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার জানাজায় শরিক হতে নিরব হোসেন তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় যান। জানাজার সময় অতিরিক্ত মানুষের ভিড়ের চাপে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হলেও ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, কর্মজীবনে মো. নিরব হোসেন ১৯৯৮ সাল থেকে পাঁচ বছরের বেশি সময় দৈনিক জনকণ্ঠে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

চব্বিশের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নিরব হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। পরে সরকারিভাবে চিকিৎসার জন্য তাঁকে থাইল্যান্ড পাঠানো হয় এবং চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘আমি সই না করলে ইউএনও সই করবে না’—এলজিইডি প্রকৌশলীর ভিডিও ভাইরাল

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ১১
প্রকৌশলী আব্দুল খালেক । ছবি: সংগৃহীত
প্রকৌশলী আব্দুল খালেক । ছবি: সংগৃহীত

‘আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না’—ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আব্দুল খালেকের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে চাহিদামতো ঘুষের টাকা না পেয়ে ওই প্রকৌশলীকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে এমন কথা বলতে শোনা গেছে।

৩১ সেকেন্ডের ভিডিওটি গোপনে তাঁর কার্যালয় থেকে ধারণ করা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয় স্থানীয় সাংবাদিক নিজাম নকিবের ‘নগদ খবর’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে।

জানতে চাইলে নিজাম নকিব জানান, গত মঙ্গলবার এক ব্যক্তি তাঁকে ভিডিওটি পাঠিয়েছেন এবং এটি আজকে ধারণ করা বলে জানান তিনি। তবে ওই ব্যক্তি নিজের নাম ইমতিয়াজ আসিফ বললেও অন্য পরিচয় গোপন রাখেন।

ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।

নগরকান্দা এলজিইডি প্রকৌশলী। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
নগরকান্দা এলজিইডি প্রকৌশলী। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

এ সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘স্যার, রাখেন এইটা স্যার, বিলের ফাইল ছাড়ার সময় ৪৫ হাজার টাকা নিলেনই আপনি আমার কাছ থেকে। রাখেন স্যার, তিন হাজার টাকা রাখেন, পাঁচ হাজার টাকা নাই।’

পরে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি সই করব, তারপর ইউএনও সই করবে। আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না।’

ভিডিওটির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বদমাশ ভিডিওটি করেছে। আমি তাকে চিনিও না, জানিও না। আন্দাজে কী কয় কী হয়, যা পারে করুক। এগুলো নিয়ে এখন আর কিছু বলার নেই।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরাজ শারবীন বলেন, ‘ভিডিওটি পূর্বের, আমি দেখেছি। এ ছাড়া আমি নতুন এসেছি। এসব বিষয়ে তাদের ডিপার্টমেন্ট (এলজিইডি) থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আনোয়ারায় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার দুই শিশুর পরিচয় মিলেছে, বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আনোয়ারায় দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আনোয়ারায় দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়। আজ বুধবার দুপুরে খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ওই শিশুদের বাবা দাবি করে আনোয়ারার ইউএনও ও থানার ওসির সঙ্গে দেখা করেন। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশে দুই শিশুর বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রশাসন।

এর আগে গত রোববার সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের মাজারগেট এলাকা থেকে আয়শা (৪) ও মোরশেদ (২) নামের শিশু দুটিকে উদ্ধার করে নিজের হেফাজতে রাখেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মহিম উদ্দিন। গত সোমবার সারা দিন আনোয়ারা থানা ও উপজেলা প্রশাসন ওই শিশুদের পরিবার ও অভিভাবকদের তথ্য পেতে চেষ্টা করে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুই শিশুকে নিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে যান আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার। জেলা প্রশাসক তাদের চিকিৎসা ও যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নেন। পরে দুই শিশুর মধ্যে আয়শাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ মোরশেদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আজ দুপুরে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিশুদের বাবা খোরশেদ। বর্তমানে তিনি পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েদ চৌধুরী।

পুলিশের হেফাজতে থাকা খোরশেদ আলমের বরাতে পুলিশ জানায়, খোরশেদ পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। পাশাপাশি বাঁশখালীর একটি ভাঙারির দোকানেও কাজ করেন। খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার মহামনি এলাকায় তাঁর বাড়ি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাঁশখালীর মিয়ার বাজার লস্করপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর স্ত্রীর বাড়ি সাতকানিয়া। ৫-৬ মাস আগে তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যান। স্ত্রী তাঁর ছোট প্রতিবন্ধী শিশুটিকে দিয়ে ভিক্ষা করাতেন। এটা নিয়েও স্বামী-স্ত্রীর একাধিকবার ঝগড়া হয়েছিল।

এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিশু দুটিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি আমলে নিয়ে আজ চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাখাওয়াত হোসেন আনোয়ারা থানাকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আনোয়ারা থানার শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা শিশু আইন-২০১৩-এর বিধান অনুযায়ী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, সে সম্পর্কে ৫ জানুয়ারির মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালতের আদেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে আনোয়ারা থানার ওসি মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শিশুদের বাবার খোঁজ পেয়েছি। বিস্তারিত জানার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আদালত জানতে চেয়েছেন শিশুদের ব্যাপারে আমরা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছি।’

ইউএনও তাহমিনা আক্তার বলেন, সড়কের পাশে পাওয়া দুই শিশুর দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তাদের একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বড় শিশুকে আশ্রয়দানকারী মহিম উদ্দিনের হেফাজতে রাখা হয়। তিনি বলেন, আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং প্রশাসন স্বামী-স্ত্রী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জামায়াত প্রার্থী মাসুদের বাড়ি নেই, পেশা ব্যবসা ও পরামর্শক

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কোনো বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী ও পরামর্শক। বছরে আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা।

নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

হলফনামা অনুযায়ী, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬৪ টাকা। তাঁর বার্ষিক আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৩০ টাকা। এর বিপরীতে তিনি ৪৫ হাজার ৪২৫ টাকা আয়কর পরিশোধ করেছেন।

হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ৪৩ হাজার ২৫০ টাকা। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে তাঁর জমা রয়েছে ১৬ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ টাকা। পেশা হিসেবে তিনি নিজেকে পরামর্শক উল্লেখ করেছেন।

এ ছাড়া বন্ড, ঋণপত্র এবং শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাঁর ৩ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে।

হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নামে কোনো জমি, বাড়ি কিংবা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। তবে তাঁর পরিবারের মোট ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

তাঁর স্ত্রী পেশায় একজন চিকিৎসক। সর্বশেষ আয়কর বিবরণী অনুযায়ী, তাঁর স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৩ টাকা।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের মালিকানায় রয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার বৈদ্যুতিকসামগ্রী এবং ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র। তবে তাঁর বা তাঁর পরিবারের নামে কোনো যানবাহন বা ব্যক্তিগত গাড়ি নেই।

হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর আয়ের প্রধান উৎস ব্যবসা ও পরামর্শক পেশা। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ২ হাজার ৮৩০ টাকা এবং পরামর্শক পেশা থেকে আয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য খাত থেকে তাঁর আয় রয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত