Ajker Patrika

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষতিপূরণ নিয়ে আন্দোলনকারী নেতা নিখোঁজ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩: ৩৮
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ রবিউল আউয়াল অন্তর। ছবি: সংগৃহীত
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ রবিউল আউয়াল অন্তর। ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিষয়ক সহসম্পাদক, পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লোন্দা গ্রামের বাসিন্দা রবিউল আউয়াল অন্তর (৩০) গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। অন্তরের বড় ভাই তুষার আল মামুন পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ছয় কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন অন্তর।

স্বজনেরা জানান, কলাপাড়া পৌর শহরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে গতকাল রাতে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন অন্তর। এর পর থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

পুলিশ জানায়, কলাপাড়া থানা-পুলিশ তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি কলাপাড়া-পটুয়াখালী মহাসড়কের পায়রা পোর্ট ফোর লেন ও সিক্স লেন সড়কের মাঝ বরাবর রজপাড়া মাদ্রাসাসংলগ্ন সড়ক থেকে পার্ক করা অবস্থায় উদ্ধার করেছে। কিছুটা দূর থেকে একটি হেলমেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ কলাপাড়া থানায় একটি জিডি করেছে।

পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ছয় কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করার কথা জানিয়েছেন অন্তরের বড় ভাই তুষার আল মামুন। তিনি বলেন, কলাপাড়া পৌর শহরের ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেস ‘গ্রাফিক্স ওয়াল’ বন্ধ করে গতকাল রাত ১১টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফিরছিলেন অন্তর। এরপর গভীর রাতে থানার মোবাইল পেয়ে বিষয়টি তাঁরা জানেন।

অন্তরের বাবা মো. সোলায়মান জানান, তাঁর ছেলে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষতিপূরণ আদায়, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের চাকরিসহ আট দফা দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছেন। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।

কলাপাড়া থানার ওসি মো. জুয়েল ইসলাম জানান, মোটরসাইকেলটি ওখানে পার্ক করা দেখে পায়রা পোর্ট ফোর লেন সড়কের নিরাপত্তাকর্মীরা থানায় অবহিত করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে। মোটরসাইকেলের সামনে রবিউল আউয়াল অন্তর লেখা রয়েছে। তাঁরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।

ওসি আরও বলেন, থানা-পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক ইউনিট রবিউল ইসলাম অন্তরের সন্ধানে মাঠে নেমেছে। জিডি কিংবা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এটি তাঁদের গোপনীয় বিষয় বলে কোনো তথ্য দেননি তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত