Ajker Patrika

আগামীকাল থেকে ২২ দিন বন্ধ থাকবে ইলিশ ধরা, উপকূলে ভিড়ছে ট্রলার

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ১৪: ৪৯
আগামীকাল থেকে ২২ দিন বন্ধ থাকবে ইলিশ ধরা, উপকূলে ভিড়ছে ট্রলার

মা ইলিশ রক্ষায় আবারও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। আগামীকাল বুধবার (১১ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য নদী ও সাগরে সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞার কারণে সাগর ও নদী থেকে ট্রলার নিয়ে উপকূলে ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরা। ইতিমধ্যে শত শত ট্রলার ভিড়ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটার বিএফডিসি ঘাটে। 

আশ্বিনের পূর্ণিমা ইলিশ প্রজননের প্রধান মৌসুম। এ সময় সমুদ্র থেকে ডিম ছাড়ার জন্য মিঠা পানির নদ-নদীতে চলে আসে মা ইলিশ। আর এই ডিম ছাড়া নির্বিঘ্ন করতে ২২ দিনের ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। 

জেলেরা জানান, আষাঢ় থেকে আশ্বিন চার মাস ইলিশ শিকারের প্রধান মৌসুম। কিন্তু এর মধ্যে ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই বৈরী আবহাওয়ার কারণে ইলিশ শিকার করতে না পারা এবং নদ-নদীতে পর্যাপ্ত ইলিশ না থাকায় লোকসানের মুখে পড়েছেন জেলে ও ট্রলার মালিকেরা। 

জেলেরা আরও জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় বরগুনা উপকূলের প্রায় দেড় লাখ জেলে বেকার হয়ে পড়বেন। তাই পরিবার চালাতে সরকারের কাছে খাদ্য ও নগদ অর্থসহায়তার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। 

গত ২০ সেপ্টেম্বর ইলিশ সম্পদ উন্নয়নসংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহন, বেচাকেনা, মজুত ও বিনিময়ও নিষিদ্ধ থাকবে এবং একই সঙ্গে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে। 

নিষিদ্ধ থাকাকালে ইলিশ আহরণে বিরত থাকা জেলেদের সরকার ভিজিএফ খাদ্যসহায়তা দেবে বলেও ইলিশ সম্পদ উন্নয়নসংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে আইন অমান্যকারী কমপক্ষে ১ থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট চাঁদপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, সম্প্রতি ঢাকা-চট্টগ্রাম-বরিশাল বিভাগের ইলিশের বিভিন্ন অভয়াশ্রমে গবেষণা করা হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে এই গবেষণায় নদী ও সমুদ্রে বিচরণরত ইলিশের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ইলিশ ডিম ছাড়ার উপযুক্ত হয়েছে বলে তথ্যে উঠে এসেছে। 

চলতি বছরে বড় আকৃতির মা ইলিশের সংখ্যাই বেশি। তাই প্রজনন মৌসুম নির্বিঘ্ন করা গেলে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব বলে জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের গবেষক বিপ্লব কুমার সরকার। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে প্রতিটি ইলিশকে তার জীবনচক্রে একবার ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দেওয়ার তাগিদ এই গবেষকদের। 

জেলেরা জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে নদ-নদীতে তেমন মাছের দেখা মিলছে না। গবেষকেরা যতই গবেষণা করুন, যদি নদ-নদী থেকে ট্রলিং বোট, অবৈধ নিষিদ্ধ জাল, ঘোফ, বেহুন্দি, চরগড়া বন্ধসহ নেট জাল সাগরে ফেলা শতভাগ নিষিদ্ধ না করে, তাহলে ইলিশসহ যাবতীয় মাছের বংশ ধ্বংস হয়ে যাবে। এতে আর্থিক সংকটে পড়বে দেশ। 

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় উপকূলের জেলেরা শতভাগ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত। তবে এই সময়ে যেন ভারতের ট্রলার বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে সরকারের কাছে দাবি জানাই।’ 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দে বলেন, ‘সাগর ও নদীতে এই ২২ দিন কোনো জেলেকে মাছ শিকার করতে দেওয়া হবে না। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম সফল করতে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি।’ 

সম্প্রতি ভারতের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া পাথরঘাটার জেলেদের সহায়তা প্রদানকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এরা নির্দেশনা অনুযায়ী সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করবে। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞার সুফল সম্পর্কে জেলেদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৩২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকা আজ বুধবার সকালে সূর্য উঁকি দিলেও সারা দেশে শীতের দাপট চলছেই। তাপমাত্রাও গতকালের তুলনায় বেশ কমেছে। এর মধ্যে আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল গোপালগঞ্জ জেলায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলাসহ খুলনা, বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধানের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই শৈত্যপ্রবাহ কোথাও কোথাও অব্যাহত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের অনেক জায়গায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। সারা দেশে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে শীতের অনুভূতি বেশি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে ৮ দশমিক ৪, রংপুর ও ময়মনসিংহ, সিলেটে ১২ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৩ দশমিক ২, খুলনায় ৮ দশমিক ৫ এবং বরিশালে ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফার্মগেট নামার র‍্যাম্প বন্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা আজ বাদ জোহর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম হওয়ায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ইন্দিরা রোডের ফার্মগেট নামার র‍্যাম্প সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ বুধবার সকাল থেকে র‍্যাম্পটি বন্ধ রাখা হয়েছে এবং বেলা আনুমানিক ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বন্ধ থাকতে পারে। জানাজা উপলক্ষে ওই এলাকায় যানবাহন ও মানুষের চাপ বাড়বে; তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেডের অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন (অব.) হাসিব হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই এই এলাকায় ভিড় বেড়েছে। র‍্যাম্পের নিচে যানবাহন চলাচলের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এবং তীব্র যানজট সৃষ্টি হওয়ায় আমরা সকাল থেকেই ফার্মগেট নামার র‍্যাম্পটি বন্ধ করে দিয়েছি।’

হাসিব হাসান আরও বলেন, বিকল্প হিসেবে যাত্রীদের এফডিসি নামার র‍্যাম্প ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপরেও চালকদের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এক বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ফার্মগেট নামার র‍্যাম্প বন্ধ থাকার তথ্য জানিয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সারজিসের নগদ টাকা আছে ৩ লাখ ১১ হাজার, পেশায় ব্যবসায়ী

পঞ্চগড় প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ২৮
জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: ফেসবুক
জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: ফেসবুক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পঞ্চগড়-১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, সারজিস আলমের হাতে নগদ অর্থ রয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার ১২৮ টাকা। পাশাপাশি তাঁর একটি ব্যাংক হিসাবে জমা আছে ১ লাখ টাকা। হলফনামায় তিনি তাঁর বর্তমান পেশা হিসেবে ব্যবসা এবং পূর্বতন পেশা হিসেবে ছাত্র উল্লেখ করেছেন। তাঁর নামে দানকৃত কৃষিজমির পরিমাণ ১৬ দশমিক ৫০ শতক। অর্জনকালে ওই জমির আর্থিক মূল্য ছিল ৭ হাজার ৫০০ টাকা, যা বর্তমানে আনুমানিক ৫ লাখ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্যবসা থেকে বছরে তাঁর আয় ৯ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে তিনি স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) উল্লেখ করেছেন।

হলফনামার তথ্যে আরও দেখা যায়, সারজিস আলমের নামে একটি মামলা রয়েছে, যা বর্তমানে তদন্তাধীন। তাঁর নামে কোনো বন্ড, ঋণপত্র বা স্টক এক্সচেঞ্জভুক্ত শেয়ার নেই। আসবাবপত্রের মূল্য দেখানো হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা এবং ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মূল্য ৭৫ হাজার টাকা। তাঁর কোনো আগ্নেয়াস্ত্র নেই। এ ছাড়া তাঁর নামে কোনো বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট বা ভবনও নেই।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের আয়কর রিটার্নে সারজিস আলম তাঁর মোট আয় দেখিয়েছেন ২৮ লাখ ৫ হাজার টাকা। আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী তাঁর মোট সম্পদের মূল্য ৩৩ লাখ ৭৩ হাজার ৬২৮ টাকা। এই খাতে তিনি ৫২ হাজার ৫০০ টাকা আয়কর পরিশোধ করেছেন।

এদিকে পঞ্চগড়-১ আসনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও জমে উঠেছে। এই আসনে সারজিস আলম ছাড়াও আরও সাত প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

অন্য প্রার্থীরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নওশাদ জমির, বাংলাদেশ জাসদের নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) মুখপাত্র আল রাশেদ প্রধান, গণঅধিকার পরিষদের মো. মাহাফুজুর রহমান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মো. ফেরদৌস আলম, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মো. সিরাজুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. আব্দুল ওয়াদুদ বাদশা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজা ঘিরে যেসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ ও ডাইভারশন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
খালেদা জিয়ার জানাজা ঘিরে যেসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ ও ডাইভারশন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে। বিশাল জনসমাগম বিবেচনায় এ সময় রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল রাখতে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বেশ কিছু সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আজ সকাল ৭টা থেকে জানাজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত এলাকাগুলোতে ডাইভারশন কার্যকর থাকবে।

যান চলাচল সংক্রান্ত প্রধান বিধিনিষেধ ও বিকল্প পথ—

জানাজাস্থল ও এর চারপাশ খালি রাখার জন্য যেসব ক্রসিংয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকবে—ফার্মগেট পুলিশ বক্স ও ইন্দিরা রোড ক্রসিং, বিজয় সরণি ও উড়োজাহাজ ক্রসিং, আসাদগেট ও রাপা প্লাজা ক্রসিং এবং গণভবন ক্রসিং। অর্থাৎ, রাপা প্লাজা থেকে গণভবন, ফার্মগেট থেকে আড়ং ক্রসিং এবং বিজয় সরণি থেকে লেক রোড হয়ে গণভবন ক্রসিং এবং উড়োজাহাজ ক্রসিং হয়ে খেজুরবাগান ক্রসিং হয়ে ফার্মগেট পুলিশ বক্স পর্যন্ত রাস্তাগুলো সাধারণ যানবাহনের জন্য বন্ধ থাকবে।

যেসব সড়কে যানচলাচল সীমিত ও ডাইভারশন—

১. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ইন্দিরা রোড র্যাম্প দিয়ে যানবাহন নামা বন্ধ থাকবে; এর পরিবর্তে এফডিসি র্যাম্প ব্যবহার করতে হবে।

২. সোনারগাঁও মোড় থেকে ফার্মগেট বা বিজয় সরণি অভিমুখে যান চলাচল সীমিত থাকবে।

৩. কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ সড়কটি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।

৪. প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ক্রসিং থেকে দক্ষিণ বিজয় সরণি ও ফার্মগেট অভিমুখে সীমিতভাবে যানবাহন চলবে।

৫. বনানী-মহাখালী-গুলশান বা এয়ারপোর্ট রোড থেকে রমনা-শাহবাগ-মতিঝিল-পল্টন-গুলিস্তানগামী গাড়িগুলোকে মহাখালী-জাহাঙ্গীরগেট-কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ সড়ক এড়িয়ে মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনের রাস্তা ও মগবাজার ফ্লাইওভার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৬. মিরপুর থেকে ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুরগামী যানবাহনগুলোকে মানিক মিয়া এভিনিউ এড়িয়ে টেকনিক্যাল-শ্যামলী হয়ে চলাচলের অনুরোধ করা হয়েছে।

৭. মিরপুর থেকে রমনা-মতিঝিলগামী যানবাহনগুলো মিরপুর রোডের শ্যামলী থেকে বামে টার্ন নিয়ে আগারগাঁও ক্রসিং হয়ে ফকরুদ্দিন রোড বা লিংক রোড হয়ে জাহাঙ্গীরগেট-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার ফ্লাইওভার হয়ে চলাচল করবে।

৮. পান্থপথ ক্রসিং থেকে সোনারগাঁও হোটেল ক্রসিংয়ের দিকে গাড়ি চলাচল সীমিত করা হবে।

৯. ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ক্রসিং ও প্রয়োজনে সায়েন্সল্যাব ক্রসিং থেকে গাড়ি ডাইভারশন হবে।

১০. প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ক্রসিং থেকে দক্ষিণ দিকে সীমিত গাড়ি চলবে।

পার্কিং ব্যবস্থা—

১. ঢাকা মহানগরের যানবাহনগুলো শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে পার্কিং করতে হবে।

২. ঢাকার বাইরে থেকে আসা বাস ও অন্যান্য বড় যানবাহন মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, শাহবাগ থানা এলাকা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের বৌবাজার বা গরুর হাট এলাকা এবং পূর্বাচল ৩০০ ফিট সার্ভিস রোডে পার্কিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই বিশেষ পরিস্থিতিতে নগরবাসীকে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে নির্ধারিত গন্তব্যে যাতায়াতের এবং ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।

সূত্র: বাসস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত