Ajker Patrika

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৫, ১৩: ২৯
নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেক। ছবি: সংগৃহীত
নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছেন। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনায় আরও চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই দুজন তাঁদের সক্রিয় কর্মী। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন সতর্ক অবস্থানে।

নিহত দুজন হলেন উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের মধ্যমকাঞ্চনা এলাকার নেজাম উদ্দিন (৪৬) এবং একই ইউনিয়নের গুরগুরি এলাকার আবু ছালেক (৩৮)। তাঁরা দুজনই জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। নেজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১০টির বেশি মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সাতকানিয়া থানার পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি দলীয় প্রোগ্রামে ব্যস্ত বলে জানান তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী রিপন।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাতে গোলাগুলির খবর পেয়ে আমরা ছনখোলা গ্রামে গিয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করি। নিহত দুজনই স্থানীয় গ্রামবাসীর হামলা-গণপিটুনিতে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, গুলির ছয়টি খোসা ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। তবে নিহত ব্যক্তিরা কেন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমবার রাত ১০টার মধ্যে চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চেপে একদল যুবক ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত আসছে, ডাকাত আসছে’ এমন ঘোষণার পর লোকজন জড়ো হয়ে বহিরাগত অস্ত্রধারী যুবকদের ঘিরে ফেলে। এরপরই বহিরাগত যুবকেরা গুলি চালাতে থাকেন।

এ সময় চারজন গুলিবিদ্ধ হন। এই চারজনের মধ্যে তিনজন স্থানীয় বাসিন্দা ও এক দোকানি। তাঁরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয়রা বলছেন, নেজাম, ছালেকদের গুলিতে ওই ব্যক্তিরা আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, একপর্যায়ে গুলি শেষ হলে বহিরাগতরা অদূরে রাখা তাঁদের গাড়িগুলোর দিকে এগোতে থাকেন। কিন্তু এর মধ্যে এলাকাবাসী লাঠিসোঁটা ও দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে নেজাম, ছালেকসহ বহিরাগতদের কয়েকজনকে ধরে গণপিটুনি দেন। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যুবক নিহত হন। এক যুবকের লাশের পাশ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তলটি বিদেশি। ধারণা করা হচ্ছে, গত ৫ আগস্ট কোনো থানা থেকে লুট হয়ে অস্ত্রটি এই যুবকদের হাতে এসেছে।’

উদ্দেশ্য ছিল লুটপাট

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছনখোলা ও কাঞ্চনা এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, ছনখোলা গ্রামে আওয়ামী লীগ আমলে স্থানীয় চেয়ারম্যান মানিকের আধিপত্য ছিল। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর মানিক এলাকা ত্যাগ করলে নেজাম উদ্দিন এলাকায় ফেরেন। এরপর থেকে মানিক চেয়ারম্যানের বাড়িঘর, গরুর খামার, ইটভাটা, বাগান লুট করেন নেজাম ও তাঁর বাহিনী। শুধু ছনখোলা গ্রামের মানিক চেয়ারম্যানের বাড়িই নয়, নেজাম বাহিনীর চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কাঞ্চনা, এওচিয়া, চরতি, আমিলাইশ এলাকায়ও পৌঁছেছে। ঘটনার দিনও লুটপাটের উদ্দেশ্যে নেজাম বাহিনী ছনখোলা গ্রামে গিয়েছিল।

সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি তারেক হোসাইন বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পলাতক সন্ত্রাসী মানিক চেয়ারম্যান ও তাঁর ক্যাডাররা পরিকল্পিতভাবে জামায়াতের দুই কর্মীকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত