মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

জনগুরুত্বপূর্ণ সব নাগরিক সেবা এক ছাতার নিচে আনতে নতুন একটি কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাধীন এই কমিশনের অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), জন্ম-মৃত্যু, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন, ইউনিক আইডিসহ নাগরিক সেবার গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ হবে।
এই লক্ষ্যে উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশনায় সিভিল রেজিস্ট্রেশন (কমিশন) অধ্যাদেশের খসড়া করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এই খসড়া পর্যালোচনায় গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ-সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির প্রথম সভা হয়েছে। সেখানে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতিনিধিও ছিলেন। তবে ইসি এনআইডি সেবা নিজের কাছে রাখতে চায়। সিইসি গতকাল মঙ্গলবারও বিষয়টি জানিয়েছেন।
অধ্যাদেশের খসড়ায় সিভিল রেজিস্ট্রেশনের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, নাগরিকের আইনি সত্তা প্রতিষ্ঠায় জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা বৈশিষ্ট্যের স্থায়ী, ধারাবাহিক, সর্বজনীন, আবশ্যকীয় রেকর্ড সংরক্ষণে নিবন্ধন পদ্ধতি। কমিশনের কাজের বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, কমিশন এই অধ্যাদেশের অধীন নাগরিকের জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ ও দত্তক নিবন্ধন এবং মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের সঙ্গে স্থানান্তর, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার তথ্য-উপাত্ত অন্তর্ভুক্ত করে বিদ্যমান সিভিল রেজিস্ট্রেশন-ব্যবস্থার সার্বিক সমন্বয় ও উন্নয়ন করবে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা, পরিচয়পত্র প্রস্তুত, বিতরণ, রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুষঙ্গিক সব দায়িত্ব পালন করবে।
ইউনিক আইডি, সিআরভিএস (সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস) এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার, ইন্টার-অপারেবিলিটি স্ট্যান্ডার্ড এবং সিটিজেন কোর ডেটা স্ট্রাকচারের ভিত্তিতে সমন্বিত সেবা প্রদান ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন; সিভিল রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বিকেন্দ্রীকরণে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির (যেমন-ব্লকচেইন) ব্যবহার উপযোগিতা, আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো পর্যালোচনা করে সরকারকে সুপারিশ দেবে সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন।
খসড়ায় বলা হয়েছে, কমিশনকে সিভিল রেজিস্ট্রেশন তথ্য-উপাত্তের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ করতে হবে। নাগরিক এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত ও সহজ উপায়ে সিভিল রেজিস্ট্রেশন তথ্য-উপাত্ত প্রদান; সিভিল রেজিস্ট্রেশন স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, জনবান্ধব করতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ; সমন্বিত সেবা প্রদান প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই; সিভিল রেজিস্ট্রেশন-ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের অনুমোদন নিয়ে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী, বিদেশি রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিও করতে পারবে কমিশন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশের খসড়া সময়োপযোগী করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেদিন উপদেষ্টা পরিষদ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে বলেছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্রসংক্রান্ত কার্যক্রম ইসির আওতাধীন না রেখে সম্পূর্ণ স্বাধীন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালনা করা সমীচীন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্মনিবন্ধন সনদ, জন্মনিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে এনআইডি এবং এনআইডির ভিত্তিতে পাসপোর্ট পাওয়ার প্রক্রিয়ায় অনাবশ্যক জটিলতা ও জনদুর্ভোগ পরিহার করা আবশ্যক। কীভাবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়, সে বিষয়ে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে সুপারিশ দিতে বলেছিল উপদেষ্টা পরিষদ।
উপদেষ্টা পরিষদের ওই নির্দেশনার আলোকে সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন গঠনে অধ্যাদেশের খসড়া করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
যেভাবে গঠন হবে কমিশন: অধ্যাদেশ জারি হওয়ার পর সরকার সিভিল রেজিস্ট্রেশন নামে কমিশন প্রতিষ্ঠা করবে। এর প্রধান কার্যালয় হবে ঢাকায়। তবে সরকারের অনুমোদন নিয়ে শাখা কার্যালয় স্থাপন করা যাবে। সংবিধিবদ্ধ এই সংস্থা নিজ নামে মামলা করতে পারবে, এই সংস্থার বিরুদ্ধেও মামলা করা যাবে।
এই কমিশনের চেয়ারম্যানের মেয়াদ তিন বছর হবে জানিয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, তিনি কমিশনের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠ সদস্য চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকবেন। জনপ্রশাসন, আইন, স্থানীয় সরকার, তথ্য ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বশীল পদে কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য নিয়োগ দেওয়া যাবে। তাঁদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়াদের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হবে। চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পারিশ্রমিক, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা সরকার নির্ধারণ করবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান ও সদস্য যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারবেন। সরকার চাইলে কারণ দর্শানোর সুযোগ দিয়ে তাঁদের অপসারণ করতে পারবে। কমিশনের চেয়ারম্যান সভায় সভাপতিত্ব করবেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে কমিশনের জ্যেষ্ঠ সদস্য এ দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতি তিন মাসে কমপক্ষে কমিশনের একটি সভা করতে হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রত্যেক সদস্যের একটি করে ভোট থাকবে। তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট দেওয়ার অধিকার থাকবে।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, শুধু কোনো সদস্যপদে শূন্যতা বা কমিশন গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে কমিশনের কোনো কাজ বা কার্যধারা অবৈধ হবে না এবং এ বিষয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না।
সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশনের তহবিলে সরকার অনুদান দেবে। এ ছাড়া সরকারের অনুমোদন নিয়ে যেকোনো বৈধ উৎস থেকে অনুদান নেওয়া যাবে। এই তহবিল থেকে কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্য, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া হবে এবং কমিশনের ব্যয় নির্বাহ করা হবে।
সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশনের খসড়া নিয়ে সোমবার কথা হয়েছে জানিয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রাধিকার, এটা আলোচনাধীন আছে। অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের সভায় সবাই ফ্রেমওয়ার্ক সম্পর্কে মতামত দিয়েছেন। কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। এনআইডির কাঠামোগত অবস্থানটা আরও ব্যপ্ত করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ উদ্যোগ নিয়েছে।
অবশ্য ইসি এনআইডি সেবা তার অধীনে রাখতে আগ্রহী। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘যদি আলাদা কোনো কর্তৃপক্ষ গঠন হয় এবং এনআইডি আমাদের অধীনে থাকে তাহলে সমস্যা নেই। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের মতামতের গুরুত্ব দেওয়া হবে।’ এনআইডি সেবা ইসির অধীনে থাকা উচিত মত দিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের পর থেকেই এ বিষয়ে বলছি।’
ইসির কাছ থেকে এনআইডি কার্যক্রম চলে গেলে সমস্যা হবে কি না, এ প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘সমস্যা হবে। কী সমস্যা হবে আমরা লিখিতভাবে জানাব। তবে সরকার এক ধরনের চিন্তা করছে, কীভাবে সব ধরনের নাগরিক সেবা এক জায়গা থেকে দেওয়া যায়। একটি কর্তৃপক্ষের মতো করে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে–এ রকম একটা চিন্তা আমি শুনেছিলাম। সোমবারের সভায় প্রতিনিধির মাধ্যমে আমাদের মতামত তুলে ধরেছি।’
ইসির কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ভোটার তালিকা ও নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হওয়ায় এনআইডি ইসির বাইরে নিলে সুষ্ঠু নির্বাচনপ্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। তাঁরা চান এই সেবা ইসির অধীনেই থাকুক। অধ্যাদেশের বিষয়টি নজরে আসার পর সিইসির সঙ্গে দেখা করেছেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। এ বিষয়ে আজ বুধবার জরুরি সভাও ডেকেছেন তাঁরা।
এনআইডি সেবা অধীনে নিতে টানাটানি: এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু এই সেবা নিজেদের কাছে রাখতে ওই আইন বাতিল করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ জানায় বর্তমান ইসি।
২০০৭-০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করে ইসি। তখন ইসির মাধ্যমে ভোটার তালিকার সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়। ২০১০ সালে ইসির অধীনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগকে আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি দেওয়া হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০২১ সালে এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এনআইডি কার্যক্রম স্থানান্তরে দ্বিমত জানিয়ে ২০২১ সালের ৭ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেয় তৎকালীন ইসি।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ বাতিল করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়। নতুন আইনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম ইসির কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের অধীনে একটি নিবন্ধকের আওতায় নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংসদে আইন পাস হলেও গেজেটের মাধ্যমে আইনটি কার্যকরের তারিখ নির্ধারিত না হওয়ায় এখনো ইসির অধীনে এনআইডি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর আগের কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনও বিদায়ের আগে এনআইডি সেবা ইসির হাতে রাখতে সরকারের কাছে ডিও লেটার দেওয়ার বিষয়টি কমিশন সভায় অনুমোদন দিয়ে তা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে চিঠি পাঠায়।
এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে না নিতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন বাতিলের প্রস্তাব ৬ ফেব্রুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশের খসড়া সময়োপযোগী করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আরও খবর পড়ুন:

জনগুরুত্বপূর্ণ সব নাগরিক সেবা এক ছাতার নিচে আনতে নতুন একটি কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাধীন এই কমিশনের অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), জন্ম-মৃত্যু, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন, ইউনিক আইডিসহ নাগরিক সেবার গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ হবে।
এই লক্ষ্যে উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশনায় সিভিল রেজিস্ট্রেশন (কমিশন) অধ্যাদেশের খসড়া করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এই খসড়া পর্যালোচনায় গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ-সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির প্রথম সভা হয়েছে। সেখানে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতিনিধিও ছিলেন। তবে ইসি এনআইডি সেবা নিজের কাছে রাখতে চায়। সিইসি গতকাল মঙ্গলবারও বিষয়টি জানিয়েছেন।
অধ্যাদেশের খসড়ায় সিভিল রেজিস্ট্রেশনের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, নাগরিকের আইনি সত্তা প্রতিষ্ঠায় জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা বৈশিষ্ট্যের স্থায়ী, ধারাবাহিক, সর্বজনীন, আবশ্যকীয় রেকর্ড সংরক্ষণে নিবন্ধন পদ্ধতি। কমিশনের কাজের বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, কমিশন এই অধ্যাদেশের অধীন নাগরিকের জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ ও দত্তক নিবন্ধন এবং মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের সঙ্গে স্থানান্তর, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার তথ্য-উপাত্ত অন্তর্ভুক্ত করে বিদ্যমান সিভিল রেজিস্ট্রেশন-ব্যবস্থার সার্বিক সমন্বয় ও উন্নয়ন করবে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা, পরিচয়পত্র প্রস্তুত, বিতরণ, রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুষঙ্গিক সব দায়িত্ব পালন করবে।
ইউনিক আইডি, সিআরভিএস (সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস) এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার, ইন্টার-অপারেবিলিটি স্ট্যান্ডার্ড এবং সিটিজেন কোর ডেটা স্ট্রাকচারের ভিত্তিতে সমন্বিত সেবা প্রদান ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন; সিভিল রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বিকেন্দ্রীকরণে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির (যেমন-ব্লকচেইন) ব্যবহার উপযোগিতা, আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো পর্যালোচনা করে সরকারকে সুপারিশ দেবে সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন।
খসড়ায় বলা হয়েছে, কমিশনকে সিভিল রেজিস্ট্রেশন তথ্য-উপাত্তের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ করতে হবে। নাগরিক এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত ও সহজ উপায়ে সিভিল রেজিস্ট্রেশন তথ্য-উপাত্ত প্রদান; সিভিল রেজিস্ট্রেশন স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, জনবান্ধব করতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ; সমন্বিত সেবা প্রদান প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই; সিভিল রেজিস্ট্রেশন-ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের অনুমোদন নিয়ে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী, বিদেশি রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিও করতে পারবে কমিশন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশের খসড়া সময়োপযোগী করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেদিন উপদেষ্টা পরিষদ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে বলেছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্রসংক্রান্ত কার্যক্রম ইসির আওতাধীন না রেখে সম্পূর্ণ স্বাধীন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালনা করা সমীচীন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্মনিবন্ধন সনদ, জন্মনিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে এনআইডি এবং এনআইডির ভিত্তিতে পাসপোর্ট পাওয়ার প্রক্রিয়ায় অনাবশ্যক জটিলতা ও জনদুর্ভোগ পরিহার করা আবশ্যক। কীভাবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়, সে বিষয়ে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে সুপারিশ দিতে বলেছিল উপদেষ্টা পরিষদ।
উপদেষ্টা পরিষদের ওই নির্দেশনার আলোকে সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন গঠনে অধ্যাদেশের খসড়া করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
যেভাবে গঠন হবে কমিশন: অধ্যাদেশ জারি হওয়ার পর সরকার সিভিল রেজিস্ট্রেশন নামে কমিশন প্রতিষ্ঠা করবে। এর প্রধান কার্যালয় হবে ঢাকায়। তবে সরকারের অনুমোদন নিয়ে শাখা কার্যালয় স্থাপন করা যাবে। সংবিধিবদ্ধ এই সংস্থা নিজ নামে মামলা করতে পারবে, এই সংস্থার বিরুদ্ধেও মামলা করা যাবে।
এই কমিশনের চেয়ারম্যানের মেয়াদ তিন বছর হবে জানিয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, তিনি কমিশনের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠ সদস্য চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকবেন। জনপ্রশাসন, আইন, স্থানীয় সরকার, তথ্য ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বশীল পদে কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য নিয়োগ দেওয়া যাবে। তাঁদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়াদের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হবে। চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পারিশ্রমিক, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা সরকার নির্ধারণ করবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান ও সদস্য যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারবেন। সরকার চাইলে কারণ দর্শানোর সুযোগ দিয়ে তাঁদের অপসারণ করতে পারবে। কমিশনের চেয়ারম্যান সভায় সভাপতিত্ব করবেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে কমিশনের জ্যেষ্ঠ সদস্য এ দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতি তিন মাসে কমপক্ষে কমিশনের একটি সভা করতে হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রত্যেক সদস্যের একটি করে ভোট থাকবে। তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট দেওয়ার অধিকার থাকবে।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, শুধু কোনো সদস্যপদে শূন্যতা বা কমিশন গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে কমিশনের কোনো কাজ বা কার্যধারা অবৈধ হবে না এবং এ বিষয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না।
সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশনের তহবিলে সরকার অনুদান দেবে। এ ছাড়া সরকারের অনুমোদন নিয়ে যেকোনো বৈধ উৎস থেকে অনুদান নেওয়া যাবে। এই তহবিল থেকে কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্য, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া হবে এবং কমিশনের ব্যয় নির্বাহ করা হবে।
সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশনের খসড়া নিয়ে সোমবার কথা হয়েছে জানিয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রাধিকার, এটা আলোচনাধীন আছে। অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের সভায় সবাই ফ্রেমওয়ার্ক সম্পর্কে মতামত দিয়েছেন। কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। এনআইডির কাঠামোগত অবস্থানটা আরও ব্যপ্ত করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ উদ্যোগ নিয়েছে।
অবশ্য ইসি এনআইডি সেবা তার অধীনে রাখতে আগ্রহী। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘যদি আলাদা কোনো কর্তৃপক্ষ গঠন হয় এবং এনআইডি আমাদের অধীনে থাকে তাহলে সমস্যা নেই। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের মতামতের গুরুত্ব দেওয়া হবে।’ এনআইডি সেবা ইসির অধীনে থাকা উচিত মত দিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের পর থেকেই এ বিষয়ে বলছি।’
ইসির কাছ থেকে এনআইডি কার্যক্রম চলে গেলে সমস্যা হবে কি না, এ প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘সমস্যা হবে। কী সমস্যা হবে আমরা লিখিতভাবে জানাব। তবে সরকার এক ধরনের চিন্তা করছে, কীভাবে সব ধরনের নাগরিক সেবা এক জায়গা থেকে দেওয়া যায়। একটি কর্তৃপক্ষের মতো করে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে–এ রকম একটা চিন্তা আমি শুনেছিলাম। সোমবারের সভায় প্রতিনিধির মাধ্যমে আমাদের মতামত তুলে ধরেছি।’
ইসির কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ভোটার তালিকা ও নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হওয়ায় এনআইডি ইসির বাইরে নিলে সুষ্ঠু নির্বাচনপ্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। তাঁরা চান এই সেবা ইসির অধীনেই থাকুক। অধ্যাদেশের বিষয়টি নজরে আসার পর সিইসির সঙ্গে দেখা করেছেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। এ বিষয়ে আজ বুধবার জরুরি সভাও ডেকেছেন তাঁরা।
এনআইডি সেবা অধীনে নিতে টানাটানি: এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু এই সেবা নিজেদের কাছে রাখতে ওই আইন বাতিল করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ জানায় বর্তমান ইসি।
২০০৭-০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করে ইসি। তখন ইসির মাধ্যমে ভোটার তালিকার সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়। ২০১০ সালে ইসির অধীনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগকে আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি দেওয়া হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০২১ সালে এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এনআইডি কার্যক্রম স্থানান্তরে দ্বিমত জানিয়ে ২০২১ সালের ৭ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেয় তৎকালীন ইসি।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ বাতিল করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়। নতুন আইনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম ইসির কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের অধীনে একটি নিবন্ধকের আওতায় নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংসদে আইন পাস হলেও গেজেটের মাধ্যমে আইনটি কার্যকরের তারিখ নির্ধারিত না হওয়ায় এখনো ইসির অধীনে এনআইডি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর আগের কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনও বিদায়ের আগে এনআইডি সেবা ইসির হাতে রাখতে সরকারের কাছে ডিও লেটার দেওয়ার বিষয়টি কমিশন সভায় অনুমোদন দিয়ে তা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে চিঠি পাঠায়।
এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে না নিতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন বাতিলের প্রস্তাব ৬ ফেব্রুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশের খসড়া সময়োপযোগী করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আরও খবর পড়ুন:

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
৩০ মিনিট আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
আজ রোববার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর এক সহযোগী ময়মনসিংহের দুর্গম সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন। পুলিশি নজরদারি এড়াতে তাঁরা স্থানীয় দালাল চক্রের সহায়তা নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়, এটি ছিল সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো একটি পরিকল্পনা। ডিএমপি এ পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যেখানে তারা হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ এবং পরিকল্পনার খুঁটিনাটি প্রকাশ করেছে।’ ডিএমপি আশা করছে, আগামী ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এই মামলার একটি পূর্ণাঙ্গ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১২ ডিসেম্বর হামলার শিকার হন ওসমান হাদি। ওই দিন বেলা আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে অনুসারীদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর এক সহযোগী চলন্ত অবস্থায় হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।
গুলিবিদ্ধ হাদিকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে এবং পরে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। প্রাথমিক এজাহারে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হলেও হাদির মৃত্যুর পর ২০ ডিসেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদের নির্দেশে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজন করা হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
আজ রোববার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর এক সহযোগী ময়মনসিংহের দুর্গম সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন। পুলিশি নজরদারি এড়াতে তাঁরা স্থানীয় দালাল চক্রের সহায়তা নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়, এটি ছিল সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো একটি পরিকল্পনা। ডিএমপি এ পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যেখানে তারা হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ এবং পরিকল্পনার খুঁটিনাটি প্রকাশ করেছে।’ ডিএমপি আশা করছে, আগামী ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এই মামলার একটি পূর্ণাঙ্গ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১২ ডিসেম্বর হামলার শিকার হন ওসমান হাদি। ওই দিন বেলা আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে অনুসারীদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর এক সহযোগী চলন্ত অবস্থায় হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।
গুলিবিদ্ধ হাদিকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে এবং পরে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। প্রাথমিক এজাহারে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হলেও হাদির মৃত্যুর পর ২০ ডিসেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদের নির্দেশে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজন করা হয়।

জনগুরুত্বপূর্ণ সব নাগরিক সেবা এক ছাতার নিচে আনতে নতুন একটি কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাধীন এই কমিশনের অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), জন্ম-মৃত্যু, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন, ইউনিক আইডিসহ নাগরিক সেবার গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ হবে।
০৫ মার্চ ২০২৫
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শপথ অনুষ্ঠানে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, অন্যান্য উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজকোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান তিনি। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শপথ অনুষ্ঠানে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, অন্যান্য উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজকোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান তিনি। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

জনগুরুত্বপূর্ণ সব নাগরিক সেবা এক ছাতার নিচে আনতে নতুন একটি কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাধীন এই কমিশনের অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), জন্ম-মৃত্যু, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন, ইউনিক আইডিসহ নাগরিক সেবার গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ হবে।
০৫ মার্চ ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
৩০ মিনিট আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১৩ ঘণ্টা আগেওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

জনগুরুত্বপূর্ণ সব নাগরিক সেবা এক ছাতার নিচে আনতে নতুন একটি কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাধীন এই কমিশনের অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), জন্ম-মৃত্যু, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন, ইউনিক আইডিসহ নাগরিক সেবার গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ হবে।
০৫ মার্চ ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
৩০ মিনিট আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

জনগুরুত্বপূর্ণ সব নাগরিক সেবা এক ছাতার নিচে আনতে নতুন একটি কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাধীন এই কমিশনের অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), জন্ম-মৃত্যু, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন, ইউনিক আইডিসহ নাগরিক সেবার গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ হবে।
০৫ মার্চ ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
৩০ মিনিট আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১০ ঘণ্টা আগে