Ajker Patrika

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

  • সিভিল রেজিস্ট্রেশন (কমিশন) অধ্যাদেশের খসড়া করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
  • কমিশনের অধীনে থাকবে এনআইডি, জন্ম-মৃত্যু, বিবাহ নিবন্ধন, ইউনিক আইডি।
  • এনআইডি কার্যক্রম নিজের হাতে রাখতে চায় বর্তমান নির্বাচন কমিশন।
মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা শহীদুল ইসলাম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৫, ১৩: ৫০
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জনগুরুত্বপূর্ণ সব নাগরিক সেবা এক ছাতার নিচে আনতে নতুন একটি কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাধীন এই কমিশনের অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), জন্ম-মৃত্যু, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন, ইউনিক আইডিসহ নাগরিক সেবার গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ হবে।

এই লক্ষ্যে উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশনায় সিভিল রেজিস্ট্রেশন (কমিশন) অধ্যাদেশের খসড়া করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এই খসড়া পর্যালোচনায় গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ-সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির প্রথম সভা হয়েছে। সেখানে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতিনিধিও ছিলেন। তবে ইসি এনআইডি সেবা নিজের কাছে রাখতে চায়। সিইসি গতকাল মঙ্গলবারও বিষয়টি জানিয়েছেন।

অধ্যাদেশের খসড়ায় সিভিল রেজিস্ট্রেশনের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, নাগরিকের আইনি সত্তা প্রতিষ্ঠায় জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা বৈশিষ্ট্যের স্থায়ী, ধারাবাহিক, সর্বজনীন, আবশ্যকীয় রেকর্ড সংরক্ষণে নিবন্ধন পদ্ধতি। কমিশনের কাজের বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, কমিশন এই অধ্যাদেশের অধীন নাগরিকের জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ ও দত্তক নিবন্ধন এবং মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের সঙ্গে স্থানান্তর, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার তথ্য-উপাত্ত অন্তর্ভুক্ত করে বিদ্যমান সিভিল রেজিস্ট্রেশন-ব্যবস্থার সার্বিক সমন্বয় ও উন্নয়ন করবে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা, পরিচয়পত্র প্রস্তুত, বিতরণ, রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুষঙ্গিক সব দায়িত্ব পালন করবে।

ইউনিক আইডি, সিআরভিএস (সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস) এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার, ইন্টার-অপারেবিলিটি স্ট্যান্ডার্ড এবং সিটিজেন কোর ডেটা স্ট্রাকচারের ভিত্তিতে সমন্বিত সেবা প্রদান ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন; সিভিল রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বিকেন্দ্রীকরণে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির (যেমন-ব্লকচেইন) ব্যবহার উপযোগিতা, আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো পর্যালোচনা করে সরকারকে সুপারিশ দেবে সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন।

খসড়ায় বলা হয়েছে, কমিশনকে সিভিল রেজিস্ট্রেশন তথ্য-উপাত্তের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ করতে হবে। নাগরিক এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত ও সহজ উপায়ে সিভিল রেজিস্ট্রেশন তথ্য-উপাত্ত প্রদান; সিভিল রেজিস্ট্রেশন স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, জনবান্ধব করতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ; সমন্বিত সেবা প্রদান প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই; সিভিল রেজিস্ট্রেশন-ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের অনুমোদন নিয়ে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী, বিদেশি রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিও করতে পারবে কমিশন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশের খসড়া সময়োপযোগী করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেদিন উপদেষ্টা পরিষদ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে বলেছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্রসংক্রান্ত কার্যক্রম ইসির আওতাধীন না রেখে সম্পূর্ণ স্বাধীন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালনা করা সমীচীন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্মনিবন্ধন সনদ, জন্মনিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে এনআইডি এবং এনআইডির ভিত্তিতে পাসপোর্ট পাওয়ার প্রক্রিয়ায় অনাবশ্যক জটিলতা ও জনদুর্ভোগ পরিহার করা আবশ্যক। কীভাবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়, সে বিষয়ে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে সুপারিশ দিতে বলেছিল উপদেষ্টা পরিষদ।

উপদেষ্টা পরিষদের ওই নির্দেশনার আলোকে সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন গঠনে অধ্যাদেশের খসড়া করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

যেভাবে গঠন হবে কমিশন: অধ্যাদেশ জারি হওয়ার পর সরকার সিভিল রেজিস্ট্রেশন নামে কমিশন প্রতিষ্ঠা করবে। এর প্রধান কার্যালয় হবে ঢাকায়। তবে সরকারের অনুমোদন নিয়ে শাখা কার্যালয় স্থাপন করা যাবে। সংবিধিবদ্ধ এই সংস্থা নিজ নামে মামলা করতে পারবে, এই সংস্থার বিরুদ্ধেও মামলা করা যাবে।

এই কমিশনের চেয়ারম্যানের মেয়াদ তিন বছর হবে জানিয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, তিনি কমিশনের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠ সদস্য চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকবেন। জনপ্রশাসন, আইন, স্থানীয় সরকার, তথ্য ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বশীল পদে কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য নিয়োগ দেওয়া যাবে। তাঁদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়াদের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হবে। চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পারিশ্রমিক, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা সরকার নির্ধারণ করবে।

খসড়ায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান ও সদস্য যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারবেন। সরকার চাইলে কারণ দর্শানোর সুযোগ দিয়ে তাঁদের অপসারণ করতে পারবে। কমিশনের চেয়ারম্যান সভায় সভাপতিত্ব করবেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে কমিশনের জ্যেষ্ঠ সদস্য এ দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতি তিন মাসে কমপক্ষে কমিশনের একটি সভা করতে হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রত্যেক সদস্যের একটি করে ভোট থাকবে। তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট দেওয়ার অধিকার থাকবে।

খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, শুধু কোনো সদস্যপদে শূন্যতা বা কমিশন গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে কমিশনের কোনো কাজ বা কার্যধারা অবৈধ হবে না এবং এ বিষয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না।

সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশনের তহবিলে সরকার অনুদান দেবে। এ ছাড়া সরকারের অনুমোদন নিয়ে যেকোনো বৈধ উৎস থেকে অনুদান নেওয়া যাবে। এই তহবিল থেকে কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্য, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া হবে এবং কমিশনের ব্যয় নির্বাহ করা হবে।

সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশনের খসড়া নিয়ে সোমবার কথা হয়েছে জানিয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রাধিকার, এটা আলোচনাধীন আছে। অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের সভায় সবাই ফ্রেমওয়ার্ক সম্পর্কে মতামত দিয়েছেন। কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। এনআইডির কাঠামোগত অবস্থানটা আরও ব্যপ্ত করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ উদ্যোগ নিয়েছে।

অবশ্য ইসি এনআইডি সেবা তার অধীনে রাখতে আগ্রহী। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘যদি আলাদা কোনো কর্তৃপক্ষ গঠন হয় এবং এনআইডি আমাদের অধীনে থাকে তাহলে সমস্যা নেই। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের মতামতের গুরুত্ব দেওয়া হবে।’ এনআইডি সেবা ইসির অধীনে থাকা উচিত মত দিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের পর থেকেই এ বিষয়ে বলছি।’

ইসির কাছ থেকে এনআইডি কার্যক্রম চলে গেলে সমস্যা হবে কি না, এ প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘সমস্যা হবে। কী সমস্যা হবে আমরা লিখিতভাবে জানাব। তবে সরকার এক ধরনের চিন্তা করছে, কীভাবে সব ধরনের নাগরিক সেবা এক জায়গা থেকে দেওয়া যায়। একটি কর্তৃপক্ষের মতো করে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে–এ রকম একটা চিন্তা আমি শুনেছিলাম। সোমবারের সভায় প্রতিনিধির মাধ্যমে আমাদের মতামত তুলে ধরেছি।’

ইসির কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ভোটার তালিকা ও নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হওয়ায় এনআইডি ইসির বাইরে নিলে সুষ্ঠু নির্বাচনপ্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। তাঁরা চান এই সেবা ইসির অধীনেই থাকুক। অধ্যাদেশের বিষয়টি নজরে আসার পর সিইসির সঙ্গে দেখা করেছেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। এ বিষয়ে আজ বুধবার জরুরি সভাও ডেকেছেন তাঁরা।

এনআইডি সেবা অধীনে নিতে টানাটানি: এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু এই সেবা নিজেদের কাছে রাখতে ওই আইন বাতিল করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ জানায় বর্তমান ইসি।

২০০৭-০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করে ইসি। তখন ইসির মাধ্যমে ভোটার তালিকার সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়। ২০১০ সালে ইসির অধীনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগকে আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি দেওয়া হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০২১ সালে এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এনআইডি কার্যক্রম স্থানান্তরে দ্বিমত জানিয়ে ২০২১ সালের ৭ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেয় তৎকালীন ইসি।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ বাতিল করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়। নতুন আইনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম ইসির কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের অধীনে একটি নিবন্ধকের আওতায় নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংসদে আইন পাস হলেও গেজেটের মাধ্যমে আইনটি কার্যকরের তারিখ নির্ধারিত না হওয়ায় এখনো ইসির অধীনে এনআইডি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর আগের কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনও বিদায়ের আগে এনআইডি সেবা ইসির হাতে রাখতে সরকারের কাছে ডিও লেটার দেওয়ার বিষয়টি কমিশন সভায় অনুমোদন দিয়ে তা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে চিঠি পাঠায়।

এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে না নিতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন বাতিলের প্রস্তাব ৬ ফেব্রুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশের খসড়া সময়োপযোগী করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন সাড়ে ৯ লাখ ছাড়াল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫২
পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন সাড়ে ৯ লাখ ছাড়াল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।

আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৫১ হাজার ৮০৮ জন ভোটার পোস্টাল ভোটের জন্য সফলভাবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।

ইসির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পোস্টাল ভোটের প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রবাসীদের মধ্যে নিবন্ধন সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে অবস্থানরত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করেছেন। নিবন্ধনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতার (৬৩ হাজার ৯২৮ জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে মালয়েশিয়া (৫১ হাজার ৫৭২ জন)।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোটারদের মধ্যে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৩ জন পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে বড় একটি অংশই সরকারি চাকরিজীবী, যার সংখ্যা ৩ লাখ ১ হাজার ৭১ জন। এ ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪৬ হাজার ৮০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৪ হাজার ৩৬৭ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য এবং আইনি হেফাজতে থাকা ৩ হাজার ৬৭৫ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পোস্টাল ভোটের এই নিবন্ধনপ্রক্রিয়া আগামী বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগ্য ভোটারদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যত বড় অপরাধীই হোক, পিটিয়ে মারা গ্রহণযোগ্য নয়: ধর্ম উপদেষ্টা

রংপুর প্রতিনিধি
সোমবার রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সোমবার রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

আজ সোমবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন ধর্ম উপদেষ্টা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, প্রকল্প পরিচালক নিত্য প্রকাশ বিশ্বাসসহ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা।

ময়মনসিংহে দিপু হত্যাকাণ্ড এবং রাজবাড়ীর পাংশায় সংঘটিত পৃথক ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ময়মনসিংহে দিপু হত্যার ঘটনায় আমরা প্রথম দিন থেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমরা কোনো দিন চাই না এই কিলিং আউটসাইড দি জুডিশিয়ারি—ইট ইজ নট অ্যাক্সেপ্টেবল টু আস। ইন এনি সারকামস্ট্যান্স উই কান্ট অ্যালাও মব জাস্টিস। তাহলে তো দেশ থাকবে না, সরকার থাকবে না, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থাকবে না; আইন যদি আমি করি, বিচার যদি আমি করি।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কেউ যদি ধর্ম অবমাননা করে থাকে—করতে পারে, ফেসবুক ওপেন প্ল্যাটফর্ম, করে—তার জন্য আমাদের তো নির্ধারিত আইন আছে। সরকার আছে, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিজ আছে, জাস্টিস আছে, তার বিচার হবে যদি সে করে থাকে। কিন্তু এটার একটা অজুহাত তুলে কোনো মানুষকে পিটিয়ে মারা এবং তাকে পুড়িয়ে ফেলা—এটা জঘন্যতম কাজ। এটার নিন্দা জানাই।’

দিপু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের গভর্নমেন্টের পক্ষ থেকে আমাদের মাননীয় শিল্প উপদেষ্টাকে দিপুর বাড়িতে পাঠিয়েছি। এই মানুষটাও দরিদ্র। তো ক্যাবিনেটেও আমরা এটা আলোচনা করেছি—দিপুর পরিবারের সমস্ত খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।’

রাজবাড়ীর পাংশার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক কোনো যোগ নেই উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে তিনি ঘটনাটির প্রকৃত চিত্র জানতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি অমিত নামে পরিচিত এবং তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ডাকাতির সময় গুলি ছোড়ার ঘটনায় স্থানীয়রা তাঁকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে।’

তবে এ প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা পিটিয়ে মারার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে চাই। যত বড় অপরাধী হোক, আমাদের তো আইন আছে, ল মাস্ট টেক ইটস ওউন কোর্স। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সে ডাকাত হলেও তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না থাকলে, এভাবে হলে তো আপনারে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনকে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেবে। এই যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া অথবা পিটিয়ে মারা—আমরা এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমরা রুল অব ল, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’

আগুন দেওয়া, পিটিয়ে হত্যা—এই সহিংস সংস্কৃতি পরিহার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই সরকারের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে নমিনেশন পেপার সাবমিটের লাস্ট ডেট। জাতি একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি, আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা, উৎসবমুখর পরিবেশে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং যারাই ম্যান্ডেট পেয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবেন, আমরা তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা পুরোনো ঠিকানায় ফিরে যাব। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। আমরা এভাবে এগোচ্ছি এবং ইলেকশন মাস্ট বি হেল্ড ফেয়ার, ফ্রি, ইমপারশিয়াল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ হবে। এটাই আমরা সমস্ত রিটার্নিং অফিসারদের, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি যারা আছেন তাদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

আজ ‎সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। ‎

এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুয়াশায় গাড়ি চালানো নিরাপদ করতে বিআরটিএর নির্দেশনা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।

বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—

১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।

২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।

৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।

৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত